![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন সাংস্কৃতিক কর্মী। ভালোবাসি কবিতা, গান. বাংলাদেশকে আর বাংলাদেশের মানুষকে। আমাদের সবচেয়ে বড় অর্জন আমাদের স্বাধীনতা যারা এনে দিয়েছেন, সেইসব বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি রইল আমার বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। আর ভালোবাসা জানাচ্ছি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী বঙ্গবন্ধুকে।
সামহোয়ারইনব্লগ এ ৪টি পর্বে ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশতি 'সুপার সিক্সটি নাইন' গল্পটি আজ শুক্রবার (০৪/০৭/০৮) দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকায় ৯নং পৃষ্ঠায় সাহিত্য পাতায় প্রকাশিত হয়েছে। এর আগে গল্পটি ধারাবাহকি ভাবে ৪টি পর্বে এই ব্লগে আমার পোষ্টে প্রকাশিত হয়েছিলো। অনেক ব্লগার বন্ধুই গল্পটির ব্যাপারে গঠনমূলক সমালোচনা এবং আগ্রহ দেখিয়েছেন। অনেকে আবার নাক সিঁটকে বলেছেন, এটা একটা গল্প হলো! অনেকে আবার গল্পটি একসাথে পেতে চেয়েছেন। তাদের সুবিধার্থে গল্পটি আবার উপস্থাপন করলাম। তবে যারা যেরকমই মন্তব্য করুক না কেনো, সব ব্লগার বন্ধুকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা।
'সুপার সিক্সটি নাইন'
এক্সকিউজ মি, 'সুপার সিক্সটি নাইন' বাস কাউন্টারটা কোথায় বলতে পারেন? আচমকা এরকম একটা মেয়েলি কণ্ঠ শুনে পেছনে ফিরে তাকালাম। হাঁটার গতিটাও থামিয়ে দিলাম। দেখলাম এক ভয়ংকর সুন্দর মেয়ে আমার সহযোগিতা চাইছে। তখন সন্ধ্যে ছ'টার মতো হবে। যে যার মতো গন্তব্যে ফিরতে ব্যস্ত। বন্ধুর সাথে দেখা করতেই বনানী এলাকায় আসা। এই এলাকা তরুণীর মতো আমারো ত্যামন পরিচিত না হলেও 'সুপার সিক্সটি নাইন' বাস কাউন্টার আমি চিনি। আমি নিজেও ঐ বাসে করে বাসায় ফিরবো বলে ঐ কাউন্টারের দিকে এগুচ্ছি। মেয়েটির ছুঁড়ে দেয়া প্রশ্নটা স্পষ্ট শুনলেও আবারো তাকে জিজ্ঞেস করলাম; 'জ্বি, আমাকে বলছিলেন? বলুন, কিভাবে আপনাকে সাহায্য করতে পারি?' ততক্ষণে আমার ব্যস্ততার কথা ভুলে গিয়ে মেয়েটির দিকে মনোযোগ দিলাম। ছিপছিপে গড়নের শ্যামলা রঙের মেয়েটি উচ্চতায় ৫ ফিট ২/৩ হবে। ক্লান্ত-শ্রান্ত মুখটা দেখে মনে হলো সারাদিন অনেক ধকল গেছে ওর ওপর দিয়ে। এতো ক্লান্তিতেও চেহারায় এক ধরণের মায়া আছে। যা ছেলে-বুড়ো, নারী-পুরুষ সবাইকে আকর্ষণ করবে। একই প্রশ্ন মেয়েটি আবার করলো। বললো, 'এখানে এসেছিলাম একটা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান কভার করতে। হলে ফিরতে হবে। তাই আপনার কাছে জানতে চাচ্ছিলাম কাউন্টারটা কোথায়। তা আপনি এমন আত্ম-ভোলা ছিলেন যে, ৩/৪ বার জিজ্ঞেস করার পর আপনার মনোযোগ পেলাম।'
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান কভার করতে মানে? আপনি কি রিপোর্টার? মানে সাংবাদিক? কোন্ পত্রিকার?
