![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জীবনকে যদি দাও নীল বিষাক্ত ছোপ থাকবেনা থাকবেনা, থাকবেনা ক্ষোভ। আমার মৃত দেহে ঝুলবে নোটিশবোর্ড কতৃপক্ষ দায়ী না।
দুইহাতে দুইটা চামচ নিয়ে ক্যাবলার মত বসে আছি। সামনে প্লেটে রাইস, মুরগী রাখা। এটা নাকি চাইনিজ আইটেম। খুবই লোভনীয় বস্তু। আমার তো চেহারা দেখেই জিবে জল চলে আসছে।
কিন্তু ঝামেলাটা পাকিয়েছে ব্যাটা ওয়েটার। খাবার দেয়ার সাথে সাথে দুইটা চামচ ও দিয়ে গেছে। সামনে বসা রাশেদ চোখের ইশারায় বুঝিয়ে দিয়েছে এদুটো দিয়েই খেতে হবে। আমি খানিকক্ষণ চেষ্টা করে মোটামুটি হাল ছেড়ে দিয়েছি। মনমত একটা পিস ও ছিঁড়তে পারি নি। হয় মুরগি পিঁছলে যাচ্ছে না হয় একটুখানি মাংস নিয়েই চামচ বের হয়ে আসছে। কি লজ্জার ব্যাপার। আশেপাশের টেবিলে স্মার্ট সব ছেলেমেয়েরা বসে আছে আমার কান্ড দেখে নিশ্চয়ই হাঁসছে তারা। মনে মনে সংকুচিত হয়ে গেলাম। আফসোস হল কেন যে পার্সেল নিয়ে নিলাম না! তাহলেই তো এখন মেসে গিয়ে ইচ্ছেমত খেতে পারতাম।
কয়েক মাস হল ফরিদগঞ্জ শহরে এ নতুন ধাঁচের রেস্টুরেন্টটা হয়েছে। এরা নতুন নতুন অনেক আইটেমই বানাচ্ছে। তবে এই চাইনিজ আইটেমই সম্ভবত সবচেয়ে জনপ্রিয়। বন্ধুদের থেকে শুনে শুনে অনেকদিন ধরেই খাবারটার প্রতি লোভ জন্মে গিয়েছিল।
তাই আজ রাশেদ যখন বলল "চল চাইনিজ মেরে আসি" আর না করতে পারলাম না। যদিও আমি এধরণের আধুনিক জায়গা এড়িয়ে চলতেই পছন্দ করি। যতটা না খরচের কথা চিন্তা করে তারচেয়ে বেশি এক ধরনের হীনমন্যতা বোধ থেকে।
এই যে যেমন এখন আমার কেন জানি মনে হচ্ছে ওয়েটার থেকে শুরু করে পুরো হোটেল এর সবাই আমার দিকে তাকিয়ে আছে। সবাই বুঝে গেছে যে আমি জীবনে এই প্রথম চাইনিজ খাচ্ছি। কাঁটাচামচ দিয়ে আমি খেতে পারিনা। আমার আনাড়িপনা দেখে হয়ত সবাই মুখ টিপে হাঁসছে। এসব ভেবে ভীষণ রকমের বিব্রত বোধ করছি। মনে হচ্ছে যেন এখান থেকে বের হতে পারলেই বাঁচি।
এসময় বন্ধু রাশেদ একটা বিপ্লবী কাজ করে ফেলল। এতক্ষণ আমার ভাব দেখে সে নিশ্চয়ই ব্যাপারটা ধরতে পেরেছিল। আমাকে সহজ করানোর জন্য সে তার কাঁটাচামচ দুইটা পাশের প্লেটে রেখে হাঁসি হাঁসিমুখে হাত দিয়ে মুরগী থেকে মাংস ছিঁড়ে খেতে লাগল। মুখে বলল "ধুর্বাল এসব দিয়ে খাওয়া যায়! হাত চালা"।
এটা অনেকদিন আগের কাহিনী। এবং সেদিন আমরা মুরগীর একটা হাঁড়ও আস্ত রেখে আসিনি। এখনো আর এখনো চাইনিজ খেতে গেলে আমি শার্টের হাতা গুটিয়ে শুরু করে দেই। চামচ টিস্যু দিয়ে প্যাঁচানো অবস্থায়ই থাকে
০৫ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:৫৪
মুনেম আহমেদ বলেছেন: আমিতো এখন আর চামচ দিয়ে খাওয়ার চেষ্টাই করিনা
২| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৬
শায়মা বলেছেন: হা হা হাতা গুটানো খাওয়ার ছবিটা কিন্তু দেখতে পাচ্ছি ভাইয়া!
