![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মাঝসাগরে হারিয়ে যাওয়ার মজা হছে, যে কোন একদিকে গন্তব্য ধরে নেয়া যায় ।
বিজ্ঞান এবং বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গির জয়যাত্রার এযুগে একথা নিঃসন্দেহে স্বীকার করা যায় যে ধর্মের অলৌকিক প্রভাব'বলয় থেকে আমরা ক্রমেই বেড়িয়ে আসছি ।
এবং এ চর্চা'টা চলতে থাকলে ... অদূর ভবিষ্যতে ধর্ম-প্রভাব আমাদের বস্তু জীবনে শুন্য মাত্রায় নেমে আসবে ... এরকম আশাবাদ ব্যাক্ত করা অত্যুক্তি হবেনা ।
এরকম প্রেক্ষাপটে ... ভবিষ্যত'সচেতন মানুষ হিসেবে আপনাদের ... বিশেষ করে ধর্ম'সচেতন নাস্তিক'দের (বা যে কোন ফরমেটের প্রচলিত ধর্মে বা ধর্ম'ঈশ্বরে অবিশ্বাসীদের) বক্তব্য বা স্বপ্ন; দৃষ্টিভঙ্গি বা দূরদৃষ্টি; ইচ্ছা বা চাহিদা ইত্যাদি গুলো আলোচনা হলে ক্যামন হয় ...
আসুন ... এক'ঝলক আগামীর পৃথিবী থেকে ঘুরে আসি ।
সম্পূরক যে সব বিষয়ে আলোচনা হতে পারে ... কিন্তু কোন বাধ্য'বাধকতা নেইঃ
১. ধর্ম কি আদৌ টিকে থাকবে ?
২. টিকে থাকলে কিভাবে ?
৩. না টিকে থাকলে সেই শূন্যস্থান পূরন হবে কিভাবে ?
৪. যদি ধর্মের মূল রুপ পরির্তিত হয় .. তবে সে পরিবর্তিত রুপ'টা কেমন হবে ?
৫. মানুষের চরম অসহায় মূহুর্তে ধর্ম'আশ্বাস (মিথ্যে হোক আর যাই হোক) তাকে কিছুটা হলেও শান্তি দেয় .. এই শান্তি'টার বিকল্প কি হবে ?
৬. ইত্যাদি ইত্যাদি ।
চলুন শুরু করা যাক আলোচনা ।
২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৪১
মনির হাসান বলেছেন: খেয়াল করছি আপনি আমার বেলায় সব সময় ফাকি মারা কমেন্ট করেন । এইটা ঠিক না ।
যাই হোক ... অলৌকিক প্রভাব চলে গেছে .. আরো যাবে ... মৃতুচিন্তা'টা এবং এই চিন্তাজনিত অসহায়ত্ব যে তাকে এখনও কাতর করে ফেলে সেটার কি হবে ?
ব্যাক্তিকেন্দ্রিক ধর্মচর্চা ... সংখ্যাগরিষ্ঠ'তার দোহাইয়ে বারংবার সমাজে, রাষ্ট্রে জেকে বসে ।
তাই সেটারো একটা সমাধান থাকা চাই ...
সময় করে আলোচনা করবেন আশা রাখলাম ।
২| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১:১৯
হাসিব মীর বলেছেন: ধর্ম বলতে কি বুঝায় আগে এইতা বলেন। তারপর আলোচোনা শুরু করা যাবে।
২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৪২
মনির হাসান বলেছেন: দিলেনতো প্যাচে ফালায়া ... পরে উত্তর দেই ।
৩| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১:২২
দুরের পাখি বলেছেন: ধর্ম টিকে থাকবে , তবে খুব সম্ভবত নখদন্তবিহীন, এবং জাস্ট সিরেমোনি বেজড ।
ধর্মগুলার একটা বড় দরকার হৈলো পাব্লিক ফেস্টিভ্যালের ব্যবস্থা আর কিছুটা কমফোর্ট । আরেকটা দরকার হৈলো নৈতিকতার প্রয়োগে (উৎপাদনে না)
তবে আমার মনে হয়, আগামীর নাটকে ধর্মের টিকে থাকা না থাকার চাইতে বড় ফ্যাক্টর হবে, মানুষ তার ব্যক্তিগত জীবন ঠিক কোন দর্শনে লিড করবে সেইটা নিয়া । পরিবার বা সমাজের ভবিষ্যত ধর্মের তুলনায় অনেক বেশিগুনে অন্ধকার বা ক্রিটিকাল ।
এই সমস্যার সমাধান প্রস্তাবে গিয়া ধর্ম আবার তার ফাইনাল কামব্যাক পাইতে পারে ।
আলোচনা চলুক । আরো যোগ করার ইচ্ছা আছে । অন্যরা কি কয় শুনি ।
২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৪৮
মনির হাসান বলেছেন: মানে ... রিচুয়াল ভিত্তিক কালচারাল ফর্মে টিকে থাকবে ।
ফেস্টিভাল বা কমফোর্টনেসের জায়গায়র সাথে আরো একটু যোগ করি ... বাধ্যতামুলক সামাজিক আচারাদি ... যেমনঃ জন্ম মৃত্যুর অনুষ্ঠান, বিয়ে ইত্যাদি'তে ধর্ম একটা বিশাল ফ্যাক্টর ... এই সামাজিক'তা যতদিন থাকবে সাথে সাথে ধর্ম টিকা যাবে বলে আমি মনে করি ।
আর নৈতিকতা প্রয়োগ বা নৈতিকতার জন্য ধর্মের প্রয়োজনীয়তা নিয়া বিশাল একটা আলোচনা হওয়া উচিত।
৪| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১:২২
শয়তান বলেছেন:
১।হ্যাঁ ।
২।চরম বিবর্তিত সামাজিক রূপ এ
৩। প্রযোজ্য নহে
৪। অপেক্ষায় আছি
৫। প্রযোজ্য নহে
৬।.........।
২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৫১
মনির হাসান বলেছেন: চরম ফাকি'বাজি কমেন্ট হইছে । আমরই দোষ ... পয়েন্টগুলা দেওয়া ঠিক হয় নাই ।
৫| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১:২৪
হাসিব মীর বলেছেন: @ ধর্মে অলৌকিকতার প্রভাব আছে কোনো সন্দেহ নাই। কিন্তু ধর্ম শুধুই
অলৌকিকতা নয় । কাজেই মানুষের জানার পরিধি বারলেই ধর্মের প্রয়োজন ফুরিয়ে যাবে বলে মনে হয় না।
২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৫৭
মনির হাসান বলেছেন: হ্যা ... আমার ব্যাক্তিগত মতামত আপনার কাছাকাছি । জানার পরিধি বাড়লেই ধর্ম অবাঞ্চিত হবে না ।
ধরা যাবেনা ছোয়া যাবেনা মার্কা টেম্পলেটে ধর্মকে না রেখে মানুষ সময়ের সাথে তাকে বদলে নেবেই । একটা সময় সেটা লোকজ চর্চা ছাড়া আর কোন ভৌতিক শ্রদ্ধা পাবেনা (আমার ব্যাক্তি আশাবাদ) ...
৬| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১:২৯
ব্রাইটসেন্ট্রাল বলেছেন: বিগব্যাং, টাইম-স্পেস ডাইলুশন, অল্টারনেট রিয়েলিটি, প্যারাল্যাল রিয়েলিটি সবৈ তো আমার কাছে অলৌকিক মনে হয়। আমরা যা বুঝি না তাই অলোকিক।
২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ২:০১
মনির হাসান বলেছেন: আমরা যা বুঝিনা তার ক্ষেত্রে ১০০% সৎ উত্তর হবে "আমি জানিনা" না "আমি বুঝি না" ... তার মানে এই নয় যে তা অলৌকিক ... মানুষ এককালে জানতো না কিভাবে/ক্যানো বৃষ্টি হয় ... ধর্মের পুস্তক তাই দাবী করতেই পারে বই পাঠানো'য়ালা হুকুম করে বলেই বৃষ্টি হয় ।
৭| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৩১
শয়তান বলেছেন:
অলৌকিকতার প্রভাব অনেকটাই চলে গেছে। বিশ্বাসী মানুষরাও ব্যক্তিগত জীবনে অলৌকিকতার বিশেষ পাত্তা দেন না।
দন্ডিতরে জাঝা
২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ২:০৬
মনির হাসান বলেছেন: এবার ছয়টা অক্ষর দুইটা স্পেস একটা ইমো ...
৮| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৩৪
আরিফুর রহমান বলেছেন: হমম... চিন্তার বিষয়...
মানুষ বরাবরই অলস প্রকৃতির, বেশি চিন্তা করতে বা জানতে চায় না। কিন্তু মনের মধ্যে কুইচ্চেন ঘুরপাক খায়। সহজ সমাধান কিতাব অথবা বয়ানের কেসেট... দুই তিনটা খাইলেই দুনিয়ার জ্ঞান...
তাই যতোদিন পুরোহিত/মোল্লা/পাদ্রী প্রজাতি থাকবে, দুব্বল বাপ-মা, শিক্ষা ব্যাবস্থার অপ্রতুলতা নুতন প্রজন্মকেও এই আফিমে আসক্ত করে বড় করবে।
শিক্ষার বিস্তারের সাথে সাথে ধর্মে বর্নিত অলৌকিকতার প্রভাব হয়তো কমবে, তবে ভ্যানিশ হবার সম্ভাবনা দেখছি না।
আপাতত... এইই..
২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ২:১৩
মনির হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ আরিফুর ... আরেকটা গুরুত্ব পূর্ণ ব্যাপার আপনার কমেন্টের কারণে মনে আসল ...
মোল্লা পাদ্রী পুরোহীত'দের ভবিষ্যত কি ? ধর্ম যদি টিকে যায় তো এদের চাহিদা থাকবে আবার এরা টিকে থাকলে দেখা যাচ্ছে এদের গাল'গপ্পে অলৌকিক প্রভাব'বলয় বিস্তার কমবে না ।
এক্ষেত্রে কি উপায় ?
ঃ অবশ্য চিন্তা হাতরে একটা উপায় পেলাম ... স্বপ্নে পাওয়া মহাঔষধের কবিরাজ নিজের টোটকায় ভরসা পায় না ... ডাক্তারের কাছেই যায় ... হা হা হা
৯| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৩৯
সাঁঝবাতি'র রুপকথা বলেছেন: কি জানি ...থাকলে থাকবে, না থাকলে নাই ...কিছুই যায় আসে না ...
আমাদের ধর্ম হোক ফসলের সুষম বন্টন ...
২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ২:২০
মনির হাসান বলেছেন: ফসল সম্পদ এসবের সুষম বন্টনের চিন্তা বা লড়াই'টা ভিন্ন মাত্রার ... চিন্তায় সেটার অগ্রাধিকার থাকা উচিত ।
এবং এখান'কার আলোচনাটা ভিন্ন আঙ্গিকতার ... ধর্ম চিন্তা'টা কখনই বন্টন চিন্তার প্রতিস্থাপক নয়।
১০| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৪০
পীরসাহেব বলেছেন:
টিকবোনা মানে! অবশ্যই টিকবো -টিকতে হৈব! নাইলে আমার মত ধর্ম-কারবারীর প্যাটের ভাত আইবৈ কৈ থিক্যা?
২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ২:২২
মনির হাসান বলেছেন: হুমম ... ধরেন শেষ পর্যন্ত এমন ফরমেটে ধর্ম চলেই গ্যালো যে, বাধ্যবাধকতা নাই ... যার ইচ্ছা প্রডাক্ট কিনবে যার ইচ্ছা নাই সে কিনবে না ... তখন এই ব্যাবসার কি গতি হবে ... মানে চালাবেন ক্যামনে ... ?
১১| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৪১
মহাপৈতাল বলেছেন: সাঁঝবাতি'র রুপকথা বলেছেন: কি জানি ...থাকলে থাকবে, না থাকলে নাই ...কিছুই যায় আসে না ...
আমাদের ধর্ম হোক ফসলের সুষম বন্টন ...
ফাটাফাটি কমেন্ত।
২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ২:২৩
মনির হাসান বলেছেন: হুমম ... আপনারে বহুদিন পর পর দেখা যায় ।
১২| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৪১
দুরন্ত স্বপ্নচারী বলেছেন: এখানে আছে একটি পরিবারের অভ্যন্তরে গত এক দশকে ঘটে যাওয়া বিবর্তনের উদাহরণ।
সামাজিক পরিবর্তন একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। ব্যক্তি মানুষের পরিবর্তন থেকে এর শুরু যা ক্রমেই পরিবার, গোত্র ও সমাজে সঞ্চারিত হয়। যে কোন সামাজিক কাঠামোর ক্ষেত্রেই এটা একটি অলঙ্ঘনীয় প্রবৃত্তি।
১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মাত্র ১জন ছাত্রী ভর্তি হয়েছিলেন। লীলা নাগ। এখন মাত্র নয় দশকের ব্যবধানে এই সংখ্যা ১৩/১৪ হাজারে উপনিত হয়েছে। এই বিপুল সংখ্যক নারীর উচ্চ শিক্ষায় অনুপ্রবেশ সন্দেহাতীতভাবে আমাদের সমাজিক পরিবর্তনের নেপথ্যে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। আমরা আনুধিক হয়ে উঠছি। দিন দিন আরো আধুনিক হয়ে উঠবো। আমাদের চিন্তার ব্যপ্তি বৃদ্ধি পাবে। আমরা কুসংস্কার ও অগ্রহনযোগ্য যুক্তিতে অবিশ্বাস করতে শুরু করেছি, ক্রমেই সেটা আরো বৃদ্ধি পাবে।
প্রবীনদের কাছে শুনেছি তারা জ্বীন/পরী দেখেছেন। আমার সমবয়সী অনেককেই জিজ্ঞেস করেছি কিন্তু তারা কেউ দেখেনি। আমাদের অগ্রজরা ভ্রান্ত ধারনার সম্প্রচার করেছেন বুঝে বা না বুঝে। কিন্তু আমরা এখন সন্দেহ পোষন করছি। আর সন্দেহই আমাদেরকে মুক্ত করবে।
মানুষের প্রাত্যহিক জীবনের ধর্মের ব্যবহার তাৎপর্যপূর্ণভাবে হ্রাস পেয়েছে। ছোটবেলায় শুনেছি টেলিভিশন দেখা হারাম, ছবি তোলা হারাম। এখন কট্টর ধার্মিকদের বাড়ীতেও টিভি আছে। তারা টিভিতে বয়ান করে। এখন তারা ছবি তোলে। ডিভি লটারির আবেদন করে।
অর্থাৎ মানুষ তার প্রয়োজনে ধর্মের বিধানের সংগে আপোষ করছে। তার মানে ঐ সমস্ত বিধান প্রকান্তরে বাতিল হয়ে যাচ্ছে। আর এভাবেই এক সময় গোটা ধর্ম বিধানই বাতিল হয়ে যাবে। কাউকেই বিশ্বাস করানো যাবে না বিশেষ গ্রন্থগুলোর অলৌকিকত্ব।
২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ২:৩৩
মনির হাসান বলেছেন:
চমৎকার বলেছেন ... এক কথায় ফাটাফাটি ... আর কিছু বলার নেই ।
Best Part: "মানুষ তার প্রয়োজনে ধর্মের বিধানের সংগে আপোষ করছে। তার মানে ঐ সমস্ত বিধান প্রকান্তরে বাতিল হয়ে যাচ্ছে।"
১৩| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৪৩
দুরের পাখি বলেছেন: আরেকটা দৃষ্টিকোন থেকে ঘটনাটা দেখা যায়, বিবর্তনের দিক থেকে । যদিও ধার্মিকরাই বিবর্তনের একেকজন বড়বড় প্রতিপক্ষ, কিন্তু হাস্যকরভাবে ধর্মগুলাই বিবর্তনের একেকটা জ্বলন্ত রুপ । এবং এই বিবর্তন প্রাকৃতিক নির্বাচনের বিবর্তনের চাইতেও দ্রুত । আমাদের নিজেদের বয়সেও ধর্মের অনেক রুপ, প্রয়োগ এইসবের চেন্জ দেখি । কারণ তারা প্রতিনিয়ত নতুন পরিবেশের সাথে ম্যাচ করে চলে ।
একবার কোথায় যেন কোন ভিডিওতে দেখছিলাম, জীবাণুর সাথে যুদ্ধ করার সময় খুব ভালভাবে একটা নিয়ম খেয়াল রাখতে হয়। সেইটা হৈলো, কখনোই, ভুলেও একটা জীবাণুকে নির্মূল করার চেষ্টা না করা । নির্মূল হওয়ার ভয়ই বিবর্তনের সবচে বড় ড্রাইভিং ফোর্স । ধর্মগুলার বিস্তার এবং বিবর্তন দেখলে এইগুলার সাথে সবচে খাপ খায়, এনডিউরিং এবং খুব দ্রুত সংক্রামক জীবাণুগুলাই । এইগুলা ডেন্জারাস । বসন্ত এবোলা পোলিও এইসব নির্মূল কৈরা দেয়া গেছে কিন্তু সর্দির ভাইরাস নির্মূল করা যায় নাই ।
এইজন্য এইগুলারে ফাইট করার বেস্ট উপায় বোধহয় বিস্তার এবং ক্ষয়ক্ষতি মিনিমাইজ করার চেষ্টাই বোধহয় ।
ভবিষ্যতে ধর্মের বিবর্তন হয়ত এমন রুপ পাবে, যে তারে চিনা কষ্টকর হবে, কিন্তু এইগুলা ভাইরাসীয় প্রকৃতির কারণে টিকে থাকতে পারবে বোধহয় ।
২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ৩:০৪
মনির হাসান বলেছেন: চরম কমেন্ট ইয়া আলাই পাখি ...
বিস্তার আর ক্ষয়ক্ষতি মিনিমাইজ করার চেষ্টা'তেই বেশি মনযোগি হওয়া উচিত ...
নৈতিকতার জন্য ধর্মের আবশ্যকিয়তা নিয়া তোমার বিশাল মন্তব্য চাই ... আমি একটু আলোচনাইছিলাম ... টানতে পারতেছিনা ... (৪০ কমেন্ট দ্রষ্টব্য) ...
১৪| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৫১
অলস ছেলে বলেছেন: অ.ট. একটা লেখায় আপনার নাম নিয়েছিলাম। পরে দেখলাম সবাই ভুল বুঝছে কিন্তু এডিট করতে ইচ্ছে করেনি। মাইন্ড করবেন না আশা করছি।
আলোচনা পড়তে ভালোই লাগছে। বৈচিত্রময় চিন্তা।
২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ৩:১৪
মনির হাসান বলেছেন: ওক্কে ... ব্যাপারনা ...
আলোচনায় অংশ নিতে পারতেন ।
পরে সময় করে আলোচনার অগ্রগতি দেখে যাবেন আশা করি।
১৫| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৫৪
দুরন্ত স্বপ্নচারী বলেছেন: ধর্ম নিশ্চিতভাবেই নিশ্চিহ্ন হবে। এখনকার ধর্মীয় আচার পালনের কথা বইয়ে পড়ে ভবিষ্যত মানুষের খুবই বিস্মিত হবে। আমাদের জ্ঞান নিয়ে তারা সন্দেহ করবে। তবে এই সময়টা আসতে অনেক দেরী।
এটাও ঠিক গত ৫ হাজার বছর বা তারও বেশী সময় ধরে মানুষ যত জ্ঞান সৃষ্টি করেছে তারচেয়ে বেশী সৃষ্টি করতে পেরেছে গত ১০০ বছরে। এটাই স্বভাবিক প্রক্রিয়া। এখন জ্ঞান সৃষ্টি হলে তার সম্প্রচারও হচ্ছে দ্রুত। সেটা বিশ্বব্যপী দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। তাই এখন সামাজিক যে কোন পরিবর্তন ঘটতে সময় লাগবে খুবই কম।
উদাহরণ হিসেবে আপনি বাংলাদেশে জন্ম নিয়ন্ত্রন ব্যবস্থা গ্রহন, মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেটের বিস্তারের কথা কল্পনা করতে পারেন। ১৫ বছর আগের জীবন আর এখনকার জীবনের মধ্যে কি কল্পনাতীত পার্থক্য!
আমার ধারনা খুবই দ্রুত বিবর্তন ঘটবে। তিন দশকের মধ্যে ধর্মগুলো 'ক্রিটিক্যাল' অবস্থায় পৌছে যাবে। চয় দশকের মধ্যে মুমূর্ষু অবস্থা হবে। এবং এই শতাব্দীতেই তাকে 'ক্লিনিক্যালি ডেড' ঘোষনা করা হবে।
২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ৩:৪৫
মনির হাসান বলেছেন: ধর্ম নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে মানে কি বোঝাচ্ছেনঃ ধর্মের বিবর্তিত রুপে ধর্মের মূল রুপ যা অলৌকিক তেলেস্মাতি পূর্ণ ধরা ছোয়ার উর্ধে ... এরুপ রুপ থেকে লোকজ আচার নির্ভর সাংস্কৃতিক ফর্মেটে আসবে; নাকি সমূল বিনাশ ঘটবে ।
যদি সমূল বিনাশ বোঝাতে চান তাহলে দ্বিমত আছে ।
১৬| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৫৪
শয়তান বলেছেন: বিয়ের ব্যপারে কিন্তু মোল্লা বা পুরোহিত ডাইকা বিয়া পরানির দিন শেষ দিকে প্রায় ।্
২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ৩:৪৮
মনির হাসান বলেছেন: বিয়া পড়ানির ফ্যাসিলিটি পাইতেছেন রসিক পোলাপাইন প্রেমের আগে ধর্ম জিগায় নেয় না এই কারণে ।
১৭| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ২:০০
গোঁপা বলেছেন: ১. ধর্ম কি আদৌ টিকে থাকবে ?
২. টিকে থাকলে কিভাবে ?
৩. না টিকে থাকলে সেই শূন্যস্থান পূরন হবে কিভাবে ?
৪. যদি ধর্মের মূল রুপ পরির্তিত হয় .. তবে সে পরিবর্তিত রুপ'টা কেমন হবে ?
৫. মানুষের চরম অসহায় মূহুর্তে ধর্ম'আশ্বাস (মিথ্যে হোক আর যাই হোক) তাকে কিছুটা হলেও শান্তি দেয় .. এই শান্তি'টার বিকল্প কি হবে ?
৬. ইত্যাদি ইত্যাদি ।
উত্তর
১.সবকটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হলে প্রথমেই জানা দরকার ধর্ম কি ?
আমার মতে , মানুষ যা কিছু ধারন করে তাঁই তাঁ ধর্ম ।
কিন্তু মানুষজন মনে করে থাকে যে , ইসলাম , হিন্দু কিংবা বৌদ্ধ এইগুলো ধর্ম , আদৌ সে কথার ভিত্তি নাই ( এই বিষয়ে আমি যে কারো সাথে বাহাস করতে প্রস্তুত ) ।
এবার ১নং এর উত্তর হচ্ছে প্রাতিষ্ঠানিক (সাধারন লোকে যে অর্থে ধর্ম বোঝে ) কোন ধর্মই ভবিষৎ - এ টিকবে না ।
দুই .যেটা এখনও আছে সেইটা আরো বর্ধিত হবে অর্থাৎ ভোগবাদকে বুঝিয়েছি ।
৩. আমার মতে প্রকৃত ধর্ম যাকে আমি দর্শন বলি ( সাধারন মানুষ ধর্ম বলতে যা বোঝে ) তার স্থান নেবে লোকোত্তর দর্শন । লোকোত্তর দর্শন সম্পর্কে হালকা ধারণা দেয়া আছে আমার ব্লগে ।
৪ .সে পরিবর্তিত রূপ নয় ; আদি যে তার যে রূপ ছিল যেমন গৌতম বুদ্ধের আদি নির্বাতত্ত্ব , যথারিতি ইসলামে লা মোকাম বা মোকামে মাহমুদা তত্ত্বেরই নতুন করে প্রাকটিস শুরু হবে ।
৫.ফানা হয়ে গেলে অর্থাৎ মোকামে মাহমুদায় পৌঁছালে আর কারো আশ্রয়ের প্রয়োজন নেই ।
৬. দ্য স্কুল অব গ্রেট নোর লেখাগুলো পড়তে পারেন ।
ধন্যবাদ ওস্তাদ । জটিল কিন্তু সহজ প্রশ্নগুলো উত্থাপন করার জন্যে ।
২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ ভোর ৪:১১
মনির হাসান বলেছেন:
১. ধর্ম মানে সহজ শাব্দিক অর্থের ইসলাম, ক্রিশ্চিয়ানিটি, হিন্দুইজম, বুদ্ধিজম এসবকে বোঝানো হয়েছে ।
২. বাস্তব লক্ষন কিন্তু অন্য কথা বলে । উপরের মন্তব্য গুলো দ্রষ্টব্য ।
৩. ঠিক কোন লেখাটায় আছে লিঙ্ক পেলে সুবিধা হতো ... কেবল আচারি ধর্মের সাথে ১লা বৈশাখ উৎযাপনের পার্থক্য বেশি নয় । সেরকম কোন ফর্মে ধর্ম চলে গেলে তাকে কি আর ধর্ম বলা যায় ?
৪. নির্বাণতত্ত্ব বা লা মোকাম সম্পর্কে ধারনা কম ... তবে সেটা যদি আদি ফর্মেটের কিছু হয় তো বলবো সেরকম কোন প্রমান নেই যে এই সীদ্ধান্তে আসা যায় ... আদি রুপে নতুন করে প্রাক্টিস শুরু হবে ... ১২ নং কমেন্ট দ্রষ্টব্য ..
৫. "ফানাফিল্লাহ" টাইপের আধি ভৌতিক ব্যাপার স্যাপার প্রায় দুনিয়া থেকে বিদায়ের পথে ... প্রচন্ড বিশ্বাসীকেও যদি তুই বলিস ... অমুক পীরে ফানাফিল্লাহ হয়ে গেছে ... সে হাসতে হাসতে মরে হবে ...
৬. সময় নিয়ে পড়বো ... আগ্রহ আছে
১৮| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ২:০১
আরিফুর রহমান বলেছেন: শয়তান, বাংলাদেশে একজন নাস্তিক যদি ধর্মীয় ছায়া ছাড়া বিয়ে করতে চায়, তার কি কি লিগ্যাল ফ্রেমওয়র্ক আছে?
এখনতো বাংলাদেশে মনে হয় মুসলিম পারিবারিক আইনেই বিয়ে হয়!!
(আমি ভুলও হতে পারি)
২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:২৬
মনির হাসান বলেছেন: হুমম .. বুঝলাম বিবাহ নিয়া আরিফুর সাহেব কিছু'টা টেনশনে আছেন ... ব্যাপারনা ... আমিও ছিলাম ...
সুখের কথা হচ্ছে ... বাংলাদেশের জন্ম লগ্ন থেকেই ধর্মীয় পদ্ধতি ছাড়াই আইনতঃ বিয়ে করা যায় ... ধর্মীয় রীতিতে বিয়ে করতেই হবে এরকম কোন বাধ্যবাধকতা নাই ।
অবাক ব্যাপার তাই না।
১৯| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ২:০১
দুরন্ত স্বপ্নচারী বলেছেন: শয়তান, একটু গভীরভাবে চিন্তা করে দেখুন আর কোন কোন ব্যাপারে 'দিন শেষ দিকে প্রায়।' আর ধর্মটাকে বাংলাদেশ কেন্দ্রিক চিন্তা না করে যদি বিশ্ব প্রেক্ষাপটে চিন্তা করেন, তাহলে হয়তো আপনিও বলবেন ধর্মের জন্যে কাফনের কাপড় কেনার দিন সমাগত.......
২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:২৭
মনির হাসান বলেছেন: তাই বইলা এক্কেবারে কবর দিবেন ... ?!?
২০| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ২:০২
সবাক বলেছেন:
ধর্ম- যেটা গড রিলেটেড- সেটা টিকে থাকবে না।
যদিও আমি গোষ্ঠী প্রথায় নিরাপদবোধ করি না, তবুও মনে হয় ধর্মকে ঠিক ধর্ম হিসেবে নয়- গোষ্ঠীবদ্ধের কর্ম হিসেবে টিকায়া রাখন যায়।
ভৌগলিক অবস্থান এবং আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে ধর্ম (একধরনের প্রয়োজনীয় কর্মের রুটিন ওয়ার্ক, যা কাজ করবে সমষ্টিগত) টিকে থাকতে পারে।
যেমন- বাংলাদেশের ধর্ম হওয়া দরকার "কৃষি ধর্ম"। ইবাদত হতে পারে এরকম- সকালে ঘুম থেকে উঠেই দিনের প্রথম প্রস্রাবটা ফসলী জমিতে ঢালবো । ইউরিয়ার যোগান হবে।.....
২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:৪৮
মনির হাসান বলেছেন:
ধর্ম-যেটা গড রিলেটেড- সেটা টিকে থাকবে না।
ঠিক বুঝলাম না । ঈশ্বর এবং ঈশ্বরজাত ধর্ম একটা সম্পূর্ণ প্যাকেজ।
একটা অসার প্রমানিত হলে আরেকটা নিজে থেকেই বাতিলের খাতায়।
এবং সে পথেই যাচ্ছে পৃথিবী ।
কিন্তু ঈশ্বর বা তার ধর্ম অসার প্রমানিত হলেই কি তাদের অস্তিত্ব সমাজ জীবন থেকে এক্কেবারে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে ?
কৃষি ধর্মের ব্যাপার'টা আলাই পাখির কাবজাব ধর্মের নতুন রিচুয়াল হিসেবে হাতে রাখলাম ।
২১| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ২:০৫
আরিফুর রহমান বলেছেন: @সবাক,
আপনার চিন্তা মহৎ। তবে, যেখানে 'ইশ্বর' প্রজাতির কোন বস্তুর ছায়া নেই, সেখানে ধর্ম-পালনের ভীতিকর হুমকি বা প্রচ্ছন্ন লোভ কিসে মিলবে?
২২| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ২:০৬
হাসিব মীর বলেছেন: @ দুরন্ত স্বপ্নচারী বলেছেন অর্থাৎ মানুষ তার প্রয়োজনে ধর্মের বিধানের সংগে আপোষ করছে।
কিছুটা সত্য। ধর্ম নিজেই তো সময়ের সাথে পরিবর্তন মানে (সব ক্ষেত্রে না)। ইসলামের পরিভাষায় এরে ইজতিহাদ কয়। কাজেই টিকে থাকার কোনো সমস্যা দেখি না।
২৩| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ২:১০
এন্তার এত্তেলা বলেছেন: হাজার বছর ধরে ধর্ম নামক অদৃশ্য জিনিসটা টিকে আছে, থাকবে।
তবে হাজার বছর আগের ধর্ম আর এখনকার ধর্ম যেমন এক নয়, তেমনি আজকের ধর্ম আর আজ থেকে হাজার বছর পর ধর্ম এরকম থাকবেনা। থাকতে পারবেনা। প্রকৃতি থাকতে দেবেনা।
Act according to need !!!
২৩ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৩:৩৬
মনির হাসান বলেছেন:
প্রকৃতি থাকতে দেবেনা।
Act according to need !!! ...
চমৎকার ...
ব্যক্তিগতভাবে আমি সম্পূর্ণ সহমত ।
২৪| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ২:১২
রাহান বলেছেন:
১/ টিকে থাকবে।
২/ শুধুমাত্র 'ঈশ্বর বিশ্বাস' এর মাঝেই সীমাবদ্ধ থাকবে। কোনোরূপ ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের অস্তিত্ব থাকবে না।
৩/জটিল আর্থসামাজিক ব্যবস্থায় ধর্ম পালনের সুযোগ কোথায়?
৪/২নং এর উত্তর। কোন অস্তিত্ত্বহীন বস্তুর অনস্তিত্ত্ব প্রমাণ করা অসম্ভব। তাই ধর্মীয় বিশ্বাস শেষ পর্যন্ত 'ঈশ্বর বিশ্বাস' এ গিয়ে ঠেকবে।
৫/আজ পর্যন্ত মানুষ চরম অসহায় মূহুর্তে নিজ মেধাগুনেই বিজয়ী হয়েছে। সঠিক যুক্তিবোধের মাধ্যমে ভ্রান্ত ধর্ম আশ্বাস থেকে মুক্তি ঘটবে।
২৩ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:৫৫
মনির হাসান বলেছেন:
"কোন অস্তিত্ত্বহীন বস্তুর অনস্তিত্ত্ব প্রমাণ করা অসম্ভব।" সুতরাং ঈশ্বর বিশ্বাস/ধর্ম টিকে যাবে ... হুমম ... ভালো একটা চিন্তার বিষয়।
এখন মনে হচ্ছে এই আলোচনা'টা আরো বেশি জরুরী ছিলঃ ভুতের বিশ্বাস টিকে থাকবে কিনা ... হা হা হা ...
২৫| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ২:১৩
শয়তান বলেছেন: এখনতো বাংলাদেশে মনে হয় মুসলিম পারিবারিক আইনেই বিয়ে হয়!!
---------
বিয়া রেজিস্ট্রি করনটাই মুখ্য সার্বিকভাবে । এর ফাকে ব্যপারটারে আইনগত একটা বৈধতাও দেয়া হয় । আমি যেটা কইলাম আগেকার জামানার মোল্লা ডাইকা বিয়া পরানি অথবা মন্দিরে গিয়া পুরোহিতের মাধ্যমে বিয়া করার দিন শেষ।
বাংলাদেশে একজন নাস্তিক যদি ধর্মীয় ছায়া ছাড়া বিয়ে করতে চায়, তার কি কি লিগ্যাল ফ্রেমওয়র্ক আছে?
-------------
আদালতে গিয়া এফিডেবিট কৈরা বিয়া করন যায়। কেউ বাঁধা দেওয়ার নাই । ক্যারফা একটাই । সম্পত্তি বন্টন আইন । @ আরিফুর রহমান
@ দুরন্ত স্বপ্নচারী , বিশ্ব প্রেক্ষাপটে চিন্তা করার ক্ষেত্রগুলা দেন ।
২৬| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ২:১৪
...অসমাপ্ত বলেছেন: ৫. এর উত্তরে বলি।
সম্ভবত এই শান্তির আশ্বাসেই ধর্ম ফরম্যাটের কিছু বুজরুকি চালু থাকবে। সময়ের সাথে মোড়ক বদলাবে, উপাদানেও পরিবর্তন হবে হয়ত। কিন্তু অজানা শক্তিই সকল কিছুর নিয়ন্ত্রক, এই ভাবনাটা হয়ত টিকে থাকবে।
২৩ শে নভেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:০০
মনির হাসান বলেছেন: শেষ বাক্যে একমত না ... কোন কার্যকারন থেকে নয় মানুষ শেষ পর্যন্ত ঈশ্বর/ধর্ম'কে বয়ে বেড়াবে তার ঐতিহ্য রক্ষার্থে ... ঈশ্বরের প্রতি সিমপ্যাথি'তো আছেই ... সেটাও একটা ফ্যাক্টোর ... আমার মনে হয় আমি যদি জাকির নায়েক'দের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেই যে ঈশ্বর/আল্লাহ বলে কিছু নেই ... এবং সেও যদি তর্কের শেষ যুক্তিটি হেড়ে যায় তারপরও সে আল্লাহ/ঈশ্বর মানবে ... নামাজকালাম পড়বে ... ঐ সিমপ্যাথির কারনে ...
২৭| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ২:১৪
লুকার বলেছেন:
ধর্ম এখন ইন্টারনেটে ছড়ায়, অন্ধত্ব এখন স্যাটেলাইট চ্যানেলে প্রচারিত হয়। মনে হয় মানুষ যতদিন আছে, ধর্ম ততদিন থাকবে, তবে হয়তোবা কোনঠাসা হয়ে। অসহায় মানুষের বড় আশ্রয় ধর্ম। কম্যুনিস্ট রাষ্ট্রে অনেক মানুষ গোপনে ধর্মচর্চা করতো, যুক্তি বা আইন সেখানে তেমন কাজে লাগেনি। আজন্ম লালিত অলৌকিক বিশ্বাসকে সাধারণ মানুষ প্রশ্নের সম্মুখীন করতে ভয় পায়। এখানে মানুষ প্রবল আপোষকামী। মনের দ্বিধা চেপে রেখে একজীবন পার করে দেয়।
২৩ শে নভেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:০৪
মনির হাসান বলেছেন: হুমমম .. বাস্তবতা ... তবে আমি আশাবাদী যে ধর্ম তার অলৌকিক এবং ভৌতিক ওজন হারানো শুরু করে দিয়েছে অনেক আগে থেকেই এবং সেটা দিন'কে দিন গুনিতক হারে বাড়ছে ...
২৮| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ২:১৬
গোঁপা বলেছেন: কে জানি বলেছেন মৃত্যু ভয় !
করিম সাঁইজীকে ( শাহ আব্দুল করিম ) একবার প্রশ্ন করা হয়েছিলো ,মৃত্যু সম্পর্কে আপনার ভাবনা কি ?
তিনি বলেছিলেন : যে সমস্ত উপাদানে আমার দেহ গঠন , সেই সমস্ত উপাদানের সাথে মিশে যাওয়ার নামই মৃত্যু ।
তাঁর কথাটির একটি দার্শনিক ব্যাখ্যা আছে , সে প্রসঙ্গে এখন যাবোনা ।
মূল কথা মৃত্যু ভয়ের সাথে বোকারাই ধর্মকে গুলিয়ে ফেলে , যেভাবে ধর্ম আর দর্শনকে যুগপৎ গুলিয়ে ফেলেছে সবাই ।
২৯| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ২:১৮
শয়তান বলেছেন: পোস্ট টা না..বিশেষত নাস্তিকদের জন্য। সুফী সাব্রা য়েখানে ক্যান
৩০| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ২:১৯
গোঁপা বলেছেন: আমাদের ধর্ম হোক ফসলের সুষম বন্টন ... বাক্যটি কবি আল মাহমুদ-এর । কবির সাথে আমি একমত ।
৩১| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ২:২০
সবাক বলেছেন:
@ আরিফুর
প্রচ্ছন্ন লোভে মানুষের অনেস্ট প্রয়োজনই যথেষ্ট। সেটা অবশ্য কোনভাবেই গড বিলিভার দিয়ে হবে না।
প্রয়োজন অনুসারে মানুষের ধর্ম আপডেট হবে। কৃষিতে উন্নতি লাভের পর আমাদের পরবর্তী মূখ্য প্রয়োজনের দিকে যাবো। তবে সেটার পারমানবিক প্রয়োজনের বেলায় আমি পালামু।
৩২| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ২:২৩
দ্বিতীয়নাম বলেছেন: উৎপাদনে শ্রম না দিয়াও চাঁদাবাজ আর ঘুষখোররা যেমন নিজেদের বৈষয়িক পুষ্ঠি অর্জনে সক্ষম। তেমনি মোল্লা-পুরহিত আর ধর্মব্যবসায়ীদের বৈষয়িক আর ইহলৌকিক জীবনের সমৃদ্ধি আর রাজনৈতিক-সামাজিক প্রভাব প্রতিপত্তির নিমিত্ত ধর্ম টিকে থাকবে।
৩৩| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ২:২৪
শয়তান বলেছেন: @সবাক , ঈশ্বর ধারনা বাদ দিয়া ধর্ম = বিগ জিরো
৩৪| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ২:২৫
দুরন্ত স্বপ্নচারী বলেছেন: শয়তান ভাই, আপনে একটা বিজ্ঞ মানুষ। আমার লগে মশকরা করেন কিল্লাই?
আমাদের মতো অশিক্ষা ও দারিদ্র পীড়িত দেশেই কিভাবে বিবর্তন হচ্ছে সেটা আগেই বলেছি। উন্নত দেশগুলোতে মানুষ অনেক আগেই ধর্মীয় আচার পালন থেকে বেরিয়ে এসেছে। আমি এক আম্রিকান পাদ্রীকে দেখেছি তার স্ত্রীকে প্রকাশ্যে ঠোটে চুম্মা দিতে। অর্থাৎ ঐসব দেশে যারা ধর্ম সবচেয়ে বেশী পালন করে তাদের অবস্থা হলো ঐটা। আর যারা পালন করে না তাদের অবস্থাটা কেমন হতে পারে কল্পনা করুন। এবং পালন না করা লোকের সংখ্যাই বেশী।
স্ব স্ব ধর্ম ঠিক মত পালন করছে এমন লোকের সংখ্যা আসলেই খুব কম। তাছাড়া প্রতি বছর আমাদের মতো নাছোড়বান্দা ধার্মিক দেশ থেকেও লাখ লাখ লোক কামলা খাটতে/ হানিমুনে বিদেশে যাচ্ছে এবং ঈমান হারানোর মশলা হৃদয়ে গেথে আনছে। আর ডিশ টিভি, ইন্টারনেট, ডিজুস রাতভর মাগনা ইত্যাদি আছে না?
সারা পৃথিবীতে কত মানুষ আছে? তাদের মধ্যে ঠিক কতজন ধার্মিক একটু কল্পনা করুন। তাহলেই সব কিলিয়ার হয়ে যাবে।
৩৫| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ২:২৬
সবাক বলেছেন:
লুকারের কমেন্টে ভাবনার খোরাক আছে।
সুবিধাবাদীরা ধর্মকে ইশ্বর সহ টিকিয়ে রাখবে। কারণ বিশ্ব ক্রমেই চরম প্রতিযোগীতায় যাচ্ছে।
==========
শয়তানরা খালি বিয়ার কথা কয়
বৌয়ের কথা মনে পড়ে!
৩৬| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ২:৩১
শয়তান বলেছেন:
তাদের মধ্যে ঠিক কতজন ধার্মিক নাকি প্র্যাক্টিসিং ধার্মিক ? কোনটা বোঝাইতে চাইলেন @ দুরন্ত স্বপ্নচারী ।
নামকাওয়াস্তে ধার্মিক সংখ্যা ব্যপক । কিন্তু ক্টিসিং ধার্মিক সংখ্যা গুনলে আস্তিক্রা লজ্জা পাইবো
৩৭| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ২:৩২
সবাক বলেছেন:
@ শয়তান...
এক শ্রেণী মনৈ ধর্মের শাব্দিক অর্থের প্রতি ঝুঁকছে। একেবারে যৌক্তিক- যেমন লোহার ধর্ম অনুযায়ী পানিতে ঢুববে... আবার কাঠখন্ডের সহিত বেঁধে নিয়ে ভাসবে।
ইশ্বর এখানে তেমন যুইত করতে পারবে না।
৩৮| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ২:৩২
দুরন্ত স্বপ্নচারী বলেছেন: পাপিষ্টরা সব এক জায়গায় হইচে। এগো সাথে কথা কইলে ঈমান লইয়া মরতে পারুম না।
আমার আবার হুরের প্রতি দুব্বলতা আচে। শুনছি তেনারা নাকি বড়ই সোন্দর্য!
৩৯| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ২:৩৪
দুরন্ত স্বপ্নচারী বলেছেন: প্র্যাক্টিসিং ধার্মিক বুঝাইছি। নামকা্য়াস্তে ধার্মিকরা ধর্ম টিকিয়ে রাখতে কোন ভূমিকা রাখবে না। @ শয়তান
৪০| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ২:৫৬
মনির হাসান বলেছেন: ব্যাক্তিগত চিন্তা যেন অপর'কে প্রভাবিত না করতে পারে তাই এত পরে নিজস্ব মন্তব্য করছিঃ
ধর্ম আকাশ থেকে গায়েবি পতনের বহু, এবং বহুকাল আগ থেকেই মানুষ তার জ্ঞানসীমার বাইরের কোন পরম'অস্তিত্বে নিজের ভরসা খুজে নিত অভ্যস্ত হয়ে পরে।
এই অভ্যস্ত'পনা আরোপিত নয় .. স্বতস্ফূর্ত । মানুষের জিন পর্যন্ত সেই অভ্যস্ততা কোন প্রভাব হয়তো ফেলতে পারে নাই ... কিন্তু প্রভাবের গভীরতা সমমাপেরই ।
পরবর্তি'তে ধর্মপুরুষ'রা সেই অভ্যস্ততার চাতুর্যপূর্ণ সুযোগ নিয়ে নিজ নিজ মতবাদ প্রতিষ্ঠা করেছে মাত্র ।
আমি মনে করি ... মানুষের অসহাত্ব যেখানে অসীম ... ধর্ম সেখানে টিকে যাবে ... ভবিষ্যতের বিজ্ঞান বা নাস্তিকরা যদি চোখে আঙ্গুল দিয়েও দেখিয়ে দিতে পারে না তোমার ধর্ম'মতের ঈশ্বর আসলে নেই ... তবুও দেখা যাবে সে তার ঈশ্বর রুপ'কে কাস্টমাইজ করে চিন্তা করবে ...
ধর্ম ... লোক'আচারের পর্যায়ে অলমোস্ট এখনই চলে এসেছে। শুক্রবারের জ়ুম্মার নামাজ বা রবিবারে চার্চে প্রার্থনা সামাজিক আচার হিসেবেই ভাবতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করে ।
আর নৈতিকতার প্রয়োজনে ধর্মের আবশ্যকিয়তা একটা বিশাল ফ্যাক্টর ... আমি নিজে যতই ধর্মর বিরুদ্ধে বিষোদগার করিনা কেন ... এটা স্বীকার করবো যে ... নির্বোধ শ্রেনীর মানুষ'কে অনৈতিক কার্যকলাপ থেকে বিরত রাখতে ধর্মের কার্যকারীতা বেশ কিছুটা হলেও আছে ।
৪১| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ২:৫৭
ইশতিয়াক অাহমেদ বলেছেন: ১. ধর্ম কি আদৌ টিকে থাকবে ?
- প্রিয় মনির ভাই, টিকে থাকবে।
২. টিকে থাকলে কিভাবে ?
- আমাদের মতো কিছু ধর্ম বিশ্বাসী, যারা আধুনিক ভাষায় পশ্চাৎপদ মানুষ, যারা চিন্তায় চেতনায় আসলে এই ব্যাবসায়ের কাচামাল মার্কা 'ধর্ম'কে লালন করে না, যারা আসলে এই সময়ে চরম অসহায়ত্ব নিয়ে বেঁচে আছে। কারণ তাদের সাথে নাস্তিকরা তো নেই-ই, প্রচলিত অর্থে ধর্মীয় লোকজন যাদের ধর্মীয় মহাজন বলাই ভালো তাদের কাছেও এই শ্রেণীর কোনো জায়গা নেই।
যাদের ধর্মচর্চা শুদ্ধ আর ভালোবাসায় পূর্ণ।
ধর্ম তাদের মাঝেই টিকবে।
৩. না টিকে থাকলে সেই শূন্যস্থান পূরন হবে কিভাবে ?
- যেহেতু টিকবে, তাই শুন্যস্থান নাই।
৪. যদি ধর্মের মূল রুপ পরির্তিত হয় .. তবে সে পরিবর্তিত রুপ'টা কেমন হবে ?
- ধর্মের মূল রূপ পরির্তিত হবেনা।
৫. মানুষের চরম অসহায় মূহুর্তে ধর্ম'আশ্বাস (মিথ্যে হোক আর যাই হোক) তাকে কিছুটা হলেও শান্তি দেয় .. এই শান্তি'টার বিকল্প কি হবে ?
- যেহেতু টিকবে, সেই শান্তিই থাকবে।
৬. ইত্যাদি ইত্যাদি ।
- ইত্যাদীর ১৫ বছর হয়ে গেছে, সেটাও হয়তো হানিফ সংকেতের কলাণে আরো অনকেদিন টিকে থাকবে।
মনির ভাই আপনি ভালো আছেন?
৪২| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ৩:০৪
সুদীপ্ত শর্মা বলেছেন: @দুরন্ত স্বপ্নচারী বলেছেন: ধর্ম নিশ্চিতভাবেই নিশ্চিহ্ন হবে। এখনকার ধর্মীয় আচার পালনের কথা বইয়ে পড়ে ভবিষ্যত মানুষেরা খুবই বিস্মিত হবে। আমাদের জ্ঞান নিয়ে তারা সন্দেহ করবে।... তিন দশকের মধ্যে ধর্মগুলো 'ক্রিটিক্যাল' অবস্থায় পৌছে যাবে। ছয় দশকের মধ্যে মুমূর্ষু অবস্থা হবে। এবং এই শতাব্দীতেই তাকে 'ক্লিনিক্যালি ডেড' ঘোষনা করা হবে।
৪৩| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ৩:০৬
আমি এবং আঁধার বলেছেন: অনেক জ্ঞানী-গুণিদের ভীড়। আমি এক্কেরে মুখ্যুসুখ্যু মানুষ, কাজেই একটা হালকা টাইপের সাই-ফাই গপ্পো শোনাই। বইয়ের নাম ফাউন্ডেশন। আইজাক আসিমভের মাস্টারপিস।
১০,০০০ বছর পরের কথা। সমগ্র গ্যালাক্সি জুড়ে মানুষ ছড়িয়ে পড়েছে। এসময় হ্যারী সেলডন নামের এক প্রতিভাবান গণিতবিদ তার আবিষ্কৃত সাইকোহিস্টোরির মাধ্যমে দেখলেন ৩০,০০০ বছর ধরে এক চরম অরাজকতা নেমে আসছে সর্বত্র। তিনি এক সমাধান বের করলেন যা দিয়ে এই ধারাকে কয়েক হাজার বছরে নামিয়ে আনা সম্ভব। তিনি কি করলেন?
১. ফাউন্ডেশন নামে একটি সংস্থা স্থাপন করলেন অনেক দূরের একটি গ্রহে। তাদের কাজ জ্ঞান-বিজ্ঞানকে এক করে একটি এনসাইক্লোপিডিয়া বানানো।
২. অনেক কাল পর। যখন সমগ্র গ্যালাক্সি আবার অন্ধকারে, তখন জ্ঞানে-বিজ্ঞান উন্নত ফাউন্ডেশন বিভিন্ন গ্রহে প্রতিনিধি পাঠাতে লাগলো। কিন্তু সবাই তাদেরকে দেখলো অপদেবতা হিসেবে। বর্জন করলো তাদের জ্ঞান। কি করা যায়? আবিষ্কৃত হলো নতুন ধর্ম। বিজ্ঞান আর ধর্মকে ককটেল বানিয়ে সাপ্লাই দেওয়া হলো, পাবলিক খেলোও আচ্ছামতো।
৩. অনেক কাল পর। ধর্ম যে শোষণের হাতিয়ার, অর্থহীন তা সবাই বুঝে গেছে। কাজেই ধর্ম অনেকাংশেই বাদ। পাঠানো হলো ছোটো ছোটো বণিকদলকে। উন্নতপ্রযুক্তি দিয়ে অনুন্নত গ্রহগুলোকে অর্থনৈতিকভাবে নির্ভরশীল করে তোলা হলো। বণিকদের আয়ের একটা বড় অংশ দিতে হতো ফাউন্ডেশনকে।
৪. অনেক কাল পর। বিশাল বিশাল বণিক রাজপুত্ররা নিয়ন্ত্রণ করতে থাকলো পুরো গ্যালাক্সিকে।
৫. অবশেষে পরিপূর্ণ নিয়ন্ত্রণে এলো পূর্ণ গ্যালাক্সি। ফাউন্ডেশনের আওতার বাইরে যাওয়ার কারো উপায় নেই, অর্থনৈতিক, সামাজিক বা ধর্মীয় ভাবে।
...........................................................................................
কেমন লাগলো???
৪৪| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ৩:০৯
শয়তান বলেছেন: লেখকের ধর্মের উৎপত্তি সংক্রান্ত স্বতস্ফূর্ত ততত্বে ভেজাল আছে । লেখক কি ভয় আর ধর্মরে মিশায়া ফেল্ল ? কে না জানে ধর্মর সৃষ্টিকত্তা এবং বিবর্তনকারি বরাবরই অলস ক্যাংলা পুরোহিত শ্রেনীর মাধ্যমেই হৈসে
৪৫| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ৩:২৫
সবাক বলেছেন:
লেখককে বাঁশডলা দেয়া হৌক.. হেয় কৈ গেছে?
২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ৩:৪৯
মনির হাসান বলেছেন: আছিরে বাপ ... জ্ঞানী গুনীরা মন্তব্য করতেছে দেইখা শুইনা বুইঝা উত্তর দেওন লাগে ... বহুত টাইম নিতাছে ...
৪৬| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ৩:২৫
শয়তান বলেছেন: অটঃ গ্রুপে পোষ্টটা শেয়ার করেন মনির
২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ৩:৫০
মনির হাসান বলেছেন: পোস্ট করণের ১ মিনিটের মাথায় করছি ... টেনশন নাই ।
৪৭| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ৩:৩৪
দুরন্ত স্বপ্নচারী বলেছেন: শয়তান বলেছেন: লেখকের ধর্মের উৎপত্তি সংক্রান্ত স্বতস্ফূর্ত তত্ত্বে ভেজাল আছে । লেখক কি ভয় আর ধর্মরে মিশায়া ফেল্ল ? কে না জানে ধর্মর সৃষ্টিকত্তা এবং বিবর্তনকারি বরাবরই অলস ক্যাংলা পুরোহিত শ্রেনীর মাধ্যমেই হৈসে
সহমত।
নির্বোধ শ্রেনীর মানুষ'কে অনৈতিক কার্যকলাপ থেকে বিরত রাখতে ধর্মের কার্যকারীতা বেশ কিছুটা হলেও আছে ।
মনির হাসান, মাঝরাতে হাসাচ্ছেন কেন? 'অনৈতিক কার্যকলাপের' ডেফিনেশন কি?
মনে করেন গাঁও গ্রামে একজন লোক মাঠে কাজ করে। সে প্রাত্যহিক জীবনে কি কি অনৈতিক কাজ করতে পারত যা থেকে ধর্ম তাকে বিরত রাখছে?
ঘুষ খেয়ে কাস্টম ইন্সপেক্টরকে বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনে পোস্টিং দিতে পারত? এশিয়া এনার্জিকে ব্লক ইজারা দিতে পারত?
সে যা সর্বোচ্চ যা পারত তা হলো, পাশের বাড়ীর চাচাত ভাইয়ের অনুপস্থিতে তার বৌয়ের সাথে লীলা করতে। অথবা একই পাড়ার হাশেম মিস্ত্রীর ক্ষেত থেকে ২/৪ টা টমেটো তুলে লুংগিতে পেঁচিয়ে বাড়ী আনতে। অথবা খেজুরের রস চুরি করে খেতে।
এর বেশী সে কি কাজ করতে পারতো যা 'অনৈতিক কার্যকলাপ' এর মধ্যে পড়ে?
সে হয়তো এই তথাকথিত অনৈতিক কাজগুলো করা থেকে বিরত থাকতে পারে মরার পরের আজাবের ভয়ে। কিন্তু সেটা তো অবিকশিত মস্তিস্কের চিন্তা। যারা আজাবের ভয় পায় না বা বিশ্বাস করে না তারা কি ঐ আকামগুলো করে? নিশ্চয় নয়। কারণ, বিকশিত মস্তিস্ক সুস্থ বোধের জন্ম দেয়।
২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:০১
মনির হাসান বলেছেন:
১ম অংশের উত্তর শয়তান'কে দিচ্ছি আরেকটু পর ।
২য় অংশের উত্তর'টায় বলবো ... স্বপনের কমেন্ট'টা আমারো মতামত ... তাই নির্দ্বিধায় পেস্ট করলাম ...
ফরহাদ উিদ্দন স্বপন বলেছেন: @ না.ধ
তর্কের খাতিরে আমি ধর্মশূন্য একটি সমাজ-কে চিন্তা করে নিলাম। ধরে নিলাম সেখানে সবাই স্রষ্টা বা ধর্মের অস্তিত্বে বিশ্বাস করছেনা। এখন এটা যদি আপনি আমাদের দেশের সাপেক্ষে চিন্তা করেন তাহলে শতকরা এই পচাশিভাগ অশিক্ষিত মানুষ (সবাই আরজ আলী মাতব্বর নন) কিভাবে নৈতিক থাকবে। ধর্মতো তাদের কিছু না কিছু নৈতিক শিক্ষা দিচ্ছে। এখানে ঈশ্বরের বা স্রষ্টার শূন্যতাটা বা নৈতিক শিক্ষাটা আপনি কিভাবে পূরণ করবেন। আপনি বলতে পারেন বিবেকের জাগরণের মাধ্যমে। কিন্তু সেটার জন্য প্রয়োজন নৈতিক শিক্ষার এবং অবশ্যই এটা দীর্ঘমেয়াদী প্রসেস। মানুষের বিশ্বাস বা কালচার অতো তাড়াতাড়ি দূর করা সম্ভব নয়।
৪৮| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ৩:৫৬
শয়তান বলেছেন: স্পষ্টাক্ষর গ্রুপে
২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ ভোর ৪:১৩
মনির হাসান বলেছেন: গ্রুপে দিছি ... দেখতেছেন না ... আমিতো দেখতেছি ।
৪৯| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ ভোর ৪:২৩
নাজিম উদদীন বলেছেন: ধর্ম টিকে থাকবে, মানুষ খুবই দূর্বল প্রাণি, কোন ধরণের সাপোর্ট না থাকলে অনেকের পক্ষেই বেঁচে থাকা সম্ভব না। চিন্তার শক্তি না থাকলে আর পারিবারিকভাবে ধর্মীয় পরিবেশে বড় হলে ধর্মের একটা কুপ্রভাব থেকেই যাবে। পালন না করলেও ভাববে এটা মনে হয় ভাল, পুরাণে বিশ্বাস অনেক কমে যাবে।
আজকের যুগে যারা বিজ্ঞানী, ডাক্তার এদের কোনভাবেই ধর্ম মানার কথা না, কিন্তু তারপরেও আমরা দেখতেছি এর একটা অংশ নামকাওয়াস্তে সামাজিক এবং পারিবারিক শান্তির জন্যে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যাচ্ছে। ধর্মের এই কালচারাল দিকটা হয়ত টিকে থাকবে, আধ্যাত্মিকভাবে মারা যাবে বা সংশয়ী মানুষের তৈরি হবে, আগের মত ঈমানদার পাওয়া যাবে না।
৫০| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ ভোর ৪:৪৬
গোঁপা বলেছেন: আমার লেখাটা পাবেন দ্য ফিলজফি অব দ্য স্কুল অব গ্রেট নো তে ।
দুই .
ফানা ফিল্রার ব্যাপারটা না বুইঝাই কমেন্ট করলেন । দুখঃ পাইছি । তবুও ওস্তাদ বইরা কথা ।
প্রচলিত ধর্ম ব্যবস্থার বিপক্ষে এই খানে দাড়িয়েছেন কাছের ধরলে রামানন্দ এবং কিছুটা দুরে মনসুর হাল্রাস । সন্ত কবির ও কম নয় ।
ফানা ফিল্লার ব্যপারটাকে বায়বিয় ভাবাটা অন্যায় ।
এটা কোন অলৌকিক ব্যাপার না । এই ছোট পরিসরে যার ব্যাখ্যা সম্ভব নয় ।
কেবল সাঁইজীর একটা গান তুলে দিচ্ছি :
কোন নামে ডাকিলে তারে হৃদ আকাশে উদয় হবে
আপনার আপনি ফানা হলে সেভেদ জানা যাবে ।
মনের ভাব প্রকাশিতে
ভাষার উদয় এ জগতে
মনাতিত অধর চিনতে
ভাষা বাক্য নাহি পাবে ।।
আল্রাহ হরি ভজন পুজন
এ সকল মানুষের সৃজন
অনামক সিনায় বচন
বাগেন্দ্রিয়ে না সম্ভবে ।।
আরবি ভাষায় বলে আল্রাহ
ফারসিতে কয় খোদা তায়ালা
গড বলেছেন যিশুর চেলা
ভিন্ন দেশে ভিন্ন ভাবে ।।
আপনাতে আপনি ফানা
হলে পরে যাবে জানা
সিরাজ সাঁই কয় লালন কানা
স্বরূপে রূপ দেখ সংক্ষেপে ।
৫১| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ ভোর ৪:৫৩
মনজুরুল হক বলেছেন:
পেটের খোরাকে ব্যস্ত ছিলাম তাই আসতে দেরি হলো।
এতক্ষণ পরে আসল পয়েন্টে আলোকপাত করলেন নাজিম উদদীন।
"চিন্তার শক্তি না থাকলে আর পারিবারিকভাবে ধর্মীয় পরিবেশে বড় হলে ধর্মের একটা কুপ্রভাব থেকেই যাবে.......ধর্মের এই কালচারাল দিকটা হয়ত টিকে থাকবে"।
এটাই সত্যি। ধর্ম যেমন এখন সমাজের একটি ডোমিনেটিং সাবজেক্ট, সে যেমন এখন বাকি সকল চিন্তাকে প্রভাবিত করতে পারে, তখন(হয়ত আরো শত বছর পরে) এর অবস্থানের গুণগত পরিবর্তন হয়ে এটি নিছক সামাজিক আচার-আচরণে সীমাবদ্ধ হয়ে যাবে। আর সে হিসেবে আরো দীর্ঘদিন ধরে টিকে থাকবে সনাতন ধর্ম, কেননা এর পালনীয় আচারে ধর্মীয় অনুশাসনের চেয়ে আর্থসামাজিক অনুসঙ্গ আর চিরায়াত দর্শনই বেশি প্রভাব রাখে। সমগ্র বিশ্ব শ্রেণীহীন রাষ্ট্র শুকিয়ে মরা অবস্থানে উপনীত হওয়ার পরও সনাতন ধর্ম ঠিকই তার সহজীয়া পূজা-অর্চনায় নিজেকে টিকিয়ে রাখার শর্ত তৈরি করবে।
৫২| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ ভোর ৫:২৫
নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন:
আমি আইছি........
