নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একদিন সব হাসির ময়নাতদন্ত হবে, ফরেনসিক রিপোর্টে লেখা থাকবে - সবই মিথ্যে।
প্রিয় পাঠক, সিলেট-ভ্রমন কাহিনী শুরু করার আগে একটি অন্যরকম বিড়ম্বনার গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাই। নিয়মিত লঞ্চে যাতায়াত করতে হয় - এমন অঞ্চলের জনৈক ব্যক্তিকে সাথে নিয়ে লম্বা বাস জার্নি করতে গিয়েই এই বিড়ম্বনার সুত্রপাত। যার কথা বলছি, সেই ভদ্রলোকের বাড়ি বরিশালের পটুয়াখালীতে। পেশায় তিনি একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার। তার সাথে এখন পর্যন্ত যে কয়বার আমাদের বাস জার্নির অভিজ্ঞতা হয়েছে তাতে প্রতিবারই তাকে লঞ্চ ভ্রমনের প্রস্তুতি নিয়ে বাসে উঠতে দেখা গেছে।
একবার বাসস্ট্যান্ডে পৌছে দেখি তিনি এক হাতে ব্যাগ আর অন্য হাতে কাঁথা নিয়ে দাঁড়িয়ে আমাদের জন্য অপেক্ষা করছেন। কৌতূহলী হয়ে জিজ্ঞেস করলাম, এই গরমকালে কাঁথা দিয়ে কি করবেন?
তিনি বললেন, ভোর রাতে ঠান্ডা লাগবে। নদীর বাতাস অনেক ঠান্ডা। বিরক্ত হয়ে জিজ্ঞেস করলাম, নদী!! এখানে নদী পাইলেন কই ? বাস কি নদী দিয়া চলে??
সাথে সাথে জিভে কামড় দিয়ে, দুকর্ন বিস্তৃতি হাসি হেসে বললেন, সর্যি ভাই। আসলে লঞ্চ জার্নির অভ্যাস তো। রাতের বেলা নদীর বাতাসে অনেক ঠান্ডা লাগে....
এরপর দেখা গেল তিনি কাঁথা সাইড ব্যাগে ঢুকিয়ে একটি প্রমান সাইজের 'গোলাপি' রঙের টাওয়াল বের করলেন। বাসে উঠেই জানালার পাশে একটা সিটে তাড়াতাড়ি টাওয়াল বিছিয়ে মুখে একটা সন্তুষ্টির হাসি ফুটিয়ে বললেন, যাক ভালো সিটটা নিয়া নিলাম।
আমি হতাশ হয়ে বললাম, ভাইরে!! এখানে সিট দখলের কিছু নাই তো! সবই আগে থেকে টিকিটে উল্লেখ্য করা থাকে। উঠেন এখান থেকে। আমাদের সিট একদম লাস্টে। তিনি কিছুটা অবাক দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে থেকে তারপর টাওয়াল গুটিয়ে পেছনের সিটে গিয়ে বসলেন।
এই ধরনের নানাবিধ সমস্যার মাঝে যে সমস্যাটি সবচেয়ে বেশি বিড়ম্বনার সৃষ্টি করেছে তা হলো, তার ঘন ঘন 'হালকা' হবার ইচ্ছা। চলতি পথে হাইওয়েতে কিছুক্ষন পর পর তিনি ড্রাইভারকে কাঁচুমাচু মুখে জিজ্ঞেস করেন, ভাই বাস থামানো যায় না?
প্রথমে মানবিক ব্যাপার হিসেবে ড্রাইভার সাড়া দিলেও একসময় বিরক্ত বললেন, ঐ মিয়া ঐ! একটু পর পর বাস থামাইতে কন ক্যা? একবারে সব কাম সাইরা উঠতে পারেন নাই??
তিনি খুবই নিরিহ গলায় ফিসফিস করে বললেন, ভাইয়া! এই চাপ আটকানোর অভ্যাস নাই তো। আমরা কখনও চাপ নিয়া বাড়িতে যাই না, লঞ্চে করতে করতে বাড়িত যাই। লঞ্চে কি সুন্দর সিস্টেম আছে। আমাদের বাড়ি.......
তারপর ড্রাইভার কি বলল, সেই সব দিকে আর না যাই। সবচেয়ে বড় কথা, ভদ্রলোক এখন বাস এবং লঞ্চের বেসিক পার্থ্যকের সাথে অভ্যস্ত হচ্ছেন। সচেতনতার অংশ হিসেবে তিনি বাস জার্নির প্রায় দুই ঘন্টা আগে থেকে কোন তরল জাতীয় পর্দাথ পান করেন না। সঙ্গগুনে তিনি চাপ হ্যান্ডেল করার অভুতপূর্ব অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন।
এবার যাওয়া যাক মুলকাহিনীতে
গত বৃহঃস্পতিবার যখন সহব্লগার মামুন ভাইয়ের জন্মদিন উপলক্ষে মাথার ঘাম হাতে ফেলে একটি শুভেচ্ছা বানীর সংকলন প্রকাশ করেছিলাম, তখন তিনি খুশিতে আবেগপ্রবন হয়ে বলেছিলেন, ওরে! ভাই আমার!! তোরা দূরে কেন? বুকে আয়! তোদেরকে ভরপেটে উদরপূর্তি করাবো।
আমিও যখন কিছুটা আবেগপ্রবন হয়ে বলতে যাচ্ছি, হ্যাঁ ভাইয়া আমরা আসছি- তখনই তিনি খিক খিক হাসি দিয়ে বললেন, ....কিন্তু সময়সীমা মধ্যরাত। এর পরে আসলে, আমি কিছু জানি না।
প্রিয় ব্লগারের এহেন শঠতার দৃষ্টান্তে আমি যখন নির্বাক তখনই মনে মনে বললাম, চৌধুরি সাহেব!! আপনি পাগল দেখেছেন কিন্তু পাগলের সেতু নাড়ানো দেখেন নি। আমরা আসছি। আপনাকে সেতুতে উঠিয়ে দেখেন কি নাড়ানটা নাড়াই!
আমি আর তেমন কিছু না বলে ফোন রেখে দিলাম। মুখে শুধু বললাম, ভাইয়া চেষ্টা করছি আসার জন্য। যদি আসতে পারি, তাহলে বিছানাকান্দি ঘুরতে যাব।
এইদিকে ঘড়িতে তখন বেলা তিনটা। আমরা অল্প যে দু’চারজন নিয়মিত শর্ট নোটিসে বিভিন্ন পাগলামি ট্রিপে যাই, তাদের কাছে প্রস্তাব রাখা মাত্রাই তারা আমার আস্থার প্রতিদান দিয়ে রাজি হয়ে গেলেন। ফলে সব কিছু গুছিয়ে যখন রওনা দিলাম তখন ঘড়িতে বাজে বিকাল ৫টা। সিদ্ধান্ত হলো, উত্তরার এনা পরিবহনের মাধ্যমে যাওয়া হবে। আমাদের দলের একজন সিনিয়র ভ্রাতা আছেন, যিনি এনা পরিবহনের ব্যাপারে খুবই দুর্বল। সিলেটে যাওয়ার জন্য ‘এনার’ চাইতে প্রিয় বাহন তাঁর কাছে আর কিছুই নেই। অনুসন্ধানে জানা গেছে, কোন এক মেঘলা দিনে শেষ বিকেলের আলোর মত সুন্দর জনৈক তরুনী তার পাশের সিটে বসেই সিলেট যাত্রা করেছিল। ব্যাস সেই থেকে তাঁর কাছে সিলেট মানেই এনা!
