![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শেখ মজিবুর রহমান নিজেই স্বীকার করেছেন হিন্দুদের অত্যাচার নির্যাতনের কথা। এমন কি হিন্দু নেতা, পুলিশ অফিসার, এসডিও সবাই মিলে শেখ মজিবুর রহমানেকে জেলে যেতে হয়েছিলো।
আর আজ শেখ হাসিনা সেই হিন্দুদের কথায় মুসলিমদের, আলেম ওলামাদের নির্যাতন করছে। মুজিবের আদর্শের কথা বলেন। বাবার সেই আদর্শ থেকে বিচ্যুতি হয়েছে শেখ হাসিনার ।
শুনুন অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে মজিব নিজেই বলেছেন সেই ঘটনা।
শেখ মজিবুর রহমান তার অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে লেখেছেন যে,
“ গোপালগঞ্জ শহরে হিন্দু গ্রাম ছিলো। দু’একজন মুসলমানের উপর অত্যাচারও করতো। আব্দিল মালেক নামে আমার একজন সহপাঠি ছিলো। সে খন্দকার শামছুদ্দিন সাহেবের আত্মীয় হত।
একদিন সন্ধ্যায় আমার মনে হয় মার্চ বা এপ্রিলে মাস হবে । আমি ফুটবল খেলে বাড়িতে এসেছি। আমাকে শামছুল হক ওরফে বাসু মিয়া মোক্তার সাহেব( পরে মহাকুমা আওয়ামীলীগের সভাপতি হয়েছিলেন) ডেকে বললেন মালেক কে হিন্দু মহাসভা সভাপতি সুরেন ব্যানার্ঝির বাড়িতে ধরে নিয়ে মারপিট করছে।
যদি পারো একবার যাও। তোমার সাথে ওদের বন্ধুত্ব আছেঅ। বলে তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসো। আমি আর দেরি না করে কয়েক জন ছাত্র ডেকে নিয়ে ওদের ওখানে যাই। এবং ওনুরোধ করি ওকে ছেড়ে দিতে।
রামাপদ দত্ত নামে এক ভদ্র লোক আমাকে দেখেই গাল দিয়ে বসলো। আমিও তার কথার প্রতিবাদ করলাম। এবং আমার দলের ছেলেদের খবর দিতে বললাম”।
........................
“এর মধ্যে রামাপদরা থানায় খবর দিয়েছে । তিনজন পুলিশ এসে হাজির হয়ে গিয়াছে। আমি বলালা। ওকে ছেড়ে দিতে হবে, না হলে কেড়ে নিবো”।
........................
“এরমধ্যে আমাদের সাথে মারপিট শুরু হয়ে গেছে । দুই পক্ষই ব্যাপক মারপিট হয়। আম্রারা দরজা ভেঙ্গে মালেককে নিয়ে চলে আসি”।
........................
“ হিন্ধু নেতারা রাতে বসে হিন্ধু অফিসারদের সাথে পরামর্শ করে মামলা দায়ের করলো। হিন্ধু নেতারা থানায় বসে এজহার ঠিক করে দিলো।
তাতে শামছুল হক ওরফে বাসু মিয়া মোক্তার সাহেব হুকুমের আসামি, আমি খুন করার চেষ্টা করেছি, দাঙ্গাহাঙ্গামা লাগিয়ে দিয়েছি........................।
ভোরবেলায় আমার মামা, খন্দকার শামছুদ্দিন সাহেব, মোক্তার সাহেব, এম এল এর সাহেবের মুহুরী জহুর শেখ, আমার বাড়ির কাছের বিশেষ বন্ধু শেখ নুরুল হক ওরফে মানিক মিয়া, সৈয়দ আলী খন্দকার, আমার সহপাঠি আব্দিল মালেক এবং অনেক ছাত্রের নামে এজহার দেয়া হয়েছিলো।
কোন গন্যমান্য লোকের ছেলেদের বাকী রাখে নাই। সকাল নয়টায় খবর পেলাম আমার মামাসহ কয়েক জনকে গ্রেপ্তার করে ফেলেছে। ..................
