নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বহুদিন আগে কোন এক বারান্দায় শেষ বিকেলের আলোয় আলোকিত উড়ন্ত খোলা চুলের এক তীক্ষ্ণ হৃদয়হরনকারী দৃষ্টি সম্পন্ন তরুনীকে দেখে ভেবেছিলাম, আমি যাদুকর হব। মানুষ বশীকরণের যাদু শিখে, তাকে বশ করে নিশ্চিন্তে কাটিয়ে দিব সারাটি জীবন।

কাল্পনিক_ভালোবাসা

একদিন সব হাসির ময়নাতদন্ত হবে, ফরেনসিক রিপোর্টে লেখা থাকবে - সবই মিথ্যে।

কাল্পনিক_ভালোবাসা › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃ যাত্রা বনী

১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৫১





সকাল থেকেই আকাশটা কেমন যেন মুখ ভার করে রেখেছে। দেখে মনে

হবে কোন এক ষোড়শী তরুনীর অভিমানী মুখ, এই বুঝি কেঁদে ফেলবে। থেমে থেমে মেঘের গর্জনও শোনা যাচ্ছে কিন্তু বৃষ্টির তেমন কোন লক্ষন দেখা যাচ্ছে না। চারিদিকে একটা অদ্ভুত বিষন্নতা। সকালের প্রথম কাস্টমারকে বিদায় করে শফিক যখন হিসাবটা খাতায় লিখছিল তখনই গুঁড়ি গুঁড়ি করে বৃষ্টি পড়া শুরু হল। দেখতে দেখতে অল্প কিছুক্ষনের মধ্যেই তা ভারী বৃষ্টিতে পরিনত হল। শফিক হতাশ চোখে একবার আকাশের দিকে আর একবার দোকানের সামনে জমতে থাকা জলের দিকে তাকাল। একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে মনে মনে ভাবল, নাহ! এই রকম বৃষ্টি হতে থাকলে ব্যবসা বানিজ্য সব লাটে উঠবে।



মাইজদী, নোয়াখালীর জেলা সদর। আর দশটা পাঁচটা মফস্বল শহর যেমন হয়, এটাও তেমন ব্যতিক্রম ছিল না। শহরের বুক চিরে একটাই প্রধান সড়ক, তার দুই পাশে দোকানপাট আর একটু পর পর বড় বড় গাছ। মাঝে মাঝে দুই একটা বাস হর্ন দিতে দিতে চলে যায়। তবে বিগত কয়েক বছর ধরে এখানে বেশ পরিবর্তনের হাওয়া লেগেছে। বড় বড় বিল্ডিং হচ্ছে, মার্কেট হচ্ছে, কল কারখানা এমনকি আবাসিক হাউজিংও হচ্ছে। বেড়েছে মানুষও। আর সেই সাথে পাল্লা দিয়ে কাটা হচ্ছে গাছ। আর ইদানিং এই ছোট্ট শহরে ট্রাফিক জ্যাম লাগে। এখানে রাজনৈতিক দলের কর্মীদের সাথে পুলিশের ধাওয়া পালটা ধাওয়া হয়। ভাংচুর জ্বালাও পোড়াও! এমনকি হরতাল পর্যন্ত হয়। ফলে এখন আর কেন যেন মাইজদীকে মফস্বল শহর বলে মনে হয় না। মনে হয় ঢাকা শহরের কোন এক বর্ধিত অংশ। শফিক আগের সেই ছিমছাম শহরটার অভাব বেশ অনুভব করে।



শহরের যে রাস্তাটা সোনাপুরের দিকে চলে গিয়েছে সেই রাস্তা ধরে বেশ কিছুদূর এগুলেই যে রেলস্টেশনটা পড়ে তার নাম হরিনারায়ণপুর। স্টেশনকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে একটা ছোট বাজার। বাজারের একদম শেষ প্রান্তে প্রধান সড়ক থেকে খানিকটা দূরে ছোট ছোট কয়েকটা দোকান। তার মধ্যে একটা শফিকের মোবাইলের দোকান। মোবাইল টু মোবাইল কথা বলা, ফ্লেক্সিলোড ইত্যাদি এখান থেকে করা যায়। তবে ইদানিং মানুষের হাতে মোবাইল সহজলভ্য হয়ে যাওয়াতে ব্যবসা ঠিক আর আগের মত নেই। নতুন কিছু করতে না পারলে সামনে টিকে থাকাটা মুসকিল হয়ে যাবে। তার উপর গত কয়েকদিন ধরে এই রকম বৃষ্টিতে তো ব্যবসা প্রায় বন্ধ হবার পথে।



দেয়াল ঘড়ির দিকে তাকাল শফিক। প্রায় দুইটা বাজে। রাস্তা ঘাট একদম ফাঁকা। ইতিমধ্যে আকাশ আরো অন্ধকার হয়ে আসার ফলে যে দু চারজন ছিল তারাও সব যে যার মত চলে যাওয়ার জন্য ব্যস্ত। বড় রাস্তার পাশে যে দোকানগুলো আছে তার কয়েকটায় বাতি জ্বলে উঠল। শফিকও ভাবল একবার উঠে বাতি জ্বলাবে, কিন্তু কেন যেন তার এই অন্ধকার অন্ধকার পরিবেশটাই অনেক ভালো লাগছে। এক কাপ চা খেতে পারলে খুব ভালো লাগত কিন্তু বাইরে রীতিমত ঝড় হচ্ছে, এর মাঝে চা খেতে যাওয়া সম্ভব না। প্রচন্ড শব্দে কাছেই কোথায় যেন বাজ পড়ল। কিছুটা চমকে উঠল শফিক। হঠাৎ তামান্নার কথা মনে পড়ল, আল্লাহই জানে বউটা বাড়িতে একা একা কি করছে। ঠিক করল, বৃষ্টিটা একটু কমলেই দোকান বন্ধ করে ও বাড়িতে ফিরে যাবে।



মিয়া ভাই, আছেন নাকি?

শফিক মুখ তুলে তাকাল। দেখল মাঝ বয়সী একটা লোক দাঁড়িয়ে আছে। লোকটার মুখে বসন্তের দাগ আর হাল্কা খোঁচা খোঁচা দাঁড়ি। চোখে সুরমা দেয়া। বেশ আয়েস করে পান চিবাচ্ছে। পরনে সাদা লুঙ্গি আর আকাশি রঙের পাঞ্জাবী, মাথায় একটা পুরানো টুপি। গা থেকে প্রচন্ড আতরের গন্ধ আসছে। মোটামুটি ভিজে গিয়েছে লোকটা। মাথার চুল বেয়ে পানি পড়ছে। মনে মনে ভাবল, এই দুর্যোগের মাঝে এই লোক আবার কি কিনতে এলো?



জী, ভাই আছি। বলেন কি লাগবে ? কিছুটা আগ্রহী হয়ে শফিক জিজ্ঞেস করল।

কিছু না মিয়া ভাই। আফনার সাথে পরিচয় হইতে আসলাম। পাশের দোকানটা আমি ভাড়া নিসি। গত পরশু দিন চালু করছিলাম। আফনারে দাওয়াত দিতে আসছিলাম। কিন্তু সেদিন আফনে দোকানে আসেন নাই।



গত পরশু দিন তামান্নার শরীরটা খারাপ করায় শফিক সেদিন আর দোকানে আসে নাই। মাইজদীতে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গিয়েছিল। সামনের লোকটা ক্রেতা নয় ভেবে কিছুটা হতাশ হলো। তবে চেহারায় সেটা ফুটিয়ে না তুলে হাসি মুখে বলল, খুব ভালো হইছে, চলে আসছেন পরিচয় হইতে। তবে আপনারে তো এই দিকে আগে দেখি নাই। বাড়ি কোথায় আপনার?



আমার বাড়ি রেল লাইনের ঐ পাড়ে। বিজয়নগর গ্রামে। আমরা তিন পুরুষ ধইরা গোরখোদক।

গোরখাদক?

জী, মানে মানুষ মারা গেলে কবর খুঁড়ি। আমার বাপ দাদারা এই কাজ করছে। গোরখোদক হিসেবে মাশাল্লাহ আমাদের পারিবারিক নাম ডাক আছে। আমার দাদার নাম মজু মিয়া। তারে এক নামে গ্রামের সকলেই চিনত। অনেক বড় বড় লোকের কবর নাকি তিনি খুড়ছিলেন। আমার বাপের নাম নুরু মিয়া। তারেও অনেক মানুষ চিনে। বছর দুই আগে কবর খুড়তে গিয়া একবার বুকে ব্যথা পাইছিল। সেই ব্যথায়ই উনি গত শীতে মারা গেসেন। আমি নিজেই তার কবর খুড়ছিলাম। আমি খুব সুন্দর কইরা কবর বানাইতে পারি। এই কাম সবাই পারে না। ঠিক করেছি মৃত্যুর আগে নিজেই নিজের কবর খুইড়া যাব।



শফিক কিছুটা থতমত খেয়ে জিজ্ঞেস করল, ওহ! আইচ্ছা! তা এখানে হঠাৎ দোকান দিলেন যে? আর কিসের দোকান দিসেন?



