![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সেলিম জাহাঙ্গীর যে দ্যাশে নাই জীন মরণরে আমার মন ছুটেছে সেই দ্যাশে গুরু লওনা আমায় তোমার সে দ্যাশে
কেউ এই লিখা নিয়ে বিরোধিতা করলে অবশ্যই কোরআনের রেফারেন্স দিয়ে করবেন। অযথা অন্ধদের মত চিল্লাইবেন না।
তর্কটি অতি পুরনো। তবে অবশ্যই মৌলিক। কোরআন ও শরিয়ার সাথে বেশ কিছু বিষয় নিয়ে মতনৈক্য রয়েছে তবুও প্রকৃত আসল তথ্য উদঘাটনের চেষ্ট কেউ করেননী তানয়, তবে এই তথ্য সন্ধানে কেউ বেশী অগ্রসর হয়নি নানান কারনে। এই প্রকৃত তথ্য উদঘাটনে গোড়াহ্ মৌলবাদী জ্ঞানহীন আলেম ওলামাদের ভয় করেছে বেশীর ভাগ মানুষ, গবেষক, লেখক, কলামিষ্ট। এই ধরনের প্রশ্ন করার জন্য কিংবা লেখার জন্য যখন'ই কেউ এগিয়েছে একটু সাহসে ঠিক সেই কারনে অনেকেই লাঞ্চিত হয়েছেন, আঘাত প্রাপ্ত হয়েছেন। কারো কারো বাড়ী লাইব্রেরী পুড়ানো হয়েছে। অনেকের জীবনের অভিশাপ হয়েছে এসব ধরনের প্রশ্ন করার জন্য। যে যেই ধর্মের হোকনা কেন ধর্ম বিষয় নিয়ে জানতে ইচ্ছা হতেই পারে সেইটাকে খর্ব না করে বিষয়টি কে খারাপ অর্থে না দেখে গণতন্ত্রের চর্চায় মৌলিক অর্থে দাড় করিয়ে প্রকৃত সদুত্তর দেয়াই হচ্ছে স্ব স্ব ধর্মের আলেম ওলামাদের কাজ। অনেক আলেম ওলামাদের বলতে শুনেছি হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) সকল নবীর নবী, জানিনা কোরআন বাদ দিয়ে তারা এটা কিসের ভিত্তিতে এত জোর দিয়ে বলেন। তবে যারা ধর্মের মূল হোতা, ধারক বাহক তারা দু’ একটি কথা বলে থাকেন বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে হাদীস থেকে। অবশ্য কোরআনের পরেই সারা পৃথিবী জুড়ে মুসলিমদের কাছে স্থান করে নিয়েছে মানুষের লেখা শরীয়া সুন্নাহ্ নামে খ্যাত হাদীস গ্রন্থ গুলি। হাদীস রাইটাররা যে কোন দরবেশ, অলি, গাউসুল আযম কিংবা পীর ছিলেন না, তাদের উপর কোন আল্লাহ্ প্রদত্ত অহি হতনা তা সকলেরী জানা; সেই কারনে হাদীস সংগ্রহে ভুল হতেই পারে; আর মানুষ কোনক্রমেই ভুলের উর্দ্ধে নয়। কোরআন কেবলী অন্য আর রাসুলের মত রাসুল হিসাবে এবং সতর্ককারী হিসাবে পৃথিবীতে পাঠিয়েছে। একটু জানার চেষ্টা করি কোরআনের আলোতে।
সূরা ইমরান ৩:১৪৪ আয়াত
وَمَا مُحَمَّدٌ إِلاَّ رَسُولٌ قَدْ خَلَتْ مِن قَبْلِهِ الرُّسُلُ أَفَإِن مَّاتَ أَوْ قُتِلَ انقَلَبْتُمْ عَلَى أَعْقَابِكُمْ وَمَن
يَنقَلِبْ عَلَىَ عَقِبَيْهِ فَلَن يَضُرَّ اللّهَ شَيْئًا وَسَيَجْزِي اللّهُ الشَّاكِرِينَ
অর্থঃ আর মুহাম্মদ একজন রসূল বৈ তো নয়! তাঁর পূর্বেও বহু রসূল অতিবাহিত হয়ে গেছেন। তাহলে কি তিনি যদি মৃত্যুবরণ করেন অথবা নিহত হন, তবে তোমরা পশ্চাদপসরণ করবে? বস্তুতঃ কেউ যদি পশ্চাদপসরণ করে, তবে তাতে আল্লাহর কিছুই ক্ষতি-বৃদ্ধি হবে না। আর যারা কৃতজ্ঞ, আল্লাহ তাদের সওয়াব দান করবেন।
সূলা কাহফ্ ১৮:৫৬ আয়াতঃ
وَمَا نُرْسِلُ الْمُرْسَلِينَ إِلَّا مُبَشِّرِينَ وَمُنذِرِينَ وَيُجَادِلُ الَّذِينَ كَفَرُوا بِالْبَاطِلِ لِيُدْحِضُوا بِهِ الْحَقَّ وَاتَّخَذُوا آيَاتِي وَمَا أُنذِرُوا هُزُوًا
অর্থঃ আমি রাসূলগনকে সুসংবাদ দাতা ও ভয় প্রদর্শন কারীরূপেই প্রেরণ করি এবং কাফেররাই মিথ্যা অবলম্বনে বিতর্ক করে, তা দ্বারা সত্যকে ব্যর্থ করে দেয়ার উদ্দেশে এবং তারা আমার নিদর্শনাবলীও যদ্বারা তাদেরকে ভয় প্রদর্শন করা হয়, সেগুলোকে ঠাট্টারূপে গ্রহণ করেছে।
সূরা কাহফ। ১৮:১১০ আয়াতঃ
قُلْ إِنَّمَا أَنَا بَشَرٌ مِّثْلُكُمْ يُوحَى إِلَيَّ أَنَّمَا إِلَهُكُمْ إِلَهٌ وَاحِدٌ فَمَن كَانَ يَرْجُو لِقَاء رَبِّهِ فَلْيَعْمَلْ عَمَلًا صَالِحًا وَلَا يُشْرِكْ بِعِبَادَةِ رَبِّهِ أَحَدًا
অর্থঃবলুনঃ আমি ও তোমাদের মতই একজন মানুষ, আমার প্রতি প্রত্যাদেশ হয় যে, তোমাদের ইলাহই একমাত্র ইলাহ। অতএব, যে ব্যক্তি তার পালনকর্তার সাক্ষাত কামনা করে, সে যেন, সৎকর্ম সম্পাদন করে এবং তার পালনকর্তার এবাদতে কাউকে শরীক না করে।
সূরা বনী ইসরাঈল ১৭:১০৫ আয়াতঃ
وَبِالْحَقِّ أَنزَلْنَاهُ وَبِالْحَقِّ نَزَلَ وَمَا أَرْسَلْنَاكَ إِلاَّ مُبَشِّرًا وَنَذِيرًا
অর্থঃআমি সত্যসহ এ কোরআন নাযিল করেছি এবং সত্য সহ এটা নাযিল হয়েছে। আমি তো আপনাকে শুধু সুসংবাদাতা ও ভয়প্রদর্শক করেই প্রেরণ করেছি।
সূরা হাজ্জ্ব ২২:৪৯ আয়অতঃ
قُلْ يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّمَا أَنَا لَكُمْ نَذِيرٌ مُّبِينٌ
অর্থঃ বলুনঃ হে লোক সকল! আমি তো তোমাদের জন্যে স্পষ্ট ভাষায় সতর্ককারী।
সূরা আল আনকাবুত ২৯:৫০ আয়াতঃ
الْآيَاتُ عِندَ اللَّهِ وَإِنَّمَا أَنَا نَذِيرٌ مُّبِينٌ
অর্থঃ বলুন, নিদর্শন তো আল্লাহর ইচ্ছাধীন। আমি তো একজন সুস্পষ্ট সতর্ককারী মাত্র।
সূরা আল আহযাব ৩৩:৪০-৪৫ আয়াত
مَّا كَانَ مُحَمَّدٌ أَبَا أَحَدٍ مِّن رِّجَالِكُمْ وَلَكِن رَّسُولَ اللَّهِ وَخَاتَمَ النَّبِيِّينَ وَكَانَ اللَّهُ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمًا
অর্থঃমুহাম্মদ তোমাদের কোন ব্যক্তির পিতা নন; বরং তিনি আল্লাহর রাসূল, নবীদের শীল। আল্লাহ সব বিষয়ে জ্ঞাত।
يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ إِنَّا أَرْسَلْنَاكَ شَاهِدًا وَمُبَشِّرًا وَنَذِيرًا
অর্থঃ হে নবী! আমি আপনাকে সাক্ষী, সুসংবাদ দাতা ও সতর্ককারীরূপে প্রেরণ করেছি।
সূরা ফাতির ৩৫:২৩-২৪
إِنْ أَنتَ إِلَّا نَذِيرٌ
অর্থঃ আপনি তো কেবল একজন সতর্ককারী।
إِنَّا أَرْسَلْنَاكَ بِالْحَقِّ بَشِيرًا وَنَذِيرًا وَإِن مِّنْ أُمَّةٍ إِلَّا خلَا فِيهَا نَذِيرٌ
অর্থঃআমি আপনাকে সত্যধর্মসহ পাঠিয়েছি সংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে। এমন কোন সম্প্রদায় নেই যাতে সতর্ককারী আসেনি।
