নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দূর্নিতীমুক্ত বাংলাদেশ চাই ।

নৌকা-লাঙল- ধানের শীষ । সব সাপেরই একই বিষ।।

পূরান পাগল

চাকরী বন্ধুবান্ধব ইন্টারনেট এই নিয়ে আছি ,পেশায় মেরিন ইন্জিনিয়ার । ব্লগ পড়তে ভালবাসি ।

পূরান পাগল › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোটাবিরোধী আন্দোলন ও বর্তমান বাস্তবতা

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৪৩

ব্যাস্ততার কারনে সামুতে আসা হয়না অনেকদিন তবে সাম্প্রতিক সময়ের একটা বিষয় নিয়ে খুবই খারাপ লাগছে তাই ভাবনাগুলো ব্লগে শেয়ার করা।কিছু কিছু পাবলিক নিজেদের সামান্য স্বার্থের কারনে চলমান কোটাবিরোধী যৌক্তিক আন্দোলনের বিরোধিতা,অপপ্রচার করছেন।প্রতিবন্দি কিংবা উপজাতি কোটা অবশ্যই থাকা উচিৎ তবে বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবে যেন প্রতিবন্দি কিংবা উপজাতিরা যেন সরকারি সহায়তায় আধুনিক শিক্ষা সহ সকল সুযোগ সুবিধা পায় তাহলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দয়ার পাত্র হওয়া থেকে রেহাই পাবে তারা।আর মুক্তিযোদ্ধা কোটা আরও আগেই সংস্কার করা উচিৎ ছিল।আর এখন এই ব্যাপারটা নিয়ে প্রশ্ন আসায় অনেকেই আন্দোলনকারীদের রাজাকার,যুদ্ধাপরাধী,মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী হিসেবে আখ্যায়িত করছেন,বড়ই সেলুকাস!!!একথা নিঃসন্দেহ যে মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান।কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের নাম ভাঙ্গিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের ফায়দা হাসিল করছে।আমার জানা নেই বিশ্বের অন্য কোথাও এমন নীতি আছে কিনা।পাকিস্থানিরা আমাদের শোষণ করত চাকরিক্ষেত্রে বৈষম্যমূলক আছরন করত তাইতো দেশকে স্বাধীন করতে মুক্তিযুদ্ধারা জীবন বাজি রেখে ঝাপিয়ে পরেছিল কিন্তু আজও যদি এমন বৈষম্য ধরে রাখা হয় তাহলে স্বাধীনতার সুফল জাতি কিভাবে পাবে?? আর এমন বৈষম্যের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।আর অত্যান্ত দুঃখজনক হলেও সত্য যে বর্তমানে সত্যিকার মুক্তিযোদ্ধার চেয়ে ভুয়া সনদধারী মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যাই বেশি।আর সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধারা দেশকে স্বাধীন করার জন্য নিঃস্বার্থভাবে যুদ্ধ করেছেন।মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট কিংবা সুযোগ সুবিধার জন্য নয়।আমার এমন পরিচিত মুক্তিযোদ্ধা আছে যিনি কখনোই সনদের জন্য যাননি,আবার এমনও আছে যিনি মুক্তিযুদ্ধে বিন্দুমাত্র অংশগ্রহন করেননি কিন্তু এখন সকল সুযোগসুবিধা ভোগ করছেন।এখন প্রশ্ন হচ্ছে তারা না চাইলেও আমাদের কি উচিৎ নয় যাদের ত্যাগের কারনে আমরা একটা স্বাধীন সার্বভৌম দেশ পেলাম তাদের জন্য কিছু করা।হ্যাঁ অবশ্যই তাদের জন্য সমস্ত নাগরিক সুবিধা বিনামুল্যে করে দেওয়া,শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সমস্ত ভরণপোষণ রাষ্টের গ্রহন করা উচিৎ ছিল।প্রতিবছর কিছু বিশেষ দিনে পত্রিকার পাতা উল্টালেই চোখে পড়ে মুক্তিযোদ্ধাদের অবর্ণনীয় কষ্টের কাহিনী।৪২ বছর পরেও যেটা খুবই দুঃখজনক।কিন্তু আমাদের শাসকেরা সেদিকে কর্ণপাত না করে কোটা পদ্ধতির মতো বৈষম্যের মাধ্যমে এর অযৌক্তিক সমাধান খুঁজছেন।তরুন প্রজন্মের মেধাবীরা রাষ্টের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ।আর তাদের মেধার সঠিক মূল্যায়ন যখন কোনও রাষ্ট করতে ব্যার্থ হয় বিপরীতে তাদের প্রতি অবিচার করা হয়।সে জাতির উন্নয়ন কিভাবে হবে আমার জানা নেই।স্বাভাবিকভাবেই আমরা দেখি পিতার অপরাধের জন্য পুত্রকে শাস্তি পেতে হয়না।তাহলে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে কেন এই কোটা পদ্ধতি রেখে দেওয়া হবে??হ্যাঁ তবে এটা নিশ্চিত করা যেতে পারে যেন তারা অর্থাভাবে আধুনিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত না হয়।আর আমরা সকলেই আশাবাদী যে অতিদ্রুতই এই বৈষম্যমূলক আচরণ থেকে আমাদের মেধাবীরা মুক্তি পাবে।আর তারা আমাদের দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে বহুদুর..............................

