নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একদিন সব হাসির ময়নাতদন্ত হবে, ফরেনসিক রিপোর্টে লেখা থাকবে - সবই মিথ্যে।
আমার অফিসের এক সহকর্মীর বিয়ের জন্য মেয়ে দেখতে যাচ্ছি। গন্তব্য রাজশাহী। তাদের পরিকল্পনা ছিল মেয়ে দেখতে যাবে, কথাবার্তা ঠিক হয়ে গেলে তারা বিয়ে পড়িয়ে চলে আসবে। নিতান্তই একটা পারিবারিক ব্যাপারে আসলে আমি যেতে চাচ্ছিলাম না, তাছাড়া যখনকার কথা বলছি, তখন দেশে একটা শৈত্যপ্রবাহ চলছিল। এই ব্যাপক ঠান্ডার মধ্যে উত্তর বঙ্গে যেতে হবে, এই আতংকও ছিল আমার না যেতে চাওয়ার অন্যতম কারন। কিন্তু সেই সহকর্মীর চাপাচাপিতে শেষমেষ রাজি হয়ে গেলাম।
আমরা অল্প কয়েকজন মানুষ। একটা মাইক্রোতেই জায়গা হয়ে যেত, কিন্তু মুরুব্বিদের সাথে বোরিং জার্নির আশংকায় আমি আমার গাড়িটা নিয়ে নিলাম । কথা ছিল সকাল ১০টায় রওনা হব, কিন্তু রওনা দিতে দিতে প্রায় দুপুর ১ টা বেজে গেল। শীতের বেলা বিকেল না হতেই সন্ধ্যা হয়ে যায়। তার উপর আবার ঘন কুয়াশা। সব মিলিয়ে আমাদের পৌছাতে পৌঁছাতে প্রায় সন্ধ্যা ৮টা বেজে গেল।
আমরা সরাসরি মেয়ে পক্ষের বাড়িতেই গেলাম। তারা চিন্তিত হয়ে আমাদের জন্যই অপেক্ষা করছিলেন। যাওয়া মাত্রই আমাদের জন্য কয়েক রকম শরবতের ব্যবস্থা হল। সেই সাথে নাস্তাও পরিবেশন করা হল। চালের রুটির সাথে হাঁসের ভূনা মাংস, নানা রকম পিঠা, পায়েস ইত্যাদি সব মিলিয়ে আতিথিয়তার চূড়ান্ত করলেন তারা।
হঠাৎ দেখি পাত্রপক্ষের এক মুরুব্বী আমাকে ইশারায় কাছে ডাকলেন। আমি কাছে যাওয়ার পর তিনি আমার কানে কানে ফিসফিস করে বললেন, ' ভাইসাহেব অবস্থা কিন্তু সুবিধার মনে হচ্ছে না, আপনি রেডি থাকবেন। আমি ইশারা দিলেই সোজা রাসেলকে নিয়ে গাড়িতে উঠে যাবেন। রাসেল হচ্ছে আমার কলিগের নাম। আমি কিছুটা অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম, 'কিসের লক্ষন ভালো না?' তিনি ষড়যন্ত্রকারীদের মত মুখটা আমার কানের আরো কাছে এনে বললেন, পাত্রীর অবস্থা মনে হয় না সুবিধার, দেখেন না কেমন বেশি বেশি খাতির যত্ন করছে?।
আমার তো শুনে পুরাই আক্কেল গুড়ুম! বলে কি এই লোক। খুব ইচ্ছা করছিল লোকটাকে প্রচন্ড একটা ধমক দিই। কিন্তু সাতপাঁচ ভেবে আর দেয়া হলো না। আমি বিরক্ত হয়ে আমার চেয়ারে এসে বসলাম।
যাই হোক, কিছুক্ষন পর আমরা পাত্রীর মুখোমুখি হলাম। বলাবাহুল্য, পাত্রী যথেষ্ট রুপবতী। পরিচয় হলাম। টুকটাক কথা জিজ্ঞেস করলাম। যথেষ্ট আধুনিক এবং স্মার্ট একটা মেয়ে। এই মেয়ে পছন্দ না হবার কোন কারনই নেই। বড় কথা রাসেল ভাই এর পরিবারের সবার অনেক অনেক ভালো লেগেছে। ফলে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই মেয়ে দেখার সেই প্রাথমিক প্ল্যানটি বিয়ে পর্যন্ত গড়ালো এবং দেখতে দেখতে রাত ১১ টার মধ্যে বিয়ে পড়ানো হয়ে গেল। আমাদের প্ল্যান ছিল আমরা রাতেই রওনা দিয়ে ঢাকায় চলে আসব, কিন্তু প্রবল কুয়াশার কারনে সে প্ল্যান বাদ দেয়া হলো। ঠিক হলো রাতটা এইখানেই কাটিয়ে সকালে আমরা রওনা দিব।
আমি ভেবেছি সারা রাত হাসি ঠাট্টা আর তামাশা করেই কাটিয়ে দেয়া যাবে ,কিন্তু প্রবল শীতের রাতে সদ্য বিবাহ করা একজন মানুষ অন্যদের সাথে হাসি ঠাট্টা করে সময় কাটাবে, এমনটা ভাবাই সবচেয়ে বড় ঠাট্টা বা তামাশা। তাই বাধ্য হয়ে আমি ঘুমাতে গেলাম। আমাদের থাকার স্থান হয়েছে অন্য একটা দালানে। বাড়ির মুল মেহমানখানা ছেলেপক্ষের মুরুব্বিদের দেয়া হয়েছে। আমার সাথে গেল রাসেল ভাই এর ছোট ভাই অভি। বাড়ির একজন কাজের লোক আমাদেরকে পথ দেখিয়ে নিয়ে গেল।
একটা বিষয় না বললেই নয়, রাসেল ভাই এর শশুরবাড়ী একটি বনেদী যৌথ পরিবার। প্রায় পুরানো দিনের জমিদার বাড়ির মত বিশাল এই বাড়িতে তারা তিন পুরুষ ধরে বসবাস করছেন। অনেকটা ইংরেজী U শেপের মত বাড়িটা। সারা বাড়ি জুড়ে টানা বারান্দা আর তার সাথে লাগোয়া রুম। মাঝখানের উঠোনটা পাকা করা। উঠানের চারপাশে কেয়ারী করা ফুলের বাগান। বাড়ির সামনে দুইটা বিশাল পুকুর। তার মাঝখান দিয়ে একটা সংযোগ সড়ক প্রধান রাস্তা থেকে এই বাড়িতে এসে ঢুকেছে। রাস্তার দুপাশে বড় বড় গাছ।
যে লোকটি আমাদের পথ দেখিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল তিনি এই বাড়ির একজন পুরানো কাজের লোক। তার নাম গফুর মিয়া । যে দালানের সামনে এসে আমরা দাঁড়ালাম, তা মূল বাড়ির একটু দুরে। বাড়ির সামনেই বাঁধান একটা পুকুর ঘাট। আমি আর অভি তো খুশি হয়ে গেলাম। চমৎকার একটা জায়গা। গফুর মিয়া রুমের ভেতরে আমাদের বিছানা ঠিক করছেন। আমি বারান্দায় এসে দাড়ালাম। বেশ ঠান্ডা একটা বাতাস বইছে। বাতাসে নাম না জানা ফুলের তীব্র গন্ধ। আমি সিগারেট ধরালাম। গফুর মিয়া রুম গুছিয়ে সামনে এসে দাঁড়ালেন। কেমন যেন মনে হল কিছু একটা বলতে চাইছেন। জিজ্ঞেস করলাম, চাচা কিছু বলবেন?
তিনি কিছুটা ইতস্তত করলেন। তারপর মাথা নিচু করে বললেন, অনেক রাত হইছে, ঘুমাইয়া পড়েন। এত রাতে বাইরে ঘুরা ফেরা কইরেন না। সমস্যা হইতে পারে।
আমি কিছুটা কৌতুহলী হয়ে জিজ্ঞেস করলাম, কি ধরনের সমস্যা? চোর টোর আছে নাকি?
তিনি প্রবলবেগে মাথা নাড়িয়ে বললেন, তালুকদার বাড়িতে চুরি করতে ঢুকবো এত বড় সাহস কারো নাই। তবে.. এই বলে তিনি থেমে গেলেন।
আমি অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম, তবে?
তিনি মনে হয় কিছুটা হতাশ হলেন। বললেন, রাত বিরাতে এই সব কথা বলা উচিত না। আপনেরা শিক্ষিত মানুষ, এই সব বিশ্বাস করেন না। আমরা গ্রামের লোক, এই সব আমরা মানি।
এই বলে তিনি চোখ দিয়ে সামনের দিকে ইংগিত করলেন। আমি সামনে তাকালাম। কুয়াশার কারনে খুব বেশি কিছু দেখা যাচ্ছে না। পুকুরের ঐ পাশে একটা বাড়ির মত দেখা যাচ্ছে। তার সামনে একটা বাতি জ্বলছে। কুয়াশার কারনে ঠিকমত আলো বের হচ্ছে না।
আমি বুঝতে না পেরে কিছুটা হতাশ চোখে গফুর মিয়ার দিকে তাকালাম, কথা বলতে যাব এই সময়ে তিনি বলে উঠলেন, ঐ যে বিল্ডিংটা দেখতেছেন, ঐটা অনেক পুরানো আমলের একটা কবর। কার কবর বাপ চাচারা কেউ কইতে পারে না। তবে প্রতি বছর সেখানে একটা গরু দিয়া আসতে হয়। আমরা গরু দিয়াই চইলা আসি। না দিলে স্বপ্ন দেখায়, নানা রকম ক্ষতি হয়...
