![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মামা!মামা!
খোকা কিছু বলছে?
ছিমছাম পাতলা গড়নের এক লোক। হাতে দামী মোবাইল। পায় সু। পরনে লুঙ্গি। চেক একটা শার্ট গায়ে। ডান হাতের দু'আঙ্গুলের মাঝে বেন্সন সিগারেট। মাঝে মাঝে টান দেন। তাড়াহুড়ো তাড়াহুড়ো ভাব। দোকানের সামনে দাড়িয়ে দোকানে বসা খোকার বড় ভাই রাহাদকে প্রশ্ন করে জানতে চাইলো লোকটা।
তাকায় খোকার বড় ভাই মাদরাসার ছাত্র রাহাদ। সে খোকার মুদি দোকানের পার্ট টাইম হেলপার। পড়ালেখার ফাঁকে ফাঁকে ছোট ভাইর দোকানে সময় দেন। ছোট ভাইকে সাহায্য করাই মূল উদ্দেশ্য।
খোকার ভাই রাহাদ উত্তর দেয় না মামা খোকা কিছু বলেনি তো।
ওহ সীট! কিছুই বলেনি?
না, কেন মামা? রাহাদ জানতে চায়।
পরে বলবো মামা। লোকেটার প্রতি উত্তর।
সে বলতো বলতে খোকাকে খোঁজতে চলে গেলো।
মনে হলো তার হাতে কোন সময় নেই। চেহারায় টেনশনের ছাপ। চিন্তিত।
কিছুক্ষন পর হুহু করে আবার দোকানের সামনে। মামা খোকা কে তো পাইলাম না। কই গেছে আপনি বলতে পারেন?
না মামা রাহাদ উত্তর দেয়। আমি জানি না। হয়ত আশেপাশেই আছে। কই আর যাইবো।
কেন মামা আমাকে বলা যায়? রাহাত বলে।
হিম মামা! আপনার সাথেই কাজ।
আমার সাথে? রাহাদ উত্তর দেয়।
আপনার সাথে আমার কাজ! রাহাদ বিস্মিত হয়। একই সাথে ভয়ও পায়। কারন লোকটা মাস্তান। তার পেশাই হলো মাস্তানি করা।
কিন্তু খোকার সাথে ভাল সম্পার্ক। নিয়মিত খরিদদার। সব সময় নগদ টাকা দিয়ে কিনে খায়। বাকী খায় না। অবশ্য রাহাদ সব সময় খোকাকে সাবদান করতো। তাদের সাথে জামেলায় না জরাতে। এখন মনে হচ্ছে নিজেই জরিয়ে যাচ্ছে।
পৃথিবীর মধ্যে রাজনীতিবিদ আর মাস্তানকে বিশ্বাস করতে নাই। এই ধারনা রয়েছে রাহাদের। অবশ্য পুলিশও তিনি বিশ্বাস করেন না। তাই এই তিন প্রকার লোকদের সাথে সতর্কতার সাথে চলেন। কারন কোন সময় বিপদে পরে যান কে জানে! আল্লাহ রহম করো। মনে মনে বলে
আজ কি এই মাস্তানের সাথে কোন বিপদে পরতে যাচ্ছে না তো। মনে মনে ভাবে রাহাদ।
আল্লাহর উপর ভরশা করে রাহাদ।
সাহস নিয়ে জানতে চায়।
মামা কোন সমস্যা?
লোকটা উত্তর দেয় না মামা। ছোট সমস্যা আপনি সমাধান করতে পারবেন। খোকাকে বলতে বলছিলাম। কিন্তু ও কেন বলল না?
জানি না?
সময়ও নেই?
কি যে করি?
গড় গড় করে বলে চলল লোকটা।
কোন সমস্যা নাই আপনি আমাকে বলতে পারেন?
আ...প....না.....কে বলবো।
আমতা আমতা করে বলল লোকটা।
ওকে আপনাকে বলি।
আপনি একটু সন্ধ্যায় রেডি থাকবেন?
ওকে? লোকটা রাহাদকে বলে।
ছেদ করে ওঠে রাহাদের মনের মধ্যে।
রাডি থাকবো মানে!
না না ওরকম কিছু না।
এই টুপিটা পরবেন আর পান্জাবিটা। লঙ্গি থাকলে সমস্যা নাই।
মানে!!!! রাহাদ বলে।
লোকটা বলে না! কোথায়ও যেতে হবে না।
আমরাই আসবো আপনার বাসায়।
কেন কি হয়েছে?
রাহাদ বলল।
আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না।
না,মানে! মামা! আপনার একটা বিয়া পরাতে হবে আর কি। হাহাহা।
বিয়ে? চুপ রাহাদ।
হাসতে হাতে বলে লোকটা
আপনার রুমেই চলে আসবো মেয়েকে নিয়া। বলতে বলতে চলে গেলো। আর দেরি করলো না।
রাহাদ বলল....... বি..........য়া............!!!"! (চলবে
৩০ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:১৪
প্রাইমারি স্কুল বলেছেন: পুড়াটা পড়লে বুঝা যাবে , তবে পরীক্ষা তাই সময় হয় না বাকীটা লেখার
২| ২৮ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৯
মক্ষীরাজা বলেছেন: ভাইয়ুমণিতা!!!!!!!!!
বাহ!!!!!!!!
মুগ্ধ মুগ্ধ মুগ্ধ!!!!!!!!
ঠিক পরীর দেশের রাজণ্যদের লেখা !!!!!!!!
উলে জাদুরে। উম্মা
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে জুন, ২০১৭ রাত ১০:০৯
বিজন রয় বলেছেন: কি লিখলেন এটা!!!