![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভাইয়া, দুইডা ট্যাঁহা দেন।
যা ভাগ। টাকা নাই।
দ্যান না।জীবন-মরন প্রশ্ন।
এইবার আর পিচ্চিটার দিকে না তাকিয়ে পারলাম না। দশ-বারো বছরের একটা বাচ্চা। দুইটাকার জন্য জীবন চলে যাবে এমনটা তো হতে পারে না। বললাম “বলিস কি,দুই টাকা দিয়ে কার জীবন বাঁচাবি?”
ছোট বইনের।
কি হয়েছে তোর বোনের??
কিছু হয় নাই। হের আইজ জনম দিন। কাইল রাইতে ভাত খাওনের লাইগা কানতাসিলো।বাড়িত তো এক দানা ভাত নাই। হেরে চুপাইবার লাইগা কয়লাম “ কাইল তো তোর জনম দিন, কাইল তোরে মুরগির বিরানি খাওয়ামু।” হেই তো বিশ্বাসই করবার চাই না। শ্যাসম্যাস হের মাথা ছুইয়া কিরা কাটসি। এহন যদি ওরে বিরানি না খাওয়াইবার পারি তাইলে তো আইজ রাইতে মোর বইনটা মইরা যাইব... হের লাইগা ভিক্ষা করতে নামসি। চল্লিশ ট্যাঁহা হইয়া গেসে। আর কয়ডা হইলেই এক প্যাকেট বিরানি পামু।
কি বলব বুঝতে পারছি না। চোখের কোনে জল জমছে।পাছে কেউ বুঝে ফেলে এই ভয়ে তাড়াতাড়ি একটা রেস্টুরেন্ট থেকে দুই প্যাকেট চিকেন বিরিয়ানি কিনে পিচ্চিটার হাতে দিলাম।পিচ্চিটা এক দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।যেন বিশ্বাসই করতে পারছে না।দুটো বিরিয়ানির প্যাকেট একসাথে হাতে পেয়ে যেন খুশিতে অজ্ঞান হয়ে যাবার মত অবস্থা।বেশি কিছু বললাম না, শুধু বললাম তোর মত ভাই থাকতে তোর বোন কখনও কষ্ট পেয়ে মরবে না। এখন যা। পিচ্চিটা এক দৌড়ে চোখের আড়াল হয়ে গেল।
আহ!! এখন আর চোখের কোনে জল জমছে না।রীতিমতো গড়িয়ে পড়ছে।
মুক্তাদির অনল
১১-০২-২০১৬
©somewhere in net ltd.