আসলে বউ পোলাপাইন কেউ চায় না আমি ঐ কামটা আমি আর করি। সারাদিন মানুষের মরনের কথা ভাবতে হয়। মানুষ না মরলে কোন টেকাপয়সা নাই। আর সত্যি কইতে ইদানিং আমার আর কেন যেন কবর খুড়তে ভালা লাগে না। কিন্তু বাপ দাদাদের ব্যবসা বইলা কথা, কিচ্ছু করার নাই। তাই অনেক ভাইবা চিন্তা এখানে দোকান নিলাম। মূর্দার সকল প্রয়োজনীয় জিনিস যেমন কাফনের কাপড়, চা পাতা, কফিন ইত্যাদি সবই পাওয়া যাইবো। তাছাড়া এই ব্যাপার সাথে আগের ব্যবসার মিলও আছে। ভালা করছি না?



শফিক কি বলবে ঠিক খুঁজে পেল না। শুধু হু হু বলে মাথা নাড়িয়ে বাইরের দিকে তাকাল। বৃষ্টি অনেকটাই ধরে এসেছে। আকাশ এখন আগের তুলনায় অনেকটাই পরিষ্কার।



তা মিয়া ভাই এর নামটাই তো জানলাম না?

আমার নাম শফিক, শফিক আহমেদ।

আমার নাম মোঃ মনু মিয়া। এই বলে মনু মিয়া একটা কার্ড বাড়িয়ে দেয় শফিকের দিকে। নেন আমার কার্ড নেন। নতুন বানাইছি। এই কার্ড আনতেই মাইজদী গেসিলাম আর আসার সময় ভিইজা গেসি। প্রথম কার্ডটা আপনারেই দিলাম। দেইখা বলেন কার্ড কেমন হইছে?



শফিক কার্ডটা নিয়ে তাকাল। সেখানে লেখা,



মোঃ মনু মিয়া

প্রোপাইটর

মায়ের দোয়া শেষ বিদায় স্টোর।

হরিনায়ন স্টেশন বাজার।

নোয়াখালী।



এখানে মূর্দার সকল প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র অত্যন্ত সূলভ মুল্যে পাওয়া যায়। অভিজ্ঞ লোক দ্বারা কবর খোঁড়ানো হয়।

নিচে ফোন নাম্বার দেয়া।



কার্ডটা পকেটে রাখতে রাখতে শফিক জিজ্ঞেস করে, কার্ড ভালো হইছে। তবে দোকানের নাম মায়ের দোয়া দিলেন কেন?

সমস্যা কি? যে মা আমাদের জন্ম দিসে পৃথিবীতে আনছে, সেই মায়ের দোয়া নিয়াই পৃথিবী থেইকা যাইব। বুঝলেন না? একটা মিল থাকা দরকার তো!!



কবর কি এখনও আপনি খুড়েন নাকি?

নাহ! আমি আর খুড়ি না। কয়েকজন লোক রাখছি, তাদের দিয়া কবর খোড়ার কাম করাই। তয় শালাদের কাম কিচ্ছু হয় না। শুধু মাত্র বাপ দাদা গো নাম আছে দেইখা পার পাইয়া যাই।



শফিক আর কিছু বলার মত খুঁজে পেল না। কেন যেন লোকটাকে তার আর ভালো লাগছে না। এই রকম একটা লোকের সাথে পাশাপাশি দোকানে বসে ব্যবসা করতে হবে, ভাবতেই কেমন যেন লাগছে।



তয় ভাই, দুই দিন হইল দোকানটা খুল্লাম কিন্তু কোন বেচা বিক্রি নাই। এখন পর্যন্ত বনী কইত্তে পাইল্লাম না। আল্লাহ দুনিয়ায় এত মানুষ প্রতিদিন জন্মায়, সেই তুলনায় মরে কত কম। আরে মানুষ না মরলে নতুন মানুষের জায়গা কই হইব? আল্লাহপাকের এই হিসাবটা বুঝি না। সবার হায়াৎ কি বাইড়া গেছে নাকি? আমার তো প্রতিদিন দুইটা কাষ্টমার হলেই চলে, কিন্তু তাও তো পাইলাম না। মনু মিয়ার গলায় কিঞ্চিত অভিমান টের পেল শফিক। এমনে হইলে ব্যবসা বানিজ্য কেমনে হইব কন তো শফিক ভাই? সামনে বিবির বাচ্চা হইব, কিছু টাকা পয়সা না হইলে তো বিপদে পইড়া যাব।



শফিক চমকে উঠল। হঠাৎ নিজের স্ত্রীর কথা মনে পড়ল। কিছুক্ষন আগে সেও তো চিন্তিত ছিল। ব্যবসার অবস্থা তো বেশি ভালো না। সামনে টাকা পয়সা তারও দরকার। মনু মিয়া আর নিজের মধ্যে খুব একটা পার্থক্য খুঁজে পেল না। ব্যবসা তো ব্যবসাই। ও চায় কিছু জীবিত মানুষের খোঁজ, যারা মোবাইলে বেশি কথা বলবে, একে অপরের সুখ দুঃখের খোঁজ নিবে, দিন শেষে বেশি ফ্লেক্সি করবে আর মনু মিয়া চায় কিছু মৃত মানুষের খোঁজ, যাদের আর এই পৃথিবীতে কোন কাজে লাগবে না, তাদের কোন খোঁজ খবর কোন কিছুই জানার প্রয়োজন নেই।



মিয়া ভাই কি ভাবেন?

না কিছু না, কিছুটা ইতস্তত করে বলে উঠল শফিক।

আমি ভাবতাছি আসলে এই যে ব্যবসা পরিবর্তন করলাম। লাভ তো হইল না। ঘুইরা ফিরা তো সবই তো এক।

মানে?

মানে হইল গিয়া যখন কবর খুড়তাম তখনও ভাবতাম, মানুষ মরে না ক্যান, আর দোকান নিয়াও ভাবি, মানুষ মরে না কেন? খালি মরন আর মরন। প্রতি মূর্দায় ভালো টাকা ইনকাম হয় হয়। মানুষ না মরলে তো আমার ইনকাম নাই। তাই অন্যের মরনের চিন্তা বাদ দিতে পারি না।



শফিক মনু মিয়ার দিকে তাকিয়ে কিছুটা হাসার চেষ্টা করল। কিন্তু হাসি আসল না। কেন যেন তার প্রচন্ড পানির পিপাসা পাচ্ছে। পানির বোতল বের করে ও পানি খেল। মনু মিয়া তার পাঞ্জাবীর পকেট থেকে পানের বাক্স বের করেছে। সুন্দর ভাবে একটা পান বের করে মুখে দিল। ইশারায় জিজ্ঞেস করল, খাবে কি না? ডানে বামে মাথা নাড়িয়ে শফিক বুঝাল ও পান খাবে না।



মনু মিয়া থেকে দৃষ্টি সরিয়ে দেয়াল ঘড়ির দিকে তাকাল সে। চারটা বাজে। বৃষ্টি প্রায় থেমে গিয়েছে। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে এখন। রাস্তায় মানুষজন বের হচ্ছে। চা খেতে ইচ্ছে করছে। মনু মিয়াকে দোকানে বসিয়ে রেখে ও টিপ টিপ বৃষ্টির মধ্যে হোটেলে চা আনতে গেল। চা এনে দেখল মনু মিয়া আরেকটা পান মুখে ঢুকাচ্ছে। শফিক বলল, মুখে পান দিয়ে দিলেন? এখন চা না খেলে তো ঠান্ডা হয়ে যাবে।

সমস্যা নাই মিয়া ভাই, আমি তিনটাই একসাথে খাইতে পারি।

তিনটা? কোন টিনটা?

চা, পান আর সিগারেট। কবর খুড়ার সময় বেশি ক্লান্তি লাগলে আমি মুখের এক পাশে পান লুকিয়ে রেখে চা খেতাম, মাঝে মইধ্যে সিগারেটও টান দিতাম।

এখন কি করবেন? তিনটাই এক সাথে খাবেন?

হে হে হে। না এখন সিগারেট খাবো না। শুধু চা আর পান খাব।



শফিক অবাক হয়ে মনু মিয়ার পান আর চা খাওয়ার দৃশ্য দেখতে লাগল। হঠাৎ বাইরে কিছুটা শোরগোল শুনতে পেল শফিক। বাইরে এসে দেখল, পুলিশের গাড়ি। ঘটনা কি তা জানার জন্য মনু মিয়াকে আবারো দোকানে বসিয়ে ও পুলিশের গাড়ির কাছে গেল। পুলিশের গাড়ী দেখে অল্প সময়ের মধ্যেই ভীড় জমে গেল। হইচই হট্টগোলের মধ্যে জানা গেল, বড় রাস্তার পাশে যে মজিদ স্টোর আছে তার মালিক মজিদ মিয়ার ছেলে আর বউ ঝড়ের মধ্যে গাছ চাপা পড়ে মারা গিয়েছে। মজিদ ভাই মাত্র সংবাদটা মাত্রই জানতে পারলেন। বেচারা হাউ মাউ করে কাঁদছে।



শফিকের খুব মন খারাপ হলো। দোকানে আসতে আসতে সিদ্ধান্ত নিল আজকে দোকান এখনই বন্ধ করে দিবে। ছেলেটাকে চিনত সে। তার দোকানে প্রায় আসত। মোবাইলে ফ্লেক্সি করত। মাস দুই হলো বিয়ে হয়েছিল। এই সেদিনও এসে বউ এর জন্য একটা মোবাইল সেট দেখে গিয়েছিল। কথা ছিল আগামী মাসে সেটটা কিনবে। একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলল শফিক। দোকানে এসে দেখল দোকান খালি। মনু মিয়া চলে গিয়েছে, ফ্যান চলছে। মনু মিয়ার চাইতে নিজের উপর বিরক্ত হলো শফিক এইভাবে দোকান খোলা রেখে চলে যাওয়ার কারনে।



এই সব ভাবতে ভাবতে শফিক যখন দোকানের সার্টার যখন নামাচ্ছিল তখনই দেখল, মনু মিয়া দৌড়ে তার দোকানের দিকে আসছে। এসেই প্রায় জড়িয়ে ধরল শফিককে। চোখে মুখে একটা চাপা আনন্দের ছটা। কিছুটা বিরক্ত হয়ে শফিক নিজেকে ছাড়িয়ে নিল। জিজ্ঞেস করল কি হয়েছে? এমন করতেছেন কেন?

