নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মিশুক মশিউর

আমি আমার আমিত্ব ছেড়ে বের হতে পারবোনা কখনো।।

এম মশিউর

মশিউর রহমান

এম মশিউর › বিস্তারিত পোস্টঃ

শৈশবে আমার প্রিয় গ্রাম্য খেলাগুলো!!!

১৭ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:২৯



শৈশবের দিনগুলি কতই না মজার ছিল! সারাদিন হৈহুল্লোড়, ছুটাছুটি, মাতিয়ে বেড়াতাম আমাদের গ্রাম। আমি ছিলাম টো টো কোম্পানীর ম্যানেজার ;) । হন্যে হয়ে ছুটে বেড়াতাম গ্রামময়। কোথাও স্থির থাকতো না মন। এজন্য কত যে মায়ের বকুনি খেয়েছি তার ইয়ত্তা নেই। B-)



আমার প্রিয় কিছু খেলা ছিল সেসময়। সেগুলোর সাথেই পরিচিত করে দেব সবাইকে। অবশ্য এখানে কিছু খেলার আঞ্চলিক নাম ব্যবহার করা হয়েছে। এসব খেলাগুলো বিলুপ্তপ্রায় । তবুও স্মৃতি থেকে লিখতে ইচ্ছে হল___



ডাংগুলি খেলাঃ

এইটা ছিল আমার সবচেয়ে প্রিয় খেলা। ডাংগুলি খেলার সর্দার ছিলাম আমি। আমি যে দলে থাকতাম, সেই দল প্রতিপক্ষকে কয়েকটা শাল দিতই। ২০ গজে ১ শাল। আর ১গজে গণনা করা হতো যথাক্রমে বাড়ী, দুড়ী, থেড়ী, চাকল, চরব, ঝেক, মেক। এইগুলো সবই আঞ্চলিক কথা। এর অর্থ আমি নিজেও জানি না। :-B তবে খেলায় এর প্রতিটা ব্যবহার আমার মুখস্থ। যেমন ডাংগুলির ডান্ডা ‘বাড়ী’ হলে সেইটা মারতে হত ‘কানা বাড়ী’ মানে এক চক্ষু বাম হাত দিয়ে ঢেকে গুলি পায়ের আঙ্গুলগুলোর উপড় রেখে মারতে হত। থেড়ী হলে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে গুলিটা মারতে হত। বেশ মজা করে খেলতাম!





গোসলে হৈ-হুল্লোড়ঃ

দুপুর হলেই আমার সাঙ্গ-পাঙ্গ নিয়ে দৌড় দিতাম সমাবেত গোসলের জন্য। আমাদের বাড়ির পাশের খালের উপর পুল/ব্রিজ থেকে একটার পর একটা লাফ দিতাম। যতক্ষন না পর্যন্ত চোখ লাল হচ্ছে, ততক্ষন আমাদের গোসল চলতে থাকতো। মাঝে মাঝে মা এসে বকাবকি করে গোসল ভঙ্গ করে দিতো।





ঘুড়ি উড়ানোঃ

বিকেল হলেই আমাকে আর আটকায় কে! ঘুড়ি আর নাটাই হাতে ছুটতাম মাঠের দিকে। আমার দলবলও হাজির হয়ে যেত ঠিক সময়। কার ঘুড়ি বেশি উপরে উঠে, এই নিইয়ে চলতো প্রতিযোগীতা। একেক জন একেক রকম ঘুড়ি তৈরি করতাম। এইগুলোর আঞ্চলিক নাম ছিল__ চিলি ঘুড়ি, কোয়াড়ী ঘুড়ি, ঢাউস ঘুড়ি। এদের নিয়ে একটা ছড়াও ছিলঃ

“চিলি করে ঝিলিমিলি

কোয়াড়ী করে টান,

ঢাউস শালা উইঠ্যা বলে

আরো সুতো আন।”










সবচেয়ে বেশি উপড়ে উড়তো ঢাউস ঘুড়ি এবং বেশি টান অনুভব হত কোয়াড়ী ঘুড়ি। আর লেজওয়ালা চিলি ঘুড়ি ঝিলিমিলি করে ঢেউ খেলে উড়তো।



