![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
[email protected] ফেসবুক লিংক- http://www.facebook.com/mshovon
তারিখ ১২ এপ্রিল। সময় বিকেল সাড়ে ৩ টা। স্থান বলাকা হল। বর্তমান অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে অনেক পরিচালক-প্রযোজক ই যখন ছবি মুক্তি দিতে সাহস পাচ্ছে না তখন দেহরক্ষী ছবির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান বেশ সাহসী সিদ্ধান্তই নিয়েছে বলা যায়। তাদের সেই সাহসিকতাকে সম্মান দেখাতেই আমরা মাত্র ৭ জন মিলে চলে আসলাম হলে। সিদ্ধান্তটি যে কতটা সাহসী তা বোঝা গেল হলে ঢোকার পর। শুক্রবার সাড়ে ৩ টার শো অথচ হল প্রায় অর্ধেকও ভরে নি! যাই হোক,যথাসময়েই ছবিটি শুরু হল।
কাহিনী সংক্ষেপ:
ঢাকা শহরের আন্ডারওয়াল্ডের ডন আসলাম(মিলন)।সে ভালবাসে সোহানা(ববি) কে। কিন্তু সোহানা তাকে ভালবাসে না। সোহানা অসুস্থ বাবার( কাজী হায়াত) চিকিৎসার খরচ যোগাতে বিভিন্ন হোটেলে নেচে বেড়ায়। একদিন সোহানার ভালবাসা পাবার আশায় তার বাবাকে কিডন্যাপ করে আসলাম। আর সোহানাকে শেরপুরের নিজ বাংলোয় আটকে রাখে।
আসলামের প্রতিপক্ষ শহরের আরেক ডন সিজার।আসলাম সিজারের বিদেশফেরত ছোট ভাইকে হত্যা করে লাশ গুম করে। ক্ষিপ্ত হয় সিজার।৭২ ঘন্টার মধ্যে ভাইকে ফেরত চায়। আর তা না হলে( এসময় দর্শকদের মধ্যে রসিকতা করে কেউ কেউ বলে ওঠেন তা না হলে লাগাতার হরতাল ) আসলামের জান সোহানার ক্ষতি করার হুমকি দেয়।
এসময় ব্যবসায়িক প্রয়োজনে আসলামকে আমেরিকায় যেতে হয়।সোহানার নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে দেহরক্ষী হিসেবে নিয়োগ দেয় একসময়ের ঘনিষ্ঠ বন্ধু তীব্র(কাজী মারুফ) কে।
শুরু থেকেই সোহানা তীব্র কে অসহযোগিতা করতে থাকে। সোহানাকে নিয়ন্ত্রণ করারজন্য হাতকড়া এমনকি সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থাও করতে হয় তীব্র কে। সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে টয়লেটেও।( এসময় দর্শকদের মধ্যে বেশ উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। আমার এক বন্ধু সোহানার সম্ভাব্য গোসলের দৃশ্যের কথা চিন্তা করতে থাকে । যদিও পরিচালক তাকে হতাশ করেন
)।
একপর্যায়ে সোহানা বুঝতে পারে একমাত্র তীব্রর মত কেউ ই তাকে আসলামের মত সন্ত্রাসীর হাত থেকে বাঁচাতে পারবে। তাই সে তীব্র কে তার ভালবাসার ফাঁদে ফেলতে চায়। কিন্তু তার সবরকম চেষ্টাই ব্যর্থ হতে থাকে। কারণ তীব্র কিছুতেই তার বন্ধুর ভালবাসার দিকে হাত বাড়াবে না। তাহলে উপায়...?