সূরা ইয়াসীন ৩৬:৩৬ আয়াতঃ
لِتُنذِرَ قَوْمًا مَّا أُنذِرَ آبَاؤُهُمْ فَهُمْ غَافِلُونَ
অর্থঃ যাতে আপনি এমন এক জাতিকে সতর্ক করেন, যাদের পূর্ব পুরুষগণকেও সতর্ক করা হয়নি। ফলে তারা গাফেল।
সূরা ছোয়াদ ৩৮:৪ আয়াতঃ
وَعَجِبُوا أَن جَاءهُم مُّنذِرٌ مِّنْهُمْ وَقَالَ الْكَافِرُونَ هَذَا سَاحِرٌ كَذَّابٌ
অর্থঃ তারা বিস্ময়বোধ করে যে, তাদেরই কাছে তাদের মধ্যে থেকে একজন সতর্ককারী আগমন করেছেন। আর কাফেররা বলে এ-তো এক মিথ্যাচারী যাদুকর।
সূরা ক্বাফ ৫০:২আয়াতঃ
بَلْ عَجِبُوا أَن جَاءهُمْ مُنذِرٌ مِّنْهُمْ فَقَالَ الْكَافِرُونَ هَذَا شَيْءٌ عَجِيبٌ
অর্থঃ বরং তারা তাদের মধ্য থেকেই একজন ভয় প্রদর্শনকারী আগমন করেছে দেখে বিস্ময় বোধ করে। অতঃপর কাফেররা বলেঃ এটা আশ্চর্যের ব্যাপার।
সূরা আয-যারিয়াত ৫১:৫১ আয়াতঃ
وَلَا تَجْعَلُوا مَعَ اللَّهِ إِلَهًا آخَرَ إِنِّي لَكُم مِّنْهُ نَذِيرٌ مُّبِينٌ
অর্থঃ তোমরা আল্লাহর সাথে কোন উপাস্য সাব্যস্ত করো না। আমি তাঁর পক্ষ থেকে তোমাদের জন্য সুস্পষ্ট সতর্ককারী।
সূরা আল মুলক ৬৭:২৬ আয়াতঃ
قُلْ إِنَّمَا الْعِلْمُ عِندَ اللَّهِ وَإِنَّمَا أَنَا نَذِيرٌ مُّبِينٌ
অর্থঃবলুন, এর জ্ঞান আল্লাহ তা’আলার কাছেই আছে। আমি তো কেবল প্রকাশ্য সতর্ককারী।
সূরা হা-মীম সেজদাহ ৪১:৪৩ আয়াতঃ
مَا يُقَالُ لَكَ إِلَّا مَا قَدْ قِيلَ لِلرُّسُلِ مِن قَبْلِكَ إِنَّ رَبَّكَ لَذُو مَغْفِرَةٍ وَذُو عِقَابٍ أَلِيمٍ
অর্থঃআপনাকে তো তাই বলা হয়, যা বলা হত পূর্ববর্তী রসূলগনকে। নিশ্চয় আপনার পালনকর্তার কাছে রয়েছে ক্ষমা এবং রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।
সূরা আল আহক্বাফ ৪৬:৯ আয়াতঃ
قُلْ مَا كُنتُ بِدْعًا مِّنْ الرُّسُلِ وَمَا أَدْرِي مَا يُفْعَلُ بِي وَلَا بِكُمْ إِنْ أَتَّبِعُ إِلَّا مَا يُوحَى إِلَيَّ وَمَا أَنَا إِلَّا نَذِيرٌ مُّبِينٌ
অর্থঃবলুন, আমি তো কোন নতুন রসূল নই। আমি জানি না, আমার ও তোমাদের সাথে কি ব্যবহার করা হবে। আমি কেবল তারই অনুসরণ করি, যা আমার প্রতি ওহী করা হয়। আমি স্পষ্ট সতর্ক কারী বৈ নই।
সূরা নাহল ১৬:৩৫ আয়াতঃ
وَقَالَ الَّذِينَ أَشْرَكُواْ لَوْ شَاء اللّهُ مَا عَبَدْنَا مِن دُونِهِ مِن شَيْءٍ نَّحْنُ وَلا آبَاؤُنَا وَلاَ حَرَّمْنَا مِن دُونِهِ مِن شَيْءٍ كَذَلِكَ فَعَلَ الَّذِينَ مِن قَبْلِهِمْ فَهَلْ عَلَى الرُّسُلِ إِلاَّ الْبَلاغُ الْمُبِينُ
অর্থঃমুশরিকরা বললঃ যদি আল্লাহ চাইতেন, তবে আমরা তাঁকে ছাড়া কারও এবাদত করতাম না এবং আমাদের পিতৃপুরুষেরাও করত না এবং তাঁর নির্দেশ ছাড়া কোন বস্তুই আমরা হারাম করতাম না। তাদের পূর্ববর্তীরা এমনই করেছে। রাসূলের দায়িত্ব তো শুধুমাত্র সুস্পষ্ট বাণী পৌছিয়ে দেয়া।
সূরা আল আনকাবুত ২৯:১৮ আয়াতঃ
وَإِن تُكَذِّبُوا فَقَدْ كَذَّبَ أُمَمٌ مِّن قَبْلِكُمْ وَمَا عَلَى الرَّسُولِ إِلَّا الْبَلَاغُ الْمُبِينُ
অর্থঃতোমরা যদি মিথ্যাবাদী বল, তবে তোমাদের পূর্ববর্তীরাও তো মিথ্যাবাদী বলেছে। স্পষ্টভাবে পয়গাম পৌছে দেয়াই তো রসূলের দায়িত্ব।
সূরা আশ-শুরা ৪২:৭আয়াতঃ
وَكَذَلِكَ أَوْحَيْنَا إِلَيْكَ قُرْآنًا عَرَبِيًّا لِّتُنذِرَ أُمَّ الْقُرَى وَمَنْ حَوْلَهَا وَتُنذِرَ يَوْمَ الْجَمْعِ لَا رَيْبَ فِيهِ فَرِيقٌ فِي الْجَنَّةِ وَفَرِيقٌ فِي السَّعِيرِ
অর্থঃএমনি ভাবে আমি আপনার প্রতি আরবী ভাষায় কোরআন নাযিল করেছি, যাতে আপনি মক্কা ও তার আশ-পাশের লোকদের সতর্ক করেন এবং সতর্ক করেন সমাবেশের দিন সম্পর্কে, যাতে কোন সন্দেহ নেই। একদল জান্নাতে এবং একদল জাহান্নামে প্রবেশ করবে।
আল্লাহ্ কোরআনে কেবলী সতর্ককারী হিসাবেই মুহাম্মাদ (সাঃ) কে সম্বর্ধন করেছে তা উল্লেখিত সূরা ও আয়অত থেকে জানলাম। এমন অনেক আরও আয়াত আছে এই ধরনের । অনেকই বলবে কোরআনে নাই তবে হাদীসে আছে। এখন প্রশ্ন আসতেই পারে হাদীস ছাড়া কোরআন অপূর্ণ কিতাব? নিশ্চয় নয়। আল্লাহ্ কোরআনের সূরা নমল ২৭:৭৫ আয়অতে বলেছেনঃ
وَمَا مِنْ غَائِبَةٍ فِي السَّمَاء وَالْأَرْضِ إِلَّا فِي كِتَابٍ مُّبِينٍ
অর্থঃআকাশে ও পৃথিবীতে এমন কোন গোপন ভেদ নেই, যা সুস্পষ্ট কিতাবে না আছে।
মাবুদের এই উল্লেখিত আয়াত গুলো যদি আমরা বিশ্বাস করি তাহলে মানতে হবে মুহাম্মাদ (সাঃ) কেবলী অন্য রাসুলের মত একজন সতর্ককারী মাত্র। কোরআনের আয়াত বিশ্বাস করলে মানবেন, আর যদি আয়াত গুলো ঠিক নয় মনে করেন তাহলে আমার বলার কিছু নাই।
২| ১০ ই অক্টোবর, ২০১২ সকাল ৮:২৫
কনিফউজড_েনিটেজন বলেছেন: নেন, আপনার ফাউল পোস্টের জন্য এক ফাউল ছবি।
মানুষ এখন মঙ্গলে, আর আপনি আসছেন সময় নষ্ট করতে...
১০ ই অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:০৫
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: এই ধর্মান্ধদের বিরুদ্ধেই আমার লেখা। ভালো থাকবেন, ধন্যবাদ।
৩| ১০ ই অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:০৯
নাহিয়ান ব্লগ বলেছেন: সূরা আল আহযাব ৩৩:৪০-৪৫ আয়াত
مَّا كَانَ مُحَمَّدٌ أَبَا أَحَدٍ مِّن رِّجَالِكُمْ وَلَكِن رَّسُولَ اللَّهِ وَخَاتَمَ النَّبِيِّينَ وَكَانَ اللَّهُ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمًا
অর্থঃমুহাম্মদ তোমাদের কোন ব্যক্তির পিতা নন; বরং তিনি আল্লাহর রাসূল, নবীদের শীল। আল্লাহ সব বিষয়ে জ্ঞাত......কাদিয়ানি মতবাদ ।
১০ ই অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:১৯
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: এই আয়াত দিয়ে কি বোঝালেন? না বোললে উত্তর দিবো কি করে?
