নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলাদেশের দালাল

অদ্বিতীয়া অধরা

বাংলায় কথা বলি, বাংলার কথা বলি।

অদ্বিতীয়া অধরা › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্বপ্নের বাংলাদেশ

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৬

একসময় আমরা একটা অসাধারণ জাতি ছিলাম। একটু মাথা খারাপ, একটু পাগলাটে আর অনেকখানি হৃদয়বান। তখন আমরা হিন্দু ছিলাম না, মুসলিম ছিলাম না, খৃষ্টান ছিলাম না, বৌদ্ধ ছিলাম না, আস্তিক ছিলাম না, নাস্তিকও ছিলাম না। আমরা শুধুই বাঙালি ছিলাম। বুকের গভীরে বাংলাদেশকে ধারণ করা বাঙালি। একজন আরেকজনের প্রতি গভীর মমতা নিয়ে বাস করা বাঙালি। আমরা অস্ট্রেলিয়ার সাথে ক্রিকেট ম্যাচের সময় নির্ঘাত হারব জেনেও শেষ বল পর্যন্ত রূদ্ধশ্বাসে অপেক্ষা করতাম কোন একটা কাকতালীয় ব্যাপারের জন্য। হেরে গেলে শত্রুর গলা জড়িয়ে ধরে কাঁদতাম। জিতে গেলেও শত্রুর গলা জড়িয়ে ধরেই কাঁদতাম। কিন্তু এখন আর আমরা সেই বাঙালি নেই। আমরা এখন “সাকিব কোন প্লেয়ার হল" বলে “ম্যারি মি আফ্রিদি" প্ল্যাকার্ড নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকি। এখন আমরা শুধুই হিন্দু, শুধুই মুসলিম, শুধুই আস্তিক, শুধুই নাস্তিক। আমরা একে অপর কে আঘাত করে বিমলানন্দ পাই! আরেকজনকে আঘাত করাটাই এখন আমাদের জীবনের একমাত্র লক্ষ্য।

১৯৭১ সালে এদেশে একটা যুদ্ধ হয়েছিল। কত আশা আর কত স্বপ্ন নিয়ে ঘর ছেড়েছিল লক্ষ ছেলে! শুধু আমাদের জন্য, আমরা যেন ভালোভাবে বেঁচে থাকি সেজন্য, আমরা যেন মাথা উঁচু করে চলতে পারি সেজন্য, শুধুমাত্র সেজন্য ৩০ লক্ষ মানুষ প্রাণ দিয়েছিল। শুধু একটা অসাধারণ দেশের স্বপ্ন দেখেছিল বলে ২ লক্ষ মা বোনকে নির্যাতিত হতে হয়েছিল। ভাবা যায়?

এই দেশটা যখন স্বাধীন হয়েছিল তখন আক্ষরিক অর্থেই এটা ছিল একটা শ্মশান। শুধু একটা পোড়া জমি আর কিছু মৃতপ্রায় মানুষ নিয়ে একটা ছোট্ট দেশ। তলাবিহীন ঝুড়ি বলে গাল দেওয়ার পরও যাদের কিচ্ছু বলার ছিল না। এদেশের মানুষের সম্বল বলতে ছিল কেবল বুক ভরা স্বপ্ন। তারা ঘুমে- জাগরণে শুধুই লাল-সবুজ স্বপ্ন দেখতো। সেই স্বপ্নকে পুৃঁজি করে আজ আমরা মধ্যম আয়ের দেশ। আমরা স্বপ্ন পূরণ করে আরো বড় স্বপ্ন দেখেছি। সেটা পূরণ করে আরো বড় স্বপ্ন।

এদেশের মানুষ সম্ভবত এখন আর স্বপ্ন দেখে না। বরং যারা স্বপ্ন দেখে তাদের স্বপ্নকে অবলীলায় খুন করে। দুর্নীতি কী সেটা বোঝার আগেই শিশুর হাতে পরীক্ষার আগের রাতে প্রশ্ন তুলে দেয়। সারাজীবন যে মেয়েটা মেডিকেলে পড়ার স্বপ্ন দেখে এসেছে টাকার বিনিময়ে সেই স্বপ্নকে কিনে নেয় অন্য কেউ। অসাম্প্রদায়িকতার স্বপ্ন দেখা এখন এদেশে নিষিদ্ধ। স্বপ্ন দেখেছো কী তোমার ঘাড়ে এসে পড়বে ধারালো অস্ত্র। ব্যস। পৃথিবীতে তোমার জীবনের সেখানেই ইতি। তারপর যখন সেই স্বপ্নটা আরেকজন দেখা শুরু করবে তখন তাকেও মেরে ফেলবে ওরা। তারপর একটা সময় সবাই স্বপ্ন দেখতে ভয় পাবে। কেউ আর স্বপ্ন দেখবে না। স্বপ্নকে পুৃঁজি করে যে দেশটা তর তর করে এগিয়ে যাচ্ছে সেই দেশটা যদি হুট করে স্বপ্ন দেখা বন্ধ করে দেয় তাহলে দুঃস্বপ্নেরা হানা দেবে সে দেশে। সেদিনের পদশব্দ আমি শুনতে পাচ্ছি। আপনারা কী পাচ্ছেন না?

সময় এসেছে এক হওয়ার। আসুন আমরা সবাই আবার বাঙালি হই। আবার কাঁধে কাঁধ মেলাই। হিন্দু, মুসলিম আস্তিক, নাস্তিক সবাই আমরা বাংলাদেশ হই।

দুঃস্বপ্নদের আটকানোর এখনই সময়। অনেক কষ্টের বিনিময়ে পাওয়া আমাদের এই দেশ। একে এত সহজে হারতে দেওয়া যায় না। ৭১ আবার ফিরে এসেছে। এখন সময় যুদ্ধে যাওয়ার। এই যুদ্ধ ন্যায়ের। এই যুদ্ধ দেশপ্রেমের। এ যুদ্ধ অস্তিত্ব রক্ষার। এ যুদ্ধ থেকে পালিয়ে বেড়ানো যায় না। আছেন কি কোন বাঙালি?