দাড়িয়াবান্ধা/গাদিঃ

দাড়িয়াবন্ধা খেলাটিকে আমাদের এলাকায় গাদি খেলা বলে। বেশ মজা পেতাম এই খেলাটায়।





ডাকটিকেটে গাদি খেলার নমুনা





গাদি খেলার কোট



খেলার নিয়মঃ মোটামুটি ৫টি ঘর কেটে খেলা হতো দাড়িয়াবান্ধা। পাঁচ ঘরে খেলোয়াড় সংখ্যা ৬ জন। অর্থাৎ দুই দল মিলিয়ে মোট ১২ জনের খেলা। কিন্তু আমরা অত নিয়ম কানুনের ধার ধারব কেন? ৫ জনের জায়গায় ৮ জনের খেলাতেও আমাদের তেমন আপত্তি ছিল না, আবার তিনজন খেলোয়াড় নিয়েও অনায়াসে চালিয়ে নিতাম।

ওপরের চিত্র-৫-এ ১নং ঘরটি মূল বা গাদি ঘর, ২নং টি নুন ঘর। প্রথমে দুই দলের মধ্যে টস হতো। টসজয়ী দলটা ঢুকত ১ নম্বর ঘরের ভেতর। অন্য দল তাদের রাখত কড়া পাহারায়। টসে হারা দলটির একজন দাঁড়াত ১ ও ২ নং ঘরের মাঝখানের দাগে, আরেকজন দাঁড়াতো ১ ও ৩ নং ঘরের মাঝখানে দাগের ওপর। খেলা শুরু হলে টসজয়ী দলটার প্রথম উদ্দেশ্যই প্রতিপক্ষের পাহারাকে ফাঁকি দিয়ে বেরিয়ে পড়া। তারপর সব দাগের সব প্রতিপক্ষকে টপকে সব ঘর স্পর্শ করে আবার প্রথম ঘরে ঢুকে পড়া।

সবাইকে ১ নং ঘরে ঢুকতেই হবে তার কোনো মানে নেই যেকোনো একজন ঢুকলেই চলবে। সেটা করতে পারলেই তারা পেয়ে যাবে এক গাদি বা এক পয়েন্ট। এক গাদি অর্জন করতে অবশ্যই সেই খেলোয়াড়কে নুনঘর ঘুরে আসতে হবে। প্রতিপক্ষকে ফাঁকি দিয়ে ১নং ঘরে ঢোকার মুহূর্ত পর্যন্ত যদি প্রতিপক্ষের কোনো খেলোয়াড় তাদের যে কোনো একজনকে নিজের দাগের ওপর দাঁড়িয়ে ছুঁয়ে দিতে পারে তবে সেই দান বাতিল। তখন টসজয়ী দলকে দাগে দাঁড়াতে হবে আর প্রতিপক্ষ ১ নং ঘরে ঢুকে নতুন দান শুরু করবে।

গাদি বা দাড়িয়াবান্ধা মূলত বারমাসি খেলা তবে বর্ষাকালেই খেলটা জমত বেশি।



গোল্লাছুটঃ

এই খেলাটাকে আমাদের এলাকায় ঘোপু খেলা বলে। বেশ মজা করে খেলতাম। খুব মিস করি এই গোল্লাছুট খেলাকে।





খেলার নিয়মঃ প্রথমে দুই দলে ভাগ হতে হয়। এই খেলার জন্য প্রয়োজন বড় প্রশস্ত জায়গা। প্রথমে গোল্লা নির্ধারণ করতে হয় এরপর গোল্লা থেকে ৬০/৭০ গজ দূরে নির্ধারণ করা হয় 'সীমানা'। গোল্লা থেকে সীমানা স্পর্শ করা হচ্ছে এই খেলার উদ্দেশ্য। যে গোল্লা রক্ষক সে যদি সীমানা স্পর্শ করতে পারে তাহলে এই খেলায় বিজয়ী হয়েছে বলে ধরা হয়।

গোল্লাতে পা রেখে খেলোয়াড়রা শেকল তৈরি করে প্রতিপক্ষদের স্পর্শ করার জন্য। যদি প্রতিপক্ষ কাউকে স্পর্শ করতে পারে তাহলে সে বাদ হয়ে যায়।