জ্বি, মানে আমি 'দৈনিক শ্যামলিমা'র কালচারাল রিপোর্টার কাম ফটোগ্রাফার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নালিজম ডিপার্টমেন্টের থার্ড ইয়ারে পড়ছি। গন্তব্য শামসুন্নাহার হল।'
'করছেন কি? দম ছাড়ুন। এক দমে আপনার বায়োগ্রাফি বলে ফেললেন যে! আমিও একই বাসে ধানমন্ডি ফিরবো। আমার পর আপনাকে নামতে হবে। মানে নিউ মার্কেটে। চলুন, সামনেই কাউন্টার।'
টিকিট কেটে দাঁড়িয়ে আছি লম্বা লাইনে। বাস আর আসছেনা। অনেকে অধৈর্য হয়ে বাস কোম্পানির চৌদ্দ গুষ্ঠি উদ্ধার করতে থাকলো। আমরাও আমাদের আলোচনা চালিয়ে যেতে থাকলাম। নিজেদের মধ্যে পরিচয়ের চ্যাপ্টার শেষ হলো। জানা গেল মেয়েটির নাম স্বর্ণ। বাড়ি যশোর। আমার নাম বললাম। 'আমি অনিন্দ্য। সম্প্রতি ইকোনোমিকসে অনার্স-মাষ্টার্স শেষ করে একটি বেসরকারী ব্যাংকে ক্রেডিট এন্ড লোন সেকশনে কাজ করছি। দিনাজপুরের ফুলবাড়িয়ায় গ্রামের বাড়ি। ধানমন্ডি ৪ এ দু-রুমের একটা ফ্ল্যাট নিয়ে একা একা আছি। রাবুরমা নামে এক মহিলা সকাল সন্ধ্যায় আমার রান্না-বান্না সহ যাবতীয় কাজ করে দেয়। রাবুরমা আমাকে মামা ডাকে আর তার সিক্সে পড়ুয়া রাবু আমাকে দাদা বলে ডাকে। এইবার স্বর্ণ আমাকে থামিয়ে দিয়ে বললো, 'থামুন থামুন। আপনিতো আপনার ইতিহাস চালিয়ে যাচ্ছেন। আরেকটু হলেতো, বাচ্চা-কাচ্চা, ভাগ্নে-ভাগ্নী, নাতি-পোতা সবার নাম বলে ছাড়বেন'। আমরা আলোচনায় এমন ভাবে মশগুল থাকলাম যে, মিনিট দশেক আগে যে আমাদের পরিচয় হলো, তা বেমালুম ভুলে গেলাম। এরই মধ্যে 'আগে কি সুন্দর দিন কাটাতাম' গানের টোনে ওর মোবাইলটা বেজে ওঠলো। আমার কাছ থেকে পারমিশান নিয়ে মেয়েটি ফোন রিসিভ করলো।
'আরে বাবা এতো টেনশান করার কি আছে? আমি বাসের জন্য অপেক্ষা করছি। বাস এলে হোপ ফুল্লি ঘন্টা খানেকের মধ্যে চলে আসবো। কি বলছো এইসব? দুই ঘন্টা ধরে তুমি আমার হলের গেইটে কেন? কি করছো ওখানে? কার সাথে আবার...' বলে স্বর্ণ আমার দিকে তাকিয়ে একটু মুচকি হাসলো। গলাটা একটু ঝেরে-কেশে আবার শুরু করলো, 'দ্যাখো মন, মাঝে মাঝে তোমার আহ্লাদ একটু বাড়াবাড়ি মনে হয়। ঠিক আছে, আমি কি তোমাকে বারণ করেছি নাকি? আমিওতো ডাইনিংয়ে নিষেধ করেছি দুজন একসাথে খাবো বলে। হ্যাভ প্যাশেন মন, আমি আসছি। বাই..' বলে ফোন কেটে দিয়ে আমার দিকে মনোযোগী হলো আবার। যার সাথে কথা হলো, তার পরিচয়ও দিলো। 'আমার বয় ফ্রেন্ড। আমাকে ছাড়া খাবেইনা। একদিন দেখা না হলে অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। বলে আমি নাকি ওর টনিক। আমার সাথে কথা না বলতে পারলে ওর ব্যাটারী ফিউজ হয়ে পড়ে। ওর নাকি বডির রিচার্জ হয়না।'
ওর নাম বুঝি মন? খুউবই রোম্যান্টিক নাম। দেখতেও নিশ্চয়ই খুউবই হ্যান্ডসাম।
আরে নাহ। ওর নাম হলো সুমন। আমি ওকে মন বলে ডাকি। আর দেখতে মোটামুটি ভালোই। তবে আপনার মতো অত স্মার্ট না। আপনার নামটাওতো খুউবই সুইট। অনিন্দ্য।
নিজের প্রশংসা শুনে অনেকে লজ্জায় লাল হয়ে যায়। আমি একটু মুচকি হাসলাম। তারপর বললাম, ভাগ্যিস আপনার মতো কেউ আমাকে আদর করে সংক্ষিপ্ত করে ডাকেনা। তাহলে কি জঘণ্য হতো।
কি হতো অনিন্দ্য?