কিন্তু এনা আমাদের প্রতি সদয় হলো না। বৃহস্পতিবার বলে বাড়তি যাত্রীর চাপ থাকায় কোন গাড়ীতে সিট খালি নেই। ফলে কিছুক্ষন সেই সিনিয়র ভ্রাতার মুন্ডুপাত করে উপযুক্তভাবে সিল মারার প্রতিশ্রুতি আদায় করে আমরা ট্রেনে করে রওনা দিলাম। তবে সিলেটে নয় কমলাপুর। কেননা পথে যে পরিমান ট্রাফিক জ্যাম, তাতে সিএনজি করে উত্তরা থেকে কমলাপুর যেতে নূন্যতম ৪ ঘন্টা লাগবে। প্রথমে ট্রেন তারপর সিএনজি করে যখন ২ ঘন্টা পর ফাইনালি আমরা সিলেটের বাসে উঠলাম তখন ঘড়িতে আটটা। বাসের নাম হানিফ। মনে একটাই আশা ৫ ঘন্টার পর আমরা ৩ ঘন্টায় পৌছে যাব। কিন্তু পথের জ্যামের কারনে হানিফও কথা রাখে নি। হালকা গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি সাথে ঝড়ো বাতাস যখন আমাদেরকে প্রিয় শহর সিলেট স্বাগতম জানালো তখন ঘড়িতে রাত আড়াইটা।
ইতিমধ্যে মামুন ভাই আমাদের আসার বিষয়টি টের পেয়েছেন। তিনি সহাস্যে ফোন দিয়ে বললেন, কাভা! আমার বাসার একটি রুমকে আমি এই মুহূর্তে অস্থায়ী পাগলাগারদ হিসেবে ঘোষনা করলাম। তাই ভুলেও কোন হোটেলে উঠবেন না। সরাসরি এখানেই চলে আসেন। কোনমতে রাতটা কাটিয়ে সকালে বিছানাকান্দি রওনা দিব।
তাই বাসায় ঢুকে কিছুক্ষন হাসাহাসি করে, বাসার লোকজনের ঘুমের চৌদ্দটা বাজিয়ে যখন নিজেরা ঘুমাতে গেলাম তখন বজ্রপাতের সাথে শুরু হলো বৃষ্টি। একটা সুন্দর ঠান্ডা আবহাওয়ায় পাতলা কাঁথা গায়ে দিতেই কিভাবে যেন দু চোখ বন্ধ হয়ে গেল।
সকালে ঘুম ভাঙ্গল খিচুড়ির গন্ধে। ভাবী আমাদের জন্য নাস্তা হিসেবে খিচুড়ি আর ভুনা গরুর গোস্ত রান্না করেছেন। দীর্ঘদিন পর আমি এত মজার কোন খিচুড়ি খেলাম আর সাতকরা দিয়ে রান্না করা সেই গরুর মাংসের উপমা কিভাবে দিব, আমার তা জানা নেই। খাওয়াদাওয়ার পর ধোঁয়া উঠা চায়ের কাপ হাতে জানালার পাশে দাঁড়িয়ে দেখি আকাশ বেশ মুখ গোমড়া করে ঝিরঝির করে বৃষ্টি ঝরিয়ে যাচ্ছে। একটু দূরেই দেখা যাচ্ছে বৃষ্টি ভেজা গাঢ় সবুজ চা বাগান। অদ্ভুত ঘোর লাগা মনে মানতে বাধ্য হলাম, বৃষ্টিভেজা সিলেট পৃথিবীর অন্যতম সুন্দর স্থানগুলো মধ্যে একটি।
কিন্তু মামুন ভাইয়ের তাড়া খেয়ে সেই ঘোর থেকে বের হয়ে আসতে হলো। আগে থেকে ভাড়া করে রাখা সিএনজি চলে এসেছে। আমাদের এখনকার গন্তব্য গোয়াইনঘাট উপজেলার ‘বিছনাকান্দি’ গ্রাম।
যাত্রা শুরু কিছুক্ষনের মধ্যেই আমরা বিমানবন্দর সড়কে উঠে পড়লাম। এখানে আমাদেরকে স্বাগত জানালো উপমহাদেশের প্রথম চা বাগান মালিনীছড়া। সেই চিরচেনা মোহিনীমাদক সম মালিনী চা বাগান বৃষ্টিতে ভিজে গাঢ় সবুজের রসে সিক্ত হয়ে আরো যেন আবেদনময়ী হয়ে উঠেছে। বুদ্ধ যদি সিলেটে জন্মাতেন তাহলে পূর্নিমা রাতে নয় এমন বৃষ্টিভেজা সকালে কোন এক চা বাগানের সৌন্দর্য দেখেই নিশ্চিত তিনি গৃহত্যাগী হতেন।
বিমানবন্দর সড়ক পার হয়ে যখন ভোলাগঞ্জ সড়কে উঠলাম তখনই সকল পিনিকের নির্মম অবসান ঘটল। রাস্তার ভয়াবহ করুন অবস্থা দেখে আমরা বুঝতে পারলাম না, কোন যানবাহন তো দূরে থাক, একজন মানুষ কিভাবে এই সড়ক হেঁটে পার হবে? কিন্তু আমাদেরকে অবাক করে দিয়ে সিএনজি এই পথ ধরেই এগুতে থাকল। অসীম আতংক নিয়ে আমরা প্রতিক্ষনে ভাবছিলাম, এই বুঝি সিএনজিরটা বিভিন্ন নাটবল্টু খুলে যাবে অথবা কাত হয়ে কোন একটা গর্তে পড়ে যাবে। কিন্তু সিলেটের সিএনজিও প্রাণশক্তিরও প্রশংসা করতে হয়। শেষ পর্যন্ত প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে এসে সিএনজির সক্ষমতা দেখে মুগ্ধ হলাম। আতংকের সাথে মুগ্ধতার এক অদ্ভুত অভিব্যক্তি নিয়ে আমরা প্রবেশ করলাম হাঁদারপাড়ের রাস্তায়।
ক্রমাগত বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে পানি প্রায় রাস্তা ছুঁই ছুঁই। সকালের ঝিরিঝিরি বৃষ্টি এখানে রুপ নিল প্রবল বর্ষনে। রাস্তার এক পাশে দিগন্ত বিস্তীর্ন বড় ঢেউয়ের হাওড় আর অন্যপাশে বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মত কিছু বাড়ি আবার কোথাও বা একদম ফাঁকা। এরই মধ্যে একটু পর পর পানি নিমজ্জিত গাছপালা। শুনলাম, এই গাছগুলো রাতারগুল রিজার্ভ ফরেস্টেরই অংশ। পাহাড়ি বৃষ্টিতে সাত সকাল গোসল করে যখন হাঁদার পাড়ে এসে পৌছলাম তখন ঘড়িতে প্রায় সাড়ে নয়টা। এক রাউন্ড চা পান করে যখন নৌকা ভাড়া করার জন্য অপেক্ষা করছি তখনই বৃষ্টি কিছুটা ধরে এলো আর সাথে সাথে চোখে পড়ল দূরে অবস্থিত মেঘাচ্ছন্ন পাহাড় আর ঝর্না। আকস্মিক এই পরিবর্তনে সবাই বিস্মিত হয়ে একে অপরের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, ঐটাই কি স্বর্গ নাকি বিছানাকান্দি?
তারপর আসলে বর্ননার কিছু নেই, শুধু দেখুন। প্রবল বৃষ্টি থাকার কারনে ছবি তুলতে মহা বেগ পেতে হয়েছে। সত্যি বলতে সবাই সাথে এই সৌন্দর্য কিছুটা হলেও শেয়ার করতে চেয়েছি বলে ক্যামেরার মায়া একপ্রকার ত্যাগই করেছিলাম। তবে বাস্তবতা হচ্ছে সৌন্দর্য লিখে বা ছবি দেখিয়ে প্রকাশ করার ক্ষমতা আমাদেরকে দেয়া হয় নি। আমাদেরকে শুধু দেয়া হয়েছে সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি দেখে অবাক বিস্ময়ে বিস্মিত হবার ক্ষমতা।
আমাদের প্রথম গন্তব্য ছিল পাংতুমাই ঝর্না। পাহাড়ের ঢাল বেয়ে নামা অন্যতম সুন্দর একটা ঝর্না তবে একই সাথে এটা একটা নির্মম ঝর্নাও বটে। কেননা এই ঝর্নাটি শুরু হয়েছে ভারতীয় অংশে আর শেষ হয়েছে ঠিক নো ম্যান'স ল্যান্ডের সাথেই। ফলে বাংলাদেশী হিসেবে আপনি ঝর্নার ঠিক কাছে যেতে পারবেন না। দূর থেকেই আপনাকে দেখতে হবে। তবে অতীতে অনেকেই ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীদের সাথে কিছুটা আপোষ বা বাংলায় 'সিস্টেম' করে ঝর্নার কাছে গিয়েছেন। তবে এই ব্যাপারে উপস্থিত বুদ্ধি, বাস্তবতা এবং পরিস্থিতি মূল্যায়নের নূন্যতম জ্ঞান থাকা আবশ্যক।
বিএসএফ চেক পোষ্ট
কাছে গিয়ে ছুঁতে না পারার হতাশায় ভারত অতিক্রম করে ফেললাম। দাদাদের ঝর্না এত জল দিচ্ছে, ভাবলাম যাই আমিও তাহলে কিছু দিয়ে আসি। পরে নিজেকে সামলে নিলাম এই ভেবে যে ঝর্না পানি তো এই দেশেই আসছে, আর পানি দিয়া কি হবে!
