![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কি পোলারে বাঘে খাইলো? শ্যাষ। আইজ থাইক্যা বঙ্গাল মুলুকে মছুয়াগো রাজত্ব শ্যাষ। ঠাস্ কইয়্যা একটা আওয়াজ হইলো। কি হইলো? কি হইলো? ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে পিঁয়াজী (নিয়াজী) সা’বে চেয়ার থনে চিত্তর হইয়া পইড়া গেছিলো। আচ হাজার আষ্টশ’ চুরাশি দিন আগে ১৯৪৭ সালের ১৪ই আগস্ট তারিখ মুছলমান-মুছলমান ভাই-ভাই কইয়া, করাচী-লাহুর-পিন্ডির মছুয়া (গোঁফওয়ালা হানাদার বাহিনী) মহারাজরা বঙ্গাল মুলুকে যে রাজত্ব কায়েম করছিলা, আইজ তার খতম্ তারাবী হইয়া গেল।
বাঙালি পোলাপান বিচ্চুরা দুইশ পঁইষট্টি দিন ধইরা বাঙাল মুলুকের ক্যাদো আর প্যাঁকের মাইদ্দে ওয়ার্ল্ড-এর বেস্ট পাইটিং ফোর্সগো পাইয়া, আরে বাড়িরে বাড়ি! ভোমা ভোমা সাইজের মছুয়াগুলো ঘঁৎ ঘঁৎ কইরা দম ফ্যালাইলো। ‘ইরাবতীতে জনম যার ইছামতীতে মরণ’।.....
২৫শা মার্চ তারিখে সেনাপতি ইয়াহিয়া খান বাঙালিগো বেশুমার মার্ডার করনের অর্ডার দিয়া কি চোট্পাট। জেনারেল টিক্কা খান হেই অর্ডার পাইয়া ৩০ লাখ বাঙালির খুন দিয়া গোসল করলো। তারপর, বঙ্গাল মুলুকের খাল-খন্দক, দরিয়া-পাহাড়, গেরাম-বন্দরের মাইদ্দে তৈরি হইলো বিচ্চু (মুক্তিবাহিনী)। ‘যেই রকম বুনোগুল, সেইরহক বাঘা তেঁতুল।’ গেরামের পোলাপান যেমতে কইর্যা বদমাইশ লোকের গতরের মাইদ্দে চোতরা পাতা ঘইস্যা দেয়, বিচ্চুগো হেই রকম কাম শুরু হইয়া গেল। হেই কাম বিগিন.....ঢাঁই-ই-ই-ই! কি হইলো কি হইলো? ঢাকার মতিঝিলে বিচ্চুগো কারবার হইলো।....
ঘেটাঘ্যাট, ঘেটাঘ্যাট। কি হইলো? কি হইলো? অংপুরের ভুরুঙ্গামারীতে ভোমা ভোমা সাইজের মছুয়ারা হালাক হইলো। কেইসটা কি? হই নাতো? আমাগো মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জে কোনো টাইমেই মুছুয়া আছিলো না তো? মেরহামত মিয়া অক্করে চিক্কুর পাইড়া উঠলো: ‘বুঝছি বুঝছি, পুরা মছুয়া রেজিমেন্টরে আলাদা না পাইয়া প্যাঁক আর দরিয়ার মাইদ্দে গায়েব কইরা, কী সোন্দর দুই হাত ছাইড়া বিচ্চুরা কইতাছে, কই না তো? এইদিকে কোনোদিন মছুয়ারা আহে নাই তো?’ .....
হ-অ-অ-অ এইদিনকার খবর হুনছেন নি? সবই হবুর কারবার। হবু পেরধান মন্ত্রী চুরুল আমীন, হবু দেশরক্ষা মন্ত্রী মিয়া মোমতাজ মোহাম্মদ দৌলতানা, হবু যোগাযোগ মন্ত্রী আগায় খান পাছায় খান খান আব্দুল কাইয়ুম খান, হবু পোস্টাপিসের মন্ত্রী ইসলামের জম গোলাম আজম আর হবু ফরিন মিনিস্টার মদারু ভুট্টো। কেউই শপথ লইতে পারে নাইক্কা - টাইম শর্ট। বঙ্গাল মুলুকের বিচ্চুগো গাজুরিয়া মাইর শুরু হইয়া গেছে। ঠ্যাটা ম্যালেক্যার কী কাঁপন! মওলবী সা’বে বাংকারের মাইদ্দে ইস্যা বল পয়েন্ট কলম দিয়া গবর্নরের পদ থাইক্যা ইস্তফা দিছে। এরেই কয় ঠ্যালার নাম জশমত আলী মোল্লা। বেডায় তার স্যাঙ্গাৎগো লইয়া কী সোন্দর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল (শেরাটন/রুপসীবাংলা)-এর মাইদ্দে হান্দাইছে।....