মেলা দেরীতে........
আপনারা যারা অহনতক আছেন যাইয়েন না তাড়াতাড়ি - আমার কথাডা শুইনা যান- আগে কমেন্টগুলান একটু পইড়া লই....
(পোস্টের জন্য থ্যাংস)
৫৩| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ ভোর ৫:৩৪
মামদোভুত বলেছেন: ধর্ম সম্পর্কে আমার আদৌ কোনো আগ্রহ নাই। ধর্ম শব্দের অর্থ এক আর অধিকাংশ মানুষ বোঝে আরেক।
তবে "ধর্মে"র মৃত্যু হৈতেসে না অতি সত্বর। এই ব্যাপারে নিশ্চিত থাকেন। আমগো দেশের সংখ্যা গরিষ্ঠের ধর্ম কি? এই প্রশ্ন করলে সবাই সমস্বরে কৈব, ইসলাম। কিন্তু ইসলাম কি? এইটা কি সব দেশে একরকম? জ্বে না জনাব। তাইলে কি বাংলাদেশে বাংলাদেশি ইসলাম আর পাকিস্তান বা তিউনিসিয়ায় যথাক্রমে পাকিস্তানী বা তিউনিসিয়ান ইসলাম চালু আছে? ইসলাম তাইলে কত প্রকার ও কি কি? একি ধরনের কথা বা প্রশ্ন করা যায় অন্যান্ন যে কোনো প্রচলিত ধর্মরে নিয়া। কিন্তু প্রশ্ন বা প্রশ্নের উত্তর যাই হোক না কেন, নিগুড় অর্থটা দাড়াইতাছে এই যে ধর্মের কোনো নির্দিষ্ট রূপরেখা নাই। এই উক্তিতে অনেকে বিতর্ক করতে পারে। কিন্তু বাস্তব বাস্তবই। এখন কথা হৈল নির্ধারিত রূপরেখা না থাকা একটা রিতী বা রেওয়াজ মানুষ এতটা আন্তরিকতার সাথে পালন করে কেন? উত্তর হৈল মানুষেরর অন্তর্নিহীত ভিতী। পারবেন আপনে মানুষের মন থেইকা এই ভিতী দূর করতে? মনে হয় না। সুতরাং ধর্ম যুগে যুগে নানান ফর্মে বা ফরম্যাটে দেশে দেশে থাইকাই যাইবো।
উদাহরন দেই। আইজ থেইকা ২০/২৫ বছর আগে বাংলাদেশে এত মোল্লা মুন্সি টাইপ মানুষ দেখা যাইতো না যতগুলি না দেখা যায় এখন। এরা সবাই কি ভালো মানুষ? বা মানুষ? কিন্তু ধর্মীয় লেবাস ঠিকি লাগাইসে। আর এই লেবাসের গতর খাটায়াই বংশ বৃদ্ধি করে ধর্ম।
ব্যাপারটা অনেকটা সিগারেট কোম্পানীর ব্যাবসায়িক নিতির লাহান। পোত্যেকটা কোম্পানীই এন্টি স্মোকিং কেম্পেইনের পিছে গুচ্ছের টেকা খরচ করে বিনিয়োগ হিসাবে। কারন তারা জানে যে নয়া একজন ধূমপান ত্যাগকারীর বিপরীতে তারা পাইবো ১০ জন টিনএজার নিউ স্মোকার। অনেকটা এই জাতীয় চেইন রিএকশানের ফলে আইজকা দেশে ধর্ম এবং ধার্মিকদের এই হালত।
আসলে মনির ভাই, ব্যাপারডা খুবি নাজুক। কথা কওন শুরু করলে শ্যাষ হৈব না।
৫৪| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ ভোর ৫:৩৭
নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন:
ভবিষ্যতে ধর্ম থাকবে কি থাকবে না - টিকবে কি টিকবে না- এই প্রশ্নের জবাবটা আমার মনে হয় খুব বেশী সম্পর্কিত "ধর্মের উদ্ভব কেমন করে" এবং "তা কি করে কোন ফর্মে আজতক টিকে আছে" এই প্রশ্নের সাথে। পরবর্তী প্রশ্নের জবাবটা যদি হয়- শ্রেণী ভিত্তিক সমাজ বা শোষণমূলক সমাজ উদ্ভবের সাথে সাথে ধর্মের উদ্ভব ঐ সমাজের শোষণ নিপীড়নকে জারি রাখার উদ্দেশ্য এবং আজতক এটা টিকে আছে- এলিট শ্রেণীর প্রয়োজনে ও পৃষ্ঠপোষকতায় এবং নানা ধর্মে নানা পথ ও মতের মাধ্যমে মানুষে মানুষে বিভেদ সৃষ্টির অনুষঙ্গতায়; তবে এটা অন্তত বলতে পারি নিশ্চিতভাবেই যতদিন শ্রেণীহীন সমাজ প্রতিষ্ঠিত না হচ্ছে- যতদিন মানুষের উপর মানুষের শোষণ বন্ধ না হচ্ছে- ততদিন ধর্ম থাকবে, অনেকগুলো ধর্মের মাধ্যমে মানুষে মানুষে বিভেদ সৃষ্টির অনুষঙ্গ নিয়েই থাকবে, গরীব দুখীদের সান্তনা হিসাবে ও বড়লোকেদের শোষণের হাতিয়ার হিসাবেই বহাল তবিয়তে টিকে থাকবেই।
.... চলবে
৫৫| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ ভোর ৬:৩৪
দি ফিউরিয়াস ওয়ান বলেছেন: ধর্মের একটা সাইড তেমন কেউ টাচ করলেননা দেইখা একটু অবাক হইলাম---সেইটা হইল ধর্মের সামাজিক যূথবদ্ধতা(সবাকের প্রথম কমেন্টটা এইটারে হালকা টাচ করছে)
ধর্মে যদিও একজন সর্বশক্তিমানের কথা বলা হইছে, সেইটাই কিন্তু ধর্মের শেশ কথা না, বরং শুরু। আমার কাছে ধর্ম জিনিসটাকে একটা সোশাল ফোর্স বইলা মনে হয়, যার মেইন উদ্দেশ্য হইতাছে একটা "আদর্শ" সমাজ গঠন, এবং ধর্মের স্পিরিচুয়ালিটির একটা বিশাল অংশ সেই সমাজ গঠনের দিকে তাকায়া করা হইছে বইলা মনে হয়।
অনেকে ভাবেন, সর্বশক্তিমানের ভাবনাটা গুঁড়ায়া দিতে পারলেই বুঝি ধর্মের ভিত ভাইঙ্গা দিলাম। কিন্তু ধর্ম আরো বেশী কিছু অফার করে তার অনুসারীরে---সেইটা হইল সেন্স অফ বিলংগিং, একটা বিশাল , ঐতিহাসিক, "মহৎ" কিছু একটার পার্ট হইতে পারা। আমি মুসলিম ফ্যামিলি থিকা আসছি, তাই ইসলামটা বেশী জানি। ইসলামের নিয়ম কানুন পইড়া/দেইখা কোন সন্দেহই থাকেনা যে ইহার মূল উদ্দেশ্য হইতাছে একটা নিয়ম-তান্ত্রিক সমাজ গঠন করা, যে সমাজ হইব শক্তিশালী, গণমুখী (সর্বাংশে না হইলেও) এর নাগরিকরা হইব নিবেদিতপ্রাণ আর ইসলামের সাম্রাজ্যরে আগায়ে নিতে সদা প্রস্তুত।
এখন এইটা ঠিক যে ইসলামের "আদর্শ" সমাজ আর আমার আপনার আদর্শ সমাজ এক নাও হইতে পারে।
তাই ধর্মের শক্তি মাপতে গিয়া খালি স্পিরিচুয়ালিটি ভাবলে ভুল হইব, তার সামাজিক শক্তিটারেই বরং বেশী সমীহ দেয়া দরকার বইলা মনে করি।
৫৬| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ ভোর ৬:৪৪
সাঁঝবাতি'র রুপকথা বলেছেন: এইডা অখনও চলতে আছে ...?
৫৭| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ সকাল ৭:১৬
নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন:
ঠিকাছে, আপনার যখন এত আপত্তি- আর চালামু না.....
(আগের কমেন্টের "চলবে..." উইথড্র করতাছি)
@সাঁরু
৫৮| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ সকাল ১০:৩৯
তাজা কলম বলেছেন: মৃত্যুভয় দূর না হওয়া পর্যন্ত ধর্ম এ পৃথিবীতে রাজত্ব চালাবে আগের মতোই, ব্যতিক্রম হবে না।
Click This Link
৫৯| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ সকাল ১০:৪৮
হেমায়েতপুরী বলেছেন:
নাস্তিকতা বা আস্তিকতা সম্পর্কে আমার ব্যক্তিগত ভাবনা...
মাথায় টুপি, জোব্বা-পান্জাবী-মস্ত আস্তিক?
তবে কি নাস্তিক উলংগ ঘোরে রাস্তায়-পথে?
একটু কষ্ট করে ঘুরে আসতে পারেন Click This Link
৬০| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:৪৯
বৃত্তবন্দী বলেছেন: ১. ধর্ম কি আদৌ টিকে থাকবে ?
ধর্ম টিকে থাকবে। তবে এটা সামাজিক রিচুয়্যালসে পরিণত হবে। সামাজিক রিচ্যুয়াল বলতে আমি বুঝি, একজন মানুষ যে এলাকায় বা যেমন সমাজে বসবাস করছে সেটার স্বাভাবিক আচরণগুলোকেই। অনেকেই বলতে পারেন যে সমাজিক আচরণ আসলে ধর্মের প্রভাব মুক্ত নয়। এটার সাথে আমি অনেকাংশেই সহমত। তবে বেশিরভাগ সামাজিক আচরণই তৈরী হয় পারিপার্শ্বিক পরিবেশের উপর ভিত্তি করে, ধর্ম তাতে একটা উপাদান হিসেবে কাজ করে।
তো আমার ধারণা ভবিষ্যৎ পৃথিবীতে ধর্ম আর সামাজিক আচরণের উপাদান হিসেবে না থেকে অনুঘটকের ভুমিকায় স্থানান্তারিত হবে...
৬১| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:৩০
নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন:
অনেকেই অনেক আলোচনা করেছেন- কেউ বলছেন ধর্ম টিকবে- কেউ বলছেন টিকবে না, কেউ বলছেন ধর্ম আজকের ফর্মে না থেকে অন্য ফর্মে থাকবে, ... ইত্যাদি। কিন্তু তেমন কাউকে তাদের এই মনে হওয়ার পেছনে কারণটা কি মানে কেন এমন মনে করছেন- ধর্ম যদি না টিকে- তবে ধর্ম উচ্ছেদ হওয়ার ধাপগুলো কেমন হবে, ধর্ম পাল্টে গিয়ে কি ভাবে রিউচুয়াল হিসাবে থাকবে, এসব আলোচনাটা জরুরি। তা না হলে- ভবিষ্যদ্বানীর মত শুনায় আলোচনা।
ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলা বা ভবিষ্যৎ সম্পর্কে ধারণা করার মধ্যে একটা সমস্যা আছে। তাহলো- এটা একটু অসচেতন থাকলেই জ্যোতিষীদের ভবিষ্যৎ গণনার মত হয়ে যায়- অনেকটা ভবিষ্যদ্বানীর মত হয়। বিজ্ঞানীরাও ভবিষ্যদ্বানী করে- তবে সেটা জ্যোতিষীদেরটার চেয়ে একটু আলাদা। বিজ্ঞানীরা যখন ভবিষ্যতের কোন কিছু নিয়ে সম্ভাবনার কথা বলে- তখন তা বর্তমানে পরিবর্তনের অভিজ্ঞতার সাথে নানা রকম লক্ষণকে সাথে নিয়েই বলে- নানারকম হিসাব- সূত্র কষেই বিজ্ঞানীকে ভবিষ্যতের ধারণাটা উপস্থাপন করতে হয়। তা না হলে- সেটা হয়ে যায় জ্যোতিষীদের ভবিষ্যদ্বানীর মত। (আবহাওয়াবিদের "অমুক দিনে অমুক সময়ে অমুক অঞ্চলে দমকা হাওয়া সহ ঝড় ও বৃষ্টি হতে পারে" আর জ্যোতিষীর "অমুক দিনে অমুক সময়ে অমুক জায়গায় খুব বৃষ্টি হইবে"- দুইটার মধ্যে ঢের পার্থক্য)
৬২| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ২:২২
প্রচ্ছদ বলেছেন: ওরে... এত গেনীগুনী মানুষ একসাথে... এইবার মোনয় গেনী অইয়া জামুরে ...........
.....................................................................
১. ধর্ম কি আদৌ টিকে থাকবে ?
২. টিকে থাকলে কিভাবে ?
৩. না টিকে থাকলে সেই শূন্যস্থান পূরন হবে কিভাবে ?
৪. যদি ধর্মের মূল রুপ পরির্তিত হয় .. তবে সে পরিবর্তিত রুপ'টা কেমন হবে ?
৫. মানুষের চরম অসহায় মূহুর্তে ধর্ম'আশ্বাস (মিথ্যে হোক আর যাই হোক) তাকে কিছুটা হলেও শান্তি দেয় .. এই শান্তি'টার বিকল্প কি হবে ?
৬. ইত্যাদি ইত্যাদি ।
.........................................................................
আলুচুনা শেশ অইয়া গেছে। আমি আর কি কমু
তয় ধর্ম টিকা থাক্বো; লোভ যেরকম টিকা আছে। ধর্মের মুল রূপ পরিবর্তিত হইবো, যদিও ধার্মিকেরা স্বীকার কর্বোনা। ধর্মতো যুগে যুগে কাষ্টমাইজ হইছে আরো হইবো। বেশীরভাগ মানুষ যেহেতু চিন্তাশীল নয়, প্রতিষ্ঠামুখী। অসম্ভব প্রতিভা নিয়েও মানুশের ইহিতাস স্থুলতায় ভরপুর।
.........................................................
অট: ৪১ নং কমেনন্টা দেক্লে বুজা যায় এটা এক্টা যথার্থ সাংবাদিকীয় কমেন্ট ..............................................
আলুচনা চলুক.... পরে আবার আইবামনে.....
৬৩| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ২:৫০
ডাইরেক্ট অ্যাকশান বলেছেন: To get a rationale answer of no.2 and 3 u need a time frame. Without these it's very difficult to predict what will happen in future i.e 200 years or 2000 yr later?
sorry ,, ami bangla typing partesina vul hochhe,..
৬৪| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৩:০৩
ফরহাদ উিদ্দন স্বপন বলেছেন: মোতাহের হোসেন চৌধুরী বলেছিলেন, "ধর্ম সাধারণ মানুষের কালচার। সাধারণ মানুষকে ধর্ম থেকে বঞ্চিত করার মানে হচ্ছে তাকে কালচার থেকে বিচ্ছিন্ন করা।" কাজেই ধর্মের আদৌও প্রয়োজন নেই তা আমি বিশ্বাস করিনা। অন্তত সাধারণ মানুষকে নৈতিকতা শিক্ষা দেয়ার জন্য এর প্রয়োজন আছে এবং এটা টিকে থাকবে।
এখানে নাস্তিকদের বা সচেতন মানুষদের যা দায়িত্ব হতে পারে তা হলো ধর্মের কথা বলে কেউ যাতে কাউকে ঠকাতে না পারে বা অনাচার সৃষ্টি না করতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখা।
৬৫| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:২৬
রিয়াজুল ইস্লাম বলেছেন: আমি যদিও নাস্তিক নয় তবু চলে এলাম।
গনিত দিয়ে যদি কোনদিন প্রমান করা যায় তাহলে আমরা শিওর হতে পারবো সৃষ্টিকর্তা আছে নাকি নাই।
তবে সেখানেও কথা থাকে আমরা যে গনিত জানি তা কি আসলেও চরম সত্য নাকি কোন ইল্যুজন? বর্তমান যে গনিত/হিসাব-নিকাশ প্রচলিত তা যদি অন্য রকম হতো তাহলে সভ্যতা বা চিন্তা ধারা কোন দিকে যেত সেটাও হয়তো ভেবে দেখার মতো।
যাই হোক, আমি একজন মানুষ আমার চিন্তাভাবনায় আমি বলতে পারি নি সৃষ্টিকর্তা আছে নাকি নাই (এখন পর্যন্ত) তবে মাঝে মাঝে কেন যেন মনে হয়, পরম শুন্য থেকে কোন কিছু সৃষ্টি হয়ে যাওয়া অসম্ভব।
সেই অসম্ভব কে যদি কেই সম্ভব করে থাকে তাহলে সেই সৃষ্টিকর্তা!!
এইখানে আবার আইনষ্টাইনের কথাটা মাঝে মাঝে মনে হয় "সৃষ্টিকর্তা থাকলেও প্রচলিত ধর্মগুলোতে সৃষ্টিকর্তাকে কেমন যেন পাওয়ারফুল ব্যক্তি হিসাবে দেখানো হয়েছে।" এটাও আমার কাছে বেশ চিন্তাযুক্ত মনে হয়।
কারণ আমার ভিতর যে শক্তি তা তো ঐ সৃষ্টিকর্তারই।
কমপ্লেক্স, ভেরি কমপ্লেক্স, ভেরি ভেরি কমপ্লেক্স.........আর তাই হবার কথা।
সর্বোপরি "লাইফ আফটার ডেথ" এর সায়েন্টিফিক প্রমান (সত্য বা মিথ্যা) না আসা পর্যন্ত ধর্ম থেকেই যাবে।
২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:১৪
মনির হাসান বলেছেন: কারণ আমার ভিতর যে শক্তি তা তো ঐ সৃষ্টিকর্তারই। - হ্যা আপনি তাকে সৃষ্টিকর্তা ভাবতেই পারেন ... তবে টার্মটা নিয়ে আপত্তি আছে ... সে তর্কে গেলামনা ।
আপনার ভেতর প্রকৃতির উপাদান ছাড়া আর কিছু নেই ... সে অর্থে আপনি অবশ্যই প্রকৃতির/সৃষ্টিকর্তার/ঈশ্বরের অংশ ।
ধরুন (অতি'কল্পনাই ধরুন) একজন অতি ধার্মিক মুসলমান মৃত ব্যাক্তি'কে ভবিষ্যতের বিজ্ঞান ৫০/১০০ বছর পর জীবিত করলো বা তার মস্তিক সংরক্ষন করে তার সাথে যোগাযোগ করতে পারল ... এবং সে হতাশ হয়ে জানালো কোন মুনকার নকীর তাকে সওয়াল জবাব করেনি ... কোন বেহেস্ত দোজখের খোজ পায়নি ... নিখাদ অন্ধকার ছাড়া আর কিছু সে দেখেনে ...
এতেই কি সবার ঈমান পরিবর্তিত হবে ?
আপনি বলেছেন আপনার অন্তত হবে ...
না আমি আপনার উপরও ভরসা রাখতে পারছিনা ...
আগেই কমেন্টে বলেছি ... সে সময় মানুষ নিজ নিজ ঈশ্বর'কে নিজের মত করে কাস্টমাইজ করে নেবে ...
ব্যাপারটা অনেক'টা এরকম ... ঈশ্বর আগে দুই মাইল উপরে ছিলেন ... এখন ২০ মাইল উপরে থাকেন ।
আর পূর্বতন ঈশ্বর'জাত ধর্ম আবশ্যাম্ভাবীভাবেই এক্ষেত্রে হুমকীর মুখে পরবে।
আচারী পালন ছাড়া ধর্মের আলৌকিক প্রভাব শূন্যের কোঠায় যেতেও তাই দেরি হবেনা ।
সুন্দর কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ । ভালো থাকুন ।
৬৬| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:২৯
রিয়াজুল ইস্লাম বলেছেন: প্লাস দেওয়ার জন্য আবার এলাম।
৬৭| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:৩১
নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন:
ফরহাদ উদ্দিন স্বপনের সাথে সম্পূর্ণই দ্বিমত পোষণ করি।
"ধর্ম সাধারণ মানুষের কালচার। সাধারণ মানুষকে ধর্ম থেকে বঞ্চিত করার মানে হচ্ছে তাকে কালচার থেকে বিচ্ছিন্ন করা।"- জানি না মোতাহের হোসেন চৌধুরি কোন জায়গা থেকে একথা বলেছেন- তবে এখান থেকে যে সিদ্ধান্ত স্বপন টেনেছেন- সেটা মোতাহার হোসেনও যদি টেনে থাকেন- তবে তারও বিরোধিতা করি।
ধর্ম সাধারণ মানুষের সংস্কৃতির অংশ। আমি বেটার সংস্কৃতি নির্মাণ না করে- একজন মানুষকে খালি খালি ধর্মচ্যুতির পক্ষে না- কিন্তু তার মানে এটাও মনে করি না যে, সবসময়ই ধর্ম খুব প্রয়োজনীয় হয়ে আছে বা থাকবে।
যে ব্যক্তি নাস্তিক, তার কি কোন কালচার নেই? সংস্কৃতির বাইরের মানুষ? ফলে- ধর্ম থেকে বিচ্ছিন্ন হলেই তার সংস্কৃতি নাই হয়ে যাবে- এমন ভয় পাওয়ার কোন দরকার নেই।
আমরা একদিন বিকল্প সংস্কৃতিও গড়ে তুলবো.....
২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:৫৪
মনির হাসান বলেছেন: লোকজ কিছু সংস্কার, আচার আচরণে মানুষ আদি যুগ থেকেই অভস্থ্য ... কোনটা ধর্মের লেবাসে (অন্তেষ্ট্রিক্রিয়া) কোনটা সামাজিক/অর্থনৈতিক রীতি প্রয়োজনে (ফসল উৎপাদন, ব্যাবসাপাতি) ... ধর্মের স্ট্রাকচার যতই কম্প্যাক্ট এবং কম্পলিট হয় .. সাধারণ লোকজ আচার গুলো তার সাথে ব্লেন্ড হয়ে নতুন একটা ধর্মীয়+কালচারাল রীতি'তে নব'রুপ নেয় ।
সে ক্ষেত্রে (বর্তমান অবস্থা বিচারে) এই সীদ্ধান্তে (আমার ব্যাক্তিগত) আসা যায় ... ধর্ম সাংস্কৃতির একটা বিশাল অংশ জুড়ে ইম্প্যাক্ট ফেলে ... সে অর্থে "সাধারণ মানুষকে ধর্ম থেকে বঞ্চিত করার মানে হচ্ছে তাকে কালচার থেকে বিচ্ছিন্ন করা।" আশা করি অত্যুক্তি নয় ।
যে ব্যক্তি নাস্তিক, তার কি কোন কালচার নেই? সংস্কৃতির বাইরের মানুষ? ফলে- ধর্ম থেকে বিচ্ছিন্ন হলেই তার সংস্কৃতি নাই হয়ে যাবে- এমন ভয় পাওয়ার কোন দরকার নেই।
- খুব ঠিক ..
"আরোপিত বিকল্প সংস্কৃতি" অতি অবশ্যই ব্যাকফায়ার করে ... ভার্নাকুলার বা মাটিজাত সংস্কৃতির প্রাকৃতিক বিবর্তনে আমার ভরসা বেশি ...
৬৮| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:০৯
শয়তান বলেছেন: ধর্মরে কালচারের বাতাবরনে ঢাকতে চাওনটা হাস্যকর লাগে
২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:২১
মনির হাসান বলেছেন:
হাস্যকর লাগতেই পারে ... বাট সো ফার ... ধর্মাচার আর সাংস্কৃতাচার অঙ্গাঙ্গিভাবে প্যাচা খায়া একটা জটিল ব্লেন্ড হয়া আছে .. এটা কি স্বীকার করবেন ?
৬৯| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:২৩
ফরহাদ উিদ্দন স্বপন বলেছেন: @ না.ধ
তর্কের খাতিরে আমি ধর্মশূন্য একটি সমাজ-কে চিন্তা করে নিলাম। ধরে নিলাম সেখানে সবাই স্রষ্টা বা ধর্মের অস্তিত্বে বিশ্বাস করছেনা। এখন এটা যদি আপনি আমাদের দেশের সাপেক্ষে চিন্তা করেন তাহলে শতকরা এই পচাশিভাগ অশিক্ষিত মানুষ (সবাই আরজ আলী মাতব্বর নন) কিভাবে নৈতিক থাকবে। ধর্মতো তাদের কিছু না কিছু নৈতিক শিক্ষা দিচ্ছে। এখানে ঈশ্বরের বা স্রষ্টার শূন্যতাটা বা নৈতিক শিক্ষাটা আপনি কিভাবে পূরণ করবেন। আপনি বলতে পারেন বিবেকের জাগরণের মাধ্যমে। কিন্তু সেটার জন্য প্রয়োজন নৈতিক শিক্ষার এবং অবশ্যই এটা দীর্ঘমেয়াদী প্রসেস। মানুষের বিশ্বাস বা কালচার অতো তাড়াতাড়ি দূর করা সম্ভব নয়।
একটা বটগাছ সামান্য একটা তৃণলতা হয়ে কোন দেয়াল বা গাছের উপর জন্মায়। তারপর সময়ের পরিক্রমায় সে একদিন মহীরুহ হয়ে ঐ দেয়াল বা গাছটাকে ভেঙ্গে দেয়। এটা একদিনের বিষয় নয়। আমার মনে হয় নাস্তিকদের আচরণটা ধর্মের প্রতি এমনই হওয়া উচিত। অতিবিপ্লবী হলে প্রতিবিপ্লব হবে।এটার জন্য সময়ের প্রয়োজন।
কোন স্থান যদি হঠাৎ বায়ুশূন্য হয়ে যায় তাহলে আপনি ভাল করেই জানেন সেখানে চারপাশের বায়ুরা দ্রুতবেগে সেই স্থান দখল করে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সৃষ্টি করে। কাজেই সাধারণ মানুষকে ধর্মচ্যুত করার আগে ধর্মের শূন্যস্থানটা আপনি কিভাবে পুরণ করবেন তার দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। নচেৎ দুর্যোগের সৃষ্টি হবে। শূন্যস্থান পূরণের জন্য সময়ের প্রয়োজন। সেই সময়টা পর্যন্ত ধর্ম টিকে থাকুক।
২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:৩৩
মনির হাসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ স্বপন'দা ... বাস্তবতা বিচারে আমার দৃষ্টিতে বেস্ট কমেন্ট । আমিও নিজেও এরকম'টা ভাবি ।
৭০| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:২৯
শয়তান বলেছেন: বলেনডটা অস্বীকার করার পথ নাই । তবে আমাদর এতদ অনচলেই এসবের প্রকোপ প্রকট । অইন্য কোথাও তেমনটা কিন্তু নাই ।
৭১| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:৩০
শয়তান বলেছেন: বলেনডটা = ব্লেন্ডটা *
৭২| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:৫১
শয়তান বলেছেন: ফরহাদ উিদ্দন স্বপনের মত ধর্মরে আমি নৈতিকতা শিখানের সোল এজেন্সি দিতে নারাজ । সামাজিক স্তরের কয়েকটায় যদিওবা আপাত দৃষ্টিতে দেখা যায় নৈতিকতা শিক্ষায় ধর্ম কিছুটা ভুমিকা রাখে তবে একই সাথে অন্যান্য বিষবাস্পও ইনজেকট করতে ভুল করে না । হিসাব করলে দেখা যাইবো লাভের চেয়ে লসই বেশী হয় আখেরে
২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:২৭
মনির হাসান বলেছেন: নৈতিকতা শিখানোর সোল এজেন্সি শুধু ধর্ম ... এটা বোধ হয় ... চরম ধর্মান্ধ ছাড়া আর কেউ বলবেনা ।
লাভের থেকে লস বেশি হচ্ছে ... এই বাক্যে সরল ভাবে সহমত ।
এবার ভাবুন ... নৈতিক শিক্ষা, চর্চা, চর্চার অনুকুল পরিবেশ, অভস্ত্য হওয়ার জন্য সময়, অভিযোজন ... এসবের পর একটা "রাম'ছাগল"রে মানুষ বানানোর সম্ভাবিলিটি কিরকম?
ধর্ম কি খুব সহজেই একটা মাত্র নির্দেশ দিয়া তারে রামছাগলামী করতে দিতে বাধা দিতেছেনা ... যদিও স্বয়ং ধর্মগুলোতে বিশাল বিশাল সব ছাগলামীর অপশন রাখা আছে (বিষবাষ্প) ...
চোর এমনিতেই নাকি ধর্মের কাহিনি শোনেনা ... সেখানে নাস্তিক'দের প্রস্তাবিত নৈতিকতা কত'টা আয়ত্ব করবে সে ব্যাপারে আমি সন্দিহান ...
৭৩| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:০২
তানভীর চৌধুরী পিয়েল বলেছেন: দারুন ভাইয়া! এইপ্রশনগুলি কিছুদিন থেকে আমাকেও তাড়াচ্ছিল, অপাতত জমা রাখলাম, ঠান্ডা মাথায় সব ভাবতে হবে..
৭৪| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:১২
কাক ভুষুন্ডি বলেছেন: না.ধ 'র ৫৪ নং কমেন্টের প্রেক্ষিতে এই লিংকদু'টো রেখে যাচ্ছি...
Click This Link
Click This Link
৭৫| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৪০
তায়েফ আহমাদ বলেছেন: পড়ছি।
৭৬| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৪৯
দুরন্ত স্বপ্নচারী বলেছেন: ১) নৈতিকতা কি?
২) ধর্ম কি কি নৈতিক শিক্ষা দিচ্ছে?
৩) ধর্ম মানুষের মধ্যে (বিশেষ করে অশিক্ষিত মানুষের মধ্যে)'নৈতিক শিক্ষা' ছাড়া অন্যান্য যে শিক্ষা ও বিশ্বাসের অনুপ্রবেশ ঘটাচ্ছে তার প্রভাব কিরূপ? কোনটি সমাজকে বেশী প্রভাবিত করছে, নৈতিক শিক্ষা নাকি ধর্মজাত অন্যান্য বিশ্বাস ও শিক্ষা? আর প্রভাবিত করে থাকলে সেই প্রভাবটা কেমন, নেতিবাচক নাকি ইতিবাচক? সব মিলিয়ে ইতিবাচক বড় নাকি নেতিবাচক?
লেখকের কাছে জরুরীভিত্তিতে প্রশ্নগুলোর জবাব কামনা করছি।
২৩ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১:০২
মনির হাসান বলেছেন:
১. নৈতিকতা কিঃ
নিজস্ব ধরনাঃ নৈতিকতা হচ্ছে নীতিবোধ'জাত মানুষের আচরন। নীতিবোধ = সময়, সমাজ, মানুষের গৌষ্ঠিক আচরণ ইত্যাদির প্রেক্ষিতে মানুষ সামগ্রিক এবং সামষ্ঠিক ভাবে সীদ্ধান্তে আসে যে কোন কোন ক্রিয়া তার/তাদের জন্য উপকারী আর কোনটা তার/তাদের জন্য অপোকারী ।
২) ধর্ম কি কি নৈতিক শিক্ষা দিচ্ছেঃ
ধর্ম কি কি নৈতিক শিক্ষা দিছে এটার আগে কিছু আমার একেবারে নিজস্ব (আবার) কিছু ধারনা বলে নিতে চাই ।
আদি সমাজে মানুষ কিছু সামাজিক বিধান মানতে শুরু করে । কোন রকম বাধ্যবাধকতা থেকে না ... বরং সামাজিক অর্ডার ঠিক রাখতে এর বিকল্প ছিল না বলেই এই বিধান চর্চিত হতে থাকে ।
মানুষ তখনই বুঝতে পেরেছিল ... আমি যদি প্রতিবেশির ফসল চুরি করি তবে চেইন ইফেক্টে আমারো ফসল এক সময় চুরি হবে । আর তাই চুরি করাটা সবার জন্যই খারাপ ।
ধর্ম আজকের স্ট্রাকচারে আসার বহু আগেই সেই নীতিবোধ বা বিধিবিধান চর্চিত হত ।
সেখানে ধর্ম আসার পরে প্রদত্ত পুরুষ'রা সেই নীতি'চর্চা জায়গাটার গুরুত্ব বুঝতে দেরি করেনি ।
তাই ধর্মের বড় অংশ জুড়েই নীতিবোধ গুরুত্ব পেয়েছে ।
এখানে অতি উৎসাহ বা অতি রঞ্জনের ঝোকে অনেক অনৈতিক আচরণের বাধ্যবাধকতা চলে এসেছে এটা যেরকম সত্যি ... সেই সাথে এটাও সত্যি "চুরি করা পাপ" (আগে যেটা ছিল "চুরি করা অপরাধ") এই গায়েবী ঘোষনা'টি এসেছে।
সামাজিক বা রাষ্ট্রীয় বিধান "চুরি করা অপরাধ" এই তত্ত্বে ভক্তি থেকে কজন চুরি থেকে বিরত থাকে আর "চুরি করা পাপ" এই ধর্মীয় নিষেধ থেকে কজন চুরি করা থেকে বিরত থাকে সেটা নিয়ে আমাদের আলোচনার হওয়া দরকার।
স্ববোধের জন্য প্রথমক্তো এবং নির্বোধের জন্য দ্বিতীয়টি।
আর আপনি যদি আমাকে নির্বোধ'মুক্ত কোন স্বর্গীয় পৃথিবীর কল্প কথা শোনাতে আসেন তবে অন্য কথা ।
৩. আগেই বলেছি ... ধর্ম ভালোর থেকে খারাপ জিনিষ অনেক বেশি দিছে ... সেখানে কোন আপত্তি নাই ... আপত্তি সেই জায়গাটায় ... ধর্ম ভালো যা কিছু দিছে সেটাকে অস্বীকার করার প্রবনতা ।
৭৭| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১০:৩২
দুরের পাখি বলেছেন: ধর্মের নৈতিকতা শিখানি নিয়া আমার নিজের ধারণাই সাম্প্রতিক সময়গুলাতে চেন্জ হৈছে । সম্ভবত বয়স বাড়তাছে । সামাজিক চিন্তা চেতনার গতিপ্রকৃতি দেইখা কিছুটা মোডিফিকেশন আরকি ।
ধর্ম নৈতিকতার মানদন্ড না কোনভাবেই । ধর্ম নৈতিকতার উৎপাদনকারীও না । এইটার প্রমাণ, ধর্মীয়ভাবে নৈতিক অনেক জিনিসই এখন সাধারণ জনগনের দৃষ্টিতে অনৈতিক হৈয়া যাওয়া । দাসত্ব, যৌনদাসত্বের সমর্থণ, অন্য ধর্মের অনুসারীদের জন্য আইন এইরকম শ'খানেক উদাহরণ দেয়া যায় ।
ইন্টারেস্টিং হৈতাছে, বিভিন্ন সোর্স থেকে পাওয়া নৈতিক শিক্ষা মাইনা চলার জন্য কিভাবে লোকজনরে উদ্বুদ্ধ করা যায় সেইটা । কোনটা ভালো কোনটা খারাপ এইটা আমার অনেক সোর্স থাইকাই জানতে পারি । কিন্তু সমস্যা হৈলো, কেন ভালোটা করবো এবং খারাপটা করবো না । এই কেনোর জবাব, বিভিন্ন লোকের জন্য বিভিন্ন দৃষ্টিকোন থেকে এবং বিভিন্ন সোর্স থেকে হবে ।
এইখানে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট হৈলো, ডাইভার্সিফিকেশন, হেজিং । নৈতিকতা একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জিনিস । যেকোন রিস্কি এবং বড় ভল্যুমের ইনভেস্টমেন্টের ক্ষেত্রেও যেমন কেবল একটা ফ্যাক্টরের উপর আপনার সবকিছু নির্ভর করে, তাইলে আপনের বাঁশ খাওনের সম্ভাভ্যতা যদি খুব কমও হয়, তাই সেইপথে যাওয়া উচিৎ না । কারণ , বাঁশ খাওনের সম্ভাবনা খুব কম হৈলেও একবার খাইলে সব শেষ । এইজন্য বিভিন্ন দিকে ইনভেস্টমেন্ট ডাইভার্সিফাই কৈরা দেয়া হয় । যাতে একখাতে ঝামেলা হৈলে আরেকখাত দিয়া সেইটা কাভার দেয়া যায় ।
নৈতিক শিক্ষা মানাতে লোকজনরে উদ্বুদ্ধ করার জন্যও এইরকম বিভিন্নমুখী ব্যবস্থা আছে । সরকারি আইনের ভয় দেখাইয়া লোকজনরে নৈতিক থাকার ব্যবস্থা করা যায়, সামাজিক পার্সিকিউশনের ভয় দেখাইয়া করা যায় , সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিৎ করার ভয় দেখাইয়া করা যায়, আলাদা সুযোগ বা পুরষ্কার দেয়ার প্রলোভন দেখাইয়া করা যায় , ধর্ম দিয়া করা যায় । গুরুত্বপূর্ন হৈলো, এইগুলার কোনটাই সর্বরৌগের মহৌষধ না । এইজন্য উপযুক্ত পরিমাণে সবগুলার মিশ্রণেই অপটিমাম সমাধান বোধহয় । তবে দুঃখজনকভাবে যতগুলাই মেশান , ১০০% কোনভাবেই সম্ভব না । এই ফ্যাক্টটাই যারা ধর্ম হৈলেই সব ঠিক হবে বলে তাদের মুখে চপেটাঘাতের মত ।
এখন অনেকগুলা পথ থাকাতে মনে হৈতে পারে, এইগুলার মধ্য থাইকা ধর্মের মত একটা মাইনররে সরাইয়া নিলে কিইবা এমন ক্ষতি হৈবে । কিন্তু , মাইনর হৈলেও , এইটা অনেকক্ষেত্রে মাইনর ফিল্ডে সুপার স্পেশালিস্ট । ব্যক্তিগত জীবনে এইরকম অনেক লোক দেখছি, যাদের কন্ট্রোল করা কেবলমাত্র ধর্মের দ্বারাই সম্ভব হৈছে ।
আরেকটা ব্যাপার হৈলো, কিছু কিছু মানুষের জন্য পার্পাজ একটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার । তারা সবই বুঝলো ভালো কি খারাপ কি কিন্তু ঐটা করার পিছনে তাদের জন্য একটা আল্টিমেট পার্পাজ লাগবে । ধর্ম যেই টাইপের গুলা প্রস্তাব করে ঐ টাইপের । মরার পরে মৌজমাস্তির লোভ অথবা ডান্ডার ভয় । কিন্তু এইখানে মাস্তি বা ডান্ডাটাই বড় কথা না । বড় কথা হৈলো, তার চলার জন্য একটা নির্দিষ্ট দিক লাগবে । সেইটা জীবন দিয়া কাভার হৈবে না । কারণ মানুষ অমরতা চায় । এইজন্য তার এমন পার্পাজ লাগবে যেইটা তার মরণের মাধ্যমে শেষ হৈয়া যাবে না । আশার কথা হৈলো সবলোক অবশ্য ঐরকম না । অনেকেই দেশের ভালোর জন্য পরবর্তী প্রজন্মের সুখের জন্য মরতে রাজি থাকে । তবে জনসংখ্যার মোটামুটি বড় একটা চাংক চায় এমন কোন উদ্দেশ্য যেইটা মরার সাথে সাথে শেষ হৈয়া যাবে না । এদের নৈতিক শিক্ষা দেয়ার জন্য ধর্মের বিকল্প এখনো বোধহয় নাই ।
২৩ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১:১১
মনির হাসান বলেছেন:
"এদের নৈতিক শিক্ষা দেয়ার জন্য ধর্মের বিকল্প এখনো বোধহয় নাই ।"
- আক্ষরিক ভাবেই কমেন্টের বটম'লাইন ।
৭৮| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১০:৫৪
নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন:
ফরহাদ উদ্দিন স্বপনের কমেন্ট পড়ে মনে হলো তিনি আমার কমেন্ট না পড়েই বা না বুঝেই একগাদা কথা বলেছেন। ফলে- আমার কমেন্ট থেকে কিছু আবার কপি-পেস্ট করছি:
"ধর্ম সাধারণ মানুষের সংস্কৃতির অংশ। আমি বেটার সংস্কৃতি নির্মাণ না করে- একজন মানুষকে খালি খালি ধর্মচ্যুতির পক্ষে না- কিন্তু তার মানে এটাও মনে করি না যে, সবসময়ই ধর্ম খুব প্রয়োজনীয় হয়ে আছে বা থাকবে"।
আমি আমার কমেন্টে কখনোই দাবি করি নি যে, সাধারণ মানুষকে আজকের অবস্থায় একই রকম রেখে তাদের ধর্মচ্যুতি ঘটাতে হবে। বরং, আমার ৫৪ নং কমেন্টে বলেছি- তা কোনদিনই সম্ভব না। মানে যতদিন মানুষের শোষণ মুক্তি না ঘটছে- ততদিন ধর্ম থাকবেই, শোষণ যন্ত্র বজায় রাখার জন্যেই ধর্মকে টিকায় রাখা হবেই হবে। তাহলে- এইসব "বিপ্লব"-"অতিবিপ্লব"-"প্রতিবিপ্লব" অভিধা ব্যবহার সম্পূর্ণই অপ্রাসঙ্গিক ও কৌতুকপ্রদ।
"আমি ধর্মশূন্য একটি সমাজ-কে চিন্তা করে নিলাম। ধরে নিলাম সেখানে সবাই স্রষ্টা বা ধর্মের অস্তিত্বে বিশ্বাস করছেনা। এখন এটা যদি আপনি আমাদের দেশের সাপেক্ষে চিন্তা করেন তাহলে শতকরা এই পচাশিভাগ অশিক্ষিত মানুষ (সবাই আরজ আলী মাতব্বর নন) কিভাবে নৈতিক থাকবে"===>> আমার মন্তব্য থেকে এমন সিদ্ধান্ত টানাটা চরম অপরিপক্কতার পরিচায়ক বলেই মনে হয়। আমি যেখানে বলেছি বেটার সংস্কৃতি না দিয়ে (সংস্কৃতি এক শব্দে উল্লেখ করেছি- সেটা আসলে একটা পুরা দৃষ্টিভঙ্গী, নীতি-নৈতিকতাও তার অন্তর্ভুক্ত)- অর্থাৎ একই রকম সংস্কৃতি বজায় রেখে ধর্মচ্যুতির পক্ষে আমিও না--- তখন এ কথা আমাকে উদ্দেশ্য করে বলার দরকার আছে বলে মনে হয় না। দ্বিতীয়ত, আপনি দীর্ঘমেয়াদী প্রসেসের কথা টেনেছেন- সেটা আমি কোথায় অস্বীকার করেছি, বরং আমি মনে করি- অন্য সব আয়োজন ব্যতিরেকে আপনি চাইলেও কোনদিনও ধর্ম থেকে এক পাও সরাতে পারবেন না। আমরা এখানে যারা নাস্তিক- তারা দুপাতা পড়তে পেরেছি বলেই নাস্তিক, ৮৫ ভাগরে যতদিন দুপাতা পড়াতে না পারবেন- ততদিন কেমনে ধর্মচ্যুতি ঘটাবেন? আইন করে? সেটা কোনদিনই কোন নাস্তিক দাবি করে না। আমার আগের বিভিন্ন পোস্ট ফলো করলেও বুঝতে পারবেন নাস্তিকতার প্রসারের প্রসেসটা কিরকম করে হতে পারে বলে আমি মনে করি। ১-> শিক্ষার প্রসার ছাড়া সম্ভব না, ২-> শিক্ষাকে ধর্মের বলয় থেকে মুক্ত করা ছাড়া ও সেক্যুলার - বিজ্ঞানভিত্তিক করা ছাড়া সম্ভব না।
তৃতীয়ত, আপনার তর্কের খাতিরের ধর্মহীন সমাজের কথা ধরে নিলেও আমি মনে করি না যে, তাতে আজকের তুলনায় নৈতিকতার খুব বেশি কিছু ইতর বিশেষ ঘটায় না। আমি সম্পূর্ণই দ্বিমত করি যে, ধর্ম মানুষকে নৈতিকতা শেখায়। নৈতিকতা শিখে মানুষের সামাজিক পরিমন্ডল থেকেই। মানুষের মানবিক গুনাবলী গুলোকে কখনোই ধর্মজাত মনে করিনা- এসবকে মানব প্রকৃতি হিসাবেই মনে করি, দরকার কেবল উপযুক্ত সামাজিক পরিমন্ডল। আজকের ধার্মিক সমাজে যেমন নৈতিকতার যত্রতত্র স্খলন- তেমনি তর্কের খাতিরের নাস্তিক সমাজেও একইরকম স্খলনই থাকবে যদি না আজকের ভোগবাদী পুঁজিবাদী সংস্কৃতি বজায় থাকে। কিন্তু পজিটিভ ব্যপার যেটা ঘটতে পারে যে- নাস্তিকতার দরুন- মানুষ তার অবস্থার পরিবর্তনের জন্য আর অতিপ্রাকৃতের উপর ভরসা করে বসে থাকবে না।
আমি বলেছিলাম- ""ধর্ম সাধারণ মানুষের কালচার। সাধারণ মানুষকে ধর্ম থেকে বঞ্চিত করার মানে হচ্ছে তাকে কালচার থেকে বিচ্ছিন্ন করা।"- জানি না মোতাহের হোসেন চৌধুরি কোন জায়গা থেকে একথা বলেছেন- তবে এখান থেকে যে সিদ্ধান্ত স্বপন টেনেছেন- সেটা মোতাহার হোসেনও যদি টেনে থাকেন- তবে তারও বিরোধিতা করি।"
ফরহাদ উদ্দিন স্বপনের টানা সিদ্ধান্ত যেটার আমি বিরোধিতা করেছি সেটা হচ্ছে: "কাজেই ধর্মের আদৌও প্রয়োজন নেই তা আমি বিশ্বাস করিনা। অন্তত সাধারণ মানুষকে নৈতিকতা শিক্ষা দেয়ার জন্য এর প্রয়োজন আছে এবং এটা টিকে থাকবে।"
আমি যে বিষয়টির বিরোধিতা করেছি এবং যে জায়গা থেকে বিরোধিতা করেছি- তার জবাব পাওয়াটাই কাম্য, তা না করে অহেতুক নানা কথা মালা সাজানোর হেতু কি? মনির হাসানের মত দু একজনের বাহবা পাওয়া ছাড়া এটায় কি কাজ? মনির হাসানের মতে সেটা বেস্ট হলেও আমার মতে এতা এই পোস্টে সবচেয়ে বাজে কমেন্ট, এই মানের কমেন্ট আমি কেবল এস এম রায়হান বা হিমু রুদ্রের কাছেই আশা করি। অন্তত এই পোস্টে - আপনার মত একজনের কাছ থেকে এমন আলোচনা আশা করি না জন্যই হয়তো- আমার জবাবটা একটু কড়া হয়ে গেল।
৭৯| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:০৫
অমিত০৯৭ বলেছেন: মানুষ যখন প্রাণ সৃষ্টি করতে পারবে সেদিনই ধর্মের অবসান ঘটবে বলে মনে করি। সেদিন হয়তো খুব দূরে নয়।
৮০| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:০৬
নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন:
"কাজেই ধর্মের আদৌও প্রয়োজন নেই তা আমি বিশ্বাস করিনা। অন্তত সাধারণ মানুষকে নৈতিকতা শিক্ষা দেয়ার জন্য এর প্রয়োজন আছে এবং এটা টিকে থাকবে।"
এই কথাটা জাকির নায়েকরা - ক্রিয়েশনিস্টরা নানাভাবে নানাসময়ে বলার চেস্টা করেছে, এবং অসংখ্যবার রিফুটও করা হয়েছে। সময় হলে সেরকম কিছু আলোচনার লিংক দেয়া যাবে খন। আমি মনে করি, যে ধর্মকে নৈতিকতার সোল এজেন্সি দেয়- সে কোনভাবেই নাস্তিক হতে পারে। এবং যে ধর্মকে নাস্তিকতার সোল এজেন্সি দেয়া মানুষরে সমর্থন জানায় তা সে বাস্তবতার দোহাই দেক আর যে কারণেই দেক- তার নাস্তিকতার গভীরতা নিয়েও আমার সন্দেহ আছে।
২৩ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৩৮
মনির হাসান বলেছেন: ধর্ম'কে কেউ নৈতিকতার সোল এজেন্সি দিচ্ছেনা ।
আপত্তির জায়গাটা স্পষ্ট - নৈতিকতা রক্ষায় যে সমস্ত টুল ব্যাবহার হয় (যেমন সামাজিক বিধিবিধান, রাষ্ট্রীয় আইন, নীতিশিক্ষা, সামাজিক নীতি'চর্চা ইত্যাদি) তার মধ্যে ধর্মের বিধি'নিষেধ একটা ফ্যাক্টর ।
৮১| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:১৩
রাসেল ( ........) বলেছেন: ধর্ম টিকে থাকবে বহাল তবিয়তে, ইশ্বরবিশ্বাসসমেত ধর্ম টিকে থাকবে এতে সন্দেহ নাই কোনো। অতিদুর ভবিষ্যতেও বিষয়টা একই রকম রয়ে যাবে।
ধর্মের একটা ক্ষতিকর দিক হচ্ছে এটা মানুষের আচরণ এবং অপরাধবোধকে সস্তি দেয়। সেই স্বস্তিটুকুর জন্য হলেও ধর্মকে আঁকড়ে ধরে থাকবে যারা ক্ষমতা ধারণ করে তারা। সমাজিক ন্যায্যতা বুলি তাকে সব সময়ই পীড়িত করবে এবং এই পীড়ণ থেকে সাময়িক মুক্তি দিতে পারে একমাত্র ইশ্বরবিশ্বাসী কার্যকারণবিহীন ধর্ম- হঠাৎ করেই ক্ষমতার খেলা থেমে যাবে না, লড়াইটা পূঁজিবাদ, সাম্যবাদ, পূঁজিবাদ -পূঁজিবাদ ফর্মে চলতেই থাকবে।
আমাদের প্রচলিত নীতি-নৈতিকতাবোধগুলো কিন্তু কোনো না কোনো সামাজিক অংশ নির্মাণ করে, তারাই ট্রেন্ড সেটার, এবং সেই ট্রেন্ডের কারণেই আমরা আমাদের নৈতিকতাগুলোকে সাজিয়ে-গুছিয়ে নেই- ধরা যাক ব্রিজিট বার্দো- বেচারা নেপালে পশুবলি নিয়ে সোচ্চার, ধর্মীয় কারণে নেপালে এত পশু কিংবা জীব হত্যা হচ্ছে, অথচ শুধুমাত্র প্রাণীজ প্রোটিন ইনটেক বিবেচনা করলে উন্নত বিশ্ব নেপালের তুলনায় অনেক বেশী পশুহত্যাকারী- কিন্তু ব্রজিট বার্দো নেপালের পশুহত্যা নিয়ে বক্তব্য দিতে পারছে কারণ তার সামাজিক অবস্থান, তার রাষ্ট্ট এবং রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে তার অবস্থান তাকে যে ক্ষমতাটুকু দিয়েছে সেটার বদৌলতে সে নেপালের রাষ্ট্রপ্রধানকে তাদের প্রচলিত প্রথা পরিবর্তন করার অনুরোধ করতে পারছে ।
সংস্কৃতি চর্চাটা ধর্মের আদি ফর্ম, এবং সংস্কৃতি চর্চার ফর্মে ধর্ম ফিরে যাবে কোনো না কোনো সময়ে এমন একটা আশাবাদ রয়ে যাচ্ছে।
৮২| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:১৭
নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন:
"কাজেই ধর্মের আদৌও প্রয়োজন নেই তা আমি বিশ্বাস করিনা। অন্তত সাধারণ মানুষকে নৈতিকতা শিক্ষা দেয়ার জন্য এর প্রয়োজন আছে এবং এটা টিকে থাকবে।"
===>> এই কথাটারে যারে সত্য মনে করেন- এইবার আসেন আপনার ব্যাখ্যা ও যুক্তি হাজির করেন। আমি অলরেডি কিছু বলেছি- সেগুলোকে রিফুট করেন। এই বিষয়ে এতদিন মোল্লাগো লগে ডিবেট করেছি- আজ না হয় নাস্তিক পরিচয় দেয় এমন মানুষগো লগে ডিবেট হবে!!
যারা আলোচনা বা ডিবেট করবেন- তারা দয়া করে দুরন্ত স্বপ্নচারীর প্রথম প্রশ্ন অর্থাৎ "নৈতিকতা বলতে কি বুঝেন" এইটার জবাব দিয়েন এবং সাথে এইটাও বইলেন যে, "নৈতিকতা জিনিসটা এমন কি মহার্ঘ জিনিস যে যার জন্য ধর্মরে অবশ্য প্রয়োজনীয় মনে করিতেছেন?" এবং "নৈতিকতার জন্য যদি ধর্ম আবশ্যক হয়েই থাকে- তবে ছুটা-ফাটা এক দুজন নাস্তিক আছে- তাদের ধর্ম ত্যাগ করিবার আবশ্যকও বা কি?"
আপনাদের কাছে ধর্ম জিনিসটা কেমন- সেইটাও জানতে মন চায়। ধর্মরে ত্যাগিয়াছেন বলে যখন দাবি করেন- তখন এসবের কিছু খারাপ দিক উল্লেখ করেন। এই খারাপ দিকগুলো কি ততোটা খারাপ নয় বা এমন কি যে- নৈতিকতা জিনিসটা এমনই মহার্ঘ যে- তার জন্য ধর্মের যৎসামান্য খারাপ দিকগুলি স্বীকার করে নেয়া যায়?
৮৩| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:২৩
রাসেল ( ........) বলেছেন: সমাজে শিক্ষার বিস্তার ঘটলে ধর্মের প্রকোপ কমে যায় না, এমন কি উচ্চতর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রাষ্ট্রের কঠোর কাঠামো এবং নিরপেক্ষ আইনী ব্যবস্থাও ধর্মের ত্রুটি সারাতে পারে না। একই আইনানুগ নাগরিক তার নিজস্ব ব্যক্তিগত লালসা এবং চাওয়া পুরণের জন্য কোনো না কোনো ফর্মে ধর্মকে ব্যবহার করে- এবং খুব আশ্চর্যের বিষয় হলো মানুষের সংখ্যা অনেক, কিন্তু মানুষের ভাবনাগুলো খুব সংকীর্ণ গলিতে আনাগোনা করে, এবং এ কারণেই দেখা যায় একজনের ব্যক্তিগত চিন্তার সাথে অন্য আরও দশ জনের ব্যক্তিগত চিন্তা মিলে যায়, যোগাযোগের সুবিধা বঞ্চিত আদিম সমাজে কোনো কোনো মিথ কিংবা অদ্ভুতুড়ে ঘটনা ছড়িয়ে পড়তে অনেক সময় লাগতো- কিন্তু ভবিষ্যতে এই প্রসার হবে আরও দ্রুত এবং আরও কার্যকরী উপায়ে।
ধর্মীয় বিশ্বাসের গ্লোবালাইজেশন ঘটবে, কাফ্রীকে ঘৃণা করা বাঙ্গালী নিজেকে অনেক চেষ্টা করেও বর্ণবাদবিরোধী করে তুলতে পারবে না, এই রকম হেইট গ্রুপের সদস্যরা যদি অস্ত্র সহজলভ্য হয় তবে কাফ্রী নিধনে নেমে যাবে, এবং অন্তর্জালিক যোগাযোগের কারণে তাদের কোনো ইয়াহু, গুগল মাইস্পেস গ্রুপ থাকবে, সে গ্রুপের সদস্যগণ কোনো একদিন হঠাৎ করেই এইরকম উদ্ভট কোনো বিশ্বাসের কারণে মাঠে নেমে যাবে।
ক্ষমতা-ক্ষোভ এবং আক্ষেপ খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে, এবং এটার চর্চা করে মানুষ ধর্মের মতো নিবেদিত হয়ে। একটা জঙ্গী সংগঠনও কিন্তু জনগণের সকল অংশের ঘৃণা কিংবা উপেক্ষার শিকার হয় না, সমাজের একদল মানুষ সব সময়ই যেইসব জঙ্গীদের আচরণকে সমর্থন করে।
একটা উদাহরণ দেই- বব মার্লের নিজস্ব বিকার ছিলো, সে চাইতো না তার ইশ্বরপ্রদত্ত দেহে কোনো অস্ত্রোপচার হোক, এই বিশ্বাস তার মৃত্যুর কারণ হয়েছিলো, তবে দেখা গেলো এটা একা বব মার্লের মানসিক বিকার নয়, এমন বিকারগ্রস্তের সংখ্যা অনেক বেশী, তারা নিজেদের চার্চও বানিয়েছে, ভবিষ্যতে এমন মসজিদ, মন্দির দেখা যাবে, মানুষের সম্পদ বাড়ছে, এইসব পরলৌকিক কাজের জন্য অনুদান দিতে তাদের বরং আমোদ হয়, এ কারণেই লন্ডনের মসজিদে ত্রান আর অনুদানের টাকায় বাংলাদেশে জঙ্গি প্রশিক্ষিত হয়- এইসব মানুষেরা অশিক্ষিত বলে এই কাজে মদত দেয় এমন না, বরং শিক্ষিত এবং ধর্মের বিষয়ে স্পর্শ্বকাতর মানুষ দেখছি, দেখেছি।
অসাম্য এবং বৈষম্য কমিয়ে আনলে হয়তো ধর্মীয় বিকার কমে যাবে কিন্তু তখনও ব্যক্তিগত মানসিক সমস্যা কিংবা বিকারের যুথবদ্ধতা দেখা যাবে।
৮৪| ২৩ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:৩০
দীপান্বিতা বলেছেন: আমি যদিও নাস্তিক নই.......…তবু একটা প্রশ্ন বার বার মনে আসছে যে, যারা নাস্তিক তারা তো ঈশ্বর মানেন না, তাহলে জীবনের কোন সঙ্কটময় মূহুর্তে তারা নিজেদের কি ভাবে স্থির রাখেন!!!
৮৫| ২৩ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:৪৩
শয়তান বলেছেন: নৈতিকতার মধ্যে ধর্মের প্রভাব কতটুকু এই নিয়া মনে হয় আলাদা ডিবেট হওয়া দরকার। বিশেষত ৮০ নাম্বার কমেন্টে নাঃধঃ যেমন খেপছেন তাতে ব্যপারটারে আর হেলা ফেলা করন উচিত না
৮৬| ২৩ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:৪৯
প্রচ্ছদ বলেছেন: নৈতিকতার মধ্যে ধর্মের কোন প্রভাব আছে বলেতো আমার মনে হয়না। >>শয়তান
.
