নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মর্গের লাশের ব্লগে স্বাগত।

মর্গের লাশ

জীবন যেখানে শেষ, আমার সেখানে শুরু ।

মর্গের লাশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আল কোরআনের সৌন্দর্য।। পর্ব ২। "শপথ যা জোড় ও বিযোড়ের\'\' আল ফাজর (৮৯ঃ৩)

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১০


আল কোরআনের সৌন্দর্য।। পর্ব ১। "শপথ যা জোড় ও বিযোড়ের'' আল ফাজর (৮৯ঃ৩)

গত পর্বে সুরা আলফাজর এর তিন নম্বর আয়াত এর উপর আলোকপাত করেছিলাম। কেউ সেটা না দেখে থাকলে উপরের লিঙ্ক থেকে দেখে নিবেন। এই পর্বে আমরা আরও একটু গভীর বিশ্লেষণ এ যাব।আর আমার লেখার মুলত নাস্তিক এবং দুর্বল ঈমানের অধিকারী মুসলিম দের জন্য যাদের অন্তরে রোগ আছে এবং যারা পুরোপুরি নিশ্চিত না যে কুরআন আল্লাহর বাণী কিনা।

কোরআন এর সুরা গুলোর ক্রম কে ঠিক কোন ভাবে সাজানো হয়েছে এ সংক্রান্ত কোন ডেফিনিট ব্যাখ্যা নেই। অনেক বলে থাকেন এই ক্রম টা বড় সুরা থেকে ক্রমশ ছোট সুরা এই ক্রমনুসারে সাজানো হয়েছে। ব্যাপার টা পুরাপুরি ঠিক নয়। কারন দেখা গেছে কুরআন শুরু হয়েছে সাত আয়াত এর সুরা আল ফাতিহা থেকে এর পরে বাকারা যার আয়াত সংখ্যা ২৮৬ এর পর আল এ ইমরান ২০০ আয়াত এর। আবার মাঝখানে দেখা গেছে ছোট সুরার পরে আবার বড় সুরা এসেছে। ঠিক কিসের ভিত্তিতে এই ক্রমটা এটার ডেফিনিট ব্যখ্যা কেউ দিতে পারে নি। তবে এটা সম্পর্কে কেউ দ্বিমত করবে না যে এই ক্রম মহান রাব্বুল আলামিন ই নির্ধারিত করে দিয়েছিলেন। কেউ যদি আল কোরানের ইনডেক্স চেক করেন কেউ ই কোন ডেফিনিট মিল খুজে পাবেন না।

যা ই হোক আমরা ঐ শপথ নিয়ে আলোচনা করছিলাম। গত পর্বে আমি বলেছিলাম আল্লাহ তাআলার প্রত্যেকটা শপথের একটি সুগভীর মর্ম আছে। শুধু আমাদের একটু ভাবতে হবে। এটুকই আল্লাহ তাআলা আমাদের কাছে চায় যেন আমরা তার নিদর্শন সম্পর্কে গভীর চিন্তা ভাবনা করি।

আল্লাহ তাআলা কোরআনের শুরু তেই ইনডেক্স এ আমাদের জন্য সুপার ইনটেলিজেন্ট ম্যাথ রেখে দিয়েছেন নিদর্শন স্বরূপ যা দেখলে কোন স্বাভাবিক বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ মেনে নিতে বাধ্য যে এই ইনডেক্স টা মানুষের তৈরি হতে পারে না। এ জন্য ই ত আল্লাহ তাআলা বলেছেন

"" আলিফ লাম রা। এটি এমন এক কিতাব যার আয়াত/নিদর্শন সমুহ সুপ্রতিষ্ঠিত সবিস্তারে বর্ণিত মহাজ্ঞানী সর্বজ্ঞ সত্তার পক্ষ থেকে""
সুরা হুদ ( ১১ঃ১)
এবার বর্ণনায় আসা যাক।

আল কুরআনের ১১৪ টি সুরা।
সুরা ফাতিহা ১নং ক্রমিক নং এর এবং এর আয়াত সংখ্যা ৭
সুরা বাকারা ২নং ক্রমিক নং এর এবং এর আয়াত সংখ্যা ২৮৬
সুরা আলে ইমরান ৩ '' '' ; '' '' ২০০





সুরা নাস ১১৪ '' '' ; '' '' ৬

কুরআনের ইনডেক্স খুললে ঠিক এমন ই পাই ।

আসুন এবার কিছু গণিতের খেলা খেলি।।

আমরা যদি ১ থেক ১১৪ পর্যন্ত টানা যোগ করি তবে তার মান দ্বারায় ৬৫৫৫ (১+২+৩......................+১১৪)
আবার যদি আয়াত গুলো যোগ করি তাহলে কোরআনের মোট আয়াত সংখ্যা দ্বারায় ৬২৩৬ ( ৭+২৮৬+ ..............+৬)

