![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হেফাজতে ইসলাম,
একটি নাম, একটি ইতিহাস। বাংলাদেশের ইতিহাসে যুগে যুগে অনেক ইসলামী আন্দোলন হয়েছে, আগামীতেও হবে ইনশা আল্লাহ। আমি ইতিপূর্বের আন্দোলনের মধ্যে শুধু ২০০৭ এর নারীনীতি বিরোধী আন্দোলনে শরিক থাকতে পেরেছি। এর আগের অবস্থা শুধু বড়দের কাছ থেকে শোনা।
৫ই মে হেফাজতে ইসলামের কর্মীদের উপর সরকারের নির্লজ্জ হামলার পর অনেক ইসলামী বুদ্ধিজিবী যেন মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। হেফাজতে ইসলাম কোথায় ভুল করল না করল এই বিশ্লেষণেই তারা ব্যস্ত। আমি তাদেরকে বিনীত প্রশ্ন করছি, আপনারা কি সেদিন মতিঝিলে ছিলেন না অন্য কোথাও ছিলেন???
যদি মতিঝিলে থেকে থাকেন তবে আমি মনে করি আপনারা এর দোষ দেখার সময় পেতেন না। আরে অনেক কিছুই তো দুনিয়াবী অবস্থা ও দুনিয়াবী বিচার দিয়ে বিশ্লেষণ করা যায়, কিন্তু একবার অন্তত আখেরাতের ফায়দা নিয়ে চিন্তা করুন না!! পরিষ্কার হয়ে যাবে সব কিছু।
যে সকল ভাগ্যবান সেদিন মতিঝিলে আল্লাহপ্রেম আর রাসুলের ভালবাসা নিয়ে উপস্থিত ছিলেন তারা বলতে পারবেন সেদিনের তাওবার কথা, একটু স্বরণ করুন তো জীবনে অনেক তাওবা তো আমরা করেছি, কিন্তু সেদিনের তাওবার কি কোন তুলনা হয়???
জীবনে কি অনেকবার বলিনি, আমি আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের জন্য শহীদ হব? কিন্তু এর বাস্তব পরিক্ষা কি সেদিন হয় নি?? মৃর্তুর সামনে দাঁড়িয়ে শহিদী তামান্না ব্যক্ত করার সুযোগ কয়জন পেয়েছে???
সেদিন কি আমাদের ঈমানের পরিক্ষা আল্লাহ তায়ালা করেননি???
আসুন আমরা একটু কোরআনে কারীমের দিকে তাকাই।
সুরা আলে ইমরানের ৩৯,৪০,৪১ ও ৪২ নং আয়াতের দিকে তাকালেই আমরা বিষয়টি বুঝতে পারব।
আমি মনে করি সেদিন আর কিছু হোক না হোক অন্তত আল্লাহ তায়ালা সেদিন এই আয়াতগুলোর বাস্তবায়ন করেছেন।
১. আমাদের মধ্যে কারা ঈমানদার আল্লাহ তায়ালা তা পরিক্ষার মাধ্যমে জেনে নিয়েছেন।
২. আমাদের কিছু ভাই আল্লাহ তায়ালার সে পরিক্ষায় অধিক নাম্বার পেয়েছেন, তাই তাদেরকে আল্লাহ তায়ালা শহীদ হিসেবে গ্রহণ করে নিয়েছেন।
৩. এর মাধ্যমে তিনি মুমিনদের কে পাক পবিত্র করেছেন আর কাফেরদেরকে নিশ্চিহ্ন করার ফায়সালাও করে রেখেছেন, অচিরেই আমরা তা দেখতে পাব ইনশা আল্লাহ।
আমাদের অনেক ভুল আছে ও ভবিষ্যতেও থাকবে। তবে কওমীপন্থি ইসলামী দলগুলোর সবচেয়ে বড় যে অভাব তা হল প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নেতা ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মীর। আমাদের এ দলগুলোতে এসে কেউ হুট করে নেতা হয়ে যেতে পারে, আবার হুট করে কর্মী হয়ে যেতে পারে, তাদের নিচের দিকের কোন প্রশিক্ষণ লাগেনা। আমরা যতদিন এই প্রধান সমস্যার সমাধান না করতে পারব ততদিন ইসলামী আন্দোলন সঠিক ভাবে অগ্রসর হতে পারবেনা।
আমাদের দ্বিতিয় বড় সমস্যা, আমাদের কোন শক্তিশালী মিডিয়া নেই। আলহামদুলিল্লাহ আমাদের কোন কোন ভাই ব্যক্তিগতভাবে মিডিয়া নিয়ে পড়াশোনা ও মিডিয়া তৈরির চিন্তা ভাবনা করছেন, আমরাও যার যার অবস্থান থেকে ইসলাম ও মুসলমানদের কে বিজয়ী করার লক্ষে প্রস্তুতি গ্রহণ করি। আল্লাহ তায়ালা অবশ্যই আমাদের সহায় হবেন ইনশা আল্লাহ
আর আজ যারা উপদেশ দিচ্ছে তারা কেউ সেদিন শাপলা চত্বরে ছিলনা। তারা শুরু থেকেই হেফাজত নিয়ে তিরস্কার করছিল। এখন বিপদের সময়ে বড় বড় উপদেশ দিচ্ছে। তারা আবার কওমী আলেমও। তাদের জন্য আমার করুনা হয়। হেফাজতের ইতিবাচক কোন দিকই তাদের চোখে পড়েনা। তাদের চোখে খালি সমস্যা। কে থাপ্বর মারলো, কে কারে মঞ্চে উঠতে দেয় নাই, কে কত টাকা ভাগ নিয়েছে, কে কোথায় একটু বেশি সুনাম নিয়েছে, তা নিয়ে তাদের গবেষণার অন্ত নেই। এগুলো পরিস্কারভাবে আমি ঘৃণা করি।
©somewhere in net ltd.