নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বহুদিন আগে কোন এক বারান্দায় শেষ বিকেলের আলোয় আলোকিত উড়ন্ত খোলা চুলের এক তীক্ষ্ণ হৃদয়হরনকারী দৃষ্টি সম্পন্ন তরুনীকে দেখে ভেবেছিলাম, আমি যাদুকর হব। মানুষ বশীকরণের যাদু শিখে, তাকে বশ করে নিশ্চিন্তে কাটিয়ে দিব সারাটি জীবন।

কাল্পনিক_ভালোবাসা

একদিন সব হাসির ময়নাতদন্ত হবে, ফরেনসিক রিপোর্টে লেখা থাকবে - সবই মিথ্যে।

কাল্পনিক_ভালোবাসা › বিস্তারিত পোস্টঃ

অল্প সময়ে ব্যবসা করে কোটিপতি হবার পদ্ধতি এবং বাঙালির ব্যবসায়ী স্বত্তা।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৬

সাবেক ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রধান গেইটের বিপরীতে যে রাস্তাটা বংশালের দিকে চলে গেছে তার নাম সাতরওজা। এই রাস্তার মাঝামাঝি রওজা শরীফের আশেপাশে বেশ কিছু বিরিয়ানীর দোকান আছে। এর মধ্যে একটি দোকান কাচ্চি বিরিয়ানীর জন্য খুবই বিখ্যাত। দোকানটির নাম কলকাতা কাচ্চি বিরিয়ানী। কাচ্চি বিরিয়ানীর সেরা স্বাদের জন্য প্রয়োজন ভালো সুগন্ধী চাল, মাঝারি ওজনের কম চর্বির খাসির মাংস এবং প্রয়োজনীয় মশলার উপযুক্ত ব্যবহার- যা এই দোকানের মালিক বেশ ভালো করেই অনুসরন করেন। বাড়তি হিসেবে আছে দোকানের কর্মচারীদের আন্তরিক ব্যবহার। ফলে আপনি যখন ক্রেতাকে গ্রহনযোগ্য দামে ভালো জিনিস খাওয়াবেন, তখন লাভ এবং সুনাম দুইটাই যৌক্তিক ভাবে চলে আসে। এই সুত্র অনুসরন করে সাত রওজার কোলকাতা কাচ্চি এখনও টিকে আছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে মুখোমুখি হয়েছে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতার।

গত বছরের দিকে এই দোকানটির অদূরেই একটি নতুন কাচ্চির বিরিয়ানীর দোকান চালু হয়। দোকানটির সাজসজ্জা এবং কর্মকর্তা, কর্মচারীদের মনোভাব কলকাতা কাচ্চির তথা ঐ অঞ্চলের যে কোন খাবারের দোকানের চাইতে বহুগুন আধুনিক এবং দৃষ্টিনন্দন। পাশাপাশি, খাবারের স্বাদ, গুণগতমান এবং পরিমান খুবই আকর্ষনীয়। ফলে চালু হবার অল্প দিনের মধ্যেই এই দোকানটি কলকাতা কাচ্চির বিরিয়ানীর সাথে দারুন প্রতিযোগিতা শুরু করে এবং অচিরেই একটি ভালো অবস্থানে চলে আসে, নতুন শাখাও তৈরী হয়। দোকানটির নাম গ্র্যান্ড নবাব। তাদের এই সাফল্যে দেখে আশেপাশের বেশ কয়েকজন দোকানদার গ্রান্ড নবাবের সাজসজ্জা প্রায় হুবহু নকল করে বিরিয়ানীর দোকান দেয়। নামগুলো অনেকটা এমন, গ্র্যান্ড সুলতান, গ্র্যান্ড শাহজাহান ইত্যাদি।

কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, এই দোকানগুলো চালুর কিছুদিন পরেই মুখ থুবড়ে পড়ে। কলকাতা কাচ্চি ঘর এবং গ্র্যান্ড নবাব মিলে সারা দিনে যদি ১০০০ প্যাকেট খাবার বিক্রি হয়, তাদের হয় ৫০ থেকে ১০০। আমি আনুমানিক একটা পরিসংখ্যান বললাম। গ্র্যান্ড নবাবের সাফল্য দেখে খাবারের দোকান দিয়েছেন এমন ব্যবসায়ীকে আমি কিছুটা ব্যক্তিগতভাবে চিনি। ভদ্রলোকের আয়ের মাধ্যম হচ্ছে পৈত্রিক সুত্রে প্রাপ্ত কিছু দোকানের ভাড়া এবং কয়েক বছরের প্রবাস জীবনে অর্জিত কিছু অর্থ।

গত বছরের শেষের দিকে তাঁর সাথে হঠাৎ আমার রাস্তায় দেখা হয়ে গেলো। অনুরোধ করলেন, এক কাপ চা খেতে। আমিও রাজি হলাম।কথাবার্তার এক পর্যায়ে তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, ভাই, আপনার তো বেশ জানা শোনা আছে, আমাকে কোন চালু ব্যবসার সন্ধান দিতে পারেন?
আমি কিছুটা বিস্মিত হয়ে জিজ্ঞেস করেছিলাম, চালু ব্যবসা মানে?
তিনি জবাব দিলেন, চালু ব্যবসা মানে, ধরেন বাজারে ভালো চলে, চাহিদা আছে বা ভালো লাভ হয় এমন কোন ব্যবসা।
আমি বললাম, আপনি তো ইতিমধ্যে খাবারের ব্যবসায় আছেনই। খাবারের ব্যবসায় তো অনেক লাভ।
তিনি বললেন, নাহ! ভাই। এত খরচ করে হোটেল দিলাম, কর্মচারীদের বেতনই মাঝে মাঝে উঠে না।
জিজ্ঞেস করলাম, বলেন কি? সমস্যা কোথায়?
তিনি বললেন, জানি না। আমার দোকানের ডিজাইন আর নবাবের ডিজাইনে কোন পার্থক্য নাই। খাবারের দামও বেশি রাখি না। টেস্টও ভালো। তাও কেন যেন আমারটা চলে না। ভাবতেছি, নতুন কোন ব্যবসা শুরু করব।
জিজ্ঞেস করলাম, কিসের ব্যবসা করবেন?
তিনি বললেন, জানি না, খুঁজতেছি। আপনারাও তো ব্যবসা করেন, আমারে একটা লাইন দেখান না।
আমি তেমন কিছু না বলে, হালকা আশ্বাস দিয়ে চলে আসলাম।

প্রিয় পাঠক, যে ঘটনাটি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম, মুলত তা হচ্ছে এই লেখাটির মুল ভাবনা। এই দেশে অধিকাংশ মানুষ কোটিপতি হবার স্বপ্ন নিয়ে ব্যবসা শুরু করে এবং প্রায় সকলেই অল্প সময়ে দ্রুত বড় ব্যবসায়ী হবার ইচ্ছা পোষন করেন। আশেপাশের মানুষদের জীবনযাত্রা, স্বচ্ছলতা, জীবনকে উপভোগের সুখী উদহারন যখন কারো ব্যক্তিগত আয়ে বাস্তবে প্রয়োগ করা সম্ভব হয় না, তখনই অধিকাংশ মানুষ ব্যবসা করতে আগ্রহী হয়। যার যত উপভোগের ইচ্ছা, তার তত দ্রুত বড়লোক হওয়া চাই। বেশিদিন উপভোগ করতে হলে, বেশি দিন বাঁচতেও হবে। বয়স দ্রুত বাড়ছে, সময় দ্রুত কমছে, তাই সবকিছু উপভোগের জন্য প্রয়োজন তাড়াতাড়ি বড়লোক হওয়া। যেদিন থেকে আপনি তাড়াতাড়ি বড়লোক হবার জন্য ব্যবসা শুরু করবেন, সেদিন থেকেই আপনার ব্যবসায় লস শুরু, আপনার নীতি, নৈতিকতা, মূল্যবোধ সবই হুমকির মুখে পড়বে। প্রতিনিয়ত আপনাকে যুদ্ধ করতে হবে মিথ্যা এবং প্রতারণার সাথে। এর প্রভাব আপনার ব্যক্তিজীবন থেকে শুরু করে সামাজিক এবং জাতীয় পর্যায়ে পর্যন্ত পড়ে। আমাদের অলক্ষ্যে রোপিত হয় দূর্নীতির বিষবৃক্ষ।

অথচ ব্যবসার মূল উদ্দেশ্য হতে পারে নিজের জন্য পরিশ্রম করা, ভালো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি করে অন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা। একটি দেশের শক্ত অর্থনীতির জন্য দরকার অনেক উদ্যোক্তা। শুধুমাত্র চাকরীজীবি সৃষ্টি করে একটি দেশের অর্থনৈতিক মেরুদন্ড শক্ত হয় না। ১৯১২ সালে ঐতিহাসিক চৈনিক বিপ্লবের বেশ কিছুদিন পর চীন সরকার তাদের দেশে ১২ বছর তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম বন্ধ রেখেছিলো। চীন সরকারের বক্তব্য ছিল, এত ছেলেমেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে কি করবে? কোথায় চাকরি পাবে? কেই বা চাকরী দিবে? এত হাজার হাজার বেকারকে চাকরী দেয়ার মত প্রতিষ্ঠান চীনে নেই। এই সময়টায় চীন তাদের ছেলেমেয়েদের নানা ধরনের ট্রেড কোর্সে আধুনিক প্রশিক্ষন দিয়েছিলো। স্বল্প মেয়াদী এই সব কোর্স শিখে চীনের ছেলেমেয়েরা স্বাবলম্বী হয়ে গেলো। প্রতিটি বাড়ি গড়ে উঠল একটা ছোট কারখানায়। পরিবারের সবাই সেখানে কাজ করে। বড় ফ্যাক্টরী করার আলাদা খরচ নেই। ফলে পন্যের উৎপাদন খরচ কমে গেলো। শুরু হলো চাইনিজ অর্থনীতির শক্তিশালী যাত্রা। বর্তমানে যে কোন পন্য স্বস্তায় উৎপাদন করার সক্ষমতায় তাদের ধারে কাছে কেউ নেই। পৃথিবীর প্রতিটি অঞ্চলে চাইনিজ পন্যের প্রসার বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে বিশ্ব বানিজ্যে চীন এক অপ্রতিরোধ্য পরাশক্তি। উপযুক্ত মুল্য দিলে তারা এমন জিনিস বানিয়ে দেবে যার গ্যারান্টি আপনি চাইলে ১০০ বছরও দিতে পারবেন।

কিন্তু দুঃখজনকভাবে আমাদের দেশের লেখাপড়ার প্রেক্ষাপট চাকুরীর জন্য নির্মিত। স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করা অবস্থায় আমাদের ছাত্রছাত্রীদের মনে অবচেতনভাবে চাকুরীর কথা প্রবেশ করিয়ে দেয়া হয়। নিজের পায়ে দাড়ানো, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি, উদ্যোক্তা সৃষ্টি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি-এই ধারনাগুলো খুব কমই রয়েছে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায়। পাশাপাশি আমাদের অন্তরে গেঁথে আছে, কাজের মুল্যায়নে জাত ও শ্রেণী চেতনা তথা কাজের উঁচু নিচু শ্রেনীবিভাগ। আমার এক আগের পোস্টে উল্লেখ্য করেছিলাম, এই দেশে ধনী পরিবারের একজন সন্তান বেকার থাকাকালীন সময়ে সমাজে যে সম্মান পায়, গরীব পরিবারের যে সন্তানটি পরিবারের স্বচ্ছলতার স্বার্থে অথবা একটু বাড়তি আয়ের জন্য যখন কোন ফাস্টফুড রেস্টুরেন্টে যখন ওয়েটার হিসেবে কাজ করে তখন সেই সম্মানের সিকিভাগও তিনি পান না। আমাদের কাছে সে শুধুই একজন সামান্য ওয়েটার। অথচ শিক্ষা বলে কর্মই সকল সম্মানের মানদন্ড।