মনু মিয়া মুখটা শফিকের কানের কাছে এনে অনেকটা ফিস ফিস করে বলল, মিয়া ভাই, আল্লাহ পাকের অশেষ রহমত। এইমাত্র দোকানের যাত্রা বনী কইরা আসলাম। মজিদ মিয়ার পোলা আর তার বউ মারা গেসে। তাদের দাফনের সব কাজ আমিই করতেছি। মজিদ সাব আগেই সব টাকা দিয়া দিসে। তবে ছোট ভাই এর একটা আবদার রাখতে হবে আপনার। সেই কারনেই কাজ ফালাইয়া আপনার কাছে আবার ছুইটা আসছি। আগামী দিন দুপুরে আপনার দাওয়াত। আমার সাথে চাইটা ভালো মন্দ খাবেন। আফনার দোকানে বইসাই আমার যাত্রা বনী হইছে। তাই আফনারে না খাওয়ানো পর্যন্ত আমার শান্তি নাই।



শফিক চমকে উঠল মনু মিয়ার কথা শুনে। তাকিয়ে দেখল দিন শেষে একজন সফল ব্যবসায়ী হবার আনন্দ মনু মিয়ার চোখে মুখে ভেসে উঠছে। আজ থেকে অনেক দিন আগে শফিকেরও এমন আনন্দ হয়েছিল, যাত্রা বনীর আনন্দই আলাদা।

মন্তব্য ১৩১ টি রেটিং +৩৩/-০

মন্তব্য (১৩১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০০

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
জোসস।
আমি একটু ডিফারেন্ট এন্ডিং এক্সপেক্ট করতেসিলাম, তবে সেটা না হওয়ায় খুশিই লাগতেসে ||

১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। আপনাকে খুশি করতে পেরে খুশি হলাম। :)

২| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০২

আফসিন তৃষা বলেছেন: চেনা শহরের অচেনা একটা গল্প পড়লাম :)
ভালো লেগেছে যাত্রা বনী :)

১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৫

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ তৃষা! :) হুমম জানি আপনার চেনা শহর! :)

৩| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৪

শায়মা বলেছেন: + দিলাম ভাইয়া


তুমি তো একদম গল্পকার হয়ে উঠেছো.....

১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৬

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: প্লাসের জন্য অনেক ধন্যবাদ শায়মা আপু! তোমার ভালো লেগেছে শুনে আনন্দিত হইলাম। :)

৪| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৭

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
আরেকটা ব্যাপার আগের কমেন্ট এ অ্যাড করতে ভুলে গেসি-
শব্দটা গোরখাদক নাকি গোরখোদক ?

১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৯

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আমি যতদূর জানি শব্দটা গোরখোদক। তবে আমি গোরখাদকই লিখেছি কারন আমি মনে মনে ভাবছিল, লোকটি সঠিক উচ্চারন করতে পারবে না। ঐ শ্রেনীর লোকরা কিছুটা বিকৃতি করেই বলবে। :)

আবারও ধন্যবাদ প্রিয় মুন।

৫| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৭

তাসনুভা সাখাওয়াত বীথি বলেছেন:
শফিক চমকে উঠল মনু মিয়ার কথা শুনে। তাকিয়ে দেখল দিন শেষে একজন সফল ব্যবসায়ী হবার আনন্দ মনু মিয়ার চোখে মুখে ভেসে উঠছে। আজ থেকে অনেক দিন আগে শফিকেরও এমন আনন্দ হয়েছিল, যাত্রা বনীর আনন্দই আলাদা ..

৪ নং ভাল লাগা ।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ বিথি!! :) শুভেচ্ছা রইল।

৬| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৪

এহসান সাবির বলেছেন: বেশ লাগলো ভাই। ভালো লাগা রইলো। শুভেচ্ছা।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সাবির। :) আপনাকেও অনেক শুভেচ্ছা জানাই।

৭| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৬

বোকামন বলেছেন:




দারুণ একটা গল্প শেষ করে যদি দেখতে পাই লেখক নিজেই ট্যাগ করেছেন- ‘ফালতু গল্প’ হিসেবে তবে পাঠক হিসেবে আহত হতে হয় ! টাইমপাস, আজাইরা ঠিক আছে। অসাধারণ কিছু গল্পের এভাবেই সৃষ্টি হয়েছে হয়তো। তবে ফালতু শব্দটি মেনে নিতে পারলুম না। আশাকরি লেখক শব্দটি প্রত্যাহার করে নিবেন।

আরে মানুষ না মরলে নতুন মানুষের জায়গা কই হইব?

আমাদের খুঁজে পাওয়া উত্তরটা কেবলই একটি দীর্ঘশ্বাস .....।

ভালো থাকুন সবসময়।
“+”

১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:১৬

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয় বোকামন ভাই। সামুতে লগইন করতে খুব সমস্যা হচ্ছিল। তাই কিছুটা দেরীতে জবাব দিতে হল। আসলে গল্প লেখা খুব কঠিন একটা কাজ, সেই চেষ্টায় নিজেকে সফল মনে করার দাবি এখনও স্বচ্ছন্দে করতে পারি না। কিন্তু আপনার মন্তব্যটি পড়ে অনেক ভালো লাগায় আচ্ছন্ন হলাম, অনেক অনুপ্রেরনা পাচ্ছি। আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগল।

আপনার কথা মত ট্যাগ সংশোধন করেছি। অনেক ভালো থাকবেন। :) শুভেচ্ছা রইল।

৮| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৬

নিরপেক্ষ মানুষ বলেছেন: আমি আরও ভাবছিলাম শেষে শফিকের মেয়ে মারা যাবে।কিন্তু তা হলো না।অবশ্য এখানেই গল্পকারে কেরামতি।পাঠকের ধারণার বাইরে গিয়ে এন্ডিং করা...

১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:১৮

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, শুভেচ্ছা রইল :)

৯| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪১

শীলা শিপা বলেছেন: কারও পৌষ মাস আর কারও সর্বনাশ। ভাল লাগা রইল।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:১৯

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: যাক মানুষের পৌষ মাস আর সর্বনাশ দেখে কারো ভালো লাগছে। ;) ;) ;)

হাহ! মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। :)

১০| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৪

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: সম্ভবত এটাই জীবন! জীবিকার প্রয়োজনে মৃত্যু কামনা ও করা লাগে!

১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:২০

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ অভি। :)

১১| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: বোকামনের সাথে একমত। গল্পটা কিন্তু ভাল হয়েছে।

যাত্রা বনী নামটা দেখে অদ্ভুত লাগছিল, কিন্তু গল্পে ঢুকে বুঝলাম আসলে যাত্রা বউনির কথা বলা হয়েছে।

গল্পের আবহ এবং বর্ণনার ভঙ্গি চমৎকার ছিল। সপ্তম প্লাস।

শুভ কামনা রইল।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:২২

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আমি ট্যাগটা ঠিক করে দিয়েছি। :) আসলে আঞ্চলিক ক্ষেত্রে অনেক সময় বউনিকে শর্ট করে বনি বা বনী বলে। প্লাসের জন্য অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার। ভালো থাকুন। :)

১২| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৫

আদনান শাহ্‌িরয়ার বলেছেন: শেষে এসে কি যেনও একটা অতৃপ্তি থাকলো । যাই হোক অষ্টম ভালো লাগা । শুভেচ্ছা জানবেন !

১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:২৩

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: প্লাসের জন্য ধন্যবাদ। সামনে চেষ্টা করব যেন পূর্ন তৃপ্তি পান তেমন কিছু উপহার দিতে। :) আপনার প্রতিও শুভেচ্ছা রইল। :)

১৩| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪২

ঢাকাবাসী বলেছেন: বর্ণনা পরিবেশের সৃস্টি সব মিলিয়ে চমৎকার লাগল। শেষটা নিয়ে একটু আতঙ্কে ছিলুম, ভাল হয়েছে।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:২৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ :) শুভেচ্ছা রইল।

১৪| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:০৩

আমিভূত বলেছেন: একেবারেই ভিন্ন স্বাদের গল্প ,এবং আপনার বিগত লেখা থেকে স্বতন্ত্র । যদিও প্রত্যাশা ছিল ভালোবাসার গল্পের কিন্তু প্রাপ্তি প্রত্যাশার চাইতে বেশী :)

শুভ কামনা ।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:২৫

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: এমন মন্তব্য খুশি না হয়ে পারা যায় না। :) অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা।

১৫| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:২৬

মামুন রশিদ বলেছেন: গোরখোদকের যাত্রা বনি'র আনন্দ !!


