নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মন্ত্রক

আমি আমার দেশের জন্যে

মন্ত্রক › বিস্তারিত পোস্টঃ

মোশরেকা মিশু সম্পর্কিত তথ্যবলী.।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:৪০

তিনি সরকার বিরোধী বাম রাজনীতির সহিত জড়িত। দেশের গামেন্টর্স শিল্পের শ্রমিকদের মধ্যে তার জনপ্রিয়তা, সুনাম ও গ্রহনযোগ্যতা রয়েছে। ঢাঃ বিঃ থেকে øতোকোত্তর ডিগ্রীধারী এই নেত্রী সরকার বিরোধী বাম রাজনীতি সমর্থিত গামেন্টর্স শ্রমিক ঐক্য ফোরামের সভাপতি ও বিপ¬বী গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি। তদুপরি তিনি বর্তমানে তোবা গামেন্টর্স কেন্দ্রীক শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করছেন। ব্যক্তি বিগত ২০১২ সনে গাজীপুরের একটি পেট্রোল পাম্পে প্রাইভেট কারের বিনা মূল্যে তৈল নিতে গিয়ে পেট্রোল পাম্প শ্রমিকদের সাথে হাতাহাতি ও মামলা পরবর্তীতে গ্রেফতার হোন। এতদছাড়া মাদক সেবনসহ অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

তোবা গার্মেন্টেসের শ্রমিক আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে গত ৬ আগস্ট গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফোরামের প্রেসিডেন্ট মোশারেফা মিশুর সঙ্গে থমাস নামে এক জার্মান সাংবাদিকের ফোনালাপ হয়। এতে শ্রমিকদের আন্দোলনের কথা ইউরোপীয় ক্রেতাদের কাছে ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান মিশু। ইউটিউবে ফাঁস হওয়া এ কথোপকথনটির বিস্তারিত:

থমাস: মোশারেফা মিশু বলছেন? আমি ফ্রাঙ্কফুর্ট থেকে থমাস। হাই মিশু আপনি কেমন আছেন? শুনলাম আপনি অসুস্থ।

মিশু: হ্যাঁ, আপনি কেমন? আমরা অনশনে আছি। আজকে নবম দিন চলছে।

থমাস: অনশন করছে কতজন?

মিশু: সবমিলিয়ে ১৬০০। এর মধ্যে ১৩০০ নারী আর ৩০০ পুরুষ কর্মী। ৩ মাসের বেতন, এক মাসের ওভারটাইম আর ঈদ বোনাসের জন্য তাদের সঙ্গে আমাদের সংগঠন অনশন করছে।

থমাস: অর্থাৎ তোবা গ্রুপের কাছে আপনাদের বিশেষ দাবি রয়েছে। এখন পরিস্থিতি কেমন?

মিশু: এখন পরিস্থিতিটা বেশ মজার। সব বামদল, সব উদারপন্থী বাম গণতান্ত্রিক দল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠন আমাদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেছে। ঢাবিতেও শিক্ষকরা প্রতীকী অনশন করেছে। এই ফাঁকে আমরা তোবা গ্রুপ ওয়ার্কার্স অ্যাকশন কমিটি নামে একটি সংগঠনও গড়ে তুলেছি। এরই মধ্যে সব ছাত্র ও নারী সংগঠনগুলোর সঙ্গে বামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলো যেমন- জাফরুল্লাহ চৌধুরী ও খুশি কবীরের মতো মানুষেরাও আমাদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেছেন। বস্তুত, সকল দেশপ্রেমী ও গণতান্ত্রিক মানুষ আমাদের সঙ্গে আছে। এখন মানুষগুলো সব একতাবদ্ধ। সরকার ও বিজিএমইএ’কে এখন গোটা জাতি এখন ঘৃণার চোখে দেখছে। ৯ দিন ধরে অনশনে আছি আমরা, এখনও তারা কর্মীদের বেতন দেয়নি। আমরা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে আছি, আমার নিজের রক্তচাপ এখন ১৭০ বাই ১২০। অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাদের বেশিরভাগই নারী। তাদের স্যালাইন ও ভিটামিন দিচ্ছি। প্রথম দিন থেকেই আমরা মেডিক্যাল টিম গঠন করেছি। আমার সহপাঠী ডাক্তাররাও সাহায্য করছে। লোকের দ্বারে দ্বারে গিয়ে তহবিল সংগ্রহের চেষ্টা করছি। এই প্রথম গার্মেন্টস শ্রমিকরা এত কঠিনভাবে একতাবদ্ধ হয়েছে। কয়েক মিনিট আগেও ১০টি গার্মেন্টের কর্মীরা আমাদের কাছে এসে একাত্মতা প্রকাশ করেছে। তারা বাড্ডা ও গুলশান এলাকা থেকে এসেছে।

থমাস: এখন আপনি কোথায়? কারখানা ভবনে?

মিশু: হ্যাঁ, তোবা গ্রুপের ১২তলা ভবনের ৮তলায় আছি।

থমাস: বিজিএমইএ’র সঙ্গে কি আপোস করছেন? নাকি করছেন না?

