![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বুঝলাম সবাই নিজ নিজ মতাদর্শে দ্বিধা বিভক্ত সবার সংশ্লিষ্ট স্বার্থও সেখানে জড়িত তাই সবাই সবার স্বপক্ষে জোরাল যুক্তি প্রদর্শন করতেই পারেন কিন্তু সমগ্র মুসলিম উম্মাহর এত বড় সংকটের দিনে OIC ( Organization of Islamic Cooperation) কি একটা অধিবেশন পর্যন্ত ডাকতে পারছে না?
প্রত্যেকটা ইসলাম অনুসারীদের দেশে একটা করে Islamic Foundation রয়েছে, মহাগ্রন্থ আল কুরআন এর বানী বিশ্লেষণ করে এই Foundation গুলো কি পারছে না কিছু একটা করতে? এত অপব্যাখ্যা, এত মত বিভেদের তো কোন কারণই আর যে ধর্মাবলম্বী দের থাকুক আমাদের থাকার কথা না! আমরা তো সবাই মহাগ্রন্থ আল কুরআন কেই নিজেদের জীবন বিধান হিসেবে গ্রহণ করেছি, কিন্তু তারপরও কেন এত হিংস্রতা আর এত বিশৃঙ্খলা?
সমগ্র মুসলিম উম্মাহ যত জাতি বিশেষেই বিভক্ত হোক তাতে কিছু যায় আসে না কিন্তু বিশ্বনবীর পবিত্র রওজা মুবারক এর উপর এই ধরণের হামলা চেষ্টাই তো আর বলার অপেক্ষা রাখছে না যে এই হামলাকারীরা আর যাই হোক কোন ধর্মের অনুসারী নয়; এরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী।
সবাই সব বোঝে আর সব জানে কিন্তু তারপরও মুখে কুলূপ এঁটে বসে আছে কেন? কারণ সবাই সমালোচনা কারি ভিন্ন কিছুই নয়!
মুসলিম শরণার্থী Issue কে major fact হিসেবে ধরে নিয়ে Brexit এর সফলতা সারা ইউরোপ জুড়ে তোলপাড় তুলেছে, যাই ঘটুক না কেন একটা ব্যাপার নিয়ে তারা সবাই কিন্তু একমত তারা জনগণের রায় কে সম্মান করে। তাই আদতে EU তে না থাকলেও তারা কিন্তু ঠিকই মধ্যবর্তী পন্থা অবলম্বন করবে। আর এটাই আমাদের সাথে ওদের পার্থক্য। ওরা মতবিভেদ থাকলেও আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে জানে আর আমরা একই মতের অনুসারী হয়েও একটা নির্দিষ্ট, ফলপ্রসূ সফল সিদ্ধান্ত নিতে অপারগ!
২| ১৫ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:৪৬
কম্পাঙ্ক বলেছেন: আসলে কি ভাইয়া লেবু বেশী চিপলে তিতা হয় ধর্ম নিয়ে যেমন অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি করা ঠিক না তেমন উদাসীনতায় ধর্মটা হেঁসে উড়িয়ে দেবারও বিষয় না, ধর্ম লালন করতে হয় নিজের মাঝে।
৩| ২৭ শে জুলাই, ২০১৬ ভোর ৫:৫১
সৌরভ খান (বিমূর্ত) বলেছেন: ঠিক বলেছেন ভাইয়া
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই জুলাই, ২০১৬ ভোর ৪:২৬
সৌরভ খান (বিমূর্ত) বলেছেন: আল-হাসান আল বসরি বলেছেন- “চরম্পন্থা ও উদাসীনদের কার্যকলাপেই মূলত আসল দ্বীন হারিয়ে যায়”
প্রথমদল দল যুক্তি-প্রমানের পথ ছেড়ে একাতারে সবকিছুই নিষিদ্ধ বা হারাম ঘোষণা করবে আর শেষদল অতিরিক্ত উদারতায় আল্লাহ্র আইনের সিমারেখা লঙ্ঘন করে সবকিছুই বৈধ ঘোষণা করবে।
প্রথম দল- গোঁড়া মাজাবপন্থি হবে এবং ইস্তিহাদের সব পথ বন্ধ করে দিবে। আর দ্বিতীয় দল- সকল মাজাবকে তুচ্ছজ্ঞান করে হকপন্থি ইমামদের সকল ভাল ভাল নীতি বিকৃতভাবে খণ্ডন করবে। তবে ইউসুভ আল কারজাভির মতে আরেকটি গোঁড়াদল আছে যারা কুরআন-হাদিসের আক্ষরিক অর্থের বন্দীশালা থেকে কখনই মুক্ত হতে রাজি নয়। আক্ষরিক অর্থের বাহিরে ভাববার কোন যোগ্যতা কিংবা বিজ্ঞতা কিছুই তাদের নেই। এটা তাদের নিকট ঘোরতর পাপ। মূলত মাত্রাতিরিক্ত গোঁড়ামি ও উদারপন্থি দলের পরস্পর দ্বন্দ্বের রোষানলেই প্রকৃত ইসলাম মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনা ।ইসলামকে ধ্বংস করে দুই দল - ১) গোঁড়ামির আক্ষরিক ফ্রেমে আবদ্ধ চরম্পন্থি দল ২) অতিরিক্ত উদারপন্থী দল ।