আমরা যারা ব্যবসা করতে আগ্রহী, তারা অনেকেই জানি না, ব্যবসা শুরু ক্ষেত্রে আমাদের দুর্বলতা কোথায়? ব্যবসায়িক অভিজ্ঞতা কিভাবে অর্জন করা যায়, ব্যাংক থেকে কিভাবে অর্থনৈতিক সাহায্য পাওয়া যায়? এই পোস্টে এই সকল বিষয়ে সামান্য আলোচনা করা হয়েছে। যদি আগ্রহী কারো মানসিক শক্তি বৃদ্ধিতে কোন সাহায্য হয়, তাহলেই হয়ত কিছুটা সফলতার গন্ধ খুঁজে পাওয়া যাবে।

আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষের বিনিয়োগ ধারনা, বৈচিত্রতা এবং সৃজনশীলতা প্রায় শূন্যের কোথায়। এখানে ব্যবসা নির্ধারিত হয়, অন্যরা কি ব্যবসা করে সাফল্য পেয়েছে তাঁর ভিত্তিতে, নিজেদের দক্ষতা বা বুদ্ধিমত্তার ভিত্তিতে নয়। উদহারন আমার লেখার প্রথম অংশে।
বিষয়টি এমন নয় যে, যে ব্যবসা অন্য একজন ইতিমধ্যে করেছে, আপনি সেই ব্যবসা করতে পারবেন না। অবশ্যই আপনি অন্যকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে যে কোন ব্যবসায় আগ্রহী হতে পারেন। কিন্তু সেই ব্যবসায় বিনিয়োগের পুর্বে আপনাকে এর খুঁটিনাটি বুঝে নিতে হবে, অন্তত মোটামুটি ধারনা রাখতে হবে। ক্রেতাদের সেই গৎবাঁধাই পন্য কি দেবেন নাকি আরো কিছুটা আকর্ষনীয় করে উপস্থাপন করবেন, গুনগত মান আরো ভালো করবেন, সেটাও আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ন বিবেচ্য বিষয়। মনে রাখবেন, মানুষ ইতিবাচক পরিবর্তন পছন্দ করে। তাই যে কোন প্রচলিত ব্যবসায় যদি আপনি ইতিবাচক কোন পরিবর্তন এনে মানুষের আস্থা অর্জন করতে পারেন, তখন সফলতা একটি লজিক্যাল সিকোয়েন্স।

বিনিয়োগে সৃজনশীলতা শব্দটা হয়ত বহুল প্রচলিত নয়। তবে এর মুল অর্থ সম্পর্কে আমরা সকলেই জানি। বিনিয়োগের সৃজনশীলতা মানে হলো নিত্য নতুন বিনিয়োগের ক্ষেত্রে খুঁজে বের করা। সবাই যা করছে, গতানুগতিক ধারা অবলম্বন না করে, নতুন নিরাপদ বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রস্তুত করা। যেমন ধরুন, গুলশান বাড্ডা লিংক রোডে নতুন যে রাস্তাটি লেকের পাড় দিয়ে হাতির ঝিলের দিকে প্রবেশ করেছে, সেখানে বিকেলের দিকে অনেকেই বন্ধুবান্ধব বা পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসেন। এই মানুষজনের আসা যাওয়াকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি অনেকেই সেখানে স্ট্রীট ফুডের অস্থায়ী দোকান দিয়েছেন। সেখানে কি কি পাওয়া যায়? চা থেকে শুরু করে চটপটি, ফুচকা, হালকা ফাস্টফুড। ঐ রাস্তার একজন সাহস করে একটি ছোট্ট কফিশপ দিয়েছেন। সেখানে নানা রকম কফি অল্প দামে পাওয়া যায়। এই প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যত কি তা এই মুহুর্তে বলা সম্ভব নয়, তবে এটা সত্য যে আমি প্রতিনিয়ত সেই দোকানে বাড়তি ভীড় দেখি। এই দোকানটি হচ্ছে ঐ রাস্তার প্রেক্ষাপটে সৃজনশীল বিনিয়োগের উদহারন।

আমি শতভাগ নিশ্চিত, এই দোকানটি যদি সাফল্য লাভ করে, তাহলে এই দোকানের আদলে আরো বেশ কয়েকটি কফি শপ অচিরেই সেখানে গড়ে উঠবে। ব্যবসায় এতে প্রতিযোগিতা বাড়বে কিন্তু আন্তরিক এবং কৌশলি না হলে বিনিয়োগ শতভাগ ঝুঁকির মুখে পড়বে। বলাবাহুল্য, এখানে কোন কোটিপতি ব্যক্তি বিনিয়োগ করবেন না, এখানে বিনিয়োগ করবেন, ভাগ্য উন্নয়নে সুযোগ সন্ধানী সাধারন মধ্যবিত্ত মানুষ। এই মধ্যবিত্ত মানুষের বিনিয়োগ যদি ক্ষতিগ্রস্থ বা ঝুঁকির মধ্যে পড়ে তাহলে তাদের পাশে দাঁড়ানো জন্য কেউ নেই। সরকার তো দূরে থাক নিজের মানুষও এই সময়ে হয়ত মুখ ফিরিয়ে নেন। আমাদের বিশ্লেষকরা বলেন, অবকাঠামোর সমস্যা, গ্যাস-বিদ্যুতের সংকট এবং রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারনে দেশে বেসরকারী বিনিয়োগ বাড়ছে না। এটা হয়ত বড় ব্যবসা বা শিল্পের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য কিন্তু আমাদের মত মধ্যবিত্তের জন্য 'আস্থার' অভাবই হচ্ছে বিনিয়োগ করে যাওয়ার অন্যতম প্রধান কারন। প্রায় সকল ক্ষেত্রে বিনিয়োগ কমে যাওয়ায় দেশের ব্যাংকের তারল্য বাড়ছে। ব্যাংকগুলো এখন প্রচুর অলস অর্থ নিয়ে বসে আছে।

তাই তুলনামুলক কম ঝুঁকির বিনিয়োগের জন্য সবার আগে প্রয়োজন-
১) যে কাজে বিনিয়োগ করবেন, সেই কাজ সম্পর্কে আপনার পর্যাপ্ত অভিজ্ঞতা।
২) আলোচ্য বিষয়ে আপনার আগ্রহ বা প্যাশন।
৩) মার্কেট রিসার্চ।
৪) একটি সম্ভাব্য পাইলট প্রজেক্ট।
৪) সম্ভাব্য ক্রেতা সম্পর্কে ভালো ধারনা।
৫) কাস্টমার কেয়ার।

তত্বীয় কথা না বলে, কিছু বাস্তবিক উদহারন দিচ্ছি। ধরুন আপনি তৈরী পোষাকের ব্যবসা করতে আগ্রহী। আপনি মনে করছেন, তৈরী পোষাকের ব্যবসায় ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ আছে। আপনার ক্যাপিটাল ১০ লাখ টাকা। আপনাকে সবার আগে এই জানতে হবে এই ব্যবসার খুঁটিনাটি দিকগুলো। যেমন, তৈরি পোষাকের পাইকারি বাজার কোথায়, খুচরা বাজার কোথায়, পাইকারী এবং খুচরা বাজারের মধ্যে দামের পার্থক্য। যদি নিজে পোষাক প্রস্তুত করতে চান, তাহলে প্রয়োজনীয় কাঁচামাল আপনি কোথায় পাবেন, ফ্যাক্টরী কোথায় পাবেন। ফ্যাক্টরীতে কিভাবে অর্ডার দিতে হয় এবং আপনার তৈরীকৃত পোষাকের বাজার কোথায়?

বাজারে সকল বয়সী মানুষদের পোষাক পাওয়া যায় এবং আমাদের দেশে তৈরী পোষাকের চাহিদা ব্যাপক। ধরুন আপনি সিদ্ধান্ত নিলেন, আপনি বাচ্চা এবং মেয়েদের পোষাক বিক্রি করবেন। প্রাথমিকভাবে আপনি ঠিক করলেন, ঢাকার আশেপাশে অঞ্চলগুলোতে আপনি পাইকারীভাবে পোষাক কিনে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি করবেন। এই ক্ষেত্রে প্রথমেই আপনাকে সেই বাজারগুলোতে রেকি করতে হবে। সেখানে বিভিন্ন দোকানদার যারা ঢাকা থেকে পন্য কিনে আনেন তাদের সাথে যোগাযোগ করলেন, তাদের চাহিদা সম্পর্কে অবহিত হলেন। আপনার প্রস্তাবিত কিছু পন্যের নমুনা বা স্যাম্পল দেখিয়ে বাজার যাচাই করলেন। দিনশেষে দেখলেন, এখানে পোষাক সরবরাহ করতে পারলে দিন শেষে সকল খরচ বাদ দিয়ে পার পিসে নূন্যতম ৫/৬ টাকা প্রফিট করতে পারবেন। মার্কেট ধরার জন্য প্রথমে প্রচলিত স্টাইলে কিছুটা কম লাভ করলে ভালো। যদি কিছু অগ্রীম অর্ডার নিতে পারেন, তাহলে সেটা হবে এই পর্যায়ে আপনার সেরা অর্জন। এই অভিজ্ঞতাই আপনার আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধিতে দারুন সাহায্য করবে।

এরপর একটি ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে, ব্যাংকে আপনার প্রতিষ্ঠানের নামে একটি কারেন্ট একাউন্ট খুলে আপনার নির্ধারিত মুলধনের দশভাগের একভাগ সেখানে ক্যাপিটাল হিসেবে জমা দিয়ে ব্যবসায় নেমে পড়ুন। ধরে নিন, এই এক লাখ টাকা আপনার সর্বোচ্চ মুলধন। এই এক লাখ টাকায় আপনি বাচ্চাদের জন্য বিভিন্ন ক্যাটাগরীর প্রায় ১০০০/১৫০০ পিস পোষাক পাইকারীভাবে কিনতে পারবেন। সকল খরচ বাদ দিয়ে যদি প্রাথমিকভাবে নূন্যতম ৫ টাকা করে প্রফিট করতে পারেন, তাহলে ৫০০০ থেকে ৭৫০০ টাকা প্রফিট হতে পারে। যদি মাসে দুইবার পোষাক সরবরাহ করতে পারেন, তাহলে মাসিক লেনদেন দুই লাখ টাকা এবং প্রফিট ১০/১৫ হাজার টাকা। ছোট অবস্থায় এই লেনদেন এবং লাভ কোন অংশেই ছোট নয়। পাশাপাশি, ছোটবড় সকল লেনদেন আপনার ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমেই করুন। মাঝে মাঝে কিছু টাকা জমা দিয়ে, দুই একদিন পর তা আবার তা তুলে ফেলুন। এতে আপনার একাউন্টের বার্ষিক লেনদেন ভালো হবে, আপনার একাউন্ট প্রোফাইল ভারী হবে। যা ভবিষ্যতে খুবই্ কার্যকরী ভুমিকা পালন করবে। নিয়মিত ব্যাংকে যান, ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সাথে কিছুটা যোগাযোগ রাখুন। একজন ভালো নিয়মিত ক্লায়েন্ট হিসেবে ব্যাংকে আপনার পরিচয় নিশ্চিত করুন। মনে রাখবেন, পাইকারী বাজার, কাঁচা বাজারে যত বেশি ঘোরাফেরা করবেন, পরিচিত মুখ হবেন ও ভালো ব্যবহার এবং সৎ ভাবে কাজ করবেন ততবেশি ব্যবসায়ীদের আস্থা অর্জন করবেন।

এই পাইলট প্রজেক্ট যদি ৫০ ভাগও সফল হয়, ততক্ষনে এই খাতের অনেক খুঁটিনাটিই জেনে যাবেন। তখন বাজারের চাহিদা বুঝে আরো কিছু টাকা চাইলে বিনিয়োগ করতে পারেন। এটা হবে তুলনামুলক নিরাপদ বিনিয়োগ। পাশাপাশি, নতুন ক্রেতা এবং বাজার তৈরী করুন। একজন ভালো ব্যবসায়ী চেষ্টা করেন অল্প সময়ে তার মুলধনকে বার বার ব্যবহার করতে। যতবার মুলধনের সর্বোচ্চ ব্যবহার করবেন, ততবেশি লাভ হবে। তবে মনে রাখবেন, অতি লোভে তাতি নষ্ট।