কেউ যদি সীমানা স্পর্শ করতে পারে তাহলে বিজয়ের জন্য একধাপ এগিয়ে যাওয়া হয়। কারণ তখন গোল্লা থেকে জোড়া লাফ দিয়ে সীমানার কাছে এগিয়ে যাওয়া হয়। ফলে সীমানা কাছে চলে আসে। অন্যদিকে প্রতিপক্ষ যদি কোন খেলোয়াড়কেই সীমানা ছুঁতে না দেয় তাহলে তারা দান পায়। পরে প্রতিপক্ষ দলনেতা গোল্লাকে ছুঁয়ে দাঁড়ায় আর অন্য সদস্যরা তাকে ছুঁয়ে আগের মতো ঘুরতে থাকে এবং চেষ্টায় থাকে কখন ছুটে গিয়ে সীমানা ছুবে। এভাবেই ঘুরে ফিরে খেলা চলতে থাকে।



মার্বেল বা কড়ি খেলাঃ

ছোটবেলায় মার্বেল খেলার ভক্ত ছিলাম খুব। কাচের জগের এক জগ মার্বেল ছিল আমার । তখন মার্বেল জেতা একটা নেশার মধ্যে ছিল। যত বেশি মার্বেল জিততাম, ততবেশি আনন্দ লাগত।





ফুলটোকা খেলাঃ

মাঝে মধ্যে খেলতাম ফুলটোকা খেলা। কোথাও কোথাও এটি বউরানী খেলা নামেও পরিচিত।





খেলার নিয়মঃ দুইজন রাজার অধীনে সমান সংখ্যক খেলোয়াড় থাকে। মাঝখানে অনেক ফাঁকা জায়গা রেখে দুইপাশে দুইটি রেখা টেনে দিতে হয়। দুইপক্ষ রেখা বরাবর বসে পড়ে। খেলার শুরুতে রাজা ফুল-ফলের নামে নিজ দলের সদস্যদের নাম ঠিক করে দেয়। তারপর সে বিপক্ষ দলের যেকোন একজনের চোখ হাত দিয়ে বন্ধ করে, ‘আয়রে আমার গোলাপ ফুল, বা আয়রে আমার টগর ফুল’ ইত্যাদি নামে ডাক দেয়। সে তখন চুপিসারে এসে চোখবন্ধ যার তার কপালে মৃদু টোকা দিয়ে নিজ অবস্থানে ফিরে যায় এবং সবাই একসাথে জোরে বল,



'ক খ গ

মাথায় হেড'




এরপর চোখ খুলে দিলে ওই খেলোয়াড় যে টোকা দিয়ে গেল তাকে সনাক্ত করার চেষ্টা করে।



সফল হলে সে সামনের দিকে এগিয়ে যায়। এবার বিপক্ষের রাজা একই নিয়ম অনুসরণ করে। এভাবে লাফ দিয়ে মধ্যবর্তী সীমা অতিক্রম করে প্রতিপক্ষের জমি দখল না করা পর্যন্ত খেলা চলতে থাকে।



এই খেলা হচ্ছে বুদ্ধিমত্তার খেলা। এই খেলায় আমরা অনেক চালাকি করতাম। যেমন ইশারা ভাষা ব্যবহার করতাম। মাথায় হাত দিলে বা কান চুলকালে অমুকজন টোকা দিয়েছে তা সহজে বোঝার জন্য। ;) কোথায় গেল আজ সেই খেলা? :||



ওপেন টু বায়োস্কোপঃ

দু জন চৌকশ খেলোয়াড় হয় রাজা। মানে অধিনায়ক আরকি। দুই রাজা মুখোমুখি দাঁড়িয়ে দুই হাত উঁচু করে তোরণ তৈরি করে। বাকি খেলোয়াড়রা পরস্পরের কাঁধে হাত রেখে রেলগাড়ির মতো সেই তোরণের ভেতর দিয়ে পার হয়। চিত্রের দিকে তাকালেই বুঝতে পারবে। তোরণের ভেতর দিয়ে যাওয়ার সময় ছেলেমেয়ে এক যোগে একটা ছড়া কাটে। অত্যন্ত্য জনপ্রিয় ছড়াঃ



“ওপেন টু বায়োস্কোপ

নাইন টেন তেইশ কোপ

সুলতানা বিবিয়ানা

সাহেব-বাবুর বৈঠকখানা

সাহেব বলেছে যেতে

পানের খিলে খেতে

পানে তে মৌরি বাটা

স্প্রিংয়ের চাবি আঁটা

যার নাম মণিমালা

তারে দেবো মুক্তার মালা”