তবে হীনমন্যতার কারণ নেই। তোমার যেমন খুশী তেমনি খাবে। আমার হাত দিয়ে ভাত খেতেও ভালো লাগেনা। তার থেকে চামচই ভালো। হাত ধোয়ার ঝামেলা নেই। সেটা নিয়েও কত কথাই শুনেছি ছোট থেকে বাট আমার কানে তুলা পিঠে কুলা। যে যা বলে বলুক আমার হাত ধুতেই ভালো লাগে না।
অনেকেই বলে আসছেন নবাবজাদী, অনেকেই বলে ঢং। তাতে কি যায় আসে আমি তো জানিই আমি আসলেও ঢঙ্গী কত আর তাতে বদনাম বাড়বে!!!!!!!!!!
০৫ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:৫১
মুনেম আহমেদ বলেছেন: হা হা মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ দিদি । তবে চামচ দিয়ে খাওয়া আমার কাছেও ঢঙ মনে হয়
আর এধরনের হীনমন্যতা এখন অনেক দূর হচ্ছে কিন্তু একসময় খুব ভুগতাম।
৩| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:৫৩
কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: অনেক ভাল লাগল আপনার অনুভূতির প্রকাশ!!!!
০৫ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:৫৭
মুনেম আহমেদ বলেছেন: আপনার ভাল লাগছে জেনে ভাল লাগল
৪| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:১৩
গেম চেঞ্জার বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ তাই নাকি? মজার কাহিনী তো!!
০৫ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:৫৮
মুনেম আহমেদ বলেছেন: এখন মজা লাগলেও তখন অনেক বিব্রত হইছিলাম
৫| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:১৪
সুমন কর বলেছেন: সেদিনকার আপনার বন্ধু রাশেদের সহযোগিতাটাই দারুণ লাগল। আর আপনার অনুভূতি শেয়ারটাও ভালো হয়েছে।
০৬ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:৩২
মুনেম আহমেদ বলেছেন: আসলেই । ওর এ কাজটা অনেক সহযোগিতামূলক ছিল। এই জন্যেই তো বন্ধু
৬| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৮:২১
মাদিহা মৌ বলেছেন: আশ্চর্য! প্রথমবারে চায়নিজ খেতে যাওয়ার অভিজ্ঞতা সবার একই রকম নাকি? :O মিলে গেছে। তবে হাত দিয়ে খাইনি সেদিন, খাওয়াই হয়নি আর। এখন তো অভ্যেস হয়ে গেছে।
অফ টপিকে একটা প্রশ্ন করি। ফরিদগঞ্জে বাড়ি?
০৬ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:৩১
মুনেম আহমেদ বলেছেন: বলেন কি! আমিতো ভাবছিলাম শুধু আমার বেলায়ই এমন হইছে
আর হ্যাঁ ফরিদগঞ্জেই বাড়ী। চেনেন নাকি কোনভাবে?
৭| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৯:৩১
জুন বলেছেন: যেদিন আমি প্রথম চাইনীজ খেয়েছিলাম আমার বড় চাচা আর কাজিনদের সাথে তখন আমি খুবই ছোট। টেবিলের উপর প্লেটটা কোনরকম হাতের নাগালে ছিল। বোনদের দেখাদেখি ফ্রাইড চিকেনে ছুরি বসাতেই সড়াৎ করে পিছলে পাশের টেবিলের এক ভদ্রলোকের পায়ের কাছে। আশেপাশে তাকিয়ে দেখলাম কে কে দেখলো আমার এই কান্ড।
এমন অভিজ্ঞতা বোধহয় অনেকেরই আছে। মজা করে লিখেছেন।
+
০৬ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:৩৩
মুনেম আহমেদ বলেছেন: হা হা আপনার অভিজ্ঞতাতো আরো মজার
৮| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:০৬
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন:
বেশ মজার।
০৬ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:৪৪
মুনেম আহমেদ বলেছেন:
মজার তো বটেই।
৯| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:২৯
কানিজ রিনা বলেছেন: আরে আমিত প্রথম থেকেই হাত দিয়েই
চাইনীজ খেতে শুরু করেছিলাম, যদিও
চামচ দিয়ে খেতে পারতাম,তারপরও হাত
দিয়েই খেতে পছন্দ কে কি বল্লো ওসব
তয়াক্কা করিনাই। তবে কেউ কিছু মনে করেছে
বলে মনে হয় নাই। এখন থেকে পঁচিশ তিরিশ
বছর, যত বড় দামি রেষ্টুরেন্ট হোকনা কেন
হাতেই খাই। একবার এক দামী ক্লাবে
বিয়ের পার্টিতে এক ইংরেজ মহিলা আমার
হাতে খাওয়া দেখে সেও হাতদিয়ে খেয়ে
বল্লো ভেরি ইন্টারেষ্টিং। তাই হাতই যথেষ্ট।
০৬ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:৪২
