নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একদিন সব হাসির ময়নাতদন্ত হবে, ফরেনসিক রিপোর্টে লেখা থাকবে - সবই মিথ্যে।
এই প্রসঙ্গে প্রথমেই আসুন জেনে নিই, ধর্ষন কি এবং কেন ঘটে?
ধর্ষণ:
সাধারন ভাবে ধর্ষন বলতে বুঝায়, নারী বা পুরুষ যে কোন একজনের অমতে জোরপূর্বক যৌন সম্পর্ক স্থাপন করাকে। তবে আমরা যে সমাজে বাস করি তার পরিপ্রেক্ষিতে ধর্ষনের শিকার শুধুমাত্র নারীরা। কিন্তু আমাদের এই ধারণা পুরোপুরিভাবে ‘ধর্ষণ’-কে সংজ্ঞায়িত করে না। দন্ডবিধির ৩৭৫ ধারায় ‘ধর্ষণ’-কে যেভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে তা হলোঃ
যদি কোন পুরুষ নিম্নবর্ণিত পাঁচ প্রকারের যে কোন অবস্থায় কোন নারীর সাথে যৌন সহবাস করে তবে সে ব্যক্তি নারী ধর্ষণ করেছে বলে গণ্য হবে-
১. কোনো নারীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে অথবা
২. কোনো নারীর সম্মতি ছাড়া অথবা
৩. কোনো নারীকে মৃত্যু বা শারীরিক আঘাতের ভয় দেখিয়ে সম্মতি দিতে বাধ্য করলে অথবা
৪. নাবালিকা অর্থাৎ ১৬ বছরের কম বয়স্ক শিশু সম্মতি দিলে কিংবা না দিলে (সে যদি নিজ স্ত্রীও হয়) অথবা
৫. কোনো নারীকে বিয়ে না করেই ব্যক্তিটি তার আইনসঙ্গত স্বামী এই বিশ্বাস দিয়ে যদি কোনো পুরুষ যৌন সম্পর্ক স্থাপন করে তাকে আইনের ভাষায় ধর্ষণ বলা হবে ।
এখানে উল্লেখ্য যে, অনুপ্রবেশই নারী ধর্ষণের অপরাধ রূপে ‘গণ্য হবার যোগ্য যৌনসহবাস’ অনুষ্ঠানের জন্য যথেষ্ট বিবেচিত হবে।
তথ্যসূত্রঃ বাংলাদেশ দন্ড বিধি ধারা -৩৭৫ , জাতীয় ই-তথ্যকোষ
ধর্ষনের কারনঃ
খুব অল্প কথায় ধর্ষনের কারন বিশ্লেষন করা খুবই দুরহ একটি ব্যাপার।তারপরও যদি বলতে যাই তাহলে বলতে হবে, ধর্ষণ একটি মানসিক বিকৃতি। একজন মানুষের মনুষ্যত্ব যখন শূন্যের কোঠায় চলে আসে তখনই সে ধর্ষন নামক একটি পৈচাশিক অপরাধ করে।
তবে পুরুষতান্ত্রিক এই সমাজে বিভিন্নভাবে নানা সময়ে ধর্ষনের জন্য ঘুরে ফিরে কেবলমাত্র মেয়েদেরকেই দায়ী করা হয়। এই ক্ষেত্রে মূল যে কারনটি সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় বলে প্রতিয়মান তা হচ্ছে মেয়েদের শালীন পোষাক পড়ার অন্তরায়। অনেকেই এই কারনটি দৃঢ় ভাবে সমর্থন করেন। যারা এই কারনটি মানেন, তারা মনে করেন, মেয়েরা হচ্ছে আগুনের মত এবং ছেলেদের যৌনসংযম অনেকটা মোমের মত। মোম যেমন আগুনের সংস্পর্শে আসলেই গলে যায় তেমনি অশালীন পোষাক পরা একজন নারীর সামনে একজন পুরুষ আসলে তারও ভদ্রবেশী মুখোশ গলে গিয়ে কামনাময় চেহারা বের হয়ে আসে। ফলে এই কামনাবৃত্তি মেটাতে গিয়েই ধর্ষনের মত ঘটনা ঘটে। তারা কিন্তু আবার নীতিগত ভাবে ধর্ষন সমর্থন করেন না।
আবার আর একপক্ষ আছেন যারা মনে করে থাকেন, নারী ধর্ষনের জন্য কেবল মাত্র পুরুষদের অতি কামনাময় চরিত্র এবং অতি সংবেদশীল একটি শারীরিক অংগই দায়ী। একজন নারীর অধিকার আছে তার ইচ্ছামাফিক পোষাক পরার। কিন্তু এই ক্ষেত্রে পুরুষরা একজন যৌনাবেদনময়ী নারীর দিকে চোখ নামিয়ে বা কামহীন দৃষ্টিতে তাকানো বন্ধ করতে পারে না দেখে তাদের দু পায়ের মাঝখানে একপায়া বিশিষ্ট তাবু সংক্রান্ত একটি সমস্যার সৃষ্টি হয় এবং এই থেকে মুক্তি লক্ষ্যে পুরুষরা ধর্ষন করে থাকেন।
প্রিয় পাঠক ( পড়ুন সচেতন পাঠক), ধর্ষনের এই সামগ্রিক বিশ্লেষন গত বেশ কিছুদিন ধরেই বিভিন্ন ব্লগে ফেসবুকে এবং ব্যক্তি পর্যায়ে আলোচিত হতে দেখেছি। আর প্রতিবারই আমি বিস্ময়ে হতবাক হয়ে গিয়েছি কিছু গুনী মানুষের এহেন ব্লগীয় বিশ্লেষনে। সত্যি বলতে যে সমাজের এক অংশে এই ধরনের ধারনা প্রচলিত থাকে সেখানে নতুন করে ধর্ষনের কারন খোঁজাটা সত্যি খুবই দূরহ এবং কঠিন একটি ব্যাপার। কারন আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় প্রচলিত ধারনা ভেঙে নতুন একটা ধারা সৃষ্টি করা প্রায় অসম্ভব একটি ব্যাপার।
আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, ধর্ষনের মূল কারন হচ্ছে কোন ব্যক্তির মানসিক বিকৃতি, পারিবারিক শিক্ষার অভাব, সামাজিক সচেতনতা, নারীপুরুষের সম অধিকারের অপব্যবহার এবং সর্বপরি আইনের শাসনের প্রয়োগ না হওয়া।
দেখুন একজন মানুষ হিসেবে একজন নারী বা পুরুষ অবশ্যই তার ইচ্ছেমাফিক পোষাক পড়তে পারে। এটা তার অধিকার এবং ব্যক্তিস্বাধীনতার ব্যাপার। তবে তিনি কিভাবে এই অধিকার এবং ব্যক্তিস্বাধীনতা প্রয়োগ কিভাবে করছেন সেটা বিবেচনার বিষয়। যেমন ধরুন, আপনি প্রকাশ্যে কোন মূল্যবান জিনিস প্রদর্শন করে নিয়ে যেতেই পারেন। এটা আপনার নাগরিক অধিকার। সেই সাথে আপনার সেই মূল্যবান জিনিসকে সঠিক নিরাপত্তার মাধ্যমে আপনার গন্ত্যবে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে আপনার সচেতনতা এবং দায়িত্ব। এখন কোন কারনে নিরাপত্তাজনিত কোন সমস্যায় আপনি যদি আপনার মূল্যবান জিনিসটি হারিয়ে ফেলেন, তাহলে রাষ্ট্র যেমন দায়ী হবে তেমনি সচেতনতার অভাবে আপনিও কম দায়ী হবেন না। তখন যদি আপনি এক তরফা ভাবে রাষ্ট্রকে দায়ী করেন তাহলে সেটা খুব বেশি গ্রহন যোগ্য হবে না।