আমার সাজানো বাগান হুকায়া গেল। অ্যাঁ অ্যাঁ একটিং! জাতিসংঘে মদারু ভুট্টো জেনালের নিয়াজীর ছারেন্ডারের খবর পাইয়া একটিং করছে। পয়লা গরম, তারপর নরম, হেরপর আরে কান্দনরে কান্দন! পকেটের রুমাল বাইর কইর্যা চোখ মুইচ্ছা নাম কিলিয়ার কইরা লইলো। চিল্লাইয়া কইলো, ছ্যারেন্ডার-ছ্যারেন্ডার তো ইম্পস-অসম্ভব। আমরা ছারেন্ডার করমু না। আমি পাইট করমু, আমি পাইট করমু। এই না কইয়া মদারু মহারাজ আত্কা গতরের জামাকাপড় থুড়ি, ফ্রান্স-ব্রিটেনের খসড়া প্রস্তাব টুকরা টুকরা কইর্যা ছিইড়্যা ফেলাইয়া ঘেটমেট কইর্যা বাইরাইয়া গেলো। ........
এলায় কেমন কেমন বুঝতাছেন? বিচ্চুগো বাড়ির চোটে হেই পাকিস্তান কেমতে কইরা ফাঁকিস্তান হইয়া গেল? হেইর লাইগ্যা কইছিলাম, কি পোলারে বাঘে খাইলো? শ্যাষ! আইজ থাইক্যা বঙ্গাল মুলুকে মছুয়াগো রাজত্ব শ্যাষ।
আইজ ১৬ ডিসেম্বর। চরমপত্রের শ্যাষের দিন আপনাগো বান্দার নামটা কইয়া যাই। বান্দার নাম এম আর আখতার মুকুল।
[ওপরের অংশটি ‘চরমপত্র’ থেকে অবিকল উদ্ধৃতি। ইলিপসিস দিয়ে কিছু বাদ দেওয়া হয়েছে।]
========================================
মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্র বা প্রামাণ্যচিত্রে দেখেছেন রেডিও নিয়ে কাউকে কাউকে মেতে থাকতে? কষ্ট করে হলেও রেডিও’র একটি শব্দ শুনতে? দেখেছেন রেডিও’র শব্দে আনন্দে আত্মহারা হতে বা অট্টহাসিতে মেতে ওঠতে? এর একটি কারণ ছিলো, ভাষ্যকার এম আর আখতার মুকুল তার স্বাভাকি কণ্ঠ সেখানে ব্যবহার করেন নি। এসম্পর্কে তার নিজের ভাষ্য:
“চরমপত্র অনুষ্ঠানের জনপ্রিয়তার কারণ হিসেবে আরো একটা বিষয়ে উল্লেখ সবিশেষ গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়। বিষয়টি হচ্ছে, আমার কণ্ঠস্বর সম্পর্কিত। আমি এই অনুষ্ঠানে আমার স্বাভাবিক কণ্ঠস্বর ব্যবহার করি নি। ব্যাঙ্গাত্মক ‘চরমপত্র’ অনুষ্ঠানের উপযোগী কৃত্রিম অথচ ভিন্ন কণ্ঠস্বরের ব্যবহার করেছি। এটা ছিল আমার নিজস্ব সৃষ্টি। সুখের বিষয়, বাংলাদেশের আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা আমার এই কণ্ঠস্বর সাদরে গ্রহণ করেছে।”
শ্রোতাদের মতে, কণ্ঠস্বর পরিবর্তনের আরেকটি কারণ ছিলো ভাষ্যকারের গোপনীয়তা রক্ষা। অধিকাংশ শ্রোতা বুঝতে পারেন নি, এই মজার লোকটি আসলে কে? অবশ্য শেষ পর্বে, ১৬ ডিসেম্বরের বিজয়ের আনন্দে, চরমপত্রের লেখক ও পাঠক নিজেই তার পরিচয় প্রকাশ করেন।
স্বাধীনবাংলা বেতার কেন্দ্রের চরম আকর্ষণ ছিলো চরমপত্র, যা একাধারে মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের ফেলে-আসা মা-বোনদেরকে যুদ্ধময়দানের তাজা খবর জানিয়ে স্বস্তি যোগাতো। চরমপত্রের ভাষ্যকারের কণ্ঠের মধ্যেই ছিলো শক্তি আর আত্মবিশ্বাস, সুরে ছিলো ব্যাঙ্গাত্মক ভঙ্গি যা বিষাদাক্রান্ত বাঙালিকে দিতো অপরিমেয় শক্তি। তৎকালীন পূর্ববঙ্গে শত্রুকবলিত জনগোষ্ঠী এবং ভারতে অবস্থানরত লাখ লাখ শরণার্থীদের মনোবল বৃদ্ধিতে চরমপত্র বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
মুক্তিযুদ্ধকালে গোপন স্থান থেকে প্রকাশিত ১১৭ পর্বের (২৫ মে থেকে ১৬ ডিসেম্বর) প্রতিটি চরমপত্র লেখা ও ব্রডকাস্ট করার জন্য এম আর আখতার মুকুল (১৯২৯-২০০৪) পেতেন সোয়া সাত টাকা সম্মানী।
