নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মধ্যরাতের আগন্তুক

তুমি, আমি এবং আমাদের ছোট্ট ছোট্ট খুনসুটি নিয়েই কেটে যাচ্ছে বেশ।

মধ্যরাতের আগন্তুক › বিস্তারিত পোস্টঃ

দুঃখ ভেজা গল্ল

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:২৭


প্রচন্ড
বৃষ্টি হচ্ছে সাথে আছে দমকা হাওয়া।
তার মধ্য দিয়েই হেটে চলেছি আমি।
আমি অপু।পুরো নাম অনিকেত রমান
অপু। পড়ছি ঢাবির ফার্মেসিতে ৩য়
বর্ষে।এই প্রচন্ড বৃষ্টিতে হাটছি মুলত
মনের কিছু দুঃখ
যাতে বৃষ্টিতে ঝরে পরে যায়।
আমি একজনকে ভালবাসতাম নাম
স্পৃহা। এখনও
তাকে ভালোবাসি কিন্তু আগের মত
নয়। হয়তোবা এই ভালোবাসাটাও
থাকবে না।
আস্তে আস্তে ফিকে হয়ে যাবে রয়ে যাবে কিছু
স্মৃতি যা আজীবন আমাকে পোরাবে।
ওর সাথে আমার প্রথম
দেখা হয়েছিলো একটি কোচিংয়ে যখন
আমি নবম শ্রেনিতে পড়ি। প্রথম দিন
দেখেই আমি তার প্রেমে পড়ে যাই।
ওর হাসিটা ছিল খুব সুন্দর।যেই সুন্দরের
কোন সংজ্ঞা মুখে বলা সম্ভব নয়।
বন্ধুদের কাছ থেকেই প্রথম তার নাম
জানতে পারি। তার নাম
ছিলো স্পৃহা।স্পৃহা ছিল ভাল
ছাত্রী আর আমি বরাবরই খারাপ
ছিলাম।কোচিংয়ে সাপ্তাহিক
পরিক্ষায় সবসময়ই খারাপ করতাম
কেননা ক্লাসের অধিকাংশ সময় তার
দিকেই তাকিয়ে থাকতাম।
মাঝে মাঝে চোখাচোখি হয়ে যেত
তখন আমি চোখ নামিয়ে ফেলতাম
হয়তবা ভয়ে নয়তবা লজ্জায়। এভাবেই
নবম থেকে দশম শ্রেনিতে উঠলাম।
বন্ধুদের সহায়তায় তাকে আমার
ভালোবাসার কথা জানালাম।
হয়তোবা আগে থেকেই
ভালোবাসতো আমায়!! তাই আমার
ভালোবাসা সাথে সাথেই গ্রহন
করে নেয়! শুরু হলো আমার আর স্পৃহার
একসাথে পথচলা।এত কিছু
হয়ে গেছে কিন্তু
আমি পড়াশুনা করতাম না।আমার সমগ্র
সত্ত্বা জুড়ে ছিল স্পৃহা, আমার
মনযোগের কেন্দ্রবিন্দু ছিলো স্পৃহা,
আমার ভাবনা জুরে ছিলো স্পৃহা।
আমার এসএসসি পরিক্ষার
প্রিপারেশন খুব
ভালো ছিলো না তাই পরিক্ষা খুব
একটা ভালো হয়নি কিন্তু স্পৃহার
পরিক্ষা ভালো হয়। রেজাল্ট
বেরোলে দেখা যায় স্পৃহা A+
পেয়েছে কিন্তু আমি পাইনি।
আমি মোটামুটি মানের
একটা কলেজে ভর্তি হই আর
স্পৃহা স্বনামধন্য কলেজে।
আমরা দেখা করতাম খুব কম কিন্তু
মোবাইলে প্রচুর কথা বলতাম।
কলেজে ভর্তি হবার পর দুটাই খুব
কমে যায়। দিনে পাচ থেকে ছয়বার
কথা হতো।এইভাবেই
চলে গেলো দুইবছর।চলে আসলো HSC
exam. এইবার দুজনের exam ই ভালো হল।
এরপর এক সাথেই ভর্তি পরিক্ষার জন্য
কোচিং করি। এইচএসসি পরিক্ষায়
আমি আর স্পৃহা দুজনই খুব
ভালো রেজাল্ট করি।
ভর্তি পরিক্ষায় আমি চান্স পাই