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৩৫

আদম_ বলেছেন: চাকুরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানো এবং কোটা ব্যবস্থা বাতিল না হলে, সামনের ভোট আমলীগের **** দিয়ে ঢোকানে হবে ।

২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৩৪

পূরান পাগল বলেছেন: :-* :-* মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

২| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৫৯

পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: সরকারের দুর্নীতির কথা তুলে মুখে ফেনা তোলে আমাদের মধ্যবিত্ত সুশীল সমাজ। অথচ মধ্যবিত্ত এই সুশীলদের মানসিকতা আসলে ফকিরনির পুতদের মতোই। দরিদ্রদের মানসিকতা এদের থেকে হাজার গুণ উত্তম।

মধ্যবিত্তরাই বিসিএস কেরানী হয়ে ঘুষ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের সুযোগ নিতে মড়িয়া হয়ে উঠে। দরিদ্ররা নয়। মধ্যবিত্ত শিক্ষিতদের উচিত ছিল সমাজ পরিবর্তনে ভূমিকা রাখা। কিন্তু সার্টিফিকেট ধারী শিক্ষিত (মূলত অশিক্ষিত) চুদির ভাইরা সমাজ পরিবর্তন তো দূরের কথা, সমাজের সুবিধা নেওয়ার জন্য মড়িয়া হয়ে উঠেছে। আর যেসব মধ্যবিত্ত বিসিএসে আবেদন করেননি তাদের কেও এই আন্দোলনের পক্ষে এবং কেও বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। সব শালার মানসিকতা ফকিরনিরপুতদেরই মতো। সে জেনারেল কোটাই হোক আর অন্য কোটাই হোক। আমাদের মনে রাখতে হবে মধ্যবিত্ত এই আচুদা শ্রেণীই বিসিএস কেরানী হয়ে সমাজটাকে লাটে উঠিয়েছে। ফালতু যতসব।

মধ্যবিত্ত শ্রেণীর ফালতু মানসিকতা এবং তাদের ধর্মীয় মূল্যবোধ নিয়ে আমি একটি গদ্য রচনা করেছি। যারা পড়েননি পড়ার আহবান জানাই
Click This Link

৩| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:০৬

মুঘল সম্রাট বলেছেন: আমরা সকলেই আশাবাদী যে অতিদ্রুতই এই বৈষম্যমূলক আচরণ থেকে আমাদের মেধাবীরা মুক্তি পাবে।আর তারা আমাদের দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে বহুদুর..............................

২৪ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৩৮

পূরান পাগল বলেছেন: প্রত্যাশা পূরণ হোক।মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.