আরে সুমনকে যদি আদর করে আপনি মন ডাকেন, তাহলে আমাকে ডাকতে হতো নিন্দ্য। কারো কাছে সেটা হয়ে যেতো নিন্দা। হা হা হা।
আপনি হাসাতেও পারেন দেখছি। আপনার সেন্স অব হিউমার খুউবই শার্প।
২
এরি মধ্যে আমাদের প্রত্যাশিত বাস 'সুপার সিক্সটি নাইন' চলে এসেছে। বাসে প্রচন্ড ভীড়। ঠাসাঠাসি অবস্থা। আমি কোন রকমে ওঠতে পারলেও স্বর্ণকে আর ওঠানো যাচ্ছেনা। আমি দুই সিঁড়ি পেরুতে পেরেছি, স্বর্ণ মাত্র পা ফেলতে পেরেছে। মেয়ে মানুষতো আর ওভাবে গেইটে ঝুলে যেতে পারবেনা! ওখান থেকেই চিৎকার করে বলছে, 'হেল্প মি, অনিন্দ্য, হেল্প মি । হাতটা একটু ধরেন।' সবাইকে রিকোয়েস্ট করি ওকে একটু ওঠানোর জন্য যেন রাস্তা বের করে দেয়। অবশেষে সবাইকে এড়িয়ে ওর দুহাত ধরে টেনে হিচড়ে ওকে বাসের ভেতরে ওঠানো সম্ভব হলো। বাসে এমন ঠাসাঠাসি যে, একজন, আরেকজনের গায়ে ল্যাপ্টালেপ্টির মতো অবস্থা। একজন যাত্রির গায়ের ঘামে আরেকজনের জামা ভিজে যাওয়ার মতো অবস্থা। স্বর্ণ আর আমি মুখোমুখী এমন ভাবে দাঁড়িয়ে আছি যে ওর শ্বাস-প্রশ্বাস, হার্ট-বিট আমি টের পাচ্ছি। আমার পার্লস ওঠানামার শব্দ যেন ও শুনতে পাচ্ছে। এক হাতে বাসের রড ধরে আরেক হাতে ওকে ধরে রাখছি। ওর চোখ ভিজে ওঠেছে। 'আপনি না থাকলে কি যে হতো। আমি আর কখনো এরকম অবস্থায় পড়িনি। আমার খুউবই কান্না পাচ্ছে। জানেন, কোন সিএনজি অটো রিক্সা বা ট্যাক্সি যেতে রাজি হলোনা। এরপর ট্রান্সপোর্ট সুবিধা না পেলে আর কোন অ্যাসাইনমেন্টে আসবোনা'।
ওকে বেবি ওকে। রিলেক্স। পথে ঘাটে এরকম হয়ই। নিজেদের ভিইকল না থাকলে মাঝে মাঝে এরকম হ্যানস্থায় পড়তে হয়।
তখনো ও স্বাভাবিক হতে পারেনি। অনেকটা নেতিয়ে পড়েছে। আমার শরীরের ওপর ভর দিয়ে নিজের শরীরের হাল ছেড়ে দিয়েছে। ওর মাথাটা এখন আমার বুকে। মনে হচ্ছে ও ঘুমিয়ে পড়বে। আশে পাশে তাকিয়ে সিটে বসা লোকগুলোকে মনেমনে হিংসা করা শুরু করলাম। কেন ওরা নামছেনা কেউ? কেন আমরা বসতে পারছিনা, এ কারণে সবার ওপর রাগ করতে শুরু করলাম মনেমনে। ততক্ষণে বাস মহাখালী চলে এসেছে। ঠিক তখনি আমাদের পাশের সিটের দুই ভদ্রলোক দুটি সিট খালি করে মহাখালী নেমে গেলেন। সিট দুটো পেয়ে মনে হলো আকাশের চাঁদ পেয়ে গেছি। চাঁদ পেলে মানুষ এতোটা খুশী হয় কিনা জানিনা। তবে সিট দুটো পেয়ে আমার কাছে দূর্লভ কিছু মনে হচ্ছিল। জানালার পাশে স্বর্ণকে বসিয়ে আমি তার পাশের সিটে বসলাম। স্বর্ণ আমার কাঁধে ওর মাথাটা রেখে চোখ বন্ধ করে দিলো। মনে হলো ও এখন কিছুটা কমফোর্ট ফিল করছে। চুলগুলো বেয়ে কিছু আমার নাকে এসে ঝাপটা মারছে। জানালার বাতাসে চুলের বড় বেণীটা আমার পিঠে এবং ঘাড়ে এসে ঠেকছে। আমার ডান হাতের কয়েকটা আঙুল দিয়ে ওর কপালের পাশের চুল নেড়েচেড়ে দিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, 'কোন সমস্যা? খারাপ লাগছে?'
চোখ বন্ধ করেই বললো, 'মাথাটা ঝিমঝিম করছে'।
প্রসঙ্গ পাল্টে আবার জিজ্ঞেস করলাম, সুমন কি পড়ে?
বুয়েটে, ফাইনাল ইয়ারে।
ওর গ্রামের বাড়ি কোথায়?
লক্ষীপুর।
চোখ বন্ধ করেই আমার সাথে কথা চালিয়ে যাচ্ছে।
লক্ষীপুর মানে নোয়াখালীর লক্ষীপুর।
হুম।
ওর সাথে কিভাবে পরিচয় হলো তোমার?
মন খুউব ভালো গান করে। টাচি গান। আমাদের নবীণ বরণে গাইতে এসেছিলো। আমিই এগিয়ে গিয়ে ওর সাথে পরিচিত হলাম। সেই থেকে.....।
এইবার মাথাটা তুললো। আপনি এত কথা জানতে চাচ্ছেন কেন অনিন্দ্য?
না মানে কৌতুহল, জাস্ট কিউরিসিটি। স্যরি।
ইটস ওকে। আমি এমনিতেই সব বলতাম আপনাকে। কিন্তু এই মুহূর্তে কিছু বলতে ভালো লাগছেনা।
ঠিক আছে। আপনার যখন ইচ্ছে বলবেন, কিন্তু সামনে তো আমার বাস স্টপেজ। আমাকেতো নেমে যেতে হচ্ছে।
স্বার্থপরের মতো আমাকে একা রেখে নেমে যাবেন? দেখছেন না আমি সিক। আপনার কি বুকে লোম আছে?
বুকে লোম? কেন বলুন তো?
না মানে আপনি একটু পাষাণ প্রকৃতির। দয়া-মায়া নেই। শুনেছি বুকে যাদের লোম নেই, তারা এরকম নিষ্ঠুর হয়।
আমি হো হো করে হেসে ওঠলাম। এতো বড় মেয়ে, এমন বাচ্চা বাচ্চা কথা বলে?