আমি মনে করি পোষাক, আচরন ইত্যাদি ক্ষেত্রে শালীনতার যে বিষয়টি বার বার বলা হচ্ছে তা মূলত শুধু কোন এক পক্ষের জন্য নির্দিষ্ট নয়। বরং শালীনতা একটি সার্বজনীন ব্যাপার। নারী পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই ব্যাপারটি সমান ভাবে প্রযোজ্য। যারা শুধু মাত্র নারীর পোষাককে ধর্ষনের জন্য দায়ী করেন তারা সংকীর্ন দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয় বহন করে। শুধুমাত্র অশালীন পোষাকের কারনে ধর্ষন - কোন ভাবেই গ্রহনযোগ্য নয়। যারা এমনটা ভাবেন তাদের কাছে আমার বিনীত অনুরোধ, ভাই আপনারা বিদেশে কখনও যদি যান (উচ্চ শিক্ষা ও বেড়ানো) তাহলে দয়া করে শুধু মাত্র আফগানিস্থান, সৌদি আরব কিংবা মরুভূমি অঞ্চলে যাবেন। কারন অন্য কোন সভ্য দেশে গেলে আপনি এই অশালীন পোষাক দেখে দেখে নিজেও একজন ধর্ষক হয়ে যেতে পারেন। এমনিতে নিজের দেশে ধর্ষনের ব্যাপারে বড়ই বিব্রত অবস্থানে আছি, তার উপর যদি আবার বিদেশে (ভারতে তো অবশ্যই না, টিভি চ্যানেলে বিভিন্ন ভারতীয় নায়িকার কামুক পোষাক দেখে সেখানে গেলে আপনারা ভারতে যে কি ভয়াবহ কান্ড ঘটাবেন তা ভাবতেই গা শিউরে উঠছে) গিয়ে কেউ ধরা খান তাহলে জাতির মান ইজ্জত সবই যাবে।
আমাদের দেশের মেয়েরা কি খুব অশালীন কাপড় পড়ে ? উত্তর না, আমাদের দেশের মেয়েরা খুব বেশি একটা অশালীন পোষাক পড়ে না।তথ্য প্রযুক্তির সাথে সাথে গত দশকে বাংলাদেশ যেভাবে এগিয়েছি তাতে বাংলাদেশী মেয়েরা যদি সেলোয়ার কামিজ ছেড়ে শর্ট স্কার্ট এবং আটসাটো টপস পড়ে রাস্তায় ঘুরতো তাতে অবাক হবার কিছু ছিল না। কিন্তু অধিকাংশ মেয়েই তারা তাদের পারিবারিক এবং সামাজিক রক্ষনশীলতার ব্যাপারটিকে মর্যাদা দিয়েছেন। তারা বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে এখন যতটা না জড়তা কাটিয়ে উঠতে পেরেছেন অন্তত পোষাকের দিক দিয়ে এখন ততটা এগিয়ে যেতে পারেনি। তাই তাদের পোষাক এখনও অনেক মাত্রায় শালীন। তবে একজন বিকৃত মনের মানুষ কি দেখে কামনা অনুভব করবে তা নির্ধারন করা আসলেই একটি কঠিন একটি ব্যাপার। আমি এমন অনেককেই চিনি যারা হয়ত মেয়েদের পায়ে নুপুর দেখলেই শিহরিত অনুভব করেন।
তবে ব্যতিক্রম যে নেই, তা কোন ভাবেই অস্বীকার করার উপায় নেই। গুটি কয়েক নারী নিজেদের অতি আধুনিক প্রমান করতে গিয়ে অশালীন পোষাক, অন্য নারীদের জন্য অপমানসূচক অপবাদ বয়ে আনছেন এবং তার কারনে সৃষ্ট কামনায় বলী হচ্ছে অন্য আর একজন নিরীহ নারী।
ধর্ষনের মূল কিছু কারন হচ্ছে ইভটিজিং, অপসংস্কৃতির প্রভাব, মোবাইল পর্ণোগ্রাফি এবং আইনের শাসন প্রয়োগের দূর্বলতা। ইভটিজিং যারা করে তারা যদি সঠিক সময়ে বাধা না পায়, বা সংশোধনের সুযোগ না পায় তাহলে তারা পরবর্তীতে ধর্ষক হিসেবে পরিনত হয়। আমাদের দেশে যদিও এখন অনেক সচেতনতা বেড়েছে কিন্তু তারপরও ইভটিসিং বন্ধ করতে না পরলে ধর্ষক বন্ধ হবে না।
একটি যৌনাবেদনময়ী মেয়েকে দেখে একজন ছেলের যৌন উত্তেজনা সৃষ্টি হওয়া খুবই স্বাভাবিক একটি ব্যাপার। মেয়েদের ক্ষেত্রেও তাই। তারাও একজন যৌনাবেদনময় ছেলেকে দেখে যৌন উত্তেজনায় ভুগতে পারেন। তবে যেহেতু আমাদের দেশে নারীরাই পুরুষদের দ্বারা ধর্ষনের স্বীকার হচ্ছে, নিপড়ীত হচ্ছে তাই মেয়েরা তাদের এই যৌনাকাংখা কিভাবে নির্লিপ্ত করে সেটা আপাতর প্রাসংগিক নয়। আমাদের দেশে এখন গ্রামে গঞ্জে স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল ইদানিং বেশ সহজলভ্য হয়েছে যেমন হয়েছে কম্পিউটার ও ইন্টারনেট। তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে পর্ন এখন খুবই সহজলভ্য একটি বিষয়। বিশেষ করে গ্রামে গঞ্জে ছেলেপেলেরা মোবাইলে বিভিন্ন সময়ে মোবাইল পর্নোগ্রাফি দেখছে। তারা দেখেছে, কিভাবে মেয়েরা প্রেমের ফাদে পাড়া দিয়ে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ছে, আবার কিভাবে সেটার ভিডিও ফুটেজ বের করা হয়েছে। তারা এটাও জানে এই সবক্ষেত্রে পুলিশের ভুমিকা ঠুটো জগন্নাথ এর মত। আইন থাকলেও কোন প্রয়োগ নেই। নেই কোন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির উদহারনও। ফলে তারা উৎসাহিত হয়ে নারীদেরকে প্রেমের ফাদে ফেলতে চায় আর যদি সফল না হয় তাহলে বিফলে মূল্য ফেরতের মত বিফলে ধর্ষন করে তারা।
তাছাড়া আমি মনে করি আমাদের দেশে ধর্ষন বেড়ে যাওয়ার অন্যতম আরেকটি কারন হলো রুট লেভেলে সঠিক বিনোদনের ব্যবস্থা না থাকাটা। এখানে বিনোদনের নামে নানা অপসংস্কৃতি ঢুকে যাচ্ছে আমাদের দেশীয় সংস্কৃতিতে। যেমন কিছুদিন আগেই সিরাজগঞ্জের একটি প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়েছিলাম। সেখানে দেখলাম চায়ের দোকানে একটি 'জিসম' নামে একটি হিন্দি সিনেমা দেখানো হচ্ছে। শিশু থেকে নিয়ে বৃদ্ধরা পর্যন্ত বসে বসে সিনেমাটি দেখছেন। এই ধরনের সিনেমা অবশ্যই একজন শিশু বা তরুনের সুষ্ঠ মানসিক বিকাশকে ব্যহত করে। তরুনরা বিজাতীয় সংস্কৃতির অনেক কিছুই দেখে প্রলুব্ধ হচ্ছে। অনেকের স্বাভাবিক যৌনবাসনা গুলো রুপ নিচ্ছে অবদমিত কামে। একপর্যায়ে এই অবদমিত কামই তাকে ধর্ষকে পরিনত করছে।
ধর্ষন এবং সাম্প্রতিক আন্দোলনের প্রেক্ষাপটঃ