৮৭| ২৩ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:৫০
প্রচ্ছদ বলেছেন: ধর্মের প্রভাব এই অর্থে যে ধর্মই মানুষকে নৈতিক ভাবে ভালো রাখতে প্রভাবিত করে।
৮৮| ২৩ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:৫৩
শয়তান বলেছেন:
রাসেল ( ........) বলেছেন:
অসাম্য এবং বৈষম্য কমিয়ে আনলে হয়তো ধর্মীয় বিকার কমে যাবে কিন্তু তখনও ব্যক্তিগত মানসিক সমস্যা কিংবা বিকারের যুথবদ্ধতা দেখা যাবে।
---
আরেকটু ব্যাখ্যা করবেন
৮৯| ২৩ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:৫৮
শয়তান বলেছেন:
প্রচ্ছদ বলেছেন: নৈতিকতার মধ্যে ধর্মের কোন প্রভাব আছে বলেতো আমার মনে হয়না। >>শয়তান
আমাদের পোস্টের লেখক তো সেটা মনে করেন । স্বপন ও মনে করেন
। আমি আপনি বা অন্যরা না মনে করলেও তারা কেন এই গোঁ ধরে বসে আছেন সেইটা পরিষ্কার হওয়াটা সময়ের প্রয়োজনে জরুরী হয়ে পরছে
৯০| ২৩ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১:০৩
প্রচ্ছদ বলেছেন: ফরহাদ ভাইর পোষ্টে কালেক আলোচনা করুম। তাঁর একটা ভুল ধারনা (ধর্মের উপযোগীতা সম্পর্কে যে সমস্ত যুক্তি উপস্থাপন করেন)আছে। সেটা নিয়া কাইল্কা উনার সাথে আলোচনার ইচ্ছা আছে। >> শয়তান
...................................ব্যক্তিগত ক্যাচালে আছি। তাই মনখুইলা ব্লগাইতে পারিনা। অনেক কিছু বলা হয়না।
৯১| ২৩ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১:০৯
নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন: ধর্মের প্রভাব এই অর্থে যে ধর্মই মানুষকে নৈতিক ভাবে ভালো রাখতে প্রভাবিত করে
=====>>>>>>>>
কি আশ্চর্য?
এই ব্লগের সব নাস্তিকই কি এমনই মনে করে?
আপনারা আপনার চারপাশের ধার্মিক ব্যক্তিদের দেখে এমনটাই মনে করেন? এমন ধারণাই পেয়েছেন? ধর্ম যে স্থির নৈতিকতার মানদন্ড তৈরি করে দেয় ও বাধ্য করে- সেটা কি কোনদিন নৈতিকতা হইতে পারে?
লোভে ও ভয়ের সাথে যে ন্যায়-অন্যায়ের সম্পর্ক- সেটাকে কি কখনো নৈতিকতা বলা আদৌ সম্ভব?
সমাজের একটা মানুষ যখন একটা ভালো কাজ করে (ধরেন পাশের এক মানুষের একটা উপকার করলো)- সেটা কি ধর্মের কারণে? ধর্মের লোভের কারণে বা যেকোন জাগতিক-পরলৌকিক আশায় করা কাজ যতই ভালো হোক না কেন- সেটাকে শেষ পর্যন্ত নৈতিক বলা যায়?
মানুষের যাবতীয় মানবিক সুকুমার বৃত্তিগুলো কি ধর্ম থেকে উদ্ভুত?
একটা শিশুকে যখন যখন প্রথম ভালো-মন্দের বিভিন্ন ধারণা দেয়া হয়- সেটা কি বেহেশত-দোযখের ধারণা সহকারে দেয়া হয়, না কি শুধু এটা করো- এটা করো না- এটা ভালো এটা ভালো না- এই আকারে দেয়া হয়? (আমার আড়াই বছরের পোলারে আমি তো দূরের কথা পোলার ধার্মিক নানীরে পর্যন্ত কখনো এমন শিখাইতে দেখি নি- যে ভাই এটা করো না- কারণ ধর্মের নিষেধ আছে, এটা করো কারণ ধর্ম এটা করতে বলে.... ইত্যাদি। ধর্ম জিনিসটা কি সেটা সে এখনো জানেই না- বেহেশত দোযখ তো আরো জানে না- নানী অবশ্য আড়ালে আবডালে আল্লাহ বলতে শিখিয়েছে, নামাজের কথাও বলেছে- দাদি শিখিয়েছিল আযান শুনলেই সেজদার মত ভঙ্গি করা)
..........
২৩ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৪৭
মনির হাসান বলেছেন: ধর্মের প্রভাব এই অর্থে যে ধর্মই মানুষকে নৈতিক ভাবে ভালো রাখতে প্রভাবিত করে ... এটা কে বলছে ?
বিশাল পোস্টে আমি খুজে পাচ্ছিনা এটা কোন নাস্তিক বলেছে কিনা ।
যদি আমি বলে থাকি ... খুব ভুল বলেছি ।
যদি অন্য'কেউ বলে থাকে ... এবং আমি সমর্থন করি ... খুব ভুল করেছি ...
যদি ঘটনা এরকম হয় ... আমার বা স্বপনের ব্যাপারে আপনার স্বীদ্ধান্ত এরকম এসেছে তাই বলেছেন ... তাহলে বলবো আপনি খুব ভুল করছেন ।
৯২| ২৩ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১:২০
প্রচ্ছদ বলেছেন: নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন: ধর্মের প্রভাব এই অর্থে যে ধর্মই মানুষকে নৈতিক ভাবে ভালো রাখতে প্রভাবিত করে
=====>>>>>>>>
কি আশ্চর্য?
এই ব্লগের সব নাস্তিকই কি এমনই মনে করে?
ঐ না.ধ. ৮৬ নাম্বার কমেন্ট খিয়াল কর.....
৯৩| ২৩ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৩৯
নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন: "এদের নৈতিক শিক্ষা দেয়ার জন্য ধর্মের বিকল্প এখনো বোধহয় নাই ।"
======>>>>>>>> কি আর বলবো???
আজকের ধর্ম বহাল তবিয়তে থাকা এই সমাজকে আমরা নৈতিক বলবো? আশ্চর্য!! নৈতিকতার সংজ্ঞা মনে হয় নতুন করে আবার শিখতে হবে!
আপনারা কি ব্যক্তি মানুষের নৈতিকতার কথা ভাবছেন। ধরা যাক- চুরি করা একটা অনৈতিক কাজ। ধরেন- এই মুহুর্তে একজন যে চুরি করে না- সে কেন করে না? আল্লাহকে ভয় পায় বলে, নাকি চুরি সম্পর্কিত সামাজিক একটা অবস্থানের কারণে? আবার যে ধর্মকে বিশ্বাস করেও চুরি করে- সে কেন চুরি করে? সে কি দোযখকে অবিশ্বাস করে- সেজন্য চুরি করে এমন? আর আমি আলোচনাটা আমি সবসময়ই সামাজিক পার্সপেক্টিভে আলোচনা করতে পছন্দ করি। ঐ লোকের চুরি/ডাকাতি করাটাকে সবসময়ই কি আমি ধর্মীয় বা আইনের দৃষ্টিতে দেখে অন্যায় বলতে পারি? মানিক বন্দোপাধ্যায়ের একটা অসাধারণ ছোট গল্প আছে- "ওরা কেড়ে খায় না কেন?" পড়ে মনে হয়- ঐ ভুখা নাঙ্গাদের জন্য খাবার কেড়ে না খাওয়াটাই হয়তো বা অনৈতিক!
মানুষ বেড়ে উঠে তার সামাজিক-সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলে- সেখানে ধর্ম একটা অনুষঙ্গ ঠিকই- কিন্তু তার সামাজিক পরিমন্ডলটিই তাকে নৈতিকতার শিক্ষা দেয়। ধর্মের মাধ্যমে নৈতিকতা শিক্ষার কোন দরকারই নাই, আর আজকের সমাজরে নৈতিক বলতেও পারিনা- ফলে এই নৈতিকতা শেখানোর জন্য বিকল্প খোঁজার দরকারও নেই। নৈতিকতা মানে যদি হয় মানুষকে মানুষ পরিচয়ে সবচেয়ে উপরে স্থান দেয়া, তবে এই শোষণ মূলক সমাজ ব্যবস্থা চালু রেখে কোন রকম নৈতিকতার চর্চা সম্ভব নয়। হাজারটা ধর্ম আসলেও সমাজ না পাল্টালে নৈতিকতার অবস্থা একই রকম থেকে যাবে। আর যেহেতু ধর্ম এই অনৈতিক সমাজকেই প্রোমোট করে- একে টিকে রাখতে সাহায্য করে- সেহেতু ধর্মও এই অনৈতিক সমাজ ব্যবস্থার অন্যতম কারণ। অনৈতিকতার কারণ যা- তার বিকল্প খোজার কোন দরকার নেই।
৯৪| ২৩ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৪১
নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন:
সরি @ প্রচ্ছদ
৯৫| ২৩ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৪৩
প্রচ্ছদ বলেছেন:
ধর্ম ও নৈতিকতা পসঙগ্গে এক্টা কতা কৈ (যেতারা বিলিভ করেন নৈকিতা সৃষ্টিতে ধর্মের উপযোগীতা আছে এইধরনের বক্তইব্বে )
বিশ্বাসটি উপকারী না ক্ষতিকর, তার চেয়ে গুরুত্বপুর্ন হচ্ছে বিশ্বাসটি ভুল না সঠিক।
২৩ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ২:৪১
মনির হাসান বলেছেন: জটিলতম কমেন্ট ...
আর একটা কথা ... ঝড়ের মধ্যে ভুল বুইঝো না ... ক্যান কইলাম ... কমেন্টের প্রথম সেন্টেন্স দ্রষ্টব্য ।
৯৬| ২৩ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৪৪
প্রচ্ছদ বলেছেন: ব্যপার্সনা কমরেড>>না.ধ.
৯৭| ২৩ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৪৬
দুরন্ত স্বপ্নচারী বলেছেন: ৯৩ নম্বর মন্তব্যের জন্যে না.ধ কে ধন্যবাদ।
তীব্রভাবে সহমত।
২৩ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ২:৩৮
মনির হাসান বলেছেন:
আপনার ৭৬ নং উত্তর দেয়া হইছে । ওটার প্রেক্ষিতে কিছু বলবেন আশা করি ।
৯৮| ২৩ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৫৪
প্রচ্ছদ বলেছেন: এক্টা উদাহনর দিই। ছুডুবেলায় আমগোরে পরীক্ষার আগে ডিম খাইতে দিতনা। এমনকি এস.এস.সি. পরীক্ষার সোময়ও আমারে ডিম খাইতে দেয়নাই। এর পেছনে যে বিশ্বাসটি কাজ করেছে সেটি হচ্ছে ডিম খাইলে ডিম পামু (অর্থাৎ রেজাল্ট খারাপ করুম)।
এখন ঘটনাটিকে যদি বিশ্লেষন করি তবে দেখবো, পরীক্ষার আগে যদি আমি ডিম না খাই আদতে আমার কোন ক্ষতি নেই। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে যে এই যে ডিম না খাওয়া জনিত বিশ্বাস (ডিম খেলে রেজাল্ট খারাপ কর্বো) এটি কিন্তু ভুল। আমি কেন একটি ভুলের মধ্যে থাক্বো?
৯৯| ২৩ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৫৮
নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন: @মনির হাসান,
কমেন্ট ফলো করেন>>>
৮৭ >> ৯১>>৯২>>৯৩>>>৯৪
ঐ কমেন্ট নিশ্চিত আপনি করেন নাই......
প্রথমত ফরহাদ উদ্দিন স্বপনের উপর মেলা চেইতা অহন যারে পাইতাছিলাম তারেই ফায়ার করতাছিলাম- আপনারে তো আগেই করছিলাম- মাঝখানে প্রচ্ছদ ব্যাটারে মিসফায়ার কইরা ফেলাইছিলাম। আসলে ফায়ার করোনের দরকার ছিল দূরের পাখিরে- কিন্তু ব্যাটা এমনই চালু- শুরুর লাইনটা দেয়াতে আর শেষের লাইন দেখি নাই- সেইটা আপনি পরে দেখাইয়া দিলেন.......
যাউকগা- কোট করা ঐ অংশের নীচ থাইকা পইড়া আপনের মত জানান।
১০০| ২৩ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ২:০১
শয়তান বলেছেন: ৯৩ নম্বর মন্তব্যের শেষ প্যারাটা জটিল
১০১| ২৩ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ২:২৬
নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন:
২০০৯ সালের পাঠ্যবই ইসলাম শিক্ষা নিয়ে একটি আলোচনার (http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=3013) অংশবিশেষ:
"পৃঃ ৯ তে বলা আছে যে মুমিনদের জন্য আখিরাতে বিশ্বাস করা বাধ্যতামূলক, তাঁরা “শাস্তির ভয়ে” ও “পুরস্কারের আশায়” ভাল কাজে আগ্রহী হন। এখানে যেকোন চিন্তাশীল পাঠকেরই মনে হতে পারে- আমরা কি তবে পশুর চেয়েও নিকৃ্ষ্ট? প্রকৃ্তিবিজ্ঞান সম্পর্কে সামান্য পড়াশুনা করলে দেখা যায় প্রকৃ্তিতে হাজারো নিষ্ঠুরতার মাঝেও altruism বা পরহিতব্রতের অমর দৃষ্টান্ত রয়েছে। মৌমাছিরা তাদের মৌচাক রক্ষা করার জন্য শত্রুর উপর হামলে পড়ে এবং তাদের গায়ে হুল ফুটিয়ে নিজেরা আত্মাহুতি দেয়। ত্যাগস্বীকার করার এই অপূর্ব নিদর্শন থাকতে ইবরাহিমের পুত্রবলির কেচ্ছার কোন প্রয়োজন নেই। তাছাড়া স্বপ্ন দেখে নিজের পুত্রের গলায় ছুরি চালানো চরম বোকামির উদাহরণ বৈ কিছুই না। পশুপাখিরা যেখানে স্বর্গের প্রতিশ্রুতি ছাড়াই নৈতিকতার চর্চা করে সেখানে আশরাফুল মাখলুকাতের নীতিবান হওয়ার জন্য স্বর্গের রমনীদের প্রয়োজন পড়ে, ভাবতে বেশ কষ্ট লাগে"।
১০২| ২৩ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ২:৩৩
মনির হাসান বলেছেন: একটা বিশাল ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে ... কমেন্ট প্রতিত্তর ঠিক'মতো এবং সময়মতো না দেয়াতে সেটাই স্বাভাবিক ...
এখন পর্যন্ত কোন গর্দভই এটা বলেনি যে .. নৈতিকতা ধর্ম প্রদত্ত।
এখন পর্যন্ত কোন গর্দভই এটা বলেনি যে .. নৈতিকতার সোল এজেন্সি একমাত্র ধর্মই ।
এখন পর্যন্ত কোন গর্দভই এটা বলেনি যে .. ধর্ম আছে বলেই নৈতিকটা টিকে আছে ।
এখন পর্যন্ত কোন গর্দভই এটা বলেনি যে .. নৈতিকতা টিকে থাকবে একমাত্র ধর্ম টিকে থাকলে ...
তাহলে এত ব্যাপক ক্যাচাল লাগার উৎস কি ?
আমি বলেছিলাম ... নির্বোধ শ্রেনীর মানুষ'কে অনৈতিক কার্যকলাপ থেকে বিরত রাখতে ধর্মের কার্যকারীতা বেশ কিছুটা হলেও আছে ।
এরপরই সম্ভবত ক্যাচাল'টা শুরু হয় ।
এই উক্তি থেকে আবার শুরু করি ...
পৃথিবী'তে নির্বোধ ছিল, আছে, থাকবে । কেউ আমাকে নিশ্চয়ই নির্বোধশূন্য স্বর্গপ্রায় দুনিয়ার কল্প কথা শুনাতে আসবেন না ।
নৈতিকতা সামাজিক প্রয়োজনেই মানুষ তৈরি করেছিল .. ধর্মের সেখানে কোন কেরামতি ছিলনা .. ধর্ম যখন ফুল ফেজে মাঠে নামে এই নৈতিকতারে প্যাচ খাওয়ায়া মাঠে নামে ।
ছিল/আছে নির্বোধ'দের নৈতিক চর্চায় ধর্মের বিধিবিধান কার্যকরি না এটা যে অস্বীকার করবেন তার জন্য বলবো একটু চোখ খুইলা তাকান ।
আর থাববে নির্বোধ'দের জন্য যারা ব্যাবস্থা করতেছেন সুশিক্ষা, নীতিজ্ঞান ইত্যাদি ইত্যাদি ... তাদের বলবো ... আপনার আরো একটা টুলের কথা ভুইলা যাইতেছেন ... লাঠির বাড়ি ...
ছিল/আছে নির্বোধ'দের সাইজ করতে (শুনতে খারাপ শোনায় তারপরও বলা লাগে এই জনগোষ্টি মুল জনসংখ্যার বিশাল একটা অংশ) টোটাল যতগুলা টুল আছে তার মধ্যে ধর্মীয় বিধিনিষেধ একটা ভাইটাল টুল ...
এটা অস্বীকার করার কারণ কি ?
থাকবে নির্বোধ'দের কথা বাদই দিলাম ... কারণ আমরা যে সময়'টার প্রজেকশন করতেছি বা স্বপ্ন দেখতেছি তাতে ধর্মীয় বিধিনিষেধ শুন্যের তলায় যাবে ।
১০৩| ২৩ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ২:৩৯
নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন: আমার একটা পোস্ট ছিল "গালি" শিরোনামে, সেখান থেকে একটু কপি পেস্ট করছি:
******************************
.....ইলিয়াসও সে ধারার বাইরের ব্যক্তি নন। তিনিও সংস্কারের বিরুদ্ধে কথা বলে গেছেন নিরন্তর। তিনি বলেছেন, "আমি সেরকম সোসাইটি চাইছি যেখানে নারী পুরুষের সম্পর্কে কোনরকম বার থাকবে না।"
সেক্সের পেছনে যদি কোন ভ্যালু কাজ না করে তবে ব্যাপারটা অ্যানার্কি দাঁড়াবে কি-না এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, "প্রথম কথা হচ্ছে অ্যানার্কি কি চেইনের চেয়ে ভালো না? আর দ্বিতীয় কথা হচ্ছে আমরা সংস্কারকেই মূল্যবোধ মনে করি। বিয়েটাকে একটা ভ্যালু হিসাবে বলা হচ্ছে কিন্তু এটাকে আমি সংস্কারও বলতে পারি। বিয়েটাকে -কি সামন্ত, কি বুর্জোয়া- সবাই দারুন গ্লোরিফাই করেছে, কিন্তু পুঁজিবাদী সমাজে বিয়েটা তো অন্তত কুৎসিত একটা ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন একটা সোসাইটির স্বপ্ন দেখি সেখানে বিয়েটা কোন ইনস্টিটিউশন হবে না; একজন সভ্য নারী আর পুরুষের পরষ্পরের প্রতি যদি অনুমোদন থাকে, সেখানে তাদের মিলনে কোনো সংস্কার, অপরাধবোধ, পাপবোধ যেন বাঁধা হিসাবে না আসে,......"
********************************
ধর্মরে আমার (কু)সংস্কার মনে হয়, ধর্ম প্রদত্ত নৈতিকতা(!)রে আমার চেইন বা শৃঙ্খল ছাড়া কিছু মনে হয় না। ঐ টা দূর করায় যদি কিছু এনার্কি হয়ও- আমি কোন সমস্যা দেখি না।
১০৪| ২৩ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ২:৫৫
শয়তান বলেছেন: পোষ্টের দিক কিন্চিত অফটপিকে যাইতেছে । কেবলা ঠিক রাখেন সবাই
১০৫| ২৩ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ২:৫৬
নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন: এখন পর্যন্ত কোন গর্দভই এটা বলেনি যে .. নৈতিকতা ধর্ম প্রদত্ত।
এখন পর্যন্ত কোন গর্দভই এটা বলেনি যে .. নৈতিকতার সোল এজেন্সি একমাত্র ধর্মই ।
এখন পর্যন্ত কোন গর্দভই এটা বলেনি যে .. ধর্ম আছে বলেই নৈতিকটা টিকে আছে ।
এখন পর্যন্ত কোন গর্দভই এটা বলেনি যে .. নৈতিকতা টিকে থাকবে একমাত্র ধর্ম টিকে থাকলে ...
তাহলে এত ব্যাপক ক্যাচাল লাগার উৎস কি ?
===========>>>
ফরহাদ উদ্দিন স্বপনের এই কথাগুলোকে কি মনে করেন?
"কাজেই ধর্মের আদৌও প্রয়োজন নেই তা আমি বিশ্বাস করিনা। অন্তত সাধারণ মানুষকে নৈতিকতা শিক্ষা দেয়ার জন্য এর প্রয়োজন আছে এবং এটা টিকে থাকবে।"
যেটাতে আপনার কোন আপত্তি নেই, অথচ আমার আপত্তি করা কমেন্টের জবাব দেয়া একটা উদ্ভট কমেন্টরে আপনি বেস্ট কইলেন! (আমার ৭৮ নং কমেন্ট পড়ুন)
দূরের পাখির এই কমেন্টরে কি মনে করেন?
"এদের নৈতিক শিক্ষা দেয়ার জন্য ধর্মের বিকল্প এখনো বোধহয় নাই ।"
আপনি এটাতে কোন আপত্তি করেন নি - উল্টো বটমলাইন জানিয়ে এই বাক্যটা আবার কপিপেস্ট করেছেন। সমর্থন হিসাবেই মনে হয়েছে।
পরিশেষে আপনি নিজেই বলছেন:
নৈতিকতা রক্ষায় যে সমস্ত টুল ব্যাবহার হয় (যেমন সামাজিক বিধিবিধান, রাষ্ট্রীয় আইন, নীতিশিক্ষা, সামাজিক নীতি'চর্চা ইত্যাদি) তার মধ্যে ধর্মের বিধি'নিষেধ একটা ফ্যাক্টর
========>>>>> এসবই ক্যাচাল লাগার মূল কারণ।
তাছাড়া আপনার আরো কিছু খুচড়া কমেন্ট আছে- সেগুলো নিয়েও আলোচনা হতে পারে- তার আগে উপরের বোল্ড করা কমেন্ট নিয়ে আপনার বক্তব্য/যুক্তি হাজির করুন। বিশেষ করে স্বপনের বক্তব্য সম্পর্কে আপনার অবস্থান কি- সেটা জানতে চাই।
২৩ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ৩:২৯
মনির হাসান বলেছেন: "কাজেই ধর্মের আদৌও প্রয়োজন নেই তা আমি বিশ্বাস করিনা। অন্তত সাধারণ মানুষকে নৈতিকতা শিক্ষা দেয়ার জন্য এর প্রয়োজন আছে এবং এটা টিকে থাকবে।"
>> কমেন্ট'টা যথেষ্ট ভালো মনে হইছিল বলেই .. অতি উৎসাহী হয়ে বেস্ট কমেন্ট বলছিলাম ... কমেন্টার সার বস্তুর সাথে এখনো একমত ... আমার ভাষায় বললে খুচর কিছু জিনিষ হয়তো বাদ পরতো বা যোগ হইতো ।
ছিল/আছে নির্বোধ'দের জন্য ধর্মের বিধিনিষেধ দরকার আছে।
থাকবে নির্বোধ'দের জন্য লাঠির বাড়ি ।
হ্যা আমি মনে করি ধর্ম টিকে থাকবে ... কালচারাল ফর্মেটে ... এর ভৌতিক বা অলৌকিক প্রভাব আর থাকবেনা ।
"এদের নৈতিক শিক্ষা দেয়ার জন্য ধর্মের বিকল্প এখনো বোধহয় নাই ।"
আলোচ্য ক্ষেত্রে (দু.পা. যেটা চাংক বলতেছে আমি বলতেছি নির্বোধশ্রেণী) ধর্মের বিকল্প নাই ... ৯৩ ডিটেলে উত্তর দেয়ার চেষ্টা করবো ... এটা আপাতত বাদ
নৈতিকতা রক্ষায় যে সমস্ত টুল ব্যাবহার হয় (যেমন সামাজিক বিধিবিধান, রাষ্ট্রীয় আইন, নীতিশিক্ষা, সামাজিক নীতি'চর্চা ইত্যাদি) তার মধ্যে ধর্মের বিধি'নিষেধ একটা ফ্যাক্টর
গোটা ফ্যাক্টরটাই অস্বীকার কইরা উড়ায় দিতাছেন ... তাইলে আর কিছু বলার নাই ... একটু আকটু ক্রেডিট দিলে তো খুব বেশি ক্ষতি নাই ... নাকি ?
১০৬| ২৩ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ৩:০০
নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন:
@শয়তান,
কেবলা আমি ঠিক রাইখাই অফটপিক আনতাছি- তয়, অফটপিকের মধ্যে থেকে চাইলে কেবলা না খুইজা যে কেউ পুরা উল্টা দিকে সেজদা দেবার পারে- এইটাও জানি। অন্যরা এই রকম করলে করুক- তয় এই পোস্টের লোকদের উপর আমার আস্থা আছে- হেরা ঐগুলানের মধ্য থাইকা ঠিকই কেবলা খুইজা নিতে পারবো.....
১০৭| ২৩ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ৩:০৯
নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন:
ধুর, আইজকা ঘুমাইতে গেলাম- কাইলকা আবার কথা হইবো.....
১০৮| ২৩ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ৩:২০
শয়তান বলেছেন: ৮৫. তে আলাদা ডিবেটের দাবী করছিলাম আমি পয়লাই এজন্য ।পোষ্টের মোড় যাতে বাইরের লোকজন না ঘুরাইতে পারে সেজন্যই এই ক্ষীণ সতর্কবানী।
১০৯| ২৩ শে নভেম্বর, ২০০৯ সকাল ১০:০৭
ফরহাদ উিদ্দন স্বপন বলেছেন: @ না.ধ
মোতাহের হোসেন চৌধুরী মূলত একজন মননশীল অনুবাদক। তার লিখিত "সংস্কৃতি কথা" সবচেয়ে বিখ্যাত। আপনি এ গ্রন্থের সংস্কৃতি কথা প্রবন্ধে এ কথাটা পাবেন;
পুরো বাক্যটা আসলে এ রকম "ধর্ম সাধারণ মানুষের কালচার। আর কালচার শিক্ষিত মানুষের ধর্ম। সাধারণ মানুষকে ধর্মবঞ্চিত করা মানে তাকে তার কালচার হতে বঞ্চিত করা।" এখানে সাধারণ বলতে উল্লেখিত ৮৫ভাগ মানুষকেই আপনি ধরে নিতে পারেন।
আমি কিন্তু বলিনি যে ধর্ম নৈতিকতার সোল এজেন্ট। কিন্তু আমাদের সামাজিক প্রেক্ষিত বিবেচনায় এখনো সাধারণ মানুষের জন্য নৈতিকতা শিক্ষা দেয়ার বিকল্প কোন রাস্তা হয়েছে কি? মনে হয় এখনো হয়নি। কাজেই তাঁদের জন্য বিকল্প কোন পথ না রেখে ধর্মচ্যুতিটা কি কাজে আসবে। আসলে আমার এ মনে হয় কাজটা দীর্ঘমেয়াদি এবং শিক্ষার মাধ্যমেই তা করতে হবে।
এখানে রাসেল ভাইয়ের উক্তিটি প্রযোজ্য, "সমাজে শিক্ষার বিস্তার ঘটলে ধর্মের প্রকোপ কমে যায় না, এমন কি উচ্চতর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রাষ্ট্রের কঠোর কাঠামো এবং নিরপেক্ষ আইনী ব্যবস্থাও ধর্মের ত্রুটি সারাতে পারে না।"
কথাটি সত্যি এবং অবশ্যই গুরুত্বে দাবি রাখে। বিশেষত আজকাল যারা ধর্ম নিয়ে কথা বলেন তারা কেউ অশিক্ষিত বা মৌলানা টাইপের নন। আমাদের ব্লগের যারা ধর্ম নিয়ে লম্পঝম্প করেন তারা সবাই উচ্চশিক্ষায়ই শিক্ষিত। হিজবুতের সদস্য বা হর্তাকর্তাদের দিকে তাকালেও আপনি একই জিনিস খেয়াল করবেন। এমন উচ্চশিক্ষিতরা কেন এভাবে ধর্মের দিকে ঝুকছে?
আসলে মনে হয় গলদটা আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাটা আগাগোড়াই সেমি রিলিজন বেইজড। বিশেষ করে প্রাথমিক শিক্ষাটা পুরোপুরি ধর্মকেন্দ্রিক। স্বভাবিকভাবে মানুষ শৈশবে যে বিশ্বাস নিয়ে বেড়ে ওঠে খুব বেশি ব্যতিক্রম তাই লালন করে। আপনি যতোদিন ধর্মকেন্দ্রিক এই শিক্ষাব্যবস্থা থেকে বের হতে পারবেন না ঠিক ততোদিন পর্যন্ত উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হতে তথাকথিত উচ্চশিক্ষিত ধর্মানুরাগী বের হওয়া বন্ধ হবেনা।
আমি ধর্মকে কোন বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে দেখছিনা। কিংবা এর মঙ্গলাকাংখীও নই। আমিও এর উচ্ছেদ চাই। তবে এই উচ্ছেদ রাতারাতি সম্ভব নয়। এর জন্য প্রয়োজন সময় এবং সংশ্লিষ্টদের কর্তাব্যক্তিদের সদিচ্ছ। তবে আমার মনে হয় শিক্ষাব্যবস্থা হতে ধর্মমুক্ত করাটাই হতে পারে এ উচ্ছেদের প্রাথমিক পদক্ষেপ।
@ শয়তান, চান্স পাইয়া উস্কাইয়া দেওনের কামডা ভালাই করতাছেন।
১১০| ২৩ শে নভেম্বর, ২০০৯ সকাল ১০:৩৩
কাক ভুষুন্ডি বলেছেন: আপাততঃ দেখি।
১১১| ২৩ শে নভেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:২৮
গোঁপা বলেছেন: ধর্ম'গুলোর ভবিষ্যত কি ? নাস্তিক'রা ধর্মের কি পরিনতি বা অবস্থা দেখতে চায় ? এই ছিল মনির ভাইর টপিক । মধ্যেখানে কয়েকটা খুচরা প্রশ্ন ছাড়া ।
যাই হোক ।-
আরেকটি বিষয় ছিল এই যে নাস্তিকরা ধর্মের পরিনতি কি দেখতে চায় ।
আলোচনায় সব কিছু উল্টাইয়া গেছে , এই কারনে যে , ধর্ম বলতে কি বুঝায় ?
ধর্ম কোথা থেকে আসছে ?
নাজিল হওয়া ধর্ম আর ব্যক্তি প্রবর্তিত ধর্মের পার্থক্য কি এই সব বিষয় কোন আলোচকের ক্ষেত্রেই স্পষ্ট নয় ।
বাঙালীরা যে আচার - পালন করে তার মধ্যে কোন ধর্মের প্রাধান্য বেশি ,এই সমস্ত পরিস্কার না করেই আরোচনা চলছে । এর পরিনতি কি যে কোন বিচক্ষণ মানুষের কাছেই পরিষ্কার ।
এই খানে সম্ভবত আস্তিক বলতে তারাই যারা আল্লাহর অস্তিত্বে বিশ্বাস করে
এই খানে সম্ভবত নাস্তিক বলতে তারাই যারা আল্রাহর অস্তিতে বিশ্বাস করেনা ।
উভয়ের ক্ষেত্রেই প্রয়োজন আছে তাহলে সেই আল্লাহ যিনি ধর্ম নাজিল করেছেন
সেই ধর্ম বুঝে বুঝে নেবার পূর্বে খোদ আল্রাহর ধর্ম কি সেটা বোঝবার চেষ্টা করা ।
এই পথ কেহই অবলম্বণ করেন নাই ।
বাঙালী তার নিজস্ব ধর্ম নিয়েই আছে : কূতর্ক ।
গোড়া থুইয়া আগায় পানি ঢালা ।
মূলবস্তু রাইখা ছোবরা নিয়া কথা বলা ।
এইখানের সুশিল সমাজ যারা নাস্তিক হইয়াছেন তারা মূলত সমাজের অন্যায়
আচরন যেটাকে ধর্ম হিসেবে চলে তার ব্যবিচার দেইখাই নাস্তিক হইয়াছেন ।
তারা কিন্তু কখনোই সরাসরি আল্রাহর স্বরূপ বুইঝা নাস্তিক হননাই ।
তারা যদি আল্রাহর স্বরূপ বোঝার চেস্টা করতেন , চেষ্টা করতেন তার যে কোন নিজের সম্পর্কে বলা একটি বাক্যর অর্থ বোঝার তাহলে অনেক সমস্যারই সমাধান হয়ে যেত ।
যদিও সেই অর্থ বোঝাটা ও একটু জটিল । কারণ গত ১৪শত বছর ধরে চলা আব্বাসিয় উমাইয়াদের তফসির এই সমস্যার সৃষ্টি করেছে । তাঁরা এমন ভাবেই কোরানের তফসির করেছে যাতে আল্লাহর স্বরূপটি বিকৃত করা হয়েছে । আল্রাহকে তাঁরা সাত আসমানের উপরের জিনিস মনে করে ।
তাইতো সাঁইজী পরিহাস করে বলেছেন : জানতে চাইলে খোদার কথা দেখাও আসমানে ।
নাস্তিক ভাইয়েরা আপনারা একটা জিনিষ কেবল খেয়াল করেন ।
এই খানে যে সমস্ত মানুষ কোরান অনুবাদ করেছেন তাঁদের মধ্যে মাত্র একজন ছড়া সকলেই সরাসরি কোরানকে নিজেদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্যে অনুবাদ করেছেন । অতএব সেই অনুবাদও আব্বাসিয়দের ছাড়িয়ে যেতে পারেনি ।
দ্বিতীয় কথা , এদের মধ্যে কেহই কোরানের সাংকেতিক চিন্হগুলোর সঠিক অর্থ দিয়ে যেতে পারেনি ।
পরিশেষে শুধু সাঁইজীর এই বাক্যটির দিকে নজর ফেরানোর জন্যে আপনাদেরকে সবিনয় অনুরোধ করি ।
সাঁইজী বলছেন : তুমি আপনি আল্লাহ ডাকো আল্রাহ বলে / আল্লাহ কে বোঝে তোমার অপার লিলে ।
মানুষ ছাড়া অন্য কোন প্রজাতির কোন স্রষ্টা নাই । কারন মানুষ তাঁর সহজাত নির্মাণ ক্ষমতা দ্বারা এই বস্তু সৃজন করেছে ।
আশ্চর্য ধর্ম ব্যাবসায়ীদের হাতে সেই সৃজিত বস্তুর ব্যাখ্যা পেল , সেই স্রষ্টাই নাকি মানুষকে সৃজন করেছে !!
কি আর বলবো ভাই ,সর্ব্ব যুগে ব্যবসায়ীদেরই আদিপত্য দেখিলাম । আর তাহাদের ফাপড় লইয়া আলোচনা করিয়া দিন ফুরাইলাম ।
যাবার আগে দ্বিতীয় বারের ন্যায় একটা সমাপনি কেচ্ছা রাখিয়া যাই ।
এই খানকার প্রথম দিকের ঘোষিত নাস্তিক হলো গিয়া চার্বাক সম্প্রদায় ।
তাহারা ছিল কঠিন নাস্তিক ।
ইশ্বরকে তুলোধুনো করা ছিল তাঁদের কাজ ।
কিন্তু যখনই অসুস্থ হইয়া পড়িত , অসুধ খাইয়াও যখন তাহাতে না ধরিত ।
তখনই মন্দিরে চলিয়া গিয়া কালি নাম জপিত ।
ভাল হইয়া গেলে আবার তাহারা ইশ্বরকে অস্বিকার করিয়া নাস্তিক্য কথা প্রচার করিত ।
আহারে চার্বাক সম্প্রদায় সেই দিন যদি তোমার অসুস্থ হইয়া মন্দিরে না গিয়া রোগের প্রকৃত কারন খুজিয়া অসুধ তৈরি করিতা , তাহলে তোমাদের পরিনতি যেমন সুখকর হইতো তেমনি আমাদেরও
কপাল এমনই হয় । তোমাদেরও যে পরিনতি আমাদেরও সেই পরিনতি ।
সৃষ্টির মেধা আমাদেরকে তো ভগবান দেন নাই । তাহারই বা দোষ কিসে ।
আমরা কি তাহাকে প্রকৃত স্বরূপে বুঝিয়াছি !
১১২| ২৩ শে নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:১৭
নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন:
@ফরহাদ উদ্দিন স্বপন,
আপনার "আমি ধর্মকে কোন বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে দেখছিনা। কিংবা এর মঙ্গলাকাংখীও নই। আমিও এর উচ্ছেদ চাই। তবে এই উচ্ছেদ রাতারাতি সম্ভব নয়। এর জন্য প্রয়োজন সময় এবং সংশ্লিষ্টদের কর্তাব্যক্তিদের সদিচ্ছ। তবে আমার মনে হয় শিক্ষাব্যবস্থা হতে ধর্মমুক্ত করাটাই হতে পারে এ উচ্ছেদের প্রাথমিক পদক্ষেপ" ===>> এই লাইনেই যদি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত থাকতেন- তবে এত কথা হতো না।
কিন্তু মোতাহের হোসেন চৌধুরীর "ধর্ম সাধারণ মানুষের কালচার। সাধারণ মানুষকে ধর্ম থেকে বঞ্চিত করার মানে হচ্ছে তাকে কালচার থেকে বিচ্ছিন্ন করা।" এই কোটেশন উল্লেখ কইরা যখন সিদ্ধান্ত টানেন: "কাজেই ধর্মের আদৌও প্রয়োজন নেই তা আমি বিশ্বাস করিনা। অন্তত সাধারণ মানুষকে নৈতিকতা শিক্ষা দেয়ার জন্য এর প্রয়োজন আছে এবং এটা টিকে থাকবে।" তখন- আপনার টানা সিদ্ধান্তের সাথে একমত হইতে পারি না। মোতাহের হোসেন চৌধুরীর যে কোটেশন নিয়ে কিন্তু আমি কখনোই আপত্তি তুলিনি- কারণ একটি প্রবন্ধের এক দু লাইন পড়ে কিছুই বুঝা যায় না। তাই আমার জিজ্ঞাসা তিনিও কি আপনার অনুরূপ সিদ্ধান্ত টেনেছিলেন? তাহলে- সেটার সাথে একমত হইতে পারিনা।
আপনি নিজেও দেখুন- এখন আপনি যে কথা বললেন ("আমিও এর উচ্ছেদ চাই")- তার সাথে তার আগের সিদ্ধান্ত ("অন্তত সাধারণ মানুষকে নৈতিকতা শিক্ষা দেয়ার জন্য এর প্রয়োজন আছে এবং এটা টিকে থাকবে")- অবস্থান দুটি কি পরষ্পরবিরোধি না?
আপনার ১ম কমেন্টে আপনি নাস্তিকদের করণীয়ও বাতলে দিয়েছেন: "ধর্মের কথা বলে কেউ যাতে কাউকে ঠকাতে না পারে বা অনাচার সৃষ্টি না করতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখা"। এটা কি আপনার একই কমেন্টের টানা সিদ্ধান্তের সাথে বিপরীত নয়? ধর্ম যদি নৈতিকতা শিক্ষা দিতেই পারে এবং নৈতিকতা শিক্ষা দেয়ার জন্য ধর্মকে টিকে রাখা প্রয়োজন যদি মনেই করেন; তবে ধর্মের কথা বলে কেউ কাউকে ঠকানোর প্রসঙ্গ আসে কেমনে? আর, সেটা ঠেকাবে নাস্তিকরা? নাস্তিকদের কাজ হবে ধার্মিকদের অনাচার বন্ধ করা? আপনি কখন কি বলছেন তা কি আপনি নিজেই বুঝতে পারছেন?
আর, "কাজেই তাঁদের জন্য বিকল্প কোন পথ না রেখে ধর্মচ্যুতিটা কি কাজে আসবে। আসলে আমার এ মনে হয় কাজটা দীর্ঘমেয়াদি এবং শিক্ষার মাধ্যমেই তা করতে হবে।"- এই কথাটা আমাকে বারেবারে শোনানোর কিছু নেই- এইটা আমি নিজেও কয়েকবার বলেছি। এই পোস্টে কেউ কখনোই ধরে ধরে আস্তিকদের নাস্তিক বানানোর কর্মকান্ডে নামার আহবান জানায়নি। কেউ কখনোই বলেনি যে- দল বেধে এখন থেকে ধরে সাধারণ অশিক্ষিত মানুষরে একটা ট্রান্সফরমার টাইপের মেশিনে ঢুকাইয়া দিয়া নাস্তিক বানায়া ফেলতে হইবো। ভবিষ্যতে ধর্ম টিকবে কি টিকবে না এই নিয়ে যখন আলোচনা হয়- সেখানে একটা টোন থাকে যে- ভবিষ্যৎ পৃথিবীকে আমরা কেমন দেখতে চাই, এবং সাথে এটাও থাকে যে আসলে ধর্মরেই আমরা কোন দৃষ্টিতে দেখি বা দেখতে চাই। কেউ যখন বলে- ভবিষ্যতে ধর্ম আজকের অলৌকিক ও ভৌতিক ফর্মে থাকবে না- থাকবে রিউচুয়াল হিসাবে- তখনও এটা মিন করে না যে- সে ঐ মুহুর্ত থেকে ধর্মের অলৌকিকতা ও ভৌতিকতা দূর করার জন্য সাধারণ্যে জনে জনে উঠে পড়ে লাগার আহবান জানাচ্ছে। কেউই কখনো বলছে না- চাইলাম আর রাতারাতি ধর্ম উচ্ছেদ হয়ে যাচ্ছে। ফলে কাজটি দীর্ঘমেয়াদি - এটা নরমালি আপনি বলতেই পারেন, যেকেউই বলতেই পারে, তবে কাজটা দীর্ঘমেয়াদি না স্বল্পমেয়াদি- মানুষের বর্তমান বাস্তবতা কেমন এইসবের কোনটা দিয়েই ধর্ম জিনিসটার প্রয়োজন আছে কি নাই তা নির্ধারিত হতে পারে না।
১১৩| ২৩ শে নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:১৬
নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন:
আমার মূল আপত্তির জায়গা হচ্ছে- নৈতিকতা শিক্ষায় ধর্মকে একটা টুল হিসাবে উল্লেখ করাতেই। মোতাহের হোসেন চৌধুরির কথার সাথে আপাতভাবে দ্বিমত দেখি না- ধর্ম তো আসলেই সংস্কৃতির অংশ, বিকল্প সংস্কৃতি ছাড়া ধর্মরে খালি খালি সরানোও যায় না; কিন্তু তার মানে আজকের এই ধর্মকেন্দ্রিক সংস্কৃতিরে আমি খুব উন্নতমানের কিছু মনে করি। এই সংস্কৃতি মানুষে মানুষে ভেদাভেদ সৃষ্টি করে, মানুষকে কুসংস্করাচ্ছন্ন করে তুলে, পুরুষতান্ত্রিকতাকে লালন ও চর্চা করে, বুদ্ধি-বিবেককে নিষ্ক্রিয় করে তুলে.... ইত্যাদি অনেক কিছুই বলা যায়, সুতরাং এই সংস্কৃতি তো আমি চাইতে পারি না, ধর্ম যেটারে নৈতিকতা কয়- সেইটারে আমার নৈতিকতা বলতেই বাঁধে। আর এসব কারণে আমি অবশ্যই ধর্মের সম্পূর্ণ উচ্ছেদ চাই। যেখানে ধর্মীয় নৈতিকতারে চরম আপত্তিকর হিসাবে মনে করি সেখানে নৈতিকতা শেখানোর জন্য ধর্মের প্রয়োজন আছে ভাবতেই পারিনা।
এখন যদি বলেন- ধর্মের উচ্ছেদ চাওয়া মানে কালকেই ধর্ম উচ্ছেদ সম্ভব মনে করা- তবে বলবো এটা আমি স্বপ্নেও কল্পনা করি না। তখন বাস্তবতার কথা আসতে পারে, বাস্তবতা- বর্তমান পরিস্থিতি এসব তো আলোচিত হতে পারে- কর্মপন্থা নির্ধারণের সময়ে, কিন্তু নীতি ঠিক করার সময়ই যদি আপনি বাস্তবতার দোহাই পাড়েন- তাইলে কেমন করে হবে?
কর্মপন্থা হিসাবে টু স্টেপ পেছানোটা আমার কখনোই সমস্যা মনে হয় না, যদি নীতিগত ভাবে টেন স্টেপ আগানোটা টার্গেট হয়। কিন্তু নীতি ঠিক করার সময়ই যদি বাস্তবতার দোহাই দিয়ে টু স্টেপ পেছানোটাই নীতি হিসাবে গ্রহণ করি- তাহলে কি করে হবে?
আমি ধর্মহীন সমাজ চাইলেও মনে করি- আজকের এই কাঠামোতে সেটা কোনদিনই সম্ভব নয়। আমি আমার এক পোস্টে ( Click This Link) বলেছিলাম:
"আমি এমন একটি শিক্ষাব্যবস্থা চাই- যেখানে
* শিশুর চিন্তা-ক্ষমতা গড়ে উঠার আগে তাকে ধর্ম শিক্ষা দেয়া হবে না,
* বিজ্ঞান শেখার আগে, বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে দেখার আগে তাকে ধর্ম শেখানো হবে না।
* ধর্ম শেখানোর শুরুটা হবে সম্পূর্ণ নিজস্ব ভাষায়- অপরিচিত ভাষায় কোন কিছু চোখ বন্ধ করে মুখস্থ করানো হবে না,
* ধর্ম ও ধর্ম আবির্ভাবের ইতিহাস গুরুত্ব সহাকারে পড়ানো হবে,
* ধর্মের মূল বই (কোরআন-হাদীস/বাইবেল/ত্রিপিটক/বেদ-উপনিষদ ... প্রভৃতি) নিজ ভাষায় পড়ানো হবে। ব্যাখ্যা-ফজিলত-কোনটা পড়লে কি হয়, বিভিন্ন অনুশাসনের নিয়ম ও তার লাভ-ক্ষতি এ ধরণের আলোচনার আগেই মূল টেক্সট নিজ ভাষায় পড়ানো হবে।
* একসাথে একাধিক ধর্মশিক্ষা শুরু করা হবে। অন্তত, ছাত্রের বসবাসরত একলাকার অধিকাংশ মানুষের প্রধান ধর্মমতগুলো।
* একইসাথে দর্শনকেও পড়ানো হবে। ভাববাদ-বস্তুবাদ উভয়কেই সিলেবাসে রাখা হবে।
এমন হলে, আপনারা ব্লগ আস্তিক ভায়েরাই বলুন তো- আপনারা কয়জন আজকের মতো বিশ্বাসী হতেন?"
*************
আমি জানি, অচিরেই আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে এমন করা হবে না। এখন সেক্যুলার ও বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষার দাবি তুলি, মাদ্রাসা শিক্ষার বিরুদ্ধে দাবি তুলি, সর্বস্তরে শিক্ষা ছড়িয়ে দেয়ার দাবি তুলি, ব্যাপকভাবে বিজ্ঞান শিক্ষার দাবি তুলি, জানি এসমস্ত আদায় হওয়ার সাথে সাথে সবাই নাস্তিক হয়ে যাবে না; কিন্তু এটাও মনে করি- একজন গণ্ডমুর্খ থেকে যাওয়ার চেয়ে কিছুটা শিক্ষা পেলে কিছু প্রশ্ন তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে- সেই জায়গা থেকে সর্বস্তরে শিক্ষার প্রসারের কথা না বলে কোনদিনই ধর্মরে দূর করা সম্ভব না; সর্বস্তরে শিক্ষা আসলেই যে ধর্ম দূর হবে তাও মনে করি না- কুপন্ডুক পাঠ্যসূচি- ধর্ম শিক্ষা ও বিজ্ঞান শিক্ষা পাশাপশি চললে- ধর্ম থাকবেই- তাই সেক্যুলার শিক্ষার দাবি তুলি, কিন্তু এতটুকুই ধর্মরে উচ্ছেদ করবে বলে মনে করি না। ফলে স্টেপ বাই স্টেপ আগাতে আমার কোন সমস্যা নেই। শিশু জন্মানোর পরে জ্ঞানার্জনের ১ম পাঠ পায় পরিবার থেকে- তার অনেক পরে বিদ্যালয়ে যতই সেক্যুলার শিক্ষা দেয়া হোক- শুরুর যা সমস্যা হওয়ার তা তো অনেকের হয়েই যায়। ফলে- একটা সময় রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে সামাজিকভাবে প্রিপ্রাইমারী শিক্ষা, শিশুদের জন্য প্রচুর ডে কেয়ার সেন্টার এসব অনেক কিছুর কথাও আমাদের ভাবতে হবে। কিন্তু- আজকেই সব কিছু সম্ভব ও হয়ে যাবে এটা যেমন মনে করি না, তেমনি এটাও মনে করি না যে এসব আজকে সম্ভব না বলেই যে এগুলোর কথা আমরা তুলবো না- এগুলোর স্বপ্ন আমরা দেখবো না, এসবের আকাঙ্খা আমরা মানুষের মধ্যে জাগিয়ে তুলবো না।
সোভিয়েত ইউনিয়নের শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে পড়েছিলাম রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রাশিয়ার চিঠিতে। জসীম উদ্দিনেরও একটা বইও পড়েছিলাম- রাহুল সাংকৃত্যায়নের কিছু বই এ দেখেছিলাম। শিশুদের নিয়ে রাষ্ট্রের বিশেষ উদ্যোগ ছিল। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বাচ্চাদের অনেক সময় নিয়ে নিত- অর্থাৎ পরিবারের পাশাপাশি শিশুরা একটা বড় সময় পরিবারের বাইরেও কাটাতো। এটা করেছিল- শিশুদের বিদ্যালয়গুলোতে শুধু একাডেমিক পাঠদানে সীমাবদ্ধ না রেখে। সেখানে বিদ্যালয় মানে একাডেমিক পাঠদান ছাড়াও কো কারিকুলাম একটিভিটিজ, সংস্কৃতিক কর্মকান্ড- খেলাধুলা এসব ছাড়াও ছিল- এলাকায়-পাড়ায় নানা কাজে কর্মে যুক্ত থাকা- বয়স্ক শিক্ষার কাজটার একটা বড় দায়িত্ব পালন করতো কিশোরেরা, শিশুদেরকেও তাদের উপযোগি নানা কাজে ইনভলভড রাখা হতো। পরিবারে ধর্মশিক্ষা হলেও- প্রাকটিকালি নৈতিকতার শিক্ষাটা সামাজিক ভাবেই হয়ে যেত।
ধর্মের উচ্ছেদ মানে - সরাসরি ধর্মের বিরুদ্ধে জেহাদ করা নয়। সোভিয়েত ইউনিয়ন এমন এক রাষ্ট্র ছিল যেখানে কোনদিন কোন মসজিদ-মন্দির ভাঙ্গা হয়নি- কখনোই সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয় নাই। উল্টো সমস্ত উপাসানলয়ে রাষ্ট্রীয় বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। সমস্ত ধর্মালয়ে লাইব্রেরী রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়- রাশান ভাষায় ধর্মগ্রন্থ, ধর্মগুলোর প্রাথমিক ঐতিহাসিকদের ইতিহাস গ্রন্থ অনুবাদ করা হয়। আস্তে আস্তে দেখা যায়, প্রার্থণার সময়গুলোতে গ্রাজুয়ালি ধর্মালয়গুলোতে উপস্থিত লোকের সংখ্যা কমেছে। কাউকে বাঁধা দেয়া হয়নি যে ধর্ম করা যাবে না।
আমিও এমনটা মনে করি- ধর্মের উচ্ছেদ মানে আজকেই গিয়ে সকলের ধর্ম করার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ নয়।
১১৪| ২৩ শে নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:৩৭
ফরহাদ উিদ্দন স্বপন বলেছেন: আমি যতটুক বুঝতে পারছি যে, ৬৪নং কমেন্টের ধর্ম টিকে থাকুক এই অংশটিতেই আপনার বেশি আপত্তি। ঠিক এই মুহুর্তে আমার কমেন্টটাকে পরিপূর্ণ মনে হচ্ছেনা বা বলতে পারি আমি যা বলতে চেয়েছিলাম তা বলতে পারিনি। অবশ্য তখন আমার মনে হয়নি এটা নিয়ে এতোটা বিশ্লেষণ হবে। অবশ্য পরের কমেন্টগুলোতে আমি এই অসম্পূর্ণতাটাকে দূর করার চেষ্টা করেছি। প্রায়োগিক অর্থে আমি এটাই বুঝাতে চেয়েছিলাম যে পর্যন্ত রাষ্ট্র বা সমাজ তাদের বিকল্প কোন ব্যবস্থা না দিতে পারে সে পর্যন্ত ধর্ম টিকে থাকুক।
@ প্রচ্ছদ, এটা সত্য যে ধর্মের নৈতিকতাটা খন্ডিত। এটা শুধু নিজ গোষ্ঠী বা দলের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। এ বিষয়ে আমি আপনার সাথে একমত।
১১৫| ২৩ শে নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ২:১৬
প্রচ্ছদ বলেছেন: @ প্রচ্ছদ, এটা সত্য যে ধর্মের নৈতিকতাটা খন্ডিত। এটা শুধু নিজ গোষ্ঠী বা দলের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। এ বিষয়ে আমি আপনার সাথে একমত। ....
ফরহাদ ভাই ধর্মের নৈতিকতা খন্ডিতই নয়। অর্থহীনও বটে। ক্ষতিকারকতো বটেই।
...................................................................................
শুধু খাওয়ার বেপারটাই বলি, হিন্দু ধর্মে গরুর মাংস খাওয়া নিষেধ। এখন আপনিই বলেন, এর মধ্যে কোন নৈতিকতা আছে কিনা?
..................................................................
অবশ্য পরের কমেন্টগুলোতে আমি এই অসম্পূর্ণতাটাকে দূর করার চেষ্টা করেছি। প্রায়োগিক অর্থে আমি এটাই বুঝাতে চেয়েছিলাম যে পর্যন্ত রাষ্ট্র বা সমাজ তাদের বিকল্প কোন ব্যবস্থা না দিতে পারে সে পর্যন্ত ধর্ম টিকে থাকুক।
.......................এটা কি ভাবা যায়না ধর্ম বাতিল হওয়াটাই একটি বিকল্প ব্যবস্থা হতে পারে? .................. কারন আমার কখনোই মনে হয়না ধর্মের অনুপস্থিতি কোন গভীর শুন্যতার সৃষ্টি করবে। ..........
১১৬| ২৩ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৩:১৩
নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন: ৩. আগেই বলেছি ... ধর্ম ভালোর থেকে খারাপ জিনিষ অনেক বেশি দিছে ... সেখানে কোন আপত্তি নাই ... আপত্তি সেই জায়গাটায় ... ধর্ম ভালো যা কিছু দিছে সেটাকে অস্বীকার করার প্রবনতা ।
-----------------
নৈতিকতা রক্ষায় যে সমস্ত টুল ব্যাবহার হয় (যেমন সামাজিক বিধিবিধান, রাষ্ট্রীয় আইন, নীতিশিক্ষা, সামাজিক নীতি'চর্চা ইত্যাদি) তার মধ্যে ধর্মের বিধি'নিষেধ একটা ফ্যাক্টর
------------------
গোটা ফ্যাক্টরটাই অস্বীকার কইরা উড়ায় দিতাছেন ... তাইলে আর কিছু বলার নাই ... একটু আকটু ক্রেডিট দিলে তো খুব বেশি ক্ষতি নাই ... নাকি ?
===>>
১। আপনি স্বীকার করছেন- ধর্মের ভালোর চেয়ে খারাপ বেশী। আমি মনে করি- এটাই যথেস্ট ধর্মের উচ্ছেদ চাওয়ার জন্য।
২। ধর্মের ভালোগুলো কেউ অস্বীকার করা হচ্ছে না। ধর্মের প্রয়োজনীয়তা আছে কি নাই এই আলোচনায় ভালোর আলোচনাটারে ডিসাইডিং ফ্যাকটরও মনে করি না।
৩। আপনি যেইটারে ধর্মের ভালো মনে করেন- সেইটারে ভালো হিসাবে আসলেই স্বীকার করি না।
৪। ধরেন, এক বাসায় চট দেয়া ঘেরা দুই ইটের একাট টয়লেট আছে- এখন সিদ্ধান্ত নেয়া হইতেছে- ঐখানে ঐটা তুইলা একটা স্যানিটারি ল্যাট্রিন বসানো হইবো। এই স্যানিটারি ল্যাট্রিন বসানোর ব্যাপারে যখন সিদ্ধান্ত হইতেছে- তখন আগের অস্থায়ী টয়লেট এর অসুবিধাগুলোর কথাই মূল বিবেচনায় থাকবো। সেই খানে- পূর্বতন টয়লেটেও তো এতদিন কাম সারা যাইতো, সেইটারো কিছু একটা উপযোগিতা ছিল... ইত্যাদির আলোচনা অবান্তর।
পূর্বতনের সমস্ত উপযোগিতা পরেরটিতেও থাকবো- উপরন্তু আরো অনেক বেশি কিছু উপযোগিতা পাওন যাইবো- এইরকম যদি ঘটনা হয়- তয় পূর্বতন থাকায় কি সমস্যা হয় সেইটা জানান দেওনটাই দরকার বেশি।
৫। আজকের ধর্মভিত্তিক সমাজ যেসব ভালো করতেছে- সেগুলো যদি ধর্ম তুইলা দিলে না সেইসব ভালোও দূর হয়ে যায়, তখন একরকমের আলোচনা হতে পারে, কিন্তু যদি স্বীকার করেন যে, ধর্ম দূর হয়ে গেলেও সেই ভালোগুলো তো থাকবেই- বরং আরো অনেক ভালো যুক্ত হবে- তখন আজকের ধর্মভিত্তিক সমাজের ভালোগুলোর জন্য আহাজারি করার কোন মানে হয় না। এইবারে, আমারে বলেন - আপনি কি মনে করেন? আপনার দাবিমত ধর্ম নৈতিকতার শিক্ষা দেয়- আপনি কি এটাও মনে করেন যে, ধর্ম চলে গেলে অর্থাৎ একটা ধর্মহীন সমাজে নৈতিকতার চর্চা বন্ধ হইয়া যাইবো?