আমার এতোক্ষণের আচরণে কি আমাকে পাষাণ প্রকৃতির মনে হয়েছে?
এতক্ষণ মনে হয়নি। এখন মনে হচ্ছে। এতক্ষণতো আমাকে আগলে রেখেছেন, ঠিক আমার বাবার মতো অথবা আমার যদি বড় কোন ভাই থাকতো, সেই বড় ভাইয়ের মতো অথবা আমার বন্ধুর মতো। জানেন অনিন্দ্য! আমার যে বয়ফ্রেন্ড মন, তার কাঁধেও কখনো আমি মাথা রাখিনি বা রাখার সুযোগ পাইনি। আপনার কাঁধে মাথা রেখে মনে হয়েছে আপনার কাঁধটি আমার একটা শান্তির জায়গা। এরকম শান্তি আমি কখনো পাইনি।
কি পাগলের মতো প্রলাপ বকছেন? আপনি অসুস্থ্য। মাথাটা ঝিমঝিম করছিলো, তাই হয়তো এমন মনে হচ্ছে আপনার।
আপনি এতো আপনি আপনি করছেন কেন? আমি কি আপনার চেয়ে সিনিয়র? বাজে লাগছে শুনতে।
আরে বাবা, এইতো পরিচয় হলো। পরিচয়ের প্রথম দিনেই কেই তুমি করে বলে?
এইতো পরিচয় হলো মানে? আপনার সাথে আমার আরো বিশ বছর আগে পরিচয় ছিলো। সেই ছোট বেলা থেকেই আমরা বন্ধু ছিলাম। আপনি তখন যশোরে থাকতেন। একই পাড়ায় দুজনে থাকতাম। এই কয়েক বছর আপনি হারিয়ে গিয়েছিলেন। আপনার মনে নেই, সেই যে মেলাতে গিয়ে আপনি আমার কাছ থেকে হারিয়ে গিয়েছিলেন?
আমি আবার হো হো করে হেসে ওঠলাম। আপনারতো সেন্স অব হিউমার খুউব শার্প! আপনিওতো হাসাতে পারেন খুউব। চমৎকার একটি গল্প বানালেন। ঠিক ফিল্মী স্টাইল। কিন্তু জানেন, সত্যি সত্যি আমি যখন ফোরে পড়ি, আমরা তখন যশোর থাকতাম। সত্যি সত্যি যদি আপনার সাথে পরিচয় থাকতো?
আবার আপনি? আমরা না শিশুকালের বন্ধু। সো নো মোর আপনি। ওকে?
ওকে। বাট ইউ অলসো শুডনট বি ইউজড আপনি। বিকজ উই আর ফ্রেন্ড ফ্রম ভেরি চাইল্ডহুড। ওকে? হা হা হা।
ওকে।
৩
কিন্তু তুমি এখনি নামতে পারবেনা। আমাকে হল গেইটে পৌঁছে দিয়ে তারপর তোমার ছুটি।
হুমহু। তুমি ভুলে যাচ্ছো যে, ওখানে তোমার জন্য সুমন অপেক্ষা করছে।
তাইতো! চলো একটা কাজ করি, আমরা তিনজন আজ এক সাথে ডিনার করি।
তা করা যায়। কিন্তু সুমন কিভাবে নেবে সেটাই ভাবনার বিষয়।
সেটা আমার ভাবনা। দাঁড়াও, ওয়ান মিনিট। ওকে একটা কল করি।
হ্যা মন, তুমি এখনি নীরবে চলে আসো, আমরা আজ ওখানে ডিনার করবো। হ্যা, বাবা বুঝতে চেষ্টা করো, আমি ইচ্ছে করে দেরী করিনি। তুমি এতো পেনিক হচ্ছো কেন? তোমাকে যা বললাম, তা করো। একটা রিকশা নিয়ে ওখানে চলে আসো। বাই।
স্বর্ণ যে খুউব সুন্দর করে হাসে, তা এইমাত্র লক্ষ করলাম। আরো খেয়াল করলাম, ওর চোখ দুটি ভীষণ প্রাণবন্ত এবং সজীব। ও হাসলে ওর চোখও হেসে ওঠে। ওর ভ্রু গুলোও কুচকুচে কালো এবং ঘন। ভ্রু গুলো দেখে আমাদের অফিসের কলিগ লাবনী রহমানের কথা মনে পড়ে গেল। বেচারি কতো যত্ন-আত্মি করে ওর ভ্রু গুলো সজীব করার জন্য। ওর প্রতিদিন পেন্সিলে ভ্রু আঁকতে হয়। ভ্রু গুলো নিয়েই ওর যতো আফসোস। মনে মনে ভাবি, স্বর্ণের কাছ থেকে লাবনী ভ্রুও ধার নিতে পারবে। লাবনী রহমানের অসহায় মুখটি ভেসে ওঠলো।
ইতোমধ্যে আমরা 'সুপার সিক্সটি নাইন' ছেড়ে রিক্শায় চড়ে বসলাম। কিছুক্ষণের নীরবতা ভেঙে স্বর্ণ আমাকে প্রশ্ন করলো, আচ্ছা অনিন্দ্য, তোমার কোন গার্লফ্রেন্ড নেই? এই ধরো আমার মতো বিশেষ কেউ? ভেরি স্পেশাল?