ধর্ষন পৃথিবীর প্রাচীনত অপরাধগুলোর মধ্যে একটি। বাংলাদেশও ধর্ষক নামক ঘৃন্য নরপশুদের হাত থেকে মুক্ত নয়। অধিকার নামক একটি মানবঅধিকার সংস্থার প্রতিবেধন অনুযায়ী, গত বছরের জানুয়ারী থেকে সেপ্টেম্বর এই নয় মাসে ৩৩৮ জন নারী ও শিশু ধর্ষনের ঘটনা ঘটেছে। এদের মধ্যে ১৫৮ জন নারী ও ১৮০ জন মেয়ে শিশু। ১৫৮ জন নারীকে ধর্ষনের পর হত্যা করা হয়েছে আর ৬৮ জন গনধর্ষনের শিকার হয়েছে। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের পরিসংখ্যান অনুযায়ী এ বছর এ পর্যন্ত মোট ধর্ষনের ঘটনা ঘটে ২৪৮টি, গনধর্ষন হয় ১১৬টি, ধর্ষনের পর হত্যা ৮৭টি।
তবে এত সব ধর্ষন ঘটনার প্রেক্ষিতে যে প্রতিবাদগুলো হয়েছে তার প্রায় সবই হয়েছে বিচ্ছিন্ন ভাবে এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সময়ের সাথে সাথে ব্যাপারগুলো ধামাচাপা পড়ে গিয়েছে। যতদূর মনে পড়ে বাংলাদেশের ইতিহাসে কেবল মাত্র দিনাজপুরের ইয়াসমিন ধর্ষন এবং হত্যা নিয়েই সামাজিক একটি আন্দোলন হয়েছিল। কিন্তু তারপর আরো হাজারখানেক ধর্ষনের ঘটনা ঘটলেও তেমন বড় আকারের তেমন কোন সামাজিক আন্দোলন ঘটে নি।
সেইক্ষেত্রে ভারতকে ধন্যবাদ। তাদের সচেতনতা দেখে আমরাও আজকে সচেতন হয়েছি। মিডিয়াতে ধর্ষনের খবর গুরুত্ব দিয়ে আসছে। ফলে আমাদের ব্লগাররা সবাই ব্লগে এবং ব্লগের বাইরে সামাজিকভাবে আন্দোলন গড়ে তুলেছে। দেরীতে হলে অতি প্রয়োজনীয় একটি বিষয়ে সামাজিক আন্দোলন শুরু হয়েছে।
যারা এই বিষয়ে সামাজিক আন্দোলন করছেন তারা অনেকেই ধর্ষনের শাস্তির হিসাবে একমাত্র মৃত্যুদন্ডের কথা বলেছেন। আমি আইনের লোক নই, তবে পোষ্টটি তৈরী করার সময় যে দু চারজন আইনজীবী বন্ধুর সাথে কথা বলেছি, তাতে বুঝা গিয়েছে এই সংক্রান্ত একটি কঠোর আইন ইতিমধ্যে প্রনয়ন করা হয়েছে এবং এই সংক্রান্ত সকল বিচার স্পেশাল ট্রাইবুন্যালের মাধ্যমেই হয়। আপনাদের জানার সুবিধার জন্য নিচে ধর্ষনের শাস্তির বিধান তুলে দিলাম।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০(সংশোধনী ২০০৩) অনুসারে শাস্তির বিধান
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সংশোধিত ২০০৩) - এর ৯ ধারা অনুযায়ী ধর্ষণের অপরাধের যে সকল শাস্তির বিধান রয়েছে তা হলো:
(১) যদি কোন পুরুষ কোন নারী বা শিশুকে ধর্ষণ করেন, তাহা হইলে তিনি যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদন্ডেও দন্ডনীয় হইবেন৷
(২) যদি কোন ব্যক্তি কর্তৃক ধর্ষণ বা উক্ত ধর্ষণ পরবর্তী তাহার নিষেধ কার্যকলাপের ফলে ধর্ষিতা নারী বা শিশুর মৃত্যু ঘটে, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি মৃত্যুদন্ডে বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অন্যূন এক লক্ষ টাকা অর্থদন্ডেও দন্ডনীয় হইবেন৷
(৩) যদি একাধিক ব্যক্তি দলবদ্ধভাবে কোন নারী বা শিশুকে ধর্ষণ করেন এবং ধর্ষণের ফলে উক্ত নারী বা শিশুর মৃত্যু ঘটে বা তিনি আহত হন, তাহা হইলে ঐ দলের প্রত্যেক ব্যক্তি মৃত্যুদন্ডে বা যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অন্যূন এক লক্ষ টাকা অর্থদন্ডেও দন্ডনীয় হইবেন৷
(৪) যদি কোন ব্যক্তি কোন নারী বা শিশুকে-
(ক) ধর্ষণ করিয়া মৃত্যু ঘটানোর বা আহত করার চেষ্টা করেন, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদন্ডেও দন্ডনীয় হইবেন ;
(খ) ধর্ষণের চেষ্টা করেন, তাহা হইলে ব্যক্তি অনধিক দশ বত্সর কিন্তু অন্যূন পাঁচ বত্সর সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদন্ডেও দন্ডনীয় হইবেন৷
(৫) যদি পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন সময়ে নারী ধর্ষিতা হন, তাহা হইলে যাহাদের হেফাজতে থাকাকালীন উক্তরূপ ধর্ষণ সংঘটিত হইয়াছে, সেই ব্যক্তি বা ব্যক্তিগণ ধর্ষিতা নারীর হেফাজতের জন্য সরাসরিভাবে দায়ী ছিলেন, তিনি বা তাহারা প্রত্যেকে, ভিন্নরূপ প্রমাণিত না হইলে, হেফাজতের ব্যর্থতার জন্য, অনধিক দশ বত্সর কিন্তু অন্যূন পাঁচ বত্সরের সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অন্যূন দশ হাজার টাকা অর্থদন্ডেও দন্ডনীয় হইবেন৷
এছাড়া উল্লেখ্য যে, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন- ২০০০ এর ৩২ ধারা মতে ধর্ষিতা নারী ও শিশুর মেডিকেল পরীক্ষা ধর্ষণ সংঘটিত হবার পর যত শীঘ্র সম্ভব সম্পন্ন করতে হবে। সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক এতে অবহেলা করলে আদালত চিকিৎসকের বিরুদ্ধেও শাস্তির বিধান রেখেছেন।
তথ্যসূত্রঃ তথ্যসূত্রঃ বাংলাদেশ দন্ড বিধি , জাতীয় ই-তথ্যকোষ
আমরা সবাই ধর্ষন নিয়ে কঠিন শাস্তির কথা বলছি। আমরা চাই ধর্ষনের জন্য আরো কঠিন শাস্তির বিধান করা হোক, যেমন একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদন্ড যদিও প্রচলিত আইনে মোটামুটি কঠোর একটি আইনের বিধান রয়েছে। কিন্তু সচেতনতার অভাবে সেই আইনটি প্রয়োগ হয় না। আপাতত ভাবে আপনার আমার সামাজিক দায়িত্ব হলো, এই আইন এর প্রয়োগের জন্য জন সচেতনতা সৃষ্টি করা।
পাশাপাশি যদি কেউ ধর্ষনের শিকার হন তাহলে তার করনীয় সম্পর্কে ধারনা দেয়া। যেমন, অধিকাংশ সময়ে আমাদের দেশের মেয়েরা ধর্ষনের শিকার হলে তারা প্রথমেই যে কাজটি করেন তা হলো বার বার গোসল করে নিজেকে পরিষ্কার করার চেষ্টা করেন। অথচ এই কাজটি করলে ফরেনসিক রিপোর্টে যে প্রমান পাওয়া যায় তা মুছে যায়। যদিও ধর্ষনের শিকার হওয়া একটি মেয়ে স্বাভাবিক ভাবেই মানসিক ভাবে এতটা শক্ত থাকেন না যে সকল কাজ গুছিয়ে করতে পারবেন। কিন্তু যেহেতু আমরা সচেতনতার কথা বলছি, সেখানে এটা অবশ্যই আমাদেরকে জানাতে হবে। কারন প্রমানের অভাবে অনেক প্রমানিত ধর্ষকই পার পেয়ে যায়।
