![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ম্লেচ্ছ, সন্ন্যাসী, যাযাবর।
আমি যখন পৃথিবীতে এসেছিলাম তখন নিশ্চয় জামা কাপড় পরে আসেনি। নগ্ন হয়ে এসেছিলাম। এখন আমি যদি ঠিক সেইভাবে একজন তামিল, পাঞ্জাবী, সিন্ধি, গোর্খা, হুন বা অন্য কোনো জাতির লোক যারাও নগ্ন হয়ে আছে তাদের পাশে দাঁড়ায় তাহলে আমাকে সহজেই সনাক্ত করতে পারবেন আমি বাঙালি। এবং অন্যান্য জাতির লোককেও সনাক্ত করতে পারবেন। এই জাতি সৃষ্টি হয়েছে প্রাকৃতিকভাবে। যাতে মানুষের কোনো হাত নেই। কিন্তু এখন আমি যদি আমার নগ্ন দেহকে আবৃত করি জোব্বা দিয়ে, মাথায় দিই টুপি, গোঁফ কেটে লম্বা দাড়ি রাখি। তখন আপনি আমাকে একজন মুসলিম হিসবে সনাক্ত করবেন। কোনো তামিল যদি তার নগ্ন দেহকে জোব্বা দিয়ে আবৃত করে, গলায় ক্রস ঝুলিয়ে রাখে তাহলে আপনি তাকে খ্রিস্টান হিসেবে সনাক্ত করবেন। এই মুসলিম, খ্রিস্টান জাতি সৃষ্টিতে হাত রয়েছে আমাদের। আমাদের প্রথম পরিচয় মানুষ। কিন্তু প্রাকৃতিক বা ভৌগলিকভাবে আমাদের শরীরের পার্থক্য তৈরি হয়। পার্থক্যর কারণে মানুষ জাতিতে বিভক্ত। সাদা-কালো, লম্বা-খাটো। এক জাতির সাথে রয়েছে আরেক জাতির দ্বন্দ। এই তো গেল প্রাকৃতিক জাতি পার্থক্য। তারপরে আছে কৃত্রিম জাতিগোষ্ঠী। মানুষ জন্মের সময় প্রাকৃতিকভাবে হয় বাঙালি কিন্তু কৃত্রিমভাবে নিজেকে বানায় একজন মুসলিম/হিন্দু।
প্রকৃতির সাথে লড়াই করার ক্ষমতা আমাদের নেই। কিন্তু আমরা কৃত্রিমতা থেকে বেরিয়ে আসতে পারি। মানুষ হতে পারি। বাংলাদেশে ধর্মনিরেপেক্ষতা অবশ্যই প্রয়োজন। ধর্ম হচ্ছে প্রাচীন কালের রাজনৈতিক আইন, সংবিধান। বর্তমানে তার ধারা অব্যাহত রাখার কোনো প্রয়োজন দেখি না। আশা করা যায় আগামী শতাব্দীতে ধর্ম ডাইনোসরের মত বিলুপ্ত হয়ে যাবে।
বাংলাদেশর একটি নির্দিষ্ট সংবিধান বা আইন আছে সেটা মেনে চলুন। যেই আইন বর্তমান যুগোপযুগী । কোনো প্রাচীন ধর্মগ্রন্থের আইন কিভাবে যুগোপযুগী হয়?
৩ হাজার বছর, ২ হাজার বছর, ১৪শ বছর পিছে থাকা মানুষ গুলোয় বাংলাদেশে ধর্মনিরপেক্ষতা চাই না। তারা থাকতে চাই আদিম হয়ে। তবে বাংলাদেশে যখন ৯০ শতাংশের বেশি মানুষ শিক্ষিত হবে তখন ধর্ম নিয়ে কারো মাথা ব্যাথা থাকবে না।
© মোবায়দুল সাগর
©somewhere in net ltd.