ফ্রেন্ড হয়তো আছে অনেক। কিন্তু তোমার মতো বিশেষ কারো এখনো সন্ধান পাইনি।
তোমার মতো স্মার্ট ছেলের কেন একজন বিশেষ বন্ধু আই মিন গার্লফ্রেন্ড থাকবেনা? তোমার কমতি কিসে? কোন মেয়েরা অফার করেনি নাকি তুমি কারো ডাকে সাড়া দাওনি?
ঠিক তা না। আসলে ছোট বেলা থেকে মেয়েদের সাথে মেয়েলী যত খেলা খেলতাম। এই ধরো কুতকুত, কানামাছি, বউজামাই ইত্যাদি। আমরা কাজিনরা কোন অকেশনে জড়ো হলে খুউবই মজা করতাম। এদের মধ্যে মেয়েদের সংখ্যাই বেশী থাকতো। ছেলেদের সংখ্যা থাকতো গোটা ৪/৫ জন। তাদের মধ্যে আমিই ছিলাম সিনিয়র। কাজিনদের মধ্যে আমাদের খুউবই ভালো বন্ধুত্ব ছিলো। সব মেয়েদেরই ভালো লাগতো। এদের মধ্যে মাধবীদি আর রত্নাদি ছাড়া সবাই বয়সে আমার ছোট। বউজামাই খেলার সময় প্রায়ই আমাকে জামাই হতে হতো। আর মজার ব্যাপার কি জানো? সবাইকে আমার বউ বউ মনে হতো। রিয়া, রানী, ডানা, দিয়া, পুজা, কুসুম, হিয়া, মালা সবাইকে আমার ভালো লাগতো। আমার কাজিনদের ছাড়া আর কাউকে তেমন ভালো লাগতোনা। কিন্তু যতই বড় হতে থাকলাম ওদের ছাড়া তেমন কোন মেয়েদের সাথে মিশতামনা। যার কারণে ক্লাশে কি কোচিং এ যত মেয়েরা আমার সামনে এসেছে, তারা কেউ যেন আমার কাজিনদের চেয়ে উজ্জ্বল এবং আপন মনে হয়নি। তাছাড়া মাষ্টার্স পরীক্ষা শেষ হতে না হতেই ব্যাংকের চাকুরীটা হয়ে গেল। ব্যস্ততাও বেড়ে গেলো। সেই কারণেই বিশেষ কেউ জীবনের সাথে জড়ায়নি। এখন অবশ্য বাবা-মা ই চাচ্ছেন সাত পাঁকে বাঁধতে। সেরকম কাউকে পায়নি এখনো। তাছাড়া আমাদের সোসাইটিতে পদবী বা বংশ মেলানো একটা ভীষণ জটিল ব্যাপার।
মানে? তোমাদের পদবী কি?
আমরা হলাম চক্রবর্তী। অর্থাৎ আমি অনিন্দ্য চক্রবর্তী। আমার বংশের সাথে মিলিয়ে মেয়ে পাওযা খুউবই ঝামেলার। বাবা-মা যদি কিছুটা ছাড় দেন, তবে হয়তো অনেক বিবাহযোগ্য কন্যা মিলে যাবে।
তার মানে তুমি হিন্দু?
প্রথমে আমি মানুষ। তার পরে আমি হিন্দু। বাট আমি সব ধর্মের সব মানুষকে সমান ভালোবাসি। অন্য ধর্মের প্রতি আমার আছে অগাধ শ্রদ্ধাবোধ, বিশ্বাস আর ভালোবাসা।
ও মাই গড, আমি কল্পনাও করতে পারিনি যে, তুমি হিন্দু।
হিন্দু বলে কি আমাকে ঘৃণা করতে চাইছো।
ঠিক তা নয়। আমি অনেকটা অবাক হচ্ছি। আমার সাথে কিভাবে এমন মিলে গেলো। আমিও হিন্দু। আমার পদবী হলো সাহা। অর্থাৎ আমি স্বর্ণ সাহা।
কাকতালীয়ভাবে ব্যাপারটা ঘটে গেল যে এরকম ঘটনা সিনেমা বা নাটককেও হার মানাবে। দুজনই একই সম্প্রদায় হওয়ার কারণে মনেমনে কিছুটা হলেও স্বস্তি পাচ্ছে স্বর্ণ। ঠোঁট দুটো চেপে হাসছে আর কি যেন ভাবছে। অন্যমনস্ক ওকে কিছুটা ধাক্কা দিয়ে ভাবনার জগৎ থেকে মর্ত্যে নিয়ে আসলাম।
আচ্ছা স্বর্ণ, সুমনের কি অবস্থা? ও কোন সম্প্রদায়ের?
সমস্যাটাতো এখানেই। মন হলো মুসলিম। পুরো নাম সুমন রহমান। কি করা যায় বলোতো?
মানে?