এরপর চললাম আমাদের দ্বিতীয় গন্তব্য লক্ষনছড়ার উদ্দেশ্য। এটাও একটি পাহাড়ি ঝর্না। যাবার পথে আবার শুরু হল প্রচন্ড বৃষ্টি।
লক্ষনছড়ার মূল আকর্ষন হলো এর যাবার পথটা। সরু খাল, দু'পাশে বাঁশের ঝাড়, ঘন গাছপালা ইত্যাদি সব মিলিয়ে একটা দারুন বন্য পরিবেশ।
খালের মাঝে বিভিন্ন স্থানে ছিল এমন সরু বাঁশের সাঁকো। যার নিচ দিয়ে আমাদের যেতে হয়েছে।
পথে ফুটে রয়েছে নাম না জানা অনেক বন্য ফুল।
এইভাবে বেশ কিছুক্ষন চলার পরে, আমরা যখন বুঝতে পারছি না, কোন দিকে যাচ্ছি তখনই ঠিক সামনে উদয় হলো বিশাল এক পাহাড় আর ছবির মত সুন্দর একটা গ্রাম। সত্যি বলতে, এমন একটা দৃশ্যের জন্য আমরা ঠিক প্রস্তুত ছিলাম না। গ্রামের একটা অংশ পড়েছে ভারতে আর একটা অংশ বাংলাদেশে।
দূরে দেখা যাচ্ছে লক্ষনছড়া।
ছড়াকে আরো কাছ থেকে দেখার জন্য আমরা গ্রামের ভেতর দিয়ে ভারতে প্রবেশ করলাম। গ্রামবাসী খুবই আন্তরিক। তারা বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখতে যেমন বললেন, তেমনি কিছুটা সর্তকতা অবলম্বনও করতে বললেন। এই ফাঁকে আথিতিয়তার অংশ হিসেবে আমরা খেলাম পাতার বিড়ি।
এই পর্যায়ে ব্যাপক বর্ষন শুরু হওয়াতে আর ছবি তোলা সম্ভব হয় নি। আমরা দেরী না করে রওনা দিলাম বিছানাকান্দির উদ্দেশ্যে। বৃষ্টির মাঝে আমাদের নৌকা ছুটে চলেছে পাহাড়ের পাদদেশ দিয়ে। কিছুক্ষনের মধ্যে আমারা আবার মূল নদীতে চলে এলাম। কিছুক্ষনের মধ্যেই পৌছে যাব বিছানাকান্দি।
তারপর নদীর টাটকা মাছ দিয়ে ভাত খেয়ে ফেরার পথ ধরলাম। ফিরে আসার সময় সিলেটের অভূতপূর্ব প্রাকৃতিক দৃশ্যে অভিভুত হয়ে মনে যখন রোমান্টিকতার মেঘ একাকী বৃষ্টি ঝরাচ্ছে, তখন নিজেকে সান্তনা দিয়ে বললাম, 'থাক! মন খারাপ করিস না। যার কেউ নাই, তার আছে সিলেট'
বৃষ্টির সাথে অসামান্য ফাইট করে ছবিগুলো তুলেছেন ব্লগার আমিনুর ভাই। আর সামুর সাথে অসামান্য ফাইট করে পোষ্ট এবং ছবিগুলো আপডেট করেছি আমি স্বয়ং। ইচ্ছে থাকা স্বত্তেও আরো বেশ কিছু ছবি সংযুক্ত করে পারি নাই। এই পোষ্ট লিখতে গিয়ে যে পরিমান ধৈর্য পরীক্ষা এবং বিড়ম্বনার মধ্যে পড়েছি, তাতে আমার সেই বিখ্যাত কবিতার কথাই মনে পড়ছে, ভালোবাসা আমার হয়ে গেছে ঘাস, খেয়ে গেছে গরু, দিয়ে গেছে বাঁশ।
----------------------------------------------------------------------------
কিভাবে যাবেন এবং কিছু ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষনঃ
১) এই অঞ্চলটিতে এখন ভ্রমনপিপাসু মানুষের ভীড় তেমন নাই। তাই জায়গাটা এখনও বেশ সুন্দর। যেদিন ভীড় বাড়বে, সেদিন জাফলং এর মত এই প্রাকৃতিক স্পটটির মৃত্যু ঘটবে। তাই নিজে বার বার যান, অন্য কে যেতে অনুৎসাহিত করুন।
২) এখানের পর্যটন সংশ্লিষ্ট মানুষগুলো ধান্দাবাজি এখনও সেভাবে আয়ত্ব করতে পারে নাই। তাই আপনি যদি শুধু বিছানাকান্দি যান সর্বোচ্চ ভাড়া দিবেন ৮০০ - ১০০০ টাকা। এর বেশি কোন ভাবেই না। যদি দেন, তাহলে বুঝবেন আপনি ঠকছেন। তবে দলে যদি লোকসংখ্যা বেশি হয় তাহলে বড় নৌকার ক্ষেত্রে ভাড়া কিছুটা এদিক সেদিক হতে পারে।
৩) এখানে মুলত তিনটা পয়েন্ট আছে। এক, পাংতুমাই ঝর্না, দুই, লক্ষনছড়া এবং তিন বিছানাকান্দি। উল্লেখ্য ঋতু ভেদে এই স্থানগুলোর সৌন্দর্য এক সময় এক রকম থাকে। আমরা যে সময় গিয়েছে, এই সময় প্রবল বৃষ্টি থাকাতে আমরা তিনটা স্পট নৌকা করে যেতে পেরেছি। বৃষ্টি কম হলে অন্য কোথাও গিয়ে আপনি তেমন বৈচিত্র দেখবেন না। এই ক্ষেত্রে দীর্ঘ সময় যদি বিছানাকান্দি থাকেন, সেটাই বেশি আনন্দ দিবে। তবে বর্ষা হলে তিনটা স্থানেই যাবেন। পয়সা উসুল হবে নিশ্চিত।
৪) লক্ষনছড়াতে যাওয়ার রাস্তাটি কেবল সবচাইতে বেশি উত্তেজনাময়। এছাড়া বর্ষা ছাড়া অন্য সময় সেখানে যাওয়াও কষ্ট এবং দেখারও কিছু নেই। যদি বর্ষায় যান, তাহলে অবশ্যই চেষ্টা করবেন, মাঝারি থেকে ছোট সাইজের নৌকা নিতে। বেশি বড় নৌকা হলে খাল দিয়ে নৌকা প্রবেশ করবে না।
৫) তিনটা স্পটে গেলে আপনার নূন্যতম সময় লাগবে ৪/৫ ঘন্টা। এই জন্য নৌকা ভাড়া পড়বে ১৫০০ - ২০০০ টাকা। আমরা দরদাম করে ১৬০০ টাকায় ৬ ঘন্টার জন্য নৌকা ভাড়া করেছিলাম।
৬) আল্লাহর ওয়াস্তে বিরিয়ানীর প্যাকেট, জুসের প্যাকেট, ইত্যাদি হাবিজাবি নদী এবং ঐ স্পট গুলোতে ফেলবেন না। নৌকাতেই রাখুন। একটু কষ্ট করে নামার সময় নামিয়ে অন্য কোথাও ফেলুন।
৭) সিলেট থেকে আসতে চাইলে সিএনজি আপডাউন পড়বে প্রায় ১২০০ - ১৩০০ টাকা। আর যদি লেগুনা রির্জাভ করে আসেন, তাহলে খরচ পড়বে ২০০০ থেকে ২২০০ টাকা। আমার পারসোনাল সাজেশন, টাকা বেশি লাগলেও সিএনজিতে যান। এতে চারিদিক সুন্দর করে দেখার সুযোগ পাবেন।
০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ রাত ২:৩৪
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অপেক্ষায় আছি, কখন আবার সামু সার্ভার রেসপন্স করা স্টপ করে দেয়। ইদানিং পোষ্ট দিলেই হয় সার্ভারের যন্ত্রনা নতুবা হ্যাকারের রসিকতা!!
রক্ষে কর কর্তা!!
২| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ রাত ২:৪৫
অপু তানভীর বলেছেন: আমারে একবার কইলেও পারতেন । আমিও যাইতাম !
তবে খুব শীঘ্রই যামু !!
০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ রাত ২:৫৬
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: সর্যি রে অপু! মাথায় খেয়াল ছিল না। আগামীবার থেকে অবশ্যই বলব। না, কেন শুধু শুধু যাবে। ছবি দেখ!!
বেশি পাবলিক গেলে জায়গাটা নষ্ট হইয়া যাইব।
৩| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ রাত ২:৫৬
মুহিব জিহাদ বলেছেন: গল্পের ইটালিক লেখ গুলো দেখে কিছুটা হতাস হয়ে ও সরল বর্নের বর্ননা দেখে সত্যি মুগ্ধ। ইচ্ছে হচ্ছে বারংবার হারিয়ে যেতে সেই বিছানাকান্দির পাথরের আড়ালে
০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৩:০০
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হাহাহাহ! উহা গল্প নয়! বৎস! উহা বাস্তব ঘটনার কিঞ্চিত সাজানো রুপ!
৪| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৩:০১
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: শাহরুখ খানের চেন্নাই এক্সপ্রেস মুভিটা দেখা পর মনে হচ্ছিলো গোয়ার দুধসাগর ঝর্ণার সামনে কিছুক্ষণ বসে না থাকা পর্যন্ত একটা অপুর্ণতা থেকে মুক্তি নাই। সত্যি বলছি পাংতুমাই দেখার পর মনে হচ্ছে সে অতৃপ্তি প্রায় পুরো অংশেই মিটে গেছে। ভেবেছিলাম ঘন বর্ষা আর মুষলধারার বৃষ্টি আমাদের ভ্রমণকে বিড়ম্বিত করবে। কিন্তু প্রকৃতি অকৃপণ ভাবে তার এক অদ্ভুত রূপ আমাদের সামনে এভাবে মেলে ধরবে সেটা ছিলো আমাদের কল্পনারও অতীত। এক রূপের প্রকাশ ভাষায় হয়না, হয়না ছবিতেও। তীব্র বৃষ্টি, চারিদিকে অথৈ জল আর পাহাড়ের খাঁজে আটকে থাকা মেঘমালা। বিশেষ করে বিছনাকান্দিতে তো মেঘের কুয়াশা একটু দূরেই ক্ষণে ক্ষণে জল ছুচ্ছে।
তবে হ্যাঁ, ইঞ্জিয়ারের প্রকৃতির ডাক বিষয়ক বিড়ম্বনা খুব সহজের প্রকাশ করা যায়। বিশেষ করে পাশের সিটে বসে যখন দুই মিনিট পরপর জিজ্ঞাসা করে ভাই উজান ভাটি আর কদ্দুর। উল্লেখ্য উজান ভাটি হচ্ছে ঢাকা-সিলেট রুটের একটি হাইওয়ে রেস্তোরাঁ। বাসগুলো যেখানে সাময়িক বিরতি নেয়।
০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৩:১২
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হাহাহাহ! বেচারা ইঞ্জিনিয়ার সাব! উনি না থাকলে এই ট্রিপটার আনন্দ অর্ধেক হইত। তার প্রথমবার পাহাড় দেখার অভিজ্ঞতার সাথে থাকতে পেরে আমি সত্যি আনন্দিত।
হ্যাঁ ভাই, সেদিনের বৃষ্টি আর প্রাকৃতিক দূর্যোগ শাপে বর হয়েছিল আমাদের জন্য। আমি বিশ্বাস করি, আমার লাইফ টাইমে হয়ত সব কিছু এত সুন্দর সিংক্রোনাইজেশন আর হবে না। অদ্ভুত একটা ট্রিপ দিয়েছি। পয়সা উসুলের চেয়েও বেশি হইছে!!!