এরপর ধীরে ধীরে আপনি মুল ব্যবসায় প্রবেশ করবেন। তবে কোনভাবেই আপনার নির্ধারিত মুলধনের অর্ধেকের বেশি আপনি এই পর্যায়ে বিনিয়োগ করবেন না। বাকি মুলধন হচ্ছে, আপনার রিস্ক নেয়ার সাহস। ব্যবসার সাথে ঝুঁকি জড়িত। তবে এই ঝুঁকিটা হতে হবে ক্যালকুলেটিভ রিক্স। আপনার ব্যবসা এক বছর অতিবাহিত হলে, যথাযত ক্রেতা তৈরী হলে, বাজার বড় হলে, আপনি ধীরে ধীরে পোষাক তৈরী সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করুন। চেষ্টা করুন প্রতিমাসে নূন্যতম ১০/১৫ হাজার পিস তৈরী পোষাক সরবরাহ করতে। মনে রাখবেন বড় স্কেলে পোষাক সরবরাহ পিস হিসেবে হয় না, ডজন হিসেবে হয়। হিসেবের সুবিধার জন্য পিস হিসেবে আলোচনা করছি। এই পর্যায়ে যদি সব খরচ বাদ দিয়ে আপনি ১০ টাকা পার পিস প্রফিট করতে পারেন, তাহলে মাসে প্রায় দেড় লাখ টাকা আপনি আয় করছেন।

আপনি চাইলে এই পর্যায়েই থাকতে পারেন অর্থাৎ ব্যবসা চাইলে নাও বাড়াতে পারেন। যদি আপনি আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে আরো উঁচুতে দেখতে চান, তাহলে আরো শেকড়ে যেতে হবে, অর্থাৎ পোষাক তৈরীর কথা চিন্তা করতে হবে। এই সংক্রান্ত সকল খরচ এবং তথ্য আপনি নিজেই জোগাড় করতে পারবেন। একটা ফ্যাক্টরী দেয়া মানে হচ্ছে আপনার নিজস্ব কিছু ক্রেতা প্রস্তুত, আপনার নিজের একটি শোরুম আছে এবং যেখানে আপনি পাইকারী ও খুচরা বিক্রি করেন। ঐ পর্যায়ে না গেলে, ফ্যাক্টরী দিয়ে বিপদে পড়তে হবে। প্রথমেই এক লাইনের (সাধারনত ২০ টা মেশিন নিয়ে এক লাইন তৈরী হয়) ফ্যাক্টরী না দিয়ে, আপনার প্রতিষ্ঠানের নামে দুই তিনটা পুরানো মেশিন নিয়ে পরীক্ষামুলক কাজ করতে পারেন। যদি আপনার নিজের অর্ডার এই দুই তিনটা মেশিনে না কুলায়, তাহলে আরো কিছু পুরানো মেশিন কিনতে পারেন। হাতে টাকা থাকলেও আপনি এই পর্যায়ে ব্যাংকের দারস্ত হতে পারেন।

ধরে নিচ্ছি, এই পর্যায়ে আসতে আপনার প্রায় তিন বছর সময় লেগেছে, এই তিন বছরে আপনার প্রতিষ্ঠানের মাসিক টার্নওভার ২ লাখ টাকা থেকে বেড়ে ২০ লাখ হয়েছে (মাসিক টার্নওভার মানে হচ্ছে একটি প্রতিষ্ঠান প্রতিমাসে কত টাকার লেনদেন করে)। অর্থাৎ বছরে প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ টাকা। যেহেতু আপনি দীর্ঘদিন ব্যাংকের সাথে সুসম্পর্ক রেখেছেন, আপনার মাধ্যমে ব্যাংক উপকৃত হয়েছে, ব্যাংকের ম্যানেজার আপনাকে ভালো একজন ক্লায়েন্ট হিসেবে চেনে। এই পর্যায়ে আপনি যদি এসএমই লোনের জন্য এপ্লাই করেন, তাহলে যোগ্য ব্যক্তি হিসেবেই ব্যাংক স্বউদ্যোগে আপনাকে লোন দিয়ে দিবে। এটা প্রায় শতভাগ নিশ্চিত। তবে বেশি টাকা লোন না নিয়ে, ৫ লাখ টাকা লোন নিয়ে তা দিয়ে মেশিনারী কিনে এক বছর ব্যবসা করে দ্রুত যদি সময়ের আগে ফেরত দিতে পারেন, তাহলে আপনি ব্যাংকের একজন সেরা কাস্টমার হিসেবে বিবেচিত হবেন। এই পরিচয়, এই ভালো সম্পর্ক খুবই গুরুত্বপূর্ন, যা ভবিষ্যতে কাজে দিবে। মনে রাখবেন, ব্যাংক কোন দাতব্য প্রতিষ্ঠান নয়। ব্যাংক নিজে একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান। ব্যাংকের কাছে আপনার আমার অর্থ গচ্ছিত থাকে। ইচ্ছেমত লোন তারা দিতে পারে না। দায়িত্বের ব্যাপার থাকে। যারা ব্যাংক লোন দেয় না বলে চিৎকার করেন, তারা সঠিক পদ্ধতি অনুসরন করেন না বলেই আমি শতভাগ নিশ্চিত। সঠিক কাগজপত্র থাকলে, নিয়ম অনুসরন করলে এবং ধৈর্য ধরলে ব্যাংক আপনার পিছনে দৌড়াবে।

এইভাবে আস্তে ধীরে আপনি ছোট ছোট টাইম ফ্রেম এবং পরিকল্পনা করে এগিয়ে যাবেন। একটা পর্যায়ে আপনার পরিশ্রম, ভালোবাসা, বুদ্ধি, মেধা, সততা এবং সর্বপরি যোগ্যতা দিয়ে হয়ত বড় একটি ফ্যাক্টরীর মালিক হয়ে যেতে পারেন। বিদেশী বায়ারের জন্য নিজে চেষ্টা করবেন, যোগাযোগ করবেন, বিজিএমই এর সাহায্য নিবেন। ১০ বছর পর যদি সব ঠিক থাকে তাহলে আপনার প্রতিষ্ঠানে হয়ত ১০/১২ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে।

মনে রাখবেন ব্যবসা মুলত একটি বটবৃক্ষের বীজের মত। ধীরে ধীরে তা মহিরূহতে পরিনত হয়। রাতারাতি বড়লোক হবার কোন বৈধ পদ্ধতি নেই। সম্প্রতি দেশের মানুষ সবচেয়ে বেশি ইনভেস্ট করছে খাবারের ব্যবসায়, আমদানি, রপ্তানিতে। কারন কথিত আছে, এই সকল ব্যবসা খুবই লাভজনক। অথচ প্রতিটি ব্যবসাই লাভজনক, যদি তা সঠিক পরিকল্পনায় করা যায়। তাই অভিজ্ঞতা থাকুক বা না থাকুক, কিছু বুঝুক বা না বুঝুক অন্যের দেখাদেখি অনেকেই ব্যবসায় বিনিয়োগ করছেন। কেউ সফল হচ্ছেন আবার কেউ মাঝপথে দিশা হারিয়ে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। সেই বিফল অংশকে মাথায় রেখে এই বিশাল বড় পোস্টটি লিখলাম। আশা করি এই উদহারন থেকে তারা ব্যবসা সম্পর্কে অল্প কিছু ধারনা পাবেন। এমন নয় যে, এই পোস্ট পড়ে সকলেই সফল ব্যবসায়ী হবেন, তবে সফল ব্যবসায়ী হবার ধাপগুলো সম্পর্কে হয়ত কিছুটা পরিষ্কার ধারনা পাবেন।

পাশাপাশি দেশের সরকারের কাছে আবেদন থাকবে, আমাদের দেশে মধ্যবিত্তদের কথা চিন্তা করে, বিনিয়োগের ব্যাপারে যথাযথ সচেতনতা এবং প্রশিক্ষন প্রদান করা। উদ্যোক্তা বৃদ্ধিতে সহায়ক শিক্ষা প্রদানের ক্ষেত্রে যথাযত পদক্ষেপ নেয়ার ব্যাপারেও সরকারের দৃষ্টি আকর্ষন করছি। পরিচিত অনেক মানুষ, ব্যবসা করার 'লাইন ঘাট' খুঁজে। তাদের কাছে অনুরোধ, অন্যের কাছে পরামর্শ না চেয়ে, নিজে একদিন মাঠে নামুন, সারাদিন আপনার পছন্দের ফিল্ডে ঘুরাঘুরি করুন, অন্যের কাছে জিজ্ঞেস করার চাইতে কোন অংশে কম জানবেন না। আর যা জানবেন, সেটাই আপনার ব্যবসা শুরুর অনুপ্রেরণা, মুলধন।

মন্তব্য ১২০ টি রেটিং +৪৪/-০

মন্তব্য (১২০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৫

পুলহ বলেছেন: প্রাথমিক ওভারভিউ হিসেবে খুবই কাজের পোস্ট। সহজবোধ্যভাবে মৌলিক কিছু কথা তুলে ধরার কারণে আগ্রহী অনেকেই পোস্টটি পড়ে উপকৃত হবেন।
আপনার বেশিরভাগ কথার সাথেই একমত।
শুভকামনা জানবেন ভাই !

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৫

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পুলহ ভাই। ব্যাংক সংক্রান্ত বিষয়ে আমার মতে আপনি আমার চেয়ে আরো ভালো ধারনা দিতে পারবেন। এটা মুলত প্রাথমিকভাবে যারা উৎসাহী তাদের জন্যই লেখা। তারা উপকৃত হলেই আমি খুশি।

২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২১

ভিটামিন সি বলেছেন: লাইক দিলাম।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৭

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

৩| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০১

নতুন নকিব বলেছেন:



দাদা,
আপনার সাথে তেমন একটা পরিচয় হয়নি। হয়নি বললে বোধ হয় কথাটা ঠিক হবে না। অাপনি আমার অনেক দিনের পরিচিত। কঠিন রহস্যময় এক হাসিমাখা মুখশ্রী আপনার। ভাল লাগা।

অনেক শ্রমের ম্যারাথন পোস্ট! সময় করে পড়ার ইচ্ছে রয়েছে।

ভাল থাকবেন নিরন্তর।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৪৭

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। পরে পড়ে আপনার মতামত জানাবেন।
শুভেচ্ছা রইল।

৪| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এমন নয় যে, এই পোস্ট পড়ে সকলেই সফল ব্যবসায়ী হবেন, তবে সফল ব্যবসায়ী হবার ধাপগুলো সম্পর্কে হয়ত কিছুটা পরিষ্কার ধারনা পাবেন।

এটা ঠিক বলেছেন। আপনার এই পোস্টের পুরোটাই মনোযোগ দিয়ে পড়লাম। বক্তব্যের সাথে দ্বিমত করার অবকাশ নাই। আমি নিজে চাকরি ও ব্যবসা দুটোই একসাথে করেছি। আমার অভিজ্ঞতা বলে, চাকরির চেয়ে ব্যবসা অনেক কঠিন ও শ্রমসাধ্য কাজ। আর ব্যবসা সবাই করতে পারে না। যেমন সবাই লেখক হতে পারে না। সবাই ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হতে পারে না। সবাই চাকরিও করতে পারে না। আমার এক মামাতো শ্যালককে দেখেছি অন্তত হাফ ডজন ভালো ভালো চাকরি পেয়েও সে করতে পারেনি। তার মূল সমস্যা, সে চাকরির পরিবেশের সাথে এ্যাডযাস্ট করতে পারেনা। তাই বলছি, জেনারেল কনসেপ্টের দিক থেকে বিবেচনা করলে আপনার এই পোস্টের বক্তব্য ১০০% সঠিক হলেও উপরের বোল্ড করা কথাগুলো সবার আগে মনে রাখা দরকার। সবাইকে দিয়ে সব কাজ হয় না।

