কবিতা: উড়ে-ভেসে দূরে ফিরে যাবে

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৩

(আজ চাঁদের নিচে ঘুমিয়ে গেলে রাত রাত করে বহু রাত দূর পেছনে

আমার ঘুম ভাঙবে।সব কথা, সব হাসি নিয়ে শব্দের ঢেউ

ফিরে যাবে, জীবন-মরণ-রক্ত পার হয়ে, উড়ে-ভেসে দূরে ফিরে যাবে।)





সময়ের সমুদ্রসমান মায়াপথ।

সময়ের পাহাড়সমান ধোঁয়াপথ।

সময়ের আসমানসম নদীপথ।



একূল-ওকূল দুলিয়ে দেওয়া এই হাসি আরও একবার হেসেছি ডুমুরের তলায়।

আমার দাদী তখন পয়লা পুতুল নিয়ে বসেন। বিকালের আলো

ছায়া-সবুজ গাছের পাতায় ঢলে পড়ে আছে। জন্মের উনপঞ্চাশ বছর আগে

সেই শীতে প্রথম কুয়াশা দেখি দু'চোখ ভরে ।



চিলের চোখ আর রোদ হয়ে চিতল মাছের রূপালি গায়ে দৃষ্টি দিলাম।

টেলিগ্রাফের তারে পাখির মতোন, রানারের পায়ের শব্দে শব্দে...

সোনালি বিশাল কলমি ফুল থেকে গান ভেসে আসে।

শত নরম ভোর ফুল হয়ে ফোটে।



জন্মের একচল্লিশ বছর আগেই আমার দেহে আগুন লাগে।

মাতামহের তখনও কৈশোর।

ঢাকার পথে বাতিওয়ালা আসে, এসে চলে যায়।

মোহনীয় সময়ের প্রেমে অদ্ভুত উতলা হই। আমরা দেহে দেহ রাখি।



পিতামহ-পিতামহী তখন অচেনা পরস্পর।শীতলক্ষ্যা আর যমুনায়

নিরেট অন্ধকার। গগন শিরীষের মাথায় হঠাৎ বাতাস খেলে গেল।

আমি সময়ের বুকে বুক রাখি, কাঁধে হাত ছুঁয়ে দেখি-



সময়ের সমুদ্রসমান মায়াপথের ওপারে আমার পিতা।

সময়ের পাহাড়সমান ধোঁয়াপথের পরে দাঁড়ায়ে মাতা ।

সময়ের আসমানসম নদীপথে আমি নৌকায় দুলে দোল খাই।



দু'চোখ বুজে মরে গেলাম যখন আমার জন্ম হল।













ছবি: অ্যালেক্স হল

১ টি +১/-০