মুনেম আহমেদ বলেছেন: আসলেই। হাত দিয়ে খেতে ভাল লাগলে তাই করা উচিৎ। কিন্তু তখন স্মার্ট সাজার বয়স ছিল কিনা তাই মনে হতো হাত দিয়ে খাইলে লোকে হয়ত ক্ষ্যাত ভাববে
আপনার অভিজ্ঞতাটাও মজার।
১০| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:২৬
সামিয়া বলেছেন: হাহা ভালোলাগলো
০৬ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:১৬
মুনেম আহমেদ বলেছেন:
১১| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৯
রানার ব্লগ বলেছেন: ছুরি কাটা চামুচ দিয়ে খেতেই হবে এমন কোন আইন তো নাই। ইচ্ছা মত খান।
০৬ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:১৫
মুনেম আহমেদ বলেছেন: না সেটা ঠিকই আছে। কোন আঈন নেই কিন্তু একটা রীতি হয়ে গেছে তো তাই
১২| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১:৩৩
খোলা মনের কথা বলেছেন: মুখে বলল "ধুর্বাল এসব দিয়ে খাওয়া যায়! হাত চালা"।
এটা অনেকদিন আগের কাহিনী। এবং সেদিন আমরা মুরগীর একটা হাঁড়ও আস্ত রেখে আসিনি। এখনো আর এখনো চাইনিজ খেতে গেলে আমি শার্টের হাতা গুটিয়ে শুরু করে দেই। চামচ টিস্যু দিয়ে প্যাঁচানো অবস্থায়ই থাকে
০৬ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:১৮
মুনেম আহমেদ বলেছেন:
১৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:০৬
সিগনেচার নসিব বলেছেন: খুব সুন্দর করে মনের কথা গুলো বলে দিলেন
জেনে ভাল লাগল ধন্যবাদ ভাই।
ভাল থাকুন
০৭ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:০৩
মুনেম আহমেদ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই । ভাল থাকবেন আপনিও
১৪| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:২৫
আপনার আপন বলেছেন: all have same experience.
০৭ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ২:৫২
মুনেম আহমেদ বলেছেন: এখন তাই মনে হচ্ছে
১৫| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৪
অদৃশ্য বলেছেন:
ছুরি, চামচ দিয়ে প্রাকটিস ছাড়াই হুট করে খেতে বসলেতো সমস্যা হবারই কথা... সবারই হবে... আর অল্প প্রাকটিসেও দেখবেন সমস্যা হচ্ছে যখন আপনি হাড়সহ গোস খেতে যাবেন... ব্যাপার না... আমরা হেঁতো বাঙ্গালি তাই হাতই ঠিক আছে...
শুভকামনা...
০৮ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৫
মুনেম আহমেদ বলেছেন: খাইছে তাইলে এখন কি ছুরি চামচ নিয়া প্রাকটিসে নামতে হবে নাকি!
আর "হেঁতো" বাঙালি বলতে কি বুঝালেন বুঝতে পারলাম না।
১৬| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:৪২
অদৃশ্য বলেছেন:
অবশ্যই... আমরা হাত দিয়ে এমনি এমনিই খেতে শিখিনি, ছোটবেলা থেকে অনেক চেষ্টার পরেই আমরা হাত দিয়ে চমৎকারভাবে খেতে পারি... পৃথিবীর অনেক দেশের মানুষই আমাদের মতো হাত দিয়ে ভাত তরকারি খেতে পারেনা!...
আমরা বলিনা যে '' ভেতো বাঙ্গালী ''... এই কথাটার সাথে মিল রেখেই ঐটা বানিয়েছিলাম '' হেঁতো বাঙ্গালী '' হাত দিয়ে খাওয়া বাঙ্গালী... অবশ্য চন্দ্রবিন্দুটা না দিলেই পারতাম, ওটার জন্য কিছুটা ভৌতিক হয়ে গ্যাছে মনে হয়...
শুভকামনা...
১৬ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:৪৬
মুনেম আহমেদ বলেছেন: আমাকেও চন্দ্রবিন্দুটাই কনফিউজড করে দিয়েছিল দেরীতে উত্তরের জন্য দুঃখিত। মন্তব্যটা চোখ এড়িয়ে গেছিল
১৭| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৭
শামছুল ইসলাম বলেছেন: সামান্য একটা বাক্যেই বাজিমাত করে দিয়েছেনঃ
// হয় মুরগি পিঁছলে যাচ্ছে না হয় একটুখানি মাংস নিয়েই চামচ বের হয়ে আসছে।//
আপনার রসবোধ অত্যন্ত উঁচুমানের।
ভাল থাকুন। সবসময়।
১৯ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৬
মুনেম আহমেদ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ভাল থাকবেন
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৩
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আমি এখন চামিচ দিয়ে খেতে স্বাচ্ছন্দ না, একেবারে আমার চাইনিজ খাওয়ার প্রতিচ্ছবিটাই যেন ফুটে উঠেছে আপনার লিখনিতে।