৫| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৩:২২
শিপন মোল্লা বলেছেন: আপনি আসলে বরাবরই খুব চমৎকার লিখেন কি কবিতা কি গল্প। সিলেট আমি এখনো দেখিনি আপনার এই পোস্টটি পড়ে যাওয়ার আগ্রহ অনেক বেড়ে গেলো ভাই ।
আপনি এতো সুন্দর করে সিলেটের বর্ণনা দিছেন আমি দারুন মুগ্ধ হয়েছি । লিখার ভাষা দারুন সহজ সরল এক কথায় চমৎকার । অ হা সাথে ছবিও বেস। আমি যাবো বিছানাকান্দি ।
০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:৩০
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: শিপন ভাই অনেক দিন পর আপনাকে আমার ব্লগে পেয়ে ভালো লাগল। আশা করি আপনিও ব্লগে নিয়মিত হবে। আপনার ভালো লেগেছে শুনে সত্যি আনন্দিত
অবশ্যই এখানে যাওয়া উচিত। তবে আগেই উল্লেখ্য করেছি, এক সময়, বিছানাকান্দির সৌন্দর্য এক এক রকম।
৬| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৩:২৮
প্রবাসী পাঠক বলেছেন: চৌধুরি সাহেব!! আপনি পাগল দেখেছেন কিন্তু পাগলের সেতু নাড়ানো দেখেন নি। আমরা আসছি। আপনাকে সেতুতে উঠিয়ে দেখেন কি নাড়ানটা নাড়াই!
ছবি দেখেই মুগ্ধ হয়ে গেলাম কাভা ভাই। দেশে এসে এখানে বেড়াতে যাবার সুযোগ মিস করা যাবে না।
পোস্টে প্রথম ভালো লাগা।
০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:৪২
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: বিশ্বাস করুন, ছবির চাইতে হাজার গুন সুন্দর এই স্থানটি। যদি বর্ষার টাইমে আসতে পারেন, তাহলে এমন ভরা রুপ দেখবেন। অন্য সময়ের সৌন্দর্য আরো অন্য রকম। তবে যে রুপেই দেখেন না কেন, আপনার তাকে ভালো লাগবেই!
আপনি দেশে আসলে, আশা করি ফ্রি গাইড হিসেবে আপনার সাথে সঙ্গী হতে পারব!
৭| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৩:৪৬
ডি মুন বলেছেন: ফলে কিছুক্ষন সেই সিনিয়র ভ্রাতার মুন্ডুপাত করে উপযুক্তভাবে সিল মারার প্রতিশ্রুতি আদায় করে আমরা ট্রেনে করে রওনা দিলাম। তবে সিলেটে নয় কমলাপুর। ------ হা হা হা
তারা বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখতে যেমন বললেন, তেমনি কিছুটা সর্তকতা অবলম্বনও করতে বললেন। এই ফাঁকে আথিতিয়তার অংশ হিসেবে আমরা খেলাম পাতার বিড়ি। ------ ভেরি ব্যাড !!
আথিতেয়তা হিসেবে চকলেট খান, বিস্কুট খান, কিছু না পাইলে একগ্লাস পানি খান; কিন্তু তাই বলে বিড়ি !!!! নাহ, ভেরি ব্যাড।
বৃষ্টির সাথে অসামান্য ফাইট করে ছবিগুলো তুলেছেন ব্লগার আমিনুর ভাই। ----- আমিনুর ভাই তো সবার নাক ভচকাইয়া দিতে ওস্তাদ। মানুষ না পাইয়া উনি কি বৃষ্টির সাথেই ফাইট করিতেছিলেন!!! --- আহা রে, উনার হাত থেকে প্রকৃতিও রেহাই পাইলো না !!!
আর সামুর সাথে অসামান্য ফাইট করে পোষ্ট এবং ছবিগুলো আপডেট করেছি আমি স্বয়ং। ----- থ্যাংকু কাভা ভাই (একটু পাম দিলাম আর কি !!! )
অটঃ সুন্দর পোস্ট। প্রিয়তে নিয়ে গেলাম।
০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৬
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: মুন্ডুপাতের চাইতে বেশি কিছু করতে মন চাইছিল! ধানমন্ডি থেকে উত্তরা গিয়া যখন দেখছি আবার সায়দাবাদ আসতে হইব, তখন এই ইচ্ছা করাই স্বাভাবিক।
ভাই এই পাতার বিড়ি সেই পাতার বিড়ি না। খুবই ভালো জিনিসটা। অন্তত সিগারেট আর তথাকথিত বিড়ির চাইতে ভালো। তাদের প্রাকৃতিক পরিবেশ দেইখাই পেট যেভাবে ভরে গেছে তাতে অন্য কিছু খাবার আর ইচ্ছা হয় নাই।
৮| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৩:৫৪
নিমচাঁদ বলেছেন: আমি মুগ্ধ ! আমি শিহরিত !
এতো দিন সিলেট থাকলাম, এতোবার সিলেট গেলাম মাগার বিছানাকান্দি যাই নাই । ব্যাচেলরের মতোন ঘুরার স্বাদ কোন খাওনেই নাই । আবার যাইবানি সিলোট মধ্য অক্টোবরে ?
ভালো কথা সামনে ভারত প্ল্যাকার্ডের সামনে এক চুরাকারবারী দেখতাছি , হেতে কেডা > আর হেতার লগে এই স্কুল বয়টা ও কেডা !! আহারে , কোন মা বাবার পোলাপাইন , এই বয়সেই মাল টানাটানিতে লাগাইয়া দিছে !!
(পাদটীকাঃ চেংড়া পোলাপাইনের এই এক সমস্যা , বাসে ট্রেনে উঠলেই মুতা চাপে । নেক্সট টাইম কালা পলি ব্যাগ নিয়া যাইবা ,হাফ প্যান্ট পড়াইয়া পলি দিয়া ঢাইকা রাখবা ।)
০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:৪০
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: লেখক বলেছেন: নিম দা! আপনাকে আমার ব্লগে পেয়ে খুব ভালো লাগছে। লাস্ট পেয়েছিলাম ২৩শে ফেব্রুয়ারী!
আপনি সিলেটে এত দিন থেকেও যেতে পারেন নাই, তাই সত্যিই আফসোস হচ্ছে। মুগ্ধ এবং শিহরিত হবার মতই জায়গা এটা। আপনি যদি চাই আমি আপনার ভ্রমন গাইড হতে রাজি আছি। এখানে বার বার গেলেও খারাপ লাগবে না।
আর ছবিতে যাদের চোরাকারবারী বলে ভাবছেন, তারা আসলে স্থানীয় চোরাকারবী। এরা ১০০/২০০ টাকার বিনিময়ে মানব পাচার করে। ছোটটা উনার এসিস্টেন্ট! নিরিহ চেহারা দেখাইয়া মানুষ আকর্ষন করে।
পাদটীকাঃ তারে কইছি পলিথিনের সাথে দড়ি নিয়াও উঠতে
৯| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ ভোর ৪:৫২
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: অসাধারণ । প্রিয়তে নিলাম ।
ছবির কোন তুলনা হয় না । সামনে ভারত ( উরে বাবা ! ) ছবিটা খুব ভাল লাগছে ।
ভাল থাকবেন প্রিয় কাভা ভাই ।
০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:৩৭
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই। আপনি মিস করেছেন। কেন করেছেন তার আর পোষ্টে উল্লেখ্য করলাম না!!!
১০| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৭:২৫
খেয়া ঘাট বলেছেন: ++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:৪৭
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
১১| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৭:৫৩
আহসান২০২০ বলেছেন: আমাদের দেশটা এতো সুন্দর কেনো? আমি সিলেটে গিয়া হারায়া যামু কইলাম। বশে সুন্দর গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন আপনার ভ্রমনকাহিনী। মুগ্ধ আমি।
০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:৫৪
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আসলেই সিলেট একটা চমৎকার জায়গা। আপনার ভালো লেগেছে জেনে আমি ভীষন আনন্দিত!
১২| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৭:৫৩
নীল-দর্পণ বলেছেন: ঢাকার বাইরে ঘোরার উদ্দেশ্যে এইপর্যন্ত জীবনে একবার-ই গিয়েছিলাম সেটা হল সিলেট!! সিলেটের সৌন্দর্য দেখে আমি আর ভাইয়া বলেছিলাম "আমরা সিলেটে একটা বাড়ী বানাবো"
আপনি দেখি জাফলং এর চরম সৌন্দর্য দেখতে পেরেছেন! আমরা যখন গিয়েছিলাম তখন শুকনা মৌসুম ছিল।
০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:৫৯
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হ্যাঁ সিলেটে আমিও ভাবছি একটা বাড়ি বানাবো!
তবে এটা কিন্তু জাফলং নয়। এটা হচ্ছে বিছানাকান্দি। আপনি হয়ত পাংতুমাই ঝর্নার ব্রিজ দেখে কনফিউসড হয়ে পড়েছেন।
জাফলং তো এখন মৃত প্রায়। যেখানে ঘুরতে গেলাম তা হলো ২০ বছর আগের জাফলং!
অনেকদিন পর আপনাকে ব্লগে দেখলাম। আশা করি ভালো আছেন।
১৩| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৮:৩২
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: +++++++++++++++++++++
হাহাহাহাহাহা ভ্রাতা , দেইখেন আবার বরিশাইল্যা ভ্রাতা ভগিনীরা না আবার আপনার বিরুদ্ধে আন্দোলনে চইলা যায়
চৌধুরি সাহেব!! আপনি পাগল দেখেছেন কিন্তু পাগলের সেতু নাড়ানো দেখেন নি। আমরা আসছি। আপনাকে সেতুতে উঠিয়ে দেখেন কি নাড়ানটা নাড়াই!