মানে আমি মন ছাড়া কিছু ভাবতে পারছিনা। ওকে ছাড়া কাউকে বিয়ে করা সম্ভব নয়। আমি ওকে ভীষণ ভালোবাসি। মনও আমাকে পাগলের মতো ভালোবাসে। আমাকে না পেলে ও মারা যাবে। হয়তো দেখা যাবে আমরা দুজন এক সাথে পৃথিবী ছেড়ে চলে যাবো। ঠিক যেন 'কেয়্যামত ছে কেয়ামত তক'। আগে যাবো আমি, তারপর মন।
কি সব প্রলাপ বকছো স্বর্ণ? আজকাল ধর্মীয় ব্যাপারটা কোন বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়না। বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হবে দুজন মানুষ। দুজনের দেহ-আত্মা-মন এক হলেই হলো। আমাদের দেশে এমন বহু বিয়েই দুই ধর্মের মধ্যে হয়। অনেকে ধর্মান্তরিত হয়ে বিয়ে করে। অনেকে আবার যার যার ধর্মে থেকেও সংসার চালাতে পারে। তুমি দেখনি, ফেরদৌসী মজুমদার আর রামেন্দু মজুমদার কতো সাকসেসফুল্লী সংসার-ধর্ম পালন করে চলেছেন। রিসেন্টলি হিল্লোল আর তিন্নি ও কিন্তু এরকম বিয়ে করে এখন সুখেই আছে। তুমি আর সুমন নিজেদের মধ্যে ডিটারমাইন্ড থাকলে কোন বাঁধাই বাঁধা হয়ে দাঁড়াবেনা। আর আমিতো আছিই। তোমাদের মাথার উপর ছায়া হয়ে যেকোন ধরণের সহযোগিতা করবো। এই ব্যাপারটা নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে পড়াশুনা নিয়ে মাথাটা খাটাও। দুজনকেই একটা ব্রিলিয়েন্ট রেজাল্ট করতে হবে। বাকীটা সময়ের উপর ছেড়ে দাও।
আমাকে অনেক বড় টেনশন থেকে বাঁচালে অনিন্দ্য। এ বিষয়টা নিয়ে মনও অনেক কষ্টের মধ্যে আছে। আসলেই তুমি অনে-ক ভালো বন্ধু। তুমি পাশে থাকলে আমি আর মন অনেক সুখী হবো।
এরি মধ্যে আমরা নীরবে চলে এসেছি। ওখানে আগে থেকেই সুমন দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছিলো। স্বর্ণের সাথে আমাকে দেখে ও যেন আকাশ থেকে পড়লো। নীরবতা ভেঙে স্বর্ণই আমাকে পরিচয় করে দিল।
মন, এ্যাই হলো অনিন্দ্য চক্রবর্তী। আমরা ছোটবেলায় এক সাথে এক মহল্লায় থাকতাম। আমরা দুজন শিশুবেলার বন্ধু। অনিন্দ্য খুউবই ভালো মানুষ। তোমার আর আমার ব্যাপারে স..ব জানে। আমাদের লোকাল গার্জেন কাম ছাতা হলো অনিন্দ্য।
হ্যালো, আমি অনিন্দ্য। আপনার সাথে দেখা হওয়ায় ভালো লাগছে।
জ্বি, আমার নাম সুমন। আপনার সাথে দেখা হওয়াতেও আমি নিজেকে গর্ববোধ করছি।
স্বর্ণ আবার আমাদের দুজনের কথার মাঝে কথা ঢুকিয়ে দিলো।
তোমাদের ফর্মালিটিজ পরে সেরো, আপাতত ক্ষিধেয় আমার পেটের পোকাগুলো মারা যাচ্ছে।
ওকে, চলো।
৪
আমরা একটা গুছানো টেবিলে গিয়ে বসলাম। কি কি খেতে হবে তার দায়িত্ব স্বর্ণ নিয়ে নিলো। মনে হলো এখানকার লোকজন থেকে শুরু করে সবকিছু ওর চেনা।
তা সুমন, পড়াশুনার অবস্থা কি? কেমন চলছে? খুউবই ব্রিলিয়ান্ট রেজাল্ট করতে হবে কিন্তু। তা না হলে আমার গার্জেনগিরির বারোটা বেজে যাবে। স্বর্ণ'র ভালো রেজাল্ট করার পেছনেও তোমার অবদান থাকতে হবে। ওকে লেখা-পড়ায় এনকারেজ করতে হবে। জীবনটাতো পড়ে রইলোই। অনেক এনজয় করা যাবে। বাট রেজাল্ট একবার খারাপ হয়ে গেলে আর শোধরানো যাবেনা।
কিন্তু দাদা আমাকেতো লেখাপড়া, বিয়ে, সংসার এরকম সীমাবদ্ধতায় টানেনা। আমার মন ছুটে চলে দেশ থেকে দেশান্তরে, নদীর তীরে, পাল খাটানো নৌকায়, কখনো বেদে স¤প্রদায়ের দলে মিশে যেতে ইচ্ছে করে। কখনো আবার দিগন্ত পেরিয়ে খোলা আকাশের নীচে তাবু খাটিয়ে যাযাবর জীবন যাপন করা। গলা ছেড়ে নিজের মতো কবরে গান করা। সুরে সুরে ডুবে থাকা। কোন ছোট্ট গন্ডিতে বাঁধা জীবন আমার ভালো লাগেনা।
সর্ব্বনাস.... তোমার এই প্ল্যানের কথা কি স্বর্ণ জানে? ওতো তোমাকে নিয়ে অ....নেক দূর এগিয়েছে।
নাহ্, স্বর্ণ জানেনা। ও একটা ইন্নোসেন্ট মেয়ে। আমি ওকে অসম্ভব ভালোবাসি। ওকে আঘাত দিতেও চাইনা। স্বর্ণ খুউব ভালো মেয়ে দাদা। ওকে কিভাবে সামলাবো, সেটিও বুঝতে পারছিনা।
এরি মধ্যে স্বর্ণ হাতে মুখে পানি ছিটিয়ে ফ্রেস হয়ে আমাদের কথায় জয়েন করেছে।
কি বুঝতে পারছোনা মন?