মানুষের ভাবনার দ্বান্ধিক রুপটা চমৎকার ফুটিয়ে তুলেছেন গল্পে ।
একজন চায় মানুষ বাঁচুক, নিজেদের মাঝে ফোনে কথা বলুক- তাহলেই তার আয়-ইনকাম । এটা তার পেশাগত চাওয়া ।

আরেকজন চায় মানুষ মারা যাক । মানুষ মারা গেলে কবর খোঁড়া থেকে দাফন-কাফন- ব্যবসাটা চলবে । এটা আমাদের জন্য নিদারুণ হলেও গোরখোদকের এটাই পেশাগত চাওয়া ।

মৃত্যুর মত ব্যাপারকে আমরা ভয় পাই, এতদসংক্রান্ত আলোচনা এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি । তাতেও কি মৃত্যুর মত অমোঘ ব্যাপার থেকে আমরা রেহাই পাব ?

আর তাই গল্পে গোরখোদকের ভাবনাগুলোও আর অস্বাভাবিক লাগে না ।

চমৎকার গল্পে ভাললাগা

+++

১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:২৭

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: সুন্দর বলেছেন মামুন ভাই। আমি সাধারন কোন পোষ্টে গেলে পোষ্ট পড়ার পড় আপনার কমেন্ট খুঁজি। আপনার কমেন্ট গুলো এত চমৎকার গোছানো হয় যেন, গল্পেরই একটা সারমর্ম। :)

অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল।

১৬| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:২৯

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
পড়তে আসছিলাম।
পড়া হলো না।
রাতে আসবো।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:২৭

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ঠিক আছে অপেক্ষায় রইল। :)

১৭| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:২৯

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: গপ ভালা লাগছে!

++

১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৩৭

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মাসুম ভাই।

১৮| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৫২

হাসান মাহবুব বলেছেন: এরকম ক্রিটিকাল সাইকোলোজিকাল সিচুয়েশন নিয়ে গল্প পড়তে খুব ভালো লাগে। আপনার লেখা খুব ভালো লেগেছে। কিছু হাই মেলোড্রামা আসার সম্ভাবনা ছিলো, তা সযত্নে এড়িয়ে গিয়ে পরিমিতিবোধের পরিচয় দিয়েছেন।

গোরখাদক শব্দটা ভালো লাগছে না। গোরখোদক ভালো। বউনি শব্দটাকে নোয়াখালির মানুষজন বনী বলে নাকি? সংলাপে অবশ্য নোয়াখালির ভাষা ব্যবহৃত হয়নি। হলে পরে পড়াটাই কঠিন হয়ে যেত। হাহাহা!

শুভরাত।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৩৭

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনার ভালোলাগা সব সময়ই আমার লেখার প্রচেষ্টাকে অনেক অনুপ্রাণিত করে। অনেক ধন্যবাদ হাসান ভাই।

ঠিক আছে, অনেকেই যেহেতু বলছেন তাই শব্দটা চেঞ্জ করে দিচ্ছি। বনী বনি, বউনি, যাত্রা ইত্যাদি বলে। আমি আঞ্চলিক ভাষা প্রয়োগ না করার পেছনে ঐ না বুঝার একটা কারনও ছিল।

তবে নগরায়নের প্রভাবে এখন মফস্বল শহরেরও খানিকটা শুদ্ধ ভাষার চর্চা চলে। শুদ্ধ ভাষার সাথে আঞ্চলিকতা মিলে একটা মজার ভাষা সৃষ্টি করেছে। যেমন, আমি পারব না। এটা নোয়াখালী প্রত্যন্ত আঞ্চলিক ভাষায় বলতে গেলে শুনাবে - অ্যাঁই হাইত্তামন। কিছুটা আঞ্চলিক ভাষায় বলতে গেলে, ফাইত্তাম ন। আবার শহুরে অঞ্চলের কাছাকাছি কিছুটা শুদ্ধ এর সাথে আঞ্চলিক ভাষার মিশ্রনে শুনাবে এমন - আমি ফারব না।

সুতরাং এই কারনেই আমি ইচ্ছে করে বাদ দিয়েছি। :) যদিও ভাবছিলাম একবার আপনাদের সবাইকে বিপদে ফেলি। হাহাহা!

আবারও ধন্যবাদ এবং শুভ রাত্রি!

১৯| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৫৬

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: অবশ্যই ব্যাতিক্রমী একটা প্লটের গল্প। দুজনের বিপরীতমুখী চাওয়ার পথ ধরে গন্তব্য মূলত একঃ আয় বৃদ্ধি! কথোপকথনে আঞ্চলিক ভাষার ব্যবহার প্রয়োজন ছিল। তাহলে গল্পের গাঁথুনি আরও শক্ত হত। অনেক টাইপো আছে। বিশেষ করে ণত্ব বিধান কোথাও মানা হয়নি।
আর গোরখাদক ব্যবহারের যে যুক্তিটা দিয়েছেন সেটা পছন্দ হয়নি। খাদক শব্দের মানে জানে না এমন বয়স্ক লোক, সে যতই মূর্খ হোক, আপনি পাবেন না।
যাই হোক অসাধারণ একটা প্লট খুঁজে বের করার জন্য আপনি সাধুবাদ পাবেন। গল্পটা যদি আরও বেশ কয়েক বার পড়ে লেখনীর যৎকিঞ্চিৎ দুর্বলতা দূর করতে পারেন তাহলে অসাধারণ প্লটটির যথাযোগ্য মর্যাদা দেওয়া হবে বলে মনে করি।
ছোট মুখে বড় কথা হয়ে গেলে ক্ষমা প্রার্থনীয়। ভাল থাকবেন।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৪৭

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার মন্তব্যের জন্য। এই ধরনের সমালোচনা এবং সাজেশন সব সময় সাদরে স্বাগতম। আমি মনে করি, যেহেতু আমি একজনের শখের লেখক, তাই আমার অনেক কিছুই এখনও শেখার বাকি আছে। ভুল বা সমস্যা গুলো যদি চিহ্নিত না হয় তাহলে সেটাকে ঠিক করার কোন সুযোগ থাকবে না।

আঞ্চলিক ভাষা কেন প্রয়োগ করি নি, তা হাসান ভাইকে যে কমেন্ট দিয়েছি সেটা কষ্ট করে দেখলেই বুঝতে পারবেন। কিছুটা তাড়াহুড়া করেছি, টাইপো থাকাটা অস্বাভাবিক নয়। যদিও আমি টাইপো থাকা একদমই পছন্দ করি না। আমি চেষ্টা করছি যে গুলো চোখে পড়বে সে গুলো ঠিক করে নেয়ার। পাশাপাশি কিছু কিছু শব্দের বানান ইচ্ছে করেই অন্যরকম ভাবে লিখেছি। তবে কিছু কিছু শব্দে হয়ত আঞ্চলিক উচ্চারন বুঝার সুবাধে টাইপোর মত করে লিখেছি।

খাদক নিয়ে আপত্তি থাকাতে আমি সেটা পরিবর্তন করেছি। না ভাষা বিকৃতির ক্ষেত্রে আমি মনে করি শিক্ষা বয়স অনেক সময় ভূমিকা রাখে না। যেমন, বউনি এটাকে আঞ্চলিক ভাবে কিন্তু বনীই ডাকা হয়। এটাকে নির্বিশিষে সবাই ঐভাবেই ডাকে এখন!

আপনিও ভালো থাকবেন। অনেক শুভেচ্ছা রইল। আমার ব্লগে আপনাকে এর আগে পাইনি। স্বাগতম রইল।

২০| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:১২

মোঃ ইসহাক খান বলেছেন: সুন্দর গল্পে ভালোলাগা।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৪৮

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, ইসহাক ভাই। :)

২১| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৪৭

রাফসান আরিফ বলেছেন: আপনার গল্পের কাভার পিক টা অনেক সুন্দর হয়েছে, ঠিক যেন কোন রহস্য উপন্যাসের কাভার পেজ। এবং গল্পটার শুরুও করেছিলেন বেশ রহস্যময় ভাবে (অনেকটা হুমায়ন আহমেদ এর রহস্য গল্প গুলার মতো)। যদিও শেষ পর্যন্ত বুঝলাম যে এটা আসলে যতটা না রহস্য তার চেয়ে অনেক বেশি সামাজিক। খুবই সুন্দরভাবে আপনি গল্পের মাধ্যমে আপনার মাসেজটা দিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৪৯

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুব ভালো লাগল। শুভেচ্ছা রইল।

২২| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৪০

কয়েস সামী বলেছেন: পরে পড়ব। মন্তব্য করে গেলাম!

১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৫২

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ওকে!!

২৩| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৫৩

সোহাগ সকাল বলেছেন: আপনিতো দেখছি চমৎকার গল্প লেখেন। রেগুলার গল্প লেখেন না ক্যান?