মামুন ভাইয়ের অবস্থা কল্পনা কোরিয়া আমি লুটোপুটি খাইতেছি এবং একই সাথে সতর্ক অবস্থানে পজিশন লইলাম
‘এনা’রে আমিও ভালা পাই তয় পরিবহন নয়
নিজে বার বার যান, অন্য কে যেতে অনুৎসাহিত করুন।
@নিমচাঁদ ভ্রাতা এক চুরাকারবারীর কথা উল্লেখ করিয়াছেন , জতি সে সম্পর্কে আরও জানতে চায়
পোস্ট প্রিয়তে ভ্রাতা
ভালো থাকবেন অনে
০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:১০
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হাহা হা হা হা! নাহ! বরিশালের সাথে এই লঞ্চ যাত্রীর কোন সম্পর্ক নাই । সবচেয়ে বড় কথা, আমরা তো জানি, মানুষ অভ্যাসের দাস।
সর্তক অবস্থান নিয়া লাভ নাই, আপনাকে টার্গেট করিলে ভ্রাতা আপনিও পড়িবেন ফান্দে।
যে কোন পোষ্টে আপনার মন্তব্য পেলে খুব ভালো লাগে অপূর্ন ভাই। অনেক শুভেচ্ছা রইল।
১৪| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৮:৪৩
জুন বলেছেন: সিলেট আমারও একটি প্রিয় শহর ভ্রমণের জন্য কাল্পনিক । জাফলং তার অপুর্ব সেই সৌন্দর্য্য হারিয়ে ফেলেছে ব্যাবসায়ীদের চরম লোলুপতার কাছে। কিন্ত ভ্রমণপিপাসু মানুষ ঠিকই খুজে নেয় নিঃসর্গের অপার সৌন্দর্য্যকে। কোন একদিন যেতে হবে বিছানাকান্দি, ছুঁয়ে দেখতে হবে তার সুন্দরতাকে । যদিও তোমার অসাধারন বর্ননায় কল্পনায় অনেকটুকুই দেখা হলো তারপরো .।.।
+
০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:১৫
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: প্রিয় জুনা আপা, সত্যি বলতে বিভিন্ন সময়ে আপনার সুলিখিত ভ্রমন কাহিনী দেখে এমন আমারও ভ্রমন ব্লগ লেখার ইচ্ছা করত। এবার সেটার বাস্তবায়ন ঘটালাম।
আমি যে জায়গার বর্ননা দিলাম, তাতে তার সৌন্দর্য তেমন কিছুই প্রকাশ হয় নি। সুযোগ পেলে অবশ্যই ঘুরে আসবেন এবং সেটা এই স্থানটির বানিজ্যিকরনের আগেই।
দেরী করে জবাব দেয়ার জন্য অনেক দুঃখিত।
১৫| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৮:৫৩
কলমের কালি শেষ বলেছেন: চমৎকার ছবি এবং সুন্দর ভ্রমনকাহিনী । পড়ে অনেক ভাল লাগল এবং যাওয়ার প্রবল ইচ্ছা জেগেছে ।
০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:১৮
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ। সময় পেলে ঘুরে আসবেন। আশা করি ভালো লাগবে।
১৬| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৯:২৩
নাসরীন খান বলেছেন: সুন্দর ভ্রমন।
০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:১৯
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ।
১৭| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৯:৪২
আমিনুর রহমান বলেছেন:
আমাদের দলের একজন সিনিয়র ভ্রাতা আছেন, যিনি এনা পরিবহনের ব্যাপারে খুবই দুর্বল।
ঐ সিনিয়র ভ্রাতার এই কি সেই, দাঁড়াও পরে আইতাছি আবার। দেখাইতাছি তার একদিন কি তোমাদের সবদিন
০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:২১
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ইয়ে মানে আপনি কি এখনও ঐ গানটা শুনছেন। মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না??
১৮| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:১১
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: @ধুর , আমিনুর ভাই , আপনেরে আগুনজ্বলা মাইনাস । চামে চামে চুপেচুপে 'এনা'তে করে সিলেটে ঘুরে আসলেন
০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:২২
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: তিনটা মাইনাস!!!!!!! দুইটা দিলে তো আবার প্লাস হইয়া যাইব।
১৯| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:৩৬
মামুন রশিদ বলেছেন: আমি মুগ্ধ, বিস্মিত এবং কিছুটা আতংকিতও ছিলাম বটে! না না, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখে নয় । আপনাদের এনার্জি দেখে
আমরা না হয় চোখ ফোটার পর থেকেই পাহাড় আর বৃষ্টির ঢল দেখি । এখনো নিয়ম করে তিনবেলা বৃষ্টিতে ভিজতে হয় । কোন আগাম সতর্কতা ছাড়াই ঝুপ করে বৃষ্টি নেমে সর্বাঙ্গ ভিজিয়ে দেয় । কিন্তু আপনারা তিনজন অনভ্যস্ততা সত্বেও যেভাবে সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এক নাগাড়ে ভিজলেন, সত্যিই অভাবনীয় !!
সূক্ষ্ণ রসবোধ সম্পন্ন সুলিখিত বর্ণনার জন্যেও একটা ভ্রমনপাঠ কতটা আনন্দজনক হতে পারে তা সৈয়দ মুজতবা আলীর লেখা পড়ে জেনেছিলাম । আজকে তার একজন আদর্শ উত্তরসূরীকে পেয়ে সত্যিই অভিভূত । ডি মুন কিছু কোট করেছেন, আমিও পোস্ট থেকে একটা কোট করি,
বুদ্ধ যদি সিলেটে জন্মাতেন তাহলে পূর্নিমা রাতে নয় এমন বৃষ্টিভেজা সকালে কোন এক চা বাগানের সৌন্দর্য দেখেই নিশ্চিত তিনি গৃহত্যাগী হতেন।
এই রকম পোস্ট প্রিয়তে রাখতে পারা গৌরবের
০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:২৭
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ওহ! মামুন ভাই!!! আপনি আমাকে যে কমপ্লিমেন্ট দিলেন, তা আমার জন্য বিশাল প্রাপ্তি। মনটা সত্যি আনন্দে ভরে উঠল।
আর আপনাকে আবারও আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই, আপনার জন্মদিনকে কেন্দ্র করে এত চমৎকার একটা দিন আমরা কাটিয়েছি। আমি লাইফে অনেক ট্রিপ দিয়েছি, অনেক ঘুরেছি, কিন্তু সত্যি বলতে সেদিনের এই ট্রিপটা আমার জীবনের অন্যতম সেরা ট্রিপ হয়েই বিবেচিত হবে। প্রকৃতির এই ধরনের আর্শিবাদ সব সময় পাওয়া যায় না।
২০| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:৪৪
মুদ্দাকির বলেছেন:
নাইস পোষ্ট , পোষ্ট পড়ে মনে হল, মামুন ভাইয়ের জন্মদিন বছরে ৩-৪ বার হলে ভালো হত।
০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:৩১
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হাহা ! ভালো বলেছেন, বছরের উনার কয়েকবার জন্মদিন হলে মন্দ হতো না।
অনেকদিন পর আপনাকে পোষ্টে দেখলাম, আশা করি ভালো আছেন।
২১| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:৫৬
আলম দীপ্র বলেছেন: আমার তো এখনি সেইখানে যেতে ইচ্ছে করছে !
প্রিয়তে !
০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:১১
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ দীপ্র! তোমার মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগল।
২২| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:৫৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: কাল্পনিক_ভালোবাসা ,
সরেস বর্ণনা আর আদিগন্ত প্রকৃতির ভেজা শরীরের ছবিগুলো মিলেমিশে একাকার ।
সবটা দেখে আর পড়ে মনের ভেতরেও ঝুম বৃষ্টির মতো শুধু ঐ একটি গানের কথাই বেজে উঠলো -
আমায় এতো রাতে কেনে ডাক দিলি......
০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:১৪
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ প্রিয় আহমেদ ভাই।
আহা! এই গানটার সাথে সাথে আমার ঐ গানটার কথাও মনে পড়ছে, লাল পাহাড়ের যা, রাঙামাটির দেশে যা, এখান তোকে মানাইছে না গো, এক্কেবারে মানাইছে না গো!!
২৩| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:৫৮
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: পোষ্টে ১০০ তে ১০০। ছবি, বর্ণনা আর শুরুর পটভূমি মিলে এক কথায় চমৎকার।
আর টাইটেল প্রসঙ্গে বলছি, আমার মতে বৃহত্তর সিলেট হল বাংলাদেশের সেরা পর্যটন কেন্দ্র। সাগর ছাড়া কি নেই এখানে। যতবার যাই, ততই মুগ্ধ হই।
শ্বশুর বাড়ী সিলেট যার, মানবজন্ম সার্থক তার।
০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:১৭
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই। আপনিও তো এই জায়গা নিয়ে একটা চমৎকার পোষ্ট দিসিলেন!
আপনার সাথে আমিও পুরো সহমত। যে হাওড় এবার দেখলাম, তাতে সাগর আর না থাকলেও চলে!
তার মানে আপনার শশুর বাড়ি সিলেট
২৪| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৬
রিমন রনবীর বলেছেন: কতদিন এত সুন্দর এবং মজাদার বর্ননায় ভ্রমন কাহিনী পড়ি না!
অসাম
০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:১৯
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ রি!! অনেক শুভেছা রইল। আগে তো ব্লগে অনেক দেখতাম, এখন তো দেখাই যায় না!
২৫| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৬
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট। এক টানে পড়ে নিলাম।
০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:১৯
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় দেশী ভ্রাতা!!
২৬| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:২৭
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: কঠিনভাবে হিংসিত এবং আফসোসিত !
০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:২০
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: এই আফসোস কোন ভাবেই চলে যাবার নয়!!!