নাহ্ মানে দাদা বলছিলেন দুজনের রেজাল্ট যাতে ব্রিলিয়ান্ট হয়।
আমিওতো তাই ভাবছি। আমাদের রেজাল্ট ভালো করতেই হবে। অনিন্দ্যর মতো একজন অ্যাতো ভালো বন্ধু কাম গার্জেন পাশে থাকলে ভালো রেজাল্ট করা মোটেই কঠিন নয়।
এরি মধ্যে অর্ডার অনুযায়ী সব খাবার চলে এসেছে। ৩/৪ রকমের ভর্তাসহ চিংড়ী মাছের দোপিয়াজি, ইলিশ ভুনা। খাবারের মান এবং স্বাদ খুউব চমৎকার। আমরা যে টেবিলটাতে বসেছি, তার পাশের কাঁচের জানালাটার পর্দা সরানো। আলো আঁধারী এই পরিবেশে চাদের আলো এসে একটা ভিন্ন মাত্রা দিয়েছে। খাবার শেষ করে ¯প্রাইটের গ্লাস নিয়ে চুমুক দিতেই আমি সুমনকে বললাম, সবইতো হলো কিছুটা অপূর্ণতা রয়ে গেল। হয়ে যাক তোমার একটা গান। সুমন একটু আপত্তি করতে চাইলেও স্বর্ণ আমার প্রস্তাব সমর্থন করে বললো, তুমি ঠিকই বলেছো অনিন্দ্য। মনের গান ছাড়া আজকের আসর অপূর্ণই থেকে যাবে।
কিন্তু দাদা আপনিতো একটা বিষয় জানেননা, স্বর্ণও খুউব চমৎকার গায়।
তাই নাকি? তাহলে স্বর্ণের গান দিয়েই আজকের আসর শুরু করা যাক।
স্বর্ণ আপত্তি জানিয়ে বললো, একদম বাজে কথা, অনিন্দ্য। আমি তেমন ভালো গাইতে পারিনা। যা গাই তা মনের তুলে দেয়া কিছু অপচেষ্টা। সুরের ভুবনে একদম আনাড়ি আমি। গাইতে শুরু করলে তোমরা পালাবে। সুর একবার যাত্রাবাড়ি ছুটেতো একবার গাবতলী দৌড়ে পালায়। সো এরকম অপচেষ্টা না করাই ভালো।
সুমন মানতে পালোনা স্বর্ণের কথা। 'বাজে কথা বলবেনা স্বর্ণ। ঐযে ঐ গানটা, ঐ যে জোছনার গানটা? এই মন জোছনায় অঙ্গ ভিজিয়ে এসোনা গল্প করি... কি যে ভালো গাও, তা তুমি নিজেই জানোনা'।
অনিন্দ্যের কাছে আমাকে তুমি পঁচাচ্ছো মন।
ওদের তর্ক থামাই আমি। 'প্লিজ স্বর্ণ তুমিই শুরু করো। সুরের কোন সমস্যা হলেও আমার অসুবিধে নেই।
এরপর স্বর্ণ শুরু করে....।
এই মন জোছনায় অঙ্গ ভিজিয়ে এসোনা গল্প করি।
দ্যাখো ওই ঝিলিমিলি চাঁদ সারারাত আকাশে শলমাজুরি..।
এই রূপসী রাত আর ঐ রূপালী চাঁদ, বলে জেগে থাকো-
এ লগন আর কখনো ফিরে পাবে নাকো।
মখমলের ঐ সজনে ঘাসে
বসলে না হয় একটু পাশে
মনে হয় মহুয়ারই আতর মেখে তোমার কোলে ঘুমিয়ে পড়ি-
দ্যাখো ওই ঝিলিমিলি চাঁদ সারারাত আকাশে শলমাজুরি..।
চমৎকার গাইলো স্বর্ণ। আমার শুষ্ক মনটা যেন ভিজিয়ে দিয়েছে।
এর পর সুমনের পালা। সুমন জানালো, স্বর্ণকে উদ্দেশ্য করে আজই একটা গান বেঁধেছি। গানের কথা, সুর সবই কাঁচা। আজই তোলা হলো। তো সেটাই শোনাতে পারি তোমরা অভয় দিলে।
সুমন শুরু করে..।
তুমি আমার মেঘলা আকাশ রঙধনুটার সৃষ্টি
তুমি আমার খাঁখাঁ রোদে একটু খানি বৃষ্টি।
তুমি আমার তপ্তরোদে রপ্তকরা ক্লান্তি
তুমি আমার স্বপ্নে দেখা লক্ষ-কোটি ভ্রান্তি।
তুমি আমার বৈশাখী ঝড় আম-কাঁঠালের গন্ধ
তুমি আমার বৃষ্টির সুরে দাদরা তালের ছন্দ।
তুমি আমার দিনের শেষে ক্লান্ত হয়ে বাড়ি ফেরা-
তুমি আমার পাড়া পড়শি, বন্ধু-শত্রু নিন্দুকেরা।
আমি শুধু ভালোবাসা ভালোবাসা খুঁজি
ভালোবাসা বলতে আমি তোমাকেই বুঝি।
তবুও সারাক্ষণ তোমাকেই ভাবছি।
আবেগের তাড়ণায় এই আমি কাঁপছি।
আবেগের তাড়ণায় এই আমি কাঁপছি।।
আবেগের তাড়ণায় এই আমি কাঁপছি।।।
সুমন অসম্ভব মিষ্টি সুরে গানটি গেয়ে শোনালো। স্বর্ণের দিকে তাকিয়ে দেখলাম ওর চোখ ভিজে উঠেছে। আবেগের তাড়নায় সুমনের সাথে যেন সেও কেঁপে ওঠছে। বারবার ওড়নার আঁচলে চোখ মুছছে। আর আমি ওদের ভালোবাসার গভীর বন্ধন দেখে মুগ্ধ হয়ে গেছি।
২| ০৪ ঠা জুলাই, ২০০৮ রাত ৮:১০
লিপিকার বলেছেন: বাপরে বাপ!
