![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
২৮ ফ্রেবোয়ারী ৩টি সিটি করপোরেশনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হল। মিডিয়া এবং নিজ অভিজ্ঞতায় যা দেখতে পেলাম তা ছিল অপ্রত্যাশিত। ৩টি সিটি নির্বাচনের মধ্যে ২টিতে আঃলীগ সমর্থিত প্রার্থী সহজভাবে জয় লাভ করত আর ১টিতে হয়ত প্রতিযোগীতা হত বলে আমার মনে হয়েছিল। কি হত সরাকারী দলের সমর্থিত প্রার্থী ১টিতে হারলে বা ৩টিতে হারলে? সরকারের কি পরিবর্তণ হতো? আগেও তো ৫টি সিটি নির্বাচনে সরকার সমর্থিত প্রার্থী হেরেছে। কি এমন হয়েছে? আমার মনে হয় এই নির্বাচনে আঃলীগ প্রার্থীরা হারলেও গণতন্ত্রের বিজয় হত। বিগত কয়েকটি সিটি নির্বাচনের অভিজ্ঞতার পরিপেক্ষিতে বলতে পারি যে এই নির্বাচনটি উৎসবমূখর হয়ে থাকে। এবার তা দেখতে পেলাম না। আমি নিজে লাইনে দাড়িয়ে আধা ঘন্টা পরে ভোট দিতে পেরেছি। তবে বুথের ভেতর বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীর কোন এজেন্ট দেখতে পাই নি। বাইরে শুধুমাত্র আঃলীগ সমর্থিত প্রার্থীর একটি ক্যাম্প দেখতে পেয়েছি। আর কোন ক্যাম্প দেখতে পাই নি। এমনকি অন্য কোন কাউন্সিলর প্রার্থীর কোন ক্যাম্প দেখতে পাইনি। ৪টি কেন্দ্র ঘুরে দেখেছি একই অবস্থা। আমার ৩ বন্ধু মধ্যে একজন ভোট দিতে পেরেছে। অন্য ২ জনের ১জনকে কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হয়নি ভেতরে মারমারি হচ্ছে বলে। আর ১জন দুপুর দেড়টায় সময় কেন্দ্রে গেলে বলা হয়েছিল ব্যালেট পেপার শেষ। অপেক্ষার পর তাকে জানানো হল তার ভোট দেওয়া হয়ে গেছে। আর ইলক্ট্রনিক এবং প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রকাশিত ছবি এবং রিপোর্ট্ তো মিথ্যা বলছেনা।
এধরনের নির্বাচনতো আমরা চাইনি। সরকার সমর্থিতরা বলছেন বা তৃপ্তি পাচ্ছেন বলে যে এগুলি বিছিন্ন ঘটনা। আমার মতে এধরনের বিছিন্ন ঘটনাগুলি কিন্তু বড় দূর্ঘনার জন্ম দেয়। যা গত ৪০ বছরের ইতিহাস দেখলে বোঝা যায়। ক্ষমতাসীনদের হেন অসহিষ্ঞু আচরণ বড় দূর্ঘটনার ভিত রচনা করে দেয়। মনে রাখতে হবে আমি অন্ধ হলে কিন্তু প্রলয় বন্ধ হয় না। এসকল ঘটনা করে দেয় অগণতান্ত্রিক শক্তির ক্ষমতা দখলের পথ। পরে রাজনীতিবদিরা এর জন্য অন্যদের দোষারোপ করে। কিন্তু নিজেরা শুধরায় না। আমরা জনগণ অসহায়ের মত তাকিয়ে থাকি। এখন আমাদের সামনে ভয়াবহ দূর্যোগ আপেক্ষা করছে। বিএনপি আবার হরতাল/অবরোধ পথে যাবে। ক্ষমতাসিনদের কিছুই আসবে যাবে না। অসহায় জনগণে উঠবে নাভিশ্বাস এবং দেশের অর্থনীতি হবে ধংশের মুখে।নিহত/আহত হবে সাধারণ জনগণ। ক্ষতিগ্রস্থ হবে তারাই।আমাদের দেখতে হবে অথবা শিকার হতে হবে রাজনীতিবিদের এই নিষ্ঠুর খেলা। যা কয়েক মাসে বিএনপির ঘোষিত হরতাল/অবরোধে প্রমানিত হয়েছে। আরো প্রমানিত হয়েছে ক্ষমতাসিনরা সাধারণ জনগণের অবাধ চলাফেরার নিরাপত্তা প্রদানে ব্যার্থ। যা জনগণের সাংবিধানিক অধিকার এবং সরকারের সাংবিধানিক দায়িত্ব। ক্ষতিগ্রস্থদের যথাযথ ক্ষতিপূরনে এ সরকার ব্যার্থ্।এমনকি অপরাধীদের আইনের আওয়তায় নিয়ে শাস্তির ব্যাবস্থা করতে পারেনি। আমি মনে করি চোরাগুপ্তা হামলা বন্ধ করা সম্ভাব নয়। তবে অপরাধীদের আইনের আওয়তায় নিয়ে শাস্তির বিধান করলে অপরাধ প্রবনাতা কমে যায়। আমি খুবই খুশী হতাম যারা হরতাল/অবরোধ ডেকে সাধারণ জনগণকে হত্যা বা আহত করছে, তাদের বিচার করে শাস্তির প্রদান এবং শাস্তি প্রাপ্তদের সহায় সম্পদ ক্রোক করে নিহত/আহতদের মধ্যে ক্ষতিপূরণ এর ব্যাবস্থা করা। এটাও এ সরকারের পক্ষে সম্ভাব নয় বলে আমার মনে হয়। কারণ বিএনপি নেত্রীর গ্রেফতারী পরোয়ানা আদালতের বাইরে আসার সাহস দেখায়নি। অথচ তার নির্দেশে আজ অসহায় মানুষ অগ্নীদগ্ধ হয়ে নিহত এবং আহত হয়ে যন্ত্রনায় কাতর।
সিটি নির্বাচন ঘটনাবলি দলের অধিনে আগামী নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করল। বাধাগ্রস্থ করল গণতন্ত্রের যাত্রাকে। এর থেকে বের হওয়া জরুরী। না হলে আমাদের জন্য মহাদূর্যোগ অপেক্ষা করছে।
©somewhere in net ltd.