৬। এই পোস্টের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ধর্ম মানে প্রচলিত ধারা ধর্মীয় অনুশাসনমূলক ব্যবস্থা/ধারারেই বুঝাইছি, বুঝছি। ধর্মের অভিধানগত অর্থ বা আমার নিকে ব্যবহৃত "ধর্ম" অর্থে এই পোস্টের কোন "ধর্ম"কে দেখিনাই। ধর্মের অলৌকিকতা, অতিপ্রাকৃততা, ভৌতিকতা, গোষ্ঠীবদ্ধতা তথা বর্ণবাদিতা, কুসংস্কারাচ্ছন্নতারে ধর্ম থাইকা বিচ্ছিন্ন করার ব্যাপারে আমার আপত্তি আছে। এইসব উপাদান না থাকোনরেই আমি ধর্মের না থাকা বুঝাইছি। এইসব উপাদান থাকবো না কিন্তু ধর্ম থাকবো- এই উপস্থাপনের ভঙ্গিতে আমি আপত্তি করি। ঐসব উপাদানের বাইরে যে জিনিসগুলান থাকবো বলে বলা হইতেছে- তা ধর্মের নামে থাকবো না বলাটাই উত্তম।
১১৭| ২৩ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৩:২১
ফরহাদ উিদ্দন স্বপন বলেছেন: @ প্রচ্ছদ
গরুর মাংস খাওয়ার ব্যাপারটা নিয়ে কিছু বলতে আমি বিব্রত। ঋগবেদে আছে প্রাচীন মুনি ঋষিরা গরু খেতেন। আবার সম্রাট আকবরের মতো মুসলিম শাসকের সময়ে গরু জবাই নিষিদ্ধ ছিল। ব্যক্তিগতভাবে আমার মনে হয় এটা যতোটা না ধর্মীয় কারণে নিষিদ্ধ তারচেয়েও বেশি ছিল আর্থ-সামাজিক কারণে। কারণ কৃষিনির্ভর ভারতে গরুর অবশ্যই আলাদা একটা গুরুত্ব ছিল।
আমি আবারও বলব অন্তত আমাদের দেশের সামাজিক অবস্থার সাপেক্ষ্যে ধর্ম বাতিল করার মতো বিকল্প ব্যবস্থা আমরা সৃষ্টি করতে পারিনি। অন্তত সাধারণ মানুষের মনোজাগতিক অবস্থাকে বিবেচনায় এনে তা বলা যায়। আমি আমার পূর্বজরা যারা এখনো জীবিত আছে তাঁদের মাঝে যে নৈতিকতা দেখি সেটা ধর্মের ভয়েই এবং ধর্মকেন্দ্রিক। ধর্মের বাইরে তাদের আনা যাবেনা। বরং পরবর্তী প্রজন্মের কথা ভাবুন। এবং ঠিক এ লক্ষ্যেই শিক্ষব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন দরকার।
১১৮| ২৩ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৩:৩৪
নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন: আমি যতটুক বুঝতে পারছি যে, ৬৪নং কমেন্টের ধর্ম টিকে থাকুক এই অংশটিতেই আপনার বেশি আপত্তি। ঠিক এই মুহুর্তে আমার কমেন্টটাকে পরিপূর্ণ মনে হচ্ছেনা বা বলতে পারি আমি যা বলতে চেয়েছিলাম তা বলতে পারিনি।
==>>>
"ধর্ম টিকে থাকুক" এটাতে তো আপত্তি ছিলই- সাথে "সাধারণ মানুষকে নৈতিকতা শিক্ষা দেয়ার জন্য এর প্রয়োজন আছে" বা "ধর্মের আদৌও প্রয়োজন নেই তা আমি বিশ্বাস করিনা"- এগুলোতেই বিশাল বিশাল আপত্তি।
অবশ্য পরের কমেন্টগুলোতে আমি এই অসম্পূর্ণতাটাকে দূর করার চেষ্টা করেছি।
===>>
পরের কমেন্টগুলোতে অসম্পূর্ণতাটাকে দূর করার যে চেস্টা করেছেন- তাতেও আপত্তি রয়েছে, এমনকি এই কমেন্টে যেটা সামারাইজ করেলেন- সেটার সাথে দ্বিমত পোষণ করি (নীচের আলোচনা দ্রষ্টব্য)। আসলে দৃষ্টিভঙ্গির জায়গাটাতেই অর্থাৎ চিন্তা পদ্ধতিতেই আমার যত আপত্তি।
প্রায়োগিক অর্থে আমি এটাই বুঝাতে চেয়েছিলাম যে পর্যন্ত রাষ্ট্র বা সমাজ তাদের বিকল্প কোন ব্যবস্থা না দিতে পারে সে পর্যন্ত ধর্ম টিকে থাকুক।
===>>
এই কথাটাই চরম আপত্তিকর।
রাষ্ট্র বা সমাজ তাদের বিকল্প ব্যবস্থা না দিতে পারা পর্যন্ত তো ধর্ম টিকে থাকবেই থাকবেই- আমি আপনি যত চিল্লাচিল্লি করি না কেন। সুতরাং- ধর্ম টিকে থাকুক- এমন বলার কোন মানে হয় না। কেননা এইরকম ব্যবস্থা রাখার জন্যই ধর্মরে টিকায় রাখা হয়- হচ্ছে। ফলে- ততদিন পর্যন্ত ধর্ম টিকে থাকুক- এইরকম চাওয়ার কোন দরকার নাই, বরং ধর্ম যাতে টিকে থাকতে না পারে সেই রকম ব্যবস্থা গড়ার আকাঙ্খাই জাগ্রত করতে হবে। রাষ্ট্র থেকে ধর্মের সম্পর্কচ্ছেদ ঘটানো, সর্বস্তরে শিক্ষার প্রসার, বিজ্ঞান শিক্ষার খুব খুব প্রচলন.... প্রভৃতি ছাড়া ধর্ম এমনিতেই টিকে থাকবে (এগুলো নিশ্চিত করতে পারলেও দীর্ঘদইন ধর্ম টিকে থাকবে)- ফলে, ধর্ম টিকে থাকুক না বলে বরং বলা দরকার এইসব আয়োজনে রাষ্ট্র ভূমিকা নেক।
কেননা, ততদিন পর্যন্ত টিকে থাকানোর কোন প্রয়োজনীয়তা, বা দায় একজন নাস্তিকের থাকতে পারে বলে মনে করি না। তর্কের খাতিরে যদি ধরে নেই (যদিও জানি টিকে থাকবে)- ততদিন পর্যন্ত ধর্ম টিকলো না, বিকল্প ব্যবস্থা গড়ে উঠার আগে কোনকারণে বা কেমনে কেমনে যেন- ধর্ম দুনিয়া থেকে উধাও হয়ে গেলো। এমন হইলেও মনে করি না- যে, তাতে মানব সমাজের খুব ক্ষতির কিছু ঘটবে। ধর্ম ছাড়াই মানুষের দৈনন্দিন সমস্ত কাজই চলতে পারবে, নৈতিকতার কিছু স্খলন ঘটবে বলে মনে হয় না।
১১৯| ২৩ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:০৮
নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন: আমি আমার পূর্বজরা যারা এখনো জীবিত আছে তাঁদের মাঝে যে নৈতিকতা দেখি সেটা ধর্মের ভয়েই এবং ধর্মকেন্দ্রিক
=====>>>
এই দেখাটারেই আমি বলছি খণ্ডিতভাবে দেখা।
আপনি একটা সমাজ ব্যবস্থায় নৈতিকতার যে মানদন্ড আছে- সামাজিক পরিমন্ডলে যেসব রুচি-আদর্শ-সংস্কৃতি বিরাজ করে, সেসবের মধ্য দিয়ে বেড়ে ওঠা একজন ঐ রকম নৈতিকতাই পাবে। আপনার চারপাশের মানুষগুলো সব ধর্মবিশ্বাসী বলে হয়তো এতে ধর্মের অবদান দেখছেন- কিন্তু একজন বাচ্চাকে ধর্মীয় কোন শিক্ষা না দিয়েও দেখবেন তার চারপাশের পরিবেশের সাংস্কৃতিক পরিমন্ডল অনুযায়িই তার নৈতিকতা গড়ে উঠছে।
একটা উদাহরণ মনে পড়ছে। এক বস্তী এলাকায় সব বস্তিবাসী মিলে এক পীর টাইপের এক হুজুরকে ধরে আনলো কিছু ওয়াজ নাছিয়ত করার জন্য। বস্তির সব পুরুষ মহিলা- সবাই মিলে চাঁদা-টাদা তুলে ওয়াজের আয়োজন করলো, মহিলাদের জন্য শাড়ি দিয়ে ঘেরা আলাদা জায়গা- সেখানে মহিলারা বসে রাতভর ওয়াজও শুনলো, শুনতে শুনতে কেউ কেউ কেদেও উঠলো। হুজুর মেয়েদের পর্দা নিয়ে মেলা লেকচার দিলেন। বে আব্রুদের জন্য কি ভয়ংকর সব ব্যবস্থা আছে- সেগুলো সবিস্তারে বর্ণনা করলো। এই মহিলারা তাদের অনেক কষ্টের পরিশ্রম থেকে বাচানো টাকাটুকুও হয়তো দেখা গেল তুলে দিচ্ছে হুজুর বাবদ, কিন্তু পরদিন দেখা যাচ্ছে- তারা তাদের গার্মেন্টে যাচ্ছে তা ঠিক আগের মত করেই। বড়জোর দুএকজন ওড়নাটা শরীরে ওড়নাটা দুই প্যাচ দিয়ে মাথায় একটু তুলে দিচ্ছে- কিন্তু কাজের পরিবেশে এসে- এবং এভাবে বড়জোর একসপ্তাহ যেতে সেই আগের ফর্ম। (এটা শুনেছিলাম- এক বন্ধু বাম কর্মীর কাছে- যে বস্তিতে গার্মেন্ট শ্রমিকদের মধ্যে কাজ করতো- তার প্রাকটিকল অভিজ্ঞতা)
আমি (যখন আস্তিক ছিলাম- বা আমরা যারা আস্তিক) আমার বাড়িতে- পাড়ায়- অফিসে খিস্তিখেউড় করি না; সেটা ধর্মে বিশ্বাস করি জন্যে নয়- বা আল্লাহ বেজার হবেন এই ভয়ে নয়- আমার চারপাশের পরিবেশ- আমাকে তা এলাউ করে না সেকারণে। একইভাবে একজন রিকশায়ালা বা প্রান্তিকজন কথায় কথায় গালি ইউজ করে- সেটাও কিন্তু সে ধার্মিক নয় সেজন্য নয়, তার পরিবেশে ঐ গালি দেয়াটাই যে স্বাভাবিক! আমি রাস্তায় হাটতে হাটতে পায়ের নীচে দশ বিশ বা একশ টাকার একটা নোট কুড়ে পেলে- সেটা দেখে চোখ চকচক করে না - কারণ এটা নয় যে- আমি আল্লাহরে খুব ডরাই, মূল কারণ হচ্ছে আমার অতটুকু টাকা না হলেও চলে- কারণ হলো যে, আমার সমাজে এইরকম যারা তাদের সম্পর্কে ফকির-মিসকিন-ছ্যাচ্চোর হিসাবে গালির চল আছে; কিন্তু আমার পকেট থেকে ভুলে দশটাকা বা পাঁচ টাকার একটা কয়েন পড়ে গেলে- সুযোগ বুঝে একজন অভাবী মানুষ সেটা তুলে নিতে পারে- তার কারণ সে আল্লাহরে ডরায় না- এমন না; মূল কারণ হচ্ছে- তার ঐ পাঁচটাকা/দশটাকাই তার কাছে অনেক প্রয়োজনীয়, তার কারণ এইরকম কুড়ে পাওয়া টাকা-পয়সাকে সে তার প্রাপ্য মনে করে। সমাজে যেহেতু ধর্মীয় ব্যবস্থা চালু আছে- তাই এসব কিছুর সথে হয়তো একটা ধর্মীয় যোগসূত্র অনেকে পেতে পারেন- কিন্তু ধর্ম যদি নাও থাকে- তারপরে আর সমস্ত কারণ অনুষঙ্গ বজায় থাকলে- উপরের উদাহরণগুলোতে ফলাফলও একই রকম হওয়ার কথা।
১২০| ২৩ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:৪৫
মনির হাসান বলেছেন: @ শয়তান, দুরন্ত স্বপ্নচারী & গোঁপা নিচের আলোচনাটা একটু খেয়াল করুনঃ
৪৪. ২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ৩:০৯
শয়তান বলেছেনঃ
লেখকের ধর্মের উৎপত্তি সংক্রান্ত স্বতস্ফূর্ত ততত্বে ভেজাল আছে । লেখক কি ভয় আর ধর্মরে মিশায়া ফেল্ল ? কে না জানে ধর্মর সৃষ্টিকত্তা এবং বিবর্তনকারি বরাবরই অলস ক্যাংলা পুরোহিত শ্রেনীর মাধ্যমেই হৈসে
আগে পরিস্কার হওয়া উচিত ধর্ম কি? এবং আপনারা কোনটাকে ধর্ম বলছেন?
কেউ যদি ধারণা করে থাকেন যে মহাপীর গায়েবী ঘোড়ায় ঘুইরা আইসা ওর্ডার দিল আর পাব্লিক ঢ্যাং ঢ্যাং কইরা একটা পাথর ঘিরা পাক্কি খাওয়া শুরু করলো তাইলে আপনারাই চরম ভেজাল চিন্তায় আছেন।
মানুষ’রে হুট কইরা এলিয়েনিক কোন আইডিয়া গিলান যায় না ... তার একটা প্রিপারেশন লাগে .. নাইলে পীর/মহাপীরের অর্ডার শুইনা হাইসা প্যাট ফাইটা মইরা যাইতো । আর পীর-পুরোহিত মোল্লারা কিই আসমান থ্যে ধুপ কইরা পড়ছে ? নাকি কোন রাম’সাম আমি পীর আমি পীর কইরা চিল্লাইছে আর মানুষ তারে পেন্নাম করা শুরু করছে বইলা মনে করেন ?
... মোল্লা’পুরোহিত সমাজে প্রতিষ্ঠিত হওনের বহু বহু আগথ্যে ... মাইনষের ঈশ্বর চিন্তা তার ব্যাক্তি দর্শন চিন্তার একটা ধারা ... এইটা কারো প্রভাবে না ... স্বতস্ফূর্ত ... খাওয়া দাওয়া কাজ কাম না থাকলে কেউ ঘুমায় কেউ ছবি আঁকে কেউ ঈশ্বর চিন্তা (তথা দর্শন চিন্তা) করে ... এমিলের পোস্ট দুইটায় আরেকটু সুন্দর কইরা বলা আছে ...
যাউকগা ... মাইনষে সেই আদি আমলে কৃষিকাজ, বৃষ্টিপাত, সাগর ভ্রমন ইত্যাকার কারণে প্রকৃতির সহযোগিতা আশা করতো ... এই আশা থেইকা তারা পর্যায়’ক্রমিক ঈশ্বর অস্তিত্বে আগ্রহী হয় ... এবং এইটা সামগ্রিক ভাবে ... খালি রাম’রহিম একা না ...
আর তাই ... ঈশ্বর চিন্তা আসনের পর সেখানে নিবেদনের জন্য পূজা’অর্চনার ব্যাবস্থা সামাজিক ভাবেই আসে ...
ভাইজানেরা ... এক্কেরে পয়লা সমাজ ব্যাবস্থায় মোল্লা’পুরোহিতের আগমন এই ফেজে ... খালি পুজা আর্চনা অপারেট করার জন্য ... এই গুলারে অপারেটর ডাকা যায় ... বাট আপনেরা যেই অর্থের মোল্লাপুরোহিত কইতাছেন সেইটা না ।
তাইলে সিকোয়েলটা দাড়াইতেছে ... মানুষের সামাজিক/অর্থনৈতিক কর্মাদি >> প্রকৃতির সহযোগিতা চাওয়া >> ইশ্বর ধারনা >> ঈশ্বরের প্রতি নিবেদন >> অপারেটর শ্রেনী ।
আপনেগো মোল্লা-পুরহিত‘রা এই কাহিনির বহুকাল বাদে আসছে (অলমোস্ট আধুনিক যুগে) ... যারা ধর্মরে একটা প্যাকেজ সিস্টেমে ফালায়ে নিজ নিজ ফতোয়া মাইরা গেছে ... তারা সফল হইছে কারণ ... মানুষ আগে থেকেই ঈশ্বর ধারনা / ধর্ম ধারনার (সেগুলাও আদি ফর্মেটের ধর্ম ছিল) সাথে পরিচিত ছিল ...
যেইটা কইতে চাইছিলাম ... মানুষ নিজেই ঈশ্বরের জন্ম দিছে ... মোল্লাইন’রা আসার বহু আগে ।
১২১| ২৩ শে নভেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:১৪
মনির হাসান বলেছেন: না.ধ. ভাই কমেন্টের পর কমেন্ট কইরা আপনে আমারে পুরাই দিশেহারা অবস্থায় ফালায় দিছেন ... কোন'টা থুয়া কোনটা ধরি ব্যাক্কলের মত ভাবতেছি ...
ইচ্ছা আছে একেবারে ২য় কমেন্ট'টা (৫৪ নং) থেকে শুরু করার ..
১২২| ২৩ শে নভেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:১৬
নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন: দূর মিয়া, সারাদিন আপনের লাইগা বইয়া থাকলাম- আর অহন আইলেন ?
অহন তো অফিস হইতে চইলা যাইতেছি......
টা টা বাই বাই- কাইলকা কতা হইবো.....
১২৩| ২৩ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১০:১৮
এমিল বলেছেন: আচ্ছা ধর্মের উৎপত্তি কিভাবে এটা নিয়ে কার কি মত?
১২৪| ২৩ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১০:৫৯
নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন: @এমিল,
আমার "ঈশ্বর ও বিজ্ঞান- "আছে" ও "নাই" প্রমাণের কথিত দ্বন্দ্ব " শীর্ষক পোস্টে কিছুটা আলোচনা করেছিলাম।
Click This Link
Click This Link
সামনে আরো কিছু আলোচনা করার ইচ্ছা থাকলো। আপনার পোস্ট দেখেছি- সেখানেও কিছু কথা হবে...
১২৫| ২৩ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:২৯
নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন:
মনির হাসান (এবং এমিল),
মোল্লা’পুরোহিত সমাজে প্রতিষ্ঠিত হওনের বহু বহু আগথ্যে ... মাইনষের ঈশ্বর চিন্তা তার ব্যাক্তি দর্শন চিন্তার একটা ধারা ... এইটা কারো প্রভাবে না ... স্বতস্ফূর্ত ..
====>> আসলে ঘটনাটা এমনটা না। বিভিন্ন সময়ে নানা মানুষে নানারকম চিন্তা করেছে- প্রাকৃতিক বিভিন্ন ঘটনার ব্যাখ্যায় বিভিন্ন রকম কল্পনা করেছে ঠিকই- এসমস্ত কিছুকে সর্বপ্রথম ধর্ম রূপে একটা ইন্সটিটিউশনাল ফর্ম দেওনের কামটা পুরোহিত শ্রেণী ও রাজা-বাদশাগো। এইটা মোটামুটি গোটা দুনিয়ায় প্রায় একই রকম। আমাগো এই ভারতীয় উপমহাদেশে দেখলে এইটা আরো পরিষ্কার হইবো। এখনো যেসব লোকাচার টিকে আছে- এবং ধর্মগ্রন্থগুলো পাশাপাশি মেলালে বড় রকম পার্থক্য ধরা পড়বে। প্রধান ধর্মীয় গ্রন্থগুলোতে রাজাগো (ক্ষত্রিয়) আর ব্রাহ্মনগো জয়জয়কার। বিভিন্ন ব্রত ও আঞ্চলিক উৎসবমুখী পুজা আর্চনায় মানুষের বিভিন্ন অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ভিত্তিক লক্ষকে কেনন্দ্র করে। এখান থেকেও আমরা ধারণা করতে পারি- এই লোকাচারগুলো একদম আদি ফর্মে মানুষের বিশ্বাস এবং এগুলো গোষ্ঠীভেদে অঞ্চলভেদে একেক রকম ছিল। আর, বেদ-পুরান-রামায়ন-মহাভারত সবই রাজা-বাদশাগো পয়দা, ব্রাহ্মনদের পয়দা। পরবর্তীতে অবশ্য নানা পুজা-পার্বনে ব্রাহ্মনরা গিয়ে ইন্টারফেয়ার করেছে- সুবিধামত পাল্টে দিয়েছে।
আপনি- একই রকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি পাবেন প্রাচীণ সব ধর্মের বা ধর্ম বিশ্বাসের ক্ষেত্রেই। সবই দেখবেন- রাজা-বাদশাগো আর পুরোহিত টাইপের লোকজনের গল্প। উল্টোদিকে বিভিন্ন লোকাচার- বা রিউচ্যুয়ালগুলো দেখবেন অঞ্চলগতভাবে বিভিন্ন মানুষের পালনকৃত বিভিন্ন বিশ্বাস। এই লোকাচারগুলোকে কিন্তু ধর্ম বলা হয় না, এগুলো যখন রাজা-বাদশা ও পুরোহিতদের হাত ধরে একটা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেল তখন থেকেই এসব ধর্ম।
টোটেম বিশ্বাস থেকে কিভাবে ধর্মীয় দেবদেবীদের আবির্ভাব হয়েছে- সেগুলো নিয়ে চমৎকার কিছু আলোচনা পড়েছিলাম। একটা পোস্ট দেয়ার আশা থাকলো- অবশ্য তার জন্য কিছু ছবি দরকার হবে- দেখি ইন্টারনেটে পাই কি না- হোরাস, সেট থেকে বিভিন্ন দেবদেবীর পশু-পাখির আকৃতি কেন, টোটেমদের চিহ্নও পশুপাখি থেকে সেগুলো এডোপটেড কি না এসব বিষয় নিয়ে দারুন সব বিষয় আশয়। কবে নামাতে পারবো জানি না......।
ধয়ন্যবাদ।
২৪ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৩২
মনির হাসান বলেছেন: মোদ্দা কথা যেটা বলতে চাইছিলাম সেটাই আপনিও বললেন ... ধর্মর প্রাতিষ্ঠানিক ফর্ম আসার আগেই মানুষ ঈশ্বর/ঈশ্বরে নিবেদনে অভ্যস্থ ছিল ... মানে মোল্লা-পুরোহিত-রাজা'রা ধর্মের একটা কনক্রিট প্যাকেজ ধরায় দেয়ার আগেই ঈশ্বর চিন্তা'টা আদি মানুষের কাছে স্বতস্ফূর্ত (শয়তান ভাই যেইটা নিয়া ক্যাচাল করতে চাইছিল) ভাবেই আসছিল।
এই সরল ইতিহাসে আশা করি একমত হবেন।
যদি একমত হন .. তাইলে কি এই সীদ্ধান্তে আসা যায় "ঈশ্বর/ ঈশ্বর চিন্তা/ ঈশ্বরে নিবেদন আচার (যেইটা আমার কাছে আদি ফর্মের ধর্ম) এইগুলা মানুষের প্রকৃতিগত (বা স্বভাবজাত বা মাটিজাত) ।
এটা অবশ্যই ঠিক যে .. মানুষের এই বৈশিষ্ঠ'টার পেছনে অজ্ঞতা, অসহায়ত্ব, ভয় ইত্যাদি ফ্যাক্ট কাজ করে । এই ফ্যাক্ট গুলা দুর করতে পারলে সে বেড়িয়ে আসে ।
কিন্তু এইটাও ঠিক ... তারে কতটা স্বজ্ঞা, সম্পূর্ন, অভয় করা যায় ... সেটা ভাবতে হবে ।
১২৬| ২৩ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:৩৮
ব্রাইট স্মাইল্ বলেছেন: "এই শতাব্দীতেই তাকে 'ক্লিনিক্যালি ডেড' ঘোষনা করা হবে।" ....জেনে ভালো লাগলো।
১২৭| ২৩ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:৩৯
পল্লী বাউল বলেছেন:
১। টিকে থাকবে।
২। যেভাবে টিকে আছে তেলাপোকা। অতিকায় হস্তি বিলুপ্ত হয়ে গেছে কিন্তু ক্ষুদ্র তেলাপোকা কিন্তু টিকে আছে।
৩। ------
৪। ধর্মের আদিরুপ অর্থাৎ প্রাথমিক রুপটা সম্পূর্ন পরিবর্তিত হয়ে যাবে একসময় আদিরুপটা আর খুজেঁ পাওয়া যাবে না। ইতোমধ্যে কিছু ধর্মের
ক্ষেত্রে এটা হয়েছে।
৫। যারা অসহায় অবস্থায় ধর্মের মধ্যে আশ্রয় খুজেঁ তাদের কোন পরিবর্তন হবে বলে মনে হয় না।
৬। ইত্যাদি ইত্যাদি...................
১২৮| ২৪ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:০১
শয়তান বলেছেন:
২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:০১
লেখক বলেছিলেন:
১ম অংশের উত্তর শয়তান'কে দিচ্ছি আরেকটু পর ।
:-< :-<
১২৯| ২৪ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১:০৮
এমিল বলেছেন: ইন্সটিটিউশনাল রুপের কথা পরে আসবে।
কিন্তু ধর্মচিন্তাটা শুরু হয়েছে একেবারে স্বতঃস্ফুর্ত ভাবে। পরে সামাজিক ও পরিবেশগত বিবর্তনের ভিতর দিয়ে ইন্সটিটিউশনাল রুপ ধারণ করেছে। যেটাকে দাঁড়া করিয়েছে মোল্লা শ্রেণী এবং সেই শ্রেণীটার পৃষ্ঠপোষক করেছে রাজা বা সমাজপতি হিসেবে যারা ছিলো। কারণ এর ভিতর দিয়ে তারা নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির পথ খুঁজেছে। এবং এই বিষয়টা এখনও জারী আছে বলেই আমার ধারণা। @ না.ধ
২৪ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৩৪
মনির হাসান বলেছেন: থ্যাংকু ...
১৩০| ২৪ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৩৮
শয়তান বলেছেন: ধর্মের উৎপত্তির ব্যপারে নাঃধঃ সাথে আমি একমত
২৪ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৫৫
মনির হাসান বলেছেন: না.ধ.'র বক্তব্য আর আমার (+এমিলের ) ব্যাসকম খুব সামান্য। আভিধানিক শব্দ'গত পার্থক্য থাকতে পারে ... এর বেশি না ।
১৩১| ২৪ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৩৯
নাজিম উদদীন বলেছেন: কিছু বুঝলেন, এবার আরেকটা পোস্ট দেন, এত কমেন্ট পড়তে পারব না।
২৪ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৪৯
মনির হাসান বলেছেন: আর না ... কানে ধরছি ... এমনিতেই আলাদা উইন্ডোতে একটা বিশাল কমেন্ট লেখতেছি ..
১৩২| ২৪ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ২:০৮
শয়তান বলেছেন: গোষ্ঠিবদ্ধ অথবা সামাজিক রূপবিহীন ইনডিভিজুয়াল ঈশ্বর ধারনারে আপনে ধর্ম সংজ্ঞা দিতেছেন । বাট নাঃধঃ মনে হয় না সেরমটা বুঝাইতে চাইছে । আমিও না
২৪ শে নভেম্বর, ২০০৯ ভোর ৪:০৫
মনির হাসান বলেছেন: পেট্রোলেও গাড়ি চলে ... সিএনজিতেও চলে ... সমস্যা কি ?
১৩৩| ২৪ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ২:০৮
গায়ত্রী সান্যাল বলেছেন: ধর্ম শেষপর্যন্ত টিকে থাকবে এবং গ্রন্থসাহেবগণ মানুষের আকার নিবে।
বস্, আমার কথা বুঝতে পারসে না কয়েকজন। সময় হলে একটু দেখে যাবেন
Click This Link
১৩৪| ২৪ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ২:৩০
'লেনিন' বলেছেন: আমার ব্যক্তিগত মত হচ্ছে, কিছু কিছু খুবই হালকা ব্যাপার বাদ দিলে ধর্ম বা সংস্কার, কুসংস্কার ইত্যাদির কিছু নিহিতার্থ থাকে প্রায়ই। যা যেই যেই লেভেলের লোক পারবে তারজন্য সেই লেভেলের মিনিং ডিসকভারড হয়।
কিছু কিছু ক্ষেত্রে এক-একটা ধর্মকে অন্য ধর্মের লোকেরা অথবা নাস্তিকেরা যেভাবে আক্ষরিক মিনিংগুলো ধরে তুলোধুনো করে তা মনে হয় ঠিক না।
যেমন ধরা যাক, গ্রামে ভূত-পেত্নীর ভয় দেখানো হয় এভাবে। বাঁশঝাঁড়ের পাশ দিয়ে চুলখোলা অবস্থায় গেলে তার উপর ভূত আছর করে। হা হা হা....
ব্যাপারটা হচ্ছে, ভূয়া ভয় দেখানো হচ্ছে... আসল কথা তো খুলে বলা যাবেনা... চুল খোলা অবস্থায় ঘুরে বেড়ালে সেই মেয়েকে কারো আরো রমণীয় এবং সুন্দরী মনে হতে পারে... সুতরাং তাতে অশোভন বা অমঙ্গল নিহিত... এরকম কিছু ব্যাপার। মানে যা সরাসরি খুলে বলা যাচ্ছে না তা আকিয়ে-বাঁকিয়ে বা হেঁয়ালি করে বলা হচ্ছে। যেহেতু এই পোস্টের পাঠক এবং লেখকগণ বেশ বিজ্ঞ তাই তাদেরকে হালকা হাস্যরস বাদ দিয়ে একটু ভেবে দেখার আহবান জানাচ্ছি।
দুরের পাখি যেমন বলেছেন, "এদের নৈতিক শিক্ষা দেয়ার জন্য ধর্মের বিকল্প এখনো বোধহয় নাই ।"
এই দৃষ্টিকোণ(আমি যে ব্যাপারটি উল্লেখ করলাম) থেকে সকল বিজ্ঞের আলোচনা আশা করছি।
১৩৫| ২৪ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ২:৩৭
নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন: @মনির হাসান,
আপনি যেটা বলতে চাইলেন- সেটা কিন্তু আমি বলি নাই। আমি একবারও বলিনি যে- মানুষ আগে থেকেই ঈশ্বর চিন্তা করতো।
মানুষের ঈশ্বর চিন্তার শুরু অনেক পরে। একদম প্রথমে ছিল স্রেফ কিছু লোকাচার যার সবই কাজকেন্দ্রিক।
মিসির আলির বই এ একটা কাহিনি পড়েছিলাম- এক মহিলা খুব চমৎকার রান্না করতে পারতেন- এবং তিনি মিসির আলিকে রান্না করে খাওয়াতে মিসির আলি প্রশংসা করাতে মিসির আলিকে জানায় রান্নার গুনে কেবল নয়- মন্ত্রের গুনে রান্না এত ভালো- সেই মন্ত্রটা মিসিসর আলিকে তিনি শুনিয়ে রান্নার সিস্টেমটা বলেন, কখনো তিন লাইন বলে একটা জিনিস দেয়া, কখনো দশ লাইন বলে আরেকটা কিছু করা অনেকটা এরকম। মিসির আলি জিজ্ঞেস করেন- কার কাছ থেকে রান্নাটা বা মন্ত্রটা শেখা, মহিলা জানান তার মায়ের কাছ থেকে। মিসির আলি এবারে জানান: সম্ভবত আসলে মন্ত্রটা কিছু না- এটা আগের আমলে সময়টা ঠিক করে নেয়ার একটা উপায়। আপনি যদি ঘড়ি ধরে টাইম টেবল অনুযায়ি এই রান্না করতেন তবে সম্ভবত একইরকম স্বাদ হতো।
এই কাহিনী বলার উদ্দেশ্য হচ্ছে- মন্ত্রের একটা উপযোগিতা বুঝানোর জন্য। একদম শুরুতে মানুষ তার লোকাচার যেসব পালন করতো সেখানে কোন ঈশ্বর ধারণা ছিল না। দল বেধে নেচে গেয়ে বিচিত্র অঙ্গভঙ্গি করে তাদের প্রাত্যহিক কাজগুলো করতো। শিকারে যাওয়ার আগে নিজেরা বল্লম-টল্লম নিয়ে ঐরকম নেচে গেয়ে একটা শিকারের ভাবভঙ্গি করা- মানে শিকারেরই একটা ড্রেস রিহার্সেল করে ফেললো। কৃষিকাজেও ঐরকম কিছু- কৃষিকাজ কেন্দ্রিক লোকাচারগুলো (যেগুলো আজো টিকে আছে) থেকে দেখা যায়- এগুলো লম্বা সময় ধরে- পুরা কৃষি সাইকেলটাকেই ধারণ করে। প্রথম উপাসনার কথা যদি বলা হয়- তবে তা কোন ঈশ্বর বা দেব দেবীকে না, বরং প্রকৃতিরই কোন বিশেষ উপাদানকে- বড় পাথর, গাছ, সূর্য প্রভৃতিকে। তাও ঐসবকে কোন দেবদেবী বানিয়ে নয়- জাস্ট ঐসব উপাদানের মঙ্গল বা ক্ষতি বা মঙ্গল ও ক্ষতি উভয়ই করার ক্ষমতা আছে বিধায়- এগুলো যাতে কেবল মঙ্গলটাই করে বা ক্ষতি না করে সেজন্য অনুনয় বিনয়, বাস এটুকুই।
এরপরে মানুষের কাজ করার ক্ষমতা বাড়তে থাকে- আগের চেয়ে জীবন আরেকটু থিতু হতে থাকে- এবং চিন্তা করার মত কিছু অবসর মিলতে থাকে- এবং প্রকৃতির নানা ঘটনা অবলোকন করার মতো স্কোপ হয়- সেগুলো থেকে প্রশ্ন তৈরি হতে থাকে। এরই এক পর্যায়ে টোটেম এর উদ্ভব। অধিকাংশ টোটেমই নানাবিধ পশু-পাখির নামে এং কিছু গাছ-গাছারির নামে, এখান থেকে ধারণা করা যায়- পশু শিকার ও পশু পালন এর মানুষের এই দুই আদিমতম বৃত্তির কারণে মানুষ পশু পাখিকে অনেক বেশি পর্যবেক্ষণ করেছে, এবং এদের নানাবিধ আচরণ সম্পর্কে পরিষ্কার কোন ধারণা না থাকায় নিজেদের মত করে নানা ধারণা তৈরি করে নিয়েছে। (আজও টোটেমের ছিটেফোটা লক্ষ আমাদের মাঝে আছে- হিন্দুদের মাঝে একটা গোত্রের লোকদের নাম কশ্যপ- মানে কাছিম। সাঁওতালদের মধ্যে গেলে আরো ভালো বুঝা যায়- কোন গোত্রের সবার নাম এর্গো- মানে ইদুর, কোন গোত্রের নাম মূর্মু- মানে নীলগাই, কোনটার নাম হেমরন- মানে সুপুরি- কোনটা মারুরি বা ঘাস। মহীশুরে একইভাবে পাওয়া যায় আড়ু বা ছাগল, আনে বা হাঁতি, অট্টি বা বট ইত্যাদি, অস্ট্রেলিয়ায় তো টোটেম বিশ্বাসী আদিবাসীদের এখনও পাওয়া যায়- তাদের কেউ ক্যাঙ্গারু, কেউ সূর্যমুখী)।
মিশরের প্রথম দেবতা হচ্ছে- হোরাস। এই দেবতার চেহারাটা কেমন? প্রাচীণ চিত্র থেকে দেখা যায়- একটা হরিণের মত জন্তুর উপরে একটা বাজপাখি, এটাই দেবতা হোরাস। আরেকটু আগের টোটেমদের চিত্রগুলো থেকে দেখা যায়- সেখানে নীলনদের দু ধারে অনেকগুলো টোটেমের বাস- কোনটা বাজপাখি টোটেম, কোনটা সাপ, কোনটা গরু টোটেম, কোনটা হরিণ। ঐ অঞ্চলের প্রথম একচ্ছত্র প্রথম রাজা মেনেস, এই মেনেসের পূর্বতন গোষ্ঠীর টোটেমও ছিল বাজপাখি। দেখা যায় দেবতা হোরাস আর রাজা মেনেস এর নিবিড় সম্পর্ক, একদম হরিহর আত্মা। ছবিতে দেখা যায়- বাজপাখি ডালা ভর্তি করে নানা পশুপাখি আনছে। ডালার পশুপাখিগুলো কি নিছক পশুপাখি নাকি বিভিন্ন টোটেম?
এইভাবে আদিম দেবতারদের আবির্ভাব। দুনিয়ার অন্যান্য প্রান্তেও আদিম দেবদেবীর যেসব চিত্র পাওয়া গেছে- সেগুলোও দেখা যায় পশু-পাখি, নয়তো হাফ পশু হাফ মানুষ এইরকম। ধীরে এই দেবতাগুলো বিবর্তিত হয়ে মানুষের চেহারা নিয়েছে আর পশুগুলো হয়ে গিয়েছে- তাদের বাহন (এখানকার লক্ষীর বাহন পেঁচা, সরস্বতীর হাঁস..... ইত্যাদি, বেচারা গণেশঠাকুরই হাতির মাথা নিয়ে বেচে আছে, আর্য দেবতারা মানে বেদের দেবতারা যেমন ইন্দ্র, বরুন প্রমুখেরা আরো অনেক আধুনিক- সেগুলোতে টোটেমের কোন চিহ্নই পাওয়া যাবে না)
২৪ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ৩:৫৪
মনির হাসান বলেছেন: দুঃখিত ১৪০ নং কমেন্ট'টা লেখার সময় এই কমেন্ট'টা যে এসেছে খেয়াল করিনি ... যাই হোক পুরা তর্কের মোড় ঘুরে ঘুরে গ্যালো ... আমার ধারনা ছিল যে নুন্যতম মতানৈক্যের একটা জায়গা পাওয়া গেছে অন্তত ... এখন দেখছি তা না ...
আদি মানুষের ঈশ্বর ধারনা ছিল না বলতে চাইছেন।
তাহলে কি একজন রহিম গাজা খেয়ে একটা ঈশ্বরের রুপ আবিস্কার করলো, এবং পরদিন সকালে হাটে যেয়ে চিৎকার করে তার আবিস্কারের কথা বলতে লাগলো আর দলে দলে মানুষ সেই ঈশ্বরে প্রনাম করা শুরু করলো ?
একটা এলিয়েনিক ধারনা মানুষ আদৌ কি খাবে ? মানুষের কি পূর্ব প্রস্তুতি ছিল না ঈশ্বর ধারনায় ?
আচ্ছা তর্কের খাতিরে মেনে নিলাম ঈশ্বর ধারনা মানুষের ছিলনা ... আপনার কথা মত ... আদি মানুষ প্রাত্যহিক প্রয়োজনে যে সমস্ত উপাদানের সাথে খাতির জমানোর চেষ্টা করতো ... যেমন পাথর,গাছ,সূর্য্য, পাহার, নদী, মেঘ ইত্যাদি ইত্যাদি ... এগুলোকে কি একটা ঐশ্বরিক রুপই দেয়া হলো না ... বিশেষ করে তাদের ধারনা যখন এগুলো "ক্ষতি বা মঙ্গল ও ক্ষতি উভয়ই করার ক্ষমতা" আছে ???
- - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - -
মেঘ'কে খুশি রাখলে বৃষ্টি হবে, তাতে ফসল আসবে এই ধারনার সাথে আল্লাহ'কে খুশি রাখলে বেহেস্ত পাওয়া যাবে এই ধারনার গুনগত পার্থক্য কতটুক ?
দুর্ভাগ্যক্রমে আমার কাছে কোন পার্থক্য নেই ।
- - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - -
১৩৬| ২৪ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ২:৪৬
'লেনিন' বলেছেন: যাক, না.ধ. আমার প্রসঙ্গেরই অবতারণা করেছেন অলরেডী।
১৩৭| ২৪ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ২:৫৮
নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন:
প্রাচীণ আবার মিশরে যাই। সেখানে আরেক দেবতার নাম সেট। তার মাথাটা শেয়ালের মত আর দেহটা মানুষের। আবার দেখা যায় হোরাস আর সেট এর বিভিন্ন সময় লড়াই হয়। এটা বুঝতে হবে- দুই রাজার মধ্যে যুদ্ধ, বাজপাখি টোটেম যেমন অন্যসব টোটেমকে পরাজিত করে বাজপাখি টোটেমের সবচেয়ে ক্ষমতাবান (যোদ্ধা) লোকটি হয়ে গিয়েছে রাজা আর টোটেম চিহ্ন বাজপাখি হয়ে গিয়েছে দেবতা। আরেকটি অঞচলে একইভাবে শেয়াল টোটেম থেকে তৈরি হয়েছে রাজা- এবং দুই রাজা আবার পারষ্পরিক যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে।
এটাই পরে মিথ হিসাবে দাঁড়িয়েছে- হোরাস আর সেট এর লড়াই হিসাবে- হোরাস যখন জিতে তখন দিন হয়- সেট যখন জিতে তখন রাত হয়। অর্থাৎ এটার মধ্য থেকে আমরা ধারণা করতে পারি যে- হোরাসকে একটা সময়ে সূর্যের দেবতার মর্যাদা দেয়া হয় এবং মেনেস ঐ অঞ্চলে সবচেয়ে পরাক্রমশীল রাজা এ তথ্য থেকে ধরে নিতে পারি- দেবতা হোরাসের প্রতিপত্তিও সর্বাধিক।
আমরা দুনিয়ার সব জায়গার দেবতাদের মধ্যে সূর্য দেবতার গুরুত্ব সর্বাধিক। এটার কারণও বুঝতে হবে- কৃষি আবিষ্কারের পর থেকে- মানুষের প্রধানতম অর্থনৈতিক কর্মকান্ড কৃষি কর্ম এবং মানুষ কৃষিকর্মের জন্য প্রকৃতির উপর নির্ভরশীল ছিল পুরোটাই, বিশেষ করে সূর্যের উপর।
১৩৮| ২৪ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ৩:০৩
নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন:
দূর, আজকে আর লেখুম না- ঘুমাইতে যামু- কাইলকা অফিস আছে....
আর, এইসব নিয়া লিখতে গেলে আরেকটু পড়তে হইবো- সব বই হাতের কাছে পাইতেছিও না, এগুলান নিয়ে এখন আবার পড়াশুনা করার সময়ও নাই....
তাই আপাতত ক্ষ্যান্ত দিলাম.......... (মনির হাসানও কানে ধরছে...)
১৩৯| ২৪ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ৩:০৫
নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন:
দূর, আজকে আর লেখুম না- ঘুমাইতে যামু- কাইলকা অফিস আছে....
আর, এইসব নিয়া লিখতে গেলে আরেকটু পড়তে হইবো- সব বই হাতের কাছে পাইতেছিও না, এগুলান নিয়ে এখন আবার পড়াশুনা করার সময়ও নাই....
তাই আপাতত ক্ষ্যান্ত দিলাম.......... (মনির হাসানও কানে ধরছে...)
১৪০| ২৪ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ৩:০৭
মনির হাসান বলেছেন:
৫৪.
২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ ভোর ৫:৩৭
নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন:
ভবিষ্যতে ধর্ম থাকবে কি থাকবে না - টিকবে কি টিকবে না- এই প্রশ্নের জবাবটা আমার মনে হয় খুব বেশী সম্পর্কিত "ধর্মের উদ্ভব কেমন করে" এবং "তা কি করে কোন ফর্মে আজতক টিকে আছে" এই প্রশ্নের সাথে।
পরবর্তী প্রশ্নের জবাবটা যদি হয়- শ্রেণী ভিত্তিক সমাজ বা শোষণমূলক সমাজ উদ্ভবের সাথে সাথে ধর্মের উদ্ভব ঐ সমাজের শোষণ নিপীড়নকে জারি রাখার উদ্দেশ্য এবং আজতক এটা টিকে আছে- এলিট শ্রেণীর প্রয়োজনে ও পৃষ্ঠপোষকতায় এবং নানা ধর্মে নানা পথ ও মতের মাধ্যমে মানুষে মানুষে বিভেদ সৃষ্টির অনুষঙ্গতায়; তবে এটা অন্তত বলতে পারি নিশ্চিতভাবেই যতদিন শ্রেণীহীন সমাজ প্রতিষ্ঠিত না হচ্ছে- যতদিন মানুষের উপর মানুষের শোষণ বন্ধ না হচ্ছে- ততদিন ধর্ম থাকবে, অনেকগুলো ধর্মের মাধ্যমে মানুষে মানুষে বিভেদ সৃষ্টির অনুষঙ্গ নিয়েই থাকবে, গরীব দুখীদের সান্তনা হিসাবে ও বড়লোকেদের শোষণের হাতিয়ার হিসাবেই বহাল তবিয়তে টিকে থাকবেই।
.... চলবে
-------------------------------------------------------
পুরাই দ্বিমতঃ
ধর্মের আদি ফর্মটাও একটা ধর্ম বা ধর্মরুপ । ধর্ম বলতে আমি বুঝাচ্ছি = ঈশ্বর+ঈশ্বর চিন্তা+ঈশ্বরে নিবেদন আচারাদি । তাইলে মোল্লা-পুরোহিত-রাজা কর্তৃক আনিত প্যাকেজ ধর্ম'টা (আমরা এই দুনিয়ায় যেইটা দেইখা অভ্যস্ত সেইটারেই কেবল ধর্ম ভাবা'টা সংকীর্নতা) আসলে একটা রুপান্তর মাত্র ।
তাইলে ... মোল্লা-পুরোহিত-রাজা-রাষ্ট্র-সমাজ ব্যাবস্থা এই সবের সম্পৃক্ততা থাকুক আর না থাকুক ... যেই স্বতস্ফূর্ত ( ১২৫ এর রিপ্লাই দ্রষ্টব্য) চর্চা'টা মানুষ স্বপ্রনোদিত হয়া শুরু করছিল তা সে করতো, করতেছে (এবং তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম আর কিছুদিন করবে) ... মাঝখান দিয়া লাভের গুড় মোল্লা-পুরোহিত-রাজা-রাষ্ট্র-সমাজ ব্যাবস্থা খায়া নেবে সেটার হিসাব আলাদা ...
জিগান হিসাব আলাদা ক্যান ?
- বাংলাদেশের গার্মেন্টস গুলা যে শোষন করে সেখানে কোন ধার্মিক অজুহাত নাই ।
শোষনের জন্য ধর্মই খালি তাগো কাছে টুল না আরো অনেক ছিল, আছে, থাকবে ...
মোদ্দাকথাঃ ধর্ম মানুষের উপর চাপায় দেয়া হইছে তার থেকে বড় কথা মানুষ এইটারে গ্রহন করছে । (আসলে গ্রহনও করে নাই ... আগে পেট্রল দিয়া চালাইতো এখন সিএনজি দিয়া চালায়)
উপরোক্ত ভুজুং-ভাজং'এর প্রেক্ষিতে ... আমি এই সীদ্ধান্তে আসতেই পারি যে শ্রেনীবৈষম্যপূর্ণ সমাজ ব্যাবস্থাই ধর্মের উৎস & ধারক এটা একটা ভ্রান্ত ধারনা ...
তাই আপনি যে বললেনঃ "যতদিন মানুষের উপর মানুষের শোষণ বন্ধ না হচ্ছে- ততদিন ধর্ম থাকবে" ... তা সঙ্গত কারণেই এটা মানতে পারলাম না।
যেই জিনিষ'টা টুল হিসেবে কেউ ব্যাবহার করে সেই ব্যাবহার'টা তার মৌলিক'তা কখনই নয় ।
অপরদিকেঃ
বাস্তবতায় দেখি অনেক ধার্মিক জ্বীন পরী'র ভয় পায় না ... অথচ তার ধর্মগ্রন্থে বলা আছে তাই না মাইনাও পারেনা ... এইটাই আমার কাছে চরম একটা লক্ষন যে ধর্ম তার অলৌকিক বা ভৌতিক ওয়েটেজ হারাচ্ছে এবং আরো হারাতে থাকবে ...
এবং এমন এক পর্যায়ে যাবে যে মানুষ ধর্ম বলতে বুঝবে টাইম মতো নামাজ পরতে হয়, রোজা রাখতে হয়,ঈদে নতুন কাপড় পইরা ঘুরতে হয় ... বেসিকালি এরকম ধর্মচর্চা আর ১লা বৈশাখ পালন-এর মধ্যে গুনগত পার্থক্য নাই ...
তাই সেটা'কে বলছি ধর্ম সাংস্কৃতিকি চর্চার ব্যাপার হবে ।
মানুষ নিজ নিজ ধর্মের ঈশ্বর'কে নিজের মতো করে কাস্টমাইজড করে নেবে ।
দুই মাইল উপরের ঈশ্বরের আস্তানায় হানা দিয়ে যখন জানা যাবে আসলে সেখানে কেউ থাকেনা তখন সে গোয়ার্তুমি ধরে দাবী করবে ঈশ্বর আসলে ২০ মাইল দূরে থাকে ।
১৪১| ২৪ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ৩:২২
আমি রোদের ছেলে বলেছেন:
কতো বড়ো বড়ো কমেন্ট!!
না.ধো কৈ যায়? হফে গ্যালারিতে বইলাম।
১৪২| ২৪ শে নভেম্বর, ২০০৯ সকাল ৯:১৯
ফরহাদ উিদ্দন স্বপন বলেছেন: @ না.ধ
এক্ষেত্রে আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি যে আমার শৈশবটা গ্রামে কেটেছে। যার কারণে আমি ধর্মের নৈতিক এবং অনাচারের বিষয়টি নিজের অভিজ্ঞতায় দেখেছি। আমি আমার নানা-দাদাদের দেখেছি যে তাঁরা যে দান-খয়রাত করতেন, যাকাত বা ফিতরা দিতেন এটা ধর্মের ভয়ে। পরকালের শাস্তির ভয়ে সামান্য অন্যায় করলে সেটা নিয়ে আক্ষেপ করতেন। আমি বাড়িতে বাড়িতে এতিম এবং দুঃস্থ ছেলেদের জায়গীর মাস্টার থাকতে দেখেছি। এটারও কারণ নবী নিজে এতিম ছিলেন বা এতিমদের দেখভাল করলে নবী খুশি হন। আমি স্বীকার করি এই নৈতিকতা খন্ডিত এবং বিবেকতাড়িত নয়। তারপরেও আমি তাদের কাছ থেকে এই নৈতিক আচরণগুলো কেড়ে নিতে পারিনা। কারণ আপাতত আমার কাছে বিকল্প কিছু নেই। বা থাকলেও এই পরিবেশে তাঁরা তা গ্রহণ করবেনা।
আবার সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ'র লালসালু উপন্যাসে বর্ণিত ধর্মের অনাচারটাও আমি নিজ অভিজ্ঞতায় দেখেছি। ফসল ঘরে ওঠলে শীতের মৌসুমটাতে মৌসুমী পীরের আগমন দেখেছি। পেশাদার ওয়াজবিদদের ঝাকে ঝাকে আসতে দেখেছি। আমার বয়োবৃদ্ধ নানাকে তুলনামূলক কম বয়সের এক পীরকে ওযুর পানি নিজে ঢেলে দিতে দেখেছি।
হ্যা, উচ্ছেদটা আবশ্যক। কিন্তু আপনি যখন করতে যাবেন ঐ দুই সম্প্রদায় যারা ঠকছে এবং ঠকাচ্ছে তারা দুজনেই এর বিরোধীতা করবে। সাথে যুক্ত হবে ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করা কিছু কিছু শহুরে মোল্লা। ঐ তিন সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে লড়াটা সহজ কাজ নয়। সামান্য একটা কৌতুক কার্টুনকে কেন্দ্র করে দেশে কি ঘটেছে আপনি নিশ্চয়ই খেয়াল করেছেন। সরকার প্রধান, রাষ্ট্রপ্রধানকে ব্যক্তিগতভাবে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে। পত্রিকার সম্পাদককে মাফ চাইতে হয়েছে। এমন প্রতিক্রিয়াশীল সমাজে আপনি কিভাবে আপনার কার্য সম্পাদন করবেন?
ঠিক এ কারণেই ৬৯ নং কমেন্টে আমি তৃণলতা থেকে বটবৃক্ষ হওয়ার বর্ণনাটি এনেছিলাম। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের একজন সাধারণ ছাত্র হিসেবে প্রতিক্রিয়াশীল সমাজকে নিজের বশে আনার জন্য আমি ম্যাকিয়াভেলির সেই উক্তিটিকে সত্য মানি, "উদ্দেশ্যটা সিদ্ধ হওয়াই বড় কথা। সেটা কিভাবে হচ্ছে তা বিবেচ্য নয়।" ঠিক এ কারণেই আমি মনে করি ধর্মের সরাসরি বিরোধীতায় না গিয়ে একটু টেকনিক্যাল হওয়ার প্রয়োজন আছে। অনেকটা নীরবে নিভৃতে কোন সাড়া না ফেলে শিক্ষাব্যবস্থাটাকে ঢেলে সাজাতে হবে। এই কাজটা করতে পারলেই অন্তত পরবর্তী প্রজন্মটা অন্তত ধর্মের অনাচার এবং ধর্মের খন্ডিত নৈতিকতা থেকে রক্ষা পাবে।
শুধু শিক্ষাব্যবস্থায় পরিবর্তন বা একটি শাসনতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হলেই হবেনা। প্রয়োজন আইনের শাসন। দেশে যদি রাহাজানি বৃদ্ধি পায়, জনগণের নিরাপত্তা না থাকে তখন যদি জাকের নায়েকের মতো প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীর কেউ স্টেজে ওঠে চুরি অপরাধে হাত কেটে দেওয়ার কথা বলেন এবং ধর্মীয় শানসকে শ্রেষ্ঠ বলেন তখন তাকে বাহবা দেওয়ার লোকের অভাব হবেনা। অন্তত যারা ভুক্তভোগী তারাতো সমর্থন করবেই।
আমার মন্তব্যগুলোতে কোন আকর্ষণ নেই। বা ফিলোসপিক্যাল আলোচনাও নেই। এটা আপনাকে উদ্দীপনা ব্যর্থ হবে। কারণ আমি যা বলেছি তা আমার বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকেই বলেছি। বাস্তবতা সব সময়ই আকর্ষণ সৃষ্টি করতে অক্ষম হয়। আমাকে আপনি যাই বলুন না কেন তারপরেও আমি মনে করি দেশের সামগ্রিক আর্থ-সামাজিক অবস্থা বিবেচনায় একটু টেকনিক্যাল হওয়ার প্রয়োজন আছে।
১৪৩| ২৪ শে নভেম্বর, ২০০৯ সকাল ৯:৩৮
শয়তান বলেছেন: মনির হাসান এবং ফরহাদ উদ্দিন স্বপন দুইজনেই ক্রমাগত একটা ভুল করে যাচ্ছেন । নিজেদের অজান্তেই । এরা নিজেদের গন্ডিতেই দৃষ্টি সীমাবদ্ধ রাখছেন । অথচ পোষ্টটা কেবল বাংলাদেশ কেন্দ্রিক নয়
১৪৪| ২৪ শে নভেম্বর, ২০০৯ সকাল ১০:১৬
জামাল ভাস্কর বলেছেন: এই ধরণের পোস্ট আমি এক্কেরেই ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ মাফিক এড়াইয়া চলি। কিন্তু এই পোস্টে যখন নৈতিকতার নিরীখে ধর্মের প্রয়োজন-অপ্রয়োজনরে মাপা হইতেছে দেখলাম তখন মনে হইলো কিছু একটা কই।
ধর্মের শুরুটা কেমনে হইছিলো তা আমার জানা নাই...কিন্তু ধর্মের মূল ব্যাপারটাই হইলো মানুষের রহস্যময়তার প্রতি আত্মসমর্পন। আর এই সমর্পন যখন ইন্সটিটিউশনাল হয় তখন তার একটা স্পষ্ট কাঠামো তৈরী হয়। সমর্পনের এই কিচ্ছা-কাহিনীরে শ্রেণী বিভক্ত সমাজের শাসকেরা ষোলআনা ব্যবহার করছে আজীবন। ধর্ম এমনেই একটা সামাজিক রূপ ধারণ করছে।
ধর্মের জিরাফ কবে মারা যাইবো সেইটা আমি জানি না। জানার প্রয়োজনটাও বোধ করি না। কারণ জানি ধর্মের বোধ পরিবর্তীত হয় সামাজিক সাংস্কৃতিক অনেক পরিবর্তনের সাথে সাথে। নামাজ অনুশীলন কিম্বা অনেক ধর্মীয় অনুশাসন এমনেই ভিন্নতা নেয় বা নিছে বিভিন্ন সামাজিক পরিকাঠামোয়। একজন আমেরিকান প্রোটেস্ট্যান্ট বা ক্যাথলিক আমাগো দেশের সাভার, রাজাসন এলাকার ক্যাথলিক পল্লী কিম্বা রেডিও কলোনীর ব্যপ্টিস্ট চার্চ এলাকার কোন সদস্যের চাইতে ভিন্ন ধর্মীয়বোধ দিয়া তাড়িত হয়। মানব সভ্যতার যেহেতু একটা ধর্ম আছে শাশ্বত, সেইটা হইলো তার পরিবর্তনশীলতা, তাই সে তার নিজের সুবিধার্থেই বিভিন্ন আচরণগত উপসর্গসমূহ পাল্টায়...এই পাল্টানি যে সবসময়েই খুব পরিকল্পিত তা'ও মনে হয় না। অনুসঙ্গ হিসাবেই ধর্মের বোধ, ধর্মের অনুশাসন, ধর্মের শাসন পাল্টায়।
এই সমাজেও একসময় ইমাম সাহেবগো প্রতিপত্তির কথা ভাবেন...আর এখন আমাগো মহল্লার মাস্তান ইস্রাফিলও ইমাম সাবরে চড় থাপ্পর মাইরা বসে মতের মিল না হইলে। ধর্মের বোধ আগের চাইতে সরল হইয়া গেছে বইলাই এমনটা ঘটে।
বছর দশেক আগে রোনাল্ড রিগান, বাপ বুশ কিম্বা ক্লিনটন শাসনামলের আমেরিকান ধর্ম বোধ কিন্তু পোলা বুশের কালে আইসা বাইড়া গেছে অনেক্ষানি। কারণটা আমার কাছে খুব সাধারণ মনে হয়। ইরাকের ভূমিতে বা তালিবানগো লগে যুদ্ধ যেহেতু একটা ধর্মীয় চেহারা পাওনের সম্ভাবনা থাকে সেহেতু এইটারে একটা ক্রুসেড রূপ দিয়া ফায়দা লুটনের চেষ্টাই ছিলো পোলা বুশের প্রচারণা আর বাকী সব সিদ্ধান্তে। কিন্তু এইখানে রহস্যময়তা প্রবল না তাই ধর্মরে মোলায়েমই পছন্দ করছে আমেরিকানরা, ওবামার জয় অন্ততঃ সেইরম ইঙ্গিতই দেয় আমারে।
ধর্ম এই সমাজে যেইসব কারণে উদ্ভব ঘটাইছে সেই সব কারণ যদি অনুপস্থিত হয় তাইলে ধর্মের প্রয়োজনীয়তা কতোখানি থাকবো সেইটা দেখার সাধ ছিলো এককালে। আমি এখনো মনে করি নৈতিকতার মতোন একটা উদ্ভট আচরণ যদি বুদ্ধিবৃত্তিক আচরণ দিয়া প্রতিস্থাপিত হয় তাইলে ধর্মের প্রভাব নষ্ট হইবো।
যাউগ্গা কিছু কমুনা কমুনা কইয়াও বিশাল মন্তব্য কইরা ফেললাম তার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী...
১৪৫| ২৪ শে নভেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:৪৬
ফরহাদ উিদ্দন স্বপন বলেছেন: @ শয়তান, বাংলাদেশ বিশ্ব মানচিত্রের বাইরের অংশ তা আমার জানা ছিলনা।
যাক এই ধরণের জ্ঞানগর্ভ আলোচনায় আমার মতো নমশুদ্রের আসাটাই উচিত হয়নি। আমি দুঃখিত এবং ক্ষমাপ্রার্থী। নিজের অজান্তেই আপনাদের আলোচনার গতিপথটা ভিন্ন দিকে নেয়ার অপরাধটা মার্জনা করবেন।
@ লেখক, অফ টপিক মনে হলে আমার মন্তব্যগুলো মুছে দিতে পারেন।
আল-বিদা
১৪৬| ২৪ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:১৮
নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন: আদি মানুষের ঈশ্বর ধারনা ছিল না বলতে চাইছেন।
তাহলে কি একজন রহিম গাজা খেয়ে একটা ঈশ্বরের রুপ আবিস্কার করলো, এবং পরদিন সকালে হাটে যেয়ে চিৎকার করে তার আবিস্কারের কথা বলতে লাগলো আর দলে দলে মানুষ সেই ঈশ্বরে প্রনাম করা শুরু করলো ?
=====>>
আদি মানুষের ঈশ্বর ভাবনা ছিল না কি এটাই বুঝলেন? ঈশ্বর ভাবনা একজন রহিমের আবিষ্কার?
মানুষের চিন্তা পদ্ধতি কেমন? কেমন করে সে ভাবে? ভাবতে শিখে? যা কিছু জ্ঞান তার কতটুকু সে জন্মের পর থেকেই মায়ের পেট থেকে বের হওয়ার সময় থেকেই (বা আগ থেকেই) নিয়ে বের হয় বলে মনে করেন? আজকের এই ঈশ্বরচিন্তার আধিপত্যের যুগেও যে কটি আদিম টোটেম জাতি টিকে আছে- সেখানে গিয়ে চেস্টা করুন তো- ঈশ্বর ধারণাটা তাদের বুঝাতে পারেন কি না?
মানুষের একটাও জ্ঞান বা চিন্তা একদম শুরু থেকে ছিল এমনটা পাবেন না। মানুষকে সবই অর্জন করতে হয়েছে। ভাষা সৃষ্টির আগ পর্যন্ত চিন্তা বা জ্ঞান কি পরবর্তী প্রজন্মে সঞ্চালন সম্ভব ছিল? লম্বা সময় ধরেই মানুষকে পশুপাখির সমপর্যায়েই কাটাতে হয়েছে। বৈরি প্রকৃতিতে টিকে থাকার লড়াইটাই যেখানে মুখ্য। কোন পশুপাখিকে কোন রকম ধর্ম-কর্ম করতে দেখেন- কোনরূপ পুজা-টুজা করে? লম্বা সময় তো মানুষের এমন দশাই গিয়েছে।
বিবর্তনের ধারায় মানুষের হাতের ব্যবহার, মাথার করোটির আকার বড় হওয়া এবং ভাষার সৃষ্টি- এগুলোই মানুষকে পশুপাখি থেকে আলাদা করে ফেলেছে। তার আগ পর্যন্ত মানুষের চিন্তাভাবনা মানেই ফার্স্ট সিগন্যাল প্রসেসিং, জাস্ট রিফলেক্স একশনটাই মূল, তার সাথে কিছু অভিজ্ঞতাজাত ধারণা- যেসমস্ত এক প্রজন্মেই সীমাবদ্ধতা ছিল।
ভাষা সৃষ্টির পরে- এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মে চিন্তা প্রবাহের সুযোগ তৈরি হলো- কিন্তু শুরুতে সেটাও যে খুব উল্লেখযোগ্য কিছু পার্থক্য তৈরি করতো তা নয়। কারণ, এক প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্মে জীবন যাপনের খুব বেশী ইতর বিশেষ কিছু ঘটেছে বলে জানা যায় না। যা দেখছে- যা মোকাবেলা করছে শুধু সেটাই তো অভিজ্ঞতা, সেখান থেকে এক্সট্রা কিছু ভাবা বা কল্পনা করার মত ফুসরত ও খুব বেশি ছিলনা। তাই তো দেখা যায়- কৃষি আবিষ্কারের আগ পর্যন্ত লক্ষ লক্ষ বছর ধরে মানুষের চিন্তা ভাবনার গতি প্রকৃতি তেমন একটা পাল্টে নি, কিন্তু কৃষি আবিষ্কারের পর থেকে- মানুষ মাত্র কিছু হাজার বছরেই সম্পূর্ণই পাল্টে গেল। কেন? কি করে?