আমি মাঝপথে তাকে থামিয়ে দিয়ে হাহা করে অট্রহাসি দিয়ে উঠলাম। গফুর মিয়া বেশ আহত চোখে আমার দিকে তাকালেন। তারপর কিছু না বলে চলে গেলেন।
রুমে ঢুকলাম। অভি ফোনে কার সাথে যেন কথা বলছে। বাসায় ফোন দেয়া হয় নি। আমি ফোন নিয়ে বাইরে এলাম। ফোনে নেটওয়ার্ক পাচ্ছি না। দুরে আবার সেই বিল্ডিং এর উপর চোখ পড়ল। বেশ জোরেই বাতাস বইছে। ঘন কুয়াশাগুলো আস্তে আস্তে সরে যাচ্ছে। টিম টিম করে জ্বলতে থাকা আলোটা কুয়াশার কারনে বেশ রহস্যময় লাগছে। কাছেই কোথাও যেন নাম না জানা একটা পাখি হঠাৎ হুমহুম করে ডেকে উঠল। আমি চমকে উঠলাম। হঠাৎ মনে হলো, দূর থেকে কে যেন আমাকে লক্ষ্য করছে। শরীরটা কেমন যেন শিরশির করে উঠল। আমি ঘরে ফিরে এসে দরজা বন্ধ করে লাইট নিভিয়ে শুয়ে পড়লাম।
মাঝরাত্রিতে হঠাৎ করে ঘুমটা ভেঙে গেল। মনে হলো কে যেন খুব করুন সুরের একটা গান গাইছে। মোবাইলে তাকিয়ে দেখি প্রায় রাত সাড়ে তিনটা বাজে। এত রাতে আবার গান কে গাইবে? এই ধরনের এইটি গাঁজাখুরি স্বপ্ন দেখার জন্য নিজেরে মনে মনে তিরস্কার করলাম। পাশে তাকিয়ে দেখি অভি বেশ নাক ডাকিয়ে ঘুমাচ্ছে। আমি আবার ঘুমাবার চেষ্টা করলাম। কিন্তু এবার স্পষ্ট শুনতে পেলাম বাইরে কে যেন গুন গুন কন্ঠে গান গাইছে। ঘুম ঘুম চোখে দরজার দিকে চোখ পড়তেই আমার ঘুম ছুটে গেল। দেখি দরজা খোলা। আমি লাফ দিয়ে বিছানায় উঠে বসলাম। যতদূর মনে পড়ে আমি দরজা লাগিয়ে ঘুমিয়েছি। এমন তো হবার কথা নয়। নিজের খামখেয়ালীতে প্রচন্ড বিরক্ত হলাম। বিছানা থেকে নেমে দরজার কাছে গেলাম। দরজা লাগাতে যাব ঠিক এই সময় আবার গানের সুর শুনলাম। এবার নিশ্চিত হলাম যে আমি ঠিকই শুনেছি। শব্দটা বারান্দার সামনে থেকেই আসছে। আমি বারান্দায় উকি দিলাম। কোথাও কিছু নেই। চারিদিকে সুনশান। বাতাসে কুয়াশারা ছুটছে। আমি দরজার বন্ধ করতে যাচ্ছি এমন সময় চোখ পড়ল সামনের পুকুর ঘাটে। একটা মেয়ে বসে আছে। গানের শব্দটা সেখান থেকেই আসছে। প্রচন্ড অবাক হলাম আমি। গলা উচিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, কে ওখানে?
সাথে সাথে গানের শব্দ থেকে গেল। আমি বারান্দা থেকে নেমে এসে আবার জিজ্ঞেস করলাম, কে ওখানে?
এবার জবাব আসল, জী, আমি।
আমি পুকুর ঘাটে এগিয়ে গেলাম। অন্ধকারে চেহারা ঠিক পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে না। আমি ঘাটে এসে দাঁড়াতে মেয়েটা কেমন যেন ইতস্ত্বত করে উঠে দাঁড়াল। আমি অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম, কে আপনি? এত রাতে এখানে কি করছেন?
মেয়েটা কোন কথা বলল না। অন্যদিকে চেয়ে রইল। আমি কিছুটা বিরক্ত হয়েই জিজ্ঞেস করলাম, এত রাতে এখানে ঠান্ডার মধ্যে বসে আছেন?
-আমি যেখানে থাকি, সেখানে তার চেয়ে বেশি ঠান্ডা। তাই আমার ঠান্ডা লাগছে না। তাছাড়া এই জায়গাটা আমার খুব প্রিয়, আমি এখানে প্রায় বেড়াতে আসি।
আপনি কি এই বাড়ির কেউ?
-নাহ, আমি আপনাদের নতুন বউ এর বান্ধবী। একসাথে স্কুলে পড়তাম। বিয়ে উপলক্ষে এসেছি।
ওহ! তাই বলেন। অন্ধকারে ঠিক বুঝতে পারছিলাম না, বাড়ির ভেতরে দেখা কোন মেয়েটা এটা। জিজ্ঞেস করলাম, তা আপনার বুঝি গানের অনেক শখ?
মেয়েটা জোরে হেসে উঠল। কেমন যেন একটা ঘোর লাগা হাসি। আমি কিছূটা চমকে উঠলাম। হাসছেন কেন?
-হ্যাঁ, অনেক শখ! তবে আমার গান সবার ভালো লাগে না। কেউ সহ্যই করতে পারে না। আমি এখন জলতন্তলের বাসিন্দাদের গান শুনাই।
জলতন্তল? সেটা আবার কি?
আমার প্রশ্ন শুনে মেয়েটি আবার জোরে হেসে উঠল। জলতন্তল মানে জানেন না?
না আমি জানি না। এর মানে কি?
-এর মানে হলো জলের অন্তহীন গভীর।
বাপরে! আমি এমন শব্দ কখনও শুনিনি।
মেয়েটা আবার জোরে হেসে উঠল। আমি আবারও চমকে উঠলাম। হাসিটা কেমন যেন খন খনে টাইপের।
-আমার হাসিটা ভালো না। সবাই এভাবেই চমকে উঠে।
আমি অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম, আপনি কিভাবে বুঝলেন আমি হাসি শুনে চমকেছি?
মেয়েটা আবার হেসে উঠল। দূরে কোথায় যেন একটা কুকুর ডেকে ডাকছে। আমার কাছে কেমন যেন করুন শোনাল ডাকটা। থেমে থেমে বাতাস বইছে। আস্তে আস্তে কুয়াশা কেটে যাচ্ছে। দূরে পুকুর পাড়ে চোখ পড়ল। মিটমিট করে সেই বাড়িটা আরো অনেক বেশি রহস্যময় লাগছে। কুয়াশা কেটে যাওয়ায় বেশ ঠান্ডা পড়েছে। আমি পকেট হাতড়িয়ে একটা সিগারেট ধরালাম। দেখলাম, মেয়েটা কিছুটা দুরে সরে গেল। জিজ্ঞেস করলাম, দুঃখিত আপনার কি সিগারেটে সমস্যা হয়?
নাহ! আমার কোন কিছুতেই সমস্যা হয় না তবে আগুন ভালো লাগে না।
-বলেন কি? শীতের রাতে মানুষ তো আগুনই পছন্দ করে।
অনেকটা কঠিন স্বরে মেয়েটা বলল, নাহ! আমার ভালো লাগে না।
হঠাৎ একটা শব্দ শুনলাম, পানিতে কিসের যেন হুটপুটি করছে। অন্ধকারে কিছু দেখা যাচ্ছে না। মেয়েটা সিঁড়ি বেয়ে নেমে পানির ধারে গিয়ে বসল। এই প্রথম মেয়েটাকে ভালো করে লক্ষ্য করে দেখলাম। এত শীতের রাতে শুধু একটা সেলোয়ার কামিজ পড়েই বসে আছে। অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম, আচ্ছা আপনার কি সত্যি শীত লাগে না।
-বললাম না, আমি যেখানে থাকি, সেখানে আরো বেশি ঠান্ডা। তাই আমার কাছে ঠান্ডা লাগছে না।
কোথায় থাকেন আপনি?
বলা যাবে না। আমি টের পেলাম মেয়েটা হাসছে। শুনলাম মেয়েটা গান গাইছে,
ছায়াও মতনও মিলায়ও ধরনী
কুল নাহি পায়, আশাও তরনী
মানষ প্রতিমা ভাসিয়া বেড়ায়
আকাশে আকাশে
আমি কেবলই স্বপনও করেছি বপনও
বাতাসে আমি।
-আপনি তো চমৎকার গান করেন। আমি মুগ্ধ হয়ে বললাম।
আবারও হাসল মেয়েটা। তারাও বলে।
-কারা বলে?
মাছেরা।
মাছেরা!!! আচ্ছা ফাজিল মেয়ে তো। আধপাগলি একটা মেয়ের সাথে এত রাতে কথা চালিয়ে যাবার কোন কারন নেই। আমি সিগারেট শেষ করে উঠে দাঁড়ালাম। আচ্ছা আমি যাই। আপনিও ঘুমিয়ে পড়ুন।
আমি তো সেই কবে থেকেই ঘুমিয়ে আছি। আর কত ঘুম?