মিলনের অভিনয় ভাল লেগেছে। ববি কে পরিচালক যতটা না অভিনেত্রী হিসেবে দেখাতে চেয়েছেন তার চেয়ে হয়তো আইটেম হিসেবেই বেশি দেখাতে চেয়েছেন।ববি যথেষ্ট আবেদনময়ী হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করেছেন। কাজী পরিবারের পিতা-পুত্রের কারো অভিনয়ই ভাল লাগে নি। হায়াত সাহেবের এক্সপ্রেশন গুলো জানি কেমন কেমন। আর মারুফের সংলাপ তো পুরোই রোবোটিক লেগেছে। মারুফের সংলাপ শুনে পাশে বসা এক বন্ধু একসময় বলেই বসলো- দোস্ত, একটা বালিশ দে,ঘুমাই । চাকর-বাকরদের ভাঁড়ামোর অংশগুলো অহেতুক মনে হয়েছে। কোন দরকার ছিল না।
ক্যামেরার কাজ খারাপ লাগে নাই(এই বিষয়ে আমি এক্সপার্ট না)। প্রিন্ট ভাল। গানগুলো মোটামুটি । তবে ১ টি গানের চিত্রায়নে ভারতীয় মুভির প্রভাব আছে বলে মনে হল।কাহিনী খুব বেশী শক্ত মনে হয় নি। বুকের বামপাশে ২ বার গুলি লাগার পরও নায়ক মরলো না আর ওই একই জায়গায় একবার গুলি খেয়েই ভিলেন মারা গেল-ব্যাপারটা ঠিক মাথায় ঢুকলো না।
টাইমপাস মুভি হিসেবে দলবেঁধে গিয়ে দেখে আসতে পারেন। বাট সিরিয়াস মুডে দেখতে গেলে নিজ দায়িত্বে দেখবেন।
শেষ করার আগে একটা পুরনো প্রশ্ন আবারো করছি- লাস্ট কবে কোন মুভি তে প্রবীর মিত্র কে ফুলটাইম বেঁচে থাকতে দেখেছিলেন?
আর হ্যা, নতুন বাংলা বছরের শুভেচ্ছা সবাইকে।
১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৬:২৫
মুনতা বলেছেন: আমি শুক্রবারেই কাজ আগায়ে রাখছি। দেখেন।
আপনারও রিভিউ চাই।
ধন্যবাদ
২| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:১৩
ইউরো-বাংলা বলেছেন: দেশে হলে গিয়ে ছবি দেখতে মন চায়, কিন্তু মশার কামড় খেতে ভাল লাগে না।
১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৬:২৮
মুনতা বলেছেন: মশা তেমন একটা নাই।
দেশে আসেন। হলে আসেন।
শুভকামনা।
৩| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:১৯
আশীষ কুমার বলেছেন: প্রবীর মিত্রের জন্মই হয়েছে মরার জন্য
১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৬:২৯
মুনতা বলেছেন: যথার্থ বলছেন
৪| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৫৯
নোবল হুড বলেছেন: এই প্রবীর মিএ ....। ইতা কিতা??
১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৬:৩১
মুনতা বলেছেন: প্রবীর মিত্র বাংলা ছবির সবচেয়ে স্বল্পায়ু ক্যারেকটারগুলো করে থাকেন।
৫| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:২৫
শাকিউল রানা বলেছেন: ডায়লগ রাইটার কে নিয়ে কিছু লিখলি না?
১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৬:৩৪
মুনতা বলেছেন: তুই আর শুভ যেমনে সিকোয়েন্স অনুযায়ী ডায়লগের নির্ভুল ভবিষ্যতবাণী করতেছিলি তাতে কইরা সন্দেহ হইতেছে আসল ডায়লগ রাইটার কেডা!!!!!
৬| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:২১
সাদা কলো বলেছেন: বুকের বামপাশে ২ বার গুলি লাগার পরও নায়ক মরলো না আর ওই একই জায়গায় একবার গুলি খেয়েই ভিলেন মারা গেল-ব্যাপারটা ঠিক মাথায় ঢুকলো না- এটা হচ্ছে বাংলা সিনেমার পুরোনো ফরমুলা ।
১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৬:৪৩
মুনতা বলেছেন: প্রিন্ট তো ডিজিটাল হইছে। এখন কাহিনী ও ডিজিটাল হওয়া দরকার না?!
৭| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:০৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: লেখা সরস হয়েছে। একটা পার্টনার পাইলে যায়া দেইখা আসুম।
১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৬:৪৬
মুনতা বলেছেন: ধন্যবাদ
শিপু ভাইয়ের মত আপনেও বউ-বাচ্চা নিয়ে দেখতে পারেন। আপনার পিচ্চিটা এই মুভি দেখে মজা পাবে আই গেস.....
৮| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:১০
গোবর গণেশ বলেছেন: প্রবীর মিত্র? ফুল টাইম?