ওপেন টু বায়োস্কোপ পদ্ধতিঃ

মুক্তার মালা বলার সাথে সাথে ছড়া শেষ হয়ে যায়। ছড়া শেষের মুহূর্তে যে খেলোয়াড় তোরণের ভেতর আটকা পড়ে তাকে দুই রাজা গলায় মালা দেয়ার মতো করে বন্দি করে। আগেই ঠিক করা থাকে যে খেলোয়াড় পড়বে সে কোন রাজার দলে খেলবে।এভাবে প্রথম খেলোয়াড়ের দল নির্বচন হয়ে গেলে তাকে বাদ দিয়ে আবার শুরু হয় রেলগাড়ি চলা। সাথে ছড়াতো আছেই। দ্বিতীয়বারে যে ধরা পড়ে সে দ্বিতীয় রাজার দলে খেলে। এভাবে একজন করে ধরে দলে ভেড়ায় রাজারা।



ষোল গুটি খেলাঃ

দাবা খেলার গ্রাম্য সংস্করণ ষোল গুটি খেলা। অলস দুপুরে সময় কাটানোর জন্য ষোল গুটি খেলতাম। বুদ্ধি, ধৈর্য, কৌশল ও সতর্কতার সাথে খেলাটি খেলতে হয় বলে বয়স্ক লোকসহ সব বয়েসের লোকেরা এই খেলা খেলতো। এই খেলার উপকরণ একদম সহজলভ্য।





ষোলগুটির ছকের নমুনা



খেলার নিয়মঃ দুজন প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে এই খেলা হয়ে থাকে। উভয় খেলোয়াড় ১৬ টি করে মোট ৩২ টি গুটি দিয়ে এই খেলা খেলে থাকে। খেলার সুবিধার্থে উভয়পক্ষের গুটির বর্ণ আলাদা হয়। সাধারণত মাটিতে দাগ কেটে ষোল গুটির ঘর বানানো হয়। শুধু ঘরের মাঝখানের দাগটি দান চালার জন্য খালি থাকে। কোনাকুনি দাগের গুটিগুলো সারা ঘর জুড়ে এক ঘর করে কোনাকুনি খেতে পারে। উলম্ব দাগ কাটা ঘরের গুটিগুলো লম্বভাবে এক ঘর করে খেতে পারে। অপর পক্ষের গুটিকে ডিঙ্গাতে পারলেই সে গুটি কাটা পড়ে। এই ভাবে প্রতিপক্ষের গুটির সংখ্যা কমিয়ে শূন্য করে ফেলতে পারলেই খেলা শেষ হয়ে যায়।



সবচেয়ে মজার খেলাটাই তো বাদ পড়েছে__ লাট্টু ঘোরানো! খুব দ্রুত লাটিম ঘোরাতে পারতাম। আবার ঘুরন্ত লাটিম হাতে তালুতে নিয়ে অনেক মজা করতাম।





আরো একটা খেলা প্রিয় ছিল__ লোহার রিং/বালা চালানো। রাস্তায় লোহার রিং/বালা চালাতে বেশ ভালো লাগতো।





শৈশবে আরোও কিছু মজার মজার খেলা করতাম। তার মধ্যে, বৌ-তোলা, লুকোচুরি, সাতগুটি, চোর-পুলিশ, ইত্যাদি আরো নাম না জানা অনেক খেলা।





বর্তমানে এইসব খেলাগুলো বিলুপ্তপ্রায়। আধুনিক সভ্যতা গ্রাস করেছে এইসব গ্রাম্য খেলাগুলো। আজ গ্রামের প্রতিটা মানুষের হাতে মোবাইল, ঘরে ঘরে টিভি, ডিশ লাইন, কম্পিউটার। সভ্যতা আমাদের অনেক কিছু দিয়েছে ঠিকই, কিন্তু কেড়ে নিয়েছে আমাদের ক্ষুদ্র ভালোলাগা গুলো।







উৎসর্গঃ ঘুড্ডির পাইলট কে (যদিও রাফাত ভাই ঘুড্ডির পাইলট, তবুও আমার মনে হয় উনি আমার থেকে বেশি ঘুড্ডি উড়ায়নি)। ;)

মন্তব্য ৪২ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (৪২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৬

তামিম ইবনে আমান বলেছেন: অস্থির পোস্ট। ঘরোয়া খেলা আরো কয়েকটা দিতেন। অথবা দুই পর্বে দিতেন। এক পর্বে থাকতো আউটডোর, আরেকপর্বে ইনডোর :)


প্লাস ++++

১৭ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:২৫

এম মশিউর বলেছেন: ভাই,
আমার শৈশবে যেসব খেলাগুলো ভালো লাগতো সেইগুলোই এখানে দিয়েছি। আরো অনেক গ্রাম্যখেলা আছে, যেমন কুতকুত বা এক্কাদোক্কা, হা-ডু-ডু ইত্যাদি। কিন্তু এগুলো আমি তেমন খেলতাম না। তাই এখানে দিই নি!