উফ! আবারও সেই হেয়ালী। আমি বিরক্ত হয়ে চলে আসছিলাম। মেয়েটা মন হয় কিছুটা লজ্জিত হল। চলে যাচ্ছেন রাগ করে? আমি তো সত্য কথাই বলেছি।
-রাগ করব না তো কি? খুব সত্য কথা বলছেন যে। আপনার নামটাই তো বললেন না।
মেয়েটা উঠে দাঁড়িয়ে আমার দিকে মাথা তুলে তাকাল। অন্ধকারের মাঝেও চোখগুলো কেমন যেন জ্বল জ্বল করছে। দূর থেকে যে আলো আসছে তাতে অস্পষ্ট ভাবে দেখলাম, মেয়েটার মুখটা অস্বাভাবিক রকমের ফ্যাকাসে। মৃদ্যু হাসল। হেসে বলল, আমার নাম জানেন না? আমার নাম রুনু।
এই বলে দেখলাম মেয়েটা পানির মধ্যে দুই পা চুবিয়ে দাঁড়াল। হাত দিয়ে পানি নিয়ে খেলতে লাগল। প্রচন্ড শীতের রাতে এই ধরনের আচরন স্বাভাবিক বলে মেনে নেয়ার কোন কারনই নাই।
-কাছে আসুন, পানিটা ধরে দেখুন। শীতের রাতে পুকুরের পানি গরম থাকে। এটা জানলে আর এত অবাক হতেন না।
আমি অবাক হলাম না। বুঝতে পারছি মেয়েটা কোন ভাবে আমার মনে কথা বুঝতে পারছে পারছে। সামগ্রিক ব্যাপারটাই অস্বাভাবিক। হঠাৎ করে গফুর মিয়ার কথাগুলো মনে পড়ল। এই শীতের রাতেও আমার মেরুদন্ডের মধ্যে দিয়ে একটা ভয়ের শীতল স্রোত বয়ে গেল। সাথে সাথে শুনলাম তীক্ষ্ণ হাসির শব্দ। আমি দু হাতে কান ঢেকে ফেললাম। মেয়েটা কেমন যেন হাসি হাসি মুখে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। তারপর অনেকটা চিবিয়ে চিবিয়ে হিসহিস কণ্ঠে বলল, গফুর মিয়াটা বড় বাড় বেড়েছে। মাছগুলোকে কোন খাবারই ঠিক মত দেয় না। অন্য কেউ ব্যবস্থা করুক সেটাও দিবে না। আমাকে দিয়ে আর কত?
আমি চমকে উঠলাম, জিজ্ঞেস করলাম আপনাকে দিয়ে আর কত মানে?
-কাছে আসুন, আপনাকে দেখাচ্ছি, আপনিও তাহলে বুঝবেন। এই বলে মেয়েটা সামনের দিকে একটা হাত বাড়িয়ে দিল।
আমার মনের ভিতর কে যেন বলছে, না খবরদার! এই হাত তুমি স্পর্শ করবে না। খবরদার!
আমি সম্মোহিতের মত সামনে এগিয়ে গেলাম। আমার দুই পা স্পর্শ করল তীব্র ঠান্ডা পানি। অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম, মেয়েটা বুক সমান পানিতে নেমে গেল। বুক পানিতে দাঁড়িয়ে মেয়েটি আমার দিকে দুহাত বাড়িয়ে দিয়েছে। চোখে প্রবল এক সম্মোহনী চাহুনী। আমি কোন ভাবেই এই দৃষ্টি এড়াতে পারছি না। আমার খুব ইচ্ছে করছে পানিতে নেমে যাই।
আমার অবচেতন মনে বার বার বলছে, বিপদ ভয়ংকর বিপদ। পালাও। কিন্তু আমি পালাতে পারছি না। ঠান্ডায় মনে হয় আমার পা জমে গিয়েছে। হঠাৎ দেখলাম, একটা মানুষ পানিতে উপুড় হয়ে ভাসছে। ভালো করে চেয়ে দেখি একটা যুবতী মেয়ের লাশ। মুখটা প্রচন্ড ফ্যাকাশে। মুখের চামড়া গুলো গ্রীষ্মের তপ্ত জমির মত ফেটে গিয়েছে, চোখগুলো আধো খোলা। মুখের একপাশে কিসের কামড়ে যেন ক্ষয়ে গিয়েছে। সেখান থেকে চোয়ালের হাড় দেখা যাচ্ছে। এ তো রুনি!!!!!
সাথে সাথে আবারও শুনলাম সেই ভয়ংকর তীক্ষ্ণ হা হা হাসির শব্দ। এক সময় তা পরিনত হল কান্নায়। হৃদয়নিংড়ানো হাহাকারের কান্না। আমার খুব মায়া লাগছে। রুনুর লাশের দিকে তাকাতেই রুনু কথা বলে উঠল, প্লীজ আমার হাতটা ধরুন। আমার এখানে অনেক ঠান্ডা। আমার ঠান্ডা ভালো লাগে না।
আমি চোখ বন্ধ করে প্রানপনে পানি থেকে আমার পা তুলে ফেললাম। প্রচন্ড ক্লান্তি লাগছে। তীব্র হাসির শব্দে আমার কানের পর্দা ছিড়ে যাচ্ছে। আমি দু হাতে কান ঢেকে জ্ঞান হারিয়ে ফেললাম।
...................
হাসান ভাই, হাসান ভাই??
কে যেন আমাকে ডাকছে। দুচোখ খুলে দেখি অভি চিন্তিত মুখে আমার দিকে চেয়ে আছে। কি হয়েছে আপনার?
কোথায় আমি? দূর্বল কন্ঠে জিজ্ঞেস করলাম।
কোথায় আবার? রুমে। আপনি স্বপ্ন দেখে চিৎকার করছিলেন। আমি ঘুম ভেঙ্গে দেখি আপনি হাত পা ছুড়ছেন। তাই আপনাকে ডাকলাম।
আমার প্রচন্ড পানির পিপাসা লাগল। মাথা ব্যাথা করছে। ভয়ংকর রকম বাজে একটা স্বপ্ন দেখলাম। ঘড়িতে চেয়ে দেখি ভোর সাড়ে পাঁচটা বাজে। অভিকে বললাম, একটু পানি খাওয়াতে পার?
অভি পানি এনে দিল। পানি খেয়ে কিছুটা ফ্রেস লাগল। হঠাৎ অভি জিজ্ঞেস করল, ভাইয়া পানি ফেলে দিয়েছেন দেখি।
কোথায় পানি ফেললাম?
এই যে দেখেন, আপনার খাটের নিচেই তো পানি।
আমি খাটের নিচে তাকালাম। মনে হলো সেখানে কে যেন ভেজা কাপড় চিপে পানি ফেলেছে। আমি তাড়াতাড়ি কম্বল সরিয়ে দেখি আমার প্যান্ট হাটুর নিচ থেকে ভিজে চপচপ করছে।
এবার বাস্তবেই জ্ঞান হারালাম আমি।
দুপুর বেলা যখন হুস ফিরে এল, তখন দেখলাম রাসেল ভাই আর ভাবি আমার রুমে বসে আছেন। আমাকে চোখ খুলতে দেখে, তারা ছুটে এলেন। কেমন আছি ইত্যাদি জানতে চাইলেন। সত্যি অনেক ফ্রেস লাগছিল। সবাই আমার জন্যই অপেক্ষা করছিল। তাড়াতাড়ি খাওয়া দাওয়া করে রেডি হলাম। গফুর মিয়াকে খুঁজছিলাম। কিন্তু চোখে পড়ছিল না। সবাই যখন গাড়ীতে উঠছে, তখন গফুর মিয়াকে চোখে পড়ল। আমি ছুটে গেলাম তার কাছে। জিজ্ঞেস করলাম, রুনি কে?
তিনি চমকে উঠলেন। আস্তে আস্তে মাথা নেড়ে বললেন, আপনাকে আগেই বলেছিলাম, রাত বিরাতে ঘর থেকে বের হবেন না। আপনি শুনেন নি আমার কথা।
আমি অধৈর্য হয়ে জিজ্ঞেস করলাম, রুনি কে?
-রুনি আপা ছিলেন আমাদের মিথিলা আপার বান্ধবী। তিনি এই বাড়িতে আসলে সারা বাড়ি ঘুরে বেড়াতেন। আজ থেকে প্রায় পাঁচ বছর আগে রাতের বেলায় এই রকম ঘুরাঘুরি করতে গিয়ে তিনি নিখোঁজ হন। পরদিন দুপুরে তার লাশ পাওয়া যায় পুকুরে। সেই থেকে তাকে প্রায় রাতের বেলা সেই পুকুর ঘাটে দেখা যায়। আমরা অনেকেই দেখেছি। তিনি কারো ক্ষতি করেন না। আমি বন্দী করে রেখেছি।
হাসান ভাই!! চলেন সবাই অপেক্ষা করছে তো! অভির ডাকে আমি চমকে উঠলাম। গফুর চাচা আমার দিকে চেয়ে হাসছেন। এই ভরদুপুরেও আমার মেরুদন্ড বেয়ে ভয়ের একটা স্রোত বয়ে গেল। আমি চোখ বন্ধ করে গাড়িতে গিয়ে উঠলাম। আমরা সংযোগ সড়ক দিয়ে যাচ্ছি, শেষবারের মতন ঐ পুকুর ঘাটের দিকে তাকালাম। মনে হল, যেন আমাকে ফিস ফিস করে বলছে, প্লীজ আমার হাতটা ধরুন। আমার এখানে অনেক ঠান্ডা। আমার ঠান্ডা ভালো লাগে না।
-০-
০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:১৫
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ওকে!!
২| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:১৮
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: :-& :-& :-& :-& :-& :-&
ভয় পাইছি।
০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:১৫
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ এটাই কাম্য ছিল।
৩| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:১৮
আমিভূত বলেছেন: আপনার লেখার জন্য ব্লগে একবার হলেও ঢুকি !
গতবারের লেখায় হতাশ হয়েছিলাম আজ তা উশুল করে দিয়েছেন
ভালো লাগলো ,ভালো থাকবেন
০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:১৬
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আমার প্রায় প্রতিটি লেখায় আপনার মন্তব্য পাই। এটা দারুন একটা ব্যাপার। গতবার আপনাকে হতাশ করার পাশাপাশি আমি নিজেকেও কিছুটা হতাশ করেছিলাম।
ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগল।
৪| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:১৮
আমিনুর রহমান বলেছেন:
আপাতত +++
আবার আসছি …
০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:১৭
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ আমিন ভাই! আবার দেখা হচ্ছে!
৫| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:২৯
মাক্স বলেছেন: ভূত রুনির জন্য একটা মায়া সৃষ্টি করতে পেরেছেন। ভূত কম প্রেমের গল্প বেশী মনে হৈসে
০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:২৪
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ মাক্স।! আমি একটা মায়া সৃষ্টি করতে চেয়েছি বটে কিন্তু প্রেমের গল্প মনে হলে তো বিপদ! পুরো লেখাই তাহলে বিফল
৬| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৩০
লাল চাঁন বলেছেন: দারুন লেগেছে, ধন্যবাদ
০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:২৪
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া! শুভেচ্ছা রইল।
৭| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৩৯
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: রুনির লাশটা পানিতে ভেসে আছে আর সেটার যে বর্ণনা , ওইটা পইড়া তো ভয় পাইলাম। ভৌতিক গল্পের ট্যাগ দেখলে গল্প দিনের বেলাতেই পড়তাম।
গল্পের নামটা সুন্দর ! জলনিশি !!
০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:২৬
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ আপু। কেবল মাত্র পাঠকের আদি অকৃত্তিম ভয় ভৌতিক গল্প লেখার অপপ্রয়াসকে সফল করে। আমি সফল হয়েছি কিনা বুঝতে পারছি না।
পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা।
৮| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৪২
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: বেশী বুঝা মুরুব্বীরে একটা হালকা ধমক দিলে তৃপ্তি পেতাম !
তবে পেন্ট ভিজার ব্যাপার টা দুর্দান্ত হয়েছে , হাসান ভাই যে পেন্ট ভিজায় সেটা আমি জানি
গফুর মিয়ারে হালকা সাইজ দিবেন পরের পর্বে , ঐ বেটা আটকাইয়া রাখছে কেন, রুনু তো কারো ক্ষতি করেনা ! তবে আমাদের হাসান ভাই হলে গাড়ি থেকে নেমে ঠান্ডা পানি থেকে রুনু উদ্ধারের একটা প্রচেষ্টা চালাতো বলেই আমার বিশ্বাস ! আরেক টা পর্ব করেন !
০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:২৮
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ। তবে এই গল্পের সকল চরিত্র কাল্পনিক। কারো সাথে মিলে গেলে সেটা নিতান্তই দৈবক্রম।
৯| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৪৫
শিপন মোল্লা বলেছেন: জলনিশি ভাল লাগলো ।
০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:২৯
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ শিথি ভাই। আপনি যে এখন অন্যসব লেখা পড়েন, এটা দেখেই ভালো লাগল।
পাঠে কৃতজ্ঞতা।
১০| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৪৮
নিরপেক্ষ মানুষ বলেছেন: অছাম।দূর্দান্ত লেখনি।
০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:২৯
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। ভালো লেগেছে জেনে পরিশ্রম সার্থক হলো।
১১| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৫২
তন্দ্রা বিলাস বলেছেন: ++++++
০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৩০
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ
১২| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৫৪
আম্মানসুরা বলেছেন: সুন্দর গল্প।
০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৩০
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ
১৩| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৫৭
বোকামন বলেছেন:
গন্তব্য রাজশাহী, শেষ করলাম মেরুদন্ড বেয়ে ভয়ের স্রোতে টিকে থাকা গল্প-কথকের সংযোগ সড়কে রুনির আকুতি দিয়ে। ভালো লাগলো গল্পটি !!
থেমে থেমে বাতাস বইছে ...
আস্তে আস্তে কুয়াশা কেটে যাচ্ছে ...
দূরে পুকুর পাড়ে চোখ পড়ল ...
মিটমিট করে সেই বাড়িটা আরো অনেক বেশি রহস্যময় লাগছে...
কুয়াশা কেটে যাওয়ায় বেশ ঠান্ডা পড়েছে...
অন্ধকারের মাঝেও চোখগুলো কেমন যেন জ্বল জ্বল করছে।
আমার খুব মায়া লাগছে ....
হ্যাঁ শেষ পর্যন্ত গল্পটি মায়া ধরে রাখতে সক্ষম হল। মায়াময় ভেীতিক গল্পের জলে, জলনিশিতে অবগাহন করলাম।
সম্মানিত লেখক,
আপনার গল্পটি পড়ে এই নগন্য সাধারন পাঠকের এমনটাই মনে হল :-)
ভালো থাকুন নিরন্তর।
শুভকামনা।
০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৩১
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার। আপনার মন্তব্য পেলে আমার বরাবরই ভালো লাগে। আপনার মত সুন্দর এবং সুলিখিত মন্তব্য খুব কম ব্লগারই করেন।
ভালো থাকবেন।
১৪| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:০১
গ্য।গটেম্প বলেছেন: ভাল
০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৩২
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ
১৫| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:০৭
রোজেল০০৭ বলেছেন: আপনার গল্প যখন আমি পড়ছি, আমার এখানে প্রায় রাত একটা বাজে, আমারও মেরুদন্ড বেয়ে ভয়ের একটা স্রোত বয়ে গেল।
গল্পে প্রেম এবং আদি ভৌতিক ব্যপারটা নিখুঁত ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।
আর সবশেষে নামকরণ টা ও পুরোপুরি স্বার্থক বলব।
০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৩৪
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। এই ধরনের লেখায় পাঠক যদি কিছুটা ভয় পায়, তাহলে লেখক হিসেবে অনেক শান্তি লাগে।
আপনার কমেন্টে আমি আমি শান্তি পেয়েছি।
পাঠে অনেক কৃতজ্ঞতা। ভালো থাকবেন।
১৬| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:০৮
মোঃমোজাম হক বলেছেন: গল্পটা ভাল লাগলো।আপনার সব গল্পই দেখি বাস্তবের সঙ্গে মিলিয়ে নেন।মনে হয় নিজের বাস্তব অভিজ্ঞতা বলছেন
ছোট বেলায় এমনি একটি থিমের সিনেমা দেখেছিলাম।ভুতরি নায়িকা গান গায় "আমি যে আধারের বন্দিনী,আমাকে আলোতে ডেকে নাও"
০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৪৫
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হাহা! আসলে বলতে পারেন এটা আমার লেখার একটা দূর্বলতাও। আমি সাধারনত অধিক বিশ্বাসযোগ্যতার জন্য উত্তমপুরুষে লিখি। তাই মাঝে মাঝে মনে হয় নিজের অভিজ্ঞতার কথাই লিখছি। তবে হ্যাঁ, আমি যেহেতু জাত লেখক নই, তাই আমি বাস্তব অভিজ্ঞতার উপরই কিছুটা নির্ভরশীল মোজাম ভাই। এই ধরনের একটা বাড়িতে গিয়েছিলাম। আর এক বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে সেখানে একটা মাজার দেখেছিলাম। দুইটা মিলিয়ে একটা প্লট বানালাম আর কি
আপনি পড়েছেন দেখে অনেক ভালো লাগল।
১৭| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:২০
রেজওয়ান তানিম বলেছেন: শুরুর দিকটায় আরেকটু যত্নশীল হলে আরো ভাল লাগত
শেষে এসে গল্পটা জমেছে, শুরুতে একটু বেশি ন্যারেটিভ লেগেছে
০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৪৯
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। আসলে এই ধরনের মন্তব্য অনেক সাহায্য করে শুধরে নিতে। আমি চেষ্টা করব ভবিষ্যতে এই ধরনের লেখা লেখার ক্ষেত্রে উল্লেখিত বিষয়টি মাথায় রাখতে।
আমি চেয়েছিলাম যে পাঠককে হঠাৎ করে একটা প্রেক্ষাপট থেকে আর একটা ভিন্ন প্রেক্ষাপটে নিয়ে যেতে। ট্রানজেকশনটাই চমক হিসেবে রাখতে চেয়েছিলাম।
ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা রইল।
১৮| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:২২
মামুন রশিদ বলেছেন: চিটাগাঙে একা একা হোটেলে আছি, গল্পটা পড়া ঠিক হলো কিনা বুঝতে পারছিনা :-&
হাহাহা, প্রথম পুরুষে নরম নরম মধুর বর্ননা পড়েই মনে হচ্ছিলো ভাইজান উত্তরবঙ্গে গিয়ে নিশ্চিত একটা কেলেংকারিতে পড়বেন । আর শেষে কিনা জলকন্যা জলনিশির খপ্পড়েই পড়লেন
গল্প খুব টানটান হয়েছে । মেদহীন ঝরঝরে বর্ননায় খুব সফটলি গল্পের ভিতর টেনে নিয়ে গেছেন । এই রকম গল্পে যেটা হয় আগে থেকে ভয় পাইয়ে দেয়া, তা করেন নি । আচ্ছা ভৌতিক গল্পে রাত্রি বেলা পুকুর থেকে শুধু জলকন্যারাই আসে কেন ? 'আরজুপনি'র একটা গল্পেও এই রকম পড়েছিলাম ।
ভৌতিক গল্পে প্লাস +++
০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:০৬
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হা হা হা! নাহ! তাইলে হইল না মামুন ভাই! আরো ভয়ের লেখা উচিত ছিল।। আপনি যদি বলতেন আমি ভয়ের চোটে রুম থেকে বের হয়ে গিয়েছি তাহলে আরাম পেতাম।
আসলে হয় কি, দেশের পোলাপাইনদের সমস্যা বাইড়া গেসেগা। তাহারাও নিজেদের নিরাপদ ভাবে না কিন্তু দেখেন, শেষ রক্ষা তো হইল না!! ধরা ঠিকই পড়তে হইল!!