আমার ফুফাতো ভাই, মাদারিপুর বাড়ি, আব্বার কাছে থেকেই লেখাপড়া করতো। সে আমাকে বলে মিয়া ভাই পাশের বাসায় একটু সরে যাও না। আমি বললাম যাব না পালাবো না, লোকে বলবে আমি ভয়ে পেয়েছি”।.....................।
‘’এই সময় আব্বা বাড়ি থেকে ফিরে এসেছেন । তার সাথে দারোগা বাবুও তার পিছনে পিছনে বাড়িতে ডুকে পড়েছে । আব্বার কাছে বসে আস্তে আস্তে সব কথা বললেন। আমার গ্রেপ্তারি পরয়ানাও দেখালেন।
আব্বা বললেন নিয়ে যান। দাড়োগা বাবু বললেন ওখেয়ে দেয়ে আসুক, আমি একজন সিপাহি রেখে যেতেছি। এগারোটার মধ্যে যেন থানায় পোছে যায় । না হলে জামিন পেতে অসুবিধা হবে।
আব্বা জিঙ্গাসা করলেন মারামারি করছো। আমি চুপ থাকলাম । যার অর্থ করেছি’। আমি খাওয়া দাওয়া করে থানায় গেলাম। যেয়ে দেখি আমার মামা, মানিক, সৈয়দ আরও সাত আটজন হবে তাদের পূর্বেই গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। আমার পোছার সাথে সাথে কোর্টে পাঠিয়ে দিলো।“
“কোর্ট দারোগা হিন্দু ছিলেন আমাকে দেখেই বললেন মুজিব খুব ভয়ানক ছেলে। ছোরা মেরে ছিলো রামাপদ কে । কিছুতেই জামিন দেয়া যেতে পারে না।“
“আমাদের জেল হাজতের পাঠানোর হুকুম হলো। এসডিও হিন্ধু ছিলো জামিন দিলো না।“ অসমাপ্ত আত্মজীবনী, লেখক শেখ
মজিবুর রহমান , পৃঃ ১২-১৩।
ইতিহাস বলে--
হিন্দু একটা সম্প্রদায়িক জাতি। তা ঐ কালেও ছিলো আর এই কালেও আছে । শুধু পার্থাক্য হলো ঐ সময়ের মুসলিম নেতারা সতর্ক ছিলো এবং সাহসিকতার সাথে মুসলিম স্বার্থ রক্ষার কাজ করেছে। আর আজ হিন্দুদের ডেকে এনে সব দিয়ে দিতে পারলেই সফল মনে করে। নিজেদের পায়ে নিজেরাই কুড়াল মারে। খাল কেটে কুমির আনার মতো অবস্থা ।ইনসাফ করা হলে একটু হলেও শান্তি পাইতো মুসলিমরা। সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিমরা আধিকারে আজ সংখ্যালগিষ্ঠ।
০২ রা জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:১৮
প্রাইমারি স্কুল বলেছেন: আপনি ঞ্জ্র দিলেই নজর দিলেই পাবেন, খুলনা, হবিগঞ্জ, মোলবিবাজার, সিলেট, চাকরির ৬০% এখন হিন্ধু, পুলিশে তো ৮০% নিয়োগ হয় ।
বঙ্গবন্ধু অসাম্প্রদায়িক ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র গড়তে চেয়েছিলেন। সকলকে মিলেমিশে থাকতে বলেছিলেন, যেন মুসলমানদের বদনাম না হয়। এই কথার সাথে আমি একমত।
লেখার শেষে আমি বলছি ইনসাফ করার জন্য ।
২| ০২ রা জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:০৯
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: প্রাইমেরি স্কুল পাশ করে হাইস্কুলে উঠার চেষ্টা করুন!
০২ রা জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:১২
প্রাইমারি স্কুল বলেছেন: আমি সব সময় প্রাইমারিতেই থাকতে চাই
৩| ০২ রা জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:১৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
হিন্দুরাই শেখ সাহেবকে নেতা বানায়েছে তা'হলে? উনি তো জেলে থেকেই নেতা হলেন!
০২ রা জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৯
প্রাইমারি স্কুল বলেছেন: দাদা সেটা তার সৃষ্টিগত গুণ
৪| ০৩ রা জুলাই, ২০১৭ ভোর ৫:৪৭
জগতারন বলেছেন:
আগে গোপাল্গঞ্জ ফরিদপুর জিলার একটি মহকুমা ছিল। আমি মাদারিপুর মহকুমার লোক। আমাদের পার্শ্ববর্তি থানাই গোপাল্গঞ্জ থানা (সদর) পুরা গোপালগঞ্জই ছিল হিন্দুদের। শেখ পড়িবার-এর লোকজন এবং অন্যান্য মুসলমানরা এসে গোপালগঞ্জে এসে বসতি স্থাপন করেছিল এবং স্থানীয় নিন্ম শ্রেনির হিন্দুরা উচ্চশ্রেনীর হিন্দুদের দ্বারা নির্যাতিত হয়ে বা মুসলমানদের আদর্শে অনুপ্রানিত হয়ে মুসলমান ধর্মে রূপান্তরিত হয়েছিল। কিন্তু অত্র এলাকায় হিন্দুরাই ভূমি পুত্র।
কিন্তু শেখ হাছিনার হিন্দু পৃষ্ঠপোকতা দৃষ্টি কটু বলতেই হয়।
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:০৭
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: আপনি কি হিন্দু বাড়িতে আগুন দিতে বলছেন নাকি ? বর্তমানে হিন্দুদের দ্বারা মুসলিমরা নির্যাতিত!! দুএকটা দেখালে সবাই বুঝতে পারতো সহজে।
বঙ্গবন্ধু অসাম্প্রদায়িক ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র গড়তে চেয়েছিলেন। সকলকে মিলেমিশে থাকতে বলেছিলেন, যেন মুসলমানদের বদনাম না হয়।