ভালো থাকবেন।

২| ১৭ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৯

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: বাহ আমার বেশ কিছু প্রিয় খেলা আছে দেখা যায় ।

দাড়িয়াবান্ধা সবচেয়ে বেশি খেলছি তবে কলেজে উঠে খেলছি । ফুল টোক্কা খেলায় মাঝে মাঝে বিপক্ষ দলের খেলোয়াড়রা শত্রুতা করে অনেক জোরে টোক্কা মারত ! আর চুরি চামারি, সংকেত তো ছিলই খেলার মাঝে !

মার্বেলও খেলছি । এলাকার কয়েকজনের সাথে বেশ ঝগড়াঝাটি হতো এই খেলায়।
লাট্টু ঘোরানো ভালো পারতাম না । এছাড়া ষোল গুটি বাদে মোটামুটি সব খেলাই খেলা হইছে। গোসল এর জায়গাটা সুন্দর ! ব্রীজ টা। গ্রামে গেলেই এমন জায়গা পাই , বর্ষাকালে যখন ক্ষেতের উপর নতুন পানি আসে , সে সময়টায় খুব মজা হয় গোসল করে। তবে ব্রীজ থেকে ঝাঁপ দিয়ে পানিতে পড়া হয়নি।

সুন্দর নস্টালজিক পোস্টে প্লাস ।

১৭ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৭

এম মশিউর বলেছেন: বেশ তো! আমি যদি টো টো কোম্পানীর ম্যানেজার হয়, তাইলে আপনি তো সেই কোম্পানীর ক্যাশিয়ার!

খেলার মাঝে একটু-আধটু চুরি চামারি না থাকলে কি খেলা জমে! =p~

লাট্টু ঘোরানোতে আমি বস ছিলাম! ঘুরন্ত লাটিম হাতে নিয়েছি কত!! B-)

আর গোসলের কথা তো বাদই দিলাম! চোখ লাল না হলে যেন গোসলই হত না।। :-B


আপু, আপনার নস্টালজিক কমেন্টেও প্লাস! ;)

৩| ১৭ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:০২

ভূতাত্মা বলেছেন: আমি তো ঘুড়ি উড়ানো আর ওপেন টি বায়স্কোপ ছাড়া আর কিছুই খেলতে জানি না। :(( :(( :((

১৭ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৩

এম মশিউর বলেছেন: আপ্নেরা শহুরে মানুষ,
সারাদিন ভিডিও গেমএ গোলাগুলি করে কাটিয়েছেন, নয়তোবা শহুরে দামি দামি খেলনার মধ্যে নিমগ্ন ছিলেন! B-)

কিন্তু আমার মত সুন্দর শৈশব মিস করেছেন! ;)

এখনো বারবার খুজে ফিরি আমার ছেলেবেলা! B:-)

৪| ১৭ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:০৪

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ঘুড্ডি উড়ানের কথা বলতে ভুইলা গেছি। মা যখন টাকা দিত না ঘুড্ডি কিনতে তখন কাগজের ঠোঙা ( ব্রাউন পেপার দিয়ে বানানো ঠোঙা যা দিয়ে চাল , ডাল ইত্যাদি আনা হতো ) কেটে তারপর উড়াইতাম মাঠের মধ্যে । আর থাকতাম পুরান ঢাকায়। সাকরাইনে তো হেভি মজা হইত , খাওয়া দাওয়া , আগের দিন থেকেই সুতায় মাঞ্জা মারা । ভাইয়া কে হেল্প করতাম আর কি !