মূল্যবান ও উপযোগী পোস্টের জন্য ধন্যবাদ কা ভা ভাই।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৫৫

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অবশ্যই চাকরীর চেয়ে ব্যবসা অনেক কঠিন এবং শ্রমসাধ্য ব্যাপার। আপনি সঠিক বলেছেন যে, সবাই ব্যবসা করতে পারে না। ব্যবসা করার জন্য প্রয়োজন ব্যবসায়িক মানসিকতা। আর আমার পোস্টটা সত্যি বলতে মোটা দাগে সাধারন প্রেক্ষাপট থেকেই লেখা।

আপনি কষ্ট করে পড়েছেন এবং আলোচনায় অংশ নিয়েছেন- আমার পোস্টকে মূল্যায়িত করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।

৫| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৮

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: আমি যখন ব্যবসায় নেমেছিলাম তখন আপনার এই পোস্টটা পেলে আজ ব্যবসায়ী হিসাবে পরিচিত থাকতাম।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৫৫

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: সুযোগ তো এখনও আছে ভাইয়া। আপনার নিক নামটাকেই না হয় অনুসরন করুন - অলওয়েজ ড্রিম।

৬| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৭

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: পড়লাম,
যাদের মাথায় ব্যবসায়ের পোকা ঢুকছে তাদের কাজে লাগ্লেও লাগতে পারে।

পোষ্টে +++ রেখে গেলাম।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৫৬

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। শুভেচ্ছা জানবেন।

৭| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:০১

ঢাকাবাসী বলেছেন: দারুণ ভাল পোস্ট, অনেকের কাজে লাগতে পারে। পোস্টে ++++++++

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৫৬

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া।

৮| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:১৪

প্রশ্নবোধক (?) বলেছেন: আপনার লেখায় ধ্রুব সত্য উঠে এসেছে। ধন্যবাদ আপনাকে।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৫৭

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ জানবেন।

৯| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৩০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: চমৎকার একটা পোস্ট। আমাদের দেশ বেকার সমস্যায় ভুগছে আমার মতে মূলত দুটি কারণেঃ

১। ব্যবসার কায়দাকানুনগুলো সবার জানা নেই। ফলে কেউ কেউ ব্যবসায় ঢুকলেও অল্প কয়েকদিনে ফতুর হয়ে আবার বেকার জীবনে নেমে পড়েন।

২। ব্যবসার প্রি অনীহা, ছোটো ব্যবসায় 'জাত' যাবার ভয়, ইত্যাদি। আজকাল ১ থেকে ৩-৪ লাখ যোগাড় করা খুব বেশি কঠিন না। এমনকি, কারো ঘরেই এর চেয়ে বড় অংকের টাকা আরামে ঘুমাচ্ছে, কিন্তু তারা এসব ব্যবসায় নামতে রাজি নন। ফলে বেকারদের সংখ্যা দিন দিন বাড়তেই থাকে।

এ ছাড়া আপনি যা বলেছেন, লেখাপড়া করে চাকরি করার অদম্য ইচ্ছা এবং চাকরি না পেয়ে বা চাকরি না করে প্রোডাক্টিভ কিছু করার প্রতি অনীহা তো আছেই।

খুব প্রাঞ্জল ভাষায় আর্টিকেলটি উপস্থাপন করেছেন। চাকরি-সন্ধানী বা ব্যবসা-সন্ধানী যে-কারো জন্য এটি একটি মূল্যবান গাইডলাইন হিসাবে কাজ করবে।

অনেকদিন ধরে কোনো স্টিকি পোস্ট দেখছি না। এ পোস্টটি জাতীয় পর্যায়ে গুরুত্ববহ মনে করছি। সবার নজরে যাতে সহজেই পড়ে, সেজন্য পোস্টটি স্টিকি করা যেতে পারে।

শুভেচ্ছা জাদিদ ভাই।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:০২

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: প্রিয় খলিল ভাই, আপনাকেও আন্তরিক ধন্যবাদ, আমার লেখাটিকে ইতিবাচকভাবে মূল্যায়ন করার জন্য। আপনার দুটো পয়েন্টই গুরুত্বপূর্ন। আসলে সবাই এমন ব্যবসা করতে চায় যেখান মাস শেষে নিশ্চিন্ত মুনাফা হবে অথচ ব্যবসায় লাভ ক্ষতি দুটোই হবে। এক সময় লাভ হবে, অন্য সময় ক্ষতি। আপদকালীন সময়ের জন্য কোন সঞ্চয় না রেখে পুরো মুলধন এক সাথে খরচ করার ফলে অনেকেই ক্ষতির মুখোমুখি হলে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেন না।

আশা করি আপনার শরীর ভালো আছে, আপনি এখন আগের চেয়ে সুস্থ আছেন। প্রার্থনা করি আপনি দ্রুত যেন সম্পুর্ন সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন।

১০| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:২৫

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: মনোযোগ দিয়ে পড়লাম, আপনার চিন্তা ভাবনা ভাল লেগেছে।
তরুণ ব্যবসায় উদ্যোক্তাদের জন্য অতি প্রয়োজনীয় একটি পোস্ট ।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:০৩

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ লিটন ভাই। আশা করি ভালো আছেন।

১১| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:১৯

জাহাজী বলেছেন: বড় লেখা, প্রিয়তে নিলাম সময় করে পড়ব।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:০৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ঠিক আছে, ধন্যবাদ জাহাজী।

১২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:১২

চাঁদগাজী বলেছেন:



কম কথায়, ব্যবসা নিয়ে অনেক প্রয়োজনীয় ব্যাপার তুলে ধরা হয়েছে, ভালো!

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:০৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ ব্লগার চাঁদগাজী। আপনার মূল্যায়নে খুশি হলাম।

১৩| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৫০

কালীদাস বলেছেন: এই পোস্টটা পারলে বাংলাদেশের সব সিজনাল শেয়ার ব্যাবসায়ীদের বাসায় বাই পোস্টে পাঠিয়ে দিতাম। শেয়ার মার্কেটের প্রথম জোচ্চুরিটা যখন হয় আমি তখন স্কুলে পড়ি, অনেকে সুইসাইডও করেছিল লসের ধাক্কা সামলাতে না পেরে। এটাই বাংলাদেশের ব্যবসায়ের কালচার, সবাই হুজুগের উপর চলে; ঠিক যেমন আপনাকে একজন প্রশ্ন করেছে এখনকার চালু ব্যাবসা কোনটা জানার জন্য। একটা জায়গায় টাকা ইনভেস্ট করার আগে যে একটু ঘাটাবে, ব্যবসাটা ভাল করে বুঝবে, সেটা না, আগে কেউ টাকা কামিয়েছে মানেই ঐ লাইনে খালি টাকার ছড়াছড়ি। আপনার রেস্টুরেন্টে এক্সাম্পলটাও ভাল হয়েছে।

চমৎকার সচেতনতা জাগানো পোস্ট।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:১০

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: শেয়ার বাজারে লস যে হবে, সেটা আমি গতবার বুঝার মত কন্ডিশনে না থাকলেও এইবার ঠিকই বুঝেছিলাম। আমার এলাকার মুদি দোকানদার পর্যন্ত শেয়ার ব্যবসা করছে। যা লাভ করছে, দিন শেষে এখন তার ক্ষতির পরিমানই বেশি। আপনি যা যেটা বললেন ভাইয়া, হুজুগের প্রতি আমাদের জাতিগত একটা আলাদা আগ্রহ আছে, সেটা অত্যন্ত তীব্র সত্য কথা।

আমাদের এখানে ভাইয়া, নীতি, নৈতিকতার ভ্যালু বেশ কম। সবাই অল্প পুঁজিতে বেশি লাভ খুঁজে। এর প্রভাব বাড়ি ভাড়া থেকে শুরু করে সিএনজি ভাড়া সবখানেই পড়ছে। কম পরিশ্রমে ধনী হবার প্রতিযোগীতায় অসুস্থ হয়ে যাচ্ছি।

আপনার মন্তব্য পেলে সব সময় ভালো লাগে, অনুপ্রাণিত হই। শুভেচ্ছা জানবেন।

১৪| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:১৯

কাবিল বলেছেন: তরুণ ব্যবসায় উদ্যোক্তাদের কাজে লাগতে পারে।
সবার নজরে আনতে পোস্টটি স্টিকি করা হোক।


ভাল পোস্ট।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:১১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ কাবিল ভাই। কৃতজ্ঞতা জানবেন।

১৫| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:৪০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
পড়লাম, আপনার ব্যাবসা নিয়ে লেখাটি ভাল লেগেছে।
তরুণ ব্যবসায় উদ্যোক্তাদের জন্য প্রয়োজনীয় হতে পারে, পরামর্শ দিতে পারবো।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:১৫

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ হাসান ভাই। রাজনৈতিক পোস্ট ছাড়া আপনার কাছ থেকে অন্য কোন টপিকে একটা লেখা চাই। :) খুব সম্ভবত আপনি প্রযুক্তি নিয়েও লিখেন!

১৬| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৫:২৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: একজন সফল ব্যবসায়ী হতে হলে শুরুতেই করনীয় বিষয়গুলি
সুন্দর উপমা সহকারে তুলে ধরা হয়েছে । সহজ সরল ভাষায় প্রকাশিত
উপমাটি এতই প্রাঞ্জল ও প্রাসঙ্গীগ হয়েছে যে, তা লিখাটির পরবর্তী
অংশে বর্ণীত কথামালাগুলিকে পদে পদে সমর্থন যুগিয়েছে ।

একটি সফল ব্যবসার জন্য তাত্বিক কথামালাগুলোকে গল্পচ্ছলে বাস্তব উদাহরণ দিয়ে প্রকাশের জন্য
যতটুকু অন্তর দৃস্টি দেয়া প্রয়োজন ছিল দেখা যায় সবই নিহীত রয়েছে লিখাটিতে ।

কি করলে ব্যবসা সফল হবে , একটি মুনাফাশ্রয়ী ব্যবসার জন্য কতটুকু ধৈর্য , অআন্তরিকতা , স্টেক
হোল্ডার রিলেশনশীপ অর্জন করা , বজায় রাখা ও তার থেকে কখন কিভাবে সুযোগ নেয়া যাবে
লিখাটিতে সকলি তার উঠে এসেছে একে একে ।

ব্যবসার জন্য অর্খায়ন , ক্যাপিটেল মেনেজমেস্ট , রিস্ক এনালাইসিস , মার্কেট টার্গেটিং ,
সেগমেন্টেশন ও পজিশনিং এ সকল তাত্বিক কথা গণ্পচ্ছলে অতি সাধারণ বোধগম্য ভাষায়
তুলে ধরা হয়েছে সাবলিল ভাবে ।

একটি সফল লাভজনক মার্কেটিং মিক্স সহায়ক সকল বিষয় যথা প্রোডাক্ট , প্রাইস , প্রমোশন , প্লেস
ও ব্যবসার সকল মাইক্রো এনভায়রনমেন্টের বিররন দেয়া হয়েছে প্রাঞ্জল ভাষায় উপমা সহকারে ।

প্রতিযোগীতা মুলক বাজারে নতুন কোন ব্যবসায় প্রবেশের আগে নীজ উদ্যোগে কিভাবে একটি মার্কেট
রিসার্চ পরিচালনা করতে হবে তারো একটি সুন্দর বিবরণ দেয়া হয়েছে এ সাথে ।

ব্যবসার অভিজ্ঞত্ বাড়ার সাথে সাথে কখন , কোন অবস্থায় কি ভাবে গ্লোবাল মার্কেটে প্রবেশ করা যাবে
তারো একটি সহজ বিবরণ দেখা যায় লিখাটিতে । কঠীণ তাত্বিক দিক এড়িয়ে সাধারনের জন্য বোধগম্য
করে অতি স্বল্প পরিসরে এমন গুরুত্বপুর্ণ একটি লিখনী লিখা সত্যিই এক অসাধারণ কাজ। লিখাটি তাই
প্রিয়তে গেল এটাকে বহুমুখী কল্যানের কাজে লাগানো যাবে বলে ।