আজকে সমস্ত নৃতাত্তিকরাই স্বীকার করেন যে, কৃষির আবিষ্কার নারীদের হাত ধরে। আরো স্পেসিফিক বলতে গেলে- মা'দের হাত ধরে। অর্থাৎ গর্ভবতী অবস্থায় এবং সন্তান প্রসবের পরে কিছুদিন মা দলের আর সবাই এর মত ছুটতে পারতো না। এই সময়টাতে সে পেত অবসর। এই সময়টাতে সে প্রকৃতিকে দেখার ফুসরত পেত- এবং তার আস্তানার পাশে হয়তো বীজ থেকে চারা হওয়া, চারা থেকে গাছ হওয়া, গাছ থেকে ফল হওয়া এসব লক্ষ করাটা সম্ভব হয় এবং পদ্ধতিটা আয়ত্ত করে। এটা অনেকটা এক্সিডেন্টালই বলতে হবে- কারণ এই আবিষ্কারের আগেও অসংখ্য মা-ও এমন ফুসরত পেয়েছিল।
সুতরাং বলতেই হবে, প্রথম আবিষ্কারক নারী, প্রথম গবেষক নারী, প্রথম দার্শনিক বা চিন্তাশীল মানব নারী।
মানুষের চিন্তাপদ্ধতিটা কেমন? মানুষের আছে পঞ্চ ইন্দ্রিয়, এই পঞ্চইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতাগুলো মাথায় স্টোর হতে থাকে। ভাষার মাধ্যমে প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতাগুলোর পারষ্পরিক এক্সচেঞ্জ ঘটে, প্রজন্মান্তরেও এগুলো সঞ্চালিত হয়। এই স্টোরড অভিজ্ঞতাগুলো হচ্ছে- র ডাটা, মাথা-চোয়ালের গঠনের বিবর্তনে যখন মানুষের মগজের পরিমাণ বেড়ে গেল- তখন মানুষ এই র ডাটাগুলো প্রসেস করাও শিখলো। দুটো বা তিনটা বা ততোধিক র ডাটা থেকে আরেকটি সিদ্ধান্ত বের করা, সেই নতুন সিদ্ধান্ত আবার র ডাটা হিসাবে স্টোরড হওয়া- এসবের মাধ্যমেই তুমুল গতিতে মানুষের মস্তিষ্ক চলতে থাকে। (কিন্তু র ডাটা গুলো প্রসেস করাটা ব্যাপক হারে মানুষ তখন থেকেই শুরু করে যখন মানুষ প্রসেস করার মত যথেস্ট ফুসরত পেল)। এভাবেই মানুষ কল্পনা করা শিখে। কিন্তু এই কল্পনা করার ক্ষমতা বা র ডাটাগুলো প্রসেস করার ক্ষমতার একটা সীমাবদ্ধতাও কিন্তু আছে। স্টোরড র ডাটা ছাড়া কোন কিছু কল্পনা করা সম্ভব না। অর্থাৎ পূর্ণিমার চাঁদ আর ঝলসানো রুটি সম্পর্কে কোনরূপ ধারণা ছাড়া কখনোই "পূর্ণিমার চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি" লাইনটা পয়দা করা সম্ভব না। একটা উদাহরণ দেয়া হয়- আপনি যতই চেস্টা করুন- উদ্ভট একটা দৈত্য আকার চেস্টা করেন না কেন- সব কিছু পরিচিত উপাদান ব্যতীত (মানে গরুর শিং, ঘোরার লেজ, শকুনের ডানা.. ইত্যাদি) আকতে পারবেন না। আর সে কারণে মানুষ আজ পর্যন্ত যা কিছু চিন্তা করেছে- কল্পনা করেছে- সব কিছুরই একটা ধারাবাহিক পরিক্রমা আছে, পারিপার্শিক অবস্থার একটা গুরুত্ব আছে- ততদিন পর্যন্ত অর্জিত জ্ঞানের ভূমিকা আছে। আইনস্টাইন যদি প্রস্তর যুগে জন্মাইতেন- তবে রিলেটিভিটি থিউরি নয়- বড়জোর তিনি প্রস্তরখণ্ড দিয়ে একটা চমৎকার একটা হাতিয়ারই তৈরি করতে পারতেন।
একই রকম- মানুষকে ঈশ্বর ধরণের কোন কিছু কল্পনা করতে গেলে- সেই জিনিসটা চিন্তা করার মত পারিপার্শিক আবহও দরকার। পালনকর্তা বলে কোন টার্মের সাথে পরিচিত না থাকা পর্যন্ত সমস্ত জগতের পালনকর্তা হিসাবে একজনকে কল্পনা কিকরে করবে মানুষ? কোন কিছু যে সৃষ্টি করা যায়- এমন কোন অভিজ্ঞতা না থাকা পর্যন্ত জগৎ-জীবনের সৃষ্টিকর্তার কল্পনা কেমনে করা সম্ভব? আপনি যদি প্রাচীণ ভারতীয় দার্শনিক ডিবেটগুলোও পড়েন- তাহলে দেখবেন, একদল ঈশ্বরের পক্ষে ডিবেট করতে গিয়ে ঘট প্রভৃতি বস্তুদি তৈরির উদাহরণ বা কাষ্ঠাদি থেকে সুচারুরূপে সূত্রধরের নানা জিনিস তৈরির উদাহরণ ব্যবহৃত হচ্ছে (আজও অনেকে করেন)। ঐ ডিবেটগুলোতে দেখা যায়- দেবদেবীদের মানে অথচ প্রজাপতি বা পরম ব্রক্ষা হিসাব কাউকে মানতে তারা পারছেন না, অর্থাৎ দেবদেবীদের চিন্তা আরো অনেক আগে থেকেই ছিল, কিন্তু এরপরে যখন ঈশ্বরচিন্তার আবির্ভাব ঘটতে থাকে- তখন অনেকেই বিষয়টাও তখনও ঠিক বুঝে উঠতে পারছিল না।
যাহোক, যেটা বলছিলাম- মানুষ হাওয়া থেকে কিছু কল্পনা করতে পারে না, কোনকিছুর যোগসূত্র ছাড়া কোনদিনই মানুষ কিছু কল্পনা করেনি। এমনকি প্রথমদিকে যে বট-পাথর এসবের পুজা- সেটার চিন্তা মাথায় আসতে উপযুক্ত যোগসূত্র দরকার। অনুনয় বিনয় করলে যে কেউ খুশি হয়- এমন প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা না থাকলে সে কেমন করে কোন প্রকান্ড বৃক্ষ বা পাথর বা সূর্যকে সে অনুনয় করতে যাবে? এই অভিজ্ঞতা তাকে পেতে হয়েছে- পাশের মানুষটির কাছ থেকে- অর্থাৎ যতদিন মানুষ কেবল কাড়াকাড়ি করে খাবার খেত (কুকুরদের মত) ততদিন এটা সম্ভব ছিল না, এই অভিজ্ঞতা অর্জনের পরে- হয়তো গতিতে নামা প্রকান্ড পাথরের সামনে পলায়মান কোন মানুষ শেষে হাল ছেড়ে দিয়ে সেই পাথরের দিকে তাকিয়ে অনুনয় বিনয় করে প্রাণভিক্ষা চেয়েছে; অনেকক্ষেত্রেই সে বাচেনি- কিন্তু দেখা গেল কোন কারণে পাথরের গতিপথ পরিবর্তিত হয়েছে বা গতি বন্ধ হয়ে গেছে- এই অভিজ্ঞতা ঐ বেচে যাওয়া মানুষটি ও তার আশে পাশের মানুষদের জন্য পরের আরো অনেক অনুরূপ সিদ্ধান্তের নিয়ন্ত্রা হয়ে দাড়িয়েছে।
প্রায় সমস্ত চিন্তাই বলতে গেলে যৌথ, কোন কোন মাথা থেকে আগে পরে কোন চিন্তা এসেছে, যেটি যৌথ চিন্তা হয়ে দাঁড়ায়নি সেটা টিকেনি। কোন রহিম বা রাম-সাম-যদু-মদু'র কোন কারবার নেই এখানে।
........
১৪৭| ২৪ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:৫২
নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন:
এখন আর আলোচনা করতে ইচ্ছা করছে না, রাতে বা কালকে আবার এই আলোচনাটা আরো কিছু কন্টিনিউ করবো।
ফরহাদ উদ্দিন স্বপনের আলোচনার রেসপেক্টে নতুন কিছু বলার নেই, যা বলেছি এনাফ। তার শেষ কমেন্টের (১৪২ নং) জবাব দিতে গেলে একই কথার পুনরাবৃত্তিই শুধু হবে। মনির হাসানের ১৪০ নং কমেন্টের ব্যাপারে কিছু কথা বলতে হবে। এখন না- পরে।
১৪৮| ২৪ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:৫৩
রাসেল ( ........) বলেছেন: বিশাল ঝামেলা,
ফ্রেন্ডলী ফায়ার, মিসফায়ার, সিজফায়ার হয়ে গেলো।
শয়তানকে উত্তর দেই, এত এত কমেন্ট হইয়া এইটার যা অবস্থা হইছে এই পোষ্ট পড়তে পরে ১ দিন সময় দেওয়া লাগবে।
মানুষের নিজস্ব বেড়ে উঠবার ভেতরে কিছু বিবেচনা থাকে, ধরা যাক এটাকে বিকার না বলে বললাম শূঁচিবাই, সেটা শৈশবের ভীতি হতে পারে, প্রাকশৈশব অভিজ্ঞতা হতে পারে, কিংবা নেহায়েত পারিবারিক বিশ্বাসের কারণেও এমন দৃঢ় বিশ্বাস জন্মাতে পারে। আমাদের বেড়ে উঠবার পরিস্থিতি এবং পরিবেশ আলাদা হয় না খুব বেশী। দেশ-কাল এবং চর্চিত সংস্কৃতি এবং বিশ্বাসের সাথে বেড়ে উঠবার এই সংমিশ্রনের জায়গাটা খুব বেশী আলাদাও হয়ে থাকে না।
শৈশবের ভীতি থেকে কেউ নারীবিদ্বেষী হয়ে উঠলো, পরবর্তীতে তার সাথে আরও অনেক নারীবিদ্বেষী ব্যক্তির দেখা হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা অনেক বেশী। এরা নিজেদের বিশ্বাসের খাতিরেই ঐক্য বদ্ধ হয়ে উঠবে, প্রশ্ন হলো সমাজ এটাকে কতটুকু পর্যন্ত সমর্থন করবে?
সমাজ যদি তার প্রচলিত নৈতিকতার জায়গা থেকে এই নারীবিদ্বেষকে সমর্থন করে তবে তারা সামাজিক নৈতিকতার বোধকে বদলাবে না, কিন্তু ধরা যায় আরও একটু এক্সট্রিম ঘটনা, তারা শুধু নারীবিদ্বেষী নয় বরং নারী নির্যাতক- এটা যদি সমাজ সমর্থন করে তবে তারা সামাজিক পরিবর্তন ঘটাবে না, কিন্তু যদি তারা এটার সামাজিক সমর্থন না পায়, তারা এটার একটা ভিত্তি তৈরির চেষ্টা করবে-
একজন নারীবিদ্বেষী- নারী নিপীড়ক, শেষ পর্যন্ত তার এই নিজস্ব বিকারের সাথে সাযুজ্য আছে এমন আরও অনেকগুলো মানুষের সাথে মিলিত হবে, যদি তাদের এই সম্মিলিত বিশ্বাস সামাজিক নৈতিকতার মানদন্ডে গ্রহনযোগ্য না হয় তবে তারা নিজস্ব বিশ্বাসের প্রচারণা চালাবে, এবং প্রচারণার ফলে আরও কিছু মানুষ এটার পক্ষে বিপক্ষে যাবে এবং শেষ পর্যন্ত এটা একটা সামাজিক চর্চার জায়গা হবে, সমাজে সামান্য গ্রহনযোগ্যতা থাকলে সেটাকে আমি সমাজস্বীকৃত ধর্ম বিবেচনা করবো, কারণ যে বিশ্বাসের সামাজিক গ্রহনযোগ্যতা আছে সেটা খুব দ্রুতই লোকাচারের সাথে মিশ্রিত হবে এবং একদল মানুষ এটা অনুসরণ করবে। এই বিশ্বাসের জায়গাটা থেকে একজন বুদ্ধিমান এসে এটার একটা কাঠামো তৈরি করে দিবে, এই বিশ্বাসকে আরও কিছু সামাজিক বিশ্বাসের সাথে মিলিয়ে সেটাই প্রার্থনার উপাচার করে নিবে, এবং এই ধর্ম বিশ্বাসী নারীবিদ্বেষীরা নিয়মিত প্রার্থনার জন্য নারী নির্যাতন করবে, এখন যেমন মানুষ মসজিদে যায় ৫ বার নামাজ পড়তে, এই ধর্মের বিশ্বাসীরা হয়তো দিনে ২ বার মেয়ে ধরে পিটাবে, এ কাজের জন্য তাদের পরকালে পুরস্কারের ঘোষণাও থাকতে পারে।
১৪৯| ২৪ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:৫৭
রাসেল ( ........) বলেছেন: নাঃধঃ এর বক্তব্য মাঝে মাঝে মাথার উপর দিয়ে চলে যায়, আমার নিজের ধারণা ধর্ম লোকাচার থেকে উদ্ভুত একটা সংস্কৃতি। এবং বিজ্ঞানের জন্ম যে জায়গা থেকে মানুষের ধর্মের জন্মও একই জায়গা থেকে। মানুষের দর্শণ চর্চার ইতিহাস, সেখান থেকে ধর্মের এবং বিজ্ঞানের উদ্ভবের জায়গাটা পরিস্কার।
সুতরাং বিজ্ঞান আর ধর্মের লড়াইটা সবচেয়ে প্রাচীন লড়াই মানুষের জ্ঞানের ধারায়।
ব্যখ্যার চেষ্টায় কে কি প্রকল্প নিয়েছে তার উপরে হয়তো এর ফলাফল নির্ভর করে তবে যারা বিশ্বাসী তাদের বিশ্বাস এবং বিশ্লেষণের জায়গার সাথে অবিশ্বাসীর বিশ্বাস ও বিশ্লেষণের জায়গা না মেলা মানে ধর্ম এবং বিজ্ঞান অনেক দুরবর্তী এমন নয়।
বিশ্লেষণের জায়গায় ধর্মের কিছু কিছু উপকরণ হয়তো পূর্বেই উপস্থিত ছিলো, সুতরাং ধর্ম তৈরি হওয়ার আগেই পুরোহিত তন্ত্র তৈরি হয়েছে,
১৫০| ২৪ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:২২
ফরহাদ উিদ্দন স্বপন বলেছেন: ভাবছিলাম আর আসবনা। তবে যাওয়ার আগে একটা কথা না বইলা গেলে রাইতে মনে হয় ঘুম আইবোনা। ১৪৩ নং কমেন্ট অনুযায়ী আমি আর লেখক পোস্টের উদ্দেশ্যটা বুঝতে সক্ষম হয়নি। যেখানে লেখক নিজেই তার পোস্টের কন্টেন্ট বুঝতে ব্যর্থ হন সেইখানে আমার ব্যর্থতা তেমন বড় কিছুনা।
১৫১| ২৪ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:১২
সত্যান্বেষী বলেছেন: পুজিবাদ বহাল থাকা অবস্থায় দুনিয়ার (যা আসলে পুজিবাদ হতে দিবে না) সবাই নাস্তিক হয়ে গেলেও মানুষের শোষন-বঞ্চনা কিছুমাত্র হ্রাস পাবে না। তার রূপ-ব্যপ্তি-মাত্রার বদল হবে মাত্র। ধর্মশালাগুলোর জায়গায় গড়ে উঠবে বেশ্যাপাড়া, বিশাল পুজিপতির মুখের কথা হবে কোরানের অলঙ্ঘনীয় বানী।
১৫২| ২৪ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:৩২
সাহোশি৬ বলেছেন: জ্ঞান- বিজ্ঞানে আমরা আরো এগিয়ে যাব, সন্দেহ নাই। এমনকি চার-পাঁচশ' বছর পর অন্য কোন গ্রহ বা উপগ্রহে মনুষ্য বসতিও স্থাপন করে ফেলতে পারি, কিন্তু আমার মনে হয় মানুষের মধ্যে থেকে ধর্মের আবরণ সরবে না (বরং আরো বাড়লেও আশ্চর্য হবার কিছু নেই)।
ভারতের বিজ্ঞানীরা মহাকাশে স্যাটেলাইট নিক্ষেপের আগে মন্দিরে গিয়ে পুজা দিয়ে আসেন, কেন? এ কিসের লক্ষন? যে বিজ্ঞানীরা চুল-চেরা বিশ্লেষন করে মহাকাশ বিজ্ঞানকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তারাই স্যাটেলাইট নিক্ষেপের আগে দেবীর আর্চনায় রত। এটা কিসের ইংগিত বহন করে?
ধর্মের adoptation ক্ষমতা অসীম। ধর্ম যে কোন পরিস্থিতিতে যে কোন উপায়ে নিজেকে রক্ষা করতে সক্ষম। কোরানে বলা হয়েছে মানুষ কখনো পেটের সন্তান কি তা জানতে পারবে না। কোরানের এই verse এর ট্রান্সলেশন পড়লেই বোঝা যায়, এখানে সন্তানের সেক্সের কথাই বোঝানো হয়েছে (অর্থাৎ সন্তানটি ছেলে না মেয়ে হবে তা মানুষ কখনই জানতে পারবে না)। বিজ্ঞানের কল্যানে এখন আমরা খুব সহজেই বের করে ফেলতে পারি আগন্তুক সন্তানের সেক্স। কোরানের এই verseকে যখন চ্যালেন্জ করা হয়, তখন মোল্লারা বলে আসলে কোরানে সন্তানের সেক্স নয় বরং সন্তানটি কি ভবিষ্যতে কেমন মানুষ হবে তা বোঝানো হয়েছে। দেখেন ধর্ম কিভাবে যুগের সাথে নিজেকে পরিবর্তন করে ফেলছে।
এক হাজার বছর আগে মানুষ জানত না ঝড়-বৃষ্টি কিভাবে হয়, তাই ধর্ম গ্রন্থে ঝড়-বৃষ্টির দায়িত্ব একজন ফেরেশতার হাতে দিয়ে দেয়া হলো, এখন আমরা পুংক্ষানুপুংক্ষভাবে বলতে পারি কখন কি মাত্রায় ঝড়-বৃষ্টি হবে, তাতে কি ধর্ম গ্রন্থ অচল হয়ে গেল? বরং এটাতো আগের তীব্রতা নিয়েই টিকে আছে।
বাইবেলে বলা আছে পৃথিবী ছয় দইনে সৃষ্টি হয়েছে এবং পৃথিবীর বয়স মাত্র ছয় হাজার বছর। বাইবেলের এত বড় ভুল দেখার পরও কি মানুষ ধর্ম ছেড়ে দিয়েছে? আমার তো মনে হয় ধর্মের তীব্রতা যেন আরো বেড়েছে।
সুতরাং আমি বলব, মানুষ এগিয়ে যাবে ঠিকই, কিন্তু ধর্মের খোলশ থেকে বের হয়ে আসতে পারবে না। এর কারণও অবশ্য বিবিধ। তার মধ্যে মনস্তাত্বিক কারণগুলোই প্রধান, যার কয়েকটি এখানে উল্লেখ করা হলো:
১। মানুষকে শৈশব থেকেই ধর্মের আফিম গেলানো শুরু হয়, এটা করে তার পরিবার, সমাজ এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে কিছু কিছু রাষ্ট্রও। আশৈশব-লালিত বিশ্বাস ঝেড়ে ফেলা কঠিন।
২। মানুষ তার দু:সময়ে একজন সুপার পাওয়ারের সরানাপন্ন হতে চায়, সে বিশ্বাস করতে চায়, এই দু:সময়ে সুপার পাওয়ারের সাহায্য নিয়ে সে সহজেই পার পেয়ে যেতে পারবে।
৩। প্রত্যেক মানুষের কাছে তার নিজের জীবন খুব প্রি্য। এটা ভাবতে তার খুব কষ্ট হয় যে মরণের পর তার সবকিছু শেষ হয়ে যাবে। তাই সে আবার জন্মলাভের কল্পনা করে, তা সে 'সাত জন্মের' ভিতর দিয়েই হোক, আর হাশরের ময়দানেই হোক।
৪। দূর্বল মানুষ সবলের উপর ঝাপিয়ে পড়তে পারে না। তাই সে কল্পনা করে দূর্বলের পক্ষ হয়ে একজন সুপার পাওয়ার সবলকে ঠিকই শাস্তি দেবে।
১৫৩| ২৪ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:৩৬
নাজমুল আহমেদ বলেছেন: সুস্থ আলোচনা ভালো লাগে।।
১৫৪| ২৪ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:৫৬
হোরাস্ বলেছেন: কয়েকদিন পর ফ্রি হয়ে আসলাম.... আইসাই এত বিশাল বিশাল আলোচনা সহ কমেন্টগুলা পড়ে নিজের কিছু বলার আর খুঁজে পাচ্ছি না। মনিরকে ধন্যবাদ আলোচনা শুরু করার জন্য। এখন সব আলোচনা থেকে জিস্ট নিয়ে আরেকটা সামারি পোস্ট দিলে মনে হয় খুব ভাল হবে।
১৫৫| ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:০৩
আরিফুর রহমান বলেছেন: সাহোশি৬ এর শেষের তিনটা পয়েন্ট পড়ে একটা কথাই বলতে ইচ্ছে হলো..
'পাগলের সুখ মনে মনে'
এখানে পাগল বলতে আস্তিক বোঝানো হয়েছে।
১৫৬| ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:৫৪
নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন: আজকে রাতে বেশিক্ষণ নেটে সময় দিতে পারবো না- শুধু মনির হাসানের একটা কমেন্টের অংশ বিশেষ দুটো কথা বলেই চলে যাবো- কাল আবার কথা হবে.....
মেঘ'কে খুশি রাখলে বৃষ্টি হবে, তাতে ফসল আসবে এই ধারনার সাথে আল্লাহ'কে খুশি রাখলে বেহেস্ত পাওয়া যাবে এই ধারনার গুনগত পার্থক্য কতটুক ? দুর্ভাগ্যক্রমে আমার কাছে কোন পার্থক্য নেই ।
====>>>>>>>
এবং দুর্ভাগ্যক্রমে আমার কাছে, এ দুটোতে আকাশ পাতাল পার্থক্য।
প্রথমটি (মেঘ'কে খুশী রাখলে বৃষ্টি হবে) তার দৈনন্দিন প্রাত্যহিক জীবনের সাথে সম্পর্কিত- পরেরটি সম্পূর্ণ ভিন্ন আসপেক্ট, পুরোপুরিই অতিপ্রাকৃতের হাতে নিজেকে সমর্পন করা। এ পার্থক্যটা বুঝা খুবই খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
প্রথমটি তাকে বস্তু সম্পর্কে- প্রকৃতি সম্পর্কে তার আগ্রহকে ইন্ডিকেট করে এবং আরো কিছু অনুসন্ধানে অনুপ্রাণি্ত করে; দ্বিতীয়টি তাকে কর্মজগত থেকে দূরে ঠেলে ভাবজগতের দিকে পাঠায়। কিভাবে? তাহলে একটু ব্যাখ্যা করি।
মেঘ নিয়ে আগ্রহের কারণ কি? কারণ তাদের কোন কোন সময়ে বৃষ্টির খুব দরকার হয়ে পড়ে আবার কোন সময়ে অতিবৃষ্টি সমস্যায় ফেলে। মূলত- কৃষির জন্যই মানে কাঙ্খিত ফসল পাওয়ার জন্যই এই বৃষ্টির জন্য হাহাকার আর অতিবৃষ্টি থেকে বাঁচার চেস্টা। এখন তারা যখন মেঘকে খুশী করার চেস্টা যখন করছে তখন প্রকৃতি জগতকে গভীর ভাবে পর্যবেক্ষণ করে কয়েকটি স্টেপ অলরেডি তাদের পার হতে হয়েছে- কি সেগুলো?
১। ভালো ফসল হওয়া না হওয়ার সাথে বৃষ্টির একটা যোগাযোগ আছে।
২। বৃষ্টি আকাশ থেকে নামলেও- এর সাথে মেঘের একটা যোগসূত্র আছে।
একজন মিকাইল আল্লাহর মর্জি মাফিক বৃষ্টি দেয়- আর মেঘ থেকে বৃষ্টি হয় এবং এবং বৃষ্টি হওয়া না হওয়ার কোন ব্যবস্থা করা যায় কি না তার চেস্টার মধ্যে একটা গুনগত পার্থক্য আছে বৈকি। মিকাইল বা আল্লাহ বা কোন বৃষ্টিদেবীর কৃপার জন্য বসে থাকার বিপরীতে, মেঘ থেকে বৃষ্টিকে আনার চেস্টা করার পার্থক্য হচ্ছে এই যে- এর মাধ্যমে প্রকৃতিজগতকে নিজের প্রয়োজনে ব্যবহার করার তাগিদ প্রকাশ পায়। কেবল সমস্যা হলো- ঐ সময় মানুষ প্রকৃত কারণটা সে সময়ে জানতো না (বের করাও সম্ভব ছিলনা)। তাই প্রাথমিক সমাধান ছিল- মেঘকে খুশী করার চেস্টা করা। আজকে এটা যতই হাস্যকর মনেখোক না কেন- এই চেস্টার মধ্যে এতটুকু সমস্যা আমি দেখি না। পাশের মানুষকে খুশী করতে পারলে- সে অনুরোধ শুনে- তাহলে মেঘের কাছে অনুরোধটুকু করেই দেখা যাক না কেন। এতে সমস্যা দেখি না কারণ, বিজ্ঞান এমন নানা স্কোপ দিয়েই নানারকম ট্রাই করে দেখে। দু তিনটা জ্ঞান থেকে কোন একটা অনুসিদ্ধান্ত টানলো- পরে যদি দেখে সেটা ভুল- তবে সেই অনুসিদ্ধান্তটা ভুল হিসাবে পরিগণিত হয়, তখন সিদ্ধান্ত-অনুসিদ্ধান্তের রদ বদল- নতুন অনুসিদ্ধান্ত টানা এমনি করেই তো বিজ্ঞানের এগিয়ে চলা। যাহোক যা বলছিলাম- মেঘকে কেবল অনুরোধ করে বৃষ্টি হওয়ার চেস্টায় সমস্যা দেখি না, কারণ- আরো অভিজ্ঞতায় একসময় এই অনুসিদ্ধান্ত ভুল হিসাবে জানার স্কোপও থাকে। অসংখ্য ভুলকে সঠিক করা বা ভুলকে উন্মোচন করার মধ্য দিয়েই তো বিজ্ঞানের নিয়ত যাত্রা। এবং আসলেই দেখা যায়, সেই আদিম ম,ানুষ কেবল মেঘের কাছে মন্ত্র-টন্ত্র পড়েই ক্ষ্যান্ত দেয়নি- তারা আরো অভিজ্ঞতা অর্জনে- একটা ৃতুচক্র সম্পর্কেও ধারণা লাভ করেছে এবং সে অনুযায়ি কর্মপদ্ধতিও ঠিক করেছে, বৎসরের কোন সময় বীজ বুনতে হবে, কোন সময় চারা বুনতে হবে, কখন ফসল আসবে- কখন ফসল কাটবে- এগুলোও কিন্তু তারা আবিষ্কার করে ফেলে। সুতারং দেখা যায়- তাদের মন্ত্র-তন্ত্র কেবল মেঘ বা সূর্যের প্রতি নানা আহবান, অনুনয় বিনয় না- বরং সম্পূর্ণ ফসল উৎপাদনের প্রক্রিয়াটারই একটা ধারাবাহিক উপায়।
আর সে কারণে নানা বিজ্ঞানী-দার্শনিক এইসব মন্ত্র-তন্ত্রকেই দুনিয়ার প্রথম বিজ্ঞান হিসাবে অভিহিত করেছেন (অবশ্যই এটা আধুনিক বিজ্ঞান নয়- আধুনিক বিজ্ঞানের জন্ম তো এই তো সেদিনের)। মজার ব্যাপার হচ্ছে- একই সাথে এই তন্ত্র-মন্ত্র ধর্মেরও আদিরূপ।
যাহোক, আশা করি আমার বক্তব্য বুঝাতে পেরেছি।
১৫৭| ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:৫৭
মনজুরুল হক বলেছেন:
"সত্যান্বেষী বলেছেন: পুজিবাদ বহাল থাকা অবস্থায় দুনিয়ার (যা আসলে পুজিবাদ হতে দিবে না) সবাই নাস্তিক হয়ে গেলেও মানুষের শোষন-বঞ্চনা কিছুমাত্র হ্রাস পাবে না। তার রূপ-ব্যপ্তি-মাত্রার বদল হবে মাত্র। ধর্মশালাগুলোর জায়গায় গড়ে উঠবে বেশ্যাপাড়া, বিশাল পুজিপতির মুখের কথা হবে কোরানের অলঙ্ঘনীয় বানী।"
----------------------------------------------------------------------------------
সত্যান্বেষীর করা এই মন্তব্য'র সাথে সহমত জানিয়ে বাকি সব খারিজ করে দিলাম। কেন খারিজ করলাম সেই বিষয়ে কথা হতে পারে, তবে তার আগের রাশি রাশি শব্দ ব্যয়ে করা কমেন্টগুলো আমার কাছে কোনই অর্থ বহন করে না(স্যরি টু সে)।
১৫৮| ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১:০৩
নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন: সাহোশি৬ এর সাথেও আমার মতের অমিল দেখছি। চারটি পয়েন্টের সাথে ১ নং পয়েন্টকেই সঠিক মনে হয়েছে, কারণ আসলেই জন্মের পর থেকেই মানুষ ধর্মীয় পরিমন্ডলে বেড়ে উঠলে তার পক্ষে পরে ধর্ম ত্যাগ করা খুব কঠিন। কিন্তু এমন ধর্মীয় পরিমন্ডলে না বেড়ে উঠাটা যদি নিশ্চিত করা হয়- এট লিস্ট জ্ঞান হওয়ার পর থেকে পরিবার থেকে পাওয়া ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি যদি বিপরীত চিন্তা-শিক্ষাও যদই কোন সোর্স থেকে পেতে থাকে- তবে কি হারটা একইরকম থাকবে?
পরের তিনটা- একটা নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট পরিমন্ডলে বেড়ে ওঠা মানুষকে দেখে সত্য মনে হলেও এগুলোকে আসলে সমস্ত মানুষের স্বভাবজাত বৈশিষ্ট হিসাবে বলা যায় না বলেই আমার মনে হয়। যাহোক- পরে হয়তো আরো কিছু কথা বলা যাবে। আজকের মত বিদায়।
১৫৯| ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১:০৭
অচন্দ্রচেতন বলেছেন: জমজমাট আসর। আমার ব্যক্তিগত মত - ধর্ম পুরোপুরি বিলুপ্তির সম্ভবনা কম, এমনকি সুদূর ভবিষ্যতেও। যতদিন দারিদ্র্য ও অশিক্ষা থাকবে ততদিনই ধর্মের অর্থনৈতিক ও আধ্যাত্মিক উপযোগিতা থেকে যাবে। যদিও এটা একটা পেসিমিস্টিক ভিউ, তারপরও আমার মনে হয় না পৃথিবী থেকে দারিদ্র্য ও অশিক্ষা/অপশিক্ষা খুব সহজে নিশ্চিহ্ন হবে।
১৬০| ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১:২৪
গোঁপা বলেছেন: @ মনজুরুল হক ভাই ,আল্লার ওয়াস্তে এই অধমরে আপনার সহমত পোষনকারী বাক্যটিকে পুজিবাদের বয়ান দিয়া একটু বুঝিয়ে বললে কৃতার্থ হই ।বাক্যটি নিন্মে তুলে দিলাম :
ধর্মশালাগুলোর জায়গায় গড়ে উঠবে বেশ্যাপাড়া, বিশাল পুজিপতির মুখের কথা হবে কোরানের অলঙ্ঘনীয় বানী।"
১৬১| ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১:২৭
গোঁপা বলেছেন: @ মনজুরুল হক ভাই , যদি পারেন ধর্ম নিয়া আপনার চিন্তাভাবনাটুকু যদি একটু সংক্ষেপে বলেন ।
স্রেফ অনুরোধ । অন্যকিছু নয় ।
১৬২| ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৩৩
নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন: @মনজুরুল হক,
সত্যান্বেষীর করা এই মন্তব্য'র সাথে সহমত জানিয়ে বাকি সব খারিজ করে দিলাম। কেন খারিজ করলাম সেই বিষয়ে কথা হতে পারে, তবে তার আগের রাশি রাশি শব্দ ব্যয়ে করা কমেন্টগুলো আমার কাছে কোনই অর্থ বহন করে না(স্যরি টু সে)
======>>>>>>>
এ এপ্রোচটা আমার কাছে আপত্তির মনে হয়। সত্যান্বেষীর বক্তব্যটা আমারও মত সেটা নানাভাবে অনেকবারই বলেছি, (আমার ৫৪ নং কমেন্টও দেখতে পারেন)- কিন্তু একে সত্যান্বেষীর দুতিন লাইনের সিদ্ধান্তমূলক লাইন কটি যতই সঠিক হয়ে থাকুক- সেটার ব্যাখ্যা ছাড়া কেবল বাকি সমস্ত কিছুকেই এক কথায় খারিজ করার মধ্য দিয়ে একরকম ওহী ওহী গন্ধ পাওয়া যায়।
আপনি যদি খুব ক্লান্ত হয়ে থাকেন- আপনার যদই সময়ের অভাব ঘটে থাকে- আপনার যদি আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ অনেক কাজ থেকে থাকে- তবে আপনি এ আলোচনাকে অগ্রাহ্য করতেই পারেন। কিন্তু তখনো আপনি এক লাইনে সব কিছু খারিজ কি করতে পারেন?
যেখানে- ডিবেটগুলোর একটা বড় অংশের সাবজেক্ট ম্যাটারের ধারে কাছের কোন বক্তব্যই সত্যান্বেষীর আলোচনায় নেই। পুঁজিবাদ থাকা অবস্থায় সমস্ত মানুষ নাস্তিক হলেও শোষণ বঞ্চনা হ্রাস পাবে না, উল্টোদিকে আমি বলেছি পুঁজিবাদী ব্যবস্থা টিকে থাকা অবস্থায় ধর্মের সম্পূর্ণ উচ্ছেদ সম্ভবই না- এটারও তীব্র দ্বিমত জানিয়েছে মনির হাসান) সত্যান্বেষী এই বাক্য কি "ধর্ম ও নৈতিকতা" বিষয়ক ডিবেট এ কোন আলো ফেলতে পারছে? ধর্মের আবির্ভাব, ঈশ্বরচিন্তার আবির্ভাব এ সংক্রান্ত যে মতভিন্নতা- সে সম্পর্কে কোন আলো ফেলতে পেরেছে?
এখন আপনি বলতেই পারেন- পুঁজিবাদের উচ্ছেদের গল্প ছাড়া অন্য কোন আলোচনায় বা ডিবেট এ, আজকে বসে প্রাচীণ আমলে ধর্মের উৎপত্তি কেমনে হলো এসব আলোচনায় যাওয়ার কোন প্রয়োজন নেই- তাই যারা সে আলোচনায় আছেন- সেগুলোকেও খারিজ করে দিলাম- তবে আপনি হয়তো সেটা করতেই পারেন। কিন্তু আমার কাছে এই এপ্রোচটিকে খুব কাজের কিছু মনে হয় না। অন্তত, মার্কস এঙ্গেলস এর যতখানি পড়েছি- সেখানে তারা পুঁজিবাদ উচ্ছেদ- শ্রেণীহীন সমাজ গড়া, শ্রমিক শ্রেণীর আন্দোলন- এসবের মধ্যেই তাদের চিন্তাভাবনা-বক্তব্য সীমাবদ্ধ রাখেন। মর্গানের এনসিয়েন্ট সোসাইটি- মার্কসের ঐতিহাসিক বস্তবাদ - এবং ইতিহাসের সঠিক বস্তুবাদী পাঠকে পুঁজিবাদী ব্যবস্থার উচ্ছেদের সংগ্রামের জরুরি হিসাবেই গণ্য করা হয়।
সমাজে যেসমস্ত চিন্তা প্রবলভাবে বিরাজ করছে- সেগুলোকে সামনাসামনি ফেস না করলে- কি করে আপনাদের বিপ্লবী আন্দোলনকে এগিয়ে নিবেন? মার্কস প্রুধোর, ফয়েরবাখের, ড্যুরিং এর এমন কিছু বক্তব্যের অনেক কথায় জবাব দিয়েছেন- যেগুলো আপাত দৃষ্টিতে খুব খেলো মনে হবে। চাইলেই তিনি সেগুলো এককথায় খারিজ করে দিতে পারতেন- আমার জানা মতে কখনোই সেটা তিনি করেন নি। সব বিপরীত মতকেই যে তিনি এড্রেস করেছেন তা নয় (সম্ভবও নয়)- বরং বড়ভাগই ধরাছোয়ার বাইরে থেকে গিয়েছে, কিন্তু যেটা ধরেছেন- সেটা ভালো করেই ধরেছেন। তারা কোনদিনই কোন কথাই সিদ্ধান্ত আকারে ওহী নাযিলের মত করে বলে দেননি- যতদূর পর্যন্ত বিস্তারিত করা যায় তা করেই তারা ব্যাখ্যা সহকারে সেইসব সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন।
১৬৩| ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৪০
নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন:
দূর এতো টাইপো থাকলে কেমন করে হবে? নিজের উপরই বিরক্ত লাগছে। আQপনারা একটু কষ্ট করে পইড়েন- ও বুইঝা নিয়েন....
১৬৪| ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৪০
নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন:
দূর এতো টাইপো থাকলে কেমন করে হবে? নিজের উপরই বিরক্ত লাগছে। আপনারা একটু কষ্ট করে পইড়েন- ও বুইঝা নিয়েন....
১৬৫| ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৪২
শয়তান বলেছেন: লেখক বলেছেন: পেট্রোলেও গাড়ি চলে ... সিএনজিতেও চলে ... সমস্যা কি ?
হ ।আসলেই তো কেরোসিন / ডিজেল দিয়া নসিমন করিমনরাও চলে ।
১৬৬| ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৪৯
গোঁপা বলেছেন: @ মনজুরুল হক ভাই , আপনার কমেন্ট আমি পড়েছি ,সেখানে আপনি লিখেছেন :সমগ্র বিশ্ব শ্রেণীহীন রাষ্ট্র শুকিয়ে মরা অবস্থানে উপনীত হওয়ার পরও সনাতন ধর্ম ঠিকই তার সহজীয়া পূজা-অর্চনায় নিজেকে টিকিয়ে রাখার শর্ত তৈরি করবে ।
মনজু ভাই আপনি কি ভুলে যাচ্ছেন খোদ সনাতন ধর্ম , আর সহজিয়া পূজা - অর্চনার মধ্যে রয়েছে বিস্তর দর্শন এবং চর্চাগত ফারাক । সনাতন ধর্ম আর ব্রাক্ষ্মন্যধর্মের ভেতর ভেদের কথা আজ অনেক তাত্ত্বিকরা বলছেন । যেমন বলছেন নারায়ণী > ভাগবত > বৈদিক এবং সহজিয়া ধর্মের ফারাকের কথা ।
আপনি যদি ডি ডি কোসম্বি , সুবিরা জায়সবালের লিখা পড়ে থাকেন , সম্ভবত কেবল তাহলেই বস্তুবাদী ব্যাখ্যার সাথে আমরা নতুন কিছু যোগ করে শ্রেণীহীন সমাজ ব্যাবস্থার স্থানিয় ধরনটি কেমন হবে সে বিষয়ে আগাতে পারবো ।
ধন্যবাদ ।
১৬৭| ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৫০
মনজুরুল হক বলেছেন:
@গোঁপা। ধর্মের ধর্ম কি? প্রচার, বন্ধন,ভতি প্রদর্শন, লোভাতুর করণ। এই সব কাজে সে তার মুদ্রিত বয়ানের উপরই ভরসা করে। যখন সেই বয়ান(হাদিস, সংহিতা,বেদান্ত) অসার হতে থাকে তখন তাকে রাষ্ট্রীয় প্রভাব খাটাতে হয় (সংবিধানের কপালে বিসমিল্লাহ)।
ঠিক তেমনি পুঁজির ধর্ম মুনাফা। ভোক্তার চাহিদা তৈরি করে উৎপাদিত পণ্যের বিপনন। এক পর্যায়ে ভোগেচ্ছে পরিপূর্ণ হলে আর যখন পণ্যে উপযোগীতা থাকে না তখন তাকে নতুন নতুন পণ্য নয়, ভোগেচ্ছা তৈরি করতে হয়( প্রথমে মোবাইল। পরে এর ভেতর আরো ১২/১৪টি গ্যাজেট ইনক্লুড করণ)। সেই ভোগেচ্ছাও যখন সসীম দশা তখন তাকে ধর্মাশ্রয়ী হতে হয়, কারণ এতে করে সে যত কষ্ট করে বাজার তৈরি করছিল তার চেয়ে সহজেই বাজার তৈরি করতে পারে। সেই বাজারে সে ধর্মকেও নিছক একটি পণ্য হিসেবেই গণ্য করে। ধর্মকে আধুনিক, সর্বজন গ্রাহ্য করার জন্য সে মাইক, লাউড স্পিকারের মত আরো এলিমেন্টে বেঁধে ফেলেছে। সে এখন ইজতেমায় তার সেবা নিয়ে হাজির হয়। সে (একচেটিয় পুঁজি) যখন আরো বিস্তৃত হবে তখন ধর্মশালাগুলো স্রেফ সিজদা ঠোকার জায়গা থাকবে না, হয়ে উঠবে বিপণন কেন্দ্র। সেটিকেই ব্যঙ্গার্থে বলা হচ্ছে "বেশ্যালয় বানাবে"।বেশ্যালয় বলতে এখানে বাজার বোঝানো হয়েছে। ইসলামে যাকে বলা হয়েছে নিকৃষ্টতম স্থান।
১৬৮| ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ২:০১
মনজুরুল হক বলেছেন:
@ না.ধ. ধর্ম টিকবে কি টিকবে না সেটা এই মুহূর্তের বিশ্বের বা শোষিত শ্রেণীর পক্ষের বা বিপক্ষের কোনই অর্থ বহন করে না। শোষিত এই মুহূর্তে পুঁজির দাসত্ব থেকে মুক্তি চায়। ধর্মের দাসত্ব থেকে মুক্তিই তাকে চূড়ান্ত মুক্তি দেয়না দিতে পারেনা। ইউরোপের অধিকাংশ দেশে ধর্মীয় শোষণ নেই বললেই চলে, তাই বলে কি সেখানে শম শোষণ নেই?
মাকর্স যদি ধর্মতত্ত্বকে ই প্রধান শত্রু ভাবতেন তাহলে ইশতেহার না লিখে "ধর্ম ও সমাজ" আগে লিখতেন। মাকর্স প্রুধো, ফয়েরবাখ, ড্যুরিং বিরোধীতা করেছেন দান্দ্বিকতাকে স্টাবলিশ করার জন্য। হেগেল বা ফায়েরবাখের বস্তুবাদকে খন্ডন করে দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদ প্রতিষ্ঠা করার জন্য। ড্যুরিংকে বিরোধীতা না করলে আমরা জর্মন সংস্করণ পেতাম না।
১৬৯| ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ২:০৩
সাহোশি৬ বলেছেন: নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন: মানুষ ধর্মীয় পরিমন্ডলে বেড়ে উঠলে তার পক্ষে পরে ধর্ম ত্যাগ করা খুব কঠিন। কিন্তু এমন ধর্মীয় পরিমন্ডলে না বেড়ে উঠাটা যদি নিশ্চিত করা হয়- এট লিস্ট জ্ঞান হওয়ার পর থেকে পরিবার থেকে পাওয়া ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি যদি বিপরীত চিন্তা-শিক্ষাও যদি কোন সোর্স থেকে পেতে থাকে- তবে কি হারটা একইরকম থাকবে?
-- ১৯১৭ থেকে ১৯৯০ পর্যন্ত তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং পরবর্তীতে সোভিয়েত ব্লকের দেশগুলোর রাষ্ট্র এবং সমাজ ধর্মকে পৃষ্ঠপোষকতা করত না (শুনেছি বর্তমান চীনেও নাকি এটা অনুসরণ করা হয়)। অথচ ১৯৯০ এর পর দেখুন, রাশিয়াতে কত উপাসনালয় তৈরি হয়ে গেল। আজ যে রাশিয়ানদের বয়স ৬০, তাদের ৪০ বছর বয়স পর্যন্ত সমাজিক এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে তারা কিন্তু ধর্মের প্রভাব থেকে মুক্ত ছিল (ধরে নিলাম, পারিবারিক পরিমন্ডলে সে হয়ত ধর্মের অনুশাসনেই ছিল)। এই রাশিয়ানদের মনে ধর্মের স্থান কতটুকু?
১৭০| ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ২:১১
মনজুরুল হক বলেছেন:
@গোঁপা।রাষ্ট্র যদি তার নাগরিকের পাঁচটি মৌলিক চাহিদা মেটাতে পারে, প্রলেতারিয়েত যদি অসুখ করলেই রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা পেয়ে সুস্থ্য হয়ে ওঠে, বুড়ো বয়সে রাষ্ট্রীয় পেনশনে নিশ্চিন্তে কাটাতে পারে,ছেলেটি যদি তার যোগ্যতা মত কাজ পেয়ে সুখে থাকে তখন ওই নাগরিকের কাছে সাত আসমানের উপর কে আছে বা না আছে তা ভাবার শর্ত তৈরি করে না।
১৯৪৭ সালে চীনে কমিউনিস্ট পার্টি সদস্য ছিল মাত্র লাখ পাঁচেক, কিন্তু ১৯৭২ এর মহান সাংস্কৃতিক বিপ্লবের পর সেখানে পাঁচ শতাংশ মানুষও ধর্মকর্মে ব্যস্ত থাকত না। ওখানে নাস্তিক পয়দা করতে হয়নি। মানুষ আপনা আপনিই ঈশ্বরের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেনি। সনাতনের কথা বলা হচ্ছে তার সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের কথা মাথায় রেখে । এরা ছাড়া আর কোন ধর্মানুসারীরা ধর্মকে সাংস্কৃতিক উপাচারে রূপ দিতে পারেনি। ঘরে বুডো রাখা এখন নাস্তিকেরাও অনুসরণ করে। বিজ্ঞানিরাও গনেশ ভজে, কারণ টাকা আয়ের সাথে গনেশের যোগ আছে। পুজোয় সহজীয়া সেক্সও আছে, যে কারণে টিন এজরা পুজোয় অনিহার বদলে আগ্রহী হয়ে ওঠে, উঠবে, কারণ পুজোর আচার আরো খোলামেলা হবে। হতে বাধ্য।
১৭১| ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ২:১৬
শয়তান বলেছেন: রাসেল ( ........) বলেছেন:
বিশ্লেষণের জায়গায় ধর্মের কিছু কিছু উপকরণ হয়তো পূর্বেই উপস্থিত ছিলো, সুতরাং ধর্ম তৈরি হওয়ার আগেই পুরোহিত তন্ত্র তৈরি হয়েছে,
১৭২| ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ২:১৮
মনজুরুল হক বলেছেন: না.ধ. "উল্টোদিকে আমি বলেছি পুঁজিবাদী ব্যবস্থা টিকে থাকা অবস্থায় ধর্মের সম্পূর্ণ উচ্ছেদ সম্ভবই না- এটারও তীব্র দ্বিমত জানিয়েছে মনির হাসান) সত্যান্বেষী এই বাক্য কি "ধর্ম ও নৈতিকতা" বিষয়ক ডিবেট এ কোন আলো ফেলতে পারছে?"
এই যে বলছেন- পুঁজিবাদী ব্যবস্থা টিকে থাকা অবস্থায় ধর্মের সম্পূর্ণ উচ্ছেদ সম্ভবই না-
এখানে উচ্ছেদের কথা ওঠে কেন? পুঁজিবাদ তো ধর্মকে উচ্ছেদই করতে চায়না। বরং সে তাকে আরো পাকাপোক্ত ভাবে গেঁড়ে বসাতে চায়, তবে একটু মডার্ণ ফর্মে। সুতরাং ধর্ম উচ্ছেদের চেয়ে তাকে যে রক্ষা করছে তাকে উচ্ছেদই শ্রেয় নয়?
ধর্ম উচ্ছেদ মানে হাজার হাজার বছরের লালিত লোকাচার আর গ্রথিত বিশ্বাসকে উচ্ছেদ, যেটা কখনোই পুরোপুরি সম্ভব নয়।
তার চেয়ে পুঁচিবাদ উচ্ছেদই কি সহজতর এবং সময়ের দাবী নয়? যার বয়স খুব বেশি হলে শ খানেক বছর! যার শেকড় একেবারে সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে গ্রথিত নয়?
১৭৩| ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ২:১৯
মনজুরুল হক বলেছেন: **পুঁজিবাদ।
১৭৪| ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ২:২৯
সত্যান্বেষী বলেছেন: আমার ১৫১ নং কমেন্টটি ব্লগের একটা বড় অংশের ডিবেটকে না ছুয়ে গেলেও পোস্টের মূল প্রশ্নের একটা সংক্ষিপ্ত উত্তর বহন করে। আর ব্লগের সবগুলো কমেন্টকে ধরা আমার উদ্দেশ্যও নয়।
মনির হাসানের প্রশ্নুগুলো ছিল - 'ধর্ম'গুলোর ভবিষ্যত কি? নাস্তিকরা ধর্মের কি পরিনতি বা অবস্থা দেখতে চায় ?
আমি ধর্মগুলোর ভবিষ্যত নিয়ে আমার মন্তব্য যে অর্থ ধরে তা হলো - ধর্ম টিকে থাকবে যদি এবং যতদিন পুজিবাদ টিকে থাকে। আর প্রশ্নের দ্বিতীয়ভাগে যদি ধরে নেই পোস্টদাতা নাস্তিকদের কাছ থেকে এমন একটি বক্তব্য আশা করছেন যে ধর্ম না থাকলে ভবিষ্যতে একটি উন্নত নৈতিকতাসম্পন্ন মানবসমাজ বের হয়ে আসবে, তাহলে আমার প্রতিক্রিয়া কি হবে তাও আমার কমেন্টে রয়েছে।
১৭৫| ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ২:৩৩
গোঁপা বলেছেন: ধন্যবাদ মনজু ভাই । ধর্মকে আপনি তাহলে প্রাতিষ্ঠানিক অবস্থান থেকে দেখেছেন । কিনতু এই যে আজকে প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মগুলোকে আমরা দেখছি , সে গুলো কিন্তু লোকায়ত সাথে সাথে সহজিয়া প্রাকটিসকে আত্নসাৎ করে বিকৃত এবং নিজেদের রাজনৈতিক হিস্যায় কাজে লাগাচ্ছে ।
এই যে বিকৃত এটা বুঝতে পারলে আমরা বের করতে পারবো যে , লোকায়ত চর্চাটা মূলত কেমন ?
আজকের পুজিবাদী ব্যাবস্থার মতো ?
ধর্মীয় আশরাফ আতরাফ বিভাজনের মতো ?
নাকি শ্রেণীহীন সমাজ ব্যবস্থার কিছুটা আদি পর্যায়ের মতো ?
আদি বৈষ্মবধর্মের থেকে জীবের জীবন রক্ষার্থে কিন্তু চৈতণ্যকে গৌড়িও বৈষ্মব ধর্ম সৃজন করতে হয়েছে । দেখেন বিন্দাবনের গোষ্সামীরা কিন্তু সেই ধর্মকেও আত্মসাৎ করেছে ।
সেই আত্নসাতের সাথে সাথে কিন্তু সামাজিক বিন্যাসটারও পরিবর্তন ঘটেছে ।
এখন গৌড়িও বৈষ্নব ধর্মের চর্চাটার কথা কিন্তু কেউ বলেনা ।
বলেনা জগাই - মাধাইদের কথা ।
যেখানে আমির ফকিররের কোন ভেদ ছিলনা । ছিলনা ব্রাক্ষন -চন্ডালের মধ্যে । আমাদের দুর্ভাগ্য সেইটা এই বঙে কনটিনিউ করেনি ।
করলে নিশ্চই আমাদের মার্কস-এর দোহাই দিয়ে কিছু বলতে হতো না ।
উপরের কথাগুলো এমনিতে বললাম ।
আপনার কমেন্টের সাথে সম্পূর্ণ একমত ।
শুভরাত্রি ।
১৭৬| ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ২:৪৩
সত্যান্বেষী বলেছেন: আমি মনে করি ধর্ম যেমন মানুষকে কোন সত্যিকারের নৈতিকতা শিখায় না, আবার এও মনে করি কেবল ধর্ম না থাকলেই মানুষ উন্নত নৈতিকতাসম্পন্ন হয়ে উঠবে না। সমাজে বিদ্যমান অনৈতিকতা, অনাচার, শোষন, বঞ্চনা কেবল ধর্মেরই সৃষ্টি না। বরং এসবকে টিকিয়ে রাখার জন্য এক শ্রেণীর মানুষের অনেকগুলো মাধ্যমের মধ্যে কেবল একটি মাধ্যম হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে ধর্ম। ধর্ম বিলুপ্ত হলে (পুজিবাদের বিনাশ ছাড়া যা অসম্ভব) তারা আরেকটি পীড়নযন্ত্র নির্মান করবে, এবং আরেকটি। আমাদের দেশসহ সারা বিশ্বের প্রধান প্রধান সমস্যাগুলোর (দারিদ্র, দুর্নীতি, পতিতাবৃত্তি, অনৈতিকতা, ছোট শক্তিকে পিষে মারা, বড় শক্তির পদলেহন সহ হাজারো) জন্য কি ধর্ম দায়ী নাকি মানুষে মানুষে সুযোগ এবং সম্পদের অসাম্য দায়ী?
১৭৭| ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ৩:১০
মনজুরুল হক বলেছেন:
অর্বুদ অর্বুদ বছরের চিন্তায় ভারাক্রান্ত মাথা নামিয়ে দেখি আমাদের শুকনো ভাতে লবনের যোগান নেই। আমাদের শুকনো ভাতে লবনের ব্যবস্থা হোক।
পোস্ট লেখককে ধন্যবাদ। অংশ নেওয়া সকলকে ধন্যবাদ।
১৭৮| ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ৩:৫৩
ফজল বলেছেন: মন্তব্য পোষ্ট হয়ে গেছে, স্যরি। একটু পরেই দিচ্ছি।
১৭৯| ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৯ সকাল ৯:৫৫
এমিল বলেছেন: @না.ধ- আপনার ১৫৬ নং কমেন্টে খানিকটা ভিন্নমত। আপনি বলছেন মেঘ কে উপাসনা করলে বৃষ্টি আর আল্লার উপাসনায় বেহেস্ত এটার ভিতর আপনি বিস্তর তফাত খুঁজে পান।
আমি ব্যাপারটা খানিক অন্যভাবে দেখি।
আগে সরাসরি মেঘকে উপাসনা করা হ'তো সেটাকেই আপাতঃদৃষ্টিতে সর্বশক্তিমান হিসেবে দেখে। কারণ তখন মানুষের ফসল উৎপাদনটাই ছিলো বেঁচে থাকা এবং জীবন ধারণ করবার জন্য একটা স্পেশাল ব্যাপার।
পরবর্তীতে যখন মানুষ দেখলো মেঘের উপর বাতাস বা অন্য প্রাকৃতিক শক্তি গুলোর প্রভাব তখন একে একে তারা অন্যান্য প্রকৃতিক শক্তিগুলোর উপাসনাও শুরু করলো। এক পর্যায়ে গিয়ে সকল প্রাকৃতিক শক্তির নিয়ন্ত্রক হিসেবে একক একটি শক্তি কল্পনা করে নিয়ে সেটার উপাসনা শুরু করলো।
এখন এই একক শক্তিটা যখন সকল প্রাকৃতিক শক্তির নিয়ন্ত্রক তখন তার নিশ্চয় মৃত্যুর মত রহস্যময় জিনিসটারও নিয়ন্ত্রক। আর মানুষের যেহেতু অমরত্বের আকাংখা সুপ্রাচীন সেহেতু তারা মৃত্যু পরবর্তী একটা জীবনের কথাও কল্পনা করে নিলো। যেখানে মানুষ অমর, জরা-শোক...বিহীন। মোটকথা পার্থিব জীবনে তাদের অপ্রাপ্তিগুলোকে তারা মৃত্যু পরবর্তী জীবনে পাবার আশায় রেখে দিয়েছিলো।
এখান থেকেই আমি কিভাবে মেঘের উপাসনা ও আল্লার উপাসনা কে কোরিলেট করি। মেঘের উপাসনা করলে আমার পার্থিব জীবনে (স্পেসিফিক ভাবে বললে আমার ফসল উৎপাদনে) সাহায্য হবে। এখন আমি যদি এমন কোনো শক্তির উপাসনা করি যে একাধারে প্রকৃতিকে নিয়ন্ত্রন করে সাথে আমার রহস্যময় মৃত্যুপরবর্তী জমজমাট জীবন কে নিয়ন্ত্রন করে? আমার পার্থিব চাহিদাও মিটলো, সাথে আমার অপার্থিব আকাংখারও একটা গতি হ'লো?
সো মেঘের উপাসনায় বৃষ্টি আর আল্লার উপাসনায় বেহেস্ত কামনা আমার কাছে একই মানে রাখে।
১৮০| ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ২:৫২
গোঁপা বলেছেন: @ ওস্তাদ , প্রশ্ন উত্থাপন করার জন্যে ধন্যবাদ ।
১৮১| ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:১১
ফজলে এলাহি বলেছেন: প্রশ্নগুলোর আলোকে পোষ্ট।
শিরোনাম: @ ধর্ম ও বিজ্ঞানের দৌড়
একটা দৌড় মেরে আসতে পারেন ব্লগারগণ:
Click This Link
(মনির ভাই ইতোমধ্যে আমিকে "তালগাছ" অফার করে এসেছেন )
১৮২| ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:১৪
নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন: মনজুরুল হক বলেছেন,
মাকর্স যদি ধর্মতত্ত্বকে ই প্রধান শত্রু ভাবতেন তাহলে ইশতেহার না লিখে "ধর্ম ও সমাজ" আগে লিখতেন।
===>>
ধর্মতত্ত্বকে প্রধান শত্রু এখানে একবারো বলিনি, একটু খেয়াল কইরেন। আর, আগে পরের যে বিষয়টা বললেন- সেটাও খেয়াল করেন- মার্কসকে আগে কিন্তু দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদ নিয়ে কাজ করতে হয়েছে- এই সত্যটা ভুলে যাইয়েন না। আপনি নিজেও মার্ক্সিস্ট ইন্টারনেট আর্কাইভে "Marx and Engels on Religion" দিয়ে সার্চ দিয়েন, এই বিষয়ে ওনারা কম কথা বলেন নি। ইহুদী প্রশ্ন প্রসঙ্গে - মার্কসের কমিউনিস্ট মেনিফেস্টো আর দাস কাপিটালের আগের বই। এমনকি Manifesto of the Communist Party, 1848 তেও মার্কস কমিউনিস্ট সোসাইটিতে কি কি করতে হবে বা করা হবে এসবের তালিকায় প্রাইভেট প্রোপার্টি উচ্ছেদের কথা সর্বপ্রথম বললেও- আরো অনেক কিছুর উচ্ছেদের কথাও বলেছেন- জাতি-রাষ্ট্র-পরিবারই কেবল নয় ধর্ম উচ্ছেদের কথাও তিনি ঘোষণা করেছেন। তিনি কেবল- শোষণের বিরুদ্ধে বলে, একটা শ্রেণীহীন সমাজের কথা বলে বসে থাকতে পারতেন। "ভাতে লবনের অধিকার" শুনতে খুব ভালো লাগলেও- এই ধরণের প্রোপাগান্ডিস্ট এপ্রোচ দিয়ে কেবল- কমিউনিজম হয় না, সেটা মার্কস-এঙ্গেলস খুব ভালোই জানতেন। আর, জানতেন জন্যই, সম্পূর্ণ শোষণহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করা যে ব্যক্তিগত সম্পত্তি-ধর্ম-বর্ণ-পরিবার-জাতি-রাষ্ট্রের সম্পূর্ণ উচ্ছেদ ছাড়া সম্ভব না- সেটাও খুব ভালো জানতেন। কমিউনিস্ট মেনিফেস্টোর ২য় অধ্যায়ে তাই পরিষ্কার জানিয়ে দিচ্ছেন:
"There are, besides, eternal truths, such as Freedom, Justice, etc., that are common to all states of society. But Communism abolishes eternal truths, it abolishes all religion, and all morality, instead of constituting them on a new basis; it therefore acts in contradiction to all past historical experience."