১৭ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৮

এম মশিউর বলেছেন: আমি তো ঘুড়ি বানানোর ইঞ্জিনিয়ার ছিলাম!
নিজের জন্য অনেক ঘুড়ি তৈরি করেছি, আবার অনেককে ঘুড়ি বানিয়ে দিয়ে কিছু বাড়তি টাকা কামিয়েছি! =p~

ছবিতে যেটা দেখা যাচ্ছে আমাদের এলাকায় এইটারে চিলি ঘুড়ি বলে।

আমার কাছে ঢাউস ঘুড়ি টা ফেভরাইট ছিল! B-)

৫| ১৭ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:১৬

ইখতামিন বলেছেন:
চমৎকার হয়েছে :)
পোস্টে ভালো লাগা দিলাম +++++

১৭ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:৫০

এম মশিউর বলেছেন: ভালো লাগায় ভালোবাসা ছড়িয়ে দিলাম! :) :) :)

৬| ১৭ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:০১

ভূতাত্মা বলেছেন: আমি পলিথিনের প্যাকেট দিয়াও ঘুড়ি উড়াইছি :P

১৭ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২২

এম মশিউর বলেছেন: পলিথিন প্যাকেটে সুতা বেঁধে? ভালো তো! নিশ্চয় কোন বাসার ছাদে থেকে! নইলে তো আর উড়বে না! :P :P

৭| ১৭ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:২৭

বটবৃক্ষ~ বলেছেন: খুব দারুন সমৃদ্ধ একটা পোস্ট!! সংগ্রহে রাখার মতো ! কিন্ত আমি একটাও পারিনা!!
আমার ছোটবেলার খেলার কথা মনে পরেগেল!!
কুমির কুমির একটা খেলা ছিল!! :)
আর এক্কা-দোক্কা!

১৭ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৫

এম মশিউর বলেছেন: হ্যা, জল-কুমির!! বেশ মজার খেলা! আমিও খেলেছি।

আর এক্কা-দোক্কা আপুরা খেলত, আমি শুধু চেয়ে চেয়ে দেখতাম! :#>

৮| ১৭ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:২৮

বটবৃক্ষ~ বলেছেন: হুম! ফুল টোকা বাদ পড়েছে! আমার ফেভারিট ছিলো ওটা! @অপর্ণা আপি! :)

আর তামিম ভাইয়ের সাথে শহমত! ইনডোর গেইম বাদ পরেছে! চোর পুলিশ!! ;)

১৭ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৬

এম মশিউর বলেছেন: আপনি না বললেন একটাও পারেন না! তাইলে এইটা ফেভারিট হইলো ক্যামনে? :D

আর ইনডোর আউটডোর আলাদা করতে পারি না! আমি সবই আউটডোরে মানে দরজার বাইরে খেলতাম! ঘরে থাকতাম না এক দন্ডও।। :-B

৯| ১৭ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৫

মামুন রশিদ বলেছেন: দারুন পোস্ট । শৈশবের প্রিয় খেলাগুলোর কথা মনে পড়ে গেলো ।


;) :) B-)

১৭ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৮

এম মশিউর বলেছেন: শৈশবকে খুব মিস করি! :||

ভালো থাকবেন।

১০| ১৭ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৭

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: চোর ডাকাত পুলিশ, লাটিম,কানামাছি,বাদ পরেছে। তবে পোস্ট চমৎকার হয়েছে। ঘুড্ডির পাইলট ঘুড্ডি উড়িয়েছে কিনা সন্দেহ আছে সে তো সারাদিন জনসেবা করে বেড়ায় ঘুড্ডি উড়ানোর সময় কোথায় । পোস্টে +।অসাধারণ পোস্ট ।

১৭ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৫

এম মশিউর বলেছেন: লাটিম বাদ রাখিনি! নিচের দিকে আছে। আর কানামাছি তেমন খেলতাম না! তবে চোর-পুলিশ খেলতাম। ;)

সত্যই! ঘুড্ডির পাইলটের ঘুড্ডি উড়ানো নিয়ে সন্দেহ আছে। /:)
তয় লোকটা ভালো! বেশ দুষ্টু প্রকৃতির। একদম আমার মত!! =p~

১১| ১৭ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৩

রিমন রনবীর বলেছেন: ডাংগুলি খেলায় আমাদের নিষেধ ছিল। মুরব্বীরা কেন যেন ডাংগুলী খেলতে দেখলেই দৌড়ানী দিত। তবুও লুকিয়ে লুকিয়ে খেলতাম। আর ঘুড়ি ওড়ানোর কথা?? আর বলবেন না, সে অনেক কাহিনী :) মার্বেল খেলতাম আমিও। তবে ইয়ে, সাদামাটা মার্বেল খেলা ভাল লাগত না,কিছু টেকাটুকা খরচ হত বৈকি!! ;) ঈদের সময় আমাদের গ্রামে সারাদিন মার্বেল খেলার একটা রেওয়াজ ছিল। সালামী পাইত তো,খেলাটা জমত খুব :P এখনো মনে হয় সে রেওয়াজটা আছে,তবে তেমন একটা চোখে পড়ে না। এসব খেলাধুলা পোলাপান ভুলে গেছে। ঘুডি ওড়ানো দেখি না কতবছর হল !! :(

