![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বুমেরাং বলে একটা অস্ত্র আছে যা ছুড়ে মারলে একসময় নিজের দিকে ফিরে আসে। ইউরোপের অবস্থা এখন এমন। আমেরিকার সাথে একজোট হয়ে ইউরোপের দেশগুলি আফগানস্তান থেকে শুরু করে মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকার মুসলিম দেশ গুলিকে ছলা কালা যুক্তিতে ধংশ করেছে। হত্যা করেছে লক্ষ লক্ষ নিরিহ মানুষ। তারাই আবার নিজেদের স্বার্থে, গোপনে সাহায্য সহযোগীতা দিয়ে, মুসলিমদের মধ্যে গ্রুপ সৃস্টি করে হত্যা লুন্ঠন করাচ্ছে। এতে হিতে বিপরিত হচ্ছে, এখন ইউরোপের দেশ গুলি বিপদে পড়েছে। জীবন বাঁচার জন্য, এ সকল দেশের লক্ষ লক্ষ সাধারণ মানুষ জীবনের ঝুকি নিয়ে সাগর পাড়ী দিয়ে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ঢুকে পড়ছে। আমার ভাবতে কষ্ট হয় এক সময়কার সোস্যাল ওয়েলফেযার দেশ ইরাক এবং লিবিয়াকে দখল করে, ধংশ করে, সাধারণ জনগণকে অসহায় করে দিয়েছে এই আমেরিকা আর ইউরোপের দেশ গুলি। এখন তারাই আবার আই এস নামে জঙ্গী সৃষ্টি করে এ দেশ গুলিতে মারামারি, হানাহানি শুরু করিয়ে দিয়েছে। বিভিন্ন কৌশলে হত্যা করাচ্ছে সাধারণ মানুষকে। এদেরকে পশ্চিমা গোষ্ঠি অস্ত্র আর্থ দিয়ে সাহায্য দিয়ে এসব করাচ্ছে। আমরা জানি এ সব জঙ্গী গোষ্ঠিকে নির্মূল করা পশ্চিমাদের কয়েক দিনের ব্যাপার মাত্র। কিন্তু তারা তা করবে না। কারণ এরকম অরাজগতা চলতে থাকলে মুসলিম দেশ গুলি ধংশ হয়ে পড়বে। এতে আমেরিকা ইউরোপ এর দেশগুলির লাভ।
পশ্চিমাদের প্রচার মাধ্যম গুলির অপপ্রচারের কারনে আমরা জানতাম যে, আরব দেশগুলির মধ্যে ইরাক এবং লিবিয়া ছিল সৈন্য এবং আধুনিক আস্ত্রে শক্তিশালি ছিল। কিন্তু আমরা দেখতে পেলাম যে, এপশ্চিমাদের আক্রমনে মুখে দুটি দেশের প্রতিরক্ষা ব্যাবস্থা খড় কুটার মত ভেসে গেল। অথচ এর থেকে আনেক কম শক্তিশালি আই এস অনাচার বন্ধে পশ্চিমাদের সে রকম উদ্দ্যোগ আমরা দেখতে পাচ্ছি না। বরং গোপনে তাদেরকে মারাত্মক অস্ত্র দিয়ে তারা সহয়োগীতা দিচ্ছে। কিন্তু পশ্চিমাদের যড়যন্ত্র এখন বুমেরাং হয়ে এখন তাদের দিকে ধাপিত হচ্ছে। জীবন বাচানোর জন্য শরনার্থীরা এখন ইউরোপের দিকে ধাপিত হচ্ছে। আমেরিকা বহু দূরে থাকায় ইউরোপ এখন কঠিন সমাস্যায় পড়েছে। পশ্চিমাদের দ্বারা সৃষ্ট মধ্যপ্রাচের এসকল দেশগুলিতে শান্তি এবং জনগণের জীবন নিরাপদ করা ছাড়া এর থেকে মুক্তি নাই। অচিরেই ইউরোপের দেশগুলি তা বুঝতে পারবে বলে আমার মনে হয়। আমার ধারণা এখন ইউরোপ তাদের ক্ষতিকর কর্মকান্ড পরিহার করতে বাধ্য হবে। না হলে তাদের জন্য অপেক্ষা করছে ভায়াবহ বিপর্যয়।
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৭
সাফি আব্দুল্লাহ বলেছেন: ধন্যবাদ। সৌদি আরব কে ধরেছে ইয়েমেনকে দিয়ে। আস্তে আস্তে সবাইকে ধরবে। ওদের ঘাড়ে না পড়লে তো ওদের হুস হয় না। যেমন ইরাক আক্রমন করলে লিবিয়া, ইয়েমেন, সিরিয়া চুপ করে ছিল। এখন ওরা বুজতে পারছে চুপ করে থাকার মাজেজাটা।
২| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৮
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: শয়তানী করলে তার দায়ভার নিজের কাধেও কিছুটা পরে। এটাই তার নজির।
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫৪
সাফি আব্দুল্লাহ বলেছেন: ধন্যবাদ। ঠিক বলেছেন।
৩| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:০৯
কালীদাস বলেছেন: পুরাই তামশা। বুমেরাং, না? আইসিসের ঠেলা খায়া রিফুজিরা তো সৌদিতে আসতে পারত! টার্কি হয়া, মেডিটেরিয়ান পার হয়া ইউরোপে যাইতাছে কেন? যেখানে জানে হেরা মিডলইস্টে আর্মি পাঠাইছিল? আজকে বাংলাদেশে ইন্ডিয়ানরা হামলা চালাইলে আমরা কি ফাকিস্তানে যামু জান বাচাইতে? আর ইউরোপে ব্রিটিশরা ছাড়া আর কেডা সক্রিয়ভাবে মিডলইস্টে কুকামে জড়িত হইছিল?
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৯
সাফি আব্দুল্লাহ বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। সৌদিতে তো ঢুকালে তো রিফুজির মর্যাদা পাওয়া যাবে না। ইরাক এবং লিবিয়া ধংশ করার জন্য ইউরোপ সহ পৃথীবির বহু দেশ জড়িত। তারা এক সাথে যুদ্ধ করেছে। এক সংগে জাতিসংঘে প্রস্তাব এনেছে। আপনপা ধারণা বোধ হয় ঠিক না।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৯
মামু১৩ বলেছেন: ইউরোপ তবুও কিছুটা ধাক্কা খেল, ওদের চামচা তেল সমৃদ্ধ মুসলীম হারামী দেশগুলোর তো কোন বিকার নেই!