আমাদেরকে বুঝাতে হবে একজন ধর্ষিত মেয়ের কোন অপরাধ নেই, তিনি অপরাধের শিকার হয়েছেন এবং সমাজ তার পাশেই আছে। যদি তিনি তাৎক্ষনিক কোন সহায়তা পান, তাহলে তার শরীর এবং পোষাক থেকেই অপরাধী সনাক্তকরন এবং প্রমানের জন্য যথাযথ আলামত সংগ্রহ করা যাবে। সেই ক্ষেত্রে তিনি যেন কোন ভাবেই পানি দিয়ে বা পোষাক পরিবর্তন করে আলামত গুলো নষ্ট না করেন। অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যারা একজন নির্যাতিত নারীর পরিচয় গোপন রেখেই তাকে ন্যায় বিচার, ধর্ষন পরবর্তী শারীরিক সমস্যার চিকিৎসা এবং আইনগত সুবিধা দেয়ার কাজ করতে পারে। এই ক্ষেত্রে মায়া ভয়েস এর সাহায্য নেয়া যেতে পারে।
আইন ও শালিস কেন্দ্রের সাথে যোগাযোগ করা যেতে পারে। এরা এমন একটি সংস্থা যারা গত ২০ বছর ধরে যারা মানবাধিকার এবং এ সম্পর্কিত আইনী সহয়তা নিয়ে কাজ করছে।
হিউম্যান রাইটস এ্যান্ড ডায়াসপোরা ফিলানথ্রোপি অর্গানাইজেশন আছে নাম দৃষ্টিপাত , এক্ষেত্রে কাজে আসতে পারে। এছাড়াও আরো অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যারা একজন নির্যাতিত নারীকে ন্যয় বিচার এর জন্য সাহায্য করতে পারে।
আমাদের মনে রাখা উচিত ধর্ষনের প্রতিবাদ করা যেমন আপনার আমার নৈতিক দায়িত্ব, তেমনি এই সংক্রান্ত সকল আইনের কথাও মানূষকে জানানো আপনার আমার সামাজিক দায়িত্ব। আমি বিশ্বাস করি, ভার্চুয়াল এবং বাস্তবে দুই খানেই আমাদের সমান ভাবে কাজ করতে হবে। যে যেভাবেই কাজ করি না কেন, তার অবদানকে অস্বীকার করার কোন অবকাশ নেই। যারা ব্যক্তিগত কোন কারনে ইচ্ছে থাকা স্বত্তেও আসতে পারছেন না, তাদের মন খারাপ করার বা হতাস হবার কিছুই নেই। সামাজিক আন্দোলন শুধু রাস্তায় নেমে করলেই হবে না। অনলাইনেও অনেক কিছু করার সুযোগ রয়েছে। তবে যারা সকল বাধা বিপত্তি দূর করে নিজের মধ্যকার জড়তা দূর করে রাজপথে সামাজিক অধিকারের আন্দোলন করছেন তাদের সবাইকে আমার অনেক আন্তরিক শুভেচ্ছা। কারন তারা অগ্রগামী। তারা নিঃসন্দেহে প্রসংশার দাবিদার। তবে আমাদের কারো আচরন যেন কখনই কারো সাথে সংঘর্ষিক না হয়। আমাদের আন্দোলন হবে প্রচলিত আইনের সর্বোচ্চ প্রয়োগ নিশ্চিত করা। সেই সাথে একজন ধর্ষনের শিকার নারী কিভাবে সঠিক আইনি পরামর্শ পেতে পারেন বা তার করনীয় কি সে সম্পর্কে সঠিক তথ্য দিয়ে সাহায্য করা।
পরিশেষে আমি বলতে চাই আমাদের জীবন যাপন এবং আমাদের ব্যক্তি স্বাধীনতার মাপ কাঠি হওয়া উচিত আমাদের সামাজিক সংস্কৃতি, আমাদের দেশীয় সংস্কৃতি ধারক ও বাহক। আমরা চাই না কেউ তার ব্যক্তি স্বাধীনতার বা ব্যক্তি অধিকারের অপব্যবহার করুক। আমরা চাই না আমাদের দেশের আর কোন মেয়ে ধর্ষনের শিকার হোক। আমরা চাই না আমাদের দেশের কোন নারী মাথা নিচু করে চলুক। রাস্তায় আতংক নিয়ে চলুক। আমরা চাই নারী পুরুষের সহ অবস্থান এবং তা প্রচলিত সুষ্ঠ ধারার ভিত্তিতে।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:২১
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: জী, ধন্যবাদ।
২| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:০৩
সঞ্জয় নিপু বলেছেন: এর সমাধান একটাই -
সরাসরি ক্রসফায়ার অথবা গনধোলাই । মাঝে মাঝে ২-১ টা কে এরকম করা গেলে বাকি গুলো ভয় পাবে তাতে কিছুটা সমস্যার সমাধান হতে পারে ।
আইন - প্রশাসন - সরকার দিয়ে নিরাময় সম্ভব নয়।
ধন্যবাদ
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:২৫
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: সরাসরি ক্রসফায়ার অথবা গনধোলাই দিতে পারলেই সবচেয়ে ভালো হত। কিন্তু দেশের সুশীল সমাজ এইগুলো সমর্থন করবে না। দেখবেন বিভিন্ন মানবধিকার সংঘটনগুলো এই নিয়ে অনেক দাবি দাওয়া তুলে ধরেছে।
তবে বাস্তবতা হলো, আইনের শাসন সরকারকেই প্রয়োগ করতে হবে। আমাদের ভূমিকা হবে, সরকার বা যথাযত কর্তৃপক্ষকে বাধ্য করা। এই জন্য দরকার আমাদের গনসচেতনতা।
৩| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:০৬
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
শুধু ধর্ষণের দর্শন নয় চাই সামগ্রিক ভাবে একটা সুস্থ ,সুন্দর, উন্নত, রাজনৈতিক স্থিতিশীল বাংলাদেশ । যারা রাস্তায় নির্বিচারে দাড়িয়ে কুপিয়ে মানুষ হত্যা করে, যারা ঘুষ এবং দুর্নীতির বেড়াজালে এই বাংলাদেশটাকে লুটে পুটে খাচ্ছে তাদের সবার বিরুদ্ধে আজ পুরো জাতি আবার সেই ১৯৭১ এর মত আরও একবার গর্জে উঠুক এটাই কাম্য । হ্যা এই কথা অবশ্যই স্বীকার করতে হবে যে যারা এই সচেতনতার পেছনে ভার্চুয়ালই কাজ করে যাচ্ছেন তাদের অবদান কে আমি ব্যাক্তিগত ভাবে সন্মান করি এবং স্যালুট জানাই কিন্তু যখন রাজপথে কাধে কাধ মিলিয়ে কাজ করার জন্য লোকবল খুব কম পাই তখন খুব মন খারাপ হয় । তবে আমি বিশ্বাস করি পরিবর্তন আসছে একদিন আমরা একটি সুন্দর সোনালী বাংলাদেশ পাব ।