১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:২৫

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনার ভালো লেগেছে শুনে খুশি হলাম। লিখি তো, ইদানিং তো প্রায়ই গল্প লিখি। আগের পোষ্ট গুলোতে দেখলে দেখবেন অল্প অল্প কিছু লেখার চেষ্টা করি।

২৪| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:০১

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: দুজন সাধারণ দোকানদারের শুদ্ধ কথোপকথন আমার কাছে বেমানান লেগেছে। সঠিক জায়গায় সঠিক ভাবে আঞ্চলিকতার ব্যবহার করতে পারাটাও লেখকের একটা দারুণ মুন্সিয়ানা। আপনি না হয় 'ফারতাম না' গোছের আঞ্চলিকতাই ব্যবহার করতেন।
যা হোক লেখকের ইচ্ছাই চূড়ান্ত।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৩৫

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: জী, ব্যবহার করা অবশ্যই যেত। যেহেতু ব্যবহার করতে পারি নি, সেহেতু আপাতত সঠিক মুন্সিয়ানার অভাব বা সঠিক ডায়লগ প্লেসমেন্টের দূর্বলতা ছাড়া আর কিছুই বলতে পারছি না। এই ধরনের আঞ্চলিক ডায়ালগ ভিত্তিক লেখা যদি ভবিষ্যতে লিখি তাহলে 'সচেতন' পাঠকদের কথা মাথায় রেখে লেখার চেষ্টা করব।

আর লেখকের ইচ্ছের কথা যেটা বললেন, সেটাই আসলে সত্য। ইচ্ছে প্রতিফলন যদি নিজের লেখায় লেখক না ফেলতে পারে তাহলে লিখে আর আরাম কোথায় বলুন, আল্টিমেটলি সকল লেখকের লেখার উদ্দেশ্যই তো নিজের আনন্দ :)

অনেক ভালো থাকবেন। শুভ কামনা রইল।

২৫| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:২৮

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
খুব ভালো লাগলো।
আপনার গল্প গুলো যথেষ্ট পরিপক্ব।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৩৮

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ দূর্জয় ভাই। শুভেচ্ছা জানবেন। :)

২৬| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৩৯

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: গল্পটা ভাল হয়েছে। যথেষ্ট নির্মম কিন্তু সত্যএকটা বিষয়ের অবতরণা করেছেন।শেষ মেস মানুষ স্বর্থপর এটাই বড় সত্য হয়ে দাড়ায়।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৪০

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সেলিম ভাই। গল্পের মূল বিষয়টা আপনি সুন্দর করে তুলে ধরেছেন!!

২৭| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৫৫

সোহাগ সকাল বলেছেন: আপনিতো দেখছি চমৎকার গল্প লেখেন। রেগুলার গল্প লেখেন না ক্যান?

১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:২৮

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ। মন্তব্যটি মনে হয় ভুলে আবার এসেছে।

২৮| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:০৫

ভিয়েনাস বলেছেন: দুজনার মানুসিকতা ও জীবিকা নির্বাহের মাধ্যম দুরকম হলেও এক জায়গায় তারা একি রকম সেটা হলো আয়। নিজ নিজ ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে সবাই ভালো রোজগার চায় তা যেভাবেই হোক......

গল্প পড়ার সময় ফিনিসিংটা যেমন ভেবেছিলাম তেমন হলো না। এখানেও গল্পকারের স্বার্থকতা ফুটে উঠে কারন পাঠক যেমন ভাবছে শেষে এসে তেমন হচ্ছেনা। সুন্দর।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:৫৭

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। গল্পের প্রায় মুল অংশটার কথাই বলেছেন!
আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগল।

অনেক শুভেচ্ছা এবং শুভ সকাল। :)

২৯| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:৩২

প্রিন্স হেক্টর বলেছেন: একটা কথা বলতেই হয়, ব্রো.. আপনি ভালোই গল্প লেখেন :)

১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:৫৮

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিন্স। আমার লেখা তোমার দৃষ্টি আকর্ষন করতে পেরেছে জেনে ভালো লাগল।

শুভ সকাল। :)

৩০| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:২৮

অনাহূত বলেছেন: গল্প ভালো লেগেছে।
হাসান ভাইয়ের মন্তব্যটা কোটেড। আপনার জবাবটা পড়ে মনে হলো - বিপদে না ফেলার একটা স্পেশাল ধন্যবাদ দেয়াই যায়। :)

আপনি কি নোয়াখালির?

১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:৫৯

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হাহাহ! অনেক ধন্যবাদ ভাই।

জী, আমার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালি। :) খুবই প্রত্যন্ত অঞ্চলে। ;)

৩১| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৬:২২

শান্তির দেবদূত বলেছেন: দূর্দান্ত গল্প, কারও জীবন জীবনে আর কারও জীবন মরনে! কি চমৎকার ভাবেই না ফুটিয়ে তুলেছেন চিরদ্বান্দিক বিষয়টা।

পুরা গল্পজুড়ে একটা চাপা উত্তেজনা ছিল, বনি যে হবে সেটা বুঝা যাচ্ছিল, তবে কাকে দিয়ে হবে সেটাই ছিল ভাবনার বিষয়। পুরা গল্পজুড়ে পাঠককে এই একটা বিন্দুতে আটকে রেখেছেন, এবং তা বিরক্তিকর মনে হয়নি লেখনির সক্ষমতার কারনে।

ব্লগের একটা জিনিস এখন খুব ভাল লাগছে, অনেকেই বড় বড় গল্প লিখছে, আবার অনেকেই তা পড়ছে। ২/৩ বছর আগেও বড় লেখা খুব বেশি পাঠক পড়ত না।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:১০

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ভাইয়া আপনাকে আমার ব্লগে পেয়ে অনেক ভালো লাগছে । আপনার মত একজন সিনিয়র এবং বোদ্ধা পাঠকের মন্তব্য পেলে সেটা সত্যি ভীষন অনুপ্রেরণার হয়ে দাঁড়ায়।

জী ভাইয়া এখন আগের তুলনায় বড় বড় লেখা বেশ আসছে, সাহিত্য ভিত্তিক পাঠক বা ব্লগারের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার এই পরিবর্তনটা এসেছে বলে আমার ধারনা।

আবারও অনেক ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল।

৩২| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:০৬

আম্মানসুরা বলেছেন: মানুষ নিজের স্বার্থ রক্ষায় যা প্রয়োজন মনে করে তাই কামনা করে, তা যদি মৃত্যুর মত বিষয় হয় তবে তাই চায়। সুন্দর ভাবে বিষয়টি তুলে ধরেছেন। পোস্টে প্লাস।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:১৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। :) শুভ সকাল।

৩৩| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:০৮

কয়েস সামী বলেছেন: স্লো একটা গল্প। কেন জানি না, কাজের চাপেই বোধ হয়, এমন গল্প শুরু করে কখনো শেষ করতে পারি না। আমার জন্য দরকার শুরুতেই হুক ওলা কোনো গল্প। তবু আপনার লেখা বলেই পড়লাম। এবং গল্প শেষে মোটামোটি ভাল লাগল। অন্যরকম থিম।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:২৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হ্যাঁ কিছুটা ভিন্নধর্মী প্রেক্ষাপটে লেখার চেষ্টা করেছি। স্লো লাগা স্বত্তেও যে পড়েছেন, সময় দিয়েছেন তার জন্য অনেক ধন্যবাদ :)

৩৪| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৩৯

মো: আতিকুর রহমান বলেছেন: ভালই লাগলো +

১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:২৫

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ :)

৩৫| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:০০

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: গল্পে প্লাস দিলাম। কাল পড়েছিলাম। আর আজ মন্তব্য গুলো পড়লাম, উপভোগ করলাম।

গল্প অবশ্যই ভালো হয়েছে। মানুষের মনের চিন্তা -ভাবনার পথ আসলে খুব একটা সরল নয়। এ গল্পে দুজনের মানসিকতা একই আর সেটা হচ্ছে তাদের আয়ের চিন্তা যদিও উৎস পথ ভিন্ন। কিন্তু প্রাপ্তির আনন্দ একই রকম।

শুভকামনা রইলো। এতো দৌড় ঝাঁপ কইরা লেখার আর ভাবনার সময় পাও ক্যাম্নে ?

১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:২৭

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু। আপনার ভালো লেগেছে জেনে সত্যি অনেক ভাল লাগল। দৌড় ঝাপ করার সময় ট্যাফিক জ্যামে ঘামে ভেজা গা এ যখন অলস সময় কাটাই, তখন গল্পের প্লট বোনার চেষ্টা করি। :)

৩৬| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৫০

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:

আমি না মাঝে মাঝে এই বিষয়টা নিয়ে চিন্তা করি।

প্রত্যেকটা মানুষইতো চায় তার কামাই রোজগারে বরকত আসুক। ব্যবসায়ী চায় আল্লাহ যেন তার বেচা বিক্রি বাড়িয়ে দেন।

কিন্তু এইযে কত লোক কাফনের কাপর, চাটাই, বাশ - এইসবের ব্যাবসা করে, তারা আসলে আল্লাহর কাছে কি প্রার্থনা করে? তারা কি বলে না- আল্লাহ আমার ব্যবসায়ে উন্নতি দাও? কিন্তু তাদের ব্যবসায়ে উন্নতি মানে কি?

- মানুষের মৃত্যু! যত বেশি মানুষ মারা যাবে তত বেশি তাদের পণ্য বিক্রি হবে।

এখন কথা হচ্ছে- তারা কি চায় বেশি বেশি মানুষ মারা যাক? মনে হয় না, হাজার হোক তারাও তো মানুষ! সেই দৃষ্টিকোণ থেকে মনু মিয়ার মত মানুষকে ঠিক মানুষ বলা যায়?

কেন যাবেনা? তারাও তো ব্যবসায়ী। তাদের তো হোক আছে নিজের উন্নতি কামনা করার!!

তালগোল পাকিয়ে ফেলতেছি। জগতের কিছু বিষয় নিয়ে আসলে ভেবে কুল কিনারা পাওয়া যাবেনা।

গল্প ভাল হয়েছে ভাই। দারুন থিম।

কথাটা বনী হবে নাকি বওনী? অথবা বউনি?

