![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেহের কোথাও অন্তরালে মনের ভেতরইতো মানুষের বসবাস; সুতরাং মৃত্যুটা তো ছোট গল্প বেঁচে থাকাটাই উপন্যাস।তবুও আমরা ছুটছি জীবনের পিছু.।
একটা মানুষকে বুঝতে চেয়েও বারবার অবুঝের মত বড্ড বোকামি করে ঘর ফেরা লোকগুলো কে তুমি ব্যর্থতার কাহিনী শোনাতে যেও না। যে মানুষটা সফলতা পেয়েছে তারও কিন্তু হাঁজারো অব্যক্ত কথা লুকিয়ে থাকে। একজন সফল মানুষের তালিকা তৈরি করতে তোমার অনেক সময় খরচ হয়ে যাবে। কিন্তু একজন ব্যর্থ মানুষের তালিকা তৈরি করতে নিয়ম করে এত আয়োজন করতে হবে না। একটা সফল মানুষকে হেরে যাওয়ার ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। কারণ সফল মানুষগুলো হারতে হারতে জিতে গেছে।
যে মানুষটা তোমার অবহেলা প্রাপ্ত হচ্ছে তারমানে এ নয় কেউ তাকে কেয়ার করার নেই। বাস্তবে কিন্তু মানুষটা তোমার মত অদ্ভুত না সেও তোমার মতো অবহেলা শিখে যাবে। কেউ অবহেলা পাচ্ছে, তার মানে এই না যে, সে ব্যর্থ। সফলতার মানে এই না, তুমি প্রেম করলে, প্রেমিকা নিয়ে ঘুরলে, ফিরলে, পরে তাকে বিয়ে করে নিলে। ব্যাস তুমি সফল মানুষ হয়ে গেলে। সফলতা মানে হলো যে কয়েক দশক বছর পাড় করে কষ্ট সহ্য করে নিজেকে মানুষের সামনে এমন ভাবে তুলে ধরেছে যে,প্রত্যেক শ্রেণীর মানুষ তাকে দেখে মোটিভেট হয়।
প্রেম আর বাস্তব লাইফ একে অপরের পরিপূরক হলেও সত্যতা হলো তারা একজন অপরজনের চাইতে আলাদা আলাদা। যে মানুষটা প্রেমে জিতে গেছে। তাকে সফল মানুষ ভেবে মোটিভেট হওয়ার চাইতে, যে মানুষটা বাস্তব লাইফের এক্সামগুলো তিল তিল করে পার করেছে। তাকে দেখে মোটিভেট হওয়া অনেক বড়সড় একটা পরীক্ষা। ভালোবাসার জায়গায় নিজের মনকে স্থির করা যেমন জরুরি বিষয়। ঠিক তেমনি সফলতা পাওয়ার জন্য মানুষের ভালোবাসা পাওয়াটা ও খুব জরুরি একটা বিষয়।ভালোবাসা পাশে নিয়ই সফলতার স্বাদ আরো মোখর হয়৷
একজন মানুষকে যত সহজে স্বভাবজাত করা যায়,ঠিক ততো সহজে কিন্তু একজন মানুষের অভাবটা পূর্ণ করা যায় না। মানুষের অভাব মানুষ দিয়ে পূর্ণ করতে হয়। এটার ও একটা নিয়ম আছে। বর্তমানে ভালো মানুষের তালিকা বের করার চাইতে তাদের ক্যারেক্টার বের করা উত্তম।কারন ক্যারেক্টরই বলে দিবে সে কতটুকু পারফেক্ট ব্যক্তিত্বের৷
লাইফে পারফেক্ট মানুষ খুঁজার চাইতে কেয়ারশীল মানুষ খুঁজা ভালো। কারণ প্রতিটা মানুষ তোমার জন্য পারফেক্ট না ও হতে পারে। তবে কেয়ারশীল মানুষের তালিকাটা কিন্তু অনেক জোড়ালো শোরালো। প্রতিটা মানুষের লাইফে ভয়াবহ অধ্যায়গুলোর মধ্যে একটি হলো, যাকে সে মন দিয়ে ভালোবাসে, তার সঙ্গ কখনো পায় না। কিন্তু যাকে সে ভালোবাসার মন মানসিকতা তৈরি করতে পারেনি,তার সঙ্গ বারবার পায়।
আবার পরক্ষনে অনেক সময় ব্যস্ততার কারনে কেরিয়ারর কারনে যদি সময় দিতে পারছেনা মানুষটি সেখানে কিন্তু অবহেলা থাকে না এটাও পাশের জনকে বুঝতে হবে৷ একজন মানুষ ব্যস্ততা দেখাচ্ছে, তার মানে এই না যে সে তোমাকে ভুলে যাচ্ছে। এমন ও হতে পারে, সে তোমাকে ব্যস্ততার মাঝেও স্মরণ করে লুকিয়ে লুকিয়ে মনে করে ভাবতেছে। ব্যস্ততা দেখে ভালোবাসার পরিমাপ করতে যাওয়া টাও আরেকটা বোকামি ৷ বরং শত ব্যস্ততার পরও যে তোমাকে একটুখানি কেয়ার নেয়, সেই মানুষটাই তোমার জন্য একদম পারফেক্ট।
পারফেক্ট মানুষ হতে শুধু পাশাপাশি কাছাকাছি নয় বরং দুজনের জন্য দুজনকে সহনশীল পরিবেশ তৈরি করাটাই যথেষ্ট৷
©somewhere in net ltd.