১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৬:৪৮
মুনতা বলেছেন: হুমম,উনি সাধারণত ১ম ৫ ওভারের মধ্যেই আউট হয়ে যান।
এবার অবশ্য অনেকক্ষণ টিকছিলেন
৯| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:১৬
শিপু ভাই বলেছেন:
বৌ বাচ্চা নিয়া দেখতে যামু!!!
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:১৫
মুনতা বলেছেন: শাবাশ। দ্যাটস দ্যা স্পিরিট ম্যান....
১০| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:২৭
ইলুসন বলেছেন: রিভিউ ভাল হইছে। তবে মুভিটা কেমন তা আর কইলাম না।
@শিপু ভাই
বউ বাচ্চা লইয়া যাইবেন মানে? পোলাডারে ছুডু থাকতেই এসব দেখাইয়েন না!
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:১৮
মুনতা বলেছেন: মুভি খারাপ না। মুভির কমেডি পার্টগুলা ছাড়া বাকি সব পার্টই হাসির।
বউ বাচ্চা লইয়া গেলে কি প্রব্লেম.....?!!!
১১| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৩৪
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
নাহ রিভিউ পড়ে আর দেখতে ইচ্ছা করছেনা।
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:২০
মুনতা বলেছেন: এইটা লেখক হিসেবে আমার চরম ব্যর্থতা....
১২| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:০২
সদ্বৃত্তি বলেছেন: নায়কের হার্ট ডান দিকে ছিল মনে হয়।এই ধরনের কন্ডিশনকে Dextrocardia বলা হয়।সম্ভবত ইমরান খানের কিডন্যাপ সিনেমাতে এই রকম এক কাহিনী ছিল।
রিভিউ পড়ে দেখার ইচ্ছে নষ্ট হয়ে গেল।
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:২৭
মুনতা বলেছেন: এই ধরনের একটা কমেন্ট এক্সপেক্ট করছিলাম। থ্যাংকস।
ডানদিকে হার্টের ব্যাপারটা আগেই জানা ছিল। আমার খুব কাছের একজন মানুষের ও এই কন্ডিশন। ব্যাপার না।
তবে সমস্যা হল ১ম বার নায়ক বুকের বাম-ডান ২ দিকেই গুলি খেয়েছিল(মুভিটা দেখলেই বুঝবেন। আমি পোস্টে মেনশন করি নি)।
নায়কের হার্ট মে বি মাথায় বা অন্য কোথাও ছিল......
দেখার ইচ্ছা নষ্ট হয়ে গেলে সেটা আমার ব্যর্থতা....
১৩| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:১২
প্যাপিলন বলেছেন: (বুকের বামপাশে ২ বার গুলি লাগার পরও নায়ক মরলো না আর ওই একই জায়গায় একবার গুলি খেয়েই ভিলেন মারা গেল-)- এই লাইনটা প্রমান করে ব্যাফুক শিক্ষামূলক ছবি (কমেন্ট ১২ দ্র.)
.........রিভিউ জটিল হইছে..আর প্রবীর মিত্র শেষকবে ফুলটাইম বেঁচে ছিল? এই প্রশ্নের জন্য দুইবার লাইক মারার ইচ্ছে আছে (যদি সিস্টেম পারমিট করে
)
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৩১
মুনতা বলেছেন: ১২ নং কমেন্টের রিপ্লাই দ্রষ্টব্য
সিস্টেম পারমিট না করলেও আমি পারমিট করতেছি। আপনার লাইকজোড়া সাদরে গৃহীত হল।
১৪| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:২৫
কালা মনের ধলা মানুষ বলেছেন: আরে মুনতা ভাই, আপনে তো রসালো রিভিউ কঠিন লিখেন !!
+++++++++++++++++++
হিউমারের ছোয়ায় জম্পেশ লাগল।
২৭ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:২২
মুনতা বলেছেন: থাক ভাই,আর লজ্জা দিয়েন না। :!> :#>
ভাল লাগায় আনন্দিত ও অনুপ্রাণিত হলাম।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৫২
কাউসার রুশো বলেছেন: লাস্ট কবে কোন মুভি তে প্রবীর মিত্র কে ফুলটাইম বেঁচে থাকতে দেখেছিলেন?

হাসতে হাসতে শেষ
খুব মজা করে লিখছেন
আজকে দেখতে যেতে পারি
শুভ নববর্ষ মুনতা ভাই