চরমপত্র এতটাই প্রভাব সৃষ্টি করে যে পরবর্তিতে চরমপত্র আর মুকুলের নাম একাকার হয়ে গেলো। স্বাধীনতার পর এম আর আখতার মুকুল রেডিও বাংলাদেশ-এর প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হন এবং পরবর্তিতে কূটনৈতিক দায়িত্বও পালন করেন তিনি। কিন্তু পচাত্তরে বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হবার ফলশ্রুতিতে সরকার পরিবর্তনের পর চরমপত্রের সব রেকর্ড পুড়িয়ে ধ্বংস করে দেওয়া হয়। এম আর আখতার মুকুল লন্ডনে তার হাই-কমিশনার কাজ হারিয়ে চরম দুর্যোগে নিপতিত হন। পূর্ব-লন্ডনে একটি পোশাক তৈরি কারখানায় শ্রমিকের কাজ নিয়ে নির্বাশিত জীবন যাপন করেন।
পরে এক সময় দেশে ফিরেন এবং ছোট একটি সরকারি চাকুরিতে কর্মজীবন শেষ করে শেষে বইয়ের দোকান দেন এবং লেখায় মনোনিবেশ করেন। উদ্ধার করেন চরমপত্রের পুরাতন পাণ্ডুলিপি এবং ২০০০ সালে পুস্তক আকারে প্রকাশ করেন চরমপত্র। ‘একাত্তরের বর্ণমালা’ এবং ‘আমি বিজয় দেখেছি’ তার প্রকাশিত গ্রন্থাবলীর মধ্যে অন্যতম।
মুক্তিযুদ্ধে সকল সত্যিকার বাঙালিই যুদ্ধে করেছেন। একেকজন একেকভাবে। কেউ অস্ত্র দিয়ে কেউ অশ্রু দিয়ে। কেউ স্টেনগান নিয়ে, কেউ মাইক্রোফোন নিয়ে শব্দসৈনিক হয়ে। সকলেই ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা। সকলের লক্ষ্য ছিলো একটি পতাকা ও একটি দেশ, বাংলাদেশ। বিজয়ের এই দিনে এই মহান শব্দসৈনিককে নতশিরে শ্রদ্ধা জানাই।
গ্রন্থপঞ্জি:
১. মুকুল, এম আর আখতার: চরমপত্র, ২০০০, পৃ ৩২৫-৩২৭।
২. বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় এনসাইক্লোপিডিয়া।
৩. দ্য ডেইলি স্টার, সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন দ্য স্টার: ২ জুলাই ২০১০।
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৫৩
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগুকে অনেক ধন্যবাদ।
মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা নিন!
২| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৩৫
কাজী রহমতুল্লাহ বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধে সকল সত্যিকার বাঙালিই যুদ্ধে করেছেন। একেকজন একেকভাবে। কেউ অস্ত্র দিয়ে কেউ অশ্রু দিয়ে। কেউ স্টেনগান নিয়ে, কেউ মাইক্রোফোন নিয়ে শব্দসৈনিক হয়ে। সকলেই ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা। সকলের লক্ষ্য ছিলো একটি পতাকা ও একটি দেশ, বাংলাদেশ। বিজয়ের এই দিনে এই মহান শব্দসৈনিককে নতশিরে শ্রদ্ধা জানাই।
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৫৩
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: কাজী রহমতুল্লাহকে ধন্যবাদ লেখাটিতে মতামত দেবার জন্য। বিজয়ের শুভেচ্ছা রইলো।
৩| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৩৯
জিললুর রহমান বলেছেন: আমার বাপের এবং মায়ের মুখে চরম পত্র শুনেছিলাম। শুনে আপনি হাসবেন, আবার চোখে পানি আসবে, রক্ত গরম হবে। এ এক অদ্ভুত সৃষ্টি!
বিজয়ের এই দিনে এই মহান শব্দসৈনিককে শ্রদ্ধা জানাই
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৫৪
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: “শুনে আপনি হাসবেন, আবার চোখে পানি আসবে, রক্ত গরম হবে। এ এক অদ্ভুত সৃষ্টি!”