১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৩১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ নাজিম ভাই। আপনাদের মত যারা ভালো লিখেন, তাদের ভালো লাগাতে পারাটা আনন্দের বিষয়। পাঠে কৃতজ্ঞতা।

আঞ্চলিকতা দোষে বনি বা যাত্রা বনী ইত্যাদি নামে ডাকে। তবে মূল শব্দটি বউনি।

৩৭| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:১৭

আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: ১৮ তম প্লাস!

বেশ ভালো লেগেছে। :)

১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৩২

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ :)

৩৮| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:০৩

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: এই ব্যবসাটা আমার মতে ভালু না এক্কেবারেই। আশায় থাকতে হবে কখন কেউ মারা যাবে।

চমৎকার এই গল্পটির কাছাকাছি বা আংশিক ধরনের গল্প দুটো পড়েছি, একটা ছিল গোর খোদকের কাহিনী। যে পানির টাঙ্কিতে বিষ মেশায় যাতে মানুষ মারা যায়। সেই ঘটনায় লোকটার নিজের ছেলেও মারা গেছিল।

আরেকটা হুমায়ূন আহমেদের কোনো গল্প যেখানে দোকানের লোকটা আশা করে কোনো এক মহিলা (যিনি মারা যাবেন নিশ্চিত) যাতে তিনি মারা যান, ফলে তার কিছু জিনিস বিক্রি হবে, সে টাকায় নিজের অসুস্থ মেয়ের চিকিৎসা করাবেন।

এমন কাহিনীগুলোতে একটা আবছা কষ্ট মিশে থাকে।

১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:০৬

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ জুলিয়ান ভাই। ব্যক্তিগত কিছু ব্যস্ততার কারনে মন্তব্যে জবাব দিতে দেরী হয়েছে। সত্যি বলতে হ্যাঁ, এক ধরনের কষ্টই হয়ত তাদের জীবনে আছে। একবার ভেবেছিলাম গল্পের নাম দিব "মৃত্যুকার"। অনেকটা "শব্দকর" গোষ্ঠির আদলে একটা ম্যাটাফরিক নাম।

ভালো থাকবেন ভাইয়া। শুভেচ্ছা রইল।

৩৯| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:০১

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: ভালোলাগা ভালোলাগা ....অ-নেক ভালোলাগা রইল, একঘেয়ে গল্পের বাইরে দারুন অন্যরকম একটি প্লটের সপ্রতিভ বর্নন।

১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৩৩

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ। ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।

৪০| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৩৩

আরজু পনি বলেছেন:

শিরোনাম বুঝতে সময় লেগেছে । কারণ "বনী" শব্দটা অপরিচিত ঠেকছিল ।

তবে গোরখোদক মনু মিয়া ব্যবসায়ী হয়ে যাওয়ার পর গোরখাদকই হয়ে গেলেন ।

কেননা, কেউ মারা না গেলে তো তিনি ব্যবসা চালাতে পারবেন না...সেক্ষেত্রে গোরখাদক ব্যবসায়ী মনু মিয়া হতে পারে নিঃসেন্দহে ।

তবে সত্যি বলতে...আমি ভয় পেয়েছি !
অনেক সুন্দর উপস্থাপন কাল্পনিক ।।

১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৩৮

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পনি আপু। আপনার মন্তব্য সব সময় আমার ভালো লাগে।
আসলে গোরখোদক হিসেবে মনু মিয়া একটা চক্রে আছে। এই চক্র থেকে সে হয়ত কোনদিনই বের হতে পারবে না।

৪১| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:১৬

শাওণ_পাগলা বলেছেন: গল্পের উপস্থাপনা সাবলীল। প্রথম থেকে শেষ মনে হলো একদমে শেষ করলাম। ১৯তম ভালো লাগা।

(সুন্দর একটা গল্পকে আজাইরা গল্প বলে ট্যাগ দিলেন?)

১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৫৩

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ শাওণ :)

আমি ভাবছিলাম কারো ভালো লাগবে না। :P

৪২| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:১৩

জুন বলেছেন: গোরখোদক ডোম এদের নিয়ে আমি বেশ কয়েকটা গল্প পড়েছি। তাদের সবার চরিত্র হয়তো আমাদের কাছে এবনর্মাল লাগে কিন্ত তাদের সহযোগিদের কাছে ব্যাপারটা ডালভাত, রুটিরুজির ব্যাপার। তবে গল্পটা চমৎকার হয়েছে।
আমি আমার মা বাবার কবরে প্রায়ই যাই। দেখি সেই সব গোরখোদকরা খুব নর্মাল। হাসি গল্প করছে পান টান খাচ্ছে আমার কাছে এসে কবরবাসীদের কসম দিয়ে মিছে কথা বলে টাকা পয়সা নিচ্ছে। আমার মন থাকে তখন আদ্র আর সে সময় তাদের প্রতারনার কথা মাথায় আসে না। পরে ভাবি এটাই তো তাদের ব্যাবসা, না হলে তাদের সংসার চলবে কি করে !
+ কাল্পনিক

১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:০১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ জুন আপু। তাদের চরিত্র কিছুটা এবনর্মালই বটে। অনেক দিন আগে আমি অফিস থেকে আসছিলাম। ফেরার পথে প্রচন্ড বৃষ্টি শুরু হয়। তখন আমি রাস্তায় ছিলাম। ভেজার অবস্থা ছিল না। একটা দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে আশ্রয় নিয়েছিলাম। সেই দোকানটি ছিল একটা কফিনের দোকান। সেখানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দোকানদারের কথা শুনছিলাম। সে বাড়িতে বলছিল তার বেচা বিক্রি ভালো না। সেই থেকে প্লটটা মাথায় ঘুরছিল।

আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনেক খুশি হলাম। :) প্লাসের জন্য ধন্যবাদ।

৪৩| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৩০

লেজকাটা বান্দর বলেছেন: নরমাল গল্প মেড আপ উইথ নরমাল ভাষারীতি। বাট ইন টোটাল ভালো।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৫৫

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনাকে মেনি ধন্যবাদ ফর মন্তব্য। কষ্ট করে পড়েছেন। আশা করি, সামনে হয়ত আরো ভালো লিখতে পারব। শুভেচ্ছা রইল।

৪৪| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৫২

সায়েম মুন বলেছেন: শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত গল্পটা চমৎকার এগিয়েছে। একদম ডিফারেন্ট প্লট। সেদিন সেই শেষ বিদায়ের দোকানে আশ্রয় নিয়েছেন বলে হয়ত এরকম গল্প পেলাম। গল্প খুব ভাল লেগেছে। বাইশতম প্লাস।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:০৮

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মুন ভাই। পাঠে কৃতজ্ঞতা রইল। :)
হ্যাঁ, সেই দোকানের সামনে না দাঁড়ালে হয়ত এমন প্লট মাথায় আসত না।

৪৫| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:০১

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: রোমান্টিক গল্প বেশ ভাললাগা
ধইন্না

১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৪০

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: B:-) B:-) রোমান্টিক গল্প!!! বেশ বেশ!!!

৪৬| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৫:৫৫

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: বেশ ভালো লেগেছে, বিশেষ করে শেষটা!


কৃতজ্ঞতা ও শুভকামনা রইলো ভাইয়া।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৬

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। :)

৪৭| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:৫০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

পড়লাম ও +++ দিলাম।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৭

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ঠিক আছে। ধন্যবাদ।

৪৮| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৫১

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন:


কখনও কখনও সন্দেহভাজনের কাছে অবৈধ কিছু না পেলে -
পুলিশের মন খারাপ হয়,
কিছু কিছু ডাক্তার আছেন, যাদের কাছে সেই রোগীই প্রিয়-
যার অসুখ সবথেকে বেশী,
আজকের মত কোনো কোনো দিনও মাঝে মাঝে আসে,
যেদিন হয়ত ক্যামেরা হাতে কিছু মানুষ থাকবেন,
একটা মানুষের লাশে পরিনত হওয়ার ছবি ঠিকঠাক তুলতে না পারলে-
যাদের দিনটা মাটি যাবে! --

এই লেখাটা ছিল বিশ্বজিৎ হত্যাকান্ডের পরে লেখা, আবারও হরতাল, আজকেও লাশ পড়বে। হাতে ক্যামেরা নিয়ে আমি সাংবাদিক হলেও আমার মাথায় প্রথম চিন্তাই কিন্তু থাকতো যা ভাবেই হোক আজকে যে লাশ পড়বে তার ফুটেজটা আমাকে ঠিকঠাক নিতে হবে, এটা আমার রুটিরুজির প্রশ্ন তখন! আমি কোন পেশাকে আক্রমন করছিনা, সবাইকেই তার ভালোবাসাদের মুখে অন্ন তুলে দেবার কাজটি করতে হয়। কিন্তু তারপরেও কিছু ভাবনা ভাবিয়েই যায়!

গল্পটা আমি আগেই পড়ে গিয়েছি, আপনার গল্পটা নিয়ে ভেবেছি! দূর্দান্ত প্লট! আপনার গল্প লেখায় আমি দিন দিন মুগ্ধ হচ্ছি! আমার কিন্তু আসলেই অনেক ভালো লেগেছে! চমৎকার লিখছেন!

ভালোলাগা রইলো!

শুভকামনা!