২৭| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:৫৫
নীলসাধু বলেছেন: ফেবুতে এই সংক্রান্ত সকল আপডেট দেখেছি। পুরো কাহিনী জানতে এসে স্বপ্নবাজ অভির মতন আমিও হিংসিত। আফসোসিত।
আমি জানি এমন ভ্রমণগুলো অসাধারণ হয়। সিলেটে আমিও গেছি। সে এক মাতাল করা জায়গা।
ভালো লাগা ভালোবাসা রইল
শুভকামনা নিরন্তর।
০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:২৫
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: সত্যি বলতে নীল দা, আমার লাইফের অন্যতম সেরা ভ্রমন। প্ল্যান করে প্রকৃতির সাথে সব কিছুর পারফেক্ট কম্বিনেশন জীবনেও পসিবল না। ঠিক যখন যেটা চেয়েছি, তেমনটাই পেয়েছি।
সময় করে দ্রুত ঘুরে আসুন। নিশ্চিত দারুন উপভোগ করবেন। প্রয়োজনে আমাকে পাবেন ফ্রি গাইড হিসেবে।
২৮| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:১৬
রঙ তুলি ক্যানভাস বলেছেন: বিছনাকান্দি আর পাংথুমাই ঝর্না মে বি এই বছর বেশি পরিচিতি পেল, গত বছর গিয়েছিলাম সিলেট, তখন জানা থাকলে হয়ত যাওয়া হত ।এ বছর কতজনের ছবি দেখলাম বিছনাকান্দি আর পানহথুমাইতে, গতবছর কেন দেখি নাই,কিংবা পরিচিত কেউ যায় নাই
০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৩
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: এই বছর কিনা জানি না তবে গতবছর থেকেই মানুষ এই ব্যাপারে জেনেছে।
এই বিছানাকান্দি সম্পর্কে আমি জানি আমার এক আত্মীয়ের কাছ থেকে। তিনি সিলেটে একটি এনজিওতে কাজ করতেন, তার কাছে শুনেছিলাম, জাফলং এর পশ্চিম সাইড ধরে এগুতে থাকলে অনেক সুন্দর সুন্দর স্পট নাকি দেখা যায়। এর পরে একবার গেলাম পাংতুমাই ঝর্নাতে। এখানে মটরসাইকেল দিয়েও যাওয়া যায়। সেখানে গিয়ে শুনলাম সামনের কোন একটা জায়গায় সুন্দর একটা পাহাড়ি ছড়া আছে, অনেক বড় বড় পাথর বসে। আমরা সেদিনই যেতে চেয়েছিলাম, কিন্তু স্থানীয় সুত্রে জানতে পারি, যে ঐ দিন নাকি সেখানে গিয়ে তেমন কিছু দেখা যাবে না। 'হাট' বন্ধ
আমরা আর তেমন খোঁজ খবর করি নাই। পরে শুনলাম, তারা বিছানাকান্দির কথাই বলেছেন। এখানে প্রতি শুক্র এবং সোমবার একটা হাট বসে। তখন সীমান্ত খুলে দেয়া হয়। তখন একেবারে কাছ থেকে দেখা যায়। এই তারিখের ব্যাপারটা মাথায় ছিল না, কিন্তু আমরা ভাগ্যক্রমে শুক্রবারই গেলাম।
সামনে সুযোগ পেলে অবশ্যই ঘুরে আসবেন। অনেক ভালো লাগবে। অনেকদিন পর আপনাকে ব্লগে পেলাম। আশা করি ভালো আছেন। অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা রইল।
২৯| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:২৭
একে৪৭ বলেছেন: ভাই, ভ্রমন বর্ণনা পরতে ভালই লাগে। সাথে আপনার গল্পের মতো উপস্থাপন এটিকে আরও সুন্দর করে তুলেছে।
তবে ক্ষনে ক্ষনে মনে অনেক দুঃখ লাগছিল। এত সুন্দর জায়গাগুলি অল্পের জন্য ভারতের ভেতরে পরে গেল!!!
অনেকটা পথে অপরিচিত সুন্দরী দেখার মতো! দেখা যা, ছোঁয়া যায় না!! গেলেও বৈধ হয় না!!!
০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৫
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হ্যাঁ তা যা বলেছেন! সিলেটের এই সাইডে গেলে খুবই কষ্ট লাগে, আর মেজাজ খারাপ লাগে মিস্টার রেড ক্লিফ সাহেবের উপর। তৎকালীন সময়ে সবাই পশ্চিম সীমান্ত রক্ষায় যতখানি না তৎপর ছিল আমাদের এই পুব সীমান্তের প্রতি তাদের কোন মাথা ব্যাথা ছিল না।
৩০| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৫:১২
টুম্পা মনি বলেছেন: সবাই খালি বেড়াতে যায় কেনু ?
০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৪
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আমরা নিষ্ঠুর! যারা যেতে পারে না তাদেরকে দেখাইয়া আনন্দ পাইতে যাই। হাহাহাহাহাহ
৩১| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৫:৪১
আবু শাকিল বলেছেন: ফেবুতে আপনাদের সৌন্দর্য দেইক্কা হিংসা হইছিল।
তারপর অপেক্ষা করতেছিলাম কবে পামু আসল সৌন্দর্যের রহস্য।
অত:পর আমি পাইলাম ইহাকে পাইলাম!!
আমার পড়া সেরা ভ্রমন পোষ্ট।
বাংলায় যে এত রসবোধযুক্ত আছে আপনার ভ্রমন পোষ্ট পড়ে প্রমান পাইলাম।এখন
প্রতিটা ছবিতে প্রতিটা কথায় আপচুচ কাজ করছে!!
যাইতে মুঞ্চায় সৌন্দর্যের পাড়ে।
০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৩
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হাহা, শাকিল ভাই, আপনার মন্তব্য পড়ে সত্যি খুব ভালো লাগছে। আপনারা পড়ে আনন্দ পেয়েছেন দেখে পোষ্ট আপলোড করার কষ্টটা এখন আর পাচ্ছি না।
আগামী বার মাথায় রাখবেন, কোথাও যাবার আগে অবশ্যই বলব। পোষ্টে নয় আপনি যেন আমাদের সাথেই থাকতে পারেন, সেই ব্যবস্থাই করব।
শুভেচ্ছা রইল। মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
৩২| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:৫৮
জাফরুল মবীন বলেছেন: বহুবার সিলেটে গিয়েছি...আমার ছোট ভাই সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র ছিল।আমার প্রথম দেখা জাফলং,শ্রীপুর,তামাবিল জিরো পয়েন্ট,জৈন্তা জমিদার বাড়ি.....কে এখন আর আগের মত খুঁজে পায়না। জুলাইয়ের বর্ষাসিক্ত জাফলং বালুকায় ক্রিকেট খেলার কথা বেশ মনে পড়ে গেল!আহা কী সুন্দরই না ছিল!!!আপনার পোস্ট পড়ে নস্টালজিক হয়ে গেলাম!
খুব ভাল লাগল পোস্টটা পড়ে ভাই কাভা।ভাল থাকবেন।
০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:২৪
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মবীন ভাই। সিলেট আসলেই একটা অদ্ভুত সুন্দর জায়গা!!
৩৩| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:৫৬
আদিত্য মজুমদার বলেছেন: বাহ! অসাধারন। ছবিতেই এত সুন্দর লাগছে, না জানি বাস্তবে কতটা সুন্দর।
০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:১৭
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হয়ত বিশ্বাস করবেন না, বাস্তবে এর চাইতে কোটি গুন বেশি সুন্দর!
৩৪| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১২:৩৪
পার্থ তালুকদার বলেছেন: বিছনাকান্দিতে আমার যাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে । তবে আপনার বর্ণনায় মুগ্ধ হয়ে আবার যেতে ইচ্ছা করছে ভাই !!!
০২ রা অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:৪১
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ। জায়গাটা আসলেই একটু বেশি সুন্দর!
৩৫| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১২:৪২
অঘটনঘটনপটীয়সী বলেছেন: এত্ত সুন্দর!!! আমার এখনই যেতে ইচ্ছে করছে। কিন্তু সাথে যাওয়ার মানুষ নেই।
এত্তগুলা হিংসা, ভাইয়া।
০২ রা অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:৫৩
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হিংসা করলে কিন্তু আরো যেতে পারবেন না। তারচেয়ে প্রার্থনা করুন!! হাহা!
একদিন দেখবেন ঠিকই ইনশাল্লাহ যেতে পারবেন।
৩৬| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১:১৬
কথক পলাশ বলেছেন: অসম্ভব সুন্দর করে লিখেছেন ভাই। আমার জীবনের সেরা সময় কেটেছে শাবিপ্রবি'র ৫ বছর ৯ মাস। সিলেটের এমন কোন রাস্তা নেই যে হাঁটিনি। আপনার দুটি পোস্টে পরপর স্মৃতিকাতর মন্তব্য করলাম।
ছবিগুলো অসাধারণ হয়েছে।
০২ রা অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:০৮
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ পলাশ ভাই। আপনাকে আমার পোষ্টে পেয়ে সত্যি অনেক ভালো লাগছে। আপনাদের ভার্সিটিটাও অনেক সুন্দর! আসলে মেবি সিলেটের সবই সুন্দর!
৩৭| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৩:২৫
প্রবাসী পাঠক বলেছেন: অবশ্যই কাভা ভাই, আমাদের সফরসঙ্গী হিসাবে আপনাকে থাকতেই হবে। বড় ভাইয়ারা আমাদের গাইড দিয়ে নিয়ে যাবে এটাই তো স্বাভাবিক। আর বড় ভাই সঙ্গে থাকলে আমাদের আর কিছু নিয়ে চিন্তা করতে হবে না।
০২ রা অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:২৭
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হাহাহাহ! ঠিক আছে, আমরা সাথে করিয়া জন্ম সনদ নিয়া আসিব। বড় ভাই ছোট ভাই তত্ব তখনই দুধ কা দুধ অর পানি কা পানি হয়ে যাবে।
৩৮| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৪ ভোর ৬:০২
নীলব্যাধি বলেছেন: onek shundor ekta post
০২ রা অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:২৮
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ
৩৯| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:৫১
মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: নস্টালজিক হয়ে গেলাম। পৃথিবীতে সবচেয়ে সুন্দর বৃষ্টি হয় সিলেটে। আর কোত্থাও না।
সিলেট শহরকে খুব মিস করি। ক্যাম্পাসকে আরও বেশি এখন মাঝে মাঝে মনে হয় দুই চারটা কোর্স ড্রপ দিলে খারাপ হত না
০২ রা অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:০৪
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আরে!! প্রিয় ব্লগার! আপনাকে অনেক দিন পর ব্লগে দেখলাম। আমি তো ভাবলাম আপনি বুঝি ব্লগে আসাই ছেড়ে দিয়েছেন।
যাক, আপনাকে দেখে অনেক আনন্দ পেলাম।
হ্যাঁ সিলেটের অবস্থা দেখে আসার পর, আপনার জায়গায় আমি থাকলে হয়ত এমনটাই ভাবতাম।
ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা রইল।
৪০| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:১৮
রিমন রনবীর বলেছেন: ভাইয়া আমি রি না রিমন। রি হল রিসান।
ঈদানিং ক্যারিয়ারের ভিত শক্ত করার কাজে নিয়োজিত আছি। শক্ত হলেই আবার ব্লগে নিয়মিত হব
০২ রা অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:০৬
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ওহ! মিসটেক হো গ্যায়!!!!!!