তবে এই নিয়ে কোন রকম দ্বিমত থাকা কারোরই কাম্য নয় । কিংবা রাগ অভিমান নয় আসুন সবাই আবার একসাথে মিলিত হয়ে সকল বাধা , অভিমান ভুলে এঁকে অপরের কাধে কাধ আর হাতে হাত রেখে একটা নতুন দিনের বাংলাদেশ গড়ে তুলি। কারন একটা বড় রকমের কিছু করতহলে সকলের সাহায্য দরকার আছে কারন একতাই বল।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:২৭
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ কান্ডারী ভাই। আমাদের সবাইকে সবার সম্মান করতেই হবে। কোন বিকল্প নেই। আমাদের সবারই আবেগ এবং বাস্তবতার সাথে একটি সংমিশ্রন ঘটাতে হবে।
আমিও বিশ্বাস করি, পরিবর্তন আসবে একদিন। আর সেই দিন খুব দ্রুতই।
৪| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:১৯
s r jony বলেছেন: আপনার সাথে সহমত প্রকাশ করে আমার পুরন পোস্টের কিছু অংশ যোগ করি,
আমাদের দেশের গ্রামগুলোতে এখনো “ধর্ষকের” চেয়ে “ধর্ষিতাকে” বেশি নাজেহাল করা হয়। লোক লজ্জার ভয়ে এই ধর্ষিতার বাবা-মা মামলা করতে চায় না, এতে দোষী সাহস পায়। কিন্তু চেয়ারম্যান/মেম্বার’রা যদি এই কুসংস্কার/ আদিকালের সমাজ ব্যবস্থাকে ছুড়ে ফেলে নিজ উদ্যোগে ভিকটিমকে নিয়ে থানায় যেত এবং তার পরিবার’কে মামলা দিতে উৎসাহ দিত। তাহলে সমাজে তার নিজ দায়িত্ব পালন হত।
ডাক্তার’রা যদি স্টেজে বক্তৃতা না দিয়ে, নিজের মেয়ে মনে করে ধর্ষিতা মেয়েটিকে নিজ যোগ্যতার সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা দিতেন, তাহলে মেয়েটি হয়ত বেচে যেত। বা কারো দ্বারা প্রয়োচিত না হয়ে ডাক্তারগন ময়না তদন্তে সঠিক রিপোর্ট দিত তাহলে ঘটনার সত্যতা থাকত এবং দোষী সাজা পেত।
থানার ওসি/পুলিশ অফিসার যেমন করে এমপি’কে খুশি করা জন্য এত আয়োজন করেছেন, এইটা না করে উনার যেটা দায়িত্ব অর্থাৎ উনি যদি দ্রুত মামলা নিতেন এবং নিজেই “ইনিভেস্টিকেশন” করে আসামীকে “এরেস্ট” করতেন এবং সঠিক তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করতেন তাহলে পরবর্তিতে কেউ এই অপরাধ করার সাহস পেত না।
এমপি’র কাজ বক্তৃতা দেয়া না, সংসদে আইন পাশ করা। এই এমপি সাহেব যদি বক্তৃতা না দিয়ে উনার নিজ দায়িত্ব অর্থাৎ সংসদে আইন পাশ করতেন যে, ধর্ষনের শাস্তি মৃত্যুদন্ড!! তাহলে কেউ ধর্ষন করার আগে ১০০ বার চিন্তা করত ও ভয় পেত, যেই ভয় এখন এসিড নিক্ষেপ করতে পায়।
যদি উলিক সাহেব যদি “ভিকটিম” অর্থাৎ ধর্ষিতাকে বিনামূল্যে আইনী সাহায্য দিত এবং নিজ যোগ্যতায় আইনের ম্যারপ্যাচ কষে আসামীকে “অপরাধী/দোষী” হিসেবে কোর্টে প্রমান করত, তাহলে বক্তৃতার চেয়েও সমাজে তার অবদান আরো বেশি হত।
ম্যাজিস্ট্রেট/জেলার সহঃবিচারক যদি আইন অনুযায়ী দ্রুত অপরাধীকে শাস্তি প্রদান করত, তাহলে অন্য সবাই ভয় পেত এবং পরবর্তিতে এ ধরনের অপরাধ করতে কেউ সাহস পেত না।
যদি যুব সঙ্ঘের (পড়ুন রাজনৈতিক পার্টি) সভাপতি নিজ দলের কর্মিদের এই বিষয় সচেতন করতেন এবং “রেপ কেসের” আসামীদের দল থেকে বহিষ্কার করতেন, কোনো প্রকার রাজনৈতিক সাপোর্ট না দিতেন বরং প্রয়োজনে নিজেই আইন প্রয়োগকারি সংস্থার হাতে “দোষী” কে তুলে দিতেন। তাহলে কেউ ক্ষমতার বলে অপরাধ করতে সাহস পেত না।
এই রকম প্রত্যেকেরই কিছু কিছু দায়িত্ব থাকে সমাজের প্রতি। যেটা সঠিক ভাবে পালন করলে এই সব অনাচার বন্ধ হবে।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৩০
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: চমৎকার। আপনি দারুন বলেছেন। প্রত্যেকেরই কিছু কিছু দায়িত্ব থাকে সমাজের প্রতি। যেটা সঠিক ভাবে পালন করলে এই সব অনাচার বন্ধ হবে।
আপনার মন্তব্যে প্লাস।
৫| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:২০
s r jony বলেছেন: আর পোস্টে ++++++++++++++ ও ভাললাগা দিলাম
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৩০
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ জনি ভাই।
৬| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:২৬
মনসুর-উল-হাকিম বলেছেন: বিশ্ব জুড়ে যৌন নির্যাতন এবং ধর্ষনের এই ঘটনা প্রবাহ প্রমান করে যে, কুশিক্ষা (সুশিক্ষার অভাব), অশ্লীলতার চর্চা (পর্দাহীনতা), অনৈতিক লোভ (সুদ/ ঘুষ/চুরি) আর ধর্মনিরোপেক্ষ গণতন্ত্র (নৈতিকতাহীন মূর্খের আধিক্ষ্য) মানুষকে পশুরও অধম এক অসভ্য প্রাণী বানিয়ে দেয়। সভ্য-সুন্দর মানব সভ্যতার বিনির্মানে এক আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস, সুশিক্ষা, সৎ নৈতিকতা, সামাজিক মূল্যবোধের চর্চা বিষয়গুলি অপরিহার্য। সততার সাথে ইসলাম পালন ও চর্চা মানুষকে এই অসভ্য-অনাচার থেকে মুক্তি দিতে পারে বলে আমার বিশ্বাস।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:২৯
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: জী, ধর্মীয় অনুশাসনের একটি ব্যাপার অবশ্যই আছে। যে যার ধর্ম মতে অনুশাসন মেনে চলবেন, এটাই স্বাভাবিক।
৭| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৩৭
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
