জগাখিঁচুড়ি অথবা খিঁচুড়ির গল্প

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৫

এই বার শুনলাম, বিনা চাঁদায় খিঁচুড়ি খেয়েছে অনেকেই। এর স্বাদটা নাকি খুব চমৎকার ছিলো। লোড শেডিংয়ের আলোতে দেখা যায়নি খিঁচুড়িতে মাংস দেয়া হয়েছিলো কী না, তাতে কী! হাত পাখার বাতাসে প্রাণ জুড়িয়ে আসে... বলতে বলতে কিছুক্ষণের জন্যে হলেও অন্তত ভুলে যাওয়া গেছে ট্রাফিক জ্যামের বিরক্তি অথবা মেধাবি ছেলের চাকরির জন্যে এমপি’র পিএ-কে দেয়া মোটা অংক সংগ্রহের বেদনা আর রাস্তার সুড়কির সাথে শরীরের হাঁড়গুলোর কটমটানি অথবা খবরের কাগজের গলাকাটা মাথা-হাত-পা-শিশ্ন কাটা বস্তাবন্দি মানুষের ছবি।



হায় রে খবরের কাগজ, কালো রঙে ছেয়ে ফেলা কারও হাসি-কাঁদা মুখ দেখে অন্তত সেদিন রেহাই পেলো সড়ক দুর্ঘটনার কথা আর ক্রসফায়ার ও বন্দুকযুদ্ধের রূপকথা থেকে। শোককে শক্তিতে পরিণত করে ভুলে গেছে বম্বে চিপসের মতোন কুড়মুড় করে পুরু পদ্মা সেতু গিলে ফেলা এক দেশপ্রেমিকের চমক।



আজকের খিঁচুড়ির রঙ ছিলো অন্য রকম। যে কৃষকের ক্ষেতের ধান থেকে চাল করা হয়েছিলো, তার স্বপ্নের রঙ হয়তো মিশেনি; হয়তো সার কিনতে গিয়ে সারের দামের নিচে চাপা পড়ে গেছে তার একচালা ঘরের ছাউনি, হয়তো বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো তার একমাত্র মেয়ের স্কুলপড়া। তাতে কী! তার চালের সুবাস তো মন্দ ছিলো না!



আহা রে! এই জগাখিঁচুড়ির দেশে একদিন হলেও খিঁচুড়ির স্বাদে সবাই মুগ্ধ!

০ টি +০/-০