৪| ১০ ই অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:২৬
নাহিয়ান ব্লগ বলেছেন: وَخَاتَمَ النَّبِيِّين ....এর অর্থ সেশ নবি জা কাদিয়ানিরা মানেনা ।
১১ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১২:৪৩
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: নাহিয়ান ব্লগ আপনি বলেছেনঃ খাতাম মানে শেষ। তবে শুনুন।
মাওলানা আকরাম খাঁ তার মোস্তফা চরিত বইতে লিখেছেন এই কোরআন মগাদের জন্য নয়। আর আল্লাহ্ কোরআনে বলেছেন ইহা উহাদের জন্য যারা জ্ঞান রাখে। এই কোরআন জ্ঞানীদের জন্য, এই কোরআন বোদ্ধাদের জন্য, এই কোরআন চিন্তশীলদের জন্য। এই কথাগুলি কোরআনের। কোরআন সকলে'ই বুঝেবে এটা ঠিক নয় "নাহিয়ান ব্লগ"।আপনি বলেছেনঃ ৩৩:৪০ আয়াতের অনুবাদ অনুযায়ীও মুহাম্মদ (সাঃ) হচ্ছেন সর্বশেষ নবী।
এই আয়াতটি খুব ভালো করে পড়ে দেখুন কি লিখা আছে আরবীটা।
সূরা আহযাব ৩৩:৪০ আয়াতঃ مَّا كَانَ مُحَمَّدٌ أَبَا أَحَدٍ مِّن رِّجَالِكُمْ وَلَكِن رَّسُولَ اللَّهِ وَخَاتَمَ النَّبِيِّينَ وَكَانَ اللَّهُ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمًا
অনুবাদটি বাংলাদেশের বেশীর ভাগ কোরআনে ভুল বাখ্য আছে। যেমন বলছেঃ
মুহাম্মদ তোমাদের কোন ব্যক্তির পিতা নন; বরং তিনি আল্লাহর রাসূল এবং শেষ নবী। আল্লাহ সব বিষয়ে জ্ঞাত।
এই যে শেষ নবী বলা হয়েছে। এই শেষ কথাটির আরবী শব্দ কি হবে কখনো দেখেছেন? আসলে এর আরবী শব্দটি হচ্ছে خَاتَمَ খাতম, খাতাম কিংবা খতম। ফার্সী শব্দ খাতাম মানে শেষ,উর্দু শব্দও শেষ, হিন্দী শব্দ খাতাম মানে শেষ। বাংলাদেশের মানুষও বলে থাকে খতম করে দিলাম, মানে শেষ
করে দিলাম। "নাহিয়ান ব্লগ" আসলে আরবী শব্দ খাতাম মানে কি চলুন দেখি। সূরা বাকারা ২:৭ আয়াতঃ
خَتَمَ
اللّهُ عَلَى قُلُوبِهمْ وَعَلَى سَمْعِهِمْ وَعَلَى أَبْصَارِهِمْ غِشَاوَةٌ وَلَهُمْ عَذَابٌ عظِيمٌ
অর্থঃ আল্লাহ তাদের অন্তকরণ এবং তাদের কানসমূহ বন্ধ (শীল-মোহর) করে দিয়েছেন, আর তাদের চোখসমূহ পর্দায় (মোহর) ঢেকে দিয়েছেন। আর তাদের জন্য রয়েছে কঠোর শাস্তি।
এই আয়াতেও দেখলেন খাতাম মানে কি? আসলে খাতাম আরবী শব্দ যান মানে শীল,মোহর,অলংকৃত। খাতাম মানে কি এটা কোরআন জুড়ে অনেক জায়গায় আছে। প্লিজ একটু দয়া করে দেখে নিবেন। আমার প্রশ্ন খাতাম মানে কেবল এক জায়গায়'ই হবে শেষ আর কোথাও খাতাম মানে শেষ নয়; এটা কি কেউ তাদের ইচ্ছামত করে নিয়েছে? নাকি আসলে খাতাম মানে আরবী শব্দকে উর্দু,হিন্দী,ফারশী ও বাংলা দিয়ে চালিয়ে দিবে? আমি ইচ্ছা করলে আপনায় আরও আয়াত দিতে পারতাম। কিন্তু আপনি একটু কষ্ট করে দেখুন । কোরআনের আর কোথাও খাতাম মানে শেষ লিখা নাই? বরং খাতাম মানে শেষ নাই, আছে শীল,মোহর,অলংকৃত। কেবল সূরা আহযাবের এই আয়াতেই নিজেদের সার্থ চরিতার্থ করার জন্য খাতাম মানে শেষ লিখা হয়েছে। আসলে এই আহযাবের আসল বাখ্য কি হবে একটু দেখে নেয়।
সূরা আহযাব ৩৩:৪০ আয়াতঃ مَّا كَانَ مُحَمَّدٌ أَبَا أَحَدٍ مِّن رِّجَالِكُمْ وَلَكِن رَّسُولَ اللَّهِ وَخَاتَمَ النَّبِيِّينَ وَكَانَ اللَّهُ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمًا
অর্থঃ মুহাম্মদ কোন পুরুষের পিতা নন; বরং তিনি আল্লাহর রাসূল এবং নবীদের শীল। আল্লাহ সব বিষয়ে জ্ঞাত।
এখন আপনি বলতে পারেন যে, শীল মানেইতো শেষ। না মোটেও শীল মানে শেষ নয়।একটু গল্পের আকারে বলি। আমরা সকলে কোথাও চিঠি পাঠাতে চায়লে ডাক বাক্সে গিয়ে চিঠি ফেলে আসি।একটি নিদৃষ্ট সময়ে পিয়ন এসে চিঠি গুলি বের করে নেয়। এবং বের করে সরাসরি সে বিলি করতে যায় না। সে করেকি? তার অফিসে নিয়ে তাতে একটি লোহার শীল প্যাডে কালি নিয়ে চিঠিতে মারে। মানে সত্যায়ন করে। তার মানে শীল অর্থাত শেষ নয়। শীল মানে সত্যায়নকারী। আমরা যখন চিঠিটা পায় তখন খামের উপরের শীল দেখে বুঝি এই চিঠিটা কোথায় থেকে এসেছে। আমরা চিঠির সত্যায়ন শীল দেখে বুঝি এটা ডাক বিভাগ থেকে নাকি কুরিয়ার সার্ভিস থেকে। তাহলে আমরা বুঝলাম আয়াতের
অর্থঃ
মুহাম্মদ কোন পুরুষের পিতা নন; বরং তিনি আল্লাহর রাসূল এবং নবীদের শীল। আল্লাহ সব বিষয়ে জ্ঞাত।
তারমানে সকল নবীর সত্যায়নকারী। হচ্ছে মুহাম্মাদ (সাঃ)। কি বুঝলেন।আপনি বুঝবেন না। ঠিক আছ, না বুঝলে এই কোরআনে খাতাম শব্দ বহু জায়গায় আছে আপনি আর একটি জায়গায় খাতাম মানে শেষ এই অর্থটা দেখাবেন প্লিজ। যদি আর কোথাও খাতাম মানে শেষ দেখাতে পারেন তাহলে আপনাকে গুরু মানবো। অথচ এই খাতাম শব্দ কোরআন জুড়ে অনেক জায়গায় আছে , দয়া করে দেখেনিন এবং আমাকে জানান।
৫| ১১ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১:০৫
অনিক আহসান বলেছেন: সোয়া লাখ পয়গম্বরের পরে আরো কিছু আসার কি খুব দরকার আছে? এমুহুর্তে পৃথিবীতে পয়গম্বর আর নবীর চাইতে ডাক্তার আর বিজ্ঞানী আসা বেশি প্রয়োজনীয়।
নিজের যৌবনকালে লেঃ জেঃ হোসেইন মোহাম্মদ এরশাদ আপনারে কাছে পেলে নির্ঘাত নিজেকে নবী ডিক্লেয়ার দিতো।
১১ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১:১১
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: পয়গম্বরের পরে আরো কিছু আসার কি খুব দরকার আছে?
আমি কিন্তু এই বিষয় বলতে চায়নি। যারা বলে মুহাম্মাদ (সাঃ) সকল নবীর নবী আমি তাদের বলেছি এটা হাদীসের কথা। মুহাম্মাদ (সাঃ) সকল নবীর নবী এটা কোরআনে নাই।
৬| ১১ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১:২৫
অনিক আহসান বলেছেন: মুহাম্মদ আরব পৌত্তলিক ধর্মকে একটা একেশ্বরবাদের সুন্দর মোড়কে প্যাঁচায়ে উপস্থাপন করেছেন। উনি প্রাচীন মিশরীয় ফারাও ৪র্থ আমেনহোটেপের মতই বুদ্ধিমান ছিলেন। যিনি তৎকালিন মিশরের এক দেবতা রেখে বাকিদের বাতিল করেন।নবী মুহাম্মদও একই কাজ করেন। ইসলাম এর অনেক গুরুত্বপুর্ন আচার ও প্রতীক প্রাচীন আরব প্যাগানদের সাথে হুবহু মিলে যায়।
১১ ই অক্টোবর, ২০১২ সকাল ৯:২০
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: অনিক আহসান আমার লিখার বিষয়টি হচ্ছেঃ "হাদীস মতে মুহাম্মাদ (সাঃ) সকল নবীর নবী, কোরআন মতে নয়" কেউ এই তত্ব না মানলে সেটার উপর যুক্তি দিবে। আপনার বক্তব্যের বিষয় গুলো জানি। ভালো থাকবেন, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
৭| ১১ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১:৪৩
রাহীম বলেছেন: "হাদীস মতে মুহাম্মাদ (সাঃ) সকল নবীর নবি"
কোন হাদিস মতে????
কোন আলেমের কাছে এমন কথা শুনেছেন ?? মিথ্যা বলার দরকার কি ?? মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য মিথ্যা বলার দরকার আছে তাই না ???
আগের পোষ্টে দাবি করেছেন । ঈমাম আবু হানিফা নিজ মাতৃ ভাষায় নামাজ পড়তেন ।
এত বড় মিথ্যুক আপনি ??