ঠিক আছে। ক্যারিয়ার আগে! আশা করি দ্রুতই দেখা হবে!! শুভেচ্ছা রইল।
৪১| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:৪২
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: পুরো পোষ্ট যে কয়বার পড়লাম তার ঠিক নেই। বারবার লগিন করি আর একবার পড়ি। সবার মন্তব্য পড়ি মাগার নিজে মন্তব্য করতে পারি না। এখন মনে হচ্ছে মন্তব্যটা করতে পারবো।
প্রথমেই ইটালিক হরফের কথায় আসি। পেশায় সিভিল ইঞ্জিনিয়ার ভাইয়ের ড্রাইভার গাড়ি থামাও বিষয়ক কথার সাথে পোষ্টে কুন প্রমান পাইলাম না। যা পাইলাম সেটা তো বুমেরাং। দাদাদের ঝর্নার জল কিঞ্চিৎ বাড়িয়ে দেবার যে ছবি আপনি এখানে আপ্লোডাইছেন তাহাতে কি বুঝিবো যে জল দেখলেই আপনার ইয়ে চাপে? ;-) ( ছুট বেলায় পুকুরে স্নান করতে নামলে আমারও চাপতো)
বিছানাকান্দিতে বৃষ্টির মধ্যে ক্যামেরার মায়া ত্যাগ করে প্রকৃতির সাথে যুদ্ধ করে শুধুমাত্র আমাদের সাথে শেয়ার করার উদ্দেশ্যে, এজন্য আপনার পোষ্টেই আমিনুর ভাইকে ধন্যবাদ।
আর আপনার কথা কি কমু। আমি তো আপনের ফ্যান হইয়া গেছি। ভাবছি কুষ্টিয়ার গামছা কিইন্যা আপনের মতো মাথায় বাইন্দা বেরিয়ে যাই কোথাও।
০২ রা অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:১১
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: কি সর্বনাসের কথা!! আপনিও দেখি বাস আর নৌকার পার্থক্য বুঝেন না!! বেচারা তো বাসে এই ঝামেলা করেছে, নৌকায় না। আর আমি যা করেছি তা তো সৌন্দর্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলার প্রতিবাদের অংশ মাত্র!!
গামছা বাঁধা একটি সহি স্টাইল। ইহা বাধিয়া ঘুরুন! আরাম পাইবেন। রোদ হইতে বাঁচিবেন, ঘাম মুছিবেন আরো কত কি!!
এত কষ্ট করিয়া মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। আশা করি মধ্য পথে তেমন কোন বিড়ম্বনায় পড়েন নাই।
৪২| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:০৪
মিথিলা মাহমুদ বলেছেন: অসাধারন!!
০২ রা অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:১৩
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
৪৩| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:৪১
বোকামানুষ বলেছেন: আপনাদের ভ্রমণপোস্ট গুলো পড়লেই যাযাবর হইবার মন চাই
দারুন ভ্রমন পোস্ট আপনাদের মজার কাহিনী শুনে এবং ছবি দেখেই পুরাই হিংসিত, দুঃখিত
০২ রা অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:২৬
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আগামীবার আওয়াজ দিয়াই যামু। তখন আর হিংসা কইরেন না। হাহা
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য!
৪৪| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:১৯
আম্মানসুরা বলেছেন: পোস্ট যত ভালোই হোক না কেন মাইনাস দিলাম
এই পোস্ট আমার বরিশাল অনুভূতিকে আঘাত করেছে
কাভার ফাসি চাই
০২ রা অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:২৮
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হাহাহাহ! না মানে ব্যাপারটা লতিফ সিদ্দিক টাইপ আর কি। আপনেই না সমর্থন করলেন, তিতা হোক, বেটা হাচাই নাকি কইছে!
এখন আবার আমার ফাঁসি চান! ছি ছি! এমন আম্মানসুরাকে কি আমরা চেয়েছিলাম!!
৪৫| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০১
গৃহ বন্দিনী বলেছেন: ছবি গুলো পরিষ্কার না আসাতে জায়গাটার সৌন্দর্য সেভাবে বোঝা যাচ্ছে না । তবে রকম এ্যাডভেঞ্চারের ক্ষেত্রে স্থান - কাল কোন মূখ্য বিষয় না । মজাটাই আসল । এই রকম একটা জায়গায় পালায় যাইতে পারলে মন্দ হত না ।
কুনা ভাইজানের হ্যাটওয়ালা রেইনকোট জোস। কি সুন্দর খোলামেলা রেইনকোট ! আমার খুব পছন্দ হইসে জিনিসটা
১০ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১:২৮
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আসলে প্রবল বৃষ্টির এবং মেঘের মধ্যে এই ছবিগুলো তোলা হয়েছে। পাশাপাশি সামুতে আপলোড করার জন্য অনেক রেজুলেশন কমিয়ে মহা হ্যাপা নেয়া হয়েছে। ফলে ইমেজ কোয়ালিটিকে কিছুটা কম্প্রোমাইজ করতে হয়েছে।
কুনো ভাইজানের রেইনকোর্ট এর দাম ৩০ টাকা। তুমি চাইলে আওয়াজ দিও, ভাইজান তোমারে পৌছাইয়া দিবে নে
তবে বেশি খোলামেলা ভালো না রে মুমিনা!!!
৪৬| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:৩৫
কালো গুপ্তচর বলেছেন: প্রথমেই ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমার সিলেট নিয়ে এত সুন্দর একটা লেখা উপহার দেওয়ার জন্য।
আমি যদিও সিলেট থাকি কিন্তু বিছানাকান্দি এখনো যাওয়া হয়নি। আপনার লেখাটা পরে যাওয়ার আগ্রহ শতগুণে বেড়ে গেল। অচিরেই ঘুরে আসব ইনশাল্লাহ।
১০ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১:৩২
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। সিলেটে থেকেও যদি না ঘুরে আসেন, তাহলে সেটা অন্যায় হবে!
৪৭| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৫
একলা ফড়িং বলেছেন: বিছানাকান্দি! যাইতে মুঞ্চায় কিছুদিন আগে ডিপার্টমেন্টের এক জুনিয়র ব্যাচ, দেন ফেবুর এক সিনিয়র ভাই গ্রুপ আর তারপর আপনারা! ফেবুর ওয়াল ছবিতে ছবিতে পুরা বিছানাকান্দিময়! আর আমি হিংসাময়
আসলেই অনেক সুন্দর। আর মনে হচ্ছে বৃষ্টি ছিল বলেই সৌন্দর্যটা আরও বেশি মোহময় হয়েছে! ভাবছি যাওয়ার সুযোগ হলে কখনো যখন যাব তখন অবশ্যই খুব বৃষ্টি থাকতে হবে!!!
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:৪৬
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আসলে জায়গাটা সেদিন একটু বেশি সুন্দরই লেগেছিল। সো ফার যা জানি, বর্ষায় একরকম আর অন্য সিজনের সময় আরেক রকম, তবে পারসোনালি আমার কাছে বর্ষাকালই সেরা লেগেছে। ফলে বিভিন্ন ছবি এবং এর গল্প পড়ে হিংসিত হওয়া খুবই জায়েজ।
খুব দ্রুত যান, না গেলে এই সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যাবে। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৪৮| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১২:৪৬
অদ্বিতীয়া আমি বলেছেন: এত অদ্ভুত সুন্দর !!! ধোঁয়ার মত মেঘ দেখে মুগ্ধতা কাটছে না ! যদি কখনো যাই তবে বর্ষার সময় যেতে হবে ।
খুব মজার একটা ট্রিপ ছিল , পোস্ট পরেই বোঝা যাচ্ছে । অনেক দিন পর একটা মজার ভ্রমন পোস্ট পড়লাম ।
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:৫১
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অবশ্যই বর্ষার সময় যাবেন। এবং চেষ্টা করবেন দ্রুত যেতে। নইলে জায়গাটা নষ্ট হয়ে যাবে
আপনার ভালো লেগেছে খুশি হলাম। আশা করি ভালো আছেন।
৪৯| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:০৯
নিশাত তাসনিম বলেছেন: চমৎকার উপস্থাপনা ও বিবরণ । পোস্ট দারুণ লাগলো।
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:৫২
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই। শুভেচ্ছা রইল।
৫০| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৫:০২
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ঈদ মুবারক ভ্রাতা
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:৫৯
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ঈদ মোবারক অপূর্ন ভাই
৫১| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৭
সুমন কর বলেছেন: চমৎকার একটি ভ্রমণ পোস্ট পড়লাম এবং অাপনার সাথে অামরাও ঘুরে এলাম। সুন্দর সব ছবি। দারুণ।
কিছু লাইন মজার, পড়লাম এবং হাসলাম।
মামুন ভাইকে অনেক ধন্যবাদ, অাপনাদের এমন একটি মজাদার ভ্রমণে সাহায্য করার জন্য।
অামিনুর ভাইকে ধন্যবাদ, এমন সুন্দর ছবি তোলার জন্য।
শুরুর কাহিনী ব্যপক মজাদার হইছে।
দেখি একটি ভ্রমণ পোস্ট দিতে পারি কিনা !