আপনার পোস্ট ভাল লাগল। প্লাস। :)

১৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৩০

এম মশিউর বলেছেন: এসব খেলা আর তেমন দেখি না। বাড়িতে গেলে দেখি সবার হাতে একটা করে চায়না মোবাইল! এরা সারাদিন এমপিথ্রি গান শোনে। এদের এসব খেলার সময় কই? X((

আর মেয়েদের জন্য তো স্টার জলসা আছেই! :P

ভালো থাকবেন। :)

১২| ১৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:২৮

মিলটন বলেছেন: আপনার এ লেখাটি অনেককেই নষ্টালজিক করে দিবে। অনেকেই হারিয়ে যাবে তাদের শৈশবে। কি মধুর সেই দিনগুলো!!! তাইনা?

কিন্তু আমাদের সন্তাদের দিনগুলো দেখে আমি হতাশ হই আর ভাবি কত অভাগা তারা।

লিখাটা ভালো হয়েছে। ধন্যবাদ।

১৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৪৭

এম মশিউর বলেছেন: বর্তমানের প্রযুক্তি আমাদের সুখগুলো কেড়ে নিয়েছে! বর্তমান প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা কম্পিউটার গেইম খেলে বড় হচ্ছে! তারা আমাদের মত সুন্দর শৈশব পাচ্ছে না! /:)


তবু আমাদের স্মৃতিতে থেকে যাবে এইসব খেলাগুলো, যেগুলো হয়তো বিলিন হয়ে যাবে এক সময়!! B:-)

১৩| ১৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৪২

নিয়েল হিমু বলেছেন: স্মৃতী বেচে থাক ।
মনে করিয়ে দিলেন শৈশব । পোষ্টে ভাল লাগা জানবেন :)

১৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:২৯

এম মশিউর বলেছেন: স্মৃতিকে মনে করিয়ে দিতে পেরে সার্থক আমার পোস্ট!

ভালো থাকবেন।

১৪| ১৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:১৮

রহস্যময়ী কন্যা বলেছেন: ছোটবেলার কথা মনে করিয়ে দিলেন :)
সুন্দর পোষ্ট :)

১৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৩১

এম মশিউর বলেছেন: যত দিন যাচ্ছে, স্মৃতিগুলো তত ধুসর হয়ে যাচ্ছে! ফিরে যেতে ইচ্ছে হয় শৈশবে!

ভালো থাকবেন।

১৫| ১৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:১৮

শায়মা বলেছেন: ছবিটা দেখেই ঘুড্ডির সাথে মন উড়ে গেলো ভাইয়া।:)

১৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৩৮

এম মশিউর বলেছেন: মনটা নিশ্চয় অতীতে উড়ে গেল!

ভালো থাকবেন।

১৬| ১৮ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ৯:১৬

দায়িত্ববান নাগরিক বলেছেন: চমৎকার ! ফুলটোকা বাদে সবগুলো খেলারই অভিজ্ঞতা আছে। শৈশবের দিনগুলো চমৎকার ছিল। লেখাটা পড়ার সময় নিজের কথাই মনে পড়েছে প্রথমে। খেলাগূলো তো বটেই, নিজের শৈশবের সময়টা যেখানে কেটেছে মাঝে মাঝে স্বপ্নেও দেখি। খেলার সাথী মানে শৈশবের বন্ধুদেরও মনে পড়ে অনেক। সবার থেকে অনেক অনেক বেশি দূরে সরে গেছি। এখনও অবাক লাগে জীবনটা কিভাবে চেঞ্জ হয়ে যায়। শৈশবের আমি আর এখনকার আমার মধ্যে সামান্যতম সংযোগও নাই।

নস্টালজিক করে দেয়া পোষ্ট। অসাধারন !