আপনার প্রতি ধিক্কার জানানো ছাড়া আর কিছু মনে আসছে না ।
১১ ই অক্টোবর, ২০১২ সকাল ৯:১৭
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: রাহীম আপনি আমাকে মিথ্যুক বলেছেন, কিন্তু কেন বলেছেন? আমি যা বলেছি সেটা আমার পেট বানানো কথা নয়। আপনি আবু হানিফার কথা জানতে নিজেই তার বই পড়তে পারেন।আব্দুল জব্বার তিনার বই পড়ে তার সেই জায়গা গুলো উল্লেখ করেন এভাবে।
“ইমাম আবু হানিফার জীবনীগ্রন্থে পাওয়া যায় যে, তিনি আরবি ভাষায়
সুপণ্ডিত থাকা সত্ত্বেও সালাতের সময় নিজের আপন স্থানীয় ভাষায়
কোরআনের অনুবাদ ব্যবহার করতেন। এ বিষয় তাকে প্রশড়ব করা হলে তিনি বলতেন, সালাত পালনের সময় বাক্যের অর্থের চেয়ে ব্যাকরণের দিকে তার খেয়াল চলে যেত। তিনি ফতোয়া দিয়েছিলেন যে, নামাজ নিজের মাতৃভাষায় পড়া হলে সে নামাজ পড়া জায়েজ হবে। আরবি কোরআনের পরিবর্তে কোরআনের অনুবাদ পড়লেও নামাজ সিদ্ধ হবে। এমনকি তকবিরে তাহরীমা নিজ ভাষায় বললেও নামাজে ত্র“টি হবে না। এতে দেখা যায় যে ইমাম আবু হানিফা কোরআনের নির্দেশ অনুসরণ করেই উক্ত ফতোয়া দিয়েছিলেন। ‘হে মুমিনগণ, মত্ত হয়ে সালাতের কাছেও এসো না, যতক্ষণে যা বল, তা বুঝতে পার না। এবং না হলে পথচারী, থাকলে নাপাক, যতক্ষণে গোসল করো না।’ [৪: নিছা-৪৩]
সম্ভবত এই আয়াতের ভিত্তিতেই তিনি সে রায় দিয়েছিলেন। মত্ত
এবং নাপাক অবস্থায় থাকলে সালাতের কাছে আসতে নিষেধ করা
হয়েছে। মাতাল হলে একজন আরববাসী হয়তো কোরআন না-বুঝতে
পারে। সে জন্য তাকে নামাজের কাছে আসতে নিষেধ করা হয়েছে। কিন্তু
যে আরবি ভাষা জানে না, এমন একজন অনারবি তো আরবি ভাষা কিছুই বুঝতে পারে না। তাকে তো না-বুঝে নামাজ পড়ার কোনো বিশেষ অনুমতি কোরআনের কোথাও দেয়া হয়নি। তা হলে একজন অনারবি না বুঝে নামাজ পড়লে তা কিভাবে জায়েজ হবে? না-বুঝে নামাজ পড়া, আর নাপাক অবস্থায় নামাজ পড়া একই ব্যাপার হয়ে গেল না কি? উভয় অবস্থায় অর্থাৎ বক্তব্য না বুঝলে প্রমত্ত অবস্থা না-কাটা পর্যন্ত এবং নাপাক অবস্থায় থাকলে গোসল না-করা পর্যন্ত নামাজের কাছে আসতে আল্লাহ্ নিষেধ করেছেন।”
[তথ্যসূত্র: গরিয়ান ফোরকান; আব্দুল জব্বার; ‘কৈফিয়ত’ অধ্যায়,পৃ: ৫।]
"হাদীস মতে মুহাম্মাদ (সাঃ) সকল নবীর নবি" এটার অনেক হাদীস আছে। কিন্তু কোরআনে নাই সেটাই আমি বলেছি। এটা মিথ্যার কি হলো।
৮| ১১ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১:৫৮
রবিনের প্রান "বাংলাদেশ" বলেছেন: Selim vai apnake salute. R rahim sab berohom hoe gelo keno? Mathai pani dhalen. Strok korbeto
৯| ১১ ই অক্টোবর, ২০১২ সকাল ৯:২৩
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: রবিনের প্রান "বাংলাদেশ" আমার রাহীম সাহেব আমাকে মিথ্যুক বললে কিন্তু কেন বলছে জানি না। আমি তাকে আমার মনগড়া কথা একটিও বলিনি। আমি রেফারেন্স দিয়েছি। আমার লেখার বিষয় "হাদীস মতে মুহাম্মাদ (সাঃ) সকল নবীর নবী, কোরআন মতে নয়" কেউ এই তত্ব না মানলে সেটার উপর যুক্তি দিবে। আপনি ভালো থাকবেন। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ কমেন্ট করার জন্য।
১০| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৫০
নজিবুল্লাহ বলেছেন: Click This Link
১১| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:০৯
ঘুমাইলে চোখে দেখি না! বলেছেন: ৪নম্বরের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বলছি, আপনি সত্যায়নকারী বুঝলেও উপরেই বলেছেন তাদের মনটাকে পর্দা দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়েছে। এখানে সত্যায়নকারী যে বোঝানো হয়েছে সেটা তো আমার কাছে মনে হচ্ছে না।
কোরান সাহিত্যের ভাষায় লেখা হয়েছে। এখানে পুরোপুরি শাব্দিকভাষায় অর্থবুঝতে গেলে আপনি বিভ্রান্ত হতে পারেন।
আমি যদি এভাবে ভাবি আমাদের নবিজী সাঃ সকল নবীর সিলগালা হিসেবে এসেছেন তাহলে এটাই বুঝা যায় যে তিনি অফিসিয়ালি সীলডপ্রুফ হয়ে এসেছেন।
আপনাকে একটা উদাহরন দেই। আপনি যখন বাইরের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে এডমিশন নিতে যান তখন ঐ ইউনিভার্সিটি বরাবর আপনার ইউনিভার্সিটি শিক্ষকের কাছ থেকে একটা স্ট্যাটম্যান্ট অব পারপাস লেটার নিতে হয় যেটা তারা ঐ শিক্ষক বরাবর লিখে ভালো করে কপারগলিয়ে বন্ধ করে অফিসিয়ালি সিল মেরে দেন গরম কপারের উপর। কারন হলো এটা ঐ নির্দিষ্ট ব্যাক্তির জন্যই এবং এই সীল তখনই খোলা যাবে যখন এটা নির্দিষ্ট ব্যাক্তির হাতে পৌছুবে। একমাত্র সেই এটা খুলতে পারবে কিন্তু তার আগে যদি এটা খোলা হয় তখন আর এটার ভ্যালিডিটি থাকবে না।
এখান থেকে যেটা বোঝানো যায় সেটা হলো রাসূল মোহাম্মদ সাঃ আমাদের মাঝে এসেছিলেন সকল নবীদের সকল তথ্যের একেবারে অফিসিয়ালি এনভেলপ আকারে যার মধ্যে আল্লাহর সকল নির্দেশাবলীর সত্যায়িতকরন করা হয়েছে। এর পর উনি আর কোনো বান্দার জন্য কোনো স্ট্যাটম্যান্ট অব পারপাস পাঠাবেন না। খুবই সিম্পল একটা ব্যাপার!
এটা নিয়ে মজবাসার স হ অনেকেই জল ঘোলা করতে চেয়েছেন কিন্তু স হজ এই রূপকটা আপনার কেন আভিধানিক হিসেবে নিয়ে নিজের বিবেক বুদ্ধিকে প্রভাবিত করছেন? জনসাধারন্যের কনসেপ্ট তো এটাই বুঝে তাই না?
২২ শে অক্টোবর, ২০১২ রাত ১১:৩৮
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: আমিও কিন্তু বলেছি যে মুহাম্মাদ (সাঃ) সকল নবীর সত্যায়নকারী। এখানে কথাটা শেষ হবে না। হবে সত্যায়নকারী।
১২| ২২ শে অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৪৩
সত্য সবার উপর বলেছেন: ভাই প্রাসাঙ্গিক ভাবে আমি এখানে একটি মন্ত্যব্য লিখতে বাধ্য হলাম আর তার কারন হল অন্য একটি পোস্টে আপনার মন্ত্যব্যের কারনে।
আপনি লিখেছেন এখানেঃ পোস্টের লিঙ্ক
-----------------------------------------------------
ভাই আমি আহলে হাদিসের অনুসারী নয়। আপনি বলেছেনঃ কোরআন ও হাদিস একে অপরের সাথে সম্পর্ক যুক্ত। এটা আমি মনে করি না। আপনি বলেছেনঃ হাদিস ছাড়া কোরআন বোঝার চেষ্টাও অর্থহীন। এটাও আমি মানি না। আমার কাছে মনে হয়েছে কোরআন নাজানার কারনে ও না বোঝার কারনে এই সব কথাগুলি অনেকেই বলে থাকেন। কিন্তু কোরআন তা বলে না। কোরআন নিজেই স্ব-প্রমাণে অটুট। এবং কোরআন নিজেই শয়সম্পূর্ণ। কোরআন এর সাথে হাদীস জড়িয় কোরআন কে খাটো করা ছাড়া আর কিছু'ই নয়।
-----------------------------------------------------
আপনি কি তাহলে কোরআন মানেন আর হাদিস মানেন না? হ্যাঁ সব হাদিস তো সহিহ না, যেগুলি সহিহ হাদিস তাও কি আপনি মানেন না? আপনার অন্য মন্তব্য পড়ে মনে হয়েছে যে আপনি হাদিস মানেন না শুধু কোরআন মানেন। আচ্ছা তাই যদি হয় তাহলে আমাকে বলুন কোরআনে আল্লাহ্ বলেছেন,
وَأَنْزَلْنَا إِلَيْكَ الذِّكْرَ لِتُبَيِّنَ لِلنَّاسِ مَا نُزِّلَ إِلَيْهِمْ “নিশ্চয় আমি আপনার নিকট যিকির (কুরআন) নাযিল করেছি, যাতে করে আপনি বিশদভাবে মানুষের নিকট বর্ণনা করে দেন যা তাদের নিকট নাযিল করা হয়েছে।” (সূরা নাহালঃ ৪৪)
مَنْ يُطِعِ الرَّسُولَ فَقَدْ أَطَاعَ اللَّهَ ۖ وَمَنْ تَوَلَّىٰ فَمَا أَرْسَلْنَاكَ عَلَيْهِمْ حَفِيظًا
Man yutiAAi alrrasoola faqad ataAAa Allaha waman tawalla fama arsalnaka AAalayhim hafeethan
যে লোক রসূলের হুকুম মান্য করবে সে আল্লাহরই হুকুম মান্য করল। আর যে লোক বিমুখতা অবলম্বন করল, আমি আপনাকে (হে মুহাম্মদ), তাদের জন্য রক্ষণাবেক্ষণকারী নিযুক্ত করে পাঠাইনি। (সূরা আন নিসা / ৮০)
তো ভাই বলুন তো এগুলি আল্লাহ্ বলেলেন কিন্তু কে ব্যাখ্যা করলেন, এগুলির ব্যাখ্যা কি আপনি নিজে নিজে স্বপ্নের মধ্যে পেয়েছেন? রাসুল (সঃ) কথা এবং কাজের বিবরণ কি কোরআনে আল্লাহ্ উল্লেখ করেছেন নাকি এগুলি হাদিসের কিতাবে আছে?