পোস্টে ১৭তম ভাল লাগা।
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:০৭
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সুমন ভাই। আপনার ভালো লেগেছে জেনে আনন্দিত। অপেক্ষা করছি আপনার পোষ্টের জন্য। আর মামুন ভাইয়ের কথা কি বলব! তাকে ছাড়া আমাদের এই ট্রিপ হইতো না। আর ইঞ্জিন সাহেবের কাহিনী কষ্টকর হইলেও বাস্তব.......... অপারবাস্তব।
৫২| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২১
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
অসামান্য= অসাম
দু’জনের অসামান্য ফাইটের ফল হিসেবে ‘অসামান্য’ (ইংরেজিতে অসাম ) কিছু ফটো জাতি দেখতে পেলো.....
নিশ্চিতভাবে পুরস্কার পাবার মতো ছবি।
সিলেটের প্রতি আমার আজন্ম দুর্বলতা.... সেটিকে আরও বাড়িয়ে দিলেন
এবার যাই কই?
হুম, সিলেট।
শুভেচ্ছা জানবেন, প্রিয় কাল্পনিক ভালোবাসা ভাইজান.........
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:১১
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হাহা! অনেক ধন্যবাদ মাইনুল ভাই। দেশে এসে যখন যেতে চাইবেন তখন সাথে আমাকে অবশ্যই পাবেন।
আপনাকেও অনেক শুভেচ্ছা এবং ধন্যবাদ জানাই প্রিয় মইনুল ভাই।
৫৩| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:২৮
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: চমৎকার ছবি এবং ব্যপক মজাদার ,সুন্দর ভ্রমনকাহিনী । পড়ে অনেক ভাল লাগল!
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:১৪
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ লিটন ভাই। অনেকদিন পর আপনাকে পেলাম।
৫৪| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: এত সুন্দর ক্যা?
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:২৮
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ওয়েলকাম ব্যাক হামা ভাই। জায়গাটা আসলেই বেশি সুন্দর।
৫৫| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১২:৩০
অন্ধবিন্দু বলেছেন:
পাহাড় জল পাথরে সবুজের সুনিবিড় মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্য; আহা! কণায় কণায় লুকিয়ে আমাদের রানী-অপ্সরারা। রূপসুধা পানে রসিক পান্থ স্রোতের কলতানে ডুবুডুবু দৃশ্যে চড়ে প্রাণবন্ত উপস্থাপনায় মুগ্ধ করলো পাঠকের বর্ডারবিহীন হৃদয়।
উত্তেজনাময় ভ্রমণের ভার্চুয়াল সাথী হতে পেরে ভালো লাগলো,কাল্পনিক ভালোবাসা।ধন্যবাদ।
*ফটোগ্রাফারের হাত খুব একটা পাকে নি কিন্তু
২৬ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:২০
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনার ভালো লেগেছে শুনে আনন্দিত ভাই!!! সিলেটের বর্ডার সংশ্লিষ্ট এলাকায় পাহাড়ের সৌন্দর্য দেখে মাঝে মাঝে মনে হয়, আহা! মানুষের যদি কোন বর্ডার না থাকত!
৫৬| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:৫২
আরজু মুন জারিন বলেছেন: যার কেউ নাই, তার আছে সিলেট
আপনার হোম কি সিলেট এ ? আমার শ্বশুর বাড়ী সিলেটে। আপনার পোস্ট গুলিতে অন্যধরনের বিনোদন খুঁজে পাই। বলার ভঙ্গি ও চমত্কার। অনেক অনেক ধন্যবাদ চমত্কার ছবি সমৃদ্ধ পোস্টটির জন্য। শুভেচ্ছা রইল অনেক অনেক এবং তার সাথে সত্যিকারের ভালবাসা। ..কাল্পনিক না। ভাল থাকবেন কেমন।
২৬ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:২৩
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: নাহ! আপু আমার বাড়ি নোয়াখালী! সিলেট আমার খুবই পছন্দের স্থান।
পোষ্ট আপনার ভালো লেগেছে শুনে আনন্দিত আপনার জন্যও রইল অনেক শুভেচ্ছা এবং ভালোবাসা
৫৭| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১২:০৭
চটপট ক বলেছেন: মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি। সামনে সিলেট যাওয়ার প্ল্যান আছে। এই পোস্ট অনেক কাজে লাগবে। কাভা ভাইকে ধন্যবাদ এমন পোস্ট প্রসব করার জন্য । মামুন ভাইকেও ধন্যবাদ, সিলেটে বাড়ি বলেই তো জাদিদ ভাইরা সেখানে গেলেন আর আমিও এমন কাজের একটা পোস্ট পেলাম
সোজা প্রিয়তে ।
২৬ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৩১
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। সিলেট ঘুরে এসে আশা করি একটা পোষ্ট দিবেন!!!
৫৮| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৯:২৮
তুষার কাব্য বলেছেন: সেইরাম অভিজ্ঞতা ...এরকম পোস্ট এ আসলে তেমন কিছু বলার থাকেনা...শুধু দু'চোখ মেলে দেখতে হয় আর চোখ বন্ধ করে আফসোস করতে হয় (যারা যায়নি তাদের জন্য প্রযোজ্য..আমি কিন্তু গেছি )
২৬ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৩৩
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: সঠিক বলেছেন। যারা উপযুক্ত সময়ে যায় নি, তারা জানে না তারা কি মিস করেছে!!
আপনি যে বেশ ভালই ঘুরাঘুরি করেন, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না!!
৫৯| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:২৫
আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: অসাধারণ বর্ননা। প্রিয় সিলেট ভ্রমনের লেখাটা বড় ভালো লাগলো।
২৬ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৩৪
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ আপু!
৬০| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৫২
মধুমিতা বলেছেন: সিলেটে ছিলাম ৬ বছর। জাফলং আর মাধবকুন্ড ছাড়া কিছুই দেখা হয় নাই। আপনার প্রাঞ্জল বর্ণনা পড়ে একবার ঘুরে আসতে ইচ্ছা করছে।
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:১৪
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনি যে এই পোস্টে কমেন্ট করেছেন তা এতদিন আমি খেয়ালই করি নি! কি ভয়াবহ ব্যাপার।
এক বছর পর কারো কমেন্টের রিপ্লাই দিচ্ছি। মানইজ্জত সবই গেল
৬১| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:০৭
ভুল্কিস বলেছেন: পোষ্ট পড়ে অজ্ঞান হয়ে গেলাম, গত সপ্তায় পানসী'তে ডিনার হইছে!!! (সামুর ফা্ইভিষ্টার থাকলে সব দিতাম)
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:১৫
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ভাই এক বছর কমেন্টের জবাব দিতাছি। আর কিছু বলার নাই। :/
৬২| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:৪৪
নষ্ট অতীত বলেছেন: আমিনুর ভাই তো খুব দারুন ফটো খিচে, খুব চমতকার জায়গা। ধন্যবাদ মামুন ভাইকে এত সুন্দর জায়গায় আপনাদের ভ্রমনের সুযোগ করে দেয়ায়।
মজার ব্যপার হলো এই ছবি গুলো রাতে ঘুমাবার আগে দেখেছি। স্বপ্নে ও সারারাত নদী পাহাড় দেখে ঘুম থেকে উঠেছি। যাবার ইচ্ছে আছে। কারন যার কেউ নাই তার আছে সিলেট !
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:১৭
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন:
দুঃখিত এত পরে জবাব দেয়ার জন্য।
পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ শুভেচ্ছা জানবেন।
৬৩| ১৫ ই জুন, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৪
ঘুড়তে থাকা চিল বলেছেন: জুলাই ২১ এর প্লান হিসেবে সেট করে রেখেছি,আপনার লেখা পড়ে অনেকটা উপকার হলো
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৩২
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ঘুরে আসুন। আশা করি ভালো লাগবে।
৬৪| ১৩ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৩:৪৫
আমিভূত বলেছেন: একেবারে কেঁদে দিতে ইচ্ছে হচ্ছে :'( আমার কৈশোর আমার বেড়ে ওঠা কিন্তু এই বৃষ্টিকে দেখেই , আজও মনে হয় যদি থেকে যেতে পারতাম !!
"বৃষ্টিভেজা সিলেট পৃথিবীর অন্যতম সুন্দর স্থানগুলো মধ্যে একটি"
অসম্ভব সুন্দর উপস্থাপন ।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৩৬
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: এখন কি ঘরে বসে থাকাই হয়? নাকি বের টের হন?
৬৫| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৪১
সারাফাত রাজ বলেছেন: এই ঠা ঠা রোদ্দুরে এই বরষার বর্ণনায় শরীরে শিহরিত হলাম।
০৯ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:২১
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনি যে এই পোস্টে কমেন্ট করেছে, তা তো আগে খেয়াল করি নি!!!
৬৬| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৩২
অগ্নি সারথি বলেছেন: কাভা ভাই স্বীকার করেন আর নাই করেন, এই মানের লেখা আর আপনার কাছ হতে আসছে না।
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৪ রাত ২:৩২
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: পোষ্ট এডিট করতে পারছি না বিধায়, উল্লেখ্য করতে ভুলে গেছি যে বিছানাকান্দি থেকে ফিরে এসে রাতের বেলা মামুন ভাই পানসীতে খাওয়ালেন। আমরা আদায় করে নিলাম আমাদের অধিকার।
ফেরার পথে সিলেটের আরো বেশ কিছু ব্লগারদের সাথে দেখা হয়ে গেল। কিছুক্ষন জমজমাট আড্ডার শেষে উঠে পড়লাম ঢাকার গাড়িতে। এবারও বাসের নাম- এনা!