২০ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৫৩

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: চমৎকার একটা মন্তব্য করেছেন প্রিয় ব্লগার। আসলে তখন তাড়াহুড়ায় ছিলাম দেখে আর ঠিক ভাবে জবাব দিতে পারি নি। ঠিক বলেছেন, আসলে রুজিরুটির প্রশ্নে সব কিছু আমাদের জায়েজ। মানুষের মৃত্যুর মাঝে হয়ত অন্যদের বেঁচে থাকার সুযোগ হয়।

গল্প আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা রইল পড়ার জন্য।

৪৯| ২০ শে আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:৫৬

স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:

পাঠে মুগ্ধ!!!
অন্য ধাঁচের একটা গল্প পড়ে অনেক ভাললাগলো। মানুষের চাওয়া পাওয়ার কত পরিবর্তন।


+++++

২০ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:০২

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ শোভন :) পাঠে কৃতজ্ঞতা।

৫০| ২০ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:২৬

অদৃশ্য বলেছেন:




কাল্পনিক ভাই

চমৎকার লাগলো লিখাটি... মৃত্যুও অনেকর মুখে সুখের হাসি এনে দেয়... আমাদের বিচিত্র এই পৃথিবীতে...


শুভকামনা...

২০ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:০৬

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয় অদৃশ্য ভাই। :) :)

৫১| ২০ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:০৯

বৃতি বলেছেন: আমি ভাবছিলাম হয়ত তামান্নাকে মেরে ফেলবেন বউনি করার জন্য ।
মামুন রশিদ ভাই আর অপর্ণা আপু এতো সুন্দর করে যে কোন বিষয়ের উপর সারমর্ম লিখে ফেলেন যে উনাদের পরে মন্তব্য করতে গেলে রীতিমত ভাবতে হয় কি লিখব কমেন্টে /:) 8-|
ভালো লেগেছে গল্পটা । +++

২০ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৪৮

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: সহমত। আসলে তারা এত সুন্দর মন্তব্য করেন যে আমি যখন অন্যদের পোষ্টে যাই তখন আমারও আসলে কিছুটা সমস্যায় পড়ে যেতে হয় কি কমেন্ট করব। একটা আদর্শ কমেন্ট তেমনই হওয়া উচিত।

অনেকদিন পর আপনাকে ব্লগে পেলাম। আশা করি ভালো আছেন।
গল্প ভালো লেগেছে শুনে ভালো লাগল।

৫২| ২০ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:২৮

ট্রাক বলেছেন: গল্পটা সুন্দর।
তবে বর্ণনা একটু বেশি হয়ে গেছে বলে মনে হচ্ছে।

২০ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৫৩

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ। আসলে সঠিক দৃশ্যায়ন করার জন্য চেষ্টা করেছি প্রাসংগিক বর্ননা দিতে। আমার লেখার দূর্বলতা হিসেবে হয়ত আমি অল্প কথায় প্রকাশ করতে পারি না, যেমনটা একজন আদর্শ লেখক পারে।

৫৩| ২২ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:০৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: কাল্পনিক_ভালোবাসা,
অনেকক্ষন 'থ' মেরে রইলাম । এখানে সেখানে দেখা " শেষ বিদায় স্টোর" নামীয় সাইনবোর্ডের ব্যবসাপাতির অতি সাধারন ধরন দেখতেই অভ্যস্থ এ নাগরিক চোখে অন্য আর কিছু ধরা পড়েনি এ্যাদ্দিন । আপনি ধরিয়ে দিলেন তা । বেশ গভীরে চোখের দৃষ্টিকে প্রোথিত করে দিলেন যেন। সে গভীরে চোখ ফেলে যা দেখা হলো , তা নাড়া দিয়ে গেলো খুব জোরেশোরে ।
নাড়িয়ে দিয়ে গেলেন, মানবিক সব মূল্যবোধকে । আগে যা ভাবিনি কোনওদিন তা ভাবতেই মনে হলো, এক ভয়ঙ্কর সত্যের সাথে "বনী" হয়ে গেলো যেন ........

২৩ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:০৯

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। আসলে আমাদের চলাচলের পথে এমন অনেক কিছুই হয়ত চোখে পড়ে যার গভীরে যাওয়া সব সময় আমাদের সম্ভব নয়। এই ধরনের বেশ কিছু অবস্থা পর্যবেক্ষনের সুযোগ হয়েছিল।

আপনার ভালো লেগেছে জেনে সত্যি ভালো লাগল। :)

৫৪| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:০০

আহমাদ জাদীদ বলেছেন: কি অদ্ভুত গল্প!

২৩ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:০৯

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: :|| :|

৫৫| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৩

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: গুরু কি লিখলেন ! এটা কি গল্প ?

মানুষ সব পরিবেশ হতেই নিজের লাভ খুঁজে । যে দৃশ্যপটে নিজের স্বার্থ থাকে না ,
সেখানে একটু মানবতার তৃতীয় চোখ ব্যবহার করে , একটু নিরপেক্ষ হয় ।
যেখানে রুটি - রুজির ব্যাপার , সেই জায়গাটাতে মানুষ আপোষহীন ।
অন্যের চোখে তখন তা খারাপ , নির্মম , নির্মমতা টুকু তখন খুব বাজে ।

বনী তেমনি এক কঠিন বাস্তবতার গল্প , গল্প শেষে যেখানে পাঠককে
থমকে যেতে হয় ।
এই ত আমরা - যার বাহারি নাম মানুষ ।

কাল্পনিক ভালবাসা - ভালবাসার খাতিরেই যিনি সব উলটে - পালটে
দেখেন আর তার চোখে লেগে থাকা সত্যটুকু আমাদের মত মেকি আধুনিক সাইনবোর্ড সর্বস্ব মানুষের গায়ে লেপটে দেন ।

আমরা তখন একটু হলেও ঝিম মেরে যাই ।
অনুভব করতে পারি কেমন গাঁজায় দম দেয়া জীবন আমাদের ।
আগের ৩ -৪ টা গল্পের পর এবার অসাধারণ একটা গল্প উপহার দিলেন
কাল্পনিক ভাই । অনেক অনেক ভাল লাগলো । ক্ষমতা থাকলে ১০০০০০০০০০০০০ টা প্লাস দিতাম ।

ভাল লাগার বাটন কাজ করছে না , অনেক খারাপ লাগছে তাই ।
কমেন্ট পর্যন্ত দেখতে পারতেছিনা , ভাল লাগতেছেনা , সামুতে একটা না একটা ঝামেলা লেগেই আছে ।

কি করি বলেন ত ভাই ?

কেমন আছেন গুরু ?
গেলাম :)


২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:১১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: খুব চমৎকার একটা মন্তব্য করেছেন। আসলে এই কমেন্টের রিপ্লাই কি দিব ঠিক বুঝে উঠতে পারছি না। :( আপনার ভালো লেগেছে জেনে সত্যি আনন্দিত হতে পারলাম। একজন সৌখিক লেখক হিসেবে অন্যদের সামান্য ভালোলাগা যেখানে মনে অদ্ভুত এক আনন্দ স্মৃষ্টি করে, সেখানে এত গুলো প্লাস দেখে আমার খুব কিছু বলার থাকবে না, এটাই স্বাভাবিক।

আসলে বেঁচে থাকার জন্য মানুষের কত কি না করতে হয়। মৃত্যু কামনার মধ্য দিয়ে যখন কেউ তার বেঁচে থাকার চেষ্টা করে, সেখানেই আপনি জীবনের আসল মানে খুঁজে পাবেন।

জী, আমি ভালো আছি। আপনি কেমন আছেন?

৫৬| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৯

এরিস বলেছেন: লেখাটির বিষয়বস্তু(ট্যাগ/কি-ওয়ার্ড): গল্প, আজাইরা লেখালেখি, টাইম পাস

ফালতু বকতে খুব ভাল লাগে, তাইনা কাল্পনিক ভাই? X(


শফিক আর মনু মিয়ার ভাবনার অন্তর্দন্দ ভাল লেগেছে। কেউ চায় মানুষ চারপাশের সবার সাথে যোগাযোগ রাখুক, কেউ চায় মানুষ মরে যাক। আসলে কারো দোষ দেখছি না আমি। সবাই যে যার পেশার উন্নতি চায়, যদিও মৃত্যুর সংবাদ শুনতে মনু মিয়ার উৎকণ্ঠা তার প্রতি বিরক্তির উদ্রেক করে।


একটা ব্যাপার মনে হয় আপনার চোখ এড়িয়ে গেছে।

হইচই হট্টগোলের মধ্যে জানা গেল, বড় রাস্তার পাশে যে মজিদ স্টোর আছে তার মালিক মজিদ মিয়ার ছেলে আর বউ ঝড়ের মধ্যে গাছ চাপা পড়ে মারা গিয়েছে। মজিদ ভাই মাত্র সংবাদটা মাত্রই জানতে পারলেন। বেচারা হাউ মাউ করে কাঁদছে।

শফিকের খুব মন খারাপ হলো। দোকানে আসতে আসতে সিদ্ধান্ত নিল আজকে দোকান এখনই বন্ধ করে দিবে। ছেলেটাকে চিনত সে। তার দোকানে প্রায় আসত। মোবাইলে ফ্লেক্সি করত। মাস দুই হলো বিয়ে হয়েছিল



বিয়ে করেছে মাস দুই হলে ছেলে আসবে কোত্থেকে?? নাকি মজিদের ছেলে মাস দুই হল বিয়ে করেছে??


