নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার গ্রাম আমার দেশ আমার মা; এখানে বিলিয়ে দিলাম আমার ভালবাসা

সবার আগে দেশপ্রেম

মিজানুর রহমান (মিজান)

সবার আগে দেশপ্রেম

মিজানুর রহমান (মিজান) › বিস্তারিত পোস্টঃ

হে তরুন প্রজন্ম, সাবধান হও সত্যের পথে চলো। মিথ্যা ও ধোকার পথে চলে জীবনকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিওনা।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৩৩

শাহবাগ স্কয়ারের ফেসবুক পেজ এ লাইক করুন



আমরা তরুন প্রজন্ম এখন এক কঠিন সময়ের মধ্যদিয়ে আমাদের জীবনকে অতিবাহিত করছি। এর মধ্যে কেউ কেউ তাদের অমূল্য জীবনকে বিলিয়েও দিচ্ছেন। এই সময়ের তরুন প্রজন্মের প্রতি আমার আহবান, হে তরুন প্রজন্ম, সাবধান হও সত্যের পথে চলো। মিথ্যা ও ধোকার পথে চলে জীবনকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিওনা।



এসময়ে আমরা যারা যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে শাহবাগে আন্দোলন করে যাচ্ছি, তাদের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ একটি চক্র নানান ধরনের অপপ্রচার করে যাচ্ছে। যার মধ্যে তরুন প্রজন্মতো আছেই এর সাথে একজন বিচারপতিও সক্রিয় ভাবে জড়িত আরও আছে বিএনপি জামাতের কয়েকটি সংবাদ মাধ্যম। এতে বড় একটা চক্রের অপপ্রচারের হাত থেকে শাহবাগকে মুক্ত করা কত কঠিন তা আমাদের তরুন প্রজন্ম ছাড়াও সকল দেশবাসী ও ধর্মপ্রান সকল মুসলমানকেও অনুধাবন করতে হবে। তনুবা মিথ্যা ও ধোকার মুখে সত্য একে বারেই চাপায় পড়ে যাবে। স্বাধীনতার এই ৪০ বছরে এমন নানা অপপ্রচারে অনেক মিথ্যাই সত্য হয়ে সাধারণ জনগণের মনে গেথে আছে। অপপ্রচার কারীরা ধর্মকে লেবাস ধরে এসব অপকর্ম সাধারণ জনগনের কাছে এমন ভাবে গেথে দিচ্ছেন যারা কখনো তা যাচাই না করেই অন্যের কাছে প্রচার করে বেড়াচ্ছেন এবং ধর্মভিড়– লোকজন সহজেই তা বিশ্বাস করে তাদের পক্ষ নিতে বাধ্য হচ্ছেন।



দেলোয়ার হোসেন সাইদী সম্পর্কিত কিছু অপপ্রচার এমন ভাবে জনগণকে খাওয়ানো হয়েছে তারাও তা বিশ্বাস করে বসে থাকছেন। তাছাড়া তিনি ওয়াজের নাম করে সুরেলা কণ্ঠে জনগণের অন্তরেও নিজেকে ঠাই করার চেষ্টা করে সফল হয়েছেন। তিনি ওয়াজের সময় কোরানের অর্থকে নিজের মতো করে অনুবাদ শুনিয়ে সাধারণ মানুষকে ভুল পথ দেখিছে এসেছেন। তরুন প্রজন্মকে মিথ্যা ও ধ্বংসের পথ দেখিয়ে জঙ্গিবাদে ঠেলে দিয়েছেন।



তরুন প্রজন্মকে বুঝিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ছাত্র ছিলেন, যুদ্ধের সময়ে কোন রাজনীতি বা রাজাকারের সাথে তিনি যুক্ত ছিলেন না। কিন্তু আসল সত্য হচ্ছে, যুদ্ধের সময় তার বয়স ৩০ এর কাছাকাছি ছিল। তার তখন ছেলে ছিল। বলতে পারেন তার ছেলে তখন ছাত্র ছিল। গত বছর তার বড় ছেলে ইন্তেকালের সময় অনেকইে তার সম্পর্কে জেনেছেন। আশা করি এ মিথ্যাটা আর কেউই গ্রাহ্য করবেন না। এ সত্যটুকু অবশ্যই বিশ্বাস করতে হবে যে তিনি যুদ্ধর সময় সক্রিয় ভাবে রাজাকারের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। এমনকি মুক্তিযুদ্ধের সময় পিরোজপুরে কর্মরত বিশিষ্ট লেখক হুমায়ুন আহমেদ, ড. জাফর ইকবাল স্যারের মুক্তিযোদ্ধা বাবাকে নির্মম ভাবে হত্যার সাথে এই দেলোয়ার হোসেন সাইদী সক্রিয় ভাবে জড়িত ছিলেন।



