নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ধুলো পড়া চিঠি

স্বপ্ন আলো আঁধার

কম্পাঙ্ক

এপাড়ে আঁধার ওপাড়ে আলোর মৌনতা..।।।

কম্পাঙ্ক › বিস্তারিত পোস্টঃ

গন-জাগরন মঞ্চ এবং অতঃপর...।

১২ ই মে, ২০১৩ রাত ১:৩৫

Blogger online and activist network (BOAN) একটি অসাধারণ গণ আন্দোলনের সূত্রপাত করে গত ২৮শে মাঘ ১৪১৯ বাংলা সনে (৫ই ফেব্রুয়ারী, ২০১৩ ইংরেজি) সারা পৃথিবী অবাক বিস্ময় নিয়ে অপলক চোখে তাকিয়ে তাকিয়ে দেখল কি অদম্য বাঙালির স্পৃহা! সুকান্তের সেই কবিতার পঙক্তি গুলো যেন মূর্তিমান হয়ে উঠেছিল সেদিন-

সাবাস বাংলাদেশ; এ পৃথিবী অবাক তাকিয়ে রয়;

জ্বলে পুড়ে মরে ছারখার; তবু মাথা নোয়াবার নয়।।

কিন্তু আজ কেন যেন তাদের নিঃস্পৃহতা আমাকে হতাশ করে শাব্দিক অর্থে আমরা যদি ভেবে নেই যে তারা একটি আন্দোলন চক্র(তাদের নাম BOAN সেটাই প্রকাশ করে) কিংবা তারা গণ মানুষের দাবী গুলোকে নিয়েই তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাবে যেহেতু তারা কোন রাজনৈতিক দল নয়, সেখানে আমার মতে তারা পরিপূর্ণ রূপে ব্যর্থ। আমার ব্যক্তিগত মতবাদের পক্ষে কিছু যুক্তি আমি এখানে উত্থাপন করছিঃ

সাভারে রানা প্লাজা ধসের পর গন-জাগরণ মঞ্চের কর্মীরা সেখানে অসাধারণ নৈপুন্য দেখিয়ে উদ্ধারকাজে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, সেজন্য অবশ্যই তাঁরা প্রশংসার দাবিদার। কিন্তু, এত নিঃস্পৃহ ভাবে তাঁরা পহেলা মের সমাবেশ সমাপ্ত করল কেন সেটা আজ প্রশ্নবিদ্ধ! তারাও কি আজ তবে ওই দুর্বৃত্ত BGMEA চাটুকার বৃত্তি করছে? আমার তো মনে হয় এটা তাদের অজানা নয় যে আমাদের পোশাক শ্রমিকদের আজ সত্যি ই একটা মঞ্চ,একটা প্ল্যাটফর্ম দরকার সারা পৃথিবীর সামনে নিজেদের এই অসহায়ত্বকে প্রকাশিত করার জন্য!

সম্পদ লোলুপ ওই পোশাক কারখানার মালিকরা কিভাবে পানির দামে তাদের ওই সস্তা শ্রম দিয়ে সম্পদের পাহাড় গড়ে চলেছে কিভাবে তাদের প্রতিনিয়ত মৃত্যু কুপে ঠেলে দিচ্ছে বারংবার সেটা নিশ্চয় গণ জাগরণ মঞ্চের কারও অজানা নয়। অন্তত পক্ষে আমাদের অর্থনীতির এই বিশাল ক্ষেত্র কে নিয়ে যারা রাজনীতি করছে আজ তো তাদের বিপক্ষে জনমত গঠন করার সুযোগ গণজাগরণ মঞ্চের হাতে ছিল। তাঁরা যদি সামান্য ওই ফালতু পত্রিকা সম্পাদক কে গ্রেফতারের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর কাছে স্মারক লিপি পেশ করতে পারে আজ কি আমাদের পোশাক শিল্পকে বাঁচানোর জন্য, সেই শ্রমিকদের জীবনের নিরাপত্তা রক্ষার স্বার্থে তাঁরা কি পারত না এমন কিছু একটা করতে??? সেটা কি আরও বেশি জরুরি ছিল না?

আন্দোলনের কিছুদিন পর থেকেই গন-জাগরন মঞ্চের নামে নানা কুৎসা রটনা করা হচ্ছে ,আমি খুব পুলকিত হয়েছিলাম যখন তাদের সমাবেশ আরম্ভের পূর্বে প্রত্যেক ধর্ম গ্রন্থের কিছু স্তবক অত্যন্ত সম্মানের সাথে পঠিত হত আজ বায়তুল মোকাররমের সামনে এত ইসলামি গ্রন্থ পোড়ানো হল কই তাদের মুখে বিদ্রোহের ধ্বনি তো দুরের কথা ছিটে ফোঁটা ক্ষোভ ও তো দেখলাম না! নিরীহ মাদ্রাসা ছাত্র গুলোকে যে এভাবে বিপথগামী করা হল প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল যে তাদের কে নির্মম ভাবে ব্যাবহার করলো কই তাদের তো টুঁ শব্দ টি করতে শুনলাম না। তবে কি সত্যি তাঁরা নাস্তিক!(আমি তা মানি না মানতে চাই ও না)

এই কি তবে আমাদের শিক্ষিত যুব সমাজ শুধুমাত্র মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ শক্তি কিন্তু সমসাময়িক নেক্কার জনক ঘটনায় তাদের কোন মাথা ব্যথা নেই?

শুধুমাত্র ঘৃণ্য নরপিশাচ রাজাকার দের ফাঁসির দাবী পর্যন্তই তাদের কার্যক্রম কিন্তু তাদের যোগ্য উত্তরসূরিরা যে আজও বাংলার মাটি অপবিত্র করে চলেছে তাদের সম্পর্কে কোন পদ ক্ষেপ নিতে গন-জাগরন মঞ্চ আজ অপারগ!

আমাদের বাঙালি জাতির একটা মুদ্রাদোষ হল আমরা অসাধারণ ভাবে কিছু একটা ঘটনার সূত্রপাত ঘটাতে পারি এবং অত্যন্ত অযৌক্তিক ভাবে সফলতার সাথে সেই উত্থান থেকে পতনে ফিরে যেতে পারি নিমেষেই এবং সেজন্য সামান্য কুণ্ঠাবোধ পর্যন্ত করিনা!

পৃথিবীর আর কোন জাতির এমন অসাধারণ গুণ নেই বলেই আমার ধারণা।

সর্বোপরি সমালোচনা হবেই কারণ আমরা সমালোচনা করতে বরাবরই ভালবাসি তাই তো সেই সমালোচনার মাধ্যমে আমরা নিজেদের সংশোধন করি তাই তো কবি বলেছেন-

নিন্দুকেরে বাসি আমি সবার চেয়ে ভালো

যুগ জনমের বন্ধু আমার আঁধার ঘরের আলো।

কিন্তু এই সমালোচনা গন-জাগরন মঞ্চের কল্যাণের লক্ষেই কারণ আমরা যা পারিনি তাঁরা একটা সময় তাই করে দেখিয়েছে আমি তাঁদের ত্রুটি মুক্ত দেখতে চাই তাই হয়তো লিখছি।

………………………………………………………………জনৈক আঁতেল পাবলিক যে হুদাই প্যাঁচাল পাড়ে!

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.