![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
২ জুন, ১৯৮১ সালে সেনাবাহিনীর একজন চৌকশ কর্মকর্তা, মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর অধিনায়ক, বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল মঞ্জুরকে একদল সেনাবাহিনীর লোক হত্যা করে। এখন পত্র পত্রিকার মধ্যমে দিবালোকের মত পরিষ্কার যে এ হত্যাকান্ড ঘটানো হয় তৎকালিন সেনাপ্রধান এরশাদের নির্দেশে। আমি তখন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের রমনা থানা কমান্ডের ডেপুটি কমান্ডার। বেইলী রোডের কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলে কার্যালয়ে প্রায়ই আনাগোনা। ৩০ মে ১৯৮১ জিয়া হত্যাকান্ডের আনেক আগে থেকে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নেতৃত্বে চলছিল জামাত নিশিদ্ধের আন্দোলন। যার নেতেৃত্বে ছিলেন চেয়ারম্যান লেঃ কঃ কাজী নুরুজ্জামান এবং মহাসচিব নইম জাহাঙ্গীর। আমরা মুক্তিযোদ্ধারা জিয়ার রাজাকারদের পূনর্বাসন কারার পদক্ষেপ কোন মোতেই মেনে নিতে পারছিলাম না। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ জামাতকে সারা বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ঘোষনা করেছিল। আমরা তার বাস্তাবায়ন করছিলাম। জামাতের সকল প্রকার প্রকাশ্য মিটিং আমরা ভেঙ্গে দিতাম। এরই পরিপেক্ষিতে প্রেসিডেন্ট জিয়া মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নেতৃবৃন্দের কাছে সময় চেযেছিলেন।এবং তৎকালিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মুস্তাফিজকে প্রধান করে একটি কমিটি করে দেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের দাবী বিবেচনা করার জন্য। এরই কয়দিন পরে চট্ট্রগ্রামে প্রেসিডেন্ট জিয়াকে হত্যা করা হয়।জিয়া হত্যাকন্ডের খবর পেয়েই আমরা মুক্তিযোদ্ধা কর্যালয়ে গেলে কোন কর্মকর্তাকে সেখানে পাইনি। যার ফলে আমাদের করনীয় কি তা আমরা জানতে পারছিলাম না। তাই মনে মনে আমরা মঞ্জুরের সমর্থক হয়ে পড়েছিলাম। আমরা অসহায় এর মত দেখতে পেলাম যে অত্যান্ত পরিকল্পিত ভাবে এরশাদ তার পথের কাটা দূর করে ফেলল।
এ ঘটনা নিয়ে আনেক পরে, তৎকালিন সামরিক বাহিনীর গুরুত্বপূর্ন দুজন কর্মকর্তা সাথে তাদের অবসর গ্রহনের পরে আমার কথা হয়। তাদের একজন ছিলেন লেঃ জেঃ মীর শওকাত আলী (৩০ মে ছিলেন জিওসি,যশোহর) আর ব্রিগেডিয়ার আমিনুল হক (ঢাকা সেনানিবাসে গুরুত্বপূর্ন কর্মকর্তা ছিলেন)। উনারা দুজনই বড় ভাইয়ের বন্ধু বিধায়, অবসর গ্রহনের পর আমাদের অফিসে অসতেন। তাদের দুজনকেই আমি ভিন্ন ভিন্ন ভাবে বলেছিলাম যে আপনারা তখন ভুল করেছিলেন। যেহেতু আমি মঞ্জুরকে সমর্থন করতাম তাই তাদের বলেছিলাম আপনার এরশাদকে সমর্থন না দিলেও পারতেন। মীর শওকাত ভাই আমাকে বলেছিলেন যে আমার কিছু করার ছিল না। কারণ জিয়া হত্যাকন্ডের পর এরশাদ তাকে আর্মি হেডকোয়াটারে বসিয়ে রেখেছিলেন। কোথাও যেতে দেয় নি। আর বিদ্রোহ দমন এবং মঞ্জুর হত্যার পর তাকে এরশাদ বলেছিল যে এখন তুমি দুটোর মধ্যে একটা পছন্দ কর। ১) জিয়া হত্যার দায়ে বিচারের মুখোমুখি হওয়া। ২) হল অবসর নিয়ে বিদেশে চলে যাওয়া। উনি ২য় টা বেছে নিয়েছিলেন। ব্রিঃ আমিন ভাই বলেছিলেন যে দেখো এরশাদ কত বড় শয়তান। আমিন ভাই যেহেতু জিয়ার ভক্ত ছিলেন তাই তাকে দিয়ে ঢাকা সেনানিবাস কন্ট্রোল করিয়ে প্রথমেই তাকে অবসরে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। এখন দিবালোকের মত পরিষ্কার যে এরশাদ একই সাথে জিয়া, মঞ্জুর হত্যা করে এর দায় দায়িত্ব কতিপয় বীর মুক্তিযোদ্ধার উপর চাপিয়ে ১৩ জন মুক্তিযোদ্ধা ফাঁসিতে ঝুলিয়ে সামরিক বাহিনীকে মুক্তিযোদ্ধা শুন্য করে, তার ক্ষমতায় যাওয়ার পথকে প্রশস্ত করেছিল।
অথচ জিয়া এবং মঞ্জুর হত্যার বিচার আজোও হল না। তিন তিন বার ক্ষমাতায় থেকে বেগম খালেদা জিয়া ক্ষমাতর লোভে তার স্বামীর হত্যার বিচার শেষ করল না। আর বর্তমান সরকার তার ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত কারার জন্য রায়ের মূহুর্তে মামলাটাই আবারে ফ্রিজে পাঠিয়ে দিল। দীর্ঘদিন যাবত মঞ্জুর হত্যার বিচার ঝুলিয়ে রেখে দুই দলই এরশাদের সাথে ক্ষমতার দর কষাকষি করছে। বিচারের বানী কি এভাবে নিরবে নিভৃতে কাঁঁদবে?
২| ০৩ রা জুন, ২০১৫ ভোর ৫:০৮
ফাহাদ ইবনে মুরতাযা বলেছেন: "। জামাতের সকল প্রকার প্রকাশ্য মিটিং আমরা ভেঙ্গে দিতাম।"
আপনার অগনতান্ত্রিক মানসিকতা বুঝা গেল, জামাতের আদর্শের সাথে কেউ একমত হইতে না পারে কিন্তু দেশের নাগরিকদের অধিকার আছে প্রকাশ্য মিটিং করার, আপনারা গায়ের জোরে সবকিছু করতে চান।
১৩ ই জুন, ২০১৫ রাত ৯:৪৬
সাফি আব্দুল্লাহ বলেছেন: হ্যা ঠিক ধরেছেন। আমরা গায়ের জোরে অন্তত জামাতের রাজনৈতিক অধিকার বাতিল করতে চাই। যে দল দেশের স্বাধীনতাকে বিরোধীতা করেছে, নিরিহ মানুষকে হত্যা করেছে, পাকিস্তানি হত্যাকারীদের সহযোগীতা করেছে, যারা দেশের স্বাধীনতাকে মেনে নিতে পারে নাই তাদের প্রতি গণতান্ত্রিক মানসিকতা কোন দেশেও ছিল না এখনো নেই। আমাদেরও থাকবে না এটাই স্বভাবিক। আর যে দলটি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না তার প্রতি কিসের গণতন্ত্র?
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা জুন, ২০১৫ রাত ১২:৩২
চাঁদগাজী বলেছেন:
জিয়া ও এরশাদ ছিল আিয়ুবের 'রাজনৈতিক পুত্র'