আপনার ভালো লেগেছে দেখে অনেক ভালো লাগল মামুন ভাই। শুভেচ্ছা রইল।
১৯| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:২৬
আরমিন বলেছেন: ভয়ংকর!
প্লাস বেশী দিতে পারলাম না! কেবল মাত্র ৭টি!
গল্প কিন্তু চমৎকার হয়েছে!
০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:২০
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু! লাকি সেভেন পেয়ে আমি খুশি!! আরো বেশি খুশি যে আপনি ভয় পেয়েছেন।!
২০| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৪০
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: হরর গল্পে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল পাঠকদের মধ্যে ভয়ের ফিলিন্স আনা। আমি সাহসী মানুষ, হাসান পানিতে নামার আগ পর্যন্ত আমি ভয় পাই নাই কিন্তু রুনির লাশের বর্ণনা যেটা দিয়েছেন সেখানে ভয় না ধরে উপায় ছিল না। ভুল করছি, গল্পটা আরও রাতের দিকে পড়ার দরকার ছিল, তাহলে হরর গল্পের আমেজটা আরও ভাল ভাবে পেতাম। বাস্তবে প্যান্ট ভিজে গেছে দেখে মজা পাইছি। তবে ওখানে আর একবার হাসানকে অজ্ঞান না করলেও চলত। গল্পের শেষটা খুব ভাল হয়েছে।
রুনির নামটা দেখে আমার মাথায় একটা আইডিয়া এসেছে। সাগর রুনির হত্যা নিয়ে একটা গল্প লিখে ফেললে কেমন হয়? গল্পে রাজনৈতিক বিষয় গুলো এড়িয়ে গিয়ে শুধু মানবিক বিষয় গুলো তুলে আনতে পারলে মন্দ হবেনা!
০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:২৭
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ নাজিম ভাই। শেষ মেষ ভয় পেয়েছেন দেখে ভালো লাগল। গভীর রাতে পড়লে আমার ধারনা আরো কিছুটা এফেক্ট তো আসতই।
তবে বাস্তবে যে প্যান্ট ভিজার ব্যাপারটা ধরেছেন ভাই, সেটা আসলে ঠিক হয়ত বুঝাতে পারি নি। আমি বুঝাতে চেয়েছিলাম, হাসান স্বপ্ন নয়, সে আসলে বাস্তবেই রুনির দেখা পেয়েছিল। হাটূ পানিতে নেমেছিল, তাই সেটাই ভিজেছে!
আপনি যে প্লটের কথা বলছেন, নিঃসন্দেহে ইন্টারেস্টিং একটা প্লট হবে। দারুন ব্যাপার। তবে আমাদের দেশে অতি উৎসাহী মানুষের অভাব নেই। তারা ঠিকই এর মাঝে রাজনৈতিক আবহ খুঁজে পাবেন।
আবারো অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা
২১| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৫৬
নূর আদনান বলেছেন: ভয় পাইছি তো....
তাইলে এখন পিলচ দিমু নাকি মাইনাচ দিমু
না-না মাইনাচ দিলে আবার যদি রুনি আইসা......
পিলচ পিলচ পিলচ
@নাজিম-উদ-দৌলা লিইখা ফালান তারাতারি
০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৩৬
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হাহাহ! প্লাস দেয়াই ভালো!!!!!
ধন্যবাদ
২২| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:০৬
সোহাগ সকাল বলেছেন: দারুণ লিখেছেন ভাই! গল্পে প্লাস++
উপভোগ করলাম!
০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৩৭
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। আপনাদের ভালো লাগছে দেখে শান্তি পেলাম। নইলে অতৃপ্ত আত্মা হয়ে এটার্ক করতাম
২৩| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:০৭
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: গল্পে একটা সাবলীল ভাব ছিল। একটু আতংকও ছিল। রুনীর জন্যে মায়া হচ্ছে। মনে হচ্ছে রুনীর ফিসফিস করে বলা কথা গুলো আমি শুনতে পাচ্ছি। প্রাঞ্জল লেখা। দারুন।
প্লাস!
০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৪৯
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ তবে আরো বেশি ভয় পেলে ভালো লাগত।
২৪| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৩২
মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: ভাইয়া, গল্প অনেক ভালো লেগেছে। ঝরঝরে লেখা, একটানে পড়ে ফেললাম। গল্পে প্লাস দিলাম।
কিন্তু আপনাকে কষে মাইনাস । ভেবেছিলাম ক্ষুধা চাপা দিয়ে আরো দুই একটা পোস্ট পড়ব কিন্তু "চালের রুটির সাথে হাঁসের ভূনা মাংস, নানা রকম পিঠা, পায়েস" এরপর আর থাকতে পারলাম না
০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৫৭
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ মহামহোপাধ্যায়। আপনার পোষ্ট অফলাইনে পড়েছি। দ্রুতই আসছি আপনার ব্লগে। দারুন একটা পোষ্ট দিয়েছেন।
গল্প ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগছে। খুশি হলাম। আরো খুশি হইতাম যদি বলতেন ভাই ভয়ের চোটে খাওয়া দাওয়া ভুইলা গেসি! হাহা!
এইভাবেই রাজশাহীতে আমি একবার অতিথিসেবা পেয়েছিলাম। !! তাই চান্স পেয়ে আমার মনে করলাম আর কি
২৫| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৫১
তোমার গল্পের মৃত রাজকন্যা বলেছেন:
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
আমি ভূতের গল্প বড়ই ভালা পাই । তার উপর এটার মাঝে তো কিঞ্চিৎ রোমাঞ্চ ও আছে!! অসাধারণ !
০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:০১
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হাহা! অনেক ধন্যবাদ। ঠিক আছে সামনের পোষ্ট আপনি সত্যিকারের কিছু ভুতের দেখা পাবেন।
২৬| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:০২
ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
ভূতের গল্প এমনেই রাতের বেলা পড়িনা, আর আজ একা থাকতে হবে তো এখন পড়ার প্রশ্নই আসেনা !!
কাল সকালে ||
০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:২৬
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: বলেন কি! কেমনে বুঝলেন এটা ভূতের গল্প!!!!!!
২৭| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:১৮
বটবৃক্ষ~ বলেছেন: এখুনি আসতেসি !! খাইতে ডাকসে!!
০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৩২
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: !!!!!!!!!!!!!!
২৮| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:২৩
লিঙ্কনহুসাইন বলেছেন: ১২ তম ভালো লাগা দিলাম
০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৩২
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ
২৯| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৩৭
~মাইনাচ~ বলেছেন: সুলেখনি
মাইনাচ
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:২৪
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই।
৩০| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৩৮
~মাইনাচ~ বলেছেন: প্রবাসে বলেই পড়সি, দেশে হইলে পড়তামনা
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:২৪
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হাহাহ! কেন বিদেশে কি ভুত নাই???
৩১| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৪৭
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আমিতো গল্পের চেয়ে গল্পের শুরুতে যে ছবি দিছেন সেইটার প্রতি মুগ্ধ বেশী হয়ে গেছি।
গল্পের শিরোনাম দারুন জলনিশি।
নাইস ট্রাই। ভৌতিকতার আবেশে অতৃপ্ত আত্মার প্রতি মায়া অথবা মোহ বলা যেতে পারে যেটা আপনার গল্পের মূল প্রতিপাদ্য বিষয়। লাইকতো অবশ্যই রইল।
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:২৬
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ জী, ট্রাই করেছি। আমার ট্রাই করতেই ভালো লাগে।
৩২| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৪৮
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: ভূত মানি বা না মানি ভৌতিক গল্প ভালো লাগে
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:২৬
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আমারও!!!!!!!!!!
৩৩| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:১৫
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: সাবলীল ভঙ্গিমায় ভাল গল্প ।
শুরুটার চেয়ে শেষটা ভাল ,লাগল বেশি , বিশেষ করে গফুরের বিষয়টা ।
আমি কিন্তু ভয় পাইনাই ।
আমি অনেক সাহুসী পোলা
ভূতেরে ন ঢরাই
ভাল লাগল ।
সামনে আরো জমজমাট গল্প কাল্পনিক ভাইয়ের কাছ হতে বুঝে নিতে চাই
ভাল থাকবেন গুরু
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:২৭
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই!!!!! শুভ কামনা রইল।
৩৪| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৩১
স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:
সুন্দর একটি ভৌতিক গল্প ।
গল্পটা বেশ জমেছে। তাই একটানে শেষ করে ফেললাম।
বৌ ও দেখা হল সাথে ভুতও!
