দেশের রাজা

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৪১

কারামত আলীকে মোটামুটি সন্মানি বাক্তি বলা চলে। ব্যাবসায়ি হিসাবেও মন্দ নয়। পৈতৃক সূএে মফসল এলাকায় প্রাপ্ত জায়গায় পাকা বাড়ি, জীবনের আসা প্রতিটি সুযোগের সদ্য বাবহার করেছেন সুচতুর ভাবে। হটাৎ মিষ্টভাষী কারামত আলীর চরিএে এক আদ্ভুত পরিবর্ত সকলে চোখে পরে। গতমাসে তারছেলে পুলিশ বাহিনীতে যোগ দানের পর।

সম্প্রতি কারামত আলী তার ভায়রার ছেলের বিয়েতে পাএী পক্ষের আয়োজনের ত্রুটি খুজতে তৎপর হয়ে উঠেন। যা তার স্বভাব বিরুদ্ধ। আবশেষে খাসির মাংস পরিবেশনে কিঞ্ছত বিলম্ব হওয়ায় কনের মামার গালে এক চড় বসালেন। উপস্থিত সকলে হতবম্ব ! বিয়ের বাড়িতে কিছুক্ষনে জন্য নেমে এল গোরস্থানের নিঃশব্দতা । কেউ কল্পনাই করতে পারেনি কারামত আলী এমন কান্ড করতে পারেন।

কারামত আলী বারান্দায় বেতের চেয়ারে আরাম করে বসে সিগারেটে টান দিলেন। তিনি গত পাঁচ দিন ধরে সিগারেটে সেবন করার কৌশল আয়ত্ত করতে পারছেন না। সিগারেটে দু-তিন টান দিতেই মাথাটা গুলিয়ে ওঠে। তিনি আবিস্কার করেছেন দামি সিগারেট সেবন আভিজাত্য প্রকাশের একটা চমৎকার কৌশল।

হটাৎ কারামত আলীর স্ত্রী দৌড়ে এসে চিৎকরে বলে উঠলেন আমাদের ছেলে পুলিশ হল আর তুমি সিগারেট গেলা শুরু করলা ! খোকাকে বলবো তোমাকে যেন জেলে ঢুকায়। কারামত আলীর স্ত্রী আলেখা বেগম কেন উত্তরের আপেক্ষা না করে দ্রত বিদাই গেলেন।কারামত আলীর বংশে প্রথম পুলিশ তার ছলে, এ কথা ভাবতেই তার চোখ কিছুটা উজ্জ্বল হয়ে ওঠে।

এক সপ্তহে এলাকায় সবাই কাছে কারামত আলী এমন ভাব শুরু করলেন যে এই পৃথিবীতে পুলিশ হওয়া খুব কঠিন ব্যপার এবং পুলিশই দেশ চালায়। সবাই কারামত আলী পেছনে এই বিষয় নিয়ে কিঞ্ছত হাসি হাসি করলেও সামনে সমিহের গ্রাফ জ্যামেতিক হারে বাড়তে থাকে। তিনি প্রমান করলেন মাছের রাজা ইলিশ আর দেশের রাজা পুলিশ !

২ টি +০/-০