ধর্মের লেবাসে জামাতের প্রার্থী হয়ে দেলোয়ার হোসেন সাইদী গত কয়েকটি নির্বাচনে এলাকার হিন্দু মুসলমান নির্বিশেষে তার অপর অক্ষের লোকজনদের উপর যে নির্মম অত্যাচার করেছেন ড. হুমায়ুন আজাদ তার পাক সার জমিন সাদ বাদ লেখায় তা ফুটিয়ে তুললে তাকেও নির্মম ভাবে হত্যার চেষ্টা করেন। অবশেষে জার্মানীতে তার মৃত্যুটিও সাভাবিক নয় বলে মনে করা হয়।



আন্তর্জাতিক ভাবে অত্যন্ত শক্তিশালী এই চক্রটির শক্তি অর্জন করার অন্ততম কারণ হচ্ছে বিশ্ব জঙ্গিবাদের সাথে এর সরাসরি সক্রিয়তা। আপনাকে ইসলামের কথা বলে ইসলামের পথ দেখানো কথা বলে ভুল পথ দেখানোই এদের প্রধান কাজ। জিহাদের কথা বলে মিথ্যা তথ্য দিয়ে নিজেরা অন্যের নামে অপকর্ম করে ফাসিয়ে তরুন পজ্রন্মকে বিভ্রান্ত করাই এই সংগঠনের অন্ততম কাজ। যেমন, রাজিবের নামের ব্লগ সাইট হ্যাক করে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহম্মদ (স) কে নিয়ে বিভ্রান্তিকর ব্লগ লিখে ফাসানোর চেষ্টা করে ধরা খেয়েছে চক্রটি। পবিত্র কোরান শরিফ পুড়ে শাহবাগের আন্দোলন কারীদের ফাসানোর চেষ্টাও গোয়েন্দাদের হাতে ধরা পড়ে।



হে তরুন সমাজ, তোমরা যারা বিভ্রান্ত হয়ে জামাত শিবিরের পক্ষ নিয়ে কথা বলছো বা তাদের সাথে সক্রিয় অপকর্মে লিপ্ত আছো, তোমাদের প্রতি আমার আহবান, এক্ষুনি সঠিক পথ চিনতে শিখো। জামাত শিবিরের দেখানো ভুল পথে হেটে এযুগের রাজাকার না হয়ে সঠিক পথে আসো। নিয়মিত নামাজ পড়ার অভ্যাস থাকলে নামাজে আল্লাহর কাছে সঠিক পথ দেখানোর জন্য দোয়া কর। (নামাজের অভ্যাসের কথা বলছি এ জন্য যে জামাত শিবিরের অনেকেই নামাজ না পড়ে একটা ফরমে না পড়েছে বলে লিখে রাখে নইলে নাকি উচ্চ পদ পাওয়া যায়না। এটা আমার নিজের চোখে দেখা।) নিশ্চয়ই আল্লাহ সঠিক পথ প্রদর্শন করবেন।



হে তরুন প্রজন্মের তোমরা যারা এখন শাহবাগেআন্দোলনের সাথে আছো। তোমরা এদের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সঠিক প্রচারনা চলোও যাতে এদের অপপ্রচার কোন কাজে না আসে। আর আন্দোলনের সাথে যারা মুসলমান আছো তারা আন্দোলনের পাশাপাশি অনেকেই এখানে নিয়মিত নামাজ আদায় করছে সকল মুসলমানই নামাজে শরিক হও। ৭১ এ যুদ্ধের সময়ও আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা একই ভাবে দেশ শত্র“ মুক্ত করেছিল। নিশ্চয়ই আল্লাহ সত্য ও সঠিক পথের বিজয় করবেন।



জয় বাংলা

তোমার আমার ঠিকানা, পদ্মা মেঘনা যমুনা / শাহবাগের মোহনা

তুমি কে ? আমি কে ? বাঙ্গালী। বাঙ্গালী।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:০৭

কাঠুরিয়া. বলেছেন: হেন বীন এসো সত্যের পথে

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:০৭

মিজানুর রহমান (মিজান) বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ০১ লা মার্চ, ২০১৩ ভোর ৬:৩২