আপনি যে বিভ্রান্ত এই ব্যাপারে আমার বিন্ধু মাত্র সন্দেহ নেই, এবং আমি নিশ্চিত আমার মত একজন খুবই নগন্য মানুষও যদি আপনাকে প্রশ্ন করা শুরু করে তাহলে তার উত্তর দেবার মত ক্ষমতা আপনার নেই।
ভাবতে আশ্চর্য লাগে আপনাদের জ্ঞানের বহর দেখে।
২২ শে অক্টোবর, ২০১২ রাত ১১:২৯
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: পৃথিবীতে এর আগেও বহু নবী রাসুল এছেছিলো। তাদেরও চলা, কথা বলা এমন সব কিছুই সেই সব নবী রাসুলরা করেগেছে। কিন্তু তাদের উম্মতদের প্রয়োজনে সেই সব হাদীস গ্রন্থ কি ছেলো? সেই সব হাদীস গ্রন্থ কি আছে? অনুমান বড় গুনাহ্।
সূরা ইউনুস ১০:৩৬ আয়াতে আল্লাহ্ বলে
وَمَا يَتَّبِعُ أَكْثَرُهُمْ إِلاَّ ظَنًّا إَنَّ الظَّنَّ لاَ يُغْنِي مِنَ الْحَقِّ شَيْئًا إِنَّ اللّهَ عَلَيمٌ بِمَا يَفْعَلُونَ
অর্থঃ বস্তুতঃ তাদের অধিকাংশই শুধু আন্দাজ-অনুমানের উপর চলে, অথচ আন্দাজ-অনুমান সত্যের বেলায় কোন কাজেই আসে না। আল্লাহ ভাল করেই জানেন, তারা যা কিছু করে।
আল-হাদীস আর জাল হাদীস কোনটায় কোনআন সমর্থন করে না। আল্লাহ্ কেবলী তার কিতাবের কথা বলে এবং এও বলে যে এই কোরআনের সংরক্ষ সে নিজেই। আর হাদীস (মুখে মুখে চার শত বছর ধরে ছিলো) মানুষের লিখা এর সংরক্ষ সয়ং মানুষ নিজেই।
১। আল্লাহ্ কোরআনের সূরা কাহফ ১৮:২৭ আয়াতে বলেনঃ
وَاتْلُ مَا أُوحِيَ إِلَيْكَ مِن كِتَابِ رَبِّكَ لَا مُبَدِّلَ لِكَلِمَاتِهِ وَلَن تَجِدَ مِن دُونِهِ مُلْتَحَدًا
অর্থঃ আপনার প্রতি আপনার পালনকর্তার যে, কিতাব প্রত্যাদিষ্ট করা হয়েছে, তা পাঠ করুন। তাঁর বাক্য পরিবর্তন করার কেউ নাই। তাঁকে ব্যতীত আপনি কখনই কোন আশ্রয় স্থল পাবেন না।
২। সূরা ইয়াসিন ৩৬:৬৯ আয়াতঃ
وَمَا عَلَّمْنَاهُ الشِّعْرَ وَمَا يَنبَغِي لَهُ إِنْ هُوَ إِلَّا ذِكْرٌ وَقُرْآنٌ مُّبِينٌ
অর্থঃ আমি রসূলকে (নিজস্ব কথা) কবিতা শিক্ষা দেইনি এবং তা তার জন্যে শোভনীয়ও নয়। এটা তো এক উপদেশ ও প্রকাশ্য কোরআন।
৩। সূরা আনকাবুত ২৯:৪৮ আয়াতঃ
وَمَا كُنتَ تَتْلُو مِن قَبْلِهِ مِن كِتَابٍ وَلَا تَخُطُّهُ بِيَمِينِكَ إِذًا لَّارْتَابَ الْمُبْطِلُونَ
অর্থঃ আপনি তো এর পূর্বে কোন কিতাব পাঠ করেননি এবং স্বীয় দক্ষিণ হস্ত দ্বারা কোন কিতাব লিখেননি। এরূপ হলে মিথ্যাবাদীরা অবশ্যই সন্দেহ পোষণ করত।
লিখার ৩ নং সূরায় আল্লাহ বলছে রাসুল তার নিজ হাতে কিছু লিখেনী। এইরকম কিছু লিখলে মুশরেক, মিথ্যাবাদীরা সন্দেহ পোষন করতো, বা বিতন্ডা করতো। কেন একজন সফল সয়ং সম্পূর্ণ রাসুল তার উম্মতদের জন্য হাদীস লিখলেন না তা ভাবতে হবে। কেনই বা তার চার জন খলিফা এই গুরু দায়ীত্ব পালন করলেন না। তবে কি তারা ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে! নাকি হাদীস লিখা তাদের জন্য নিষেধ ছিলো? যারা নিজ হাতে কিতাব লিখে এবং তার বিনিময়ে কিছু অর্থ উপার্জন করে তাদের সম্পর্কেও কোরআন এর
৪। সূরা বাবারা ২:৭৯ আয়াতে বলেছেঃ
فَوَيْلٌ لِّلَّذِينَ يَكْتُبُونَ الْكِتَابَ بِأَيْدِيهِمْ ثُمَّ يَقُولُونَ هَـذَا مِنْ عِندِ اللّهِ لِيَشْتَرُواْ بِهِ ثَمَناً قَلِيلاً فَوَيْلٌ لَّهُم مِّمَّا كَتَبَتْ أَيْدِيهِمْ وَوَيْلٌ لَّهُمْ مِّمَّا يَكْسِبُونَ
অর্থঃ অতএব তাদের জন্যে আফসোস! যারা নিজ হাতে গ্রন্থ লেখে এবং বলে, এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে অবতীর্ণ-যাতে এর বিনিময়ে সামান্য অর্থ গ্রহণ করতে পারে। অতএব তাদের প্রতি আক্ষেপ, তাদের হাতের লেখার জন্য এবং তাদের প্রতি আক্ষেপ, তাদের উপার্জনের জন্যে।
আবার যে হাদীস নিয়ে আমরা গর্ববোধ করি সেই হাদীস গুলি আজ আমাদের ধর্মে নানা দল ও উপদলে বিভক্ত করেছে। এক এক হাদীস প্রনেতা এক এক মতবাদ সৃষ্টি করেছে। কেউ বলঝে রাসুল এভাবে নামাজ পড়তো, কেউ বলছে না এভাবে নয় ওভাবে পড়তো। এই সব নানান ফেকাহহ্ সৃষ্টি করেছে হাদীস। এই সম্পর্কে কোরআনের
৫। সূরা আন-আম ৬:১৫৯ আয়াতে বলছেঃ
إِنَّ الَّذِينَ فَرَّقُواْ دِينَهُمْ وَكَانُواْ شِيَعًا لَّسْتَ مِنْهُمْ فِي شَيْءٍ إِنَّمَا أَمْرُهُمْ إِلَى اللّهِ ثُمَّ يُنَبِّئُهُم بِمَا كَانُواْ يَفْعَلُونَ
অর্থঃ নিশ্চয় যারা স্বীয় ধর্মকে খন্ড-বিখন্ড করেছে এবং অনেক দল হয়ে গেছে, তাদের সাথে আপনার কোন সম্পর্ক নেই। তাদের ব্যাপার আল্লাহ তা'আয়ালার নিকট সমর্পিত। অতঃপর তিনি বলে দেবেন যা কিছু তারা করে থাকে।
আমাদের কে বুঝতে হবে কোরআন আর হাদীস কখনো এক হতে পারে না। অনেকেই বলবে কোরআন আর হাদীস তো এক নয় আপনি বলছেন কেন। আমি অনেককে বলতে শুনেছি যে কোরআনে অনেক কিছু নাই তায় হাদীস দেখতে হয়! তার মানে আল্লাহ্ কে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়া হলো যে, তার কোরআনে যা নাই হাদীসে তা আছে। কোরআন পড়লেই বোঝা যায় আল্লাহ্ কোরআনের বিধান দিয়ে ফায়সালা করতে বলছে কখনো বলেনী হাদীস দিয়ে ফায়সালা কর।
৫। সূরা মায়েদাহ ৫:৪৭ আয়াতঃ
وَلْيَحْكُمْ أَهْلُ الإِنجِيلِ بِمَا أَنزَلَ اللّهُ فِيهِ وَمَن لَّمْ يَحْكُم بِمَا أَنزَلَ اللّهُ فَأُوْلَـئِكَ هُمُ الْفَاسِقُونَ অর্থঃ যারা আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, তদনুযায়ী ফয়সালা করে না, তারাই পাপাচারী।
৬। সূরা কাহফ ১৮:৫৪ আয়াতঃ
وَلَقَدْ صَرَّفْنَا فِي هَذَا الْقُرْآنِ لِلنَّاسِ مِن كُلِّ مَثَلٍ وَكَانَ الْإِنسَانُ أَكْثَرَ شَيْءٍ جَدَلًا
অর্থঃনিশ্চয় আমি এ কোরআনে মানুষকে নানাভাবে বিভিন্ন উপমার দ্বারা আমার বাণী বুঝিয়েছি। মানুষ সব বস্তু থেকে অধিক তর্কপ্রিয়।
হাদীস লিপিবদ্ধ করা রাসুলের বারণ ছিলো নিম্নের হাদীস গুলি দেখি।
হযরত আবু ছাইদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত: রাসুলুল্লাহ্ (সাঃ) বলেছেন যে, কোরআন ব্যতীত আমার কোন কথাই লিখিও না। আর কোরআন ব্যতীত আমার নিকট থেকে অন্য কিছু লিখে থাকলে, তা যেন মুছে ফেলা হয়।” [ দ্র: সহিহ্ মুসলিম, আ. ফা. ভুইয়া, ১ম খ. ১ম সংস্করণ, পৃ: ৫১]
শরীয়তি আলেমরা কি সব মুছে ফেলেছে?