এই মান দুইটি মাথায় রাখি। ৬৫৫৫ এবং ৬২৩৬।

এবার আর একটি কাজ করব। আমরা প্রত্যেক সুরার ক্রমিক নং এর সাথে তার আয়াত সংখ্যা যোগ করব।
উদঃ সুরা বাকারা ২ + আয়াত সংখ্যা ২৮৬ = ২৮৮
এমন করে সব সুরার ক্রমিক নং এর সাথে তার করেস্পন্ডিং আয়াত সংখায় যোগ করলে আমরা টোটাল কত গুলো রেজাল্ট পাব?? হ্যা ঠিক ধরেছেন ১১৪ টি।

আচ্ছা এবার আসা যাক সেই শপথ বাক্যে যা জোড় ও বিজোর। এই ১১৪ টি রেজাল্ট কে আমরা জোড় বিজোর এর ভিত্তে দুই ভাগে ভাগ করবে।
সুবহানাল্লাহ!!!! এর মধ্যে ৫৭ টি জোড় আর ৫৭ টি বিজোড়।

"এর মধ্যে কসম আছে বোধশক্তিসম্পন্ন ব্যক্তির জন্য" আল ফাজর (৮৯ঃ৫)
ইস ইট কো ইন্সিডেন্স??? যদি তাই হয় তাহলে আরও একটু গভীরে ঢোকা যাক।

এই যে ৫৭ টা জোড় সংখ্যা পেলাম সেগুলোকে যদি আমরা যোগ করি তাহলে যে যোগফল টা দ্বারায় টা হচ্ছে ৬২৩৬।
মনে পরছে কি কিছু?? আর বাকি যে বিজোড় ৫৭ টা সংখ্যা থাকে টা যদি যোগ করি তার মান দ্বারায় ৬৫৫৫। যদি কিছু মনে না পারে একটু উপরে স্ক্রল করুন সব মনে চলে আসবে।

এটা কি কোন স্বাভাবিক বোধসম্পন্ন মানুষের জন্য সাফিসিয়েন্ট না যে আল কুরআন আল্লাহর বাণী???এটা কো ইন্সিডেন্স হবার সম্ভবনা কতটুক? সেটা ভেবে দেখবেন। আর ১৪০০ বছর আগে কম্পিউটার ক্যালকুলেটর ছাড়া একজন উম্মি নবীর পক্ষেও যে কিনা অক্ষরজ্ঞানহীন কিভাবে এরমকম সুপার ইন্টেলিজেন্ট ম্যাথ সম্ভব সেটাও ভাববেন। যেখানে কুরআনের যেকোন একটি আয়াত এর নরচর হয়ে গেলে পুরো সিস্টেম টা ই নস্ট হয়ে যাবে।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৭

কাছের-মানুষ বলেছেন: সময় নিয়ে পড়ব আগের পর্ব সহ একসাথে । ভালা লাগা রইল ।

২| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:২৫

নতুন নকিব বলেছেন:



প্রিয় মর্গের লাশ,
দারুন গবেষনা! আসলেই অপূর্ব!!
সিজদায় অবনত হয়ে আসে মস্তক!
মহাগ্রন্থ আল কুরআনের এই চমকপ্রদ গাণিতিক বিশ্লেষনটি কে করেছেন- জানি না। যিনি বা যারাই করে থাকুন, হৃদয় উজার করা শ্রদ্ধা তার/ তাদের প্রতি। আমার কাছেও কুরআন পাকের এই জাতীয় বেশ কিছু জটিল এবং আজব গাণিতিক বিশ্লেষন আছে। সময় সুযোগ পেলে শেয়ার করার ইচ্ছে রয়েছে। যেগুলো দেখলে তথাকথিত নাস্তিকদের সত্য স্বীকার করে নেয়া কিংবা মুখে কুলুপ এঁটে পালিয়ে যাওয়া ব্যতীত রাস্তা থাকে না।

তবে আপনার বানান বিভ্রাট নিয়ে পূর্ববর্তী পোস্টে যে কথাগুলো বলেছিলাম, এখানেও তা সমভাবে প্রযোজ্য। আশা করি, এ ব্যাপারে সচেতনতার স্বাক্ষর রেখে পরবর্তী লেখাগুলো নিয়ে এগিয়ে যাবেন।

আর পোস্টে মন্তব্যের জবাব পেলে পাঠকরা নিসন্দেহে অনুপ্রেরনা পেয়ে থাকেন। সুতরাং এদিকটাতে সম্ভব হলে একটু নজর দেয়া প্রয়োজন।

ভাল থাকবেন ভাই।
জাযাকুমুল্লাহ।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫২

মর্গের লাশ বলেছেন: ধন্যবাদ নকিব ভাই। ভুল ধরিয়ে দেবার জন্য ধন্যবাদ পরবর্তীতে এদিকটি লক্ষ্য রেখে পোষ্ট করব ইনশাআল্লাহ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.