মিশু: অনশনের আগে তোবা গ্রুপ ও বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষকে আমরা জানিয়েছিলাম। সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে বেতন বোনাস দেওয়ার আলটিমেটাম দিয়েছিলাম। শ্রমমন্ত্রী, বিজিএমইএ ও তোবা গ্রুপের সঙ্গে আলাপ করেছি। কিন্তু তারা পাত্তা দেয়নি। তাই ঈদের আগের দিন আমরা অনশনে যেতে বাধ্য হয়েছি। এই শ্রমিকরা বিশ্বকাপে জার্মানি, ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার জন্য জার্সি তৈরি করেছিল। আমি খুব খুশি যে আপনি আমাকে কল করেছেন। এখন এই খবর যদি জার্মানি থেকে ইউরোপীয়দের মাঝে ছড়িয়ে দিতে পারেন যে, বিশ্বকাপটা কোটি কোটি দর্শক উপভোগ করলেও এ কর্মীরা তাদের মজুরি পায়নি। এটা নৃশংস-অমানবিক।

থমাস: জার্মান কোম্পানিগুলোর নাম জানেন?

মিশু: হ্যাঁ আমি জানি কোম্পানিগুলোর নাম।

থমাস: কোম্পানির নামগুলো আপনি আমাকে মেইল করতে পারেন।

মিশু: এখানে ইন্টারনেট নেই। তবে আমি নাম বলতে পারি- ওডাব্লিউআইএম।

থমাস: আপনি এসএমএস করে পাঠাতে পারেন।

মিশু: আপনি আপনার ইমেইল ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর পাঠিয়ে দিন। আর এই খবর ইউরোপ ও আমেরিকায় ছড়িয়ে দিন।

থমাস: আমি করবো। এটাকে ইন্টারভিউ হিসেবে ছাপবো।

মিশু: এখানে চারটা শ্রমিক ইউনিয়ন আছে, কিন্তু কর্তৃপক্ষ এগুলোকে পাত্তা দেয় না। আপনি এটাও উল্লেখ করবেন যে, রানা প্লাজা ও তাজরীনের ঘটনার পর বিজিএমইএ বলেছিল গার্মেন্ট কারখানার কর্মীদের অবস্থা বেশ ভাল, তাদের নিয়মিত বেতন দেওয়া হচ্ছে; কিন্তু আদতে এসব সত্য নয়।

থমাস: আমাকে মেইলে প্রতিদিনকার আপডেট পাঠানো সম্ভব কি? তাহলে এটা যতোদিন চলবে, আমি ইন্টারনেটে প্রতিদিন আপডেট করতে পারবো।

মিশু: ঠিক আছে।

থমাস: আমার শুভেচ্ছা রইল। আমরা যোগাযোগের মধ্যে থাকবো।

মিশু: দয়া করে আমাদের জন্য ও এই আন্দোলনের জন্য একটা কিছু করবেন। জার্মান পত্রিকাগুলোতে এ নিয়ে লিখবেন যাতে বাস্তবতাটা সবাই বুঝতে পারে।

থমাস: ঠিকাছে। ধন্যবাদ। মিশু। লাল সালাম।

মিশু: লাল সালাম।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:৪৮

জামান শেখ বলেছেন: আপনার কথা কতটুকু সত্য তা আমার জানা নেই। আপনি কিন্তু কোন সোর্স থেকে এই তথ্য পেয়েছেন তা লিখে দিলে বিলিভেবল হতো।

২| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:৪৮

জামান শেখ বলেছেন: আপনার কথা কতটুকু সত্য তা আমার জানা নেই। আপনি কিন্তু কোন সোর্স থেকে এই তথ্য পেয়েছেন তা লিখে দিলে বিলিভেবল হতো।

৩| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:৪৬

লেখোয়াড় বলেছেন:
ইউ টিউবের লিংকটি দিবেন দয়া করে।
দেখি আপনি যা বললেন তা কতটুকু সত্য।

৪| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:০৩

নাহিদ তামিম বলেছেন: সোর্স কি আমি জানি না বুঝি না, কিন্তু কাল নিউজ এ দেখলাম শ্রমিকরা রাস্তায় বাস, কার ভাংচুর করছে, এটা ঐ মিশুর কাজ সেটা ভালই বুঝলাম। যে বাস গুলা শ্রমিকরা ভাংচুর করছে ঐ বাসগুলাই প্রতিদিন তাদের বাসা-কর্মস্হল পৌছে দেয়। একদিন রাস্তায় বাস না চল্লে তাদের কি অবস্হা হবে ভেবে দেখেছে। ঐ মুটকি মহিলা ৯ দিন কেন ৯৯ দিন অনশন করলেও শরীরের কিছু হবে না। আর এটাও বিশ্বাস করিনা ঐ মহিলা সত্যি অনশন করছে।

৫| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:০৮

লেখোয়াড় বলেছেন:
তোবার শ্রমিক না খাইয়া মরে
তোবার মালিক ফুর্তি করে।

তোবার শ্রমিক না খাইয়া মরে
বিজিএমইএ তামাশা করে।

তোবার শ্রমিক না খাইয়া মরে
প্রধানমন্ত্রী ঈদ করে।

শ্লোগানগুলা কিন্তু জস্পেস।

৬| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৩

ঢাকাবাসী বলেছেন: বিজিএম দেলোয়ার ন.মন্ত্র সবাই এক গোয়ালের গরু, ঘুষ পায় আর শ্রমিকদের পেটায়! শ্রমিকদের দেখার জন্য সরকারের কেউ নেই পিটাবার জন্য অনেক আছে! তিন মাস ধরে বেতন দেয়না তাজরীন গার্মেন্টস এর পৃথিবী খ্যাত খুনীটা!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.