একটা পরিবর্তন তখনই সম্ভব যখন আমরা পরস্পর একে অপরকে সন্মান করতে শিখব , সকল প্রকার দ্বিমত ভুলে গিয়ে অন্তত জাতীয় ইস্যু গুলুতে সকল প্রকার শত্রুতা ভুলে গিয়ে একমতে পৌছতে পারব । এবং অবশ্যই এর কোন বিকল্প নাই । আমিও অন্য সবার মতই চেষ্টা করি আবেগ আর বাস্তবতার সাথে সংমিশ্রণ ঘটাতে । তাই বলি আমিও বিশ্বাস করি, পরিবর্তন আসবে একদিন। আর সেই দিন খুব দ্রুতই।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৪৮
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন:
৮| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৪৪
মামুনুর রহমান খাঁন বলেছেন: আমাদের দেশে আইন আছে, এর প্রয়োগও আছে তবে সেটা মুখ দেখে, দল দেখে এবং টাকা দেখে। এই তিনটার কোনটা যার নেই তার জন্য আইন অন্ধ অনেক ক্ষেত্রে বরং তার বিরুদ্ধেই আইন প্রয়োগ হয়। আইনের শাসন যতদিন প্রতিষ্ঠা করা না যাবে ততদিন এসব চলবেই। আর এর জন্য সবার আগে দরকার গনজাগরণ। আমাদের স্বভাব হলো কোন একটা ঘটনা ঘটার সাথে সাথে আমরা প্রতিবাদ করি ঠিকই কিন্তু এর পেছনে লেগে থাকি না। ক'দিন পরেই আমরা সব ভুলে যাই। অন্যায় আবদার আদায় করার জন্য প্রয়োজনে আমরা সহিংস হতে কুণ্ঠা বোধ করি না। অথচ সত্যের প্রতিষ্ঠায় আমাদের সেই সাহস কিংবা ধৈর্য খুব কমই দেখতে পাওয়া যায়।
আমরা মুখে আইনের কথা বলে ফেনা তুললেও আইন ভাঙ্গার প্রতিযোগীতায় আমরাই অগ্রগামী। প্রয়োজনে আইন ভেঙ্গে হলেও একটু বাড়তি সুবিধা পাওয়ার জন্য আমরা মুখিয়ে থাকি। এই দ্বিমুখী চরিত্র আমাদের জাতীয় চরিত্রে রূপ নিয়েছে। এটা খুবই ভয়ের কথা।
আমাদের আত্মশুদ্ধি দরকার সবার আগে।
ধন্যবাদ আপনাকে সময়োপযোগী চমৎকার একটি লেখার জন্য।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৫১
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ মামুন ভাই। ঠিক বলেছেন, টাকা থাকলে আইন আমার। এটা আমাদের জাতিগত লজ্জার ব্যাপার। সকল প্রকার দ্বিমুখী চরিত্র থেকে আমাদের দ্রুত বের হয়ে আসা উচিত।
৯| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৩৪
অনীনদিতা বলেছেন: আমাদের জীবন যাপন এবং আমাদের ব্যক্তি স্বাধীনতার মাপ কাঠি হওয়া উচিত আমাদের সামাজিক সংস্কৃতি, আমাদের দেশীয় সংস্কৃতি ধারক ও বাহক। আমরা চাই না কেউ তার ব্যক্তি স্বাধীনতার বা ব্যক্তি অধিকারের অপব্যবহার করুক। আমরা চাই না আমাদের দেশের আর কোন মেয়ে ধর্ষনের শিকার হোক। আমরা চাই না আমাদের দেশের কোন নারী মাথা নিচু করে চলুক। রাস্তায় আতংক নিয়ে চলুক। আমরা চাই নারী পুরুষের সহ অবস্থান এবং তা প্রচলিত সুষ্ঠ ধারার ভিত্তিতে।
সহমত।প্রিয় করে নিলাম
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:০৮
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ। কিন্তু আপনি কোথায়? আপনার সব গুলো পোষ্ট ড্রাফট কেন? এটা একটা কথা? আপনারা যারা এত চমৎকার কবিতা লিখেন, তাদের সেই গুলোর উপর কিন্তু আপনাদের একক কোন অধিকার নেই। সেখানে আমাদেরও অধিকার থাকে।
আপনি কি কোন প্রতিবাদ করছেন? নাকি কোন ব্যক্তিগত কারনে এমনটা করেছেন? কিছু মনে করবেন না, প্রিয় ব্লগারদের তালিকায় আপনারও নাম আছে, তাই জিজ্ঞেস করলাম। যদি ব্লগীয় কোন সমস্যার কারনে এমনটা হয় তাহলে অবশ্যই যোগাযোগ করবেন।
আর ধর্ষন বিরোধী বলেন কিংবা নারী নির্যাতনের যত খবর না আমরা জানি তার চেয়েও অনেক খবর আমরা জানি না। কেউ প্রকাশ করে না। কিন্তু এবার সময় এসেছে সব কিছু বদলে ফেলে সামনে এগুবার। এই সময়ে আপনাদের সবাইকে পাশে দরকার। ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা রইল।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:২৯
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আর এই মন্তব্যের প্রথমে এই একই মন্তব্য করেছিলাম। কিন্তু কিছু অহেতুক বিতর্ক বা অযাচিত ফান এড়াতে কিছুটা এডিট করে দিলাম। ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা রইল।
১০| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৫৩
শামীম আরা সনি বলেছেন: ধর্ষনের শিকার হলে আহত তো হবেনই!!
আসলে কি জানেন সর্ষের মাঝেই আছে ভূত, কোন নারীর মৃত্যু দেখা পর্যন্ত আমরা কেন অপেক্ষা করবো?
এবং যাবজ্জীবন কারাদন্ড মানেতো একসময় অপরাধী ঠিকই কারাগার থেকে বের হয়ে আসবে, জেলে যাওয়ার আগ পর্যন্ত মুক্ত বাতাসে থেকে কেউ জেলের কষ্ট বুঝবেনা, জেলে যাওয়ার পর তার কেমন কষ্ট হচ্ছে তারচেয়েও বড় কথা একজন ধর্ষিতা নারী শারীরিকভাবে যেমন আহত হন, আহত হন মানসিকভাবে, আহত হন সামাজিকভাবে। এই যে এত মানুষ আমরা এত কথা বলছি, অথচ দেখুন ধর্ষন দূরে থাকুক কোন মেয়েকে নিয়ে সামান্যতম একটু অন্যরকম কথা শুনলে বিয়ে ভেঙ্গে দেয় ছেলেপক্ষ, সেখানে আমাদের দেশে কোন ছেলে একজন ধর্যিতা মেয়েকে বিয়ে করবে?
বা একজন বিবাহিতা মহিলা হলেও একজন ধর্ষিতা মহিলাকে আমাদের সমাজ দেখে ঘৃনার চোখে।
এই অপূরনীয় ক্ষতি পূরন হবে কি করে?
ধর্ষকদের এ সমাজ চেনে না চেনে ধর্ষিতাদের!
যেকোন ধর্ষনের ঘটনা, নারী হত্যা, অত্যাচার সে যেই করুক হোক সে যেই হোক কঠিন বিচার চাই, ধর্ষকের ফাঁসি চাই। আমি চাই পেপারে ধর্ষন নিয়ে সিরিজ আসার বদলে পুরানা ঘটনাগুলোর সিরিজ ফাঁসির খবর আসুক। আইনপ্রণেতারা কি করছেন?
আর টাকা খেয়ে যেকোন ইসু কে ধামাচাপা দিলেও নারী ইসুকে প্রশাসন ও পুলিশের ধামাচাপা নারীপ্রধান সরকারগুলোর কাছে আশা করিনা!