সুন্দর এই মুল্যবান লিখনীটির জন্য অভীনন্দন রইল ।


২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:২৯

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনার মত একজন গুনী ব্লগারের মন্তব্য পেলে তা দারুন লাগে। এই ব্লগে খুব অল্প সংখ্যক ব্লগার এত বিশ্লেষন করে চমৎকার মন্তব্য করেন। আমি ব্লগার অন্ধবিন্দু, আহমেদ জী এস সহ আরো বেশ কিছু ব্লগারকে দেখেছি খুব চমৎকার মন্তব্য করতে। আপনিও আমার পছন্দের তালিকায় নাম লিখিয়েছেন। যদি আমার এই লেখাটি প্রাথমিক গাইড হিসেবে আগ্রহী কারো কাজে আসে তাহলেই এই লেখা প্রকৃত কাজে আসবে।

আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা রইল আমার ব্লগে আসার জন্য।

১৭| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৬:১১

একজন সত্যিকার হিমু বলেছেন: ওরে বাবারে সব পড়লাম ।ধন্যবাদ এমন চমত্‍কার উপকারী পোস্টের জন্য ।ভবিষ্যতে কাজে লাগবে ।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৩২

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। শুভেচ্ছা জানবেন।

১৮| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:১৬

ভাবুক কবি বলেছেন: নতুন ব্যবসায়ীদের জন্য অনেকিছুই শেখার।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে পড়ার জন্য।

১৯| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:১৯

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: চমৎকার এবং প্রয়োজনীয় একটি লেখা, প্রিয়তে তুলে রাখলাম।

ধন্যবাদ লেখাটির জন্য। ভাল থাকুন প্রিয় কা_ভা, শুভকামনা থাকবে সবসময়। :)

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৫

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয় বোকা মানুষ ভাই। আপনি পরীক্ষার ব্যবস্থার মাঝেও যে ব্লগে সময় দিচ্ছেন, সেটাই অনেক বড় ব্যাপার।
শুভ কামনা রইল।

২০| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৭

প্রামানিক বলেছেন: এমন নয় যে, এই পোস্ট পড়ে সকলেই সফল ব্যবসায়ী হবেন, তবে সফল ব্যবসায়ী হবার ধাপগুলো সম্পর্কে হয়ত কিছুটা পরিষ্কার ধারনা পাবেন।

পুরো পোষ্ট পড়েছি। নতুন ব্যবসায়ীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পোষ্ট। ধন্যবাদ আপনাকে। প্রিয়তে নিয়ে নিলাম।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৬

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় প্রামানিক ভাই। শুভেচ্ছা জানবেন।

২১| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৮

জুন বলেছেন: আমাদের দেশে কেউ যখন কোন ব্যবসায় সফল হয় তখন শত শত লোক সেই পথে গিয়ে তাকে ডুবিয়ে ছাড়ে । যেমন ডিশের ব্যবসা , ভিসিআর এর ব্যবসা ভিডিও গেমের দোকান আর মনে পরছে না এই মুহুতে কাল্পনিক ।
নতুন যারা বিজনেস শুরু করতে চায় তাদের জন্য কাজের পোষ্ট ।
+

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:০৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ঠিক বলেছেন জুনাপা। এখন শুরু হইছে আপা ফাস্টফুডের ব্যবসা, সিপি চিকেনের ব্যবসা ইত্যাদি।

আশা করি আপা আপনি ভালো আছেন। পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

২২| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:০৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম.. দারুন সহজবোধ্যতায় কঠিন বিষয়ের প্রঞ্জল উপস্থাপনা মুগ্ধকরল।

ভাল লাগল

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:০৫

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ বিদ্রোহী ভাই। শুভেচ্ছা রইল।

২৩| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:২১

দরবেশমুসাফির বলেছেন: আমার বাসা সাতরওজাতেই। বাসা থেকে নামলেই সারি সারি দোকান। নবাব , শাহি মুঘাল, সুলতান। যত যাই হোক নান্নাকে কেউ হারাতে পারবে না। সেটা বিরিয়ানির কোয়ালিটির কারনেই।

নান্নার সাফল্যের কারন কিন্তু তাদের কোয়ালিটিই। নবাব , শাহি মুঘাল, সুলতান এর অনেক কিছুই নান্নাতে নাই কিন্তু শুধু পন্যের কোয়ালিটির কারনেই নান্না উপরে।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৫৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আসলে খাবারের স্বাদ অবশ্যই ব্যক্তি বিশেষের রুচি এবং পছন্দের উপর নির্ভর করে। এটা নিপাতনে সিদ্ধ। নান্না'র মোরগ পোলাউ অতি অবশ্যই সুস্বাদু এবং মানসম্পন্ন।

২৪| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:২১

সামিয়া বলেছেন: আমার ইচ্ছে আছে কোন একদিন একটা কফি শপ করবো, ওপেন স্কাই কফি শপ। বিজনেসের জন্য না। ভালোলাগা।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৩২

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হা হা। খুবই রোমান্টিক পরিকল্পনা। শুভেচ্ছা রইল।

২৫| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৫

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
চমৎকার একটা লেখা।

সিজনাল ব্যবসায়ীরা এই লেখা পড়লে অনেক উপকৃত হবে।

প্রিয়তে নিলাম। :)

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:০৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। অনেক শুভেচ্ছা রইল।

২৬| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৩

কাছের-মানুষ বলেছেন: ব্যাবসার খুটিনাটি অনেক সুন্দর করে তুলে ধরেছেন । নিশ্চই অনেকে উপকৃত হবে বলে বিশ্বাস করি ।

আমি একটা জিনিষ এড করতে চাই আপনার সাথে সব কিছুর মুলে রয়েছে প্যাশন বা ভালবাসা । কোন কাজে যদি প্যাশন না থাকে সেটাতে যতই সম্ভবনা থাকুক না কেন তাতে ভাল করার সম্ভবনা নিতান্তই কম ! আমি মনে করি নিজের প্যাশন খুজে পাওয়ার আগ পর্যন্ত সব কিছুতেই চেষ্টা করা উচিৎ যদিও ব্যাপারটা আমাদের দেশের পেক্ষাপটে সব কিছু চেষ্টা করা একটু কঠিন কর্ম !

আমি ব্যাক্তিগত পড়াশুনা শেষ করে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে জয়েন করলাম বিশ্বের নামকরা একটা কম্পানিতে ! এখানে কাজ করাই একসময় আমার স্বপ্ন ছিল ! বছর ২ দুয়েক কাজ করার পর মনে হল আসলে আমার আসল প্যাশন এটা না , নিয়ম বেধে ৯টা ৫টা চাকরি করা আমার জন্য না ! আসল প্যাশন রিসার্চ বা গবেষণা, সেখানে অনেক ফ্লেক্সিবল মন চাইল আজ একটু কম কাজ করলাম আবার অনেক সময় সারারাত কাজ করলাম ! ! চাকরি ছাড়তে মায়া লাগলেও ছেড়ে পরিবারসহ পারি জমালাম বাহিরে !

নিজের কাজের প্রতি যতক্ষন ভালবাসা না জম্মাবে ততক্ষন কোন কিছুতেই ভাল করা সম্ভব না । আমাদের দেশে কর্মসস্থানের অভাবেই মানুষ খাবাবের ব্যাবসা বা দোকান দিয়ে বসে ! আসলে এগুলো দেশের অর্থনিতিতে কতটুকু ভুমিকা রাখতে পারে সেটা একটা গবেষণার বিষয় ! উৎপাদনশীল বিষয়ে বিনোয়োগ না করলে তাতে দেশের তেমন উপকার হবার কথা নয় !

সবাইকে উচ্চশিক্ষা গ্রহন করতে হবে আমি মনে করি না ! একটা সার্টেন লেভেল যেমন ইন্টারমিডিয়েট পর্যন্ত পড়ে কর্মমুখি বিভিন্ন প্রশিক্ষন নেয়া দরকার !

লেখাটা সময় উপযোগী , ভাল লেগেছ।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৪৬

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: খুব চমৎকার একটি মন্তব্য করেছেন, আপনার বক্তব্যের সাথে পুর্ন সহমত। কর্মমুখী শিক্ষাটা ভীষন প্রয়োজন। বিশেষ করে গ্রামীন মেয়েদের শিক্ষা উচ্চ শ্রেনী পর্যন্ত বিনামুল্যে করার পাশাপাশি তাদেরকে কর্মমুখী শিক্ষাটা দিলে জাতি বেশি উপকৃত হতো।

২৭| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:২১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমাদের দেশের লেখাপড়ার প্রেক্ষাপট চাকুরীর জন্য নির্মিত। স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করা অবস্থায় আমাদের ছাত্রছাত্রীদের মনে অবচেতনভাবে চাকুরীর কথা প্রবেশ করিয়ে দেয়া হয়। নিজের পায়ে দাড়ানো, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি, উদ্যোক্তা সৃষ্টি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি-এই ধারনাগুলো খুব কমই রয়েছে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় !

এইটাই কঠিন সত্যি আমাদের জন্য ,আমি নিজে ও এই ধারা থেকে ছাত্রজীবনে বাইড়েছিলাম তা না যদিও ।

আমার খুব ইচ্ছা একজন ব্যাবসায়ী হবার ক্ষুদ্র একজন ,আপনার পয়েন্ট এর অনেকগুলি মনে আছে কিছু যোগ হল ।

লেখায় ভালোলাগা !

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:২৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: প্রিয় মনিরা আপা, আপনাকে আমার ব্লগে পেয়ে খুব ভালো লাগল। আজকে সিএনজিতে একজন ড্রাইভার তার মেয়ের গল্প করছিলেন। মেয়েটা পড়াশোনার পাশাপাশি ঘরে বসে প্লাসটিকের ফিতা দিয়ে ব্যাগ তৈরী করে বাজারে সাপ্লাই করে। নিজের বাবাকে এই শীতে একটা নতুন সুয়েটারও নাকি কিনে দিসে ক্লাস এইটে পড়া মেয়েটা। সিএনজি ড্রাইভারের কন্ঠে যে গর্ব আমি শুনেছি, সেটা অসাধারন, চোখে পানি আসে।

তৃনমুল পর্যায়ে আমাদের মেয়েদেরকে বিনামূল্যে বিএ না পড়িয়ে যদি কিছু সাধারন শিক্ষা + ট্রেড কোর্স করানো যেতো, এই দেশের অর্থনৈতিক চেহারা পরিবর্তন হয়ে যেতো। কিন্তু আফসোস আপা, আমরা তা পাচ্ছি না।

২৮| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৩:০০

আদর্শ সৈনিক বলেছেন: কাভা ভাই, আপনি কি ব্যবসায়ী?