সুন্দর বলেছেন। বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা নিন।
৪| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫৭
কাজী শািহন মাহমুদ বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধে সকল সত্যিকার বাঙালিই যুদ্ধে করেছেন। একেকজন একেকভাবে। কেউ অস্ত্র দিয়ে কেউ অশ্রু দিয়ে। কেউ স্টেনগান নিয়ে, কেউ মাইক্রোফোন নিয়ে শব্দসৈনিক হয়ে। সকলেই ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা। সকলের লক্ষ্য ছিলো একটি পতাকা ও একটি দেশ, বাংলাদেশ। বিজয়ের এই দিনে এই মহান শব্দসৈনিককে নতশিরে শ্রদ্ধা জানাই।
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ৮:৩২
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: কাজী শাহিন মাহমুদ ভাইকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা।
মতামতের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
৫| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ৯:১৯
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ৫ম ভালো রাগা।শুভকামনা থাকলো।
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:৩৬
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: লেখক বলেছেন: ৫ম ভালো লাগার জন্য ১ম ভালোবাসা জানাচ্ছি! সব ভালোলাগাই প্রথম - এটা একটা জ্ঞানের কথা। হাহাহা।
শুভেচ্ছা রইলো, প্রিয সেলিম আনোয়ারের জন্য।
অ/ট: আমার স্কুল জীবনের বন্ধুর নাম সেলিম আনোয়ার। বাড়ি অষ্টগ্রাম, কিশোরগঞ্জ। অনেক স্মৃতি তার সাথে আমার।
৬| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:২১
কালা মনের ধলা মানুষ বলেছেন: ++++++++++++++++
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:৩৫
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: ধন্যবাদ।
৭| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:২১
কালা মনের ধলা মানুষ বলেছেন: অনেক ভাল লাগা রইল।
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:৩৫
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: কালা মনের ধলা মানুষ ভাইকে অনেক ধন্যবাদ।
এতগুলো প্লাস পেয়ে আমি তো খুশিতে আটকানা।
শুভেচ্ছা জানবেন।
৮| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:২২
শায়মা বলেছেন: অনেকগুলো + ভাইয়া!
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:৩০
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: হাহাহা! খুশি হলাম, প্রিয় শায়মা।
শুভেচ্ছা রইলো।
৯| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:২৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: +++++
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:২৯
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: পিলাচের জন্য ধন্যবাদ, প্রিয হাসান মাহবুব।
১০| ০৭ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:১৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনি ঠিকই বলেছেন, চরমপত্র - বিষাদাক্রান্ত বাঙালিকে দিতো অপরিমেয় শক্তি। তৎকালীন পূর্ববঙ্গে শত্রুকবলিত জনগোষ্ঠী এবং ভারতে অবস্থানরত লাখ লাখ শরণার্থীদের মনোবল বৃদ্ধিতে চরমপত্র বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
মনে পড়ে, সে সময়টাতে 'চরমপত্র' শোনার জন্য কতটা ধৈর্যের পরীক্ষা দিতে হতো। অপেক্ষার প্রহর যেন শেষ হতে চাইতো না। রেডিওর গায়ে কান লাগিয়ে শুনতাম, কখনোবা বিছানায় শুয়ে লেপের নীচে রেডিওতা নিয়ে কান লাগিয়ে শুনতাম। জনাব এম আর আখতার মুকুলএর 'চরমপত্র' আর আকাশবাণী কোলকাতার শ্রী দেব দুলাল চট্টোপাধ্যায়ের ভরাট কন্ঠে 'সংবাদ পরিক্রমা', যা রাত সাড়ে দশটার সময় প্রচারিত হত, মিস করতে চাইতাম না।
চমৎকার লিখেছেন। পোস্টে ১০ম 'লাইক'।
০৯ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:০১
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
আন্তরিক শ্রদ্ধা জানবেন জনাব! ব্লগে বদৌলতে আপনার মতো গুণী ব্যক্তির সাহচর্য্য পাই।
১১| ০৭ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:১৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: 'সংবাদ পরিক্রমা' পাঠকের নামটা শ্রী দেব দুলাল বন্দোপাধ্যায় হবে, চট্টোপাধ্যায় নয়।
০৯ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:০২
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
আচ্ছা। অনেক ধন্যবাদ লেখাটি পড়ে মন্তব্য দেবার জন্য
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:৫৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধে সকল সত্যিকার বাঙালিই যুদ্ধে করেছেন। একেকজন একেকভাবে। কেউ অস্ত্র দিয়ে কেউ অশ্রু দিয়ে। কেউ স্টেনগান নিয়ে, কেউ মাইক্রোফোন নিয়ে শব্দসৈনিক হয়ে। সকলেই ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা। সকলের লক্ষ্য ছিলো একটি পতাকা ও একটি দেশ, বাংলাদেশ। বিজয়ের এই দিনে এই মহান শব্দসৈনিককে নতশিরে শ্রদ্ধা জানাই