রুমি কিন্তু হাত ধরতে বলেছিল এযাত্রাই। পরেরবার কিন্তু টেনে নিয়ে যাবে! না বলে।
ভবিষ্যতে সহকর্মীর শ্বশুর বাড়ীতে যেতে সাবধান। এযাত্রাই ঢাকা আসা হলেও পরেরবার পানির নিচে যেতে হবে।
++++++++++++++++++++++ একগুচ্ছ প্লাস।
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৫০
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ। তবে ভৌতিক গল্পটা যদি ভালো না লেগে ভয়ংকর লাগত, তাহলে আরো বেশি খুশি হতাম!!!! হাহা!
পাঠে কৃতজ্ঞতা রইল, সাথে শুভেচ্ছাও।
৩৫| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৩২
শ্রাবণধারা বলেছেন: চমৎকার লেখা। আপনার গল্প বলার ধরণটাও খুব ভাল, পাঠককে টেনে নিয়ে যায়......।
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৫০
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার। ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগছে। শুভেচ্ছা রইল।
৩৬| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৪৪
টুম্পা মনি বলেছেন: ও এম জি!!!!! ভূতের গল্প রাতে পড়ে ফেললাম। এখন যদি আমি ডরাই দায় ভার কে নেবে? রুনুকে বলবেন সে যেন আপনার সাথেই দেখা করে, আমার সাথে দেখা করার কথা যেন ভুলেও চিন্তা না করে। আমি এই সব মেয়েদের লাইক করি না।
গল্পটা জম্পেশ হয়েছে।
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৫১
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ও এম জি!!! এখন!!!!
সাবধান, জানালার বাইরে হাত দিয়েন না। কেউ একজন হাত টেনে ধরবে।
৩৭| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৫৪
টুম্পা মনি বলেছেন: আপনি খ্রাপ। আমারে যদি রুনু জালায় আমি আপনাকে কুন দিন ক্ষমা করব না।
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ রাত ১:০১
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হাহাহাহাহাহ! এটা একটা পৈচাশিক হাসির ইমো হবে!
৩৮| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ রাত ১:০০
এেলােমেলা সব বলেছেন: এখন বাজে প্রায় একটা। বাসায় একা থাকি। এই সময় এমন একটা লেখা পড়া মোটেও ঠিক হয়নি।
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ রাত ১:০২
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: দারুন!!! এমনটাই চেয়েছি!!!! একটু ভয় লাগুক!!!!!
বেশি ভয় পাইয়েন না, এটা তো সামান্য ভূতের গল্প।
৩৯| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ রাত ১:০২
একজন আরমান বলেছেন:
টাইমিং টা পারফেক্ট ছিল পড়ার জন্য !
অনেক দিন ধরে আপনার এই ধরনের ভৌতিক গল্প মিস করছি। ভালোবাসার গল্পের মাঝে মাঝে এই ধরনের গল্পও লিখবেন আশা করছি।
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ রাত ১:০৩
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ আরমান। কেবল মাত্র ভয় পেলেই এই ধরনের প্রচেষ্টা স্বার্থক।!
৪০| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ রাত ১:০৪
বটবৃক্ষ~ বলেছেন: হাহা!! যখন আপনার পোস্ট টা চোখে পড়লো ঠিক তখনি আম্মু খেতে ডাক দিলো , তাই হাজিরা দিয়ে গেলাম আরকি!!
ভৌতিকতা সার্থক হয়েছে.......++++++ একগাদা নেন।!
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৩৭
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হাহাহ! ওহ!! আমি তো ভাবলাম আপনি ভয় পেয়ে পালিয়েছন!!
ভৌতিকতা সার্থক হয়েছে জেনে ভালো লাগল। অনেক গুলো ধন্যবাদ।
৪১| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ রাত ১:১৮
আর.হক বলেছেন: ধুর মিয়া........ এই গভীর রাতে এই গল্প পড়লে ভয় লাগবে আগে বলবেন না.... ? ধরেন.................... +++++++++++++++ লন।
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৩৮
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হাহাহ!!! ধন্যবাদ অনেক ধন্যবাদ। আপনি অচিরেই রুনির দেখা পান!!
৪২| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৫১
মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: নাইস গপ। নাটকের জন্য পারফেক্ট একটা গপ! ভালা লাগছে!
১- আপনেরা শিক্ষিত মানুষ, এই সব বিশ্বাস করেন না বাক্যটা গফুর মিয়া মুখে বেমানান লাগলো
২ - হাসান যখন দরজা খুলা দেখা পুকুর ঘাটে গেল তখন তার কাছে সিগারেট মেচেস থাকার কথা না, কারণ সে ঘুম থেকে উঠে গেছে। আর কেউ সিগারেট আর মেচেস নিয়া ঘুমায় না! হাসানের স্বপ্নদৃশ্যের এই জায়গাটা বেমানান লাগলো
৩ - রাতটা পূর্ণিমা'র ছিল, কারণ সে লাশটা পুকুরে ভাসতে দেখেছে। লাইটা ছাড়া তো রাতে লাশ দেখার কথা না। লাইট টা কোথা থেকে আসলো। তাছাড়া রাতে কুয়াশা ছিল। সো ভরা পূর্ণিমা'র দরকার! তাই পূর্ণিমা রাতের ব্যাপারটা উল্লেখ করলে ভাল হতো।
পয়েন্টগুলা ভালা না লাগলে ইগনোর করিয়েন প্লিজ! কারণ আমি গল্পকার নয়, আমি পাঠক
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ রাত ২:১৯
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মাসুম ভাই। আসুন আপনার পয়েন্ট গুলো নিয়ে কথা বলছি।
১) প্রথমত আমি চেয়েছিলাম, এই ক্ষেত্রে গ্রামের ভাষা ব্যবহার করতে। যেহেতু রাজশাহী অঞ্চলের ভাষা আমি সুন্দর করে পারি না, তাই সেটা লেখার ঝুঁকি নিই নাই। ফলে সাধারন কথাও কিছুটা বেখাপ্পা শুনিয়েছে।
আমার মনে হয়েছে, গ্রামের লোকরা জানে, একজন শহরের লোক সাধারনত ভূতপ্রেত বিশ্বাস করেন না। গল্পের নায়কের গাড়ি আছে, বন্ধুর বিয়ের জন্য মেয়ে দেখতে এসেছে, ভালো পোষাক পড়া ইত্যাদি শিক্ষিত মানুষেরই প্রতিরুপ। সেই হিসাবে ডায়লগটি বলা হয়েছে।
২) হ্যাঁ, এইভাবে যদি দেখি তাহলে এটা অবশ্যই বেমানান বর্ননা হয়েছে। তবে আমি এত ডিটেইলসে ইচ্ছে করেই যাইনি। ডিটেইলস এ গেলে অবশ্যই বর্ননা দেয়া থাকত। এই ক্ষেত্রে আপনাকে একটু কষ্ট করে পাঠক হিসেবে ডিটেইলসটা কল্পনা করে নিতে হবে। ধরে নিতে হবে নায়ক কোন কারনে সিগারেট আর লাইটার নিয়ে ঘুমিয়েছিল। আমি আমার দূর্বল বর্ননার কথা স্বীকার করে নিচ্ছি।
৩) না রাতটা পূর্নিমার রাত ছিল না। পুকুর ঘাটে একদম জলের কাছাকাছি বসলে একটা লাশের মত বড় জিনিস দেখা খুব কঠিন বলে মনে হয়নি। তাছাড়া ব্যাপারটা যেহেতু কিছুটা ভৌতিক, সেখানে অনেক কিছুই ঘটতে পারে যা স্বাভাবিক ভাবে হয়ত লজিকে খাটে না। যেমন এই ক্ষেত্রে আপনি আমাকে প্রশ্ন করতে পারতেন, হাসান কিভাবে ঘরের ভেতর এলো?
লাইটের যে ব্যাপারটি বলেছেন, আবছা আবছা দেখার জন্য দূরের লাইটের মিটমিটে আলোই আমার কাছে যথেষ্ট বলে মনে হওয়াতে আমি আর চাঁদের প্রসঙ্গ আনিনি।
না পয়েন্টগুলো ঠিকই আছে। সামনে যখন এই ধরনের কিছু লিখব তখন চেষ্টা করব ডিটেইলিং ব্যাপারটা আরো মাথায় রাখবে। যখনই কোন প্রশ্ন আসবে, সেটা কোন চিন্তা না করেই করবে। পাঠক হিসেবে আপনাদের কাছ থেকে আমি সমালোচনা, সাজেশন ইত্যাদি আশা করি। এতে আমার লেখার মান আশা করি আরো বৃদ্ধি পাবে।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা শুভরাত্রি!
৪৩| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ রাত ২:২৩
সি.এম.তানভীর-উল-ইসলাম বলেছেন: অনেক ভয় পেলাম
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ রাত ২:২৫
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। ভয় পাওয়াটাই উদ্দেশ্য!!
৪৪| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ রাত ২:৩৮
মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: পুরো গল্পটা পড়লাম । দারুণ তো গল্প লিখেন ।
২২ তম ভাল লাগা দিলাম ।
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:৩২
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মিলন ভাই।
৪৫| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ রাত ২:৪৪
আশিক মাসুম বলেছেন: এটা কি হল ভাই, ভাল মনে ব্লগে আসলাম আপনার পোস্ট দেখে ভাবলাম কমেন্ট করে ঘুমাতে যাব। হুর হুর হুর।
ভাল লেগেছে পড়তে। +++++
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:৩২
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হাহাহ!! হুর !!! হুর কোথায় পেলে হে!!!!!!!
৪৬| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:৫৯
আশিক মাসুম বলেছেন: এই হুর সেই হুর না ভাই, এটা হল হুর মিয়া হুদাই ডর দেখান কেলা এর হুর
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৩
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: বুঝেছি!