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:২৫

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হ্যাঁ, পারিবারিকভাবে ছোটখাটো ব্যবসার সাথে জড়িত।

২৯| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:০৫

রাতুল_শাহ বলেছেন: মনে হচ্ছে- এটা আমার জন্যই পোস্ট।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:২৬

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আরে বাহ! তাই নাকি!! যদি কোন কাজে আসে তাহলে সেটা খুবই কাজের ব্যাপার হবে।

৩০| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৩৪

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: প্রিয়,
কাল্পনিক_ভালোবাসা ভাইয়া,

বর্তমানে আমি প্রথম পাতায় ব্যান খেয়ে বসে আছি। অনেকে সহানুভূতি জানিয়েছে। আপনার সহানুভূতিও আমাকে ব্লগিং করতে আরো উৎসাহিত করবে বলে আমার বিশ্বাস।

যদি পারেন আমার জন্য একটু সহানুভূতি প্রকাশ করেন। আমি আশায় আছি, হয়ত অল্প সময়ের মধ্যে আমি ব্যান থেকে মুক্ত হতে পারব।

ভালো থাকবেন।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৪৮

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: কেন যে এই সব কমেন্ট ব্যক্তিগত ব্লগে এসে করেন ভাই। :( এখানে মুলত আমি একজন ব্লগার। পোস্ট দিলে অনেকেই এসে অভিযোগের কথা বলেন, তাই ইদানিং পোস্ট দেয়ার আগ্রহ খুঁজে পাই না। আপনি ফিডব্যাকে মেইল করেছেন, দেখেছি। একটা সুনির্দিষ্ট নীতিমালার আওতায় আপনি আমি আমরা সবাই আছি। তাই আমি মনে করি, আপনি সুনির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দ্রুত স্বাভাবিক ব্লগিং সুবিধা ফিরে পাবেন।

৩১| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৮

মধুমিতা বলেছেন: লেখাটা দারূণ হয়েছে। সত্যিই বলেছেন- আমাদের দেশে ব্যবসায়িক সৃজনশীলতা খুবই কম। ++++

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৪৬

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় মধুমিতা ভাই। আপনাকে আমার ব্লগে পেলে সব সময়ই ভালো লাগে, অনুপ্রাণিত হই।

৩২| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৪০

রায়হান চৌঃ বলেছেন: অনেক ভালো লিখেছেন জাদিদ ভাই, বেশ কিছুদিন ধরে ই চিন্তা ভাবনায় ডুবে আছি, আপনার লিখাটা আমার জন্য বলতে পারে টনিক এর মতো ই কাজ ইনশাআল্লহ :), ভালো থাকবেন

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৪৬

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। আশা করি ভালো আছেন। যদি আপনার কোন উপকারে আসে তাহলে আমার পরিশ্রম সার্থক হবে।

৩৩| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৩০

রানা আমান বলেছেন: আপনার পোস্টের পুরোটাই মনোযোগ দিয়ে পড়লুম। আগেই পড়েছিলুম কিন্তুু অজানা কারনে সামুতে লগইন করতে না পারায় কোন মন্তব্য করতে পারছিলুম না । চমৎকার একটি পোস্টের জন্য ধন্যবাদ কা _ভা ভাই। পোস্টে ++++++++

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৫

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: পড়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা জানবেন।

৩৪| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:১১

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: আপাদত প্রিয়তে নিয়ে নিলাম!:)

সময় করে মতামত জানিয়ে যাব!:)

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:১১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। :)

৩৫| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:২৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: মূল্যবান পোস্ট। প্লাস + + এবং "প্রিয়"তে।
অধ্যবসায় ছাড়া ভাল ব্যবসায়ী হওয়া যায় না। সাথে অবশ্যই থাকতে হবে সততা এবং নৈতিক মূল্যবোধ। যারা দু'হাত খাটিয়ে জীবিকা অর্জন করে, আমি তাদেরকে কলম পেষা কর্মজীবিদের চেয়ে বেশী শ্রদ্ধা করি। কারণ ঘাম রুজিকে পরিশুদ্ধ করে দিয়ে যায়, কলম অনেক সময় তা দূষিত করে থাকে।
এমন নয় যে, এই পোস্ট পড়ে সকলেই সফল ব্যবসায়ী হবেন, তবে সফল ব্যবসায়ী হবার ধাপগুলো সম্পর্কে হয়ত কিছুটা পরিষ্কার ধারনা পাবেন। -- অত্যন্ত সহজ সরল ভাষায় এমন একটা পরিষ্কার ধারণা দিয়ে যাবার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
ইতি সামিয়া এর ভাল লাগার প্রকল্প ওপেন স্কাই কফি শপ এর জন্য অগ্রিম শুভকামনা জানিয়ে গেলাম। চালু হবার খবর পেলে অবশ্যই একদিন যাওয়ার আশা রাখি।
কাছের-মানুষ এর মন্তব্যটা (২৬ নং) খুব ভাল লেগেছে।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:১২

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয় খায়রুল আহসান ভাই। আপনার মূল্যায়ন আমার পরিশ্রমকে সার্থক করেছে। আপনার এবং পরিবারের সকলের জন্য রইল অনেক শুভেচ্ছা।

৩৬| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৩৬

জেন রসি বলেছেন: কোলকাতা কাচ্চিতে খেয়েছি অনেক। তবে গ্র্যান্ড নবাবে যাইনি কখনও।

যাইহোক, পোস্টের মূল থিম নিয়ে কিছু বলি।যেকোন ব্যবসা করার একটা কমন উদ্দেশ্য হচ্ছে খুব দ্রত বেশী মুনাফা অর্জন করা। এবং সেটা করার সবচেয়ে ইফেক্টিভ উপায় হচ্ছে উন্নত প্রোডাক্ট বা সেবা প্রোভাইড করা। আর ভোক্তাদের বিশ্বাস অর্জন করতে পারলে ব্যবসা খুব সহজেই দাঁড়িয়ে যাবে।

তা না হলে বিকল্প কিছু পেলেই ভোক্তারা মুখ ফিরিয়ে চলে যাবে। তাদের ধরে রাখতে হলে ইমোশ্যনালী কানেক্ট করতে হবে।

ভালো পোস্ট।


০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৬

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: সঠিক বলেছেন। অল্প সময়ে বেশি মুনাফা অর্জন বোধ করি সহি ব্যবসা পদ্ধতি নয়। বরং আপনার বিনিয়োগের সর্বোচ্চ সঠিক ব্যবহার করে মুনাফা করাই প্রকৃত ব্যবসার লক্ষ্য। দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা না হলে ব্যবসা করে সফল হওয়া যাবে না। আপনি অবশ্যই সঠিক বলেছেন যে ভোক্তাদের বিশ্বাস অর্জন করতে না পারলে ব্যবসা চলবে না। এই বিশ্বাস দীর্ঘমেয়াদী হওয়া প্রয়োজন।

৩৭| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:৫৯

বর্ষন হোমস বলেছেন:


কাজের পোষ্ট। কয়েকবার পড়ে রাখলাম।আশা করি কাজে লাগবে একসময়।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:১১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ বর্ষন। শুভেচ্ছা রইল।

৩৮| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৪

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন: ভাই কেমন আছেন?

অনেক দিন পর । তবে লেখাটি পরে ভালো লাগল । নিজেও ব্যবসা করব ঠিক করেছি । যেহেতু এখন ও ছাত্র তাই অল্প অল্প ধারনা নিচ্ছি । ছোট খাট চাকরি করছি ।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:১৩

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: চমৎকার। আপনার জন্য অগ্রিম শুভ কামনা রইল।

৩৯| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:২০

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: আমার লেখাগুলো চুরি হয়ে যাচ্ছে!! উপদেশ পরামর্শ থেকে থাকলে সাহায্য করুন প্লিজ
বিস্তারিত

৪০| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৩:৩৪

অন্ধবিন্দু বলেছেন:




প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা সঞ্চিত দারুণ পর্যবেক্ষণ আপনার। শেখার আছে এখান থেকে। কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা, আমাদের অলক্ষ্যে রোপিত দুর্নীতি, গ্লোবাল পরাশক্তি মানসিক শক্তি, বিনিয়োগ ব্যাংকিং, বটবৃক্ষের বীজের ইত্যাদি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও সরাসরি সংশ্লিষ্ট বিষয় উঠে এসেছে।

উপভোগের ইচ্ছার সাথে দ্রুত বড়লোক হবার মনোবাসনা প্রবৃত্তির ইতিহাস পুরনো, রোমান সময়ের পিয়নিক ওয়ার বা এর আগেও আমরা চলে যেতে পারি। এখনো আমরা যুদ্ধ করেই চলছি কোন-না কোনোভাবে। হ্যাঁ! সভ্যতা এগিয়েছে। কিন্তু ত্যাগী বিনিয়োগ খুব একটা বাড়েনি। এর সাথে নীতি, নৈতিকতা, মূল্যবোধের লড়াইয়ে আমরা কজনই-বা সচ্ছল হয়ে ওঠতে পেরেছি!সাথে অবশ্য পারিপার্শ্বিক সমগ্র অবস্থার মূল্যায়নতো করতেই হয়।

চীনের ৬৬ থেকে ৭৬ সাংস্কৃতিক বিপ্লব সময়কালে উচ্চ-শিক্ষায় বড় ধরনের একটা ক্ষতি হয়। এছাড়া আপনার উল্লিখিত চাইনিজ অর্থনীতির শক্তিশালী যাত্রার এই পেক্ষাপট টি অত্যন্ত বিতর্কিত। ব্যাপারটাতে বিশদ ব্যাখ্যার রয়েছে। আজকে এ আলোচনায় যাচ্ছি না। মূলভাবনায় থাকি :-)

খুব যথার্থ বলেছেন। বিনিয়োগ ধারনা, বৈচিত্রতা সৃজনশীলতা বা নতুন বিনিয়োগের ক্ষেত্র খুঁজে বের করাটা জরুরী। পরিস্থিতির প্রয়োজনবোধ প্রখর করাটা জরুরী। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা কি এতদ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়, যখন লেখাপড়ার প্রেক্ষাপট চাকুরীর জন্য নির্মিত! এই যে ছাত্রছাত্রীদের মনে অবচেতনভাবে চাকুরীর কথা প্রবেশ করিয়ে দেয়া হচ্ছে বললেন, সেতো আমাদের সামাজিক মানসিক চিন্তাপ্রণালীরই দুর্বলতা বা ব্যর্থতা। কাজের মূল্যায়নে জাত শ্রেণী চেতনা কাজের উঁচু নিচু শ্রেণীবিভাগ এর কথা উল্লেখ করলেন। এ যেন আধুনিক বর্ণাশ্রম প্রথারই সুযোগ নেয়া আর স্বার্থ-সংকীর্ণময় দৃষ্টিভঙ্গির বড় ধরনের উদাহরণ। একে আমি মানসিক উগ্রতাও বলবো।

কিছু বাস্তবিক উদাহরণ দিতে যেয়ে আমাকে পোশাকের ব্যবসায় নামিয়ে দিলেন, আমি মুগ্ধ হয়ে পড়ছিলুম। মনে হচ্ছিল পারা যাবে, মানসিক শক্তি বৃদ্ধি হচ্ছিল বটে! এখন যদি হঠাৎ আমার এ সকল বিনিয়োগ ক্ষতিগ্রস্ত বা ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যায় তাহলে আপনার কথামত নিজের মানুষও মুখ ফিরিয়ে নেবেন! অর্থাৎ আমি কিন্তু রিক্স ক্যালকুলেশন করাটাও কিছুটা শিখে গিয়েছি পোস্ট পড়ে। এবং আস্থা অর্জনের ও বিনিয়োগের ব্যাপারে লাইন ঘাট' খুঁজার প্রেরণা পেলুম। ধন্যবাদ, আপনার কাছ থেকে আর পরামর্শ চাই নে, এবার নিজেই মাঠে নামবো! হাহ হাহ হা।

রাতারাতি বড়লোক হবার ভ্রান্ত স্বপ্ন ছাড়তে হবে এবং এমন কোনও বৈধ পদ্ধতিও নেই প্রায়, সহি পরামর্শ। খুব বুঝেশুনে এগুতে হবে। ট্র্যাডিশনাল চাইনিজে চায়নার লিয়াওনিং এ একটা কথা আছে সম্ভবত, ‘য্যয় লিও’ মানে লেগে থাকো। লেগে থাকতে হবে আসলেই। আচ্ছা, রবিঠাকুরের একটা গল্পে উনি এভাবে অনেকটা বলছিলেন, বিদ্যা যত বাড়ে ততই নাকি জানা যায় কিছুই জানি না, টাকারও নাকি সেই দশা, যত বাড়ে ততই নাই বলে মনে হয়। তো কেমন হবে! :-&

ধন্যবাদ, জনাব। লিখাটি অনেকের উপকারে আসবে বলেই আমার যথাবিহিত বিশ্বাস। মঙ্গল হোক আপনার।

৪১| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৯

নতুন বলেছেন: ভাই আমার লোগ ডিজাইনের জন্য কাউকে খুজছিলাম... আপনার কি কেউ আছে যারা এই কাজ করে থাকে?