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১৮

ধমনী বলেছেন: ভালো বলেছেন।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২২

অদ্বিতীয়া অধরা বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২৭

সাবলীল মনির বলেছেন: সময়ের ডাক, কিন্তু কেউ সাড়া দেবে কি ?

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫১

অদ্বিতীয়া অধরা বলেছেন: দিতেই হবে

৩| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১৭

মুহাম্মদ তারেক্ব আব্দুল্লাহ বলেছেন: আমাদের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ তা'আলা, আপনি যদি এটা বিশ্বাস করে থাকেন তাহলে প্রথমত আপনি আস্তিক । তাহলে আপনার দ্বিতীয় কাজ হল কুরআনকে আল্লাহর কালাম বলে বিশ্বাস স্থাপন করা । তৃতিয় কাজ হলো আল্লাহর ইবাদাত যথাযত ভাবে পালন করা এবং আল্লাহর আদেশ নিষেদগুলো মেনে চলা । তারপর আপনি বাঙালি হতে পাড়েন কোন সমস্যা নেই । আর যদি উপরক্ত তিনটা না মানেন তাহলে মৃত্যুর পর এর কুফল অবশ্যই আপনাকে ভোগ করতে হবে ইনশা-আল্লাহ ।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫২

অদ্বিতীয়া অধরা বলেছেন: জ্বি আমি উপরের তিনটা মানি। কিন্তু সেটা এখানে অপ্রাসঙ্গিক

৪| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪২

মুহাম্মদ তারেক্ব আব্দুল্লাহ বলেছেন: আপনার পোষ্টটা পড়েই আমি কমেন্ট করেছি, অপ্রাসঙ্গিক হওয়ার কোন প্রশ্নই আসে না । ভালোভাবে দেখুন অপ্রাসঙ্গিকতা খুজে পাবেন ।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:২৭

অদ্বিতীয়া অধরা বলেছেন: অবশ্যই এটা অপ্রাসঙ্গিক। এটা কোন ধর্মীয় পোষ্ট না। তারচেয়েও বড় কথা কে কোন ধর্মে বিশ্বাস করবে কিংবা আদৌ করবে কিনা সেটা তার একান্তই নিজস্ব ব্যাপার। আমি যদি মুসলিম না হতাম? আমি যদি ভিন্ন ধর্মাবলম্বী হতাম কিংবা যদি কোন ধর্মেরই অনুসারী না হতাম তারপরেও আমি বাঙালী হতাম। বাঙালিত্বের সাথে ধর্মের কোন সম্পর্ক নাই। কোন বিরোধও নাই।

৫| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৭

মুহাম্মদ তারেক্ব আব্দুল্লাহ বলেছেন: আল্লাহ আপনাকে দুনিয়াতে পাঠিয়েছে তাহার ইবাদত করার জন্য, এখন দুনিয়ায় এসে আপনি কোন ধর্ম বিশ্বাস করবেন এটা আপনার একান্ত নিজের ব্যপার হয়েগেছে তাই না ? এটা কি কোন যৌক্তিক কথা ?

৬| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১৩

বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর বলেছেন: it is easy to say but hard to do....

৭| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৯

ইসলামের ইলম বলেছেন: আমি ভাই তারেক আব্দুল্লাহ কে সাপোর্ট করেই লেখকের উদ্দেশ্যে বলছি,
ভাই আপনি যা লিখেছেন আমিও তা এক সময় ভাবতাম। সত্যিই আল্লাহর কত নিয়ামাত এই বাংলাদেশ। যারা দেশের বাইর যান তারাই ভাল জানেন।
কিন্তু আপনার কথা গুলো কিছুটা এক ঘেয়েমীতে ভরা। যদি আপনি মনে করেন নিচের কথাগুলো এই আর্টিকেলে যোগ করা যাবে তবে অবশ্যই রাখবেন। তাহলে কেউ আপনার আস্তিকতা বা নাস্তিকতা নিয়ে কথা বলবেনা।
ঃ আমাদের বাপ-দাদাদেরও আমরা অনেক সুন্দর জীবন যাপন করতে দেখেছি। তারা আমাদের কিভাবে ঠিক ভাবে লালন পালন করা যায়, হারাম থেকে বাচাঁ যায় তা নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন। আযান হলেই নামাযের জন্য মাসজিদে যাওয়া সাথে ছোট ছোট বাচ্চাদের নেয়া ইত্যাদি। আর মায়েরা কিভাবে সন্তানদের শরীর সুস্থ রাখা যায়, কি করলে তারা একজন উত্তম মানুষ হতে পারবে, আযান হলেই নামাযের জন্য মাসজিদে পাঠানো ইত্যাদি নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন। কিন্তু এখন কার মায়েরা ব্যস্ত ফেইস বুক, শপিং, কিভাবে ঘরকে সবার চেয়ে ব্যতিক্রম রাখা যায়, নিজের বডি ফিট রাখা যায় যেন কুড়িতেই বুড়ি না লাগে। আর বাবারা ব্যস্ত হারাম আয়, ক্যারিয়ার ইত্যাদি নিয়ে।
আল্লাহর ইবাদাত যখন কেউ ছেড়ে দেয় তখন সেখানে এমন আযাব পাঠিয়ে দেন, যেমন আমাদের সোনার বাংলাদেশ সহ আরো বিভিন্ন দেশে চলছে।
জাযাকাল্লাহ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.