আপনিতো এখন ইস্টার হয়ে গেছেন...
যাযাদিতে লেখা ছাপা হওয়ার জন্য প্রাণঢালা অভিনন্দন
০৪ ঠা জুলাই, ২০০৮ রাত ৯:৪০
রফিকুল ইসলাম ফারুকী১১ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে লিপিকার। তবে আপনি যেভাবে তাচ্ছিল্যভাবে ইষ্টার হয়ে গেছেন বলেছেন, আমি তেমন ষ্টার হতে চাইনা কখনো। যেহেতু সামহোয়ারইনব্লগ একটা পরিবার, সেজন্য জানালাম।
৩| ০৪ ঠা জুলাই, ২০০৮ রাত ৮:৪৩
সাদাকালোরঙিন বলেছেন: দারুন হয়েছে .......লিখতে থাকুন
০৪ ঠা জুলাই, ২০০৮ রাত ৯:৪৩
রফিকুল ইসলাম ফারুকী১১ বলেছেন: জ্বি, আপনাকে ধন্যবাদ।
৪| ০৪ ঠা জুলাই, ২০০৮ রাত ৯:০২
নাফে মোহাম্মদ এনাম বলেছেন: আনন্দটা শেয়ার করলাম। আমি জানি এখন আপনার মনে বেশ একটা সুখ হাওয়া বইছে। অভিনন্দন!
০৪ ঠা জুলাই, ২০০৮ রাত ৯:৪৫
রফিকুল ইসলাম ফারুকী১১ বলেছেন: আপনার জন্য শুভ কামনা এনাম সাহেব।
৫| ০৪ ঠা জুলাই, ২০০৮ রাত ৯:১১
মখআলমগীর বলেছেন: হ পড়ছি যাযাদিতে, ভাল লাগছে। অভিনন্দন
০৪ ঠা জুলাই, ২০০৮ রাত ৯:৫৫
রফিকুল ইসলাম ফারুকী১১ বলেছেন: আপনার জন্য শুভ কামনা
৬| ০৪ ঠা জুলাই, ২০০৮ রাত ৯:৫৭
রফিকুল ইসলাম ফারুকী১১ বলেছেন: যারা কষ্ট করে গল্পটি পড়েছেন, তাদের সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন।
সবারজন্য শুভ কামনা।
৭| ০৪ ঠা জুলাই, ২০০৮ রাত ১০:০৯
শফিকুল বলেছেন: আপনাকে মোবারকবাদ, সথ্যিই আমার খুব আনন্দ হচ্ছে।আপনাকি শুভেচ্ছা। আপনি আরো বড় হন।
৮| ০৫ ই জুলাই, ২০০৮ সকাল ১১:৫৯
মুনমুন বলেছেন: আমিও এরকম একটা সুযোগের অপেক্ষায় ছিলাম, সম্পূর্ণ গল্পটি এক সাথে পাওয়ার জন্য। আমি যাযাদি তে গল্পটি পড়েছি। আপনার জন্য শুভ কামনা।
কিন্তু ব্লগে যেটুকু পেয়েছি, মনে হচ্ছে যাযাদিতে একটু এডিটিং করে ছোট করে ফেলেছে। তবুও ভালো লেগেছে। আপনার জন্য শুভ কামনা।
কিন্তু ফারুকী ভাই, গল্পটির ব্যাপারে এক জায়গায় আমার একটু খটকা লেগেছে। এতো অল্প পরিচয়ে কোনো মেয়ে কি বাসে কারো কাঁধে মাথা রাখে? কোনো মেয়ের পক্ষে কি সম্ভব?
৯| ০৫ ই জুলাই, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:০৪
মোহাম্মদ আরজু বলেছেন: ভালো তো!
একটু আগেই তো আপনার সাথে ফোনে কথা হলো। আমার জানা ছিলো না যে আপনি ব্লগে লেখেন।
ধন্