নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজাম

নিজাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

রমজানে খতম তারবী নামাজঃ হাফেজগণ এবং অন্যরা লক্ষ্য করুন।

০২ রা মে, ২০১৭ সকাল ১১:০৮

রমজান সমাগত। আল্লাহ আমাদের সবাইকে রমজানের রহমত বরকত দান করুন। রমজানে একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত তারাবী নামাজ। আলহামুলিল্লাহ, আমাদের দেশের অনেক মসজিদে খতম তারাবী পড়া হয়। তারাবী নামাজে হফেজগণ প্রতিদিন এক থেকে দেড় পারা কোরআন তেলওয়াত করেন। আমরা সাধারণ মানুষ অনেক কষ্ট ও ধৈর্য্য সহকারে তা শ্রবণ করে থাকি। কিন্তু তারাবী নামাজে পঠিত তেলওয়াত কতটুকু সুন্নাহ মোতাবেক হয় তা কী কখনও আমরা ভেবে দেখেছি? তারাবী নামাজে যে দ্রুত গতিতে তেলওয়াত করা হয় তা কী কোরআন হাদীস মোতাবেক হচ্ছে? অন্যান্য মুসলিম দেশে কীভাবে তারাবী নামাজ পড়া হয়? কোরআন তেলওয়াতের পদ্ধতি হচ্ছে ধীর গতিতে পড়া। এক্ষেত্রে পবিত্র কোরআনে ''তারতীল'' শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে। যেহেতু কোরআনের আদেশ অবশ্য কর্তব্য। তাই যে কোন সময় (নামাজের ভিতর ও নামাজের বাইরে) কোরআন তেলওয়াত ধীরে করা অতি জরুরী। এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে এদেশে অধিকাংশ মসজিদে যে অসম্ভব দ্রুত গতিতে তারাবীর নামাজ পড়া হয় তা কী আমাদের জন্য সওয়াব বয়ে আনে নাকি গুনাহ লেখা হয়?
আমি আলেম নই, একজন সাধারন মানুষ। এদেশের সম্মানিত হাফেজ, আলেম ওলামা এবং সাধারণ মানুষের কাছে বিনীত নিবেদন, আমাদের তারাবীর নামাজে কোরআন তেলওয়াত যেন প্রকৃত সুন্নত মোতাবেক হয়। এতে তারাবীর নামাজ পড়া কিছুটা দেরী হতে পারে। দ্রুত পড়ে গুনাহ কামাই করার চেয়ে ধীরে ধীরে পড়ে সওয়াব কামাই করা উত্তম। যারা অসুস্থ, কর্মব্যস্ত বা অন্য কারণে দীর্ঘক্ষণ নামাজে দাড়াতে পারবেন না তাদের জন্য ছাড় আছে, বিশ রাকাতের জায়গায় ষোল বা বার বা আট রাকাত পড়া যেতে পরে। আল্লাহ আমাদের সঠিক এলেম দান করুন।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা মে, ২০১৭ সকাল ১১:৪৮

আহলান বলেছেন: দ্রুত পড়ে গুনাহ কামাই করার চেয়ে ধীরে ধীরে পড়ে সওয়াব কামাই করা উত্তম।

০৩ রা মে, ২০১৭ দুপুর ২:৪০

নিজাম বলেছেন: ধন্যবাদ। অন্যকে পৌছে দিন।

২| ০২ রা মে, ২০১৭ দুপুর ১২:০৯

হাফিজ রাহমান বলেছেন: হ্যাঁ, ভাই এমনটিই হওয়া চাই। ধন্যবাদ সুন্দর এবং যুগোপযুগী পোষ্ট দেবার জন্যে।

০৩ রা মে, ২০১৭ দুপুর ২:৪১

নিজাম বলেছেন: আল্লাহ আপনাকে বরকত দান করুন। এবং এদেশে সঠিক পদ্ধতিতে তারাবী পড়ার তৌফিক দান করুন।

৩| ০২ রা মে, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৩

মুহাম্মাদ তারিক সাইফুল্লাহ বলেছেন: কুরআন ধীর-স্থিরভাবে তিলাওয়াৎ করা আদব। কিন্তু 'শুদ্ধভাবে দ্রুত পাঠ করলে যে গুনাহ হবে' এটি কোন রেফারেন্স থেকে পেয়েছেন?
আর আপনি নিজেই পবিত্র কুরআন কে কোরআন লিখেছেন, অথচ আরবি ভাষায় 'ও'কারের উচ্চারণ নেই।

০৩ রা মে, ২০১৭ দুপুর ২:৪৭

নিজাম বলেছেন: 'শুদ্ধভাবে দ্রুত পাঠ করলে গুনাহ হবে না।' কিন্তু নামাজের মধ্যে ধীরে ধীরে তেলওয়াত করাই উত্তম। ভুল ধরিয়ে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।

৪| ০২ রা মে, ২০১৭ রাত ৮:৪৭

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এ ব্যপারটা নিয়ে আরো সচতেনতা দরকার হুজুরদের। চট্টগ্রামে তো এক মসজিদে ৬ দিনে শেষ করে ফেলে। ব্যবসায়ীদের সুবিধার জন্য!!!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.