তিনি আমি শিক্ষাব্যবস্থার কথা আমার উপরের কমেন্টে বলেছি। সেটার গুরুত্বটা আমি মার্কস পড়েই উপলব্ধি করেছি:
"Do you charge us with wanting to stop the exploitation of children by their parents? To this crime we plead guilty.
But, you say, we destroy the most hallowed of relations, when we replace home education by social."
সামাজিক শিক্ষা দ্বারা পারিবারিক শিক্ষাকে সম্পূর্ণ প্রতিস্থাপন কতখানি গুরুত্বপূর্ণ সেটা আগে আলোচনা করেছি, যেসবরে আপনি এক লাইনে খারিজ করে দিয়েছেন।
আপনি বলেছেন: "ধর্ম উচ্ছেদ মানে হাজার হাজার বছরের লালিত লোকাচার আর গ্রথিত বিশ্বাসকে উচ্ছেদ, যেটা কখনোই পুরোপুরি সম্ভব নয়"
==>>
এবার আপনিই বলেন- এটা কতখানি মার্কসবাদ সম্মত হলো? মার্কস-এঙ্গেলসের অন্য কোন বই না- কমিউনিস্ট মেনিফেস্টো যেটা আজো গোটা দুনিয়ার শ্রমিক শ্রেণীর জন্য শোষণমুক্তির দলিল হিসাবে পরিগণিত- সেখানে কি বলা হয়েছে সেটাই দেখি:
"The selfish misconception that induces you to transform into eternal laws of nature and of reason, the social forms springing from your present mode of production and form of property – historical relations that rise and disappear in the progress of production – this misconception you share with every ruling class that has preceded you."
শোষণ ছিল-থাকবেই, ধর্ম ছিল থাকবেই, মানুষে মানুষে ভেদ ছিল- থাকবেই.... এবং এখান থেকে টানা সিদ্ধান্ত এসবকে কোনদিনই মানব সমাজ থেকে পুরোপুরি উচ্ছেদ করা সম্ভব না- এই ধরণের যুক্তিগুলোকেই মার্কস বুর্জোয়াদের চুড়ান্ত স্বার্থপর ভুল ধারণা হিসাবে উল্লেখ করে বলেছেন- আজকের কোন কিছুই শ্বাশত নয়- মোড অব প্রোডাকশন এর সাথে সাথে মানুষের অবস্থা- চিন্তা চেতনা, বিশ্বাস সবকিছু পরিবর্তনশীল। আর, এ করতে গিয়েই তিনি ঐতিহাসিক বস্তুবাদের ধারণা নিয়ে এসেছেন- একদম সেই আদিম সাম্যবাদী ব্যবস্থার দিকে বারে বারে দৃষ্টি ফেলার চেস্টা করেছেন।
মার্কস এঙ্গেলসরে তো বারেবারে দেখি- অতীতে বিচরণ করতে। ডায়ালেকটিকস অব নেচার বলেন কাপিটাল বলেন- সবই শুরু করেছেন- ইতিহাসের আলোচনা থেকে- তার মানে কি এই যে ওনারা বর্তমানে ভাতের অধিকারের কথা ভুলেছেন? নাকি, বর্তমানের ভাতের অধিকারকে আরো পাকাপোক্ত ভাবে স্টাবলিশ করার জন্যই এই ইতিহাস কথনকে জরুরি মনে করেছেন?
সত্যান্বেষী বলেছন: "ধর্ম বিলুপ্ত হলে (পুজিবাদের বিনাশ ছাড়া যা অসম্ভব) তারা আরেকটি পীড়নযন্ত্র নির্মান করবে, এবং আরেকটি। আমাদের দেশসহ সারা বিশ্বের প্রধান প্রধান সমস্যাগুলোর (.......) জন্য কি ধর্ম দায়ী নাকি মানুষে মানুষে সুযোগ এবং সম্পদের অসাম্য দায়ী?"
====>>>
এই এপ্রোচে আমি আপত্তি করি। প্রধান প্রধান সমস্যাগুলোর জন্য অসাম্য দায়ি এবং এই অসাম্যের গোড়ায় পানি ঢালার অন্যতম উপাদান ধর্ম। ফলে- ধর্ম বিলুপ্ত হলে কিছুই হবে না- এমন আলোচনার সাথে আমি দ্বিমত করি। পুঁজিবাদকে বিলুপ্ত করা ব্যতিরেকে ধর্মের বিলুপ্তি অসম্ভব এটা মনে করি এবং সেকারণে একটিভ এজেন্ডা একমাত্র "পুঁজিবাদ উচ্ছেদ"ই হতে পারে (অর্থাৎ ধর্ম উচ্ছেদ এইটি কোনভাবেই কোন রকম পলিটিকাল শ্লোগান বা দাবি বা আন্দোলন হতে পারে না), কিন্তু কমিউনিস্টরা যেরকম সমাজের স্বপ্ন দেখে সেখানে ধর্মেরও কোন স্থান থাকতে পারে না।
আমিও উপরে নৈতিকতা বিষয়ক ডিবেটের এক পর্যায়ে বলেছিলাম - বর্তমান সামাজিক পরিমন্ডল মানে এই মুনাফা কেন্দ্রিক সমাজ ব্যবস্থা জারি রেখে ধর্মকে তুলে দিলে নৈতিকতার ইতর বিশেষ হবে না। আপনারা বলছেন- ধর্ম বিলুপ্ত হলে নৈতিকতার উন্নয়ন ঘটবে না বা সমস্যাগুলো দূর হবে না, আমি বলছি সমস্যাগুলো দূরও যেমন হবে না- সমস্যা বাড়বেও না বা নৈতিকতার স্খলন ঘটবে না। অর্থাৎ আমি মনে করি- মানুষের ন্যায় নৈতিকতা তার সমস্ত ক্রাইসিস এগুলোর রুট হচ্ছে- আর্থ সমাজিক ব্যবস্থা, মার্কস যেটাকে বলেছেন মোড অব প্রোডাকশন। এবারে, আমারে বলেন- মোড অব প্রোডাকশন যদি সেইম থাকে- তবে সমস্যাগুলো আগের মত থাকলে- ধর্ম বিলুপ্ত হলে সমস্যাটা কি (যদিও জানি মোড অব প্রোডাকশন না পল্টালে ধর্মও বহাল তবিয়তে টিকে থাকবে, তর্কের খাতিরে ধরে নেয়া হয়েছিল- সব ঠিক রেখে ধর্ম বিলুপ্ত হলে কি হতে পারে সে জায়গা থেকে আলোচনার উদ্দেশ্যে)। সমস্ত ন্যায়-নৈতিকতা- সমস্যা সবকিছুর যদি ইতর বিশেষ না হয়- তবে ধর্মের উচ্ছেদে এটলিস্ট ধর্মের যেসব ব্যাকওয়ার্ডনেসগুলো ছিল সেগুলো কি দূর হবে না (যদিও জানি সেক্ষেত্রে অন্য আরেকটা কিছু তৈরি করে নেয়ার চেস্টা করা হবে)? এটা কি বলতে পারি না যে,ধর্মরে অন্তত আর আফিমের মত ব্যবহার করতে পারবে না, এটা মানুষে মানুষে ভেদ সৃষ্টির এলিমেন্ট হিসাবে ব্যবহৃত হবে না?
-------------------
মনজুরুল হক বলেছেন: এই যে বলছেন- পুঁজিবাদী ব্যবস্থা টিকে থাকা অবস্থায় ধর্মের সম্পূর্ণ উচ্ছেদ সম্ভবই না- এখানে উচ্ছেদের কথা ওঠে কেন? পুঁজিবাদ তো ধর্মকে উচ্ছেদই করতে চায়না।
==>>
পুঁজিবাদ ধর্মকে উচ্ছেদ করতে চায় না কারণ সে একে নিজের কাজে লাগাতে পারে। আর এটা বুঝি জন্য ধর্মকেও উচ্ছেদ করতে চাই। অবশ্যই আমার মূল টার্গেট পুঁজিবাদের উচ্ছেদই- কিন্তু পুঁজিবাদের উচ্ছেদ চাওয়া মানে কি আর কোন কিছুই চাওয়া চাবে না?
সত্যান্বেষীর ১৫১ কমেন্টের সাথে আমি সম্পূর্ণই একমত। পুঁজিবাদী ব্যবস্থা টিকায় রেখে ধর্মকে উচ্ছেদ করলে শোষণ - বঞ্চনা কিছু বন্ধ হবে না। কিন্তু এই কথাটাকেই আমি বলেছি সিদ্ধান্তমূলক এক কথায় কোন কিছু একটা ঘোষণা করে দেয়া। দেখতে হবে কোথায় এ কথাটি বলা হচ্ছে। এই পোস্ট একজন নাস্তিকের এবং উদ্দেশ্য আরো কিছু নাস্তিক। যাদের একটা বড় অংশই কেবল নাস্তিকই, যাদের কাছে ধর্মালয় উচ্ছেদই অনেক কিছু, বেশ্যালয় (মুনাফার বাজার) নিয়ে যাদের কোন মাথাব্যাথা নেই। সত্যান্বেষীর ঐ উক্তিটা কি এই রকম ফোরামে খুব একটা কাজে দিবে, মনির হাসান বা এমিল বা বৃত্তবন্দীদেরকে ঐ কথায় আপনি বুঝাতে পারবেন?
আমি ঠিক এই জায়গা থেকেই- আলোচনাটিকে অন্য জায়গা থেকে আলো ফেলতে চেয়েছি (যদিও মনে করিনা- এটাতেই সবার দৃষ্টিভঙ্গী পাল্টে যাবে)। "হুম, তোমরা ধর্মের উচ্ছেদ নিয়ে ভাবছো? কিন্তু জেনো- ধর্মের কেশাগ্রও স্পর্শ করতে পারবে না যতদিন পুঁজিবাদ আছে।" এটাও একটা কারণ- ধর্মের উচ্ছেদের কথাটা ওভাবে বলার।
সবাইকে ধন্যবাদ।
১৮৩| ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৩৭
নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন: আগে সরাসরি মেঘকে উপাসনা করা হ'তো সেটাকেই আপাতঃদৃষ্টিতে সর্বশক্তিমান হিসেবে দেখে। কারণ তখন মানুষের ফসল উৎপাদনটাই ছিলো বেঁচে থাকা এবং জীবন ধারণ করবার জন্য একটা স্পেশাল ব্যাপার।
======>>
ভাইরে, আপনি আজকের যুগের চোখ দিয়ে ঐ সময়টাকে দেখলে তো হবে না! আগের কমেন্টে অনেক কিছু বলেছি- সেগুলোর পুনরাবৃ্ত্তি না করে দুটো কথা বলার চেস্টা করছি:
প্রথমত ঐ সময়ে সর্বশক্তিমান এই ধারণা করার মত কোন অবস্থাই ওদের ছিল না। চিন্তাটা ছিল কেবলই এতটুকুই- মেঘ থেকে বৃষ্টি হয়। লক্ষ মেঘও না, শুধু বৃষ্টি, তারা বৃষ্টি চায়- অতিবৃষ্টি-ঝড় থেকে বাঁচতে চায়। সেখান থেকে মেঘের আরাধনা। আর কিছু না। মেঘকে কারণ হিসাবে পাওয়াটা ছিল আবিষ্কার, কিন্তু মেঘের কারণটাও অজানা ছিল। ফলে, সেরকম একটা উপায় সৃষ্টি। আমি এটাকে কেবল একটা ভুল (যেটি ছাড়া উপায় ছিল না) হিসাবেই দেখবো।
ভাই বিজ্ঞানের ইতিহাসে দেখুন আমরা অসংখ্য ভুল করেছি। তাতে তো বিজ্ঞান বসে থাকেনি। দুটো ফ্যাক্টর জানা থাকলে সেখান থেকে যে সিদ্ধান্ত টানা যাবে, দশটা ফ্যাক্টর জানা থাকলে তা থেকে টানা সিদ্ধান্ত নিশ্চয়ই তার চেয়ে অনেক বেশি পারফেক্ট হবে। ঐ আমলে জানা ফ্যাক্টরগুলোই ছিল হাতে গোনা- তারপরেও মানুষ হাতপা গুটে বসে থাকেনি- এগিয়ে গিয়েছে- সেরকম বিষয়ই আমি দেখতে পাই এর মধ্য দিয়ে।
১৮৪| ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:১৫
প্রশ্নোত্তর বলেছেন: খাইসে! এইখানে তো পুরা হাট বইসা গেছে। পোস্টটা দেয়ার দিনই একবার ঘুইরা গেছি, বেশি টাইম ছিল না হাতে। অখন আইলাম আবার - ব্যাপক মিস করছি। যেই কয়টা পোস্ট সামুতে আলোচনার জন্যই প্রিয়তে গেছে এইটা নিঃসন্দেহে সেইরোম একটা। (আমিও নিলাম, বারে বারে ফিরতে সুবিধা হইব তাইলে)
মন্তব্যের আলোচনায় পরে যামুনে (বেশি কিছু অবশ্য বাকি রাখে নাই ভাই-বেরাদরেরা) আগে মূল পোস্ট নিয়া দু'য়েকটা কথা কই:
মনির ভাই ভাবতে চাইছেন আগামীর পৃথিবী কিরাম হইব? আমিও ভাবলাম আসলেই তো কিরাম হইব? মানুষ কি সব ঈশ্বরের বিরুদ্ধে যাইবো গা? নাকি পক্ষে আইবো? এহহে, এই কতাডাতেই তো ঝামেলা আছে! পক্ষ-বিপক্ষ কৈলেই তো তার অস্তিত্ব মাইনা নেওন হয়। এহনো কারো বাপের সাধ্য হয় নাই সেইটা প্রমাণ করা। আইচ্ছা একটু ঘুরাইয়া কই। ভবিষ্যতের দুনিয়ার ভগবানের অবস্থান কি হইব সেইটা কৈতে গেলে অতীতে তেনার অবস্থা কিরাম আছিল সেইটা দেখা যাইতে পারে। খালি খোদাতালা না তার চাকর-নফর-বান্দী-দোস্ত বেবাকের অবস্থাতেই একবার চোখ বুলান যাইতে পারে।
ফলবতী বৃক্ষ আর শস্যদায়ী মাটির কাছে কৃতজ্ঞ হইয়া মানুষ ধরল ফার্টাইলির পূজা - রূপ নিল প্রকৃতির বন্দনায় - প্রকৃতিই মানুষের প্রথম ঈশ্বর। সেই ঈশ্বর দিনে দিনে আকার পাইলো, পাল্টাইলো, সংখ্যায় বাড়লো। এগো মাঝে কেউ দয়াল কেউ রাগে ক্ষাপ্পা, কেউ সুন্দর, কেউ বান্দর, কেউ দেয়, কেউ নেয়। মানুষের মাথা খারাপের মত অবস্থা। এক প্রকৃতি ভাঙতে ভাঙতে লক্ষ্য ঈশ্বরে রূপ নিল। প্রকৃতির কোন অংশই বাদ গেল না ঈশ্বর হওনের থিকা।
মাইষের হাতে পয়দা ঈশ্বর ধীরে ধীরে এলিটে রুপান্তরিত হইল। (এহেনে কেউ দুষ্ট মার্ক্সের গন্ধ খুইজেন না পিলিজ)। ঈশ্বরের সংখ্যা কমতে থাকলো। কমতে কমতে একে আইসা ঠেকলো। নানান তত্ত্ব বারাইলো। সেই ঈশ্বর উত্তর-দক্ষিন-পূর্ব-পশ্চিম ছাইড়া উপরের থে পুস্তক ফিক্কা মারতে থাকলো। একটাই ঈশ্বর তারে নিয়া সকল পুস্তকওলারা কামড়াকামড়ি শুরু কৈরা দিল - এইটা আমগো ঈশ্বর! সর ব্যাটা এইটা আমাগো ঈশ্বর। ইশশিরে জামাইল্যা তুই কোহান থিকা আইলি, এইটা তো আংগোর ঈশ্বর। এইরূপে চলিতে লাগিলো এই সবুজ গ্রহে ঈশ্বরের বসবাস।
প্রকৃতির উপাদান-বহুঈশ্বর-একেশ্বর - এই চরম জার্নিতে ঈশ্বর ব্যাটারও অভিজ্ঞতা কম হয় নাই; মাইনষের হাতে পইড়া বহু কষ্টে মান-জান বাচাইছে। ভাগ্যিস ডারউইনের বিবর্তনবাদের তত্ত্ব আছিল - এখন কওন যায় ঈশ্বর বিবর্তইত হইসে। তো এই বিবর্তনের সময় ঈশ্বরের জীন গুলি নানামুখি মিটেশনের ভিতর দিয়া গেছে ফলে চামে চামে নানান রকমের প্রতিকূলতা সহ্য করার ক্ষমতা অর্জন করসে। শুধু তা-ই না, মানুষের রাজ-ক্ষমতাও দখল কইরা ফালাইছে (এহেনে মানুষের কোন দোষ নাই)। তার পর ইচ্ছামতো সাইজ করছে মানুষের বাচ্চা মানুষ গুলারে। এই সাইজের মাত্রা ছাড়াইয়া গেল যখন তখনই মানুষ কেমতে জানি ইন্জিন বানাইতে শিখা ফালাইলো। হঠাৎ কৈরা মানুষের মনে পড়ল আগুন আবিষ্কারের ইতিহাস, সেই আগুনের বাষ্প দিয়াই বানাইলো তারা ইন্জিন। তারপর খালি ছুট আর ছুট - কয়লার রেলে চইড়া দাবড়াইয়া বেড়াইতে থাকলো দেশ থিকা মহাদেশে।
নতুন কৈরা চাকা আবিষ্কার করার মত মানুষ আবার স্মরণ করলো ঈশ্বরের ঈশ্বর আসলে সে নিজেই! তব্ধা খায়া গেল ঈশ্বর বাবাজি! শালারা করছোস কি! তগোরে কি এমনে এমনে মানুষের বাচ্চা মানুষ বোইলা গাইল পাড়ি! নানামূখী কুসংস্কার আবার কমতে শুরু করলো। মানুষ র্যাশলাম হইল, ঈশ্বর কয় তোর রেশনালি আমি ছুটাইতাছি, পরকালের বেবাক রেশন বন কৈরা দিমু! অতঃপর পরকালের রেশনের সিশটমে ফালায়া কিছু মানুষের বাচ্চা মানুষরে হাতে রাখতে সমর্থ হইল। তারাই এখন ঈশ্বরের ধারক বাহক! বাকীরা জানে কে কার ঈশ্বর, তাই মুখ টিপা হাসে!
আমার গাল-গল্প শুইনা ভাইজানেরা আবার রাগ কৈরেন না। ইশ্বরের এই ইতিহাসের গল্পখান (যদিও খন্ডিত) কইলাম এই কারণে যাতে আমরা বুঝতে পারি যেইরাম ঈশ্বর আমরা দেখতাসি সেই বেচারা চিরদিন সেইরাম আছিল না, বদলাইছে এবং বদলাইবো। আইচ্ছা কারো কি এইরাম কখনো হইসে যে রাইতে হঠাৎ ঘুম ভাইংগা গেল কেন ভাংলো বুঝতাসেন না? পরে বুঝলেন কারেন্ট গেছেগা তাই গরমে ভাংছে, কিংবা ফ্যান ঘুরতাসে ঠিকই কিন্তু ইন্দুর দৌড় দিতে গিয়া টেবিলের থিকা কলমটা ফালাইয়া দিছে - সেই শব্দে ঘুম ভাঙছে। কেউ কি লক্ষ্য করছেন যতক্ষন এই "কেন ঘুম ভাঙলো?" প্রশ্নটার উত্তর না পাওন যায় ততক্ষন আর ঘুম আসে না? আসলেই তাই। মানুষ যত দিন গেছে প্রকৃতিতে তার না জানা প্রশ্নগুলার উত্তর পাইসে, ততই ঈশ্বরের ক্ষমতা কমছে। এই হারে চলতে থাকলে (দেখা যাইতাসে চলতাসে) মনির ভাই আপনেরে আমি কৈবার পারি ধর্ম একদিন থাকবো না।
ডিসক্লেইমার হিসাবে কই: সত্যাণ্বেষী আর মন্জুরুল হক যেই ক্যারফাটা লাগায়া দিসে সেইটা কনসিডার করি নাই এই গল্পে।
২৬ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:১৬
মনির হাসান বলেছেন:
প্রশ্ন'দা ... কি কমু না কমু ভয় লাগতেছে ।
চাইরদিক থেইকা যেমনে কোপাকোপি চলতেছে ... কমেন্ট করতে ভয় লাগে ।
ফাট্টাফাট্টি একটা হাইপো থিসিস দাড় করায় উপসংহার টানছেন "ধর্ম একদিন থাকবে না ।"
ব্যাক্তি আমার দ্বিমত থাকলেও আপনাকে উত্তম'তম ঝাজা ।
সম্পূরক বাকি প্রশ্ন গুলার কি হইবো ...
- ধর্ম না থাকলে কি সেখানে কোন শুন্যতার সৃষ্টি হবে ?
- নাকি ধর্ম বিলুপ্তির পথে সেই শুন্যস্থানও বিলুপ্তির পথ ধরবে ।
- আর যদি রাতারাতি ঘটনা'টা ঘটে ... তো শুন্যস্থান তৈরি হইতে বাধ্য .. সেটা পূরণ হবে কিভাবে ?
১৮৫| ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:২২
শয়তান বলেছেন: এই পোষ্টের সবচায়া ফাকিবাজি কমেনট করলো এইমাত্র জনাব প্রশ্নোত্তর
১৮৬| ২৫ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:২৭
আরিফুর রহমান বলেছেন: খিক খিক...
অনেগ্দিন পর একটা জোশ 'প্রশ্নোত্তরীয়' কমেন উপভোগ করলাম...
কমেনটে পেলাসের আড়ত...
২৬ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:৩০
মনির হাসান বলেছেন: আপনেও কিন্তু ব্যাপক ফাকিবাজি কমেন্ট কইরাগেছেন ... আপনার কাছ থেকে আরো কিছু শোনার আগ্রহ ছিল ...
১৮৭| ২৬ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:১১
প্রশ্নোত্তর বলেছেন:
জনাব মহামান্য শয়তান বলেছেন: এই পোষ্টের সবচায়া ফাকিবাজি কমেনট করলো এইমাত্র জনাব প্রশ্নোত্তর
হা হা হা হো হো হো...
১৮৮| ২৬ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:১২
চানমেয়া বলেছেন: ব্যাপক পুস্ট।
রীতমতো হাসরের ময়দান বস্ছে, এই দফায় আল্লাবেটাই ইয়া নফসি ইয়া নফসি করতেসে!!
...
গ্যালারিতে বস্লাম।
দেখি আল্লবেটার জইন্য আপ্নেরা কি বরাদ্দ করিলেন!
২৬ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:২২
মনির হাসান বলেছেন: উরে খাইছে ... এইটা কেডায় !!!
অলরাউন্ডার সাহেব কি মাঠ থুইয়া গ্যালারীতে বইতে চাইতেছে ???
ওয়েল্কাম ওস্তাদ ...
পাড়ার পোলাপানের খেলা দেইখা জাতিয় টিমের প্লেয়ার'গো মত ভাব লইলেন মনয় ...
তাড়াতাড়ি হাত লাগান ...
১৮৯| ২৬ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:২৩
শয়তান বলেছেন:
এই পোষ্টের টপ টু বটম অদৃশ্য ঈশ্বর / ঈশ্বরদের কে অচ্ছুৎ রাখা হৈসে ।বরং আমরা সবাই যেটা চাপানো আছে সমাজে সেই ধর্মের আয়ু লৈয়া বিজি ।
গ্যালারীর বৈসা লাভ হৈবো না তেমন @ চানমেয়া
১৯০| ২৬ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:২৯
প্রশ্নোত্তর বলেছেন: ঈশ্বরের সাবেক পেয়ারাতম বান্দা (বান্দী হইলে একটা দীর্ঘ ই কার পরতে হইবেক, [অপরাধ নিবেন না]) মহামান্য শয়তানরে কাছে একখান কুশ্চেন আছিল! কন দেখি আসল শয়তান আস্তিক না নাস্তিক?
১৯১| ২৬ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:৩৪
এমিল বলেছেন: ঘুমাইতে যামু ভাবতেছিলাম। মহামান্যের কাছে প্রশ্নের প্রশ্ন দেইখা লগইন করলাম।
ওরিজিনাল শয়তান বেটায় আসলে ঘোরতর আস্তিক আছিলো, অহনও আছে। বেডায় তো সব কাম (!!) কাজ করতেসেই আল্লা সাহেবের হুকুমে
কেডা কেডা দ্বি/ত্রি/চতুর্মত আছেন যায়গায় বইয়া হাত তুইলেন
ঘুমাইতে যাই এইবারা।
১৯২| ২৬ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:৩৭
প্রশ্নোত্তর বলেছেন: এমিল সাবের লিগা এক্সক্লুসিভ কোশ্চেন (ঘুমের ডিস্টাব হইলে পয়সা ফেরৎ): যার হুকুমে শায়তান কাজ-কাম করতাসে তিনি কি আস্তেক না নাস্তেক?
১৯৩| ২৬ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:৪০
এমিল বলেছেন: খেক খেক খেক...
এত্ত জটিল একটা কুচ্চেন দিলেন মিয়া???
এইবারা আসলেই ঘুমায়া স্বপ্ন দেইখা কুচ্চেনের এ্যন্ছার দিতৈবো
১৯৪| ২৬ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:৪১
শয়তান বলেছেন: আমি তিন নং প্রশ্নটা জানি
১৯৫| ২৬ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:৪১
চানমেয়া বলেছেন: শয়তান,
প্রশ্নত্তোরের প্রশ্নডা আল্লারে লয়া
১৯৬| ২৬ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:৪৫
প্রশ্নোত্তর বলেছেন:
মহামান্য জনাব শয়তান বলেছেন: আমি তিন নং প্রশ্নটা জানি
হা হা হা...হো হো হো
আপনে দেখি আজকে চরম ফর্মে? তিনি কি অন্যদিকে ব্যাস্ত নাকি?
১৯৭| ২৬ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:৪৭
প্রচ্ছদ বলেছেন: গ্যালরিত আছি।
১৯৮| ২৬ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:৫১
শয়তান বলেছেন: আল্লারে পয়লা টাইনা নামাইছে চান মেয়া । চান শব্দটা খিয়াল কৈরা
১৯৯| ২৬ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:৫৯
অরণ্যচারী বলেছেন: প্রাণের সৃষ্টি রহস্য উন্মোচন না হওয়া পর্যন্ত কোন না কোন ফরম্যাটে ধর্ম থাকবে।
২০০| ২৬ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১:০৩
চানমেয়া বলেছেন:
আদি প্রশ্নগুলোর ইত্যাদি ইত্যাদির সাথে আরেকটা প্রশ্ন যুক্ত করি:
ঈশ্বর বা সৃষ্টিকর্তার উৎপত্তি যদি প্রকৃতিকে ব্যাখ্যা করতে অজ্ঞতা থেকেই হয়, আর ডায়লেকটিক্যালি যদি মানুষের পক্ষে চূড়ান্ত জ্ঞানার্জন অসম্ভব হয়,
তবে জ্ঞানের নির্দিষ্ট কোন প্রসারে ইশ্বর অর্থ হারাবেন কীনা!
২৬ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১:২২
মনির হাসান বলেছেন: আগে ঈশ্বর দুইমাইল দুরের পাহারে থাকত ... পাহারে গিয়া যখন দেখা গেলো পাহার ফাকা ... তখন কিছু অংশ পাব্লিক মিট মিট কইরা হাসব "আগেই কইছিলাম ... কথা'তো হুনছ নাই ... এলা দ্যাখ" ... কিছু অংশ সাথে সাথে পৈতা/টুপি ছিড়া ফেলবো ... কিছু অংশ কষ্টে কানবো ... আর বরাবরের জাকির সাহেবরা নতুন ফতোয়া দিব ঈশ্বর আসলে দুইশ মাইল দুরের পাহারে আছে ... আগের হিসাবে ভুল ছিল ... কান্দইন্যা অংশ লগে লগে দাত ক্যালায়া হাসা শুরু করবো ...
২০১| ২৬ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১:০৩
প্রশ্নোত্তর বলেছেন: প্রাণের সৃষ্টি রহস্য?? নাকি বলতে চাইছেন ইউনিভার্সের সৃষ্টিরহস্য - মানে সর্বআদির রহস্যের কথা?
@অরণ্যচারী ব
২০২| ২৬ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১:০৬
শয়তান বলেছেন: তিনি কি অন্যদিকে ব্যাস্ত নাকি?
আমি এখনো জেনারেল ।গোয়েন্দা তৎপরতার উত্তর দিয়া পরে হুদাই ব্যান খাইতে চাই না
২০৩| ২৬ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৩৬
সাহোশি৬ বলেছেন: আমি প্রায় দেড় বছর ধরে সামুতে ব্লগিং করি, এত চমৎকার আলোচনা অন্য কোন পোস্টে আগে দেখি নি (যদি কিছু মিস করে থাকি তাহলে দয়া করে লিন্ক দেন)। এত সুন্দর এবং প্রাণোজ্বল আলোচনা যে সামুতে হতে পারে তা জানা ছিল না।
২০৪| ২৬ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৩৬
মনজুরুল হক বলেছেন:
না.ধ. যে প্রতিউত্তর লিখেছেন তার জবাব দিতে আরো একটি নতুন পোস্ট দেয়ার দাবী করে। সংক্ষেপে বলা যায় তবে তাতেও সমস্যা থেকে যাবে। যাহোক এক একটি পয়েন্ট ধরে এগুনোর চেষ্টা করা যাক।
১।"ভাতে লবনের অধিকার" শুনতে খুব ভালো লাগলেও- এই ধরণের প্রোপাগান্ডিস্ট এপ্রোচ দিয়ে কেবল- কমিউনিজম হয় না, সেটা মার্কস-এঙ্গেলস খুব ভালোই জানতেন। আর, জানতেন জন্যই, সম্পূর্ণ শোষণহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করা যে ব্যক্তিগত সম্পত্তি-ধর্ম-বর্ণ-পরিবার-জাতি-রাষ্ট্রের সম্পূর্ণ উচ্ছেদ ছাড়া সম্ভব না- সেটাও খুব ভালো জানতেন।
শুনতে খারাপ লাগলেও বলতে হচ্ছে মাকর্স-এঙ্গেলস কমিউনিজম প্রতিষ্ঠা করেননি, তাই কোনটা "প্রপাগান্ডিস্ট" আর কোনটা তা নয় সেই পার্থক্য নিয়ে ভাবিত ছিলেন না। তারা বস্তুবাদী দর্শনের ব্যবচ্ছেদ করেছেন। দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদকে সূত্রবদ্ধ করেছেন। ভাব বাদের অনুসারীদের বিরোধীতা করেছেন, কিন্তু প্রলেতারিয়েতের অংশগ্রহণে রাষ্ট্র দখলের যুদ্ধ করেননি। সেটা করেছেন লেনিন। তাই লেনিনকে লিখতে হয়েছিল "হোয়াট ইজ টু বি ডান"। এটা তো মাকর্সও লিখতে পারতেন! লেখেননি, কারণ এই শর্ত তার আমলে তৈরি হয়নি। লেনিনকে এক ধর্মযাজক প্রশ্ন করেছিল- তোমার সমাজতন্ত্র বা কমিউনিজম কায়েমের পর আমাদের অবস্থান কি হবে? উত্তরে লেনিন বলেছিলেন- সমাজতন্ত্র মানে পূর্ণ গণতন্ত্র। আজ যেমন আপনি একচেটিয়া ভাবে ধর্মহীন নাস্তিক বলে বলশেভিকদের সমালোচনা করছেন, তখন আপনার পাশে দাঁড়িয়ে একজন বলশেভিকও আপনার (ধর্মের) সমালোচনা করতে পারবে। তিনি তো এটাও বলতে পারতেন--"ধর্মকে কবর দেওয়া হবে"!!
২।"প্রপাগান্ডিস্ট" শব্দটা ব্যবহার করে আপনি মনুষ্য আকাঙ্খাকেই অস্বীকার করলেন। আমরা (এবং শত সহস্র পূর্ববর্তী মানুষেরা) এই যে সমাজ বদল, কমিউনিজম কায়েম, ধর্ম এবং তার শোষণ থেকে মুক্তি, একটা সাম্যবাদী সমাজ, শোষণহীন সমাজের কথা বলি তার গোঁড়ায় কি? কোন তাড়না বা বোধ থেকে এই বিশাল কর্মযজ্ঞের প্রেরণা আসে?
বই পড়ে? জ্ঞানার্জন করে? দলের সংস্পর্শে? নাকি সংবেদশীল দৃষ্টি আর শোষণের কদর্য চেহারা দেখে এক শ্রেণীর বঞ্চিত মানুষের প্রতি প্রাথমিক দরদ বা সহমর্মী অনুভূতি থেকে আসে? কারো যদি ভাতের-নুনের অভাব না-ই থাকে অথবা সেই না থাকাটা কাউকে স্পর্শ না-ই করে তাহলে কেন মানুষ ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোর মত মহাযজ্ঞে ঝাপ দেয় এবং মৃত্যুকে তুচ্ছ জ্ঞান করে!
একাডেমিশিয়ানদের এই এক সমস্যা! যত পড়ে তত বিমূর্ত হয়। ততই নিজের ভেতরে গুটিয়ে যায়। এ জন্যই সি এম বলেছিলেন-"বুর্জোয়া বিদ্যায়তনে যতই পড়বে ততই মূর্খ হবে"।
৩।"শোষণ ছিল-থাকবেই, ধর্ম ছিল থাকবেই, মানুষে মানুষে ভেদ ছিল- থাকবেই.... এবং এখান থেকে টানা সিদ্ধান্ত এসবকে কোনদিনই মানব সমাজ থেকে পুরোপুরি উচ্ছেদ করা সম্ভব না- এই ধরণের যুক্তিগুলোকেই মার্কস বুর্জোয়াদের চুড়ান্ত স্বার্থপর ভুল ধারণা হিসাবে উল্লেখ করে বলেছেন- আজকের কোন কিছুই শ্বাশত নয়- মোড অব প্রোডাকশন এর সাথে সাথে মানুষের অবস্থা- চিন্তা চেতনা, বিশ্বাস সবকিছু পরিবর্তনশীল। আর, এ করতে গিয়েই তিনি ঐতিহাসিক বস্তুবাদের ধারণা নিয়ে এসেছেন- একদম সেই আদিম সাম্যবাদী ব্যবস্থার দিকে বারে বারে দৃষ্টি ফেলার চেস্টা করেছেন।
মার্কস এঙ্গেলসরে তো বারেবারে দেখি- অতীতে বিচরণ করতে। ডায়ালেকটিকস অব নেচার বলেন কাপিটাল বলেন- সবই শুরু করেছেন- ইতিহাসের আলোচনা থেকে- তার মানে কি এই যে ওনারা বর্তমানে ভাতের অধিকারের কথা ভুলেছেন? নাকি, বর্তমানের ভাতের অধিকারকে আরো পাকাপোক্ত ভাবে স্টাবলিশ করার জন্যই এই ইতিহাস কথনকে জরুরি মনে করেছেন?"
এর পর মাকর্স কি বলেছিলেন? কি ভাবে ধর্ম উচ্ছেদ হবে সেই ধারণা কি তিনি দিয়েছিলেন? নাকি বলেছিলেন "রাষ্ট্র শুকিয়ে মরবে, সাথে সাথে তার যাবতীয় লালিত বিশ্বাসও"। রাষ্ট্রই যেখানে শুকিয়ে মরে যাচ্ছে সেখানে সেই রাষ্ট্রের অন্যতম উপাদান ধর্মও যে শুকিয়ে মরবে এটা তো অবধারিত। কিন্তু তাই বলে কি তিনি "ধর্ম আর কোন ফর্মেই ফিরতে পারবে না" এমনটি বলেছিলেন? না। কারণ মাকর্স-এঙ্গেল যুগে সংশোধনবাদের জন্ম হয়নি। এমন কি লেনিনের আমলেও না। যে কারণে তাদের রচনায় সংশোধনবাদ শব্দটি নেই। এটি এসেছে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির ক্ষমতাদখলেরও পরে। এটাকে প্রথম সূত্রবদ্ধ করেছিলেন মাও। তাই তিনি "সাংস্কৃতিক বিপ্লব" বা কালচারাল রেভ্যুলুশনের ডাক দিয়েছিলেন। মাও বুঝেছিলেন পুঁজিবাদ বা বুর্জোয়া আবারো ফিরে আসতে পারে। সেই বিপদকে সামলনোর জন্যই পথ বাতলেছিলেন....লাগাতার কালচারাল রেভ্যুলুশন।
যখন পরাজিত পুঁজিবাদ ফিরে আসছে, তখন হিডেন ধর্ম কেন ফিরে আসতে পারবে না? যাকে কমিউনিজম সম্পূর্ণ উচ্ছেদ করেনি বা করতে পারেনি?
৪। "পুঁজিবাদ ধর্মকে উচ্ছেদ করতে চায় না কারণ সে একে নিজের কাজে লাগাতে পারে। আর এটা বুঝি জন্য ধর্মকেও উচ্ছেদ করতে চাই। অবশ্যই আমার মূল টার্গেট পুঁজিবাদের উচ্ছেদই- কিন্তু পুঁজিবাদের উচ্ছেদ চাওয়া মানে কি আর কোন কিছুই চাওয়া চাবে না?"
না আরো অনেক কিছুই চাওয়া যাবে।ধর্ম উচ্ছেদ চাওয়া অবশ্যই ন্যায় সঙ্গত, তবে বুঝতে হবে কোন চাওয়াটা গণমানুষের একেবারে অস্তিত্বের সাথে সম্পর্কিত, আর কোন চাওয়াটা ডিবেটিক একাডেমিশিয়ানদের বৈঠকখানা আলোকিত করবার জন্য।
অল দ্য বেস্ট।
২০৫| ২৬ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৫৬
গোঁপা বলেছেন: @ মনজুরুল হক ভাই , আমার মনে হচ্ছে আপনার শেষ মন্তব্যটিই আলোচনার প্রাথমিক সূত্রপাত ঘটাল ।
দয়াকরে এই কনটেন্ট এর উপর একটা নতুন লিখা যদি দিতে ।
আর হ্যাঁ সাথে সাখে কর্মপন্থাও । ধন্যবাদ ।
২০৬| ২৬ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ২:৪৩
সত্যান্বেষী বলেছেন: 'ধর্ম উচ্ছেদ চাওয়া অবশ্যই ন্যায় সঙ্গত, তবে বুঝতে হবে কোন চাওয়াটা গণমানুষের একেবারে অস্তিত্বের সাথে সম্পর্কিত, আর কোন চাওয়াটা ডিবেটিক একাডেমিশিয়ানদের বৈঠকখানা আলোকিত করবার জন্য।'
মনজুরুল হকের এই কমেন্টে আমার প্রলেতারিয়েত সত্ত্বার প্রবল জাঝা। দিনের পর দিন ডিবেটিক একাডেমিশিয়ানদের বৈঠকখানা এগুতে থাকবে হাস্য লাস্য আর ঈশ্বর মারা 'ডিডাকটিভ রিজনিংয়ে' বাঙময়। আর এদিকে বস্তির পর বস্তি পুড়ে ছাই হবে, মানুষপোকারা নি:শেষ হতে থাকবে বড়লোকের নিচের ডেরায়, শিশু হারাতে থাকবে উজ্জ্বলতম শৈশব। কিন্তু ডিবেটিক একাডেমিশিয়ানদের বৈঠকখানা এগুতে থাকবে, থাকবেই।
২০৭| ২৬ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ২:৫৬
শয়তান বলেছেন: আমার গায়ে কোন ধরনেরই লেবেল নেই । আমি আম জনতা
২০৮| ২৬ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ৩:৩৮
মনির হাসান বলেছেন: না.ধ. ভাই ... আপনার ১৪৬নং কমেন্টের জন্য আমি অনেক অনেক কাল কৃতজ্ঞ থাকবো ... অনেক জটিল ইতিহাস খুব সহজ সুন্দর করে বুঝিয়ে দিয়েছেন ।
আপনার এই কমেন্ট'টার সাথে আমি শতভাগ একমত ... কোন দন্দই নেই ... বরং আমি যেই ইতিহাস'টা না জেনে (বা আধো জেনে) ফাপর মারতে ছিলাম আপনি সেটাকে স্পেসিফিকলি জানিয়েছেন ।
বস্ ... তর্কালোচনার স্বার্থে একটা নুন্যতম মতানৈক্যের জায়গা থাকা জরুরী । নইলে পরস্পরের বক্তব্য একটা আরেকটাকে ক্রস করবে এবং আলোচনাটা সুতা ধরে আগাবেনা । আর এই নুন্যমত মতানৈক্যের জায়গাটা হাপিত্যেশ করেই যাচ্ছি ।
আপনার ১৪৬ নং কমেন্টের কোর বক্তব্য যদি হয়ঃ
- মানুষ হাওয়া থেকে কিছু কল্পনা করতে পারে না, কোনকিছুর যোগসূত্র ছাড়া কোনদিনই মানুষ কিছু কল্পনা করেনি।
- প্রায় সমস্ত চিন্তাই বলতে গেলে যৌথ, কোন কোন মাথা থেকে আগে পরে কোন চিন্তা এসেছে, যেটি যৌথ চিন্তা হয়ে দাঁড়ায়নি সেটা টিকেনি।
... তাহলে এই সহজ সীদ্ধান্তে আসা যায় যেঃ"মানুষ্য জ্ঞান, উপলব্ধি, সামাজিকতা, আচার-আচরণ, অনুষ্ঠানাদি ... এমন'কি পুজা'অর্চানাদি একটা বিবর্তনের পথ ধরে আগায় । আরোপিত বস্তু সেখানে নিজে থেকেই একটা সময় হারিয়ে যায়"। এখানে আমার বা এমিলের বা আর কারো কোন বিরোধ থাকতে পারে না বা ছিলও না কখনও।
মতানৈক্যের একটা নুন্যতম পয়েন্টে তাহলে স্থির হলাম আমরা ।
এবার সামনে আগাই ।
উপরের সীদ্ধান্ত থেকে তাহলে অবশ্যই এই অনুসীদ্ধান্ত'গুলোতে আসা যায়ঃ
১. ঈশ্বর রুপেরও বৈবর্তনিক ধারা আছে।
২. কোন এক বা একাধিক কিম্বা কোন নির্দিষ্ঠ উদ্দেশ্য'বাজ গোষ্ঠি যদি ঈশ্বর ধারনা বা ধর্ম ধারনা' বা ধর্মা'চার কে ইন্ট্রোডিউস (আরোপিত ব্যাপার) করাতো তাহলে তা দুইদিনেই প্রত্যাক্ষাত হতো।
প্রসঙ্গঃক্রমে একটি সহজ উদাহরণ দেয়া যায়ঃ পেপসোডেন্ট কোম্পানী বাজারে টুথপেস্ট ছাড়ার বহু'কাল আগে থেকেই মানুষ দাত মাজতো ... সেটা হয়তো বালু, কয়লা, নিমের মাজন, মেসওয়াক দিয়েই মাজতো ... কিন্তু দাত মাজা ব্যাপার'টা ছিল ...
আমার কাছে দাত মাজা'টাই ধর্তব্য ... কোন ব্র্যান্ডেড টুথপেস্ট দিয়েই দাত মাজতে হবে তাহলে সেটাকে দাত মাজা বলবো আর কয়লা, নিমের মাজন দিয়ে দাত মাজলে সেটাকে দাত মাজা বলবো না ... এরকম না । উপরন্তু ... ব্র্যান্ডের মডেল ডাক্তার হয়তো কয়লা, নিমের মাজনের ভাইটামিন ফ্যাক্টর নিয়ে অসন্তুষ্ট থাকতে পারে ... তাতে আমার সীদ্ধান্ত পাল্টাবেনা ।
প্রাতিষ্ঠানিক উদ্দেশ্যমূলক ধর্ম মোল্লা-পুরোহিত'দের ব্যাবহার্য্য শোষন হাতিয়ার ব্যাপ্তি লাভ করার আগে কি তবে সেই ধর্মটিও একটা বৈবর্তনিক পথ অতিক্রম করে পুরোহিত'দের হাতে উঠে আসেনি ?
অবশ্যই সেভাবে এসেছে ।
তাহলে পেপসোডেন্ট ব্যান্ডের টুথপেস্ট মার্কেটে আসার আগের দাত মাজা'কে দাত মাজা' স্বীকৃতি দিতে আপনার আপত্তি কোথায় ?
আপত্তি'টা উঠে এসেছে আপনার ১৫৬নং কমেন্টে ... মেঘ'পুজা লৌকিকতার পুজা আর ... ভৌতিক ঈশ্বরে পুজা'টা অলৌকিক । একমত হতে বাধ্য হলাম । মেঘপুজায় সত্যাম্বেষন কিছু'টা হলেও ছিল ... ভৌতিক ঈশ্বর শুধু অন্ধই করেছে ।
কিন্তু বস্ ... তাহলেতো দুটি সম্ভাবনা উকি দিচ্ছেঃ
১. বিবর্তন যেহেতু না হলে নয় এবং আরোপিত কিছু যেহেতু টেকেনা ... সেহেতু যে লোক বা লোকসমগ্র বা লোক'গোষ্ঠি পুজায় অভ্যস্ত তারা কি সেই বহু তর্কিত ঈশ্বর ধারনাই বহন করেছিল'না যার ফলে পরবর্তির ভৌতিক অদেখা ঈশ্বর'কে পুরোহিতি'দের পরিচয় করিয়ে দিতে বেগ পেতে হয়নি ।
২. এমনটাও'তো হতে পারে ... মেঘ, মেঘের পরে আকাশ, আকাশের পরে সূর্য্য, বাতাস, পানি নদী চাঁদ ... একে একে বা সমষ্টিগতভাবে সবই মানুষের কাছে পুজ্য হতে থাকে ... এবং সময়ের পরিক্রমায় মানুষ সেগুলোকে সমষ্টি'গত ভাবেই পুজা দিতে আরম্ভ করে (কোন প্ররোচনা ছাড়াই) । তাতে একটা লাভ হতো বাকি পরে থাকা শক্তি সমূহ যেগুলো মানুষ জানেনা কিন্তু পুজার যোগ্য সেগুলো'ও অন্তর্ভুক্ত হতো সেই সাথে বস্তু লাভ যে পরিশ্রম, খরচ, সময় বাচতো ... আর এর পরবর্তি ধাপেই তারা সমষ্ঠিক একটা একক অস্তিত্বে আগ্রহী হয়ে ওঠে ... এবং ধারাটি চর্চিত হতে থাকে (প্রশ্ন'দার ১৮৪ নং কমেন্ট'টি সেরকমই ইঙ্গিত দিচ্ছে মনে হয়)
দুটি সম্ভাবনা'তেই পুরোহিত শ্রেনী বা পুজা অপারেটর'শ্রেনী খুব বেশি মুখ্য নয় ... পুরা ব্যাপারটাই স্বতঃস্ফূর্ত । যদিও কালক্রমে তাদের উদ্দেশ্যমূলক ধর্ম ব্যবহার, ঈশ্বর রুপ, ঈশ্বর নিবেদন চর্চা; সবকিছুর নিয়ন্ত্রন তাদের হাতে চলে যায় ।
যাই হোক যেটা বলতে চাইছিলাম ... গোটা চর্চাটাই এখানে ধর্ম'চর্চা, ঈশ্বর'চর্চা, ঈশ্বরে নিবেদন চর্চা ।
দাত মাজা ইজ দাত মাজা ... সেটা কয়লা দিয়েই মাজুন আর পেপসোডেন্ট দিয়েই মাজুন ।
২০৯| ২৬ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ৩:৪৩
দেশী পোলা বলেছেন: আমি কিছু কইলাম না, তয় মরলে পরে আমি এইটা নিয়া কিছু বাতচিত করার জন্য অশরীরি হইয়া আসলেও আসতে পারি। তখন রেফারেন্স সহ উত্তর পাবা
২৬ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ৩:৪৫
মনির হাসান বলেছেন: আপনে এতক্ষনে আইলেন ...
২১০| ২৬ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ৩:৪৭
দেশী পোলা বলেছেন: আমি অন্য কাজে (ঘটি বিপ্লব) বিজি আছি, তুমিও তো দেখলা না
২১১| ২৬ শে নভেম্বর, ২০০৯ ভোর ৪:০৭
শয়তান বলেছেন: পোস্টটি ৪৮ জনের ভাল লেগেছে -
টাশকি খায়া গেলাম
২১২| ২৬ শে নভেম্বর, ২০০৯ ভোর ৫:৩৬
সীমানা ছাড়িয়ে বলেছেন: স্ক্রলিং শেষ হইল, হুফ।
২১৩| ২৬ শে নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:০২
নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন:
মনজুরুল হক,
আপনি হয়তো আমাকে একটু ভুল বুঝছেন। আমি নুন-ভাতের অধিকার নিয়ে কথা হবে না- সেটা একবারো বলিনি। কিন্তু আমাদের মার্কসবাদীরা সর্বরোগের এক ঔষধ যে গিলাতে চান- সেটার বিরোধিতাই করেছি। সময়-প্রেক্ষিত সবকিছু মাথায় না নিয়ে আপনি যদি একটা কথাই বারেবারে বলতে থাকেন- কথাটা যতই সত্য ও গুরুত্বপূর্ণ হোক না কেন- সেটার কার্যকারিতা তেমন থাকেনা। আমাদের মুক্তিযু্দ্ধে বামদের ব্যর্থতা থেকেও আমরা শিক্ষা নিতে পারিনি বলে মনে হয়। জাতি যখন স্বাধিকার - স্বাধিনতা নিয়ে ফুসছে, তখন ভাত ও রুটির কথাটা একজন ভুখাকেও যে টানতে পারেনি সেটা আমরা দেখেছি। আমরা জানি যে, কেবল ভূখণ্ডগত স্বাধিনতা বা রাজনৈতিক স্বাধিনতা কোন সেন্স বহন করে না যতদিন মানুষের অর্থনৈতিক স্বাধিনতা না আসে- এটাও যেমন বামদের খুব মনে রাখতে হয় (সাধারণত এটা মনে রাখে তারা)- কিন্তু সাথে এটাও মনে রাখা দরকার যে, এই সহজ জিনিসটা একবারেই সমস্ত লোক বুঝে ফেলবে না, এর জন্য সময় দরকার এবং কখনো কখনো মানুষের ডিরেক্ট ইন্টারেস্ট এর জায়গা ধরেই এপ্রোচ করা দরকার। মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজনৈতিক স্বাধিকারের জন্যই যদি বামরা ঐক্যবদ্ধ ফাইট দিত- সেটাই একসময় জনগণকে অর্থনৈতিক স্বাধিকারের যুদ্ধে সামিল করতো, তা না করে অর্থনৈতিক স্বাধিকারের জন্য অপেক্ষায় থাকাটার ফল যে কিরূপ - তার ফল আমরা ৩৮ বছর ধরে ভোগ করছি!
দেখুন, আমি নিজেকে একজন বাম ঘরানারই মনে করি, একসময় একটিভ রাজনীতিতে যুক্তও ছিলাম। এখন কোন দলের সাথে সরাসরি যুক্ত না থাকলেও- শ্রমিক শ্রেণীর সংগ্রামকেই আসল সংগ্রাম মনে করি। কিন্তু- আমি আমাদের এখানকার বামদের (হয়তো সবাই নয়) যতই দেখেছি- ততই বুঝেছি, তাদের এপ্রোচের একটা বড় ঘাটতি হচ্ছে- তারা একটা নির্দিষ্ট ট্রাকের বাইরে কথা বলতে পারে না। আমি কার সাথে কথা বলছি, কোথায় এড্রেস করছি, কোন পরিপ্রেক্ষিতে কথা বলছি - এসমস্ত অনেক সময়ে তাদের মনে থাকে না। তেল-গ্যাস পাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে আমি এমনও আলোচনা কোন কোন বামদলের নেতাকে করতে শুনেছি যে : জাতীয় কমিটির এই আন্দোলন সাম্রাজ্যবাদকে বা আওয়ামি-বিএনপি কে উচ্ছেদের আন্দোলনে পরিণত করা হচ্ছে না বলে এটা বোগাস.... ইত্যাদি। পুঁজিবাদ উচ্ছেদ, সাম্রাজ্যবাদ উচ্ছেদ অবশ্যই বামদের ফাইনাল টার্গেট এবং প্রতিটি আন্দোলনে সেটা মনে রাখতে হবে বটে, কিন্তু এই পুঁজিবাদ-সাম্রাজ্যবাদ উচ্ছেদ ব্যতিরেকে আর কিছুই বলা যাবে না- এমন অবস্থানকে আমার মোটেও দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদী বা মার্কসবাদী মনে হয় না। এটা একটা উদাহরণ দিলাম মাত্র।
..... চলবে
২১৪| ২৬ শে নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:৩৯
নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন:
ছাত্রাবস্থার কথা। আমরা একবার কিছু বন্ধুবান্ধব আড্ডা দিচ্ছিলাম, যথারীতি এক বা দুটো বিষয়কে কেন্দ্র করে ব্যাপক ডিবেট শুরু হয়ে গেলো। এমন এক সময় আমাদের এক বাম রাজনীতি বন্ধু এসে হাজির। ঐ সময় আমাদের ডিবেট নানা ঘাটের পানি খেয়ে উপস্থিত আমাদের বাঙালিদের জন্য ডান্ডার বাড়ি মানে সেনাশাসন দরকার কি না, ঐখানে সেনাশাসনের বিরুদ্ধে বলা লোকই সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিলাম। তো আমাদের নতুন যুক্ত হওয়া মার্কিস্ট বন্ধু ডিবেটের একদুটো কথা শুনেই সব কিছু বুঝে গেলো এবং তার মতামত জানালো- এইগুলো সবই বুর্জোয়াদের কাজকারবার, সেনাশাসন থাকুক আর তথাকথিত বুর্জোয়াদের গণতন্ত্র থাকুক- লাভ নেই, দরকার সর্বহারা শ্রেণীর বিপ্লব। আমি জানি কথাটা কতখানি সত্য, এই কথারেই ধ্যানজ্ঞান করে সদ্য রাজনীতি করা শুরু করেছি, কিন্তু দেখা গেলো- এই সত্য কথাটাই ঐ আসরে চরম হাস্যরসের উদ্রেক করলো। আমার আপত্তির জায়গা কেবল এতটুকুই।
এবারে আসি- এই পোস্টে নুন-ভাতের কথা বলার প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে। এই নুন ভাতের অধিকার নিয়ে এই পোস্ট বা ডিবেটের আলোচনাগুলো যারা পড়ছেন- তাদের কতজন তাড়িত? এখানকার একজনও কি আছেন- যিনি তার প্রাত্যহিক জীবনে এই সমস্যাটা ক্ষণে ক্ষণে মোকাবেলা করছেন? তা যদি না করে থাকেন- তবে আসলেই তো তারা এইটাতে সেরকম রেসপন্স করবেন না- করা সম্ভবও না। যারা বলছেন বা দাবি করছেন যে, তারা খুব তাড়িত- তাদেরও (আমি সহ- আমি জানি ডিক্লাসড হওয়াটা কত কঠিন- এককালে চেস্টা করেছিলাম বা স্বপ্ন দেখেছিলাম বলেই জানি)- সেই তাড়না কেবল করুনাজাত, বা দয়া ধরণের। নুন ভাতের অভাবের কথা জানিয়ে বড়জোর তারা দু-দশটা টাকা দান করবে। এই যখন অবস্থা- তখন এদের কাছে নুন ভাতের কথা বলে আদৌ তেমন কোন লাভ আছে বলে মনে হয় না, আপনি এই কথা যদি গিয়ে শ্রমিকদের-কৃষকদের যারা প্রকৃতই এই সমস্যায় জর্জরিত তাদের কাছে গিয়ে বলেন- তাদের সংগঠিত করতে এইসব শ্লোগান খুব কাজে দিবে, কিন্তু আমাদের মত মধ্যবিত্তদের এইসব শুনিয়ে কিছু করুনাই জাগ্রত করতে পারবেন- আর আমাদের কাছে আপনি একজন মানব দরদী হিসাবে বাহবা পেতে পারেন। এর বেশী কিছু হবে বলে মনে হয় না।
২১৫| ২৬ শে নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ২:২৯
নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন: এবারে আসি মার্কস-এঙ্গেলস-লেনিন-মাওজেদং এর আলোচনায়।
১। কিন্তু প্রলেতারিয়েতের অংশগ্রহণে রাষ্ট্র দখলের যুদ্ধ করেননি। সেটা করেছেন লেনিন। তাই লেনিনকে লিখতে হয়েছিল "হোয়াট ইজ টু বি ডান"। এটা তো মাকর্সও লিখতে পারতেন! লেখেননি, কারণ এই শর্ত তার আমলে তৈরি হয়নি।
==>>
মার্কস-এঙ্গেলস "হোয়াট ইজ টু বি ডান" লিখেননি কিন্তু লিখেছেন: "কমিউনিস্ট মেনিফেস্টো"। কমিউনিস্ট মেনিফেস্টো পড়লে বুঝবেন- প্রলেতারিয়াতদের জন্য হোয়াট টু বি ডান- পরিষ্কার বলে দিয়েছেন মার্কস এঙ্গেলস। আর, সেটা করেছেন- ভাববাদীদের সাথে লড়াই করতে গিয়ে নয়- বর্জোয়াদের সাথে লড়াই এর অংশ হিসাবেই। আমরা গোটা দুনিয়ার মানুষ কেবল মার্কস-এঙ্গেলস এর বুদ্ধিবৃত্তিক কাজটাই দেখি, কিন্তু তারা কখনোই প্রলেতারিয়েতের লড়াই-সংগ্রাম থেকে দূরে থাকেন নি। তারা অনেক গুলো শ্রমিক আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন, শ্রমিকদের সংগঠিত করেছেন, শ্রমিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। কমিউনিস্ট ইন্টারন্যাশনাল গঠন করেছেন। একই সাথে আবার কলমও ধরেছেন। শ্রমিক আন্দোলনের দিকনির্দেশনাও যেমন দিয়েছেন- তেমনি এক্সিস্টিং প্রমিনেন্ট চিন্তাগুলোকেও মোকাবেলা করেছেন।
এবং আমি এটাই বলতে চেয়েছি যে, শ্রমিকদের সংগঠিত করার সময় যে কথাগুলো বলেছেন- সেগুলো ব্রুনো বাউয়ের বা ড্যুরিং দের বক্তব্যের জবাব দেয়ার সময়ে বলতে যান নি- বা প্রুধোকে যে ভাষায় সমালোচনা করেছেন- সেই কথাগুলো একটা শ্রমিক সমাবেশে বলেন নি। এটাকে বলছি মাত্রাবোধ। এই জিনিসটা লেনিনেরও ছিল, মাও জে দং এরও ছিল। মাও জে দং একই বিষয়ের উপর দশ রকম উপস্থাপন আপনি নেট এই পাবেন। কৃষক সমাবেশে যখন বলছেন, ছাত্রদের উদ্দেশ্য করে যখন বলছেন- পার্টি কর্মীদের স্কুলিং এ যখন বলছেন- ভাষা পাল্টে যাচ্ছে। এই জিনিসটাই বলছি আমাদের বাম কর্মীদের বা বাম নেতাদের বা বাম মনাদের খুব অভাব।
লেনিনের যে উদাহরণটা দিলেন- সেটাও খুব সহজেই স্পষ্ট করে তার সেই পরিমিতিবোধের। একজন যাজককে আসলেই বলার দরকার নেই যে "ধর্মকে কবর দেয়া হবে" বা এই রকমের কিছু। কিন্তু বলশেভিকরা ধর্মকে কোন জায়গায় দেখবে বা এর কেমন পরিণতি চায়- সেটা নিয়ে কি ঠিক ঐরকমই?
