![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পবিত্র রমজান চলছে। আল্লাহ আমাদের সবাইকে রমজানের রহমত বরকত দান করুন। রমজানে একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত তারাবী নামাজ। আলহামুলিল্লাহ, আমাদের দেশের অনেক মসজিদে খতম তারাবী পড়া হয়। তারাবী নামাজে হফেজগণ প্রতিদিন এক থেকে দেড় পারা কোরআন তেলওয়াত করেন। আমরা সাধারণ মানুষ অনেক কষ্ট ও ধৈর্য্য সহকারে তা শ্রবণ করে থাকি। কিন্তু তারাবী নামাজে পঠিত তেলওয়াত কতটুকু সুন্নাহ মোতাবেক হয় তা কী কখনও আমরা ভেবে দেখেছি? তারাবী নামাজে যে দ্রুত গতিতে তেলওয়াত করা হয় তা কী কোরআন হাদীস মোতাবেক হচ্ছে? অন্যান্য মুসলিম দেশে কীভাবে তারাবী নামাজ পড়া হয়? কোরআন তেলওয়াতের পদ্ধতি হচ্ছে ধীর গতিতে পড়া। এক্ষেত্রে পবিত্র কোরআনে ''তারতীল'' শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে। যেহেতু কোরআনের আদেশ অবশ্য কর্তব্য। তাই যে কোন সময় (নামাজের ভিতর ও নামাজের বাইরে) কোরআন তেলওয়াত ধীরে করা অতি জরুরী। এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে এদেশে অধিকাংশ মসজিদে যে অসম্ভব দ্রুত গতিতে তারাবীর নামাজ পড়া হয় তা কী আমাদের জন্য সওয়াব বয়ে আনে নাকি গুনাহ লেখা হয়?
আমি আলেম নই, একজন সাধারন মানুষ। এদেশের সম্মানিত হাফেজ, আলেম ওলামা এবং সাধারণ মানুষের কাছে বিনীত নিবেদন, আমাদের তারাবীর নামাজে কোরআন তেলওয়াত যেন প্রকৃত সুন্নত মোতাবেক হয়। এতে তারাবীর নামাজ পড়া কিছুটা দেরী হতে পারে। দ্রুত পড়ে গুনাহ কামাই করার চেয়ে ধীরে ধীরে পড়ে সওয়াব কামাই করা উত্তম। যারা অসুস্থ, কর্মব্যস্ত বা অন্য কারণে দীর্ঘক্ষণ নামাজে দাড়াতে পারবেন না তাদের জন্য ছাড় আছে, বিশ রাকাতের জায়গায় ষোল বা বার বা আট রাকাত পড়া যেতে পরে। আল্লাহ আমাদের সঠিক এলেম দান করুন।
২| ২২ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:১৪
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: সুন্দর পোস্ট।
৩| ২২ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:৩৮
ফেনা বলেছেন: সহমত।
৪| ২২ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:১১
রাজীব নুর বলেছেন: রমজান মাসে বিভিন্ন মসজিদে মহল্লায় তারাবিহ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। একটা বিষয় পরিলক্ষিত হয়. যে মসজিদে তারাবিহ নামাজ তাড়াতাড়ি আদায় করা হয়, সে মসজিদ মসজিদ খুঁজে বের করে। দূর হলেও সে মসজিদে গিয়ে তারাবিহ নামাজ আদায় করে। অথচ তারাবিহ নামাজ ধীর স্থিরভাবে আদায় করাই হলো নিয়ম। প্রতিযোগিতা করে তারাবিহ নামাজ আদায় করা সুন্নাতের পরিপন্থী। তাই আসুন, তাড়াহুড়ো বা দ্রুত নয়; বরং ধীরস্থিরভাবেই তারাবিহ নামাজ আদায় করি।
২৩ শে মে, ২০১৮ সকাল ৯:৪৩
নিজাম বলেছেন: ধন্যবাদ।
৫| ২২ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:১৬
কাইকর বলেছেন: সহমত
৬| ২২ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৩
শহীদ আম্মার বলেছেন: এব্যাপারে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো বড়ই অসচেতন। তারা সিদ্ধান্ত নিলে পুরো দেশে ধীরে ধীরে তেলাওয়াতের প্রথা চালু হবে নিশ্চয়।
২৩ শে মে, ২০১৮ সকাল ৯:৪৩
নিজাম বলেছেন: ঠিক তাই।
৭| ২২ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪০
ঢাকার লোক বলেছেন: তারবীতে কোরান খতম করতেই হবে এ একটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ধারণা, এই ধারণা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে, এতে হাফেজ সাহেবগন হয়তোবা আর্থিকভাবে কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন, কিন্তু তারবীতে কোরান খতম করা যে কোনো ফরজ বা ওয়াজিব নয় তা নিশ্চয় তারা অস্বীকার করবেন না .তবেই কোরান ধীরে স্পষ্ট উচ্চারণে পড়া সম্ভব হবে, এ ব্যাপারে আলেমগণ জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে পারেন ।
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:১৪
শাহাদাত নিরব বলেছেন: হাঁ আপনার অভিযোগের সাথে আমিও একমত .
অনেক দ্রুত কোরআন পাঠ করা হয় ।