আমার কাছ থেকে তোমরা কোরান ছাড়া আর কিছুই লিখবেনা। যদি কেউ লিখে থাকে তবে অবশ্যই তা নষ্ট করে ফেল।'' -সহিহ মুসলিম, ভলিউম১, পৃষ্ঠা ২১১, হাদীস নং ৫৯৪, প্রিন্টার-মতকবে আদনান, বৈরুত,১৯৬৭।
শরীয়তি আলেমরা কি সব নষ্ট করে ফেলেছে
হাদীসটি সম্বন্ধে বিশ্বের সকলেই একমত; আবার বিশ্বের সকলেই (শরীয়ত) হাজারো ফন্দি-ফিকির, কুট-কৌশলে হাদীসটি বাতিল বলে সাব্যস্ত করার আপ্রাণ চেষ্টা করে থাকেন।
আসুন আমরা কোরআনের আলোয় আলোকিত হই। আল্লাহ আমাদের সকলকে কোরআন বুঝে পড়ার তৌফিক দান করুন----আমেন
রসূলের আনুগত্য প্রকাশ করার অর্থ এই নয় যে, রাসুলকে বাদ দিয়ে (মানুষ) বোখারী সাহেবদের আনুগত্য করতে হবে। আল্লাহ্ রাসুল মানতে গিয়ে কোরআন ও হাদীসের কারনে তাদের মধ্যে বিষদ পার্থক্য সৃষ্টি হয়েছে
হাদিছ সংকলনে খোলাফায়ে রাশেদ্বীনের ভূমিকা
হযরত আবুবকর
প্রথম খলিফা হযরত আবুবকর ছিদ্দীক (রা) নিজে পাঁচ শত হাদিছের
এক সংকলন তৈরি করেছিলেন। কিন্তু জীবনের শেষ ভাগে তিনি নিজেই তা বিনষ্ট করে ফেলেন (জ্বালিয়ে ফেলেন)। এর কারণ স্বরূপ মুহাদ্দিস ও ঐতিহাসিকগণ উল্লেখ করেছেন যে, হাদিছসমূহ সংকলন করার পর তিনি মোটেই স্বস্তিলাভ করতে পারেননি। তার মনে কয়েক প্রকার ভয়ের সঞ্চার হয়। তিনি এজন্য ভাবিত হয়ে পড়েন যে, তাঁর সংকলিত হাদিছ সমূহের মধ্যে একটি কথাএকটি শব্দও যদি রাছুল করিমের মূল বাণীর বিন্দুমাত্রও বিপরীত হয়ে পড়ে, তা হলে রাছুলের কঠোর সতর্কবাণী অনুযায়ী তাকে জাহানড়বামের ইন্ধন হতে হবে।
দ্বিতীয়ত তার মনে এই ভয়ও জাগ্রত হল যে, তার সংকলিত হাদিছ
গ্রন্থকে মুসলিম জনগণ যদি কোরানের সমতুল্য মর্যাদা দিয়ে বসে কিংবা অন্যান্য ছাহাবীদের বর্ণিত ও সংকলিত হাদিছ অপেক্ষা অধিক মর্যাদা দিতে শুরু করে, তা হলেও মুসলমানদের পক্ষে বিশেষ ক্ষতির কারণ হইবে। তার ফলে হাদিছ সংকলনের ক্ষেত্রে ব্যাপক কাজ ও অগ্রগতি ব্যাহত হতে পারে। এই সব চিন্তার ফলেই তিনি তা নষ্ট করে ফেলেন। ব্যাপারটিকে আমরা যতই গভীর ও সূক্ষ্ম দৃষ্টিতে বিচার করে দেখি না কেন, একে একটি বিশেষ মনস্তাত্ত্বিক ও মানসিক অবস্থার পরিণাম বলা ছাড়া অন্য কিছু বলা যায় না-।”
হযরত ওমর ফারূক
হযরত ওমর ফারূক (রা)-এর সময়ই সরকারি পর্যায়ে বিচ্ছিনড়ব হাদিছ সম্পদ সংকলন ও লিপিবদ্ধ করা হয় এবং সু-সংবদ্ধ করে নেয়ার প্রশ্ন সর্বপ্রথম উত্থাপিত হয়। হযরত ওমর (রা) নিজেই এই বিরাট কাজ সম্পন্ন করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন এবং এ সম্পর্কে অন্যান্য ছাহাবীর সঙ্গে পরামর্শও করেছিলেন। মুসলমানরা তাঁকে এর অনুকূলেই পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু পরে তাঁর নিজের মনেই এই সম্পর্কে দ্বিধা ও সন্দেহের উদ্রেক হয় যে, এটা করা সমীচীন হবে কিনা! তিনি প্রায় একমাস কাল পর্যন্ত অনেক চিন্তা-ভাবনা ও ইস্তেখারা করতে থাকেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি নিজেই একদিন বললেন: ‘আমি তোমাদের নিকট হাদিছ লিপিবদ্ধ ও সংকলিত করার কথা বলেছিলাম, একথা তোমরা জান। কিন্তু পরে মনে হল তোমাদের পূর্বের আহ্লে কেতাব লোকেরাও এমনিভাবে নবির কথা সংকলিত করেছিল, ফলে তাঁরা তাই আঁকড়ে ধরল এবং আল্লাহর কিতাব
পরিত্যাগ করল। আল্লাহর শপথ, আমি আল্লাহর কিতাবের সাথে অন্য কিছুই মিশ্রিত করব না।’ অতঃপর তিনি হাদিছ সংকলিত করবার সংকল্প ত্যাগ করেন-।”
হযরত ওসমান
হযরত ওসমান [রা] নিজে হাদিছ বর্ণনা করেছেন। কিন্তু খুব অল্প সংখ্যক হাদিছই তার নিকট হইতে বর্ণিত হয়েছে। এর কারণ প্রদর্শন সম্বন্ধে তিনি নিজেই বলেছেন: ‘রাছুলের ছাহাবীদের মধ্যে রাছুলের অধিক হাদিছ সংরক্ষণকারী আমি নই; এই কারণটি আমাকে রাছুলের হাদিছ বর্ণনা করা হতে বিরত রাখে নি। বরং হাদিছ বর্ণনা হতে বিরত থাকার কারণ এই যে, আমি নিজেই রাছুল করীমকে [সা] এই কথা বলতে শুনেছি বলে সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, রাছুল যা বলেননি তা যদি কেউ তার উপরে আরোপ করে তবে সে যেন জাহানড়বামে তাঁর আশ্রয় খুঁজে নেয়।’ হযরত ওসমান অল্প কয়েকটি হাদিছ বর্ণনা করা ছাড়া অপর কোনো বৃহত্তর খিদমত করেছেন বলে কোথাও উল্লেখ পাওয়া যায় না।
হযরত আলী
যে কয়জন ছাহাবী নিজেদের হাতে রাছুলের নিকট শ্রুত হাদিছ লিপিবদ্ধ করে রেখেছিলেন, হযরত আলী [রা] তাঁহাদের অন্যতম। তিনি কোরানের ব্যাখ্যা ও বিশে−ষণ সম্পর্কে কয়েকটি হাদিছ রাছুলের নিকট হতে শ্রবণ করে লিখেছিলেন। - একে ভাঁজ করে তিনি তাঁর তলোয়ারের খাপের মধ্যে রেখে দিয়েছিলেন। এতে ব্যবহারিক কাজ-কর্ম সংক্রান্ত হুকুম আহকামের কয়েকটি হাদিছ লিখিত ছিল। (সূত্র-হাদিছ সংকলনের ইতিহাস; মু: আ: রহিম; ১ম সংস্করণ, সলামিক ফাউন্ডেশন; ৬ষ্ঠ প্রকাশ, পৃ: ২৯০-৩০০, খায়রূন প্রকাশনী;, পৃ: ২৯০ ও কোরান বনাম শরিয়ত
(ক) কোরআন বাদে আমিকি হাদীস দিয়ে ফায়সালা করবো?