২। "প্রপাগান্ডিস্ট" শব্দটা ব্যবহার করে আপনি মনুষ্য আকাঙ্খাকেই অস্বীকার করলেন।
==>>
মনুষ্য আকাঙ্খাকে আমি অস্বীকার করিনি, বা বুঝতেও পারছি না যে কিকরে মনুষ্য আকাঙ্খাকে অস্বীকার করা হলো।
দেখুন, আপনি হয়তো আমি কোন অর্থে একথাটাকে ব্যবহার করেছি- তা বুঝতে পারেন নি। নুন ও ভাতের অধিকার এই আকাঙ্খার প্রতি সম্পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখেই বলেছি- কেবল এতটুকু দাবি করেই এই অধিকার নিশ্চিত হয় না। যদি হতো- তবে বুর্জোয়ারাই তা দিয়ে দিত, কেননা ভাতের অধিকারের কথা বুর্জোয়ারাই প্রথম বলেছিল। আমাদের সংবিধানেও এক নম্বর মৌলিক অধিকার "অন্ন"। সোশাল ডেমোক্রেটদের বিরুদ্ধে, ইউটোপিয়ান কমিউনিস্টদের বিরুদ্ধে মার্কস বা লেনিনদের কেন কলম ধরতে হয়েছে সেটাও বুঝা দরকার। ভাতের অধিকারের কথা আজ সারা দুনিয়ায় এনজিও এর কর্মীরা সবচেয়ে বেশি বলছে, ফাও তো এক বিলিয়ন ক্ষুধার্তের জন্য কান্নাকাটি করে একাকার করে ফেলেছে- সেটায় কি লাভ হচ্ছে বলতে পারেন? ফাও প্রধান এসে দুনিয়া ব্যপী আহবান জানালেন- এক বা দুদিনের জন্য না খেয়ে থাকতে হবে! এইরকম তামাশাগুলো সম্পর্কে কি বলবেন?
সমস্যাগুলো খুব স্পষ্ট- এগুলো খুব সহজেই চোখে পড়ে এবং এসমস্ত সকলেই জানে। ফলে, কেবল এই সমস্যাগুলো বা ক্ষতগুলোর উচ্চারণই সব নয়। ক্ষতগুলোর ভেতরকার আসল কারণ অনুসন্ধান না করে, সেখান থেকেই ব্যবস্থাটাকে পাল্টানোর না কথা বলে, কেবল সরাসরি ক্ষতগুলো নিয়ে বলতে থাকলে- আপাতভাবে অনেক সহমর্মিতা পাওয়া যায় হয়তো- কিন্তু অবস্থা যা ছিল তা-ই থেকে যায়। এটাকেই আমি বলেছি প্রোপাগান্ডিস্ট এপ্রোচ। মার্কসের আগেও অসংখ্যবার শ্রেণীহীন সমাজের কথা বলা হয়েছে- অভাব শোষণ ইত্যাদির বিরুদ্ধেও কম বলা হয় নি, ভাতের অধিকারের কথা- কাজের অধিকারের কথাও বলা হয়েছিল; তারপরেও আমাদের মার্কস থেকেই শুরু করতে হয়- কারণ তিনি কেবল অতটুকু বলেননি। তিনি দাস কাপিটাল লিখেছেন, কাপিটাল এর বিশাল আলোচনা করেই দেখিয়ে দিয়ে বলেছেন- কিভাবে এই শোষণ প্রক্রিয়া চলে- এবং কিভাবে এর বিরুদ্ধে ফাইট করতে হয়।
আপনি গোথা কর্মসূচি নিয়ে মার্কসের সমালোচনাটা পড়েন, তাহলেও কিছুটা বুঝতে পারবেন। শ্রমিকরা সরাসরি ইফেক্টেড এমন বিষয়গুলো নিয়ে ইমিডিয়েট দাবি দাওয়া থাকতেই পারে, কিন্তু ট্রেড ইউনিয়নের যারা নেতৃত্ব দিচ্ছে তাদের তো একটা ভিশন থাকতে হবে, তা না থাকলে- কেবল ঐ সব ইমিডিয়েট দাবি দাওয়ার মধ্যে থাকলে ট্রেড ইউনিয়ন যে একটা সুবিধাবাদী আন্দোলনে পর্যবসিত হয়, সেটা মার্কস যখন বলছেন- তখন নিশ্চয়ই আপনি বলবেন না যে- শ্রমিকদের ঐসব আকাঙ্খাকে তিনি অস্বীকার করেছেন?
৩। এর পর মাকর্স কি বলেছিলেন? কি ভাবে ধর্ম উচ্ছেদ হবে সেই ধারণা কি তিনি দিয়েছিলেন? নাকি বলেছিলেন "রাষ্ট্র শুকিয়ে মরবে, সাথে সাথে তার যাবতীয় লালিত বিশ্বাসও"। রাষ্ট্রই যেখানে শুকিয়ে মরে যাচ্ছে সেখানে সেই রাষ্ট্রের অন্যতম উপাদান ধর্মও যে শুকিয়ে মরবে এটা তো অবধারিত।
===>>
মার্কসকে খণ্ডিতভাবে বুঝলে এই সমস্যা হয়। মার্কস যখন বলেছেন- শ্রেণীহীন সমাজ অবধারিত, তখন অনেকে মনে করেন- এটা হয়তো এমনি এমনি আসবে। মার্কস যে সবকিছুর পেছনে সাবজেক্টিভ প্রিপারেশনের কথা বলেছেন, শ্রমিক শ্রেণীর পার্টির ভূমিকার কথা বলেছেন সেটা অনেকেই ভুলে যান। রাষ্ট্র শুকিয়ে গেলে ধর্মও অবধারিত শুকিয়ে মরবে- কিন্তু এই শুকিয়ে মরাটা যে স্বতস্ফুর্ত না এটা মার্কসের প্রাথমিক পাঠ জানলেও বুঝা দরকার। রাষ্ট্রকে- ধর্মকে যে শুকিয়ে মারতে হবে- সেটা অনেকগুলো ধাপ পার হয়েই যেতে হয় এটা বুঝা দরকার। লেনিন-স্তালিনরা কি কি পদক্ষেপ নিয়েছিলেন- সেগুলো দেখলে বুঝতেন- ধর্ম শুকিয়ে যাওয়াটা আসলেই স্বতস্ফুর্ত না।
যখন পরাজিত পুঁজিবাদ ফিরে আসছে, তখন হিডেন ধর্ম কেন ফিরে আসতে পারবে না? যাকে কমিউনিজম সম্পূর্ণ উচ্ছেদ করেনি বা করতে পারেনি?
==>>
পরাজিত পুঁজিবাদ ফিরে আসছে- এমনটা আমি মনে করি না। কমিউনিজম প্রতিষ্ঠার আগ পর্যন্ত পুঁজিবাদ পরাজিত হতে পারে না বলেই জানি। সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র কাঠামো কেবল একটা ইন্টারমেডিয়েট রাষ্ট্র কাঠামো, এখানে দুই দ্বন্দ্বই কাজ করে। ফলে- খুবই সম্ভাবনা থাকে আবার পুঁজিবাদে টার্ণ ব্যাক করার এবং এই টার্ণ ব্যাকই বলা যায় খুব স্বাভাবিক।
আর, ধর্মকে উচ্ছেদ করার পরে আবার আসবে কি আসবে না- সেটা আমার ধর্তব্যের বিষয়ই না। ভবিষ্যতে কি হবে না হবে সেটা আমি জানি না, কেবল জানি অনেক ধরণের সম্ভবনাই আছে। কিন্তু যদি বলেন কোন ধরণের সমাজের স্বপ্ন দেখেন- তবে আমি ঐরকম শোষণহীন- রাষ্ট্র-ধর্ম-বর্ণ-গোত্র হীন একটা ওপেন সমাজের স্বপ্নই দেখি। মানুষ অন্নহীন থাকুক এটা মানা কোনমতেই সম্ভব না ঠিকই- কিন্তু আমি শুধু এতটুকুতেই সন্তুষ্ট নয়, সব মানুষ খাবার পাক- কেবল এই স্বপ্ন দেখি না, আমি নিশ্চিত- মার্কসের কমিউনিস্ট সমাজ কেবল এইটুকু না। কমিউনিস্ট মনিফেস্টো- আরেকবার পড়ে দেখতে পারেন।
আর, সংশোধনবাদ নিয়ে আলোচনা এখানে অপ্রাসঙ্গিক, এতে ডিবেট এ কেবল ডালপালাই ছড়াবে।
৪। না আরো অনেক কিছুই চাওয়া যাবে। ধর্ম উচ্ছেদ চাওয়া অবশ্যই ন্যায় সঙ্গত, তবে বুঝতে হবে কোন চাওয়াটা গণমানুষের একেবারে অস্তিত্বের সাথে সম্পর্কিত, আর কোন চাওয়াটা ডিবেটিক একাডেমিশিয়ানদের বৈঠকখানা আলোকিত করবার জন্য।
==>>
এ কথাটাই বলছিলাম। প্রেক্ষিত বুঝাটা খুব জরুরি। আজকে যে ক্ষেত্রটিতে আপনি আলোচনায় বসেছেন- সেটা কোথায় এই বিবেচনা থাকা দরকার ছিল।
২১৬| ২৬ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:৫৬
নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন: এবারে আসা যাক মনির হাসানের ২০৮ নং কমেন্ট এ .....
পেপসোডেন্ট কোম্পানী বাজারে টুথপেস্ট ছাড়ার বহু'কাল আগে থেকেই মানুষ দাত মাজতো ... সেটা হয়তো বালু, কয়লা, নিমের মাজন, মেসওয়াক দিয়েই মাজতো ... কিন্তু দাত মাজা ব্যাপার'টা ছিল ...
===>>
এই যে, আপনি বা আপনারা আজকে দাঁড়িয়ে যখন অতীতকে দেখেছেন- সেটা একটি নির্দিষ্ট বলয়ের মধ্যে থেকেই দেখছেন। তার আগেরটুকু দেখতে পারছেন না। আজকে পেপসোডেন্ট বা অন্যান্য ব্রান্ডের পূর্বের কয়লা বা ডাল দিয়ে দাঁতমাজাটাকেই দেখছেন- তার আগেরটা দেখতে পারছেন না- আর পারছেন না বলেই সিদ্ধান্ত টানছেন "কিন্তু দাত মাজা ব্যাপার'টা ছিল"- আর এভাবে দেখছেন বলেই দাঁতমাজাকে শ্বাসত বা সবসময়ের জন্য কনস্ট্যান্ট ধরে নিচ্ছেন। এইখানেই ভুলটা করে বসছেন।
আসল সত্য হচ্ছে এই যে- একটা সময়ে দাঁত জিনিসটা মাজতে হয়- একে পরিষ্কার রাখা খুব জরুরি- এমন কোন ধারণাই মানুষের ছিল না। এই সত্য যতদিন আপনারা উপলব্ধি করতে না পারবেন- ততোদিন তো মানুষের চিন্তা-চেতনা-সংস্কৃতি সমস্ত কিছুর পরিবর্তনশীলতা সম্পর্কে কোনরূপ ধারণাই পাবেন না।
বিবর্তন যেহেতু না হলে নয় এবং আরোপিত কিছু যেহেতু টেকেনা ... সেহেতু যে লোক বা লোকসমগ্র বা লোক'গোষ্ঠি পুজায় অভ্যস্ত তারা কি সেই বহু তর্কিত ঈশ্বর ধারনাই বহন করেছিল'না যার ফলে পরবর্তির ভৌতিক অদেখা ঈশ্বর'কে পুরোহিতি'দের পরিচয় করিয়ে দিতে বেগ পেতে হয়নি
===>>
সমস্যাটা হচ্ছে এই যে, যখনই বলছি- ধর্মকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়ার সাথে রাজাদের ও পুরোহিত শ্রেণীর ভালো ভূমিকা আছে- তখনই আপনি ধরে নিচ্ছেন আমি হয়তো বলতে চাচ্ছি যে- একদল মতলব গোষ্ঠী এসে ঈশ্বর ধারণা প্রচার করলো আর লোকে তা বিশ্বাস করে ফেললো! প্রথমেই পরিষ্কার করে দেই- আমি এমনটা কখনোই বলতে চাই নাই। তাহলে কি বুঝাতে চেয়েছি? সেটাই বলি আবার।
উপরের এক কমেন্টে দেবতা হোরাস আর রাজা মেনেস এর উদাহরণ টেনেছি। রাজা মেনেস এসে দেবতত্ত্ব প্রচার করেছেন এমনটা বলছি না- আমি কেবল বলছি- যখন আদিম গোষ্ঠীবদ্ধ সমাজ ভেঙ্গে এমন রাজা-বাদশাদের আমল শুরু হলো- তখনই দেবতা রূপী ঈশ্বরের কথা কল্পনা করার মত একটা গ্রাউন্ড তৈরি হলো। তার আগ পর্যন্ত এই রকম কিছু কল্পনা করার ক্ষমতাই মানুষের ছিল না।
আমি যতদূর পড়েছি বা বুঝেছি- আমার মনে হয়েছে, প্রাচীণ সমস্ত দেবদেবীই আসলে একেকটা রাজা-বাদশা। আপনি যদি খেয়াল করেন- তবে দেখবেন সমস্ত প্রাচীণ দেবদেবীই, সেটা ভারতীয় হোক- সেটা মিশরীয় হোক আর সেটা গ্রীক বা আবিসিরীয়ই হোক- সবাই খুব যুদ্ধবাজ। কেন? দেবদেবীরা প্রকৃতির বিভিন্ন বিষয়কে নিয়ন্ত্রণ করতো, কেউ মেঘ দেয়- কেউ সূর্য দেয়- কেউ প্রেম- কেউ সৌন্দর্য- কেউ ঐশ্বর্য... , মানুষ এসমস্ত প্রয়োজনে তাদের পুজা আর্চনাও করতো ঠিকই- কিন্তু মানুষের কাছে এই সমস্ত দেবদেবীরা এতটুকু হয়েই ছিল না, সমস্ত গাথায়- গল্পে- কাহিনীতে দেবদেবীরা সব নানারকম মানবীয় কাজ কর্মে নিয়োজিত। এবং একটু ভালো করে বলতে গেলে- দেবদেবীদের মানবীয় কাজকর্মগুলোর সাথে সাধারণ মানুষের কাজকর্মের মিল না- রাজাবাদশাদের কাজ কর্মেরই মিল বেশী কেন? এর একটা কারণই হতে পারে যে, এরা এককালে রাজাবাদশাই ছিল?
আমি এমনই মনে করি। জিউস, হেরা, আফ্রোদিতি, রাম, রাবন, সেট, দুর্গা, অসুর, ইন্দ্র, অর্জুন এরা সবাই আসলে রক্তমাংসের মানুষই। এবং এদের বিভিন্ন ভূমিকাই ক্রমে ক্রমে মিথে পরিণত হয়ে ঐ রূপ ধারণ করেছে। এমনটা হওয়ার সম্ভাবনাই বেশী।
এখন আসুন- এই দেবত্ব প্রচারের সাথে রাজা-পুরোহিত শ্রেণীর সম্পর্ক কি সেটা দেখি। ধারণার কথা বাদ দিয়ে সরাসরি প্রমান পাওয়া যায়- এমন কিছু জিনিস দেখি:
১। প্রাচীণকালে প্রতিটি রাজাই নিজেকে দেবরাজের প্রিয়ভাজন, বা দেবসমতুল্য বা দেবপ্রেরিত হিসাবে প্রচার করতেন।
২। পুরোহিতরা সরাসরি রাজকার্যে, কখনো কখনো রাজ্য শাসনেও যুক্ত ছিল।
৩। দেবদেবীদের কাহিনীগুলোতে দেখা যায়- বিভিন্ন সময়ে রাজাদের বিভিন্ন যুদ্ধ বিগ্রহে দেবতারা চলে আসে। মাঝে মধ্যে রাজাদের দেবতাদের সাথে দেন দরবার করতেও দেখা যায়।
৪। মন্দির প্রতিষ্ঠা, সেন্ট্রালাইজড ধর্মীয় আচরণগুলোর শুরু দেখ যায় রাজাদের আমলেই- রাজাদের হাত ধরে।
এসমস্ত ঘটনাগুলো থেকে কি ধারণা করতে পারি?
বেশী কিছু না- আপনি একটু মহাভারত পড়ে দেখুন। তাহলেই অনেক কিছু বুঝতে পারবেন। এটা পুরাটাই দেবদেবী-ঋষিদের আর রাজাদের গল্প। এবং ক্ষত্রিয় আর ব্রাহ্মনদের কিছু ঠোকাঠুকির ঘটনাও পাবেন সেখানে- যেখান থেকে আপনি আরো কিছু ধারণা পেতে পারেন।
এমনটাও'তো হতে পারে ... মেঘ, মেঘের পরে আকাশ, আকাশের পরে সূর্য্য, বাতাস, পানি নদী চাঁদ ... একে একে বা সমষ্টিগতভাবে সবই মানুষের কাছে পুজ্য হতে থাকে ... এবং সময়ের পরিক্রমায় মানুষ সেগুলোকে সমষ্টি'গত ভাবেই পুজা দিতে আরম্ভ করে (কোন প্ররোচনা ছাড়াই) । তাতে একটা লাভ হতো বাকি পরে থাকা শক্তি সমূহ যেগুলো মানুষ জানেনা কিন্তু পুজার যোগ্য সেগুলো'ও অন্তর্ভুক্ত হতো সেই সাথে বস্তু লাভ যে পরিশ্রম, খরচ, সময় বাচতো ... আর এর পরবর্তি ধাপেই তারা সমষ্ঠিক একটা একক অস্তিত্বে আগ্রহী হয়ে ওঠে ... এবং ধারাটি চর্চিত হতে থাকে
====>>>
এমনটা কিন্তু না। প্রকৃতির যেসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে তারা যে পুজাটুজা করতো- সেগুলোর প্রতিটাই স্বতন্ত্র। একটার সাথে আরেকটাকে গুলিয়ে ফেলার বা মিক্সড আপ করার কোন স্কোপও ছিল না। কেবল এতটুকুই হতে পারে যে- তাদের দৈনন্দিন জীবন ধারণ বা অর্থনৈতিক কর্মকান্ড অনুযায়ি কোনটির পুজা বেশি হতো- কোনটির কম হতো- কোনটি ডেইলি হতো- কোনটি বাৎসরিক, কোনটি দিনে - কোনটি রাতে- কোনটি বছরের নির্দিষ্ট একটা সময়ে... এই রকম নানা বিষয় ছিল, এবং বুঝতে হবে প্রতিটিই ছিল ইনডিভিজুয়াল এবং প্রতিটিই তাদের কাজ কেন্দ্রিক।
এগুলো সেন্ট্রালাইজড হয়েছে দেবত্বের ধারণা আসার পরে এবং আদিম গোষ্ঠীবদ্ধ সমাজ ভেঙ্গে রাজাদের আমল আসার পরে। কিন্তু প্রথম রাজা এসেই যে- সে দেবতত্ত প্রচার করা আরম্ভ করলো তা নয়। এটাও হয়েছে অনেক ধীরে বা পরে।
তবে লোকাচারগুলোর পলি মিক্সিং বা একটা সেন্ট্রালাইজড রূপ পাওয়ার একটা ভিত্তি গড়ে উঠে রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পরেই। আদিম গোষ্ঠীবদ্ধ সমাজগুলো ভাঙ্গলো কি করে? পারষ্পরিক সম্পদ দখলের লড়াই- এক গোষ্ঠী আরেক গোষ্ঠীর উপর প্রভাব তৈরি এসবের মধ্য দিয়ে যখন গোষ্ঠীগুলো একে একে যুদ্ধে লিপ্ত হচ্ছে, তখন যেই গোষ্ঠী জয়লাভ করছে- সে পরাজিত গোষ্ঠীকে ধরে ধরে দাসে পরিণত করছে। এভাবে কোন এক গোষ্ঠী যখন একটা এলাকার আর সব গোষ্ঠীকে পরাজিত করতে পারছে- তখন ঐ গোষ্ঠী কিন্তু ঐ এলাকায় অনেকটা প্রভুত্ব কায়েম করে ফেলছে। এবং এই প্রক্রিয়ায় আরেকটি কাজ হয়েছে- সেটা একজন রাজারও উদ্ভব হয়েছে। আগে গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে একধরণের সাম্য বিরাজ করতো- গোষ্ঠীর নেতৃত্বে যিনি থাকতেন তাকে বলশালী হওয়ার দরকার ছিল না, প্রধানত অভিজ্ঞ লোকটি বা নারীটিই ছিল গোষ্ঠীপতি। সে জায়গায়- গোষ্ঠীতে গোষ্ঠীতে এই যুদ্ধের আমলে
কিন্তু গোষ্ঠীপতিও পাল্টে গেল- যে বেশী বলবান, যে বেশি যুদ্ধবাজ তার হাতেই গোষ্ঠীর ভার এসে পড়লো এবং যখন গোষ্ঠীটি এলাকায় অপরাপর গোষ্ঠীগুলোকে পরাজিত করতে লাগলো- সেই বলবান-যুদ্ধবাজ গোষ্ঠীপতি হয়ে দাড়ালো রাজা।
এবার দেখুন- রাজার ঐ রাজ্যে কিন্তু অনেকগুলো গোষ্ঠীর বসবাস- যাদের লোকাচার-বিশ্বাসগুলোও ভিন্ন। একমাত্র ইতিহাসের এই পর্যায়ে এসেই সেন্ট্রালাইজড লোকাচারের প্রয়োজন এসে পড়লো। আগের একই গোষ্ঠীর ভেতরে অনেক লোকাচারের কোনটি আরেকটির সাথে সাংঘর্ষিক ছিল না, কিন্তু এক গোষ্ঠীর একটা লোকাচারের সাথে আরেক গোষ্ঠীর আরেকটি লোকাচারের যথেস্ট বিরোধ থাকাটা স্বাভাবিক। এই দ্বন্দ্ব থেকেই- সেন্ট্রালাইজড বিশ্বাসের আগমন।
.....
আজ এতটুকুই- অফিস ত্যাগিতে হইতেছে- রাইতে আবার বাতচিত হইবেক...
সেই পর্যন্ত সকলকেই ধন্যবাদ।
২১৭| ২৬ শে নভেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:২৮
নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন: ১৭৪ নং কমেন্টে সত্যান্বেষী বলেছেন: আমার ১৫১ নং কমেন্টটি ব্লগের একটা বড় অংশের ডিবেটকে না ছুয়ে গেলেও পোস্টের মূল প্রশ্নের একটা সংক্ষিপ্ত উত্তর বহন করে। আর ব্লগের সবগুলো কমেন্টকে ধরা আমার উদ্দেশ্যও নয়।
====>>>
সত্যান্বেষী, দেখুন আপনিও সম্ভবত আমার মনজুরুল হককে করা কমেন্টের মাজেজা বুঝতে পারেন নি।
আপনার ১৫১ নং কমেন্ট পাওয়ার পরে মনে হয়েছিল- যাক এই প্রথম একজনকে পক্ষে পাওয়া গেলো। কেননা, আমার ৫৪ নং কমেন্টের পরে দেখলাম- পুরা পোস্টে কেউ এই দিক দিয়ে দৃষ্টি দিলো না। ১৪০ নং কমেন্টে এসে প্রথম মনির হাসান এসে আমার ৫৪ নং কমেন্টের সাথে দ্বিমত করায় ভাবলাম- যাক কিছু কথা বলা যাবে, এমন সময় আপনার ১৫১ নং কমেন্ট। বিস্তারিত ব্যাখ্যাসহ হাজির না করলেও- আপনার ঐ কমেন্টে খুশী হয়েছিলাম, ভেবেছিলাম- এবার হয়তো আপনি আমি মিলে মনির হাসানের সাথে একটা ভালো ডিবেট করতে পারবো। কিন্তু- আপনার কমেন্টের পরে মনজুরুল হকের কমেন্টে যখন দেখি বাকি সবকে এক কথায় খারিজ করে দেয়া হয়- তখন ঐ প্রশ্ন তুলেদিলাম- সত্যান্বেষীর ১৫১ নং কমেন্ট কি যথেস্ট বাকি সব কিছুকে খারিজ করে দিতে? এটা বলার মানে এই নয় যে আমি মনে করি- আপনি আর সমস্ত কিছু নিয়েই কথা বলবেন বা বাধ্য, কেবল এটাই দেখাতে চেয়েছি- আপনার ঐ একটি কমেন্ট আর সব আলোচনাকে খারিজ করে দেয়ার মত যথেস্ট কি না।
আশা করি- বুঝাতে পেরেছি। আপনাকে ধন্যবাদ।
২১৮| ২৬ শে নভেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৩৭
শয়তান বলেছেন: চাইর মারলেই হয় না চাইরের উপ্রে আছে ছক্কা ।
জাঝা@ নাঃধঃ
২১৯| ২৬ শে নভেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৪০
অ্যামাটার বলেছেন: মিথ থাকবে, যতদিন সভ্যতা টিকবে।
২২০| ২৬ শে নভেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৪৮
'লেনিন' বলেছেন: প্রশ্নোত্তর বলেছেন: ঈশ্বরের সাবেক পেয়ারাতম বান্দা (বান্দী হইলে একটা দীর্ঘ ই কার পরতে হইবেক, [অপরাধ নিবেন না]) মহামান্য শয়তানরে কাছে একখান কুশ্চেন আছিল! কন দেখি আসল শয়তান আস্তিক না নাস্তিক?
-----------
প্রশ্নটা দেইখা মজা পাইলাম। শয়তানকে আস্তিক দেখানো হয়েছে নাস্তিকদের দেখানোর জন্য দেখ এতো ক্ষমতাধর বিরোধীদলীয় নেতাও আস্তিক
কিন্তু শয়তান কে আসলে?
২২১| ২৬ শে নভেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:২৭
সত্যান্বেষী বলেছেন: @ না. ধ. (কমেন্ট: ২১৭): আমি আগেই বুঝেছিলাম আমার আলোকপাতহীন কমেন্ট নিয়ে আপনার কমেন্ট এবং মঞ্জুরুল হকের 'খারিজ' করার যোগসূত্রটি। যার জন্য আমার ফলো-আপ কমেন্টটিতে আপনাকে সরাসরি কোট/রেফার/রিফিউট করে কিছু বলিনি। আমি শুধু এই 'নাস্তিক ওনলি' পোস্টটিতে আমার বক্তব্যের প্রাসঙ্গিকতার সাফাই গেয়েছিলাম। এর বেশী কিছু না।
বি.দ্র. আমার সেই কমেন্টটির সূত্র ধরে আপনার এবং মঞ্জুরুল হকের আলোচনাগুলো আমি গভীরভাবে পড়ছি। মূলত এই বিশাল কমেন্টরাশির মধ্যে এগুলোই আমাকে টানছে।
২২২| ২৬ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ৮:০২
সত্যান্বেষী বলেছেন: @ না. ধ.
"না আরো অনেক কিছুই চাওয়া যাবে। ধর্ম উচ্ছেদ চাওয়া অবশ্যই ন্যায় সঙ্গত, তবে বুঝতে হবে কোন চাওয়াটা গণমানুষের একেবারে অস্তিত্বের সাথে সম্পর্কিত, আর কোন চাওয়াটা ডিবেটিক একাডেমিশিয়ানদের বৈঠকখানা আলোকিত করবার জন্য।"
==>>
"এ কথাটাই বলছিলাম। প্রেক্ষিত বুঝাটা খুব জরুরি। আজকে যে ক্ষেত্রটিতে আপনি আলোচনায় বসেছেন- সেটা কোথায় এই বিবেচনা থাকা দরকার ছিল।"
******
প্রথেমই স্বীকার করে নিচ্ছি আপনি আমার সবচাইতে প্রিয় ব্লগারদের একজন। আমি প্রথম যখন ব্লগিং শুরু করি তখন থেকে আপনার 'ধর্মে বিজ্ঞান, নিম গাছে আমের সন্ধান' পড়ে মুগ্ধ হয়েছি যুক্তির সাবলীলতা এবং ধার দেখে।
এবার বলি উপরে কেন ম. হক আর আপনার কমেন্ট এবং কাউন্টার কমেন্টটা কোট করলাম। ধরে নিলাম "আজকে যে ক্ষেত্রটিতে আপনি আলোচনায় বসেছেন" এখানে 'ক্ষেত্রটি' বলতে এই পোস্টটিকে বুঝিয়েছেন (আর যদি তা না বুঝান তাহলে ভুল প্রিমিজের উপর সিদ্ধান্তগ্রহণ হেতু আমার এই আলোচনাটি বাতিল হবে)। ধরে নিলাম এই পোস্টটি কিছু সংখ্যক নাস্তিকের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে এটাই মিন করেছেন পোস্টদাতা। কিন্তু কথা হলো এই যে লোকগুলো এদের কি শুধু একটাই পরিচয় - নাস্তিক? তাদের প্রধানতম চাওয়াটাও কি নাস্তিকতা? নাকি তারাও পদে পদে দেখে এসেছে সামাজিক অনাচার-অবিচার যা কেবলই ঈশ্বর বিশ্বাস থেকে উত্থিত নয়? তারাও কি দেখেনি কিভাবে নিজেরা ভীষন অসহায়ের মতো এক্সপ্লয়েটেড হচ্ছে, এক্সপ্লয়েট করছে ঘরে এবং বাইরে। তাহলে তাদের 'একেবারে অস্তিত্বের সাথে সম্পর্কিত' চাওয়াটাতো এই পোস্টের বিষয়বস্তু (নাস্তিকের দৃষ্টিতে ভবিষ্যত সমাজ) পর্যন্তই সীমাবদ্ধ থাকার কথা না। এই বিচারে কি ম. হকের কথাটি খুবই অপ্রাসঙিক?
আর তাছাড়া একজন বিপ্লবীর কাজই তো হলো নিজ এবং অন্যের মধ্যে পরিবর্তন নিয়ে আসা। এই যে পোস্টের লোকগুলো (কিছু সংখ্যক বাদ দিয়ে) তারা তো নাস্তিক হয়েই আছে। তাদের মধ্যে নাস্তিকতার, নাস্তিক সমাজের, ঈশ্বর-বিশ্বাসের ইতিকথা শুনিয়ে কি কোন মৌল পরিবর্তন কিংবা তার বীজবপন - কোনটাই করা হচ্ছে? সেখানে যদি বিষয়টির সাথে সম্পর্কযুক্ত (একেবারে সরাসরি প্রাসঙ্গিক না হলেও) আরেকটু ইতিবাচক এবং আরো অনেক বৃহত্তর দিকে টার্ন নেয়ানো যায় সেখান থেকে কি অধিক ফসল ঘরে তোলার সম্ভাবনা থাকে না?
ধন্যবাদ।
২২৩| ২৭ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:০১
নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন: একটা কথা কইতে ভুইলা গেছিলাম- উপরে এক কমেন্টে দুনিয়ার ক্ষুধার্ত মানুষরে নিয়া ফাও এর তামাশার কথা কইছিলাম। এই তামাশায় কিন্তু আমাগো শয়তান দারুনভাবে মেন্টালি-ইমোশনালি সাপোর্ট দিয়েছেন। এক বিলিয়ন লোক না খাইয়া কষ্ট পাইতেছে- ফাও এর কান্নাকাটি ওনার নরম মনে তো প্রভাব ফেলবোই। আপনেরা এই পোস্টে দেখতে পারেন: Click This Link
২২৪| ২৭ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:২০
শয়তান বলেছেন: ফাও এর তামাশাডা আমিও বুঝি । ঐ পোষ্টের অবতারনার কারন একটাই । আত্মউপলব্ধি আনন। আমরা কি অস্বিকার করতে পারমু আমাদের মধ্যেই অনেকে আছেন এমন যারা জানেনই না প্রতিদিন বিশ্বে যে ঐ এক বিলিয়ন লোক না খাইয়া কষ্ট পাইতেছে । প্রসঙ্গক্রমে ঐ কৌতুকটার কথা মনে করায়া দেই । কেউ নাকি কৈছিলো ওরা ভাত খাইতে পায়না তো কি হৈসে । পিজা খাক !! কৌতুক হৈলেও বাস্তবতা কিন্তুক এমনই অনেকটা ।
২২৫| ২৭ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:৩১
নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন: অঃটঃ
মনির হাসান বলেছিলেন:
সুখের কথা হচ্ছে ... বাংলাদেশের জন্ম লগ্ন থেকেই ধর্মীয় পদ্ধতি ছাড়াই আইনতঃ বিয়ে করা যায় ... ধর্মীয় রীতিতে বিয়ে করতেই হবে এরকম কোন বাধ্যবাধকতা নাই ।
অবাক ব্যাপার তাই না।
==>> আমার জানামতে পরিস্থিতি এতটা সহজ নয়। পারিবারিক আনুষ্ঠানিক বিয়াগুলোর কথা প্রথমেই বাদ (এগুলো তো পুরাই মৌলভী-পুরুত ডেকে দোয়া দরুদ- মন্ত্র-টন্ত্র জপে হয়)। রেজিস্ট্রি করে আইনি বিয়াও এখন পর্যন্ত ধর্মীয় আইন মোতাবেক হয়। মানে- মুসলিম বিবাহ আইন, বা হিন্দু বিবাহ আইন, বা খৃস্টান বিবাহ আইন .. প্রভৃতি। কিন্তু নাস্তিকদের বিয়ের জন্য এখনো বাংলাদেশে কোন আইন নাই। সেই কারণেই ব্লগের মোল্লারা মাঝে মধ্যে চিল্লায়- মিয়া নাস্তিক তো ভালো কথা- বিয়া করছেন কোন তরিকা মতে?
একটা ব্যবস্থা অবশ্য আছে। সেটা ব্রাহ্ম বিবাহ আইন। যদিও নামে ব্রাহ্ম বিবাহ আইন- তথাপি মজার বিষয় হচ্ছে এই আইন অনুযায়ি যেকোন ধর্মের পুরুষ যেকোন ধর্মের নারীর সাথে বিবাহ করতে পারবে- অর্থাৎ বিয়ে করতে চাইলে কেবল প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ হলেই চলবে (একজন পুরুষ- আরেকজন নারী)- আমাদের কিছু বন্ধুদের বিয়ে সেখানে দেয়ানো হয়েছে- (জুটি ছিল বিষম ধর্মের)।
এটা আমাদের খুব যৌক্তিক দাবি যে- বিভিন্ন ধর্মীয় বিবাহ আইনের সাথে সাথে বাংলাদেশে মানব বিবাহ আইনও তৈরি হোক। যে আইনে মানুষ পরিচয়েই একজন নারী ও পুরুষ বিয়ে করতে পারবে।
তবে- আরেকটি কথা বলা যায়- একজন নারী ও একজন পুরুষের বিয়ের ক্ষেত্রে পারষ্পরিক শ্রদ্ধাবোধ, বুঝাপাড়া ও ভালোবাসা থাকাই যথেস্ট। এটা থাকলে- একে অপরের সম্মতিতে সকলকে জানান দিয়ে (অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বা বাদ দিয়েই) একে অপরকে পরষ্পরের হাসবেন্ড ওয়াইফ ঘোষণা দিয়ে বসবাস করতেই পারে। সেটা স্রেফ ফুল বিনিময়ে বা ফুলের মালা বদল দিয়েই হতে পারে- দোয়া দরুদ, মন্ত্র, রেজিস্ট্রি এসবের আসলে কোন দরকারই নেই। তবে, যতদিন এই পুরুষ ডমিনেন্ট সোসাইটি থাকছে- ততদিন- রেজিস্ট্রির উপর ভরসা করতে হইবে বৈকি। সে কারণে- মানব বিবাহ আইনের দাবিটাও খুব ভ্যালিড।
২২৬| ২৭ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:৫৪
নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন:
@সত্যান্বেষী,
আপনার ২২২ নং কমেন্টের মূল বক্তব্যের সাথে একমত। এর জবাবে নতুন কিছু বলার নেই। আপনি ১৮২ নং কমেন্টের শেষাংশ দেখতে পারেন।
২২৭| ২৭ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১:০৯
মনজুরুল হক বলেছেন:
আমার লেখা ২০৪ কমেন্টের উত্তরে নাস্তিকের ধর্মকথা ২১৩, ২১৪,২১৫ নম্বরে তিনটি বিশাল মাপের ধারের ও ভারের কমেন্ট করেছেন। আর তা দেখে ২১৮ তে এসে শয়তান বলেছেন-"চাইর মারলেই হয় না চাইরের উপ্রে আছে ছক্কা । জাঝা@ নাঃধঃ" তার মানে দাঁড়াচ্ছে শয়তান এখানে বোঝাচ্ছেন না.ধ. কর্তৃক ম.হক কে উত্তম ধোলাই হলো চারের উপর ছক্কা! নাস্তিকের ধর্মকথা যে প্রেক্ষিতের কথা শোনাচ্ছিলেন এই হলো সেই প্রেক্ষিত!! আর এই প্রেক্ষিতকেই আমি সরাসরি খারিজ করে দিয়েছিলাম
> আমাদের মার্কসবাদীরা সর্বরোগের এক ঔষধ যে গিলাতে চান- সেটার বিরোধিতাই করেছি। সময়-প্রেক্ষিত সবকিছু মাথায় না নিয়ে আপনি যদি একটা কথাই বারেবারে বলতে থাকেন- কথাটা যতই সত্য ও গুরুত্বপূর্ণ হোক না কেন- সেটার কার্যকারিতা তেমন থাকেনা।
মাকর্সবাদীরা সর্বরোগের এক ঔষধ গেলাতে চাইল বলে আপনি বিরোধীতা করেছেন, কিন্তু সেই আপনিই আবার সেই ওষুধের কার্যকারীতা কি হতে পারে তা বাতলে দিলেন--
নুন ভাতের অভাবের কথা জানিয়ে বড়জোর তারা দু-দশটা টাকা দান করবে। এই যখন অবস্থা- তখন এদের কাছে নুন ভাতের কথা বলে আদৌ তেমন কোন লাভ আছে বলে মনে হয় না, আপনি এই কথা যদি গিয়ে শ্রমিকদের-কৃষকদের যারা প্রকৃতই এই সমস্যায় জর্জরিত তাদের কাছে গিয়ে বলেন- তাদের সংগঠিত করতে এইসব শ্লোগান খুব কাজে দিবে, কিন্তু আমাদের মত মধ্যবিত্তদের এইসব শুনিয়ে কিছু করুনাই জাগ্রত করতে পারবেন- আর আমাদের কাছে আপনি একজন মানব দরদী হিসাবে বাহবা পেতে পারেন। এর বেশী কিছু হবে বলে মনে হয় না।
তাহলে তো আমার আর কিছুই বলার থাকল না। বেশ মানলাম, আমি না হয় সর্বরোগহরণ মহৌষধী হিসেবে মানুষের করুণা জাগ্রত করে একজন মানবদরদী হিসেবে বাহবা পাওয়ার চেষ্টা করছি। তা হলে আপনার কাছে আমার সবিনয় জিজ্ঞাস্য-
আপনারাই বা এই পোস্টে হাজার হাজার শব্দ ব্যবহার করে কোন রোগের মহৌষধের বন্দোবস্ত করছেন? এই প্রশ্নটির উত্তর আপনার হয়ে দিয়ে দিয়েছেন সত্যান্বেষী.....
দিনের পর দিন ডিবেটিক একাডেমিশিয়ানদের বৈঠকখানা এগুতে থাকবে হাস্য লাস্য আর ঈশ্বর মারা 'ডিডাকটিভ রিজনিংয়ে' বাঙময়। আর এদিকে বস্তির পর বস্তি পুড়ে ছাই হবে, মানুষপোকারা নি:শেষ হতে থাকবে বড়লোকের নিচের ডেরায়, শিশু হারাতে থাকবে উজ্জ্বলতম শৈশব। কিন্তু ডিবেটিক একাডেমিশিয়ানদের বৈঠকখানা এগুতে থাকবে, থাকবেই।
দেখুন, আমি নিজেকে একজন বাম ঘরানারই মনে করি, একসময় একটিভ রাজনীতিতে যুক্তও ছিলাম। এখন কোন দলের সাথে সরাসরি যুক্ত না থাকলেও- শ্রমিক শ্রেণীর সংগ্রামকেই আসল সংগ্রাম মনে করি। কিন্তু- আমি আমাদের এখানকার বামদের (হয়তো সবাই নয়) যতই দেখেছি- ততই বুঝেছি, তাদের এপ্রোচের একটা বড় ঘাটতি হচ্ছে- তারা একটা নির্দিষ্ট ট্রাকের বাইরে কথা বলতে পারে না। আমি কার সাথে কথা বলছি, কোথায় এড্রেস করছি, কোন পরিপ্রেক্ষিতে কথা বলছি - এসমস্ত অনেক সময়ে তাদের মনে থাকে না।
আপনার উপরের এই কথাতেই আপনার প্রশ্নের উত্তর আপনিই দিয়ে দিয়েছেন। আমি প্রেক্ষিত না বুঝে শোষিত মানুষের কথা বলেছি। তাদের শুকনো ভাতে লবনের যোগানের কথা বলেছি। আর আপনি এক সময়ের একটিভ বাম রাজনীতির সাথে যুক্ত থেকে, এবং এখনো তেল-গ্যাস-বন্দর নিয়ে বামদের আন্দোলনের সাথে প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত থেকে আপনার মেধা আর মনন ব্যয়িত করছেন -নাস্তিকরা ধর্মে কি পরিনতি বা অবস্থা দেখতে চায় সেই ডগমায়। একজন একটিভ বামের যদি প্রেক্ষিত ধারণা এইটি হয় তাহলে আমার আর কিছু বলার নেই।আপনার বামে একটিভনেস নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ ছাড়া।
আপনার পরামর্শ মত কমিউনিস্ট মেনিফেস্ট আবারো পড়লাম। তার কোথাও খুঁজে পেলাম না ভাতের অধিকারের লড়াইয়ের সাথে নাস্তিকতা প্রচারের অধিকারও সামিল হতে হবে। শোষেতের মুক্তির লড়াইয়ের পাশাপাশি ধর্ম উবে গেলে বা আবারো ফিরে আসার সম্ভবনা দেখা দিলে কি কি মৌলিক পরিবর্তন হবে, এবং তা কি ভাবে মোকাবেলা করতে হবে।
আমি জানিনা আপনি কোন বামদের সাথে একটিভ ছিলেন। তবে অনুমান করতে পারি একটা ঘারানা ছিল এই দেশে যারা প্রলেতারিয়েতের রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলের আগেই দখল পরবর্তী প্রশাসন চালানোর জন্য "যোগ্য" নেতা বা ব্যুরোক্র্যাট তৈরিতে বেশি মনযোগ দিত। সেই ঘারানার কাছে মাকর্সবাদের সর্বোচ্চ রূপ লেনিনবাদ বা মাওবাদ প্রয়োগ করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের চেয়ে ডিবেট টেবিলে মাকর্সবাদকে স্টাবলিশ্ট করা অধিকতর জরুরী ছিল(হয়ত এখনো আছে) সেই বিমূর্ত মাকর্সবাদ যদি এখন রিফর্ম হয়ে নাস্তিক্য প্রচার বা নাস্তিকতার ধ্বজা ফেরি করার কাজে আত্মমগ্ন হয়ে থাকেন তাহলে এই প্রেক্ষিতে মাকর্সবাদ নিয়ে আর কোন আলোচনাই অবশিষ্ট থাকেনা।
২২৮| ২৭ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১:১৭
শয়তান বলেছেন: আমার টার্গেটে মনির হাসানও ছিল
২২৯| ২৭ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১:২৫
সালমান চৌধুরী বলেছেন: অনেকদিন পর ব্লগে এসে ঘুরতে ঘুরতে পোস্টটি পেয়ে অফলাইনে বসে বসে কমেন্টগুলো পড়তেছিলাম। পড়ার পর কমেন্ট করার লোভ সামলাতে পারিনি।
ধর্ম সৃষ্টির বিষয়টি যদি মাথায় আনি, তাহলে দেখবো- কিছু সংখ্যক মানুষ কর্তৃত্ব আরোপের জন্য মানুষকে একটি কাঠামোয় নিয়ে আসতে চেয়েছেন কিছু অবিশ্বাস্য বিষয়কে সামনে রেখে। সে অবিশ্বাস্য বিষয়গুলো তখনকার সময়ের জন্য আসলেই অবিশ্বাস্য ছিলো। এখন সেগুলো দিবালোকের মতো স্পষ্ট। আর অস্পষ্টগুলো গাধামি ছাড়া অন্য কিছু নয়।
এগুলো নিয়ে পোস্টেই অনেক আলোচনা হয়েছে। আমার আলোকপাতের বিষয়টি ভিন্ন।
এ পোস্টের লম্বা লম্বা তথ্যবহুল কমেন্টগুলোর একটা গন্তব্য নির্ণয় করি। মনে করি গন্তব্য হলো- কিছু সংখ্যক নির্বোধের ভুল ভাঙানো। সত্যকে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে বের করা। অথবা ধরে নিলাম এ পোস্টের লম্বা কমেন্টগুলোর গন্তব্য হচ্ছে- একটা আলোচনা সাজিয়ে নেয়া। তবে আলোচনার গন্তব্য অবশ্যই প্রথমে বলে দেয়া কথাটি। যদি এমনটি হয় তবে বলবো যে, উদ্দেশ্য ব্যর্থ হয়েছে।
পোস্টের শিরোণামে "নাস্তিকদের জন্য" কথাটি লিখে দিলেই দায়মুক্ত হয় না। অবশ্যই এখানে আস্তিকরা আসবে। সুতরাং তাদেরকে প্রভাবিত করার জন্য আলোচনাটা সাজানো উচিৎ ছিলো। একান্ত প্রাইভেট আলোচনা নিজস্ব সাইট, মেইল গ্রুপ অথবা স্বশরীরী আড্ডায় চালানো যেতে পারে। অনেকের পদচারনায় মুখরিত উম্মুক্ত স্পেসে যে কৌশল নির্ধারণ করে এগুনো উত্তম ছিলো- তা আর ঘটেনি।
শুরুর দিকে আলোচনা যেভাবে এগিয়ে এসেছিলো এবং যেভাবে এগিয়ে আসা উচিৎ ছিলো- পরবর্তীতে এসে সেটা থেকে সরে গিয়ে বরং নিজ নিজ জ্ঞান প্রকাশের বিদঘুটে এক মহড়া শুরু হয়েছিলো। (অন্যটাও ঘটতে পারে)।
সামগ্রিকভাবে বৈশ্বিক চিন্তা করার মতো জ্ঞানী এখানে অনেক। কিন্তু আপনার সে জ্ঞান প্রকাশের পর ভার বহনকারীর সংখ্য কতো?
========
ধর্ম সৃষ্টি হয়েছে নির্বোধের অস্তিত্ব আছে বলে, টিকে থাকবেও নির্বোধের অস্তিত্বের বলে।
বোধানায়নে এড়িয়ে গিয়ে হেরে যাওয়া ঠিক নয়। বরং টেনে এনে বসিয়ে রেখে বোধোন্নয়নে ভূমিকা রাখাই বেটার।
এখানে কয়েকজনের কমেন্ট পড়ে আসলেই আভিভূত। বেশ উন্নত একটি আলোচনা পড়লাম ঘন্টা খানেক সময় নিয়ে।
সবাইকে ধন্যবাদ।
২৩০| ২৭ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৪২
মনজুরুল হক বলেছেন:
@ নাস্তিকের ধর্মকথা। "সেই তাড়না কেবল করুনাজাত, বা দয়া ধরণের। নুন ভাতের অভাবের কথা জানিয়ে বড়জোর তারা দু-দশটা টাকা দান করবে। এই যখন অবস্থা- তখন এদের কাছে নুন ভাতের কথা বলে আদৌ তেমন কোন লাভ আছে বলে মনে হয় না, আপনি এই কথা যদি গিয়ে শ্রমিকদের-কৃষকদের যারা প্রকৃতই এই সমস্যায় জর্জরিত তাদের কাছে গিয়ে বলেন- তাদের সংগঠিত করতে এইসব শ্লোগান খুব কাজে দিবে, কিন্তু আমাদের মত মধ্যবিত্তদের এইসব শুনিয়ে কিছু করুনাই জাগ্রত করতে পারবেন- আর আমাদের কাছে আপনি একজন মানব দরদী হিসাবে বাহবা পেতে পারেন। এর বেশী কিছু হবে বলে মনে হয় না।"
আপনার এই কথাটি অক্ষরে অক্ষরে সত্যি। একজন খাঁটি মাকর্সবাদী হিসেবে আমাদের উচিৎ ছিল শাশ্বত, উপমা, নাহিদদের মত অসহায় নিরুপায় মানুষদের সম্মিলিত ভাবে সাহায্য করে বাঁচিয়ে তোলার চেষ্টার বদলে "মাকর্সবাদী নির্লিপ্ততা" দেখিয়ে সরে যেয়ে অপেক্ষা করা,কারণ শোষণহীন সমাজ কায়েম হলে এই মানুষদের আর কোন কষ্ট থাকবে না। সমবন্টনে তো আপনাতেই সবাই সবার প্রাপ্য পেয়ে যাবেন। এবং সেই চিন্তা থেকেই ব্লগীয় মাকর্সবাদীরা ঐ অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর "বাম বিচ্যুতি" করেননি। "বাধ্য হয়ে" ধর্মপ্রাণ, ধর্মের প্রতি দুর্বল, বাম-ডান কিছুই না ধরণের কিছু মানুষ তাদের কষ্টার্জিত টাকা দিয়ে সেই মানুষগুলোকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছে!
ঠিক এই বিচ্যুতির কারণে এই দেশে সেই মুজফ্ফর আহমেদ-মানবেন্দ্রদের আমল থেকেই একের পর এক নিবেদিতপ্রাণ বাম কর্মী দল ছেড়ে চলে গেছেন। একজন হোল টাইমার যখন দেখেছে তার মা বা বাবা অনাহারে মৃত্যুবরণ করছে তখন তার পাতিবুর্জোয়া শ্রেণী অবস্থান তাকে দল ছাড়তে বাধ্য করেছে। একজন ডিক্লাস বা হোলটাইমারের এই যে বাস্তব সমস্যা তার সমাধান করাটা যে মাকর্সীয় রাজনীতির একটা নীতি নির্ধারণী বিষয় ছিল সেটা একাডেমিশিয়ানরা ওভারলুক করেছেন। এখনো করে যাচ্ছেন। ফলে কি হচ্ছে তিল তিল করে গড়ে ওঠা নিবেদিতপ্রাণ কর্মী হুট করে চলে যাচ্ছে। ফুটো কলসিতে পানি ভরে বাড়ি ফেরার মত দশা! বাড়ি ফিরতে ফিরতে কলসিতে আর পানি অবশিষ্ট থাকছে না!
২৩১| ২৭ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ২:০৯
নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন:
মনজুরুল হকের আরেকটা কথা নিয়া আমার কিছু কথা ছিলো:
একাডেমিশিয়ানদের এই এক সমস্যা! যত পড়ে তত বিমূর্ত হয়। ততই নিজের ভেতরে গুটিয়ে যায়। এ জন্যই সি এম বলেছিলেন-"বুর্জোয়া বিদ্যায়তনে যতই পড়বে ততই মূর্খ হবে"।
===>>>
আপনার এই কমেন্ট পড়ে এক বাম নেতার আলোচনার কথা মনে পড়ে গেলো: তিনি বলছিলেন- "দুনিয়ার রাজ্যের বই পড়লে মাথাটাই খালি ভারী হয়, জ্ঞানের পাহাড় জমলে সেই পাহাড়ের চাপে সে নিজেই তো নড়তে পারবে না- অন্যকে নাড়বে কি করে?" যে সময়ে শুনেছিলাম- সে সময়ে চারপাশের আঁতেল-বুদ্ধিজীবী যারা কেবল জ্ঞান কপচানো ছাড়া কিছুই করেন না- তাদের দিকে তাকিয়ে কথাটা তীব্র সত্য মনে হয়েছিল। আজ আমাদের দেশের বামদের দেখে বুঝতে পারি- কথাটা কতখানি ভুল।
আমি মনে করি- আজ বাম যারা তাদের দুনিয়ার রাজ্যের বই পড়ার কোন বিকল্পই থাকতে পারে না। একজন বামের দুনিয়ার রাজ্যের বই পড়া আর একজন বাম না এমন লোকের মধ্যে দুনিয়ার রাজ্যের বই পড়ার মধ্যে একটাই পার্থক্য থাকতে পারে- উদ্দেশ্যমুখীনতা। অর্থাৎ বামরা বই পড়বে উদ্দেশ্যের জায়গা থেকেই। বাস। এটুকু কেবল পার্থক্য। আর কিছু না। একজন বামনেতাকে অবশ্যই একজন তাত্ত্বিক- অনেক বড় মাপের তাত্তিক হতে হবে, অর্থনীতিবিদ হতে হবে, সমাজ বিশ্লেষক হতে হবে। প্রকৃতি বিজ্ঞানের উপর দখল থাকতে হবে। এসব ছাড়া কি করে হবে?
আমাদের এখানে কি দেখি? রিসেন্ট তেল গ্যাস রক্ষার আন্দোলনে বাম নেতাদের টিভি টকশো গুলোতে নাকাল হতে দেখলেই বুঝা যায়- ইনটেলেকচুয়াল স্ট্যান্ডার্ড কোন জায়গায়! আকাশ মালিককে যখন প্রতিপক্ষ দেখিয়ে দিচ্ছে- তাদের দাবি ভুল- তখন আকাশ মালিক অসহায় সমর্পন করে জানায়- তাদের বিশেষজ্ঞরা অমনটা জানিয়েছে- বলে প্রশ্ন ছুড়ে দেয়- আপনি কি বিশেষজ্ঞ কি না? আরেকজনকে টক শোতে প্রতিপক্ষ যখন এটাক করে- আপনারা তো মডেল পিএসসি না পড়েই যুক্তি করছেন। তখন তিনি জবাব দেন- সবার এটা পড়ার দরকার নাই!!! অধ্যাপক শামসুল আলম একটা স্টাডি সার্কেল এ গিয়ে এমনভাবে কথা বলছেন যে- শুরুতে তিনি যে কথা বলেছেন- শেষে তার কথা ঠিক শুরুরটির বিপরীত! প্র. শহীদুল্লাহ দীর্ঘদিন বলেছেন- চুক্তি অনুযায়ি ৯ শতাংশের বেশী বাংলাদেশ পাবে না! এইরকম দশা থাকলে- আপনি একটা আন্দোলনকে কেমন করে লিড করবেন?
এমনি এমনি কিছু হয় না। মার্কস-এঙ্গেলসকে কমিউনিস্ট মেনিফেস্টো লিখতে হয়েছে, দাস কাপিটাল লিখেতে হয়েছে, তার আগে দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদ এর তত্ত নির্মাণ করতে হয়েছে, ঐতিহাসিক বস্তুবাদের আলোচনা আনতে হয়েছে, ডায়ালেকটিকস অব নেচার লিখতে হয়েছে। শুধু তাই নয়- এক্সিসটিং ইম্পরট্যান্ট সব থটগুলোকে মোকাবেলাও করতে হয়েছে। লেনিনও কি কম করেছেন? সাম্রাজ্যবাদ নিয়ে থিসিস দাড় করাতে হয়েছে। এপ্রিল থিসিস না দিলে কি অক্টোবর রিভোলিউশন হতো। রাশিয়ায় পুঁজিবাদের বিকাশ বইটা যদি না লিখতেন তবে- রাশিয়ায় সেই বিপ্লবী আন্দোলন গড়ে তুলতে পারতেন? মাও এর কাজগুলো দেখেন। এনারা প্রত্যেককেই বইয়ের পোকা হতে হয়েছিল। কথিত আছে, মার্কস লন্ডন লাইব্রেরীতে এক অর্থনীতির উপরেই প্রাু ঊনিশজ হাজার বই পড়েছিলেন।
কিন্তু, আমাদের এখানকার বামদের পাঠ্যাভ্যাস কেমন? আপনি কি সন্তুষ্ট? বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কাঠামোর চুলচেরা বিশ্লেষণ করে তেমন উল্লেখযোগ্য কাজ হয়েছে? ঐতিহাসিক বস্তুবাদের যে ধাপগুলো মার্কস এঙ্গেলস দেখিয়েছেন- সেটা এই ভারতবর্ষে কিরূপ ছিল, ইতিহাসের কোন পর্যায়ে কোন দ্বন্দ্ব কাজ করেছে- তা নিয়ে এখন পর্যন্ত আমাদের গুরুত্বপূর্ণ কোন এণালাইসিস আছে? বাসদের নেতা-কর্মীদের বলেছিলাম- বাংলাদেশে আপনারাই একমাত্র দল যারা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কাঠামোকে পুঁজিবাদী বলেন- আপনাদের কি দায়িত্ব না যে- এখানকার পুঁজিপতি বিগ ফিশগুলোকে নিয়ে কাজ করা? বসুন্ধরা, যমুনা, ইস্পাহানি, আবুল খয়ের, স্কয়ার, বেক্সিমকো... এইরকম গ্রুপগুলারে নিয়ে কোন কাজ (এদের মানি ক্যাপাসিটি, হিস্টরি, বিনিয়োগকৃত সেক্টর, টোটাল ইনভেস্টমেন্ট, টার্ণ ওভার)আছে এখানকার বামদের? গণসংহতি আন্দোলনরে বলেছিলাম- ঠিক আছে, আপনারা মনে করেন সাম্রাজ্যবাদই প্রধান শত্রু, তাহলে আপনাদের কি উচিৎ না যে, এখানে ফরেন ক্যাপিটাল কি পরিমাণে কিভাবে ক্রিয়াশীল তা নিয়ে ইন ডিটেইলস একটা কাজ করা?
এই সমস্ত কাজ না করে আপনি কি করে বিপ্লব করবেন? আজকে সোসাইটিতে যেসব চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছে- সেগুলোকে রিফুট না করে আপনি কি করে বিপ্লব করবেন? প্রকৃতি বিজ্ঞান আজ কোন পথে চলেছে, আধুনিক দর্শন সমূহের কি হাল হকিকত, এসব না জেনেই না বুঝেই না জবাব দিয়েই আপনি বিপ্লব করবেন? সম্ভব? রিচার্ড ডকিন্স, কার্ল পপার এগুলো নিয়ে বাংলায় কোন বাম রাজনৈতিক দলের কোন প্রকারের এনালাইসিস আছে? পোস্ট মডার্নিস্টরা আজ মার্কসবাদের যে সমালোচনা আনছে- তার জবাব কি এখানে দেয়া হয়েছে?এমনকি দুনিয়া জুড়ে- মার্কসবাদীদের যে নানা ট্রেন্ড, নিও মার্ক্সিস্ট থেকে শুরু করে নানা ধারা, সেগুলো নিয়েও কি কোন স্টাডি আছে? এসব ছাড়া কি কোনদিন বিপ্লব সম্ভব হবে? আর বিপ্লব সম্পন্ন যদি হয়েও যায়- তবে তার কি পরিণতি হতে পারে একবার ভাবুন? আমি মনে করি- আজকের যুগে এসে জ্ঞান-বিজ্ঞানের এত ডাইভারসিটি ও ভাস্টনেস যে- আগের আমলের মত এক দুজনের পক্ষে সব কিছু আয়ত্ত করাই সম্ভব নয়। সেকারণে দরকার টিমওয়ার্ক। আর, এ কারণেই বামদের ব্যাপক হারে পড়াশুনা করার জন্য উদ্বুদ্ধ করা উচিৎ। আমি নিজেকে বাম মনে করি বলেই কিছুটা পড়ার চেস্টা করি এবং ক্ষণে ক্ষণে বুঝতে পারি আমার পড়াশুনার কত ঘাটতি। আর সেই সাথে মনে করি- যে ব্যক্তি নিজেকে বাম মনে করেন- তাকে প্রচুর পড়তে হবে বৈকি।
আর, আপনি শেষ লাইনে যে কোট করেছেন (সি এম এর), সেটা আপনি ভুল প্রয়োগ করেছেন। ঐটা বুর্জোয়া শিক্ষায়তনের সমালোচনায় করা। সেটা সম্ভবত আমাদের পাঠ্যাভ্যাসের কম বেশী নিয়ে না।
২৩২| ২৭ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ২:১১
নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন:
ওরেব্বাস, মনজুরুল হক তো দেখি জটিল সব কমেন্ট করেছেন। খাড়ান, আগে পইড়া লই ......