আর ধর্ষিতা নারীর কাছ থেকে শুধু আলামত গ্রহন করলেই হবেনা, তাকে মানসিকভাবে প্রশান্তি দিতে প্রয়োজন কাউন্সেলিং, সরকারী আর্থিক সাহায্য যাতে টাকে করুনার পাত্রী না হতে হয়।
এরকম প্রত্যাশা মনে হয় সবাই ই করবে।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:২৮
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: জী, এই ব্যাপার গুলোতেই সবাইকে সচেতন হতে হবে। সচেতন না হতে পারলে কোন কিছুতেই কিছু হবে না।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
১১| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:২০
মেহেরুন বলেছেন: চমৎকার পোস্ট ভাইয়া +++++++
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:২৮
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ।
১২| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:২৯
আমিনুর রহমান বলেছেন: তথ্যনির্ভর দারুন পোষ্ট।
পোষ্টটি স্টিকি করার জন্য মডারেশনের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৪
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ভাই আপনি দেখি রসিকতা শুরু করলেন!!! হে হে হে।
নির্বাচিতই ঠিক ভাবে হয় নাই, আর আপনি আসছেন স্টিকি পোষ্ট করার দাবি নিয়ে। ব্যথা দিয়েন না। (কান্নার ইমো হবে )
১৩| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:০৭
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: অসাধারণ তথ্য সমৃদ্ধ পোস্ট।
অল্প কথায় অনেক বিষয় তুলে ধরেছেন। পোস্টে +++++++++
পোস্টটি স্টিকি করা হোক।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:১৩
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। স্টিকি করার আবেদন করার জন্য আবারও ধন্যবাদ জানাই। আমাদের মূল লক্ষ্য সচেতনতার পাশাপাশি আইনের প্রয়োগ যেন কঠিন ভাবে হয় তার দিকে লক্ষ্য রাখা।
শুভেচ্ছা রইল।
১৪| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:২২
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আমি শামীম আরা সনি আপুর সাথে সহমত জানিয়ে বলি এই যে এত মানুষ আমরা এত কথা বলছি, অথচ দেখুন ধর্ষন দূরে থাকুক কোন মেয়েকে নিয়ে সামান্যতম একটু অন্যরকম কথা শুনলে বিয়ে ভেঙ্গে দেয় ছেলেপক্ষ, সেখানে আমাদের দেশে কোন ছেলে একজন ধর্যিতা মেয়েকে বিয়ে করবে?
আর এই পোস্টের লেখক কা_ ভা ভাই কে অনেক ধন্যবাদ দিচ্ছি চমৎকার বুদ্ধি মত্তার পরিচয় দেয়ার জন্য তবে ভাই এইবার আশা করি আপনাকে নিরাশ করি নাই কারন এভাবেই যদি আমরা চলার পথে একে অপরকে সাহায্য করি তবেই একটি সুন্দর দেশ গঠন সম্ভব আশা করি আমি বুঝাতে পেরেছি কারন আপনার এই পোস্ট অনেক বেশী তাৎপর্য বহন করে বর্তমান সময়ে ।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৩০
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
১৫| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৬
লোনলিফাইটার বলেছেন: বাপরে কত বড় পোস্ট
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৮
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: জী ভাই, অনেক বড় পোষ্ট এবং লিখতেও অনেক কষ্ট হইছে। তবে আফসুস বড় পোষ্ট সহজে কেউ পড়তে চায় না।
১৬| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৭
একুশে২১ বলেছেন: পরিশেষে আমি বলতে চাই আমাদের জীবন যাপন এবং আমাদের ব্যক্তি স্বাধীনতার মাপ কাঠি হওয়া উচিত আমাদের সামাজিক সংস্কৃতি, আমাদের দেশীয় সংস্কৃতি ধারক ও বাহক। আমরা চাই না কেউ তার ব্যক্তি স্বাধীনতার বা ব্যক্তি অধিকারের অপব্যবহার করুক। আমরা চাই না আমাদের দেশের আর কোন মেয়ে ধর্ষনের শিকার হোক। আমরা চাই না আমাদের দেশের কোন নারী মাথা নিচু করে চলুক। রাস্তায় আতংক নিয়ে চলুক। আমরা চাই নারী পুরুষের সহ অবস্থান এবং তা প্রচলিত সুষ্ঠ ধারার ভিত্তিতে।
একদম মনের কথা বলেছেন।
সহমত।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৯
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ একুশে।
১৭| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:০৮
আরজু পনি বলেছেন:
সচেতনতা আমাদের বছর ব্যাপী, জীবনব্যাপী হওয়া উচিত। মানসিকতাকে সুস্থ রাখতে ডান্ডার বাড়ি আর সচেতনার বিকল্প নেই।
অনেক দারুণ পোস্ট কাল্পনিক।
ভালো লাগা রইল।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:০৬
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পনি আপু।
ঠিকই বলেছেন সচেতনতা আমাদের বছর ব্যাপী, জীবনব্যাপী হওয়া উচিত। একটু সচেতনতার অভাবেই অপরাধীরা পার পেয়ে যায়, কিংবা অপরাধী তৈরী হয়। আমরা সচেতন না হলে কোন আইন দিয়েই আমরা কোন অপরাধ প্রতিহত করতে পারব না।
১৮| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:১৩
অনীনদিতা বলেছেন: লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ। কিন্তু আপনি কোথায়? আপনার সব গুলো পোষ্ট ড্রাফট কেন? এটা একটা কথা? আপনারা যারা এত চমৎকার কবিতা লিখেন, তাদের সেই গুলোর উপর কিন্তু আপনাদের একক কোন অধিকার নেই। সেখানে আমাদেরও অধিকার থাকে।
লজ্জা দিচ্ছেন :!>
আমি আছি থাকবো
দুরে ঠেললেও কাছে টেনে রাখবো
সুন্দর সুন্দর লেখা গুলো পড়বো
কমেন্টস দিয়ে একটু জ্বালাবো
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:১০
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: যেভাবেই হোক না কেন, আপনার বিচরন হোক উন্মুক্ত এবং স্বাধীন।
অনেক শুভ কামনা রইল।
আর যেখানেই থাকুন না কেন, মানুষকে সচেতন করুন। একজন ধর্ষককে একটি গালি হিসাবে পরিচয় করিয়ে দিন।
১৯| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৫৮
পাখির ডানা বলেছেন: আপনার লেখাটি অনেক ভালো লেগেছে।সহমত প্রকাশ করছি।
আর কত বলব বলতে পারেন,আর কত বুঝাব?
যারা বুঝেও অবুঝের মত কাজ করে তাদের না বুঝিয়ে হত্যা করা উচিত।যেমন কর্ম তেমন ফল,অপেক্ষা আর সহ্য হয় না।
প্রতিবাদ এখন পদক্ষেপ এ পরিণত করার সময় এসেছে।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৪১
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ পাখির ডানা। আসলে আমাদেরকে চেষ্টা করে যেতে হবে, সচেতনতা বাড়াতে হবে। এর কোন বিকল্প নেই।
২০| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:২৮
বোকা ডাকু বলেছেন: "শালীনতা একটি সার্বজনীন ব্যাপার।"
এই কথাটাই বোঝানো যায়না অনেক কে। সবাই পোশাকের দোষ দিয়েই খালাস। আরে ভাই অশালীন পোশাক পড়ার জন্যে যাকে দোষ দিচ্ছেন সেই মেয়েরা তো ধর্ষিত হচ্ছে না! হচ্ছে অতি সাধারন কোনও মেয়ে। এমনকি হচ্ছে দুই বছরের শিশু! আশি বছরের বৃদ্ধ!!! তারাও কি অশালীন পোশাক পরে???