৪২| ০৩ রা মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:০৯

বর্ষন হোমস বলেছেন:
ভাই আমার না টা চেঞ্জ করতে চাচ্ছি।একটু হেল্প করতে ভাল লাগত।

৪৩| ২১ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৩

কাল্পনিক কামিনী বলেছেন: ব্যবসায়ীদের জন্য গুরুত্বপুর্ণ পোস্ট।

৪৪| ২২ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৫

নতুন নকিব বলেছেন:



বলেছিলেন, 'পরে পড়ে আপনার মতামত জানাবেন।'

আর আসার সুযোগ হয়ে ওঠে নি। যাই হোক, আপনার পোস্টটি এক কথায় অসাধারন!

অফটপিক: দাদা, দয়া করে যদি জানাতেন, আমার ব্যাপারে আপনার পর্যবেক্ষন কি? প্রথম পাতায় লেখা যাওয়ার পারমিশন কি আশা করতে পারি?

শুভেচ্ছা নিরন্তর।

২৩ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৫

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ, পুনরায় আমার পোস্টটিকে মুল্যায়ন করার জন্য।

অটঃ আমার জানামতে আপনি বর্তমানে পর্যবেক্ষনে নেই। প্রথম পাতায় লেখার সুযোগ রয়েছে আপনার। মনে রাখবেন, প্রথম পাতায় লেখার সুযোগ পেতে হলে প্রকাশিত বিষয়বস্তুর বৈচিত্রময়তা থাকা প্রয়োজন।

৪৫| ২২ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৪

মুশি-১৯৯৪ বলেছেন:

প্রত্যেক যুগেই কিছু লোক থাকে মডার্ন আবার কিছু আনমডার্ন।
এটা অনেকটা প্রগতি আর প্রতিক্রিয়ার মত । আর মডার্নিটির সজ্ঞা আমার কাছে হচ্ছে ‘এটিচুড’। যিনি সততার সাথে কাজ করে যান। প্রত্যেক যুগেই কিছু ভালো মানুষ থাকে আবার কিছু মন্দ মানুষ থাকে। অর্থাৎ এমন নয় যে পৃথিবীতে মানুষ একসময় সবাই মন্দ ছিলো আর এখন আমরা সবাই ভালো। আবার ,আগে সবাই ভালো ছিল আর এখন সবাই মন্দ হয়ে গেছি এরকমও নয়।
ব্যবসায় মন্দ মানুষগুলোকে পাশ কাটিয়ে মডার্ন মানুষগুলোর কাছে পৌঁছানোটাই আমার কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ।

আগেকার যুগ ছিলো অন্ধকার যুগ আর এখন আলোকের যুগ, এটা ঠিক নাও হতে পারে। অর্থাৎ আলো অন্ধকার দিবালোক আর রাত্রির মত জড়াজড়ি করে থাকে । ব্যবসা করতে গেলে এই আলো আর অন্ধকার চেনাটা খুবই জরুরী ।

৪৬| ২৩ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:৪০

আশাবাদী অধম বলেছেন: একবারে পড়ে শেষ করতে পারলাম না। তাই পোস্টটি প্রিয়তে রাখলাম। আমার ব্যবসা করার অনেক ইচ্ছা।

৪৭| ২৮ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:১২

সঞ্জয় নিপু বলেছেন: অনেক পরে হলে ও পোষ্ট টা পড়ে ভাল লাগলো।

ধন্যবাদ জাদিদ ভাই।

৪৮| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪২

নতুন নকিব বলেছেন:


#অটঃ আমার জানামতে আপনি বর্তমানে পর্যবেক্ষনে নেই। প্রথম পাতায় লেখার সুযোগ রয়েছে আপনার। মনে রাখবেন, প্রথম পাতায় লেখার সুযোগ পেতে হলে প্রকাশিত বিষয়বস্তুর বৈচিত্রময়তা থাকা প্রয়োজন।#

-দাদা,
পেছনের মন্তব্যে পরামর্শমূলক জবাবে কৃতজ্ঞতা সীমাহীন।

আপনার আশ্বাসের প্রেক্ষিতে পরীক্ষামূলক একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। 'প্রথম পাতায়' যায় নি।
এছাড়া লক্ষ্য করে দেখলাম, আমার কোন পোস্টে আমি যখন কোন মন্তব্য কিংবা অন্য কারও মন্তব্যে উত্তর দিই, সেটিও আশ্চর্যজনকভাবে প্রথম পাতায় 'সাম্প্রতিক মন্তব্য' কলামে শো করে না।

যদি দয়া করে কোন পরামর্শ দেন ধন্য হই।

ভাল থাকার প্রত্যাশা, নিরন্তর।

৪৯| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৩:৪৩

রেজওয়ান তানিম বলেছেন: এই ধরণের মটিভেশনাল পোস্ট আসলে বেশ দরকারি, অনেকের জন্যে যারা অস্থির।

ভাল পোস্ট ধন্যবাদ।

৫০| ০৭ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৩

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: চাকুরীর পাশাপাশি ব্যবসা করতে পারলে মন্দ হত না । তবে একটা ব্যাপার ভেবে থেমে যাই । রাত দিন সমানে পরিশ্রম করে ভাল থাকার চেয়ে একটু রিল্যাক্স জীবনই ভাল । যারা টাকা খাটানোর কথা ব্যবসার কথা ভাবছেন তাদের জন্য ভাল পোস্ট ।

৫১| ১০ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৩

সত্যের ছায়া বলেছেন: আপনার পোষ্টি পড়েছি, পড়ে ব্যতিক্রম মনে হল।

*আমার এই আইডি থেকে পোষ্ট করতে পারছিনা। যদি সমাধান দিতেন।

৫২| ১১ ই মে, ২০১৭ দুপুর ২:৫০

এরশাদ বাদশা বলেছেন: প্রিয় অ্যাডমিন.. আপনাকে বিরক্ত করা ছাড়া আর কোনো রাস্তা দেখছিনা। এতোদিন হয়ে গেলো, আমার সমস্যার কোনো সমাধান হলোনা। কি কারনে আমার লেখা প্রথম পাতায় আসছেনা, তাও আমাাকে জানানো হলোনা। পুনরায় আপনার দ্বারস্থ হলাম, আমি কি আইপি ব্যান, নাকি অন্য কোন সমস্যা? যদি দেখে সমাধান করেন, তাহলে বাধিত হবো।

১৬ ই মে, ২০১৭ দুপুর ২:২১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আশা করি আপনার সমস্যার সমাধান হয়েছে।

৫৩| ১৪ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৮

ওমেরা বলেছেন: আজকে জানতে পারলাম আপনি এডমিন ।

ভাইয়া আমি ব্যবসা করে কুটিপতি হবার চাই না আবার ফতুর ও হতে চাই । আপনার কাছে আমার ছোট্ট একটা চাওয়া আমাকে প্রথম পাতার সুযোগ দেয়া হচ্ছে না কেন ? এটা কি একটু বলবেন দয়া করে ভাইয়া ।

১৬ ই মে, ২০১৭ দুপুর ২:২২

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনুগ্রহ করে বানানের ব্যাপারে সর্তকতা অবলম্বন করুন। ক্রমাগত বানান ভুল থাকলে প্রথম পাতায় লেখার সুবিধা স্থগিত হতে পারে।

৫৪| ১৬ ই মে, ২০১৭ দুপুর ২:২৮

ওমেরা বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ । কিন্ত আমি তো বানান জানি না কি করব ।তবু চেষ্টা করব । ইনশা আল্লাহ ।

৫৫| ১৮ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৬

এরশাদ বাদশা বলেছেন: এই মাত্র একটা টেস্ট পোস্ট দিলাম...প্রথমবার ফ্রন্ট পেইজে এলোনা, দ্বিতীয়বার ড্রাফট করে এডিট করে পোস্ট করাতে সেটা প্রথম পাতায় এলো...আশা করি এরপর আর সমস্যা হবেনা। আমি পোস্টটা আবার ড্রাফটে নিচ্ছি। পরে আর একটা লেখা পোস্ট করে আবার আপনাকে জানাবো।
ধন্যবাদ দিতে চাইনা...কৃতজ্ঞতা জানবেন।

৫৬| ২২ শে মে, ২০১৭ দুপুর ২:৪৩

নতুন নকিব বলেছেন:



প্রিয় দাদা ভাই,
গ্রীষ্মের দাবদাহে অতিষ্ঠ জীবন,
প্রহর কেটে যায় ঘামের নহর।
পথ চেয়ে ক্লান্ত আজ দুরন্ত নয়ন,
প্রয়োজন আপনার অমূল্য নজর।

অনেক সুন্দর সময় কাটাচ্ছেন, আশা করি। আবারও বিরক্ত করার জন্য আন্তরিক দু:খিত। পূর্বোক্ত সমস্যায় এখনও আটকে আছি। দয়া করে যদি কোন পরামর্শ বলতেন।

ভাল থাকুন অহর্নিশ।

২৪ শে মে, ২০১৭ দুপুর ২:১৮

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আশা করি আপনার সমস্যাটি সমাধান হয়েছে।

৫৭| ২৩ শে মে, ২০১৭ দুপুর ২:৫৪

উর্বি বলেছেন: বিরানীর নাম শুনে বিরানীর ঘ্রাণ পাই । মন প্রাণ ছুইটা যায় পুরান ঢাকায় । আহা কত বছর থেকেছি :)

৫৮| ২৪ শে মে, ২০১৭ দুপুর ২:২০

নতুন নকিব বলেছেন:


অন্তহীন ভালবাসা,
শুভেচ্ছা জানাই।
'সেফ' দেখে পুলকিত!
প্রিয় 'কাভা' ভাই।

প্রিয় কাভা ভাই,
দু:খের সময় ঘ্যানর ঘ্যানর করে বিরক্ত করেছিলাম। সুখের দিনে যদি আর ধার না ধারি, তাহলে কেমন হয়! তাই আবারও একটু বিরক্ত করতে আসা।

মাত্র একটু পূর্বে নোটিশ বোর্ডে চোখ পরতেই চমকে উঠি। আমি সেফ! আলহামদুলিল্লাহ! আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা সীমাহীন।
আপনার মাধ্যমে প্রিয় সামুর এডমিন প্যানেলের সম্মানিত সকল সদস্যসহ এই প্রিয় প্রাঙ্গনটির যোগ্য কর্নধার বাংলা ভাষার মুখ উজ্জ্বল করা রত্ন মানিক তুল্য আমার পরম শ্রদ্ধেয় জানা ম্যাডামসহ সামু পরিবারের প্রত্যেককে হৃদয় নিংড়ানো সালাম, অশেষ কৃতজ্ঞতা এবং আন্তরিক মোবারকবাদ জানাচ্ছি। এই প্লাটফর্মটির সাথে যুক্ত সকলের অব্যহত কল্যান, অত্যুজ্জ্বল ভবিষ্যত কামনা করছি নিরন্তর।

৫৯| ২৪ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৩:৩০

রিফাত হোসেন বলেছেন: একটু যোগ করতে চাই, আমি ব্যবসায়ী নই। তবে এমন গুটি কয়েকজনকে চিনি যারা আপনার উদাহরণের সাথে মিলে যায়। তবে সবাই ই চায় লাভবান হতে। তবে ব্যাপারটা অনেকেই বুঝেন না। যদি কেউ চলমান আয়ের ব্যবসা চান। তাহলে দেখাদেখি না খুলে বা সম্ভাব্য যাচাই এর ঝামেলা এড়িয়ে যেতে চাইলে, আরেকজনেরটা কিনে নিতে হবে। ধরুন কখগ নামক প্রতিষ্ঠান বা ব্যবসা চলতে এখন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান নতুন ব্যবসায় বা কাঠামোয় চলে যাবে, তখন প্রতিষ্ঠানের বা ব্যবসার সুনামকে কাজে লাগানোর উদ্দেশ্যে এটা ক্রয় করা যুক্তিযুক্ত। তবে এটাতে নিশ্চয়তা নেই যে, ভাল আয় হবে। তবে অনেকের হয়।