ঢাবি তে আর স্পৃহা পায় চবি(চট্টগ্রাম
বিশ্ববিদ্যালয়) তে।
সেখানে ভর্তি শুনে আমার প্রচন্ড কষ্ট
হয়। কিন্তু তারপরও
আমি নিজে নিজেকে বুঝালাম
যে মোবাইলে তো আমাদের
যোগাযোগ থাকবেই। তাই আমি আর
তাকে বাধা দিলাম নাহ। স্পৃহা যখন
ঢাকা আসতো তখন আমরা সারাদিন
ঘুরতাম। দুজনে অনেক মজা করতাম।
আমি স্পৃহাকে খাইয়ে দিতাম স্পৃহাও
আমাকে খাইয়ে দিতো।এভাবেই
আমার স্বপ্নের মত
দিনগুলো কেটে যাচ্ছিলো।
হঠাৎ একদিন স্পৃহা আমায় ফোন
করে বললো রমনা তে দেখা করতে।
আমিও তারাতারি গেলাম।
গিয়ে দেখলাম স্পৃহা আগেই
সেখানে পৌছে গিয়েছে।
আমি জানতে চাইলাম
এতো জরুরি ডাকার কারন কি????
উত্তরে যা বলল তা শুনে আমি পাথর
হয়ে গেলাম। স্পৃহা বলল-"অপু আমি আর
তোমার সাথে রিলেশান
রাখতে পারবনা" আমি কারন
জানতে চাইলে স্পৃহা কিছু
না বলে চলে গেলো।
আমি সেখানে পাথরের মত
বসে রইলাম। কিছুক্ষন পর অনুভব করলাম
আমার গাল বেয়ে অশ্রু ঝরে পরছে।
তারপর আমি খোজ
নিয়ে জানতে পারলাম
যে স্পৃহা নাকি চার বছর
আগে থেকে অন্য
একটি ছেলেকে ভালোবাসতো আর
সেই ছেলেটি নাকি তার
জিবনে ফিরে এসেছে।
তাহলে আমার সাথে এতোদিনের এ
সম্পর্ক এগুলো তাহলে কি ছিলো??
আজো খুজে বেড়াই উত্তর।
নামটা মনে করলেই যত কষ্ট
আমাকে ঘিড়ে ধরে। কিন্তু ভুলতেই
যে পারি না কোনভাবেই।
হইতবা সারাজিবন এ
কাটাতে হবে এইরকম কষ্টের মাঝ
দিয়ে। তবুও একটাই আশা সে যেন ভাল
থাকে।বাসের হর্নে কল্পনার জগৎ
থেকে বাস্তবে ফিরে এলাম। অনুভব
করলাম আমার চোখ থেকে অশ্রু বৃষ্টির
পানিতে ধুয়ে যাচ্ছে।না আর
ভাবা চলবে না।
হেটে যাচ্ছি অজানা গন্তব্যে।
বৃষ্টি শেষে ফিরে যাবো আপন
নীরে ফিরে যাবো স্মৃতির অতল
গহ্বরে যেখানে আছে আমার
জীবনের একরাশ কষ্ট মাখা স্মৃতি

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:৪২

আকাশ দেখা ঘুড়ি বলেছেন: কিছু বলার নেই রে ভাই, আমারও প্রায় একই অবস্তা। তাঁর জন্য সারারাত জেগে থাকি ঘুম আসে না। এখনো অপেক্ষায় আছি।

২| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:১১

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:

++++

৩| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:৫২

মধ্যরাতের আগন্তুক বলেছেন: আকাশে_দেখা_ঘুরি আসলে কিছু কিছু অপেক্ষা অনেক কষ্টের। :-(

৪| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪৫

আকাশ দেখা ঘুড়ি বলেছেন: কিছু কিছু অপেক্ষা শুধু কষ্টের না, কিছু অপেক্ষার শেষ হয় না!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.