আসল কথা হচ্ছে অশালীন পোশাক যারা পরে তারা "উত্তেজক" হিসেবে কাজ করে। এবং এর পরিণতি ভোগ করে সাধারন কোনও নিস্পাপ মেয়ে।
অসাধারণ গবেষণাধর্মী লিখা। স্টিকি করা হোক।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৪৩
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনি ব্যাপারটি বুঝতে পেরেছেন।
২১| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৪০
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: শেয়ার্ড।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৪১
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ।
২২| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:০১
জটিল বাক্য বলেছেন: যদি বলতে যাই তাহলে বলতে হবে, ধর্ষণ একটি মানসিক বিকৃতি।
মানসিক বিকৃতি বলে ধর্ষকের অপরাধটাকে আমরা লঘু করে দেই, বিকৃতি নিশ্চয় স্ব-আরোপিত হয় না, পারিপার্শ্বিকতা বিকৃতি তৈরির প্রভাবক। একই সামাজিক পরিবেশে নারী একতরফাভাবে ধর্ষিত হচ্ছে, পুরুষ ধর্ষিত হচ্ছে না। তার মানে শুধু পুরুষের মনে বিকৃতি আসবে।
আসলে ধর্ষণ পুরুষের একটি পরিকল্পিত সন্ত্রাস নারীর প্রতি। এটাকে মানসিক বিকৃতি বলে জাস্তিফাই করা যাবে না।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫৬
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হুমম, এক হিসাবে দেখলে এটাও সঠিক বলেছেন আপনি।
ধর্ষণ আসলে নারীর প্রতি পুরুষের একটি পরিকল্পিত সন্ত্রাস ।
ধন্যবাদ
২৩| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:১৭
একজন আরমান বলেছেন:
চমৎকার লিখেছেন ভাইয়া।
আপনার এতো লিখার মাঝের কিছু কথা আবারও হাইলাইট করতে চাচ্ছি-
ধর্ষনের মূল কিছু কারন হচ্ছে ইভটিজিং, অপসংস্কৃতির প্রভাব, মোবাইল পর্ণোগ্রাফি এবং আইনের শাসন প্রয়োগের দূর্বলতা। ইভটিজিং যারা করে তারা যদি সঠিক সময়ে বাধা না পায়, বা সংশোধনের সুযোগ না পায় তাহলে তারা পরবর্তীতে ধর্ষক হিসেবে পরিনত হয়। আমাদের দেশে যদিও এখন অনেক সচেতনতা বেড়েছে কিন্তু তারপরও ইভটিসিং বন্ধ করতে না পরলে ধর্ষক বন্ধ হবে না।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:২৭
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ আরমান।
২৪| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:০৪
ঘুড্ডির পাইলট বলেছেন: যে কোন সমস্যা তুলে ধরে তার প্রতিকার ও প্রতিরোধ এর উপায় বলে দেয়াটাই হচ্ছে বাক দায়ীত্ব শীলতার একটা অংশ । অপ্নার পোষ্টে সে দায়ীত্ব টুকু যথা যথ পালন করেছেন। বিধায় পোষ্ট প্লাসায়ীত করা হলো ।
১৪ তম ভালো লাগা।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:০৯
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ পাইলট ভাই।
২৫| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:০৫
বাবুরাম সাপুড়ে বলেছেন: পোস্টে +
আর যদি একটা ধর্ষন চলে তাইলে, মোমবাতি জালায়া না মশাল মিছিল হবে। জনতা আইন নিজের হাতে তুলে নেবে। পথে ঘাটে মাঠে জনতা ধর্ষককে পিটিয়ে মারবে । ধর্ষকের আর নিস্তার নাইএই বাঙ্গলায়
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:১৮
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হুমমম। প্রতিরোধ এবং প্রতিকার দুটোই দরকার।
২৬| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:১০
আশিক মাসুম বলেছেন: ভাই যতক্ষন মানুষ গুলু সত্যিকারের মানুষ হবেনা।, ততক্ষন কিছুই বদলাবেনা। আসলে এসকল নরবরে আইন দিয়েত নয়ই। পরিবার বিসেষ করে বাবা-মা সন্তান কে সিক্ষা দিতে হবে, কিন্তু আফসুস এ দেশের বেশির ভাগ বাবা-মাই অসিক্ষিতো। আরো ওনেক ব্যাপার আছে।
পোস্ট-এ ++++++++ অনেক কিছু সিখলাম।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:২০
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ঠিক বলেছেন, মানুষ হিসেবে নিজেকে বদলানো অনেক প্রয়োজন।
ধন্যবাদ আপনাকে।
২৭| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৩৪
নীলঞ্জন বলেছেন: পোস্টের মূল বক্তব্য-এর সাথে সহমত কা_ভা ভাই।++++++
এসব অনাচার বন্ধ হোক।
শুভ কামনা।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৫৯
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ নীল দা। আশা করি ভালো আছেন।
২৮| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:০৮
মামুন রশিদ বলেছেন: ধর্ষকামিতা পশুপ্রবৃত্তিরই নামান্তর । একে শুধু মানসিক ব্যধি বললে ধর্ষকের প্রতি নমনীয়তা চলে আসে । এটা নারীর বিরুদ্ধে সহিংস অপরাধ, সভ্যতার চুড়ান্ত স্খলন । মানুষ সভ্য হওয়ার সাথে সাথেই ধর্ষনকে চরমতর অপরাধ হিসাবে গন্য করে আসছে এবং এর বিরুদ্ধে সর্বোচ্ছ শাস্তির ব্যবস্থা করেছে । প্রাচীন মিশরিয় এবং রোমান সভ্যতায় ধর্ষনের চরম শাস্তি নির্ধারিত ছিলো । পাশবিকতার জন্য পাশবিক শাস্তিই প্রযোজ্য, ধর্ষকের জন্য কোন মানবাধিকার থাকা উচিৎ নয় ।
সময়োপযোগী পোস্ট । ভালো লাগা রইলো ।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৩৯
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ঠিক বলেছেন। পাশবিকতার জন্য পাশবিক শাস্তিই প্রযোজ্য, ধর্ষকের জন্য কোন মানবাধিকার থাকা উচিৎ নয়
২৯| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:২৩
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: বড় পোষ্ট সহজে কেউ পড়তে চায় না।
আমি মনে হয় কেউ না , তাই পুরাই পড়লাম ।
ভাল লাগলো ।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৩০
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হা হা হা ধন্যবাদ লিটন ভাই। আপনি সময় নিয়ে পড়েছেন। কৃতজ্ঞতা এবং শুভেচ্ছা রইল।
৩০| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:০১
রাতুল_শাহ বলেছেন: সময় নিয়ে পড়তে হবে।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০৭
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আরে কেমন আছেন আপনি? অনেক দিন পর আপনাকে দেখলাম। আশা করি ভালো আছেন। অনেক বড় পোষ্ট, সময় নিয়ে পড়াই ভালো।
৩১| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:১৬
আমি তুমি আমরা বলেছেন: আমাদের মনে রাখা উচিত ধর্ষনের প্রতিবাদ করা যেমন আপনার আমার নৈতিক দায়িত্ব, তেমনি এই সংক্রান্ত সকল আইনের কথাও মানূষকে জানানো আপনার আমার সামাজিক দায়িত্ব। আমি বিশ্বাস করি, ভার্চুয়াল এবং বাস্তবে দুই খানেই আমাদের সমান ভাবে কাজ করতে হবে। যে যেভাবেই কাজ করি না কেন, তার অবদানকে অস্বীকার করার কোন অবকাশ নেই।
++++
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০৮
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩২| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:১৬
অনীনদিতা বলেছেন: ভালো আছেনতো?
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৫১
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: জী, ধন্যবাদ। ভালো আছি। আশা করি আপনিও ভালো আছেন।
৩৩| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:২৪
জাকারিয়া মুবিন বলেছেন: চমৎকার তথ্যবহুল সমসাময়িক পোস্ট।
+++++++
৩৪| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৮
শ্রাবণ জল বলেছেন: সঞ্জয় নিপু বলেছেন: এর সমাধান একটাই -
সরাসরি ক্রসফায়ার অথবা গনধোলাই । মাঝে মাঝে ২-১ টা কে এরকম করা গেলে বাকি গুলো ভয় পাবে তাতে কিছুটা সমস্যার সমাধান হতে পারে ।
আইন - প্রশাসন - সরকার দিয়ে নিরাময় সম্ভব নয়।
সহমত।
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৩
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: ভাংগা চুরা অনিয়ম তান্ত্রিক আইন দিয়ে এসব বর্বরতা রোদ করা সম্ভব
নয় । উচিৎ শিখল ভাংগার আইন , একসাথে অনেক মানুষ জরু হয়ে
সরাসরি অপরাধির শাস্তি নিশ্চিত করা ।