মিজানুর রহমান (মিজান) বলেছেন: আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ তাঁর রায়ে জামায়াতে ইসলামীর নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে রাজাকার হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। গোলাম আযমের মামলায় আসামিপক্ষ শান্তি কমিটি ১৯৭১ নামে ট্রাইব্যুনালে একটি বই উপস্থাপন করেছে। তাতে পিরোজপুরের রাজাকারের তালিকায় দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর নাম আছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীর গতকাল বৃহস্পতিবার দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করেন। শুরুতেই তিনি বলেন, ‘আজ এখানে মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে মামলার রায় হচ্ছে না। দুই বারের সংসদ সদস্য বা জামায়াতে ইসলামীর নেতা সাঈদীরও রায় দিচ্ছে না ট্রাইব্যুনাল। আজ যার বিরুদ্ধে রায় দেওয়া হচ্ছে, তাকে জানতে হলে আমাদের ৪০ বছর পেছনে তাকাতে হবে। তখন পিরোজপুরে সাঈদীকে মানুষ চিনত দেলু নামে।’
বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীর বলেন, সেই সময় ৩০ বছরের যুবক সাঈদী ছিলেন রাজাকার বাহিনীর একজন সদস্য। উর্দু ভালো বলতে পারতেন বলে পাকিস্তানি সেনাদের সব অভিযানেই তিনি তাদের সঙ্গে থাকতেন।
ট্রাইব্যুনালের অপর বিচারপতি আনোয়ারুল হক বলেছেন, একাত্তরে সাঈদী যে পিরোজপুরে রাজাকার বাহিনীর সদস্য ছিলেন, রাষ্ট্রপক্ষ তা সফলভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে।
১২০ পৃষ্ঠার মূল রায়ের যে সারমর্ম প্রকাশ করা হয়েছে, তার ১৬ নম্বর পৃষ্ঠার ৩৫ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘গোলাম আযমের মামলায় আসামিপক্ষ শান্তি কমিটি ১৯৭১ নামে আদালতে একটি বই উপস্থাপনা করেছে। আসামি পক্ষের দেওয়া সেই বইয়েও পিরোজপুরের রাজাকারের তালিকায় দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর নাম রয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের তালিকা ও বিচার প্রসঙ্গ শীর্ষক আরেকটি বইয়েও রাজাকার হিসেবে সাঈদীর নাম এসেছে।
এ ছাড়া দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের সূত্র ধরে বলা হয়, পিরোজপুরের একাত্তরের রাজাকার দিইল্লা স্বাধীনতার পর জনগণকে ধর্মের কথা শুনিয়ে মাওলানা সাঈদী হলেও তাঁর অপকর্মের কলঙ্ক মুছে যায়নি। ভোরের কাগজ-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনেও সাঈদীকে রাজাকার বলা হয়েছে।
রায়ের ১৯ পৃষ্ঠায় বলা হয়, রাষ্ট্রপক্ষের পঞ্চম সাক্ষী যে সাক্ষ্য দিয়েছেন, তাতেও রাজাকার হিসেবে সাঈদীর বিভিন্ন কর্মকাণ্ড উঠে এসেছে। ২৪ পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালের ৭ মে শান্তি কমিটির সদস্য হিসেবে সাঈদী পিরোজপুর সদর থানার পারেরহাট বাজারে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে স্বাগত জানান। এরপর তাঁরা আওয়ামী লীগের এবং হিন্দুদের বাড়ি বাড়ি খুঁজে সেখানে লুটপাট চালান।
রায়ের ২৫ পৃষ্ঠায় বলা হয়, ভালো উর্দু বলতে পারতেন বলে সাঈদীর সঙ্গে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন ইজাজ ঘনিষ্ঠ হন। আর এভাবেই সাঈদী পাকিস্তানি বাহিনীকে হিন্দু, আওয়ামী লীগের নেতা এবং স্বাধীনতাকামী বাংলাদেশিদের বাড়ি দেখিয়ে দেন, লুটপাট এবং অগ্নিসংযোগ করেন। ২৭ পৃষ্ঠায় বলা হয়, ১৯৭১ সালের ৮ মে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীসহ ৩০-৩৫ জন রাজাকার বাদুরিয়া গ্রামে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়িতে আগুন দিয়েছেন।
বয়স বিতর্ক: মুক্তিযুদ্ধের সময় সাঈদীর বয়স কত ছিল—তা নিয়ে একটি পক্ষ বিতর্ক তোলার চেষ্টা করেছে। গতকাল রায়ে সেই বিষয়টিও পরিষ্কার করেন ট্রাইব্যুনাল। রায়ের সারসংক্ষেপের পঞ্চম পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে, ১৯৪০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি পিরোজপুরের সাউথখালিতে জন্মগ্রহণ করেন সাঈদী। তাঁর বাবার নাম ইউসুফ আলী। সাঈদী ১৯৫৭ সালে দাখিল এবং ১৯৬০ সালে বারইপাড়া মাদ্রাসা থেকে আলিম পাস করেন।
রায়ের ৪৬ ও ৪৭ পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে, জাতীয় সংসদে দেওয়া হলফনামায় সাঈদী যে তথ্য দিয়েছেন সে অনুযায়ী, ১৯৭০ সালের ১৮ নভেম্বর তাঁর বড় ছেলে রফিক বিন সাঈদী জন্মগ্রহণ করেন। আরেক ছেলে শামীম সাঈদী ১৯৭২ সালের ১ জানুয়ারি, ১৯৭৫ সালের ১ নভেম্বর মাসুদ সাঈদী এবং ১৯৭৬ সালের ৮ ডিসেম্বর নাসিম সাঈদী জন্মগ্রহণ করেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.