২৩৩| ২৭ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ২:২৯
মনজুরুল হক বলেছেন:
এবার এই পোস্টে লেখকের উদ্দেশ্যে কিছু কথা।
উদাহরণ উপমা অনেক কিছু দিয়েই ধর্মকে ব্যাখ্যা করা চলে। আবার তাকে বাতিলও করা যায়। উপরে আপনারা মেঘের যে রেফারেন্স টানলেন তার সূত্র কি তা কিন্তু বলেননি। যাহোক। দেখুন আজ থেকে প্রায় ৬০ বছর আগে জর্জ টমসন কি বলছেনঃ
"প্রকৃতির সাথে সংগ্রামে আদিম মানুষের দুর্বলতা যেমন রূপ নিয়েছে ইন্দ্রজালের, ঠিক তেমনি সমাজের অগ্রগতির সামনে সভ্য মানুষের দুর্বলতা রূপ নিয়েছে ধর্মবিশ্বাসে। সৃষ্টিকর্তাকে বিশ্বাস, প্রার্থনা অনুষ্ঠান বা পালাপর্বণে কোন প্রাণী উৎসর্গ করা এইগুলোই হচ্ছে ধর্মানুষ্ঠানের বৈশিষ্ট। আদিমতম যে সমস্ত বন্যমানুষের কথা আমরা জানি তাদের কোনও সৃষ্টিকর্তা নেই। কোনও প্রার্থনা বা প্রাণী উৎসর্গ প্রথাও তাদের নেই। এই স্তরে আমরা যার কথা জানতে পারি তা হচ্ছে ইন্দ্রজাল।
ইন্দ্রজালের কৌশল হচ্ছে এই যে, বাস্তব ঘটনাকে বশ করার ধোঁকা সৃষ্টি করেই যেন প্রকৃতপক্ষে বাস্তবকে বশ করা যায়। বৃষ্টির প্রয়োজন হলে ঘনায়মান মেঘ, বিদ্যুচ্চমক ও বৃষ্টিধারার অনুকরণে নাচের অনুষ্ঠান কর (নাচ হচ্ছে মানুষের আদিমতম ইচ্ছাপ্রকাশ কলা)। কল্পনায় ইপ্সিত বস্তুর কামনা পুরণের অনুষ্ঠান কর।এই অনুকরণ অনুষ্ঠানের শেষদিকে হয়ত থাকবে এক নির্দেশ- বৃষ্টির আদেশ। কিন্তু এটি অনুনয় নয় আদেশ।"
- জর্জ টমসন। "ধর্ম ও সমাজ" পৃষ্ঠা ১৭-১৮।
এবার দেখুন বোধ আর অনুমানের পার্থক্যঃ
খ্রীষ্টপূর্ব ৪৮৬। দীর্ঘ এক শত বছর পরে হযরত এরিমিয়া(jeremia) নবী(আঃ) পুনর্জীবিত অথবা নিদ্রা হইতে জাগরিত হইলেন। তিনি ধ্বংশস্তুপে পরিনত জেরুজালেম নগর পুনর্ণির্মিত ও অধিবাসীপূর্ণ দেখিয়া বিস্মিত হইলেন। দৈববানী হইলঃ-
"তুমি এখানে কতদিন ছিলে?" তিনি উত্তর দিলেন- "এক বা অর্ধ দিন"। পুনরায় দৈববানী হইল-" না না। একশত বৎসর। তুমি তোমার বাহনের গর্ধব ওপানীয়ের দিকে দৃষ্টিপাত কর"। তিনি দেখিলেন তাহার গর্ধব মৃত্তিকা স্তুপে পরিনত হইয়াছে, কিন্তু তাহার খাদ্য ও পানীয় সম্পূর্ণ অবিকৃত রহিয়াছে। অতঃপর ঐশ্বরিক মহিমায় ঐ গর্ধভের কঙ্কালগুলি একত্রিত ও ক্রমে মাংসচর্মে আচ্ছাদিত হইয়া গর্ধভটি পুনর্জীবন প্রাপ্ত হইল। তিনি সর্বশক্তিমান আল্লাহতা'লার অনন্ত মহিমা সাম্যকরূপে হৃদয়ঙ্গম করিলেন।"
--কুরআন। সূরা বকর ৩৫ রুকু ।
কি বুঝলেন? খেয়াল করুন- এক বা অর্ধ দিন । আবার একশত বৎসর। মাথা। স্রেফ মস্তিষ্ক। যতদিন মানুষের ধড়ের উপর গোলমত এই মস্তিষ্কটি কার্যকর থাকবে ততদিন ধর্মবিশ্বাস বা আচার-বিচার বা ঐশ্বরিক কোন দৈব বিশ্বাস অথবা কেবলই ইউনিভার্সের কোন কমান্ড কিংবা কোন একটি পাওয়ার থেকে আগত ম্যাসেজরূপে এই বিশ্বাসগুলো টিকে থাকবে। আজ থেকে ৫শ ১ হাজার বছর পরে এই প্লানেটের মানুষরা অন্য আর এক প্লানেটে বা ইউনিভার্সের কোটি কোটি আলোক বৎসর দূরের কোন গ্যালাক্সিতে যাওয়ার সময় হঠাৎই বলে উঠবে.... এবার কি সময় একটু বেশি লাগল? প্রায় তিন দিন লেগে গেল! আর একজন বলে উঠবে তিন দিন না তিন বছর? হু ডিসাইড?
২৩৪| ২৭ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ২:৪০
নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন:
ধীরে ধীরে মনজুরুল হকের কমেন্টের জবাব দিতেছি.... (সময় লাগবো- পারিবারিক ঝামেলা আইয়া পড়ছে...)
তার মানে দাঁড়াচ্ছে শয়তান এখানে বোঝাচ্ছেন না.ধ. কর্তৃক ম.হক কে উত্তম ধোলাই হলো চারের উপর ছক্কা! নাস্তিকের ধর্মকথা যে প্রেক্ষিতের কথা শোনাচ্ছিলেন এই হলো সেই প্রেক্ষিত!! আর এই প্রেক্ষিতকেই আমি সরাসরি খারিজ করে দিয়েছিলাম
===>>>>
হাহাহাহা, খারিজ করার মত উপযুক্ত একটা কমেন্টই বেছে নিয়েছেন বটে!!!
কিন্তু আপনি আপনার ঐ খারিজ করা কমেন্টগুলোর দিকে তাকালেনই না!! সেখানে আমার কমেন্টগুলোকে আমি অন্তত একজন মার্কসবাদীর কাছ থেকে পুঁজিবাদ বিরোধিতার কথার পাশে খারিজ করা শুনতে রাজী ছিলাম না- এখনও নই। যখন আমি ঈশ্বর চিন্তার আবির্ভাব নিয়ে আলোচনা করছিলাম- যখন আমি মানুষের চিন্তা করার পদ্ধতি নিয়ে কথা বলছিলাম, তখন আমি দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদী দৃষ্টিভঙ্গির জায়গা থেকেই করার চেস্টা করছিলাম। হোরাস-সেট এর যে উদাহরণ দিয়েছি- সেগুলো সরাসরি দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায় থেকে নেয়া। আমি যে দৃষ্টিভঙ্গির কথা বলছিলাম- সেটা আমি মনে করি, দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদ না পড়লে সম্ভব ছিল না। রাহুল সাংকৃত্যায়ন- রেবতী বর্মন এনারাও কিন্তু মার্ক্সিস্ট হিসাবেই পরিচিত। আমি এই ডিবেট এ যখন বাম ঘরানার তাত্তিকদের শরনাপন্ন হয়ে মনির হাসানদের জবাব দেয়ার চেস্টা করছি- তখন আপনিই এক লাইনে সবকিছুকেই খারিজ যখন করে দিলেন- তখন মনে হলো- একজন মার্কসবাদী পরিচয় দেয়া লোকের এটা যথার্থ এপ্রোচ হতে পারে না। আমি বলছি না যে- আমি যেসব আলোচনা করেছি তার সবেতেই আপনার একমত হতে হবে- আমি কেবল এতটুকুই বলতে চাই- কোন কিছু খারিজ করতে হলে আপনাকে উপযুক্ত কারণ দেখাতে হবে। শুধু এটুকুই।
চলবে ......
২৩৫| ২৭ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ২:৪১
মনজুরুল হক বলেছেন:
আমি বলছি "এটা ইংজেজি 6 আর একজন এটি উল্টো করে ধরে বলছেন না এটা ইংরেজি 9
এই পোস্টে এটাই আমার শেষ মন্তব্য। ধন্যবাদ। শুভরাত্রী।
২৩৬| ২৭ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ২:৪৩
জামাল ভাস্কর বলেছেন: লেনিনকে এক ধর্মযাজক প্রশ্ন করেছিল- তোমার সমাজতন্ত্র বা কমিউনিজম কায়েমের পর আমাদের অবস্থান কি হবে? উত্তরে লেনিন বলেছিলেন- সমাজতন্ত্র মানে পূর্ণ গণতন্ত্র। আজ যেমন আপনি একচেটিয়া ভাবে ধর্মহীন নাস্তিক বলে বলশেভিকদের সমালোচনা করছেন, তখন আপনার পাশে দাঁড়িয়ে একজন বলশেভিকও আপনার (ধর্মের) সমালোচনা করতে পারবে। তিনি তো এটাও বলতে পারতেন--"ধর্মকে কবর দেওয়া হবে"!![/si
এই উদাহরণ দিয়া মনজুরুল হক ভাই কি বুঝাইতে চাইলেন বুঝলাম না। নন একাডেমিক আমিও বিভ্রান্ত হইলাম এই উদাহরণে। দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদ যদ্দূর বুঝছি ননএকাডেমিক এপ্রোচ থেইকাও তাতে মনে হইছে কমিউনিজমে বা সাম্যবাদে শ্রেণী বিলোপ হইবো। শ্রেণী বিলোপ ছাড়া কোনসময়েই বিপ্লবের ঐ স্তরে প্রবেশ সম্ভব না। আর ধর্ম বিশ্বাস থাকাটা শ্রেণী বিলোপের ধারণার সাথে সম্পূর্ণরূপে বিরোধী।
আমি জানি না বাংলা অনুবাদের কারণে লেনিনের উদ্ধৃতিতে সংশয় আসছে কী না, কিন্তু এই কথা যদি সত্যিই লেনিন কইয়া থাকেন তাইলেতো মনে হয় তিনি নিজেও দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদ কিম্বা কমিউনিস্ট ম্যানিফেস্টো খুব ভালো মতোন পড়েন নাই। মনজুরুল হক ভাইয়ের কাছে এই কারণে লেনিনের এই কথোপকথনের সূত্র জাননের আগ্রহ হইতেছে। এইটা এক্কেরেই একাডেমিশিয়ানের দৃষ্টিভঙ্গী থেইকা না, সংশয় থেইকা জানতে চাইতেছি।
২৩৭| ২৭ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ২:৪৭
'লেনিন' বলেছেন: @মনজুরুল হক ২৩৩ নং মন্তব্যে ধোয়াশাভাবে যে প্রসঙ্গ এনেছেন আমিও একই প্রসঙ্গ এনেছি। তবে অতীব জ্ঞানীদের নিকট তা নিতান্তই হাস্যকর মনে হতে পারে। তবু তাদের মধ্যে চিন্তার উদ্রেক হউক।
২৩৮| ২৭ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ৩:০০
নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন: মনজুরুল হক বলেছেন: তাহলে তো আমার আর কিছুই বলার থাকল না। বেশ মানলাম, আমি না হয় সর্বরোগহরণ মহৌষধী হিসেবে মানুষের করুণা জাগ্রত করে একজন মানবদরদী হিসেবে বাহবা পাওয়ার চেষ্টা করছি
=====>>>>>>>>
দেখেন- আপনি আমার কথাগুলোকে বড় বেশী পার্সোনালি নিয়েছেন। আমি কখনোই বলতে চাই নি যে, আপনি এইরকম বাহবা নেয়ার চেস্টা করছেন (আসলেই কেউ বাহবা নিতে চেস্টা করছে কি না- সেটা নিয়ে আমার কোন মাথাব্যাথা নেই), আমি কেবল দেখাতে চেয়েছি- ব্লগের মূল বাস্তবতাটা কিরূপ। সেটা আমিও যদি করি- মানুষের দুঃখ-কষ্ট-অভাব এইসব নিয়ে যদি পোস্ট দিতে থাকি, তাইলে তার ইমপ্যাক্ট কেমন- ভিন্নতর কিছু হবে বলে মনে হয় না। তবে হয়তো দায়টা আমার- উক্ত বাক্যগুলোতে "আপনি" করেই সম্বোধন ছিল। আমি দুঃখিত। "আপনি"র জায়গায় "আমি" হলে এই সমস্যাটা হয়তো হতো না।
তা হলে আপনার কাছে আমার সবিনয় জিজ্ঞাস্য-
আপনারাই বা এই পোস্টে হাজার হাজার শব্দ ব্যবহার করে কোন রোগের মহৌষধের বন্দোবস্ত করছেন?
===>>
আপনার ২৩৩ নং কমেন্ট যে রোগের ঔষধ হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে- ঠিক সেই রোগ।
এবারে সঠিক ঔষধ প্রয়োগের জন্য অভিবাদন।
চলবে ......
২৩৯| ২৭ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ৩:২৫
নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন: আপনার পরামর্শ মত কমিউনিস্ট মেনিফেস্ট আবারো পড়লাম। তার কোথাও খুঁজে পেলাম না ভাতের অধিকারের লড়াইয়ের সাথে নাস্তিকতা প্রচারের অধিকারও সামিল হতে হবে। শোষেতের মুক্তির লড়াইয়ের পাশাপাশি ধর্ম উবে গেলে বা আবারো ফিরে আসার সম্ভবনা দেখা দিলে কি কি মৌলিক পরিবর্তন হবে, এবং তা কি ভাবে মোকাবেলা করতে হবে
===>>
ভাতের অধিকারের লড়াই- এইরকম কোন লড়াইয়ের কথা কি আছে? থাকলে কথাটা একটু এইখানে কপি পেস্ট কইরেন। আমি আগে দেখি নাই। গোটা দাস কাপিটালেও শ্রমিকদের দুঃখ কষ্টের কোন বর্ণনা আছে বলে জানা নেই। আপনাদের জানা থাকলে জানাইয়েন। (আমি যতদূর জানি- মার্কসবাদ কোন মানবতাবাদ নয়- এইরকম কথা বাঘা বাঘা সব কমিউনিস্ট তাত্তিকরা নাকি বইলা গেছেন)
আর, আমি কোথাও কইনি- নাস্তিকতা প্রচার কোন রাজনৈতিক কর্মসূচী হইবো। কিন্তু, এটাও সত্য যে, মার্কস এঙ্গেলস রাজনৈতিক কর্মসূচি হিসাবে নাস্তিকতার প্রচার না করলেও- একাডেমিশিয়ান আলোচনাগুলোতে নাস্তিকতার প্রচার কেবল নয়- মার্কসই নাস্তিকতারে সবচেয়ে শক্ত ভিত্তিভূমি দিছেন।
আর, কমিউনিস্ট মেনিফেস্টোতে ধর্ম- মোরালিটি এইসব নিয়া কি কি কথা লিখা আছে- তার কিছু কিছু তো উপরের কমেন্টে কোট করেছি। সেগুলো কি চোখে পড়েনি?
২৪০| ২৭ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ৩:৫২
নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন: আমি জানিনা আপনি কোন বামদের সাথে একটিভ ছিলেন। তবে অনুমান করতে পারি একটা ঘারানা ছিল এই দেশে যারা প্রলেতারিয়েতের রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলের আগেই দখল পরবর্তী প্রশাসন চালানোর জন্য "যোগ্য" নেতা বা ব্যুরোক্র্যাট তৈরিতে বেশি মনযোগ দিত ....
====>>
চরম মজা পাইলাম। হাহাহা.....
কাদের কথা কইলেন? দায়িত্ব নিয়ে বললেন তো? আমাদের দেশে এক বাম আরেক বামদের নিয়ে নানারকম কিচ্ছা কাহিনী তৈরি করে- যেগুলো আবার স্টাবলিশ করতে পারে না। আপনারটা এইরকম না তো। এই বিষয়ে খোলামেলা কথা কইতে চাই। আপনে যেইটা কইলেন- সেইটারে তো আপনার স্টাবলিশ করতে হইবো, নাকি? (আমাদেরও (অন্যনিকের কথা বলছি) এই নিয়ে কিছু কাজ করার ইচ্ছা আছে- কিছু এগুয়েছিও- এখানে সবগুলো বামদের তাত্তিক- ব্যবহারিক কাজ কর্মের একটা সামারি তৈরি করা- কিছু স্টাডি করছি, আপনার সাথে একটা খোলামেলা আলোচনা হইলে খারাপ হয় না)
আপনি আমাকে উদ্দেশ্যে এই ঢিলটা ছুড়ছেন বুঝা যায়। আপনার বয়স, আপনার অভিজ্ঞতা, আপনার প্রজ্ঞা কোনটার সাথেই যেটা মানানসই নয় বলেই মনে হয়। তারপরেও আপনাকে খুব কাছের মানুষ মনে করি বলেই বলছি- আসুন খোলামেলা কথা হোক।
সেই বিমূর্ত মাকর্সবাদ যদি এখন রিফর্ম হয়ে নাস্তিক্য প্রচার বা নাস্তিকতার ধ্বজা ফেরি করার কাজে আত্মমগ্ন হয়ে থাকেন তাহলে এই প্রেক্ষিতে মাকর্সবাদ নিয়ে আর কোন আলোচনাই অবশিষ্ট থাকেনা
===>>
নাস্তিকতার প্রচার নিয়ে আপনার এত এলার্জি কেমনে তৈরি হইলো? আর আমারে দিয়া আপনি একটা পার্টির কর্মকাণ্ড সম্পর্কে আইডিয়া পাইয়া গেলেন-
১) যেখানে উপরে কইছি যে- আমি এখন দলের সাথে যুক্ত নই
২) যেইখানে আমার আরেক নিকের কর্মকান্ডের সাথে আপনি পরিচিত
৩) যেখানে কয়েকবার বলেছি যে, নাস্তিক্য প্রচাররে এই মুহুর্তের কোন রাজনৈতিক কর্মসূচী মনে করি না।
পরিশেষে, ২৩০ নং কমেন্ট আপনাকে আরেকবার পড়তে বলবো। আমি ব্যক্তিগত ভাবে কোথায় কি করি না করি- সেগুলোর ফিরিস্তি টানাটা এই পোস্টের বা আমাদের ডিবেটের সাথে প্রাসঙ্গিক মনে হচ্ছে বিধায় পুরা ইগনোর করতে হচ্ছে। ঐ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে সামনা সামনি রাজি আছি। হঠাৎ করে ঐ প্রসঙ্গের অবতারণা ঘটানোটাও আপনার কাছে কাম্য ছিল না।
ব্যাপারস না, আপনি মনে হয় একটু চেতছেন, আপনার সাথে সামনা সামনি কথা কইতে হইবো মন হইতেছে....
২৪১| ২৭ শে নভেম্বর, ২০০৯ ভোর ৪:০০
শয়তান বলেছেন: কেবল মন্জু ভাই ই না মনির ও মনে হয় চ্যাতসে
২৪২| ২৭ শে নভেম্বর, ২০০৯ ভোর ৪:১৬
নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন:
তাই নাকি? @শয়তান
সেই কারণে তার আইজকা কোন খবর নাই.. সংকলন পোস্টও দিতাছে না....
২৪৩| ২৭ শে নভেম্বর, ২০০৯ ভোর ৪:২৫
শয়তান বলেছেন: সংকলন পোস্ট আগামিকাল আসতাসে । তবে মনিরের কম্পু ভাইরাস জ্বরেও আক্রান্ত শুনছি ।
২৪৪| ২৭ শে নভেম্বর, ২০০৯ ভোর ৫:০৮
মেহবুব রেহমান খান বলেছেন: প্লেটো একটা ইউটোপিয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন, তার প্লাতোনিক ভাববাদ দিয়ে, একই স্বপ্ন দেখেছেন মোহাম্মদ, তার ইসলামি ভাববাদ দিয়ে, আর মার্ক্স স্বপ্ন দেখেছিলেন অন্য একটা ইউটোপিয়ার তার দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদ দিয়ে। প্রশ্নটা হইলো তর্ক যাই হোক, বিশ্বাস যাই হোক, যুক্তি যাই হোক, সবাই কেবল এমন একটা স্বর্গ বা কল্পরাজ্য বা ভবিষ্যরাজ্যের স্বপ্ন কেনো দেখেন? পথ যাই হোক, সকলের স্বপ্ন দেখি একই জায়গায় মেলে। সংশয় নিয়া বড়ো জানতে মন চায়। কারণ ঐখানেই আসল উত্তর আছ ব'লে বোধ করি। ভবিষ্যৎটা তাই, পরিণতি তাই। ধর্ম-অধর্ম যাই হোক না কেনো। কারণ মহাবিশ্ব বিলুপ্ত হবে এইটাই এখন পর্যন্ত সত্য বলে জানি, বিজ্ঞানও তাই বলে। তখন কী হবে? কেউই জানে না। মাঝখান দিয়া ধর্ম হয় অধর্ম, অধর্ম হয় ধর্ম। যদিও মনুষ্য জানে না কোনটা ধর্ম, কোনটাই বা অধর্ম, যখন বলে জানি তখন যুক্তি হোক বা নিখাদ বিশ্বাস আখেরে যা করে তা হলো বিশ্বাস, স্রেফ বিশ্বাস, তাই বিজ্ঞানও বিশ্বাসেরই বিষয় হয়ে ওঠে শেষতক-শুরুটা যাই হোক যত যৌক্তিকই হোক, শুদ্ধ করে যাকে ডাকা যায় আস্থা।
২৪৫| ২৭ শে নভেম্বর, ২০০৯ সকাল ৯:৫১
রাসেল ( ........) বলেছেন: আলোচনা চলতে থাকুক, এত বড় হইছে আলোচনা, এখন আর থই পাইতাছি না।
একটা আব্দার থাকলো শয়তানের কাছে,
হুদা কমেন্টগুলারে সাইজ কইরা এইটারে একটা ই বুক কইরা ফেলান। এই রম উত্তরাধুনিক ধর্ম আলোচনা আর পাওয়া যাইবো না।
২৪৬| ২৯ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১:২৯
দন্ডিত বলেছেন: কাইলকা সকাল থিকা এই পোস্টের কমেন্ট পড়া শুরু করুম, প্রমিস। হক মাওলা
২৪৭| ২৯ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৩৮
আমি এবং আঁধার বলেছেন: @দণ্ডিত- আমিও!!!
২৪৮| ২৯ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৪৯
শয়তান বলেছেন: যাক । দুইজন ব্যাকবেন্চার পাওয়া গেল
২৪৯| ২৯ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ৩:৫৫
চানমেয়া বলেছেন:
@ নাস্তিকের ধর্মকথা,
পড়াশুনা নিয় আপনের কমেন্টে মজা পাইলাম, অনেকটা এক্মতও। উদ্দেশ্যহীন পাঠ বিপ্লবীর উদ্দেশ্য না, এইখানে তো আপনার কমেন্টা চরম হৈসে।
কিন্তু যাস্ট কৌতুহল থিকা জিগাই: আপনার কমেন্টে তো মনে হৈল খুটিনাটি শতসহস্র উপাত্ত হ্যান্ডল করার উপ্রে বিপ্লব নির্ভর করে!
আমার অবশ্য কেমন জানি মনে হয়, বারানভের চুলচেরা থিসিস জাইনা ধরেন স্বাধীনতা চাই আম্রা, এইটা বুঝি নাই। মোটাদাগে নুরুল ইসলামসহ আরও কিছু লুকের হিসাবনিকাশে বুঝছি যে আম্রা শোষিত।
কিউবার বেলায়ও কথা একই। আমি মনে করি না, লেনিনের রাশিয়ায় পুজিবাদর বিকাশ নিয়া কামে ডাটায় দুইটা চাইরটা ভুল হৈলে বিপ্লবের মহা ক্ষতি হৈত। যেমনটা আমার মনে হৈল শহীদুল্লারে হাল্কা রিডিকিউল করা দেইখা।
লেনিনের সবচে বড় গুরুত্ব আমার কাছে এই যে, তিনি মোটা দাগে পার্টির সামনে একটা কর্তব্য হাজির করছেন, কিংবা মাও ও তাই।
ভাল কথা, মাও তো সমকালীন পশ্চিমা দর্শনের সাথে বেশ কম পরিচিত ছিলেন। কিন্তু নিজ দেশের দর্শন -ঐহিত্য তার আত্মস্থ ছিল। লেনিন মার্কসের অন্তত দুইটা মেজর কাজ চোখেই দেখেনি।
ফলে, বিপ্লবীর পাঠাভ্যাস নিয়া আপনার কথায় একমত, বাট এটা জানাই যে, আপানকে তথ্যঘোর কিংবা তত্ত্বশ্লাঘায় পাইয়া বসছে, এমন একটা ইশারা পাইলাম কমেন্টের শেষাংশে।
(মনির ভাই মাফ কৈর। কমেন্টা ধম্কম্ম নিয়া হৈল না।)
২৫০| ২৯ শে নভেম্বর, ২০০৯ ভোর ৪:০০
চানমেয়া বলেছেন:
@ নাধ
ভাল কথা, নারীর যৌনতা,ফ্যান্টাসি নিয়া বিষয়টা নিয়া গবেষণাগুলার পুরুষালি চেহারর কথা আমারও মনে হৈসে, সেইটা নিয়া পাঠ এবং সমাধান প্রদানও বিপ্লবীর জন্য জরুরি বটে।
উত্থাপিত কোন প্রশ্নের দার্শনিক মীমাংসা না করে সমাজ আগায় না, কিন্তু কোন কোন প্রশ্নের উত্তর কোন কোন পর্বে মীমাংসিত হতে পারবে, তারও একটা সীমাবদ্দতা আছে।
২৫১| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৫১
ধ্রুব তারা বলেছেন: লেখাটি পড়ে দেখতে পারেন। আশা করি ভালো লাগব
View this link
২৫২| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ২:৩১
এ.জে. মিন্টু বলেছেন: উরিব্বাস!!! সামুর ইতিহাসের সেরা আলোচনাটা দেখলাম। চলুক।
২৫৩| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ২:৪৭
শয়তান বলেছেন: সম্পুর্ন আলোচনাটা একটা ওয়ার্ড ফাইলে কনভার্ট করে আপলোড করে দিলাম এখানেঃ dhormo gulor vobisshot ki - monir hasan
আশাকরি অনেকেরই উপকারে আসবে
২৫৪| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ৩:২৮
এ.জে. মিন্টু বলেছেন: আল্লার শত্রুরে বিশেষ থ্যাংকু। নামাইতাসি। পিডিএফ করন গেলে ভালৈত।
২৫৫| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ ভোর ৪:৩১
শয়তান বলেছেন: আলোচনাটার পিডিএফ কপি এখানেঃ dhormo gulor vobisshot ki - monir hasan.pdf
২৫৬| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:০০
২৫৭| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ২:৩৫
হতবুদ্ধি বলেছেন: এটা পড়ে আসেন
Click This Link
২৫৮| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৩:২৪
বিপ্লব০০৭ বলেছেন: ধর্ম'গুলোর ভবিষ্যত কি ? নাস্তিক'রা ধর্মের কি পরিনতি বা অবস্থা দেখতে চায় ? ...একটি আলোচনা পোস্ট ..বিশেষত নাস্তিকদের জন্য
খালি শিরোনামটাই পড়লাম। মনির ভাই, দু:খিত...চিন্তা করার টাইম নাই এখন আমার। পড়াশোনা... ব্যস্ত। আমরা প্রকৃতিবিজ্ঞানের ছাত্ররা থরে থরে সাজানো এক একটা পণ্য, মান অনুযায়ী বিক্রীত হবো ভবিষ্যতে। কর্পোরেট দুনিয়ায় নিজেকে বেচার জন্য আমিওতো লালায়িত। পৃথিবীর মানুষের দু'বেলা খাবার যোগাড় হয় না, সেইখানে এইসব তাত্ত্বিক প্যাঁচ, পড়াশোনা, দর্শন- সব অর্থহীন মনে হয়...কী করমু তাই বুঝি না। আপাতত এই।
২৫৯| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৩:৪৭
আজম মাহমুদ বলেছেন: সুহৃদ,
আপনার ভালো থাকা কাম্য। ধর্ম বিষয়ক ব্লগে আপনার আগ্রহ এবং জ্ঞান বেশি বলেই আমি জানি। তাই আপনাকে সর্নিবদ্ধ নিমন্ত্রন আমার ধর্ম বিষয়ক মুক্ত আলোচনার ব্লগে। আশাকরি আপনি আসবেন এবং আপনার মূল্যবান মতামত দিয়ে আলোচনাটিকে সার্থক করে তুলবেন।
Click This Link
২৬০| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৩৮
বর্ণচোরা বলেছেন: ধ র্ম খাকবে...তবে কর্মের মাঝে ধর্ম থাকবে না।
ধর্ম থাবে কারণ... এটাই হলো বীশ্বায়নের সবচাইতে বড় ব্যবসা....
সম্রাজ্যবাদ টিকিয়ে রাখার জন্য ক্ষমতাসীনরাই ধর্মকে টিকিয়ে রাখবে
২৬১| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৪৪
হাফিজুর রহমান বলেছেন: তখন ফ্রিম্যাসন থাকবে, শয়তানের পূজা করবে। আর যদি বলেন ফ্রিম্যাসনরা থাকবে না, সেদিন আসলে দুনিয়াই থাকবে না।
২৬২| ০৫ ই মার্চ, ২০১০ দুপুর ১:২৩
মোহাম্মদ ইউসুফ বলেছেন: তামিম আউট হয়ে যাওয়ায় মনটা ভাল নেই। তারপরও বলছি অন্য ধর্মের বেলায় কি হবে জানিনা, তবে ইসলাম টিকে থাকবে শেষ দিন পর্যন্ত, সব বাদ দিয়ে যদি একটিমাত্র কারণ বলতে হয় তাহলে বলবো পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেছেন " আমি এ কোরআন অবতির্ণ করেছি এবং নিশ্চই আমি তার অবশ্যই সংরক্ষন করবো"
সন্দেহের অবকাশ নেই।
২৬৩| ০৬ ই মার্চ, ২০১০ রাত ১০:১৫
কঠিনলজিক বলেছেন: এক দিন ধর্ম থাকবে না ।
যত দিন ধর্ম থাকবে বা একজন আল্লাহ বিশ্বাসী থাকবে ক্বেয়ামত হবে না।
সকল ধর্মেই মোটা মুটি এরকম ইংগিত আছে। ( ইহুদি, খৃস্টান, মুসলিম, অন্য টা জানা নেই )
এখন প্রশ্ন হলো ( ধর্ম'গুলোর ভবিষ্যত কি ?) ভবিষ্যত বলতে কি বুঝাতে চেয়েছেন? অন্তিম টা তো ধর্মেই আছে যা আগেই বল্লাম ।
নিকট ভবিষ্যতের বর্ণনা টাও ধর্মেই আছে।
ক্বোরআন বা হাদিসে ( সঠিক রেফারেন্স কারো জানা থাকলে দিয়ে সাহায্য কইরেন) কোথাও বলা আছে
প্রতি ১০০ বছরে একজন "মুজাদ্দিদ" আসবেন , কেন?
কারণ নিশ্চয় প্রতি ১০০ বছরে ধর্মের বিবর্তন হবে ।
প্রথম ধাপে মানুষ তার প্রয়োজনে ধর্মের বিধানের সংগে আপোষ করবে , এবং পর্যায়ক্রমে সাময়ীক বিলুপ্ত হবে ।
এবং আল্লাহ আবার ধর্ম কে জিবিত করবেন ।
ইসলামের প্রকাশ কাল থেকে এই প্রক্রিয়া এখন পর্যন্ত সন্দেহাতীত এবং ঐতিহাসিক ভাবে প্রমানীত ।
৭০০ খৃঃ পবিত্র মদিনা থেকে ইসলামের চর্চা কেন্দ্র চলে যায় বাগদাদ , ৮৫০-১০৫০ খৃঃ বাগদাদ থেকে সিরিয়া
১০৫০-১২০০ খৃঃ স্পেন কোর্ডোভা
১২০০-১৩৫০ খৃ খোরাসান ,বোখারা, ইস্পাহান (ইরান , রাশিয়া)
১৩৫০-১৪৫০ খৃঃ মিসর ও আফগান এলাকা
১৪০০-১৫০০ খৃ্ তুর্কি
১৬০০-১৯০০ খৃ ভারতবর্ষ
তারিখ গুলো সম্পূর্ণ সঠিক নাও হতে পারে বিচ্ছিন্ন ভাবে পড়া সৃতি থেকে দেওয়ার চেস্টা করে গিয়েছি।
লক্ষণী্য় বিষয় হল যেমন যেই মুহুর্তে (১৫০০-১৬০০ খৃঃ ) ভারতবর্ষ ইসলামী চর্চার কেন্দ্র পরিণত হচ্ছিল তখন পুর্ববর্তী কেন্দ্র (স্পেন কোর্ডোভা
খোরাসান ,বোখারা, ইস্পাহান ) তে চর্চা শুধু বন্ধ নয় বরং শাস্তি যোগ্য অপরাধ গন্য হয় ।
আরেকটা বিষয় আমাদের চোখের সামনেই আছে ।
ঢাকা শহরের তিন শতকের তুলনা করুন ১৭৯০-১৮৯০-১৯৯০
অথবা ১৮৫০-১৯৫০-২০৫০
আজকে যত মসজিদ আছে ,যত নামাজী আছে যত কো্রআন পড়তে জানা লোক আছে ১৯৭৫-১৯৮০ আমার ছোট বেলায় কিন্তু তা ছিলনা ।
আমার দাদা বা উনার সময়ের ১৯১০-১৯৫০ লোক রা আজকের মত ধার্মিক ছিলেন না ।
১৯০০-১৯৫০ এত মসজিদ মাদ্রাসা ছিলনা। ঐ সময়ের কোন ছবি তে আমি এখন পর্যন্ত কোন হুজুর দেখি নাই । ১৯৭৫-১৯৮০ সালে টুপি পরা কয়জন চোখে পড়ত? আর ২০১০ এ?
আবার যদি ১৮২০-১৮৬০ ঢাকা কে দেখি সেই সময়ের অনেক মসজিদ ,মাজার আজো বিদ্যমান আছে ।
একটা গ্রাফ করলে ১৮২০ থেকে ১৮৬০ পিক ১৮৬০ -১৯৭০ ডাউন ১৯৭০-২০১০/২০২০ পিক এর একটা চিত্র পাওয়া যায়।
আরেকটা উদাহরন দেই
১৩০০ খ্বঃ হযরত শাহজালাল রঃ সিলেট এ আসেন সাথে ৩৬০ আউলিয়া।
বুঝাই যায় ধর্মের পিক টাইম ছিল তখন সিলেট ১৩০০ সালের ধর্মের প্রভাব ১৯০০ সালেও সিলেটে পাবেন ২০১০ সালে অনেক মাদ্রাসা ,মাজার আছে , বিস্ময়কর ব্যাপার হল ১৮৫০ সালের সিলেট এ কিন্তু এই ইসলাম ছিল না ।
১৩০০ সালে আছে ১৯০০ তে আছে কিন্তু ১৮০০ নাই। বিস্ময়কর বটে।
যে কথাটা বলতে চাচ্ছি
#১ ধর্ম(ইসলামের) সময়ের সাথে বিলুপ্তি এবং পুনরু্ত্থান এর কথা ইসলামেই বলা আছে। তাই এরকম না হওয়া টাই বরং অস্বাভাবিক।
#২ যেহেতু ইসলাম সমগ্র পৃথিবি ও মানব জাতির জন্য প্রেরিত তাই এর চর্চা কেন্দ্র কে মহান আল্লাহ পর্যায় ক্রমে সকল মহা দেশে স্থাপন করবেন ।
এমন কি একদিন আমেরিকাতেও হবে ।
এটা আমার কথা না , বি বি সির এই রিপোর্ট টা দেখুন
Click This Link
#৩ প্রতি ৫০-৮০ বছরে সাময়িক বিলুপ্তি এবং বিবর্তন হবে।
এই বিবর্তন হবে ৫০-৮০ বছরে ইসলামে ঢুকে যাওয়া আবর্জনা পরিস্কার ও নতুন কেন্দ্র প্রতিস্হাপনের জন্য। এটা কোন অঘটন নয় বরং এরকম হবার পরিস্কার বর্ননা উপস্হিত ।
#৪ গত ১৪০০ বছর যাবৎ প্রমানীত, প্রতি বিলুপ্তি পরবর্তি উত্থান হয় পুর্বের চেয়ে বহুগুন ব্যাপক ও গতিশীল ।
আশাকরি ধর্মের আলোকে ধর্মের ভবিষ্যত কি ? তা বলতে পারলাম ।
নাস্তিক রা কি ভবিষ্যত দেখতে চায় ? এই বিষয়ে বলার মত কথা আছে।
আমি চাই আকাশের রং টা সবুজ হোক । আমি চাইলেই কি? বেইল আছে?
০৮ ই মার্চ, ২০১০ রাত ৮:৩৮
মনির হাসান বলেছেন: হা হা হা হা ... অনেক অনেক ধন্যবাদ
২৬৪| ১২ ই মার্চ, ২০১০ রাত ১০:৪৪
ফরহাদ মাহমুদ সোহাগ বলেছেন: এমন সময় কখনো ছিল না যে সময়ে ধর্ম ছিল না। অতএব পূর্বে যেমন ধর্ম ছিল, এখনো আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। ধর্ম টিকে থাকলে বোধ হয় আপনাদের খুব অসুবিধা আছে। আপনার কাল্পনিক ধর্মহীন পৃথিবীর স্বপ্ন দেখতে তো পয়সা লাগে না। স্বপ্ন দেখুন। মুক্তমনারা তো খুব চেষ্টা করে যাচ্ছেন ধর্মের মূলোৎপাটনে। চেষ্টা চালিয়ে যান। উলুবনে মুক্তো ছড়ান, অরণ্যে রোদন করতে ইচ্ছা হলে করেন আমার কি..........
১৩ ই মার্চ, ২০১০ রাত ৩:২১
মনির হাসান বলেছেন: জ্বী ভাইসাব ... পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ
২৬৫| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৩:১১
turborx15 বলেছেন: @ all..........apnar muslim vai apanara jara allah ke believe koren tara nastik theke dure thakun...nastikra sudhu udvrot prosno kore manus ke bipode fele...nastik der hajar vujleo kaj hobe na...tara sudhu jamelar jonnoi eisob udvrot qus kore.... tai tader eisob udvrot qus er ans na diye nastik der bolun....tomader kotha ami mene nibo...tar age bolo tomader eisob tothakothito sotter subidah ki?....dekhben nastikra okopote ans dibe seisbo kajer ....jar sobi onnnay...ottachar,,,,bavichar...julum...!!! ..karon jar kno voy nai...tar darai sokol onnnay...ottachar,,,,bavichar...julum...somvob..
tai muslim vai der ke amr unorod apnara nastik der kothay bicholito hobe na.....
Muhammad (S.A.V) ekbar sahbider bolen.... keyamoter age muslim der oneek boro boro gunah map kore deya hobe oneek choto uchilay...tokhon sahabia bolechilo kno?...
Muhammad (S.A.V)...utttore bolen....karon tokhon islam er upore chola hobe gorom tawer upore thaka....r tomra amake dekhe mano...r tara amake na dkehe manbe.....!!!
ei gorom tawer fol ta amara ekhon dekhtasi...islam er nitior upore cholte gelei ashe...nastik der badha....muhammad (s.a.v) er sunnot mante giye je aj amra dari ta rakhbo ...sei dari ta rakhte gelei 1st badha dey oi lokeri wife...je tar sathei thake...tar mane ekhon badaha to suru hoyeceh nijer ghor thekei,,, tarporo apnara allah ke bissash koren......islam er nitior upore cholte jeno paren...sei doa kori....Amin.....allah sokol nastik der tumi hedayet dau....
Muslim vaiye ra apnare nastik der dekhe bicholi hoyen na....Allah tala quran e oneek ageo bolechen...keyamoter age islam er upore oneek akkromon asbe...R ekhon apnara ta dekhtesen ....muslim der opore nastik der akkromon...tai quran er kotha jokhon nijei dekhlen tai apnader uchit iman ke aro mojbut kora ..karon keyamot tokhoni hobe jokhon allah er nam neyar moto kew thakbe na....... mumin ra nastiker kotha sune vul pothe jay na...nastik der kotha sune mumin der iman aro mojbut hoy sei kotha ta nastik der jana uchit....!!!
@ Duniar sokol nastik......manus jokhon kno company te chkuri kore tokhon oi loker kaj thake company aro establish kora...tar unnoti kora...r er binimoye malik take beton dey...kormocharir kaj thake na je malik company ta kivabe banaise....?????.....r ei kaj jodi office bose kore tahole oi kormocharir beton to durer kotha chakuri koy din thake seita vabar bishoy....R apnar nastikera sei company kivabe banano hoise sei kothai vabtesen....chakuri r koydin apnader ache sei chinta ekhon koren!!!!
“Allah sokol nastik der tumi hedayet dau....sobai bolun Amin……”
০৪ ঠা মে, ২০১০ রাত ৩:২২
মনির হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
দোয়া করি বেহেস্তে আপনি যেন দুইটা হুর বেশি পান।
২৬৬| ১৩ ই জুলাই, ২০১০ রাত ১১:১৯
রাস্তার ছেলে বলেছেন: বহুত পরে উপস্থিত! একেবারেই অসময়ে। তার পরও বলি,
মানুষের সবচেয়ে শক্তিশালী সৃষ্টি হল ধর্ম। কাজেই ধর্মের টেকা না টেকাটা নির্ভর করে মানুষ এরচেয়ে আরও শক্তিশালী কিছু তৈরী করতে পারবে কিনা তার ওপর। এক্ষেত্রে বিজ্ঞান, বিশেষ ভাবে পদার্থ বিজ্ঞানে ভূমিকা প্রধাণ। ইতিহাস সাক্ষী দেয়, যখনই মানুষের ভেতরে জ্ঞানের চর্চা কমে আসে, তখনই ধর্ম মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। যেমন, গত ৫০ বছরে পদার্থ বিজ্ঞানে কোন মৌলিক আবিষ্কার হয়নি। ২য় বিশ্বযুদ্ধের পরে কমে আসা ধর্মের প্রভাব তাই আবার বেড়ে যাচ্ছে। বিজ্ঞানিরা জানেন যে কিছু একটা তাদের আবিষ্কার করার আছে। সেটা যে সৃষ্টি রহস্য তা বলার প্রয়োজন নেই। আপনি দেখবেন, সব ধর্মই সৃষ্টি রহস্যের হয় নিজ নিজ ব্যাখ্যা দিয়েছে নয় ধারকরা ব্যাখ্যা দিয়েছে। আসলে মানুষ বিজ্ঞানের এই স্থবিরতার যুগে (স্থবিরতার ব্যাপারটা আমার ব্যক্তিগত মতামত) এক ধরনের অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে। তার কারণ মানুষের সবচেয়ে প্রাচীণ প্রশ্ন, "আমি কোথা থেকে এলাম? কেন এলাম?" - এর সমাধান এখনও হয়নি। এখনও তাই স্বাভাবিক নিয়মেই ধর্ম তার আধ্যাত্মিকতা দিয়ে প্রভাব বিস্তার করে যাচ্ছে দূর্বলের উপরে। কাজেই বিজ্ঞান কতদূর এগোতে পারবে আর কত তাড়াতাড়ি এগোতে পারবে তার ওপর নির্ভর করছে বর্তমানের আধ্যাত্মিকতা নির্ভর ধর্মগুলোর ভবিষ্যৎ।
এখানে খেয়াল রাখা দরকার ধর্ম আবার শাষক শ্রেণীর একটা মোক্ষম হাতিয়ারও বটে! কাজেই বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রা যেহেতু নির্ভর করে টাকার যোগানের ওপর, আর সেটার প্রাপ্যতা যেহেতু নির্ভর করে শাষক গোষ্ঠীর ওপর, বিজ্ঞান আদৌ কোন সমাধানে আসতে পারবে কিনা, পারলেও কত তাড়াতাড়ি পারবে সেটা সরাসরি নির্ভর করছে পৃথিবীর শাষক শ্রেণীগুলোর স্বার্থের ওপর। তারা মিডিয়ায় প্রচারে বেশি টাকা ঢালবে, স্পায়িঙে টাকা ঢালবে, নাকি বিজ্ঞানের চর্চায় বেশি টাকা ঢালবে, কোনটা তাদের বেশি প্রয়োজন, সেটা আবার নির্ভর করছে তাদের রাজনৈতিক স্বার্থের উপর। এগুলো আমাদের সময়ের দ্বন্দ্ব। সুতরাং ধর্ম আর বিজ্ঞান কোথায় যাবে সেটার পুরো নিয়ন্ত্রণই আছে আমাদের শাষকদের ওপর, তাদের ভেতর বিরাজমান দ্বন্দ্বের ওপর।
আবার যতদিন হানাহানির রাজনীতি চলবে, যুদ্ধ চলবে, যুদ্ধাস্ত্র তৈরী জারি থাকবে। কাজেই বলা যায় কোন না কোন মাত্রায় বিজ্ঞানের চর্চা থেকেই যাবে। সেদিক থেকে যদি মনে করা যায় যে (আসলেই মনে করা যায় কিনা আমার সন্দেহ আছে!) বিজ্ঞান একটা ব্রেকথ্রু আনতে পারবে, তাহলে আলোচনাটা আরেকটু গভীরে নেয়া যায়। দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদ অনুসারে সমস্ত রকমের দর্শণ, চিন্তা, সংস্কৃতি, আচার আচরণ ইত্যাদি একটা সময় পরপর বারবার ফিরে ফিরে আসে একটু বিকশিত রূপে। অর্থাৎ সভ্যতার গতি হেলিক্যাল (চক্রাকারে ওপর দিকে)। যেমন ধরেন, ফরাসী বিপ্লব পূর্বের সময়ে রাজকার্যে চার্চের একটা গভীর প্রভাব ছিল। ইদানিং একটু অন্যরূপে অনেকটা একই গভীরতায় কিন্তু একটু লুক্কায়ীত প্রভাব শাষক শ্রেণীর ভেতর দেখা যাচ্ছে। যেমন ওবামা মুসলমান, নাকি ইভাঞ্জেলিস্ট এই নিয়ে ম্যালা কিসসা হয়ে গেল! আবার য়ুরোপ, আম্রিকার শাষকেরা ইদানিং প্রায়ই চার্চে দাঁড়িয়ে ভাষণ দিচ্ছেন। অর্থাৎ ধর্ম কিন্তু ফিরে এসেছে একটা নতুন বিকশিত রূপে!সুতরাং সেই হাইটেক যুগে এখনকার আধ্যাত্মিক ধর্মগুলোর রূপ হাইটেক হলেও হতে পারে। সে ক্ষেত্রে তার রূপ আসলে কি হবে, কিভাবে বিবর্তন ঘটবে তা নির্ভর করবে সেই সমাজের দ্বন্দ্বের ওপর। সুতরাং ১ - ৪ এর উত্তর মনে হয় হয়ে গেল!
৫ এর ক্ষেত্রে, বলি; যে সব মানুষ ঈশ্বরে বিশ্বাস রেখে শান্তি পায় তারা আসলে দূর্বল হৃদয়ের মানুষ। লড়াইয়ের মানসিকতা নাই। তবে এটাও ঠিক, এসব মানুষ এই সমাজেরই তৈরী। সমাজের বাইরে থেকে এরা আসেনি। কাজেই বলা যায় এসব মানুষের মনের কাঠামোর বিকাশের সাথে এই সমাজের দ্বন্দ্বগুলোর নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। সুতরাং এরা ভবিষ্যতের সমাজে থাকবে কিনা সেটাও ঐ ভবিষ্যতের ওপরই নির্ভর করছে। সম্ভাবনা আছে মানুষের সমস্যাগুলোর স্বরূপ পরিবর্তনের, সামাজিক পরিস্থিতি পাল্টানোর, মানসিকতা পাল্টানোর।
ম্যালা ফ্যাচ ফ্যাচ করলাম। এবার রাখলাম।
২৭ শে জুলাই, ২০১০ রাত ১:২৯
মনির হাসান বলেছেন: হাইটেক ধর্ম হা হা হা হা ... চমৎকার একটা চিন্তা মাথায় এল।
বিশাল এবং চমৎকার মন্তব্যটির জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ রাস্তার ছেলে।
বহুত দিন পর আসলেন ব্লগে। পাপী'দের মনে রেখেছেন দেখে আবারও ধন্যবাদ ।
২৬৭| ১৩ ই জুলাই, ২০১০ রাত ১১:৩৭
আমি ভাল আছি বলেছেন: আগামীতে ধর্মকে নির্মূল চাইলে সামুর মত বাংলা ব্লগের সংখ্যা বাড়াতে হবে। সামুর ধর্ম বিষয়ক যে কোন একটা লেখা পড়লেই কেল্লা ফতে
২৭ শে জুলাই, ২০১০ রাত ১:১৯
মনির হাসান বলেছেন: হা হা ভালো বলছেন
২৬৮| ০৭ ই আগস্ট, ২০১০ সকাল ১০:৫০
কালা কাশেম বলেছেন: ভাল ভাল.....লেখাটা ইসলাম নিয়া হইলে আরো ভালো হইতো....।আশা করব আপনার কাছ থেকে ইসলামের ভাল দিক নিয়া কিছু লিখবেন।জয়তু বাকসাল................
২৫ শে নভেম্বর, ২০১০ রাত ১:১৮
মনির হাসান বলেছেন: বাকশাল ভানান মনেহয় ভুল হইছে ।
২৬৯| ১০ ই আগস্ট, ২০১০ বিকাল ৫:৩১
কাকপাখি ২ বলেছেন: রাত আভিভি বহুত বাকি হ্যায়।
বৈজ্ঞান, বৈজ্ঞানের সীমাবদ্ধতা এবং উহার মইধ্যে নাস্তইক্যবাদিগনের ভ্রান্তি-বিলাস।
২৫ শে নভেম্বর, ২০১০ রাত ১:১৯
মনির হাসান বলেছেন: হুমমম বিষয়টা নিয়া আলোচনার জায়গা আছে ।
২৭০| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:৩৯
শিব সত বলেছেন: আপনাদের আর কোনো চিন্তার কারন নাই, আধুনিক মহাপুরুষ হওয়ার চেষ্টা নিতেছি,অচিরেই অমর,অব্যয় এক নতুন ধর্ম লইয়া হাজির হইতাছি।
২৫ শে নভেম্বর, ২০১০ রাত ১:২৩
মনির হাসান বলেছেন: চেষ্টা করেন। আপত্তি নাই।
২৭১| ১২ ই নভেম্বর, ২০১০ ভোর ৪:৫৬
এম মেহেদী হসান(বুলবুল) বলেছেন: এই করণেইতো বলি আমাগো দেশ এত গরীব কেন। কেন এই দেশের মানুষ অন্য দেশে গিয়ে কামলা দেয়, গোলামী করে। কাজের কাজ কিছুই না সবাই শুধু নিজের জ্ঞান জাহির করার জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা সময় নষ্ট করে আজগুবি সব বিষয় নিয়ে ব্যস্ত।
আপনারা যে বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করতেছেন, ছামুতে বেশির ভাগ পোষ্টই এই ধরনের সময় নষ্ট করানোর পোষ্ট এর শুরু আছে তো শেষ নেই।
আমার কথা হচ্ছে- কয়েক কোটি বছর ধরে যদি এই আলোচনা চলতে থাকে তাহলে কি তা শেষ হবে? সবাই কি একমতে পৌঁছবে?
আমার মনে হয় এই আলোচনা তারাই করবে যাদের কোন কাজ নেই ৬০ বছরের উপর বয়স তারা। কারণ তারা সারা জীবন কাজ করে শেষ বয়সে এসে বই পড়বে+ লিখবে আর জীবনে জত জ্ঞান আর্জন করেছে তার পর্যালোচনা করবে।
হায় হায়রে ! আমার আজকের রাতটাই মাটি করে দিল এই ফালতু ছামু। আমি যদি আর কোনদিন ছামুতে ঢুকি তাইলে যেন আমি গরুর গোবর খাই।
ওই মিয়ারা আপনাদের মাথায় এত বুদ্ধি তাইলে সাধারন একটা মোবাইলের ব্যাটারীও তো তৈরী করতে পারেন না। পারেন না তো একটা এ্যন্টি ভাইরাস তৈরী করতে, পারেন না তো এটা সফট্ওয়ার তৈরী করতে। অন্য দেশের মানুষ কম্পিউটার তৈরী করে আপনারা তো তার একটা মাউস কি-বোর্ড পর্যন্ত তৈরী করতে পারেন না। ভাল একটা দুধের ফিটারও তো নিজেরা তৈরী করতে পরেনা না ওটাও অন্য দেশ থেকে ভিক্ষা করে আনতে হয় । আমার একটা ল্যাপটপ নষ্ট হইছিল কই ওটা তো ঠিক করে দিতে পারলেন না সেটাকে সিংগাপুর পাঠাইলেন ঠিক কারার জন্য শেখান থেকে ১৪ বছরের এক পিচ্ছি ৩০ মিনিটের মধ্য ঠিক করে দিল। আপনাদের মত এত জ্ঞনী, বিচক্ষণ, বুদ্ধিমান লোক থাকতে কেন আপনারা ওটা ঠিক করতে পরলেন না। আপনারা এত জ্ঞানী তাহলে কেন সামান্য একটা হাতঘরড়িও তৈরী করতে পারে না তাও বিদেশ থেকে আনতে হবে কেন.? মাথার মধ্য এত বুদ্ধি তো ভাল ভাল লেটেস্ট মডেলের গাড়ি তৈরী করে জাপনের কছে বিক্রি করন যায় না.? বাঙালির কালো মথায় নাকি অনেক বুদ্ধি, তো ওই বুদ্ধি খাটায়া ক্ষেপানো অস্ত্র তৈরী করে আমেরিকারে ভয় দেখান না কেন? কেন ওদের গোলামি করেন পা চাটেন? যারা বলে বাঙালির মাথায় বুদ্ধি বেশি তাদের মুক্খান একবার দেখতে মুঞ্চায়। এত বুদ্ধই তবে কেন আপনারা অন্যদেশে ভিক্ষা করতে গিয়ে, মুরুভুমির বালু ঝড়ে, সাগরের নোনা পনিতে ডুবে, সাইবেরিয়ার বরফে, আফ্রিকার জংঙ্গলে না খেয়ে ধুকতে ধুকতে শিয়াল কুকুরের মত মারা যান। আপনাদের মাথায় এত বুদ্ধি তাহলে কেন কানাডার একজন লোককে আপনার কাজের লোক হিসাবে রাখতে পারেন না। যদি পারতেন তাহলে বালা যেত যে না বাঙালির মাথায় আসলেই বুদ্ধি আছে, অন্যদেশের মানুষ আমাদের কাজ করে দেয়। তখন আপনারা সামুতে সারাদিন বসে বসে আরামসে ফুটুস, ফাটুস ফুটুস ফাটুস করতে পরতেন। আর নতুন নতুন আজগুবি টপিকস বের করে তর্কের ঝড় তুলতে পারতেন। আর টপিকস গুলে হতো এরকম
- কি ভাবে আরেকটা পৃথিবী তৈরি করা যায়,
- সুর্যটা ঠিক সময় উঠে না তাই সুর্যকে কিভাবে সায়েস্তা করা যয়।
-এলিয়েনদের সাথে কিভাবে যুদ্ধে জয়লাভ করা যায়।
-বর্তামন স্রষ্টা খুব একটা কাজের না তাই এখনই তাকে গদি থেকে কিভাবে নামানে যায়। এরকম হাজারো আজগুবি টিপিকস নিয়ে আলোচনার তর্কের বন্যা বাসইয়া দিতে পারতেন।
তাতো আর পরবেন না, বসে বসে খালি পুদ্দারী ঢাল নেই তলোয়ার নেই টেম্পোরারীর নাতি।
এখানে এত বুদ্ধিমান লোকের ছড়াছড়ি আমাকে জাষ্ট একটা সমস্যার সমাধান কারে দেন, আর তা হল ছোট্র একটা বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপন করেন যেখান থেকে সারা বাংলাদেশর না হোক অন্তত ঢাকা শহরের বিদ্যুতের চাহিদা মেটানো যাবে। আচ্ছা ওটা না পারলে ঢাকার একপ্রন্ত থেকে আরেক প্রান্তে একটা ফ্লাই-ওভার করে দেন। কি পারবেন না? না পারলে আজকে সবকটাকে ধইরা পাবনা পাগলা গারদে পাঠামু।
যত্তসব ফালতু সেন্টিমেন্ট।
২৫ শে নভেম্বর, ২০১০ রাত ১:২৭
মনির হাসান বলেছেন: আগে আপনার আল্লাহ'কে বলে দেখুন ওগুলো করে দেখাতে পারে কিনা । তারপর আইসেন ।
২৭২| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ১১:৩৩
প্রচ্ছদ বলেছেন: ঠেলা
২৫ শে নভেম্বর, ২০১০ রাত ৩:০১
মনির হাসান বলেছেন: প্র তাইলে বাইচা বর্তে আছে
২৭৩| ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৫২
মোঃ মাহাবুব তালুকদার বলেছেন: আমার মনে হয় বুলবুল ভাই...আমাদের দেশের এসব সুপন্ডিত মূর্খ জ্ঞানীদের যদি ইংরেজ এবং বিদেশীদের জুতা মোছার গবেষনায় নিয়োজিত করা যেত।তাহলে মনে হয় তারা হান্ডেডে হান্ডেড ফাস্ট ক্লাস পেত।
কারন এছাড়া তাদের মাঝে আর ভাল কিছু থাকলে তো ??
২৭৪| ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৫২
মোঃ মাহাবুব তালুকদার বলেছেন: আমার মনে হয় বুলবুল ভাই...আমাদের দেশের এসব সুপন্ডিত মূর্খ জ্ঞানীদের যদি ইংরেজ এবং বিদেশীদের জুতা মোছার গবেষনায় নিয়োজিত করা যেত।তাহলে মনে হয় তারা হান্ডেডে হান্ডেড ফাস্ট ক্লাস পেত।
কারন এছাড়া তাদের মাঝে আর ভাল কিছু থাকলে তো ??
২৭৫| ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৩
মোঃ মাহাবুব তালুকদার বলেছেন: আমার মনে হয় বুলবুল ভাই...আমাদের দেশের এসব সুপন্ডিত মূর্খ জ্ঞানীদের যদি ইংরেজ এবং বিদেশীদের জুতা মোছার গবেষনায় নিয়োজিত করা যেত।তাহলে মনে হয় তারা হান্ডেডে হান্ডেড ফাস্ট ক্লাস পেত।
কারন এছাড়া তাদের মাঝে আর ভাল কিছু থাকলে তো ??
২৭৬| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৩
তানভীর আহমেদ সম্রাট বলেছেন: এক সময়ের মহা প্রতাপশালী ঈশ্বর জিউস সময়ের পরিক্রমায় আজ রুপ কথায় পরিনত হয়েছে !!!
ইন্টারনেটের কল্যাণে জ্ঞান আহরনের পথ যেহেতু আজ উম্মুক্ত তাই আব্রাহামিক ধর্মগলোর একই পরিনতিতে যেতে আর বড়জোর একশ বছর হয়ত লাগতে পারে.
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১:১৮
দন্ডিত বলেছেন: অনেক কথা কওনের আছে। বাট আইজকা ক্লান্ত আছি।
একটা কথা কইয়া আলোচনা শুরু কইরা দিয়া গেলাম।
অলৌকিকতার প্রভাব অনেকটাই চলে গেছে। বিশ্বাসী মানুষরাও ব্যক্তিগত জীবনে অলৌকিকতার বিশেষ পাত্তা দেন না।
ধর্ম তাই আধ্যত্নিক মটিভেশন হয়ে গেছে অনেকটাই যার চুড়ান্ত পরিণতি সম্ভবত ধর্মকে মেডিটেশন জাতীয় ব্যাক্তিগত প্র্যাকটিসে পরিণত করা।