(খ) কোরআন বাদে আমরা কি হাদীস দিয়ে ফায়সালা করছি না?
(গ) আমরা কি তাফসিরুল কোরআন মাহফিলের নামে বেশীর ভাগ'ই
হাদীসের বয়ান করছি না?
কোরআনের পাশে হাদীসকে জুড়তে গিয়ে আলেমরা অনেক মতবাদ সৃষ্টি করেছে, তর্ক সৃষ্টি করেছে। সাড়ে তিন থেকে চার শত বছর মানুষের মুখে মুখে ধরে রাখা কথা যে রুপ কথার গল্প হতে পারে যা কেবলী আন্দাজ আর অনুমানের ভিত্তি ছাড়া বিশ্বাসের কোন পথ নাই। এই সম্পর্কেও কোরআনে আল্লাহ্
৫। সূরা ইউনুস ১০:৩৬ আয়াতে বলেছেনঃ
وَمَا يَتَّبِعُ أَكْثَرُهُمْ إِلاَّ ظَنًّا إَنَّ الظَّنَّ لاَ يُغْنِي مِنَ الْحَقِّ شَيْئًا إِنَّ اللّهَ عَلَيمٌ بِمَا يَفْعَلُونَ
অর্থঃ বস্তুতঃ তাদের অধিকাংশই শুধু আন্দাজ-অনুমানের উপর চলে, অথচ আন্দাজ-অনুমান সত্যের বেলায় কোন কাজেই আসে না। আল্লাহ ভাল করেই জানেন, তারা যা কিছু করে।
(ক) আমরা আজ যে হাদীস পড়ছি তা কি আন্দাজের উপর নয়?
(খ) হাদীস কি কখনো পৃথিবীতে লিখিত আকারে ছিলো? যে ভাবে
কোরআন ছিলো?
পৃথিবীতে এত নবী রাসুল আসলো কেবল মুহাম্মাদের উম্মতদের বেলায় হাদীস দরকার হলো?
ক। ঈশা (আঃ) এর উম্মতদের হাদীস গ্রন্থের নাম কি?
খ।ইব্রাহীম (আঃ) এর উম্মতদের হাদীস গ্রন্থের নাম কি?
গ। ইসমাইল (আঃ) এর উম্মতদের হাদীস গ্রন্থের নাম কি?
ঘ। ঈশাহাক (আঃ) এর উম্মতদের হাদীস গ্রন্থের নাম কি?
ঙ। ইদ্রীশ (আঃ) এর উম্মতদের হাদীস গ্রন্থের নাম কি?
চ। ইয়াকুব (আঃ) এর উম্মতদের হাদীস গ্রন্থের নাম কি?
ছ। ইউসুফ (আঃ) এর উম্মতদের হাদীস গ্রন্থের নাম কি?
আসুন বোখারী সাহেবদের উম্মত না হয়ে প্রকৃত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর উম্মতে পরিনত হই।
বললে অনেক বলা হবে, তবে এই রকম অনেক নবী রাসুল পৃথিবী থেকে বিদায় নিলো তাদের উম্মত গুলি কিসের ভিত্তিতে ইবাদত করলো বা চললো। অনুমানের চর্চা না করে কোরআনের সঠিক চর্চা করুন। আল্লাহ্ যেন সকলকে কোরআন বুঝে পড়ার তৌফিক দান করেন---আমেন
১৩| ২২ শে অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৪৭
সত্য সবার উপর বলেছেন: দুঃখিত আমার শব্দটি হবে অপ্রাসাঙ্গিক ভাবে
১৪| ২২ শে অক্টোবর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:১২
দেখি তো পারি কিনা..... বলেছেন: আপনি সু কৌশলে একটি আয়াতের অর্থ এড়িয়ে গেছেন। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনের একটি আয়াত এই ভাবে বলেছেন.......""আর আমি আপনাকে সমগ্র মানব মন্ডলির জন্য রহমত স্বরুপ প্রেরন করেছি।" ,,.....আমি সঠিক আরবী আয়াতটি দিতে পারছিনা বলে দু:খিত। তবে পরবর্তীতে পুরো আয়াত বা কোন সূরা সেটা উল্লেখ করার চেষ্টা করবো।
আর আমাদের নবী করিম (দ) যখন মীরাজে গমন করেন, তখন বায়তুল মুকাদ্দাসে সমস্ত নবী রাসূলদের সঙ্গে নিয়ে রাসূল (দ) নামাজের ইমামতি করেন।আর এতে কি প্রমানিত হয়....????
আর তাছাড়া কিয়ামতের দিন সবাই যখন ইয়া নাফসি, ইয়া নাফসি করবে। সে দিন তাহার উম্মতের জন্য আল্লাহর দরবারে কে সর্ব প্রথম সুপারিশ করবে বলতে পারেন...????
তাহলে এতো কিছুর পর ও আপনি আসছেন এত যুগ পরে অন্য একটা কথা নিয়ে ..।
আল্লাহ আপনার হিদায়েত দিক। আর আমাদের কে ও ভালো টা বুজার তৌফিক দিক।
২২ শে অক্টোবর, ২০১২ রাত ১১:৩৩
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: ভাই আপনি আমার লিখাটার শিরোনাম পড়েন নাই মনে হয়। আমি বলেছি
হাদীস মতে মুহাম্মাদ (সাঃ) সকল নবীর নবী, কোরআন মতে নয়। আর ”দেখি তো পারি কিনা”.আপনি বলেছেনঃ
আর আমাদের নবী করিম (দ) যখন মীরাজে গমন করেন, তখন বায়তুল মুকাদ্দাসে সমস্ত নবী রাসূলদের সঙ্গে নিয়ে রাসূল (দ) নামাজের ইমামতি করেন।আর এতে কি প্রমানিত হয়....????
আর তাছাড়া কিয়ামতের দিন সবাই যখন ইয়া নাফসি, ইয়া নাফসি করবে। সে দিন তাহার উম্মতের জন্য আল্লাহর দরবারে কে সর্ব প্রথম সুপারিশ করবে বলতে পারেন...????
”দেখি তো পারি কিনা.” আপনি যা বললেন তা কেবল হাদীসের কথা।
১৫| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১২ সকাল ১১:৪৪
দেখি তো পারি কিনা..... বলেছেন: আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনের একটি আয়াত এই ভাবে বলেছেন.......""আর আমি আপনাকে সমগ্র মানব মন্ডলির জন্য রহমত স্বরুপ প্রেরন করেছি।".......................এই কথাটি এড়িয়ে গেলেন কেন....?????
২৫ শে অক্টোবর, ২০১২ রাত ১১:৪৩
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: রহমত মানে কি সেটা আগে জানুনন।
১৬| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১২ সকাল ১১:১৪
সত্য সবার উপর বলেছেন: আপনি অংক মুখস্ত করা ছাত্রদের মত কথা বলেন এবং আমি নিশ্চিত আপনি টেপরেকর্ডের মত একই কথা সব যায়গায় বলেন কেননা আপনি কোরআন নিয়ে বিন্দুমাত্র পড়াশোনা করেন নাই।
আমি আপনাকে প্রশ্ন করেছিলাম ১২ নম্বর কমেন্টে কিন্তু আপনি টেপরেকর্ডার আমাকে শোনাচ্ছেন অন্য কথা আর এতে প্রমানিত হয় যে আপনার পেটে এবং মাথাতে শূন্য ব্যাতিত কিছুই নেই।
আপনি মানুষকে বিভ্রান্তকারী দলের অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন যারা ইদানীং নিজেকে আহলে কোরআন বলে দাবী করে কিন্তু আহলে কোরআনের অর্থ কি সেটাই তারা জানে না।
জানেন কি গরু প্রথম প্রথম শিং উঠলে যেখানে সেখানে গুঁতা মারে আর এভাবে অনেক সময় সে তার শিং ভেঙ্গে ফেলে আর সেই শিং কোন দিন ঠিক হয় না। আপনার অবস্থা তার থেকেও ভয়াবহ। নিজেকে নিজে পণ্ডিত ভাবছেন কিন্তু আপনি জানেন কি যে আপনি হচ্ছেন মূর্খ পণ্ডিত।
নিজে প্রকৃত জ্ঞানঅর্জন করে পারলে কিছু লিখেন নাহলে ইসলাম নিয়ে লিখতে আসবেন না।
আপনার মত কিছু বিভ্রান্তদের সাথে আমার জানা শোনা আছে এবং আমি জানি এদের ভূত কীভাবে তাড়াতে হয়।
আসবেন নাকি রাজশাহী থেকে ভূত ছাড়ানোর ঔষধ নিতে আমার কাছে।
২৫ শে অক্টোবর, ২০১২ রাত ১১:৫৫
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: আপনার সাথে অহংকার করে কথা বলছিনা আল্লাহ্ অহংকার যেন আমার ক্ষমা করেন। আপনাকে আমি প্রকশ্যে বাহাসের দাওয়াত দিলাম। আপনি কতটা জ্ঞান অর্জন করেছেন সেই সব নথিপত্র সব কিছু সাথে আনবেন; আর পারলে আপনার নিজের সুবিধার জন্য দুটো তথাকথিত আলেম রাখতে পারেন, একটা আরবীর অভিধান রাখবেন আপনার সুবিধার জন্য। আপনার জ্ঞানের অহংকার দেখে আমি এই কথা বললাম। আল্লাহ্ আমায় যে জ্ঞান দিয়েছেন আমি কেবল সেই মাথা আর দেহটা সাথে নিবো। আমার কোন নথিপত্র লাগবে না, কোন আলেমও লাগবেনা; কি রাজি আছেন? শত শত মানুষের সামনে হবে এই বাহাস। আমি বলবো আপনি উত্তর দিবে। আর আপনি বলবেন আমি উত্তর দিবো। কি রাজী থাকলে আওয়াজ দিয়েন। মনে রাখবেন কোনআর হাদীস ভালো করে মুখস্থ না থাকলে পরনের লেংটি কিন্তু জনসম্মূখে খুলে যাবে। তখন ভুত ঝাড়া আপনার দিতে হবে না, ভুতঝাড়া নিতে হবে এই রাজশাহীর মানুষের কাছে!!