আমার অনেক আগের বাসার কাছে একটি কাবাবের দোকান ছিল, তবে মালিক অনেক দিন ধরেও ব্যবসা করলেও তেমন লাভ-ক্ষতি কিছুই করতে পারে নাই, বলা যায় চলে আর কি। কিন্তু পরবর্তীতে সে আরেকজনের কাছে বিক্রি করে দিলে সে সেটাকে ঢেলে সাজিয়েছে ২ বার । ১ম যখন সে নেয় । এরপর ধীরে ধীরে উন্নত ব্যবস্থা যোগ করে। এরপর ২য় বার শেষ ঢেলে সাজায়। এরপর তাকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয় নাই। এখন ২ জন কর্মচারী ছাড়া চলেই না। আগের মালিক নিজেই ছিল আর এখন ৩ জন মিলে চালাতে হিমশিম খেতে হয়।

এখানে সে শুধু দোকানের নামটাকে ব্যবহার করে প্রসারিত করেছে। লিফলেট বিতরণ করেছে, বিভিন্ন উৎসব এ ইচ্ছা করে লাভ ছাড়া ব্যবসা করেছে। লাভ ছাড়া ব্যবসা মানে ক্রয়মূল্য অনেক নেমে যায়, যা ক্রেতার জন্য অসম্ভব আকর্ষনের। সে বোনাস কার্ড, বাসায় পৌছিয়ে দেওয়া, অনেক কিছুই করেছে।

যে ব্যবসা করবে, তারও প্রসার কারার জ্ঞান থাকতে হবে, দূর দৃষ্টি থাকতে হবে।

তবে আপনার পোষ্টটি আরও ভাল, একেবারে গোড়া থেকে শুরু করেছেন। :)

২৮ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৪:০৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। আপনার মন্তব্যটি পোস্টে যুক্ত করতে পারলে ভালো হতো। মানুষ আরো প্র্যাকটিক্যাল উদহারন জানতে পারতো।

৬০| ২৭ শে মে, ২০১৭ রাত ৮:৩২

চাঁদগাজী বলেছেন:


হ্যালো,
আপনি কেমন আছেন?

আপনাকে একটা ব্লগারের হয়ে অনুরোধ করতে হচ্ছে( নয়মানুসারে, অনুরোধ করা হয়তো সঠিক নাও হতে পারে!), ব্লগার "রাজিব নুর" এর ব্যাপারটা একটু দেখতে; আমি নিয়মিত উনার পোস্ট পড়ি, বেশ প্রানবন্ত ব্লাগার!

২৮ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৪:০২

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: প্রিয় ব্লগার চাঁদগাজী,
আমি ভালো আছি। জী, উক্ত ব্লগারকে আমি চিনি। সমস্যা হচ্ছে তিনি তাঁর প্রতিটি পোস্টে অপ্রয়োজনীয়ভাবে ব্যক্তিগত ছবি সংযুক্ত করে যাচ্ছেন। বিভিন্ন সময়ে এই ব্যাপারে উনার দৃষ্টি আকর্ষন করা হলেও, তিনি তাতে তেমন গুরুত্ব দেন নি। তাই এই ব্যাপারে ব্লগ নীতিমালা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।

যদি তিনি তার পোস্টে অপ্রয়োজনীয়ভাবে ব্যক্তিগত ছবি সংযুক্ত করা থেকে বিরত থাকার বিষয়ে নিশ্চয়তা দিতে পারেন, তাহলে উনার সমস্যা খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যেই সমাধান হতে পারে।

৬১| ২৭ শে মে, ২০১৭ রাত ৮:৩৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


ওহ স্যরি, আপনাকে ধন্যবাদ বলতে ভুলে গেছি!

৬২| ২৯ শে মে, ২০১৭ দুপুর ২:২০

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: অল্প সময়ে জনপ্রিয় ব্লগার হওয়ার মত ই অল্প সময়ে কোটিপতি হওয়ার প্রবনতা। যাক তারপর ও ভাল।

৬৩| ৩১ শে মে, ২০১৭ রাত ১:৩৪

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: আমার লেখা পোস্টগুলো এখনো কেন প্রথম পাতায় যায় না, জানি নাহ? আপনি বলেছেন আমি একজন সেফ ব্লগার।। অভিযোগ পাঠাতে চাইলে ও তা যাচ্ছে নাহ। এভাবে নতুন ব্লগারা নিরুৎসাহিত হচ্ছে।

৬৪| ৩১ শে মে, ২০১৭ রাত ৯:৫৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


অনেক ধন্যবাদ; আমি উনার সাথে উনার এই অকারণ ছবি যোগ করা সম্পর্কে আলাপ করবো; আমার মনে হয়, উনি বুঝতে সক্ষম হবেন; উনি যদি ব্লগের নিয়ম বুঝতে পারেন, উনাকে সাহায্য করবেন।

আবারো ধন্যবাদ আপনাকে!

৬৫| ৩১ শে মে, ২০১৭ রাত ১০:৩৩

সত্যের ছায়া বলেছেন: রাজিব নূর কে ছেড়ে দেন (অনুরোধ করছি)।
উনি একজন পেশাদার ফটোগ্রাফার। হয়ত এ কারণে নিজের ছবিগুলো আপ্লোড করে। ব্লগের নিয়ম ভাঙ্গিলে তাকে সে ব্যাপারে সচেতন করব- কথা দিচ্ছি।

৬৬| ৩১ শে মে, ২০১৭ রাত ১১:৩৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


রাজীব বুঝতে পেরেছেন যে, না বুঝে ব্লগের নিয়মের বাহিরে ছবি দিয়ে আসছিলেন; রাজিব নুর উনার শেষ পোস্টে বলেছেন যে, উনি ব্লগের নিয়ম মেনে চলবেন।

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

৬৭| ০১ লা জুন, ২০১৭ রাত ১২:৪৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


স্যরি, "সহায়তা"য় সমস্যা হচ্ছে, মনে হয়; নিক "desffeer" পোস্টগুলোতে ফ্লাডিং করছে!
ধন্যবাদ

০৬ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:১১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনুগ্রহ করে এই ধরনের সমস্যায় আমাদের ফিডব্যাকে মেইল করলে ভালো হয়। এটা যেহেতু ব্যক্তিগত ব্লগ, আশা করি বুঝতে পারছেন।

৬৮| ০৫ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ২:১৭

নতুন নকিব বলেছেন:



প্রিয় দাদা ভাই,
হৃদয় নিংড়ানো ভালবাসা এবং অশেষ শ্রদ্ধা।

এক ব্যক্তি গত কিছু দিন যাবত আমার ব্লগে এসে অশ্লীল ভাষায় নানান বাজে মন্তব্য করে যাচ্ছেন। তাকে বিবিধ উপায়ে বোঝানোর চেষ্টার পরেও তিনি বিরত হচ্ছেন না। সামুর নিয়ম নীতির কথা বলাতে তিনি আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। সম্পূর্ন বেপরোয়া ভাব দেখান। আমাকেসহ সামুর প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন, সেই সাথে চ্যালেঞ্জ এবং হুমকি-ধমকিমূলক আস্ফালন দেখােচ্ছেন।

দয়া করে পবিত্র মাহে রমজানের পবিত্রতা বিনষ্টকারী এই উদ্ভট উৎকট যন্ত্রনা থেকে পরিত্রানের কোন ব্যবস্থা দিলে বিশেষ বাধিত হব।

অনি:শেষ কৃতজ্ঞতা এ অধমের প্রতি আপনার সদা সদয় দৃষ্টি প্রদানে।
আপনার সর্বাঙ্গীন মঙ্গল কামনা করছি।

০৬ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:১১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনুগ্রহ করে এই ধরনের সমস্যায় আমাদের ফিডব্যাকে মেইল করলে ভালো হয়। এটা যেহেতু ব্যক্তিগত ব্লগ, আশা করি বুঝতে পারছেন।

৬৯| ০৫ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ২:২৩

নতুন নকিব বলেছেন:



সরি, দাদা,
ভদ্রলোকের নাম বলা হয় নি। তিনি 'সমাজের থেকে আলাদা'।
আর আপনার দেখার সুবিধার্থে লিঙ্ক যুক্ত করে দিচ্ছি-
তারাবীহ নামায বিশ রাকাতঃ একটি দলীলভিত্তিক পর্যালোচনা
''দলীলসহ নামাজের মাসায়েল'': প্রত্যেক নামাজীর জন্য অবশ্যপাঠ্য দলিল সমৃদ্ধ অনবদ্য একটি গ্রন্থ

ভাল থাকুন অনুক্ষন।

৭০| ০৬ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:০৮

নতুন নকিব বলেছেন:



প্রিয় ভা্ই,
কৃতজ্ঞতা অপরিসীম প্রতিমন্তব্যে সুন্দর পরামর্শ প্রদানে।

আপনার কথামত ফিডব্যাক মেইলে অভিযোগটি পাঠিয়ে দিয়েছি। আপনার সদয় দৃষ্টি এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ প্রত্যাশী।

ভাল থাকবেন নিরন্তর।

৭১| ১৫ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪০

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আমার সেফ না হওয়া বা আমার পোষ্টে করা মন্তব্য সাম্প্রতিক মন্তব্যতে না যাওয়ার কারণ জানালে সংসোধনের সুযোগ পেতাম।

৭২| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:০৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


হ্যালো, কেমন আছেন!

একটি অনুরোধ, কিছু লোক নতুন নিক খুলে "madhob1" নামক ব্লগারের পোস্টে ফ্লাডিং করছে সময় সময়; কিন্ত "madhob1" আমার নামে অপবাদ দিয়ে আসছে; ব্লগিং টেকনোলোজির সাহায্য নিয়ে কি "madhob1"কে বুঝানো সম্ভব যে, নতুন নিকগুলো আমার নয়?
এ ব্যাপারে কিছু করা সম্ভব কিনা, একটু দেখুন!

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ!

৭৩| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:৩০

মেটাফেজ বলেছেন: এমনকি সিনিয়র ব্লগাররাও বুঝে না যে এইটা একজনের ব্যক্তিগত ব্লগ, সমানে যার যার সমস্যা লেইখা ভরায়া ফালাইতাসে। কাল্পনিক_ভালবাসা কয়েকবার বলছেন এদের ব্যক্তিগত সমস্যা এইভাবে অন্যের ব্যক্তিগত ব্লগে না লেইখা ফিডব্যাকে মেইল করতে। হায়রে বাঙ্গালি।

৭৪| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:০৫

পুলক ঢালী বলেছেন: কাভাভাই আপনি কিছুটা ত্যাক্ত হয়ে মন্তব্যের উত্তর দেওয়া বন্ধ করেছেন তারপরও আমি কিছু না বলে পারছিনা। আমি যেখানেই সুযোগ পাই বলি ইন্টারমিডিয়েট পর্যন্ত পড়াই যথেষ্ট, তারপর সবাইকে কারিগরী ট্রেনিং দিয়ে মানুষকে কর্মযোগ্য করে তোলা প্রয়োজন। আজকে আপনার লেখায় আমার ভাবনা প্রতিফলিত হওয়ায় আপ্লুত হলাম, খুবই বাস্তব এবং উপকারী পোষ্ট দিয়েছেন আশা করি অনেকেই উপকৃত হবে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করার চৈনিক পদ্ধতির কথা বলে যারা শিক্ষা ব্যবসায় নিয়োজিত তাদের বিরাগভাজন হয়েছেন নিঃসন্দেহে। সেক্ষেত্রে আপনার সাহসী বক্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আমি মনে করি আইএ এর পর যারা পড়াশুনা করবেন তারা রিসার্স এন্ড ডেভেলপমেন্টে নিয়োজিত হবেন। বর্তমানের মাষ্টার্স কোন কাজের নয়, বরঞ্চ' ইগো বাড়ায় ফলে ছোটকাজ বড়কাজের ক্লাশিফিকেশন তৈরী হয় মনের মধ্যে। ভাল থাকুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.