+++

১৮ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:০৩

এম মশিউর বলেছেন: কম্রেড ডানা,
নস্টালজিক করে দিলাম মনে হচ্ছে!! ;) ;)

১৭| ১৯ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:৪৪

ইউসুফ আলী রিংকূ বলেছেন: আমি অন্য সবার মত লাটাই ঘুরাতে পারতাম না :(

ঘুড়ি উড়ানো ছাড়া বাকি সব ই আমার খুব প্রিয় খেলা ছিল

যেনো চোখের সামনেই সেই পুরনো দিন গুলো ভেসে আসছে

পোস্টে +++

২০ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৫১

এম মশিউর বলেছেন: ঘুড়ি উড়ানো ছাড়া বাকিগুলো প্রিয় ছিল?
আসল মজাই তো ঘুড়ি উড়ানো! আর লাট্টু ঘুরিয়ে কত হাতের উপর নিয়েছি। B-)

ভালো থাকবেন।। :)

১৮| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:১৬

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: বেশি মিস করি ডাংগুলি, সাতচারা আর দাড়িয়াবান্দা। এই খেলা ক পরে আর খেলতেই পারিনাই :(

বাইরের পোলাপানের সাথে মার্বেল খেলা নিষেধ আছিল :(

আর ভার্সিটিতে উইঠা পহেলা বৈশাখে সব্বাই মিলা ঘুড়ি উড়াইছি আর ফুল টোক্কা খেলছি। তারপর একদিন শুনি আমার এক বন্ধু জীবনে লাটিম চোখে দেখে নাই, খালি বইয়ের ছবিতে দেখছে !! তার লাইগা বাড়ি থিকা লাটিম কিন্যা আনছি। ষোলগুটি তো বছর দুয়েক আগেও খেলছি =p~ =p~ =p~


আই মিস চাইর, আট, বারো, ষোল, কুড়ি :(

২১ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৫৫

এম মশিউর বলেছেন: আই মিস চাইর, আট, বারো, ষোল, কুড়ি ;)
ষোলগুটি অনেক ভাবে খেলা যেত, চাইরগুটি, বারোগুটি!! :D

ভালো তো! আপনিও আমার মত সুন্দর শৈশব কাটিয়েছেন! ;)

ভালো থাকবেন।। :) :)

১৯| ৩১ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০০

দি সুফি বলেছেন: সবগুলোই খেলেছি। তবে লাটিম আর কাদার ভিতর ফুটবল খেলায় সবচেয়ে প্রিয় ছিল B-) B-)
কুত্‌কুত্‌ খেলেন নাই? :D B-))

১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৩৫

এম মশিউর বলেছেন: কুতকুত খেলি নাই, তবে আপুরা খেলত আর আমি পাশে বসে দেখতাম। ;)
ফুটবল খেলতে গিয়ে একবার পায়ে খুব লেগেছিল; সেই থেকে ফুটবল খেলাও বন্ধ করে দিয়েছিলাম।
ফুটবল ও ক্রিকেট ভালো পারি না। :P

২০| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:২৮

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: পোস্টে ++++++++++++++++++++++++++++

মুছে যাওয়া দিনগুলো আমায় যে পিছু ডাকে......

কোথায় হারিয়ে গেলো সোনালী বিকেলগুলো সেই......

২৭ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৩৯

এম মশিউর বলেছেন: সেই সব সুন্দর দিনগুলো আর আসবে না জানি,
তবুও স্মৃতির পাতায় সযত্নে রেখে দেবো।

প্লাসের জন্য ধন্যবাদ।

২১| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩০

ঘুড্ডির পাইলট বলেছেন: খুবৈ দু:খিত অনেক পরে কমেন্ট করতেছি । ব্লগে ঢুকার সময়ই পাই না ।

আমাদের ঐতিহ্যবাহি এই খেলাগুলোর নিয়ম এখনকার বাচ্চারা জানেই না । আপ্নি যে এখনও এইসব খেলার প্রতি আগ্রহী দেখে খুব ভালো লাগছে ।


পোষ্ট প্লাসায়ীত করা হলো । :)
শুভ কামনা :)

০২ রা নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৭

এম মশিউর বলেছেন: ব্লগে ঢুকার সময় পাবেন কি করে? আপনি তো সমাজ-সেবায় ব্যস্ত থাকেন।

জীবনে কয়টা ঘুড্ডি উড়িয়েছেন তা বললেন না যে? আমি আপনার থেকে বেশি ঘুড্ডি উড়িয়েছি।

এই খেলাগুলো আর দেখা যায় না। দিন দিন সব হারিয়ে যাচ্ছে।


কমেন্টে মিসায়িত! এবং শুভকামনা ঠু! :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.