![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জ্ঞান অর্জন করাই আমার জীবনের মূল লক্ষ্য।
চুম্বক লোহাকে আকর্ষন করে। কিন্তু অন্য ধাতুকে আকর্ষন করেনা। তাহলে একথা নির্দিধায় বলাযায় যে লোহারও আকর্ষিত হবার গুন রয়েছে। একথা মিথ্যা নয়যে, পুরুষ আকৃষ্ট হ্য নারীর প্রতি আর নারী আকৃষ্ট হয় পুরুষের প্রতি। তথাপি একথাও সত্য যে, নারীর প্রতি পুরুষের আকর্ষন ক্ষমতা বহুগুন বেশী।মানসিক ভাবে পুরুষ-ই নারীর প্রতি অধিক দুর্বল।যেকারনে পৃথিবি সৃষ্টির পুর্বেও হযরত আদম(আঃ), বিবি হাওয়া(আঃ)-এর অনুরোধ উপেক্ষা করতে পারেনি। তাই তিনি হাওয়ার অনুরোধে সয়ং আল্লাহ কর্তৃক নিষিদ্ধ ফল ভক্ষন করেছিলেন। এটাযে শুধু আদি মানবের বেলায় ঘটেছিল তা নয়, আজও এরূপ ঘটতে দেখা যায়। কিন্তু নারী পুরুষের এসব চাওয়া পাওয়া নিয়ে বিজ্ঞানীদের গবেষণা ও চাওয়া পাওয়ার অন্ত নেই। সম্প্রতি একদল ব্রিটিশ বৈজ্ঞানিক গবেশেনা করেছেন, মনের মতো পুরুষের মধ্যে একজন নারী কি খোঁজেন? পুরুষদের কোন বৈশিষ্ট্য নারীদের সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ করে তা নিয়ে। তারা বলছেন,পুরুষের প্রতি নারীদের আকর্ষণের রহস্য নাকি লুকিয়ে রয়েছে কণ্ঠস্বরের মধ্যে। বৈজ্ঞানিকদের দাবি, কণ্ঠ শুনেই বক্তার চেহারা কল্পনা করে নেন নারীরা। নিত্য জীবনে প্রতিদিন কখনও সামনা-সামনি, কখনও সোস্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে বা টেলিফোনে অনেকের সঙ্গেই আমাদের আলাপ হয়। অনেক সময় উল্টোদিকের মানুষটির গলার আওয়াজ শুনেই আন্দাজ করতে হয়,মানুষটা কেমন। বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে দেখেছেন, কণ্ঠস্বর আমাদের মনে গভীর রেখাপাত করে। আওয়াজ শুনেই একজন নারী অচেনা পুরুষটির শারীরিক গঠন,উচ্চতা, সেন্স অফ হিউমার-আন্দাজ করার চেষ্টা করেন। এমনকি টেলিফোনের উল্টোদিকের মানুষটি কতটা প্যাশনেট তাও আঁচ করার চেষ্টা করে নারীমন। গবেষকদের ব্যাখ্যা, শব্দের ফ্রিকোয়েন্সি বা স্পন্দন এবং কণ্ঠের ওঠানামাই আসল বিষয়। ভাষা,শব্দ,বাক্য–এ সব বিষয় নাকি তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়। ইউনিভার্সিটি কলেজ অফ লন্ডনের গবেষণার আরও বলা হচ্ছে, পুরুষদের কণ্ঠ ভারি এবং নারীদের ‘হাই পিচড’ হলে সবাই তাকে আকর্ষণীয় মনে করে। এমন কণ্ঠের শ্রোতা তখন বক্তার শারীরিক গঠন কল্পনা করে নেয় মনে মনে। শুধু তত্ত্ব নয়,গবেষকরা হাতেনাতে পরীক্ষা করে নিজেদের দাবি প্রমাণ করেছেন। ১০ জন নারীকে একটি রেকর্ডেড পুরুষ কণ্ঠ শোনানো হয়েছিল। পুরুষ কণ্ঠটি শুনে নারীদের বক্তব্য রেকর্ড করা হয়। দেখা যায়, প্রত্যেকেই গলার আওয়াজ শুনে পুরুষটির শারীরিক গঠন,যৌন আবেদন, এমনকি মুখের গড়নও আঁচ করার চেষ্টা করেছেন। নারীদের উত্তর বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা আরও কিছু প্রবণতা লক্ষ্য করেছেন। যেমন পুরুষ কণ্ঠে ভারি হলে,কম কাঁপলে নারীরা তা বেশি পছন্দ করে। যদিও দুঃখজনক হলেও একথা সত্য যে, পুরুষের নারীর প্রতি আকর্ষণ থাকবে,নারীরও পুরুষের প্রতি আকর্ষণ থাকবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু নারীরা বরারারই নিজেদের চাহিদাকে রহস্যময় করে রাখতে পছন্দ করে। তাহলে একজন নারীর কাছে একজন পুরুষ কিভাবে নিজেকে আকর্ষণীয় ভাবে মেলে ধরবে? এধরনের সমস্যায় পড়লে দুঃচিন্তার কোন কারন নেই আপনার প্রিয় মানুষটির চোখে চোখ রেখে তাকান। মিষ্টি করে একবার হাসুন। ভালোবাসার চোখে সরাসরি তাঁর চোখে তাকালে একজন নারী যে অনুভূতি পান তার তুলনা করা দুষ্কর। আপনার ওই চাহনিতে নিজেকে লাখে একজন মনে হতে পারে তাঁর। আর মাঝেমধ্যেই চোখে চোখ রেখে তাকানোটা জরুরি। কেননা,অনেক কথায় যা হয় না,চোখের ভাষায় সেটা বলা হয়ে যেতে পারে।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৮
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
++++