ঘটনা যা-ই হোক, মনু মিয়ার সন্তানসম্ভবা স্ত্রীর জন্যে সবকিছু জোগাড়যন্তর করতে টাকা চাই, আর সে টাকা আসলো মজিদের বৌ আর ছেলে মরে। গণ্ডগোলটা কে লাগিয়েছে জানেন? ওই যে উপরে বসে আছেন, বহুত ভাবে আছেন, তিনি। কাওকে মেরে কারো ভাতের জোগান দেন। ফিগারটা সাইকো।


সুন্দর বাস্তব গল্প। জায়গা পরিচিত হওয়ায় মনে হচ্ছে সবগুলো চরিত্র চোখের সামনে দেখতে পেলাম, গাছটাও।

ভাল লাগা জানবেন প্রিয় কাল্পনিক ভাই।

২৭ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৫

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনাকে অনেকদিন পর আমার ব্লগে পেয়ে ভালো লাগছে। আপনার ভালো লেগেছে শুনে আমি আনন্দিত। আজাইরা লেখালেখি বলেছি কারন যারা প্রকৃত ভালো লিখেন তাদের সাথে নিজেকে তুলনা করার কোন সাহস হয় না। ফলে অহেতুক লেখক খেতাব নিতে চাই না।

মজিদ মিয়া দুই মাস আগে বিয়ে করেন নি, মজিদ মিয়ার ছেলে দুই মাস আগে বিয়ে করেছেন। :) হ্যাঁ জায়গাটা আপনার পরিচিত এলাকার গল্প। :)

অনেক ভালো থাকবেন শুভেচ্ছা রইল।

৫৭| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৮

রহস্যময়ী কন্যা বলেছেন: :|| :|| :|| :| :|
খাইসে এইটা কেমন গল্প পড়লাম.......
মানুষ মরলে খুশি হয় /:) /:)

২৯ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৪৯

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: জী, এটা ঠিক লুতুপুতু প্রেমের গল্প নয়। :) তাই আপনার ভালা লাগে নাই। ;) ;) :P

৫৮| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৪

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: মুগ্ধ হলাম প্রিয় ব্লগার। অনেক ভালো লেগেছে। মৃত্যুকে খুব সাধারণ এবং স্বাভাবিক আর দশটা ব্যাপারের মত কখনই মেনে নেয়া সম্ভব নয়। যদিও তা স্বাভাবিক সত্য এবং প্রাকৃতিক নিয়মেরই একটা অংশ। মানবো কিভাবে ?? বেঁচে থাকতে খুব ভালোবাসি যে !!

২৯ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৫১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। :) আসলে জীবনে বেঁচে থাকা সবচেয়ে বড় কথা। আর মানুষের বেঁচে থাকার সাথে অন্যের মৃত্যূর যে একটা সুক্ষ সংযোগ আছে, তা আমরা হয়ত ভুলে যাই। :)

৫৯| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:১৯

প্রিয়তমেষূ বলেছেন: এজন্যই বোধ হয় বলে কারো পৌষমাস কারো সর্বনাশ।

সুন্দর গল্প.......... এটা গল্প হলেও সত্য টাও একই রকম .।

২৯ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: খাইছে!!! এত এত এত দিন পর!!! বেঁচে আছেন নাকি আফা??
আপনাকে দেখে ভালো লাগল। স্বাগতম।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। :)

৬০| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১৩

সুমন কর বলেছেন: বর্ণনা র্দীঘতর হয়েছে, আগেই অনেকে বলেছে। আপনি তার উত্তরও দিয়েছেন।

তবে গল্পটা ভালো লাগল।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩৮

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: জী, আমি মনে করি বর্ননাটা গল্পের প্রয়োজনেই এসেছে :) আসলে ব্লগে গল্প লেখার জন্য অনেক সময় অনিচ্ছাকৃত কিছু কাটছাট করতে হয়। সেটা ভালো লাগে না। তাই সঠিক দৃশ্যায়নের জন্য কিছুটা বর্ননার প্রয়োজন ছিল। :)

মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা রইল।

৬১| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৩২

ফারজানা শিরিন বলেছেন: গল্পের ভাবনার জায়গাটা চমৎকার !!! :/

২০ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৩৭

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ শিরিন :) আশা করি ভালো আছেন।

৬২| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৯

রাজীব নুর বলেছেন: চমৎকার গল্প।

৬৩| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৪:০০

সোহানী বলেছেন: অসাধারন গল্পটা মিস করলাম :(( !!!!!!!!!!

৬৪| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৫০

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আপনার গল্পগুলো এক এক করে পড়ে ফেলতে হবে ভায়া।

ব্যতিক্রমী প্লটের গল্প ভাল্লাগছে +++++

৬৫| ২৭ শে জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: গল্পটা আগে পড়েছি। লাইক লিস্টে আমাকে খুজলাম, পেলাম না। সম্ভবতঃ আমি সামুতে যখন শুধুই পাঠক ছিলাম, তখনকার পড়া। আজ আবারও ভালো করে পড়লাম। চমৎকার বিষয়বস্তু। ইউনিক! এমন বিষয়বস্তু নিয়ে সচরাচর কেউ গল্প লেখে না। আপনার গল্পের কাব্যিক বর্ণনা দিয়ে শুরুটা ভালো লেগেছে।

আপনি গল্পে যেই ভাষাটা ব্যবহার করেছেন, সেটা দুই/একটা শব্দ বাদে মোটামুটিভাবে ঢাকার চলতি ভাষা। মাইজদীর লোকাল ডায়ালেক্টের একটা ছাপ থাকলে ভালো হতো, যেহেতু চরিত্রগুলো স্থানীয়। এটা অবশ্য একান্তই আমার ভাবনা। আরেকটা ব্যাপার। মূল বিষয়বস্তুতে আসার আগে বর্ণনাগুলো একটু বেশী দীর্ঘ হয়ে গিয়েছে বলে মনে হলো। অবশ্য আমারও এমনটা হয়। অল্প কথায় গুছিয়ে মনের ভাব প্রকাশ করতে পারি না।

সবমিলিয়ে চমৎকার একটা গল্প। এখন মাঝে-মধ্যে, শত ব্যস্ততায় সময় বের করে এমন গল্প লিখলেও তো পারেন। :)

২৭ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১০:০৩

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ভুয়া মফিজ ভাই। এই গল্পটা লেখার সময় আমি খুবই এ্যামেচার লেভেলের লেখক ছিলাম (ইনফ্যাক্ট এখনও আছি)। গল্পে আঞ্চলিকতা আনার প্রয়োজন ছিলো এটা একটা ত্রুটি রয়েছে। আমি যখন এই গল্পটা লেখার পরিকল্পনা মাথায় পাই, তখন প্রচন্ড বৃষ্টি হচ্ছিলো। সন্ধ্যা বেলা, আমি সম্ভবত বনানী বা কাটাবনে কোথাও একটা দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে বৃষ্টি থামার অপেক্ষা করছিলাম। সেই দোকানটা ছিলো একটা মৃতদের সামগ্রী বিক্রির দোকান।

কাকতালীয়ভাবে আমি একবার হাতিয়া থেকে আসার সময় গল্পের ঐ অঞ্চলে কিছুক্ষনের জন্য বিশ্রাম নিয়েছিলাম, একটা ছিমছাম বাজার। গল্প লেখার সময় ঐ বাজারের কথাই বার বার মাথায় আসছিলো। আমি চাচ্ছিলাম, আমি যা যা দেখেছি, সেটা যেন পাঠকরা দেখতে পায়। সেই কারনে একটু লম্বা বর্ণনা দিয়েছি। অনেক সিনেমার স্লো বার্নিং সাইকোলজিকাল ড্রামার মত। আমার কিছুটা দুর্বলতা আছে এই ধরনের জেনারের প্রতি!

মাঝে মাঝে সবার গল্প লেখা দেখে ইচ্ছে করে আমিও লিখি, কিন্তু লেখক হওয়া এত সহজ নয়। যা দেখি, যা অনুভব করি, তা সবার সামনে ফুটিয়ে তোলা খুব কঠিন।

আপনি কষ্ট করে পড়েছেন, মন্তব্য দিয়েছেন খুব ভালো লাগলো ভাইয়া। মনে হলো, অনেকটা আগের দিনে আছি।
শুভেচ্ছা রইল।

৬৬| ২৭ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১০:৩৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ভয়ঙ্কর সুন্দর গল্পটা। এখানে মনুমিয়াকে আমার কাছে বর্তমান সময়ের নার্সিংহোম বা ডাক্তারদের সঙ্গে তুলনীয় বলে মনে হয়েছে। ভূয়া ভাইকে ধন্যবাদ। ওনার কমেন্টের উত্তর দিতে আপনাকে আসতে হলো আর এর কারণে ১৩ সালের গল্পটা আজ পড়ার সুযোগ পেলাম।

শুভেচ্ছা আপনাকে।‌

২৭ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১১:৫৫

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ পদাতিক ভাই!! আমি গল্পটার লিংক ভুয়া মফিজ ভাইয়ের একটি পোস্টে দিয়েছিলাম। ভাইয়া পড়ে মন্তব্য করেছেন বিধায় তা মনে হয় সাম্প্রতিক মন্তব্যে দেখিয়েছে!!

৬৭| ২৭ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১০:৫৩

ইসিয়াক বলেছেন: গল্পটা ভালো লেগেছে।

২৭ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১১:৫৬

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ ইসিয়াক ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.