১৭| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১২ সকাল ১১:১৭
সত্য সবার উপর বলেছেন: আমেন শব্দ এটা ইহুদীরা বলে থাকে মুসলিমরা কোন দিন ইহুদীদের মত আমেন বলে না বলে আমীন
আর এটা থেকেও প্রমান হয় আপনার আসল পরিচয়ের কিছু অংশ। আল্লাহ্ আপনাদের মত বিভ্রান্তকারীদেরকে থেকে আমাদের হেফাজত করুন, নতুবা আপনাদের ঈমান দান করুন নতুবা আপনাদের ধ্বংস করুন। আমীন।
২৫ শে অক্টোবর, ২০১২ রাত ১১:৫৮
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: আদম (আঃ) থেকে শুরু করে সকলেই ছিলো মুসলমান। ইহুদী-খ্রীষ্টিয়ান ও ইসলামটা কি সেটা আগে বোজবার চেষ্টা করেন। "আমেন" কিংবা "আমিন" এই শব্দ কোথা থেকে কিভাবে এসছে সেটা জানার চেষ্টা করুন। ফাউল প্যাচাল পাইড়েন না।
১৮| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:৪৫
সত্য সবার উপর বলেছেন: ফাউল প্যাচাল কে পাড়ছে সেটা কিন্তু সবাই জানে। নিজে কোরআনের কথার বিপরিতে কথা বলছেন আর নিজেকে কোরআনের অনুসারী হিসাবে তুলে ধরছেন।
নিজে আগে পড়াশোনা করুন এর পর লেখালেখি করুন। শয়তানের দৌড় কতদুর সেটা মোটামুটি আমরা সবাই জানি।
আপনি তো খুব বেশী জানেন তো বলেন তো আমেন কোথা থেকে এসেছে?
দেখেন কোথা থেকে আমেন এসেছে।
The word amen (play /ˌɑːˈmɛn/ or /ˌeɪˈmɛn/; Hebrew: אָמֵן, Modern amen Tiberian ʾāmēn; Greek: ἀμήν; Arabic: آمين, ʾāmīn ; "So be it; truly") is a declaration of affirmation[1][2] found in the Hebrew Bible and New Testament. Its use in Judaism dates back to its earliest texts.[3] It has been generally adopted in Christian worship as a concluding word for prayers and hymns.[2]
১৯| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:৫৫
সত্য সবার উপর বলেছেন: রাজশাহীর আহলে হাদিসদের চিনেন আপনি, গিয়ে বলেন আপনার কথা দেখেন মাইর একটাও নীচে পড়ে কি না এমনকি তাবলীগ জামাতের কারো কাছেও যদি এগুলি বলেন তাহলে মাইর নীচে পড়বে বলে মনে হয় না।
আল্লাহ্র কাছে তউবা করেন সঠিক পথে আসেন নাহলে আপনার পরিণতি কি সেটা একমাত্র আল্লাহ্ই ভালো জানেন।
২০| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৫৩
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: amen কথাটা হিব্রু এটা আপনি নিজেও শিকার করলেন। এখন কথা হচ্ছে মুসার শরীয়ত অনুযায়ী আমেন শব্দ হিব্রুতে একটু সুরের পর্থক্য বটে। কিন্তু মুল ভাব আমেন আর আমি একই শব্দ,একই মিনিং। মুসার শরীয়তকে আপনি অস্বীকার করলে আপনার ধর্ম টিকবে না। মুসা (আঃ) এর ধর্মও ছিলো শান্তির, আল্লাহ প্রেরিত। তারাও ছিলো মুসলিম এটা কোরআনের কথা। কেবল আপনাদের মত ছাগুরা দাদের মধ্যে তারতম্য করে।
২১| ১১ ই নভেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৩২
সত্য সবার উপর বলেছেন: মুসা (আঃ) আমাদের নবী কিন্তু তার শরীয়ত বিলুপ্ত যখন রাসুল (সঃ) উপর কোরআন নাযিল হয়েছে। কারন রাসুল (সঃ) সমগ্র মানবজাতির রাসুল।
২০ শে নভেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:০০
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: তার শরীয়ত বিলুপ্ত এমন কোন কোরানিক দলিল আছে আপনার কাছে। থাকলে জানাবেন।
২২| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:০৪
সত্য সবার উপর বলেছেন: সূরা আল ইমরান (The family of Imran )
(3:19) নিঃসন্দেহে আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য দ্বীন একমাত্র ইসলাম। এবং যাদের প্রতি কিতাব দেয়া হয়েছে তাদের নিকট প্রকৃত জ্ঞান আসার পরও ওরা মতবিরোধে লিপ্ত হয়েছে, শুধুমাত্র পরস্পর বিদ্বেষবশতঃ, যারা আল্লাহর নিদর্শনসমূহের প্রতি কুফরী করে তাদের জানা উচিত যে, নিশ্চিতরূপে আল্লাহ হিসাব গ্রহণে অত্যন্ত দ্রুত।
----------------------
এবার বলুন আগের সব কিছু কি আল্লাহ্ রহিত করে দেন নাই যখন আল্লাহ্ বলেছেন একমাত্র গ্রহণযোগ্য হচ্ছে ইসলাম।
কোরআন ফলো করেন কিন্তু কোরআনের কথা ফলো করেন না, আফসোস।
২৯ শে নভেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৫২
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: ইসলাম মানে কি আরবী শব্দ? ইসলামের বাংলা করেন তাহলে অর্থ কি দাড়ায় দেখুন।
এবং যাদের প্রতি কিতাব দেয়া হয়েছে তাদের নিকট প্রকৃত জ্ঞান আসার পরও ওরা মতবিরোধে লিপ্ত হয়েছে, শুধুমাত্র পরস্পর বিদ্বেষবশতঃ
প্রকৃত জ্ঞান আসার পরেও আমরা কি মত বিরোধ করছি না। আমরাওতো কিতাবধারী।
২৩| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:২৭
সত্য সবার উপর বলেছেন: আপনি যে ইহুদের এজেন্ট সেটা মোটামুটি সবাই কাছেই পরিষ্কার। আপনি চাইলেই নিজের পরিচয়কে গোপন করতে পারবেন না।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৪৫
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: সবাই বলতে কাকে মিন করছেন? আমি আমার আসল নাম পরিচয় ও মোবাইল নাম্বার দিয়েছি। আপনার মত ছদ্দ নাম দেয় নাই। চির সত্য আমার চলাই ও বলাই। আল্লাহ্ আপনাকে হেদায়েত নসীব করুন---আমেন
২৪| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:১৩
সত্যকে জানুন বলেছেন: "ইন্নাদ্দ্ইনা ঈনদাল্লাহিল ইসলাম"
"ইসলামই আল্লাহ্ তায়ালা কর্তৃক মনোনীত জীবনব্যবস্থা"-আল কোরআন
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৫০
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: ইসলামা মানে শান্তি। শান্তি আল্লাহর পছন্দের দ্বীন। ইসলাম ধর্মের নাম নয়। মুহাম্মাদ (সাঃ) এর ধর্মের নাম ”হানিফান” এটা ইব্রাহিম (আঃ) এর ধর্ম। রাসুল (সাঃ) কেবল ইব্রাহিম (আঃ) কে অনুসরন করেন এটাই কোরআনের বক্তব্য।
২৫| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:৩৭
শিপু ভাই বলেছেন:
আপনিই বললেন যে খাতাম অর্থ শীল/সিল। সিল কখন মারা হয়?
- যখন কোন কিছু সমাপ্ত হয় তখন সিল মারা হয়।
-যখন কোন কিছু বন্ধ করে দেয়া হয় সেটা সিল করা হয়।
সেইমতে নবী আগমনের পথ সিল করা হয়েছে। অর্থাৎ নবী করিম (সঃ ) হচ্ছেন সর্বশেষ নবী ও রাসূল।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৫৪
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: আপনার মত করে আপনি বুজলে উত্তর এটা হবে। কিন্তু খাতাম মানে শীল মহর ও অলকিৃত। নাহিয়ান ব্লগ এর ৪ নং কমেন্ট এর উত্তরে বিস্তারিত লিখা আছে আরও একবার পড়ে দেখেন।
২৬| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ৯:৩৭
লবন লাগিয়ে দিবো বলেছেন: লেখকের লেখার জবাব কেউ না দিয়ে নানান ভাবে পাশ কাটিয়ে যাচ্ছে। লেখক বলেছেঃ হাদীস মতে মুহাম্মাদ (সাঃ) সকল নবীর নবী, কোরআন মতে নয়
আপনারা তাকে কোরআন দিয়ে দেখিয়ে দিন মুহাম্মাদ (সাঃ) কোরআন মতেও সকল নবী নবী। আসলে লেখকের মাথাতো আর খারাপ না যে তিনি কোরআন না জেনেই এমন একটি উটভট প্রশ্ন ছুড়েছে? আমিও লেখকের সাথে একমত।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ১:২৭
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: আমি কিন্তু হাদীস মতে মুহাম্মাদ (সাঃ) সকল নবীর নবী বলেছি। কেবল বলেছি কোরআন মতে নয়।