৪৭| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৪৬
সপ্নাতুর আহসান বলেছেন: শেষটা চমৎকার।
গল্পটার এক ধরণের সম্মোহনী ক্ষমতা রয়েছে। একটু বড় হলেও শেষ না করে উঠতে পারলাম না।
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৪
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: যাক, এই বড় হওয়া নিয়ে কিছুটা বিব্রত ছিলাম!
ভালো লেগেছে দেখে ভালো লাগল।
৪৮| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৫৯
ঢাকাবাসী বলেছেন: দারুন গল্প লেখেন তো আপনি!
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৪
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ
৪৯| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:০৯
আফসিন তৃষা বলেছেন: বাহ
একটু একটু ভয় ভয় আর ঘোর ঘোর গল্প। ভালো লেগেছে। তার চেয়েও বড় কথা আমার এখন চালের রুটির সাথে হাঁসের ভূনা মাংস খেতে ইচ্ছা করছে। আপনাকে মাইনাস দিয়ে দেয়া উচিৎ
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৫
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হাহাহ!!! আমার নিজেই লেখার সময় খেতে ইচ্ছে করছিল!! মাইনাস গ্রহন করলাম!
ভালো লেগেছে শুনে ভালো লাগল তৃষা। ভালো থাকবেন। অনেক শুভেচ্ছা রইল।
৫০| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:২৮
বৃতি বলেছেন: মেয়ে ভূতের গল্প পড়ে শান্তি আছে- ওরা শুধু ছেলেদের জ্বালায় সুন্দর গল্প- আপনার উপস্থাপনা চমৎকার!
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৪২
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হাহাহ! এটা সুইট ভুত!!!
পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ বৃতি। ভালো থাকবেন।
৫১| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:০২
সায়েম মুন বলেছেন: ভূতের ভয় পাইনা। তাই তেমন ভয় পাই নাই। তবে গল্প অনেক ভাল লেগেছে। গতিময় আর ঝরঝরে। আমার শেষ গল্পেও ভূত বিষয়ক কিছু বিষয় উঠে এসেছে। পড়ার নিমন্ত্রন রইলো। শুভকামনা।
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৩
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: সায়েম ভাই, আমি অবশ্যই পড়ব। আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা রইল।
৫২| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৬
চিরতার রস বলেছেন: ভাল্লাগছে। জানতাম লাস্টে আইসা একটা গুজামিল দিবেন
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৩৭
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হাহা! ধন্যবাদ তপু ভাই। আশা করি ভালো আছেন।
৫৩| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৬
আমিনুর রহমান বলেছেন:
অতটা ভৌতিক হয়নি গল্প তবে দুর্দান্ত হয়েছে। বর্ণনা দারুন হয়েছে এবং গোছানো আর গতি ছিলো।
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৩৯
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আবার ফিরে এসে পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। নাহ! আমি ইচ্ছে করেই খুব বেশি একটা ভৌতিক বর্ননা দিই নাই। আমি চেয়েছি একটা ভৌতিক অনুভূতি হোক!
ইনশাল্লাহ! সামনে আপনাদের ভয় দেখানোর জন্য কাজ করছি!!
৫৪| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:০২
এসএমফারুক৮৮ বলেছেন: দারুন লাগলো গল্পটা।
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৪০
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ফারুক ভাই!!!!!!
৫৫| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:০০
নির্ণায়ক বলেছেন: চমৎকার.।
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:০০
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ
৫৬| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:২৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: কাহিনীতে তেমন নতুনত্ব নেই, তবে পড়তে ভালো লাগলো।
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৩
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ হামা ভাই। কিছুটা ভিন্নতা আনার চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু হলো না।
৫৭| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৩
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: কাল গল্প নিয়ে তেমন কিছু বলি নাই ।
এবার বলি -- কাহিনী টা খুব সাবলীল ভাবে এগিয়ে গেছে, যা পড়তে ভালো লেগেছে। এজন্য প্লাস আগেই দিয়ে গিয়েছিলাম।
আমি নিজেই সারাক্ষণ ভূতের ভয়ে অস্থির থাকি। আমিনুর ভাইয়ের কমেন্ট রিপ্লাইয়ে লিখছ - ইনশাল্লাহ! সামনে আপনাদের ভয় দেখানোর জন্য কাজ করছি!!
আমার ইচ্ছা করতাছে তোমারেও একটা ভয় খাওয়াবার মতো করে গল্প লিখি ! সে গল্প লেখা হবে ঠিকই কিন্তু পোষ্ট করার মানুষ মনে হয় মরহুম হইয়া যাবে !
ভালো থেকো
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৬
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হাহ! প্লীজ লেখেন!! আমি পড়তে চাই!!! আমি আসলে এই সব ভূত টুত বিশ্বাস করি না। আমার যা আছে সবই ভুতরে নিয়া ফাইজলামি! ফলে মাথার গল্প লিখতে গিয়ে বার বার দুষ্টামী করার প্ল্যানই আসতেছিল!
আপনার লেখাটা ভালো হয়েছে অনেক আপু
৫৮| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৩
চানাচুর বলেছেন: ভালোই লাগলো
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২১
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ
৫৯| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৫৪
গৃহ বন্দিনী বলেছেন: বাহ! অবশেষে এটা ভুতের গল্প হয়ে সমাপ্ত হল ।
ঢাকা শহরে মানুষেরই জায়গা নাই আবার ভুত ! সো ভুতের ভয়ও নাই।
০৫ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:২২
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: মনে রাখার জন্য ধন্যবাদ। আমার ধারনা এই গল্পটার প্রতি আমি চরম অবহেলা করেছি! অনেক দিন আগে থেকে অর্ধেক লিখে রেখেছিলাম!
সেটাই, বাস্তব ভুতরাই বেশি ভয়ংকর!!!
৬০| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:২৫
না পারভীন বলেছেন: মারাত্মক ভয় পেয়েছি ,
০৫ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:২৩
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: বলেন কি আপু!
সামনের টা পড়লে তো বিপদে পড়ে যাবেন
৬১| ০৫ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:২৯
না পারভীন বলেছেন: শিরোনামে ভুতের গল্প থাকে না কেন শুনেই ভয় পাচ্ছি ।
০৫ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:১১
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হাহাহ! ভয় পায়েন না আপু!!!!!!!
৬২| ০৫ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:১২
মোহাম্মদ আলমগীর খান বলেছেন: গল্প পড়ে মেজাযটা চরম খারাপ হয়ে গেছে।
সাঙ্ঘাতিক ভয় লাগতেছে.....
রাইতবিরাইতে একা চলাফেরা করি ভূত ডরাই না কিন্তূ এই গল্পটা পইরা শরীরের পশম খাড়াইয়া গেছে
০৫ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:২২
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: কন কি! আলহামদুলিল্লাহ!!! খুব ভালো লাগলো। ভুতের গল্প পড়ে কেউ ভয় না পেলে কি আর ভালো লাগে??
হাহা! পড়ার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
৬৩| ০৫ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ২:৫৫
মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: ভালো লাগলো , ভয়ের কিছু ছিলো না তাই আরো ভালো লাগলো ।
০৫ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:২৪
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: এই ভাবে না পচাইলেও পারতা!
৬৪| ০৫ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৭
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: সুন্দর +++++++
তবে এমন স্টোরিলাইনের একটা গল্প ইমন জুবায়ের ভাইয়ের কোন এক গল্পেও পড়েছিলাম মনে হয়
ভালো থাকবেন
০৫ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৯
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: তাই নাকি!! গ্রেট! লিংক দিয়েন তো ! গুরুর লেখাটা পইড়া দেখব!
৬৫| ০৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:২৬
রহস্যময়ী কন্যা বলেছেন: এইটা তো অনেক আগেই পড়ে ফেলেছি
তারপরো প্লাসায়িত করলাম
০৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৪৯
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: না পড়েই মন্তব্য করলেন!
কারন আগে যেটা দিয়েছি আর এখন যেটা দিয়েছি তার মধ্যে আকাস জমিন তফাত! শুধু প্রথম অংশটা ঠিক আছে
৬৬| ০৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১:৫৩
স্বাধীন বিদ্রোহী বলেছেন:
ট্যাগে ভৌতিক লেখা দেখলাম কিন্তু ভয়ের মনে হয়নি।
তবে আপনার লেখার হাত চমৎকার। মনে হচ্ছে এই ব্লগটিতে এসে ভালই করেছি। ভাল কিছু পোস্ট পেয়ে মন ভরে গেলো।
এই অল্প কদিনে বেশ ভালো পোস্ট পেলাম। এখানে নিক খোলা সার্থক।
০৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ২:১৮
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনাকে আমার ব্লগে স্বাগতম। হ্যাঁ, ইচ্ছে থাকা স্বত্তেও খুব বেশি ভৌতিক করতে পারি নি। সত্যি বলতে কি, ভুত নিয়ে আমি চিরকার ফাইজালামী দুষ্টামী করে এসেছি। আমার আগের বেশ কিছু পোষ্ট আছে এমন, ফলে আমার পক্ষে নিখাদ ভূতের গল্প লিখাটা বেশ চ্যালেঞ্জিং
এখানে আশা করি আপনি ভালো ভালো অনেক লেখা পাবেন। হ্যাপি ব্লগিং। শুভেচ্ছা রইল
৬৭| ০৭ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৬
আমি ইহতিব বলেছেন: দেরী হয়ে গেলো গল্পটা পড়তে, ট্যাগ খেয়াল করিনি, তাই প্রথমদিকে সত্যি ঘটনা ভাবছিলাম। পরে বুঝলাম এটা গল্প ছিলো। মোটামুটি ভয় পেয়েছি। আর আপনার লেখাতো সব সময়ের মতো দূর্দান্ত।
০৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:০৮
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু! আপনি পড়েছেন জেনে ভালো লাগছে!
আশা করি ভালো আছেন।
৬৮| ০৮ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:৩২
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: ভূতের গল্প ভাল পাই, যদিও আমি ভয় পাই অনেক। ভাল লাগছে পড়ে।
০৮ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৮
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু চেষ্টা করেছিলাম ভুতের ভয়ের চাইতে যেন ভৌতিক অনুভূতি বেশি হয় সেটার চেষ্টা করতে।
৬৯| ০৯ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ৯:২৩
আমিই মিসিরআলি বলেছেন: অনেকদিন পর ভূতের গল্প পড়লাম,কিন্তু ভয়ের চেয়ে একটু মায়াই লাগলো বেশি
৩৫ তম প্লাস +++
০৯ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৩২
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। আমি আসলে সেটাই চেষ্টা করেছিলাম। তবে ভয়টা আরো বেশি হলে পাঠক হিসেবে আপনারা হয়ত পড়ে মজা পেতেন।
৭০| ০৯ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:২৫
নাছির84 বলেছেন: মায়া মেশানো ভয়..? সে যাই হোক শেষ লাইন পর্যন্ত তৃপ্ত। তাই ভাল লাগা।
১০ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:২৩
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ
৭১| ১০ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ২:১৬
আমি তুমি আমরা বলেছেন: গল্প হিসেবে চমৎকার। ভাল লাগল
১০ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ২:৫৫
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনি তো বেশ ভালো লিখেন। আপনার গল্পটা পড়েছি।
৭২| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৪
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ভৌতিক গল্প হিসেবে চমৎকার! ভাল লেগেছে বেশ।
১২ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৩৭
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ
৭৩| ০১ লা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:২৮
শীলা শিপা বলেছেন: ভয় না পেলেও ভৌতিক গল্প ভালই লেগেছে।
০১ লা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৪১
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ
৭৪| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:০৮
এরিস বলেছেন: ভুতের গল্প!! কাল্পনিক ভাই,আপনাকে মাইনাস। ভাগ্য ভাল সকাল বেলায় পড়েছিলাম। অস্বাভাবিক মৃত্যুর কথা, কবরের বাতি, রাত বিরেতে গান কিংবা মৃদু কান্নার শব্দ, কুকুরের ডাক, প্রচণ্ড ভয় পাই। রাতের বেলায় পড়লে ঘুমাতে পারতাম না।
মোটামুটি এই রকমই একটা নাটক দেখেছিলাম অনেক আগে। সেখানে মেয়েটাও পানিতে ডুবে মরে যায়। তবে সেখানকার মেহমানেরা ছিলেন পিকনিক পার্টির লোকজন।
সহজ সাবলীল বর্ণনা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত টেনে নিয়ে গেছে।
আমি খাটের নিচে তাকালাম। মনে হলো সেখানে কে যেন ভেজা কাপড় চিপে পানি ফেলেছে। আমি তাড়াতাড়ি কম্বল সরিয়ে দেখি আমার প্যান্ট হাটুর নিচ থেকে ভিজে চপচপ করছে। এই জায়গায় মোটামুটি ভাল রকমের একটা ধাক্কা খেয়েছি। আমি ভেবেছিলাম পুরোটাই স্বপ্ন হবে। সবচেয়ে বেশি ভাল লেগেছে রুনুর সাথেকথোপকথনের জায়গাটি। মায়াময়।
এই ভরদুপুরেও আমার মেরুদন্ড বেয়ে ভয়ের একটা স্রোত বয়ে গেল। এই কথাটি দুটি প্যারায় দু'বার লিখেছেন। একবার হলে মনে হয় একটু বেশি ভাল হতো।
ভাল লাগা জানিয়ে গেলাম। প্লাস।
০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৪
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ এরিস। ভূতের গল্প লেখার একটা পরীক্ষমূলক প্রচেষ্টা চালালাম। নিজের হিসেবে খুব একটা ভয়ের হয় নি। অনেকেই ভুতের প্রতি ভয় অনুভব করার জায়গায় মায়া অনুভব করেছেন। হাহাহ
হ্যাঁ ঠিকই বলেছেন, আমি কারেকশন করে নিচ্ছি। পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
৭৫| ২০ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:০৬
ট্রাক বলেছেন: পুরনো থিম।
তবে রুনি যখন বলল, আমাকে দিয়ে আর কত? তখন আমি ভাবছিলাম গল্পের শেষটা অন্যরকম হবে।
ভাবছিলাম হয়তো গফুর মাছেদের ঠিকমত খাবার দেয় না বলে রুনি এভাবে মানুষ ধরে নিয়ে মাছেদের খাওয়ায়।
আর আমার কাছে মনে হয় আপনি গল্পে বর্ণনা বেশি দেন। তিন চার লাইনের কথা এক লাইনেই সেরে ফেলা যায়। আমি বর্ণনা পড়তে পছন্দ করি না বলেই হয়তো এমন মনে হয়।
২১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৩৬
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আসলে গল্পের বর্ননা তো থাকবেই। কিন্তু সমস্যা হলো ব্লগ-গল্প লিখার ক্ষেত্রে হয়ত ব্যাপারতা কিছু বেশি চোখে লাগে। সেই সাথে যোগ হয়েছে লেখক হিসেবে আমার লেখার দূর্বলতার বিষয়টি।
একটা গল্প যখন লেখা হয় তার অনেক গুলো সম্ভাব্য দিক থাকে। তার সব গুলো হয়ত গল্পে আনা সম্ভব হয় না। একটা পরিপূর্ন ভূতের গল্পে যে ধরনের বিষয়গুলো আনা দরকার তা নিঃসন্দেহে এই গল্পে নেই। এটা আসলে কিছুট ভৌতিক পরিবেশ বা ভৌতিক অনুভূতি সৃষ্টির প্রেক্ষিতে লেখা। তাই পাঠক হিসেবে পাঠকদের নানা রকম সম্ভবনার কথা মাথায় আসবে এটাই স্বাভাবিক। যেমন আমার পরের গল্পে, সবাই যে এন্ডিং ভেবেছে গল্পে সে রকম এন্ডিং দেখা যায় নি। এমনটাই হয়।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতম।
৭৬| ২১ শে আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:১২
শান্তির দেবদূত বলেছেন: আমার কাছে চমৎকার লেগেছে। কয়েকজন দেখলাম বলল, গল্পের থিমটা কমন, আমার কাছে কিন্তু আনকমনই লেগেছে। কি জানি, আমি জীবনে ২/৩টার বেশি ভুতের গল্প পড়িনি, আসলে সেই কারনে দুনিয়ার সব ভৌতিক গল্পই আমার কাছে আনকমন লাগবে। সো, গল্পের থিম নিয়ে কথা না বলে অন্য কিছু নিয়ে কথা বলি;
প্রথম প্যারা পড়ার সময় মনে হচ্ছিল হয়ত রোমান্টিক কোন গল্প হতে যাচ্ছে, কিন্তু শেষে এসে এমনভাবে যে এটা ভৌতিকগল্পে টার্ন নিবে কল্পনাতেও ভাবিনি। সত্যি বলতে, গল্পের মাঝ পর্যন্ত ভাবছিলাম হয়ত এটা কোন রহস্যউদ্ঘাটন গল্প হতে পারে।
যাই হোক, ভৌতিক গল্প হিসাবে ভাল হয়েছে, পারিপার্সিকতা চমৎকার সাবলিল ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। তবে শীতের রাত, পুকুরপাড় কিন্তু জোনাকির কোন উল্লেখ ছিল না, তারপর গ্রামের বাড়ি শিয়ালের ডাকও থাকতে পারত, দুএকটা বাদুরও উড়ে যেতে পারত।
সব মিলিয়ে ভাল গল্প। শুভেচ্ছা।
২১ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৪৩
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া। সত্যি বলতে এই গল্পটা আমি অনেক দিন থেকে শুরু করে শেষ করতে পারছিলাম না। তাই এক দিন জোর করেই ধরে শেষ করার চেষ্টা করছিলাম। ফলে শেষের দিকে বেশ তাড়াহুড়ার ছাপ আছে। কিছু আবশ্যক বর্ননা এখানে মিস হয়েছে। অবশ্যই ভালো করার আরো সুযোগ ছিল। কিন্তু করতে পারি নি।
আপনার যদি হাতে সময় থাকে, তাহলে আমার অন্য কয়েকটি গল্প পড়ে যদি মতামত দিতেন, সত্যি অনেক খুশি হতামঃ
গল্পঃ পুতুল খেলা ও একজন ভার্চুয়াল স্রষ্টা।
গল্পঃ বাদামী রং এর ডায়রী
গল্পঃ আজ তুমি কোথাও যাবে না।
ভালো থাকবেন ভাইয়া। শুভেচ্ছা রইল।
৭৭| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৩৮
আহমাদ জাদীদ বলেছেন: ভালো লাগল ।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪২
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ
৭৮| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৫০
ভোরের বাতাস বলেছেন: ভালো লিখেছেন। বাস্তব কাহিনীর মতোই মনে হলো আমার কাছে।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪৩
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
৭৯| ২৫ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ২:২৮
দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: ২০১৩ তে গিয়ে আপনার ভূতের গল্পটি পড়ে এলাম , বাস্তবতার চেয়ে ভূতের গল্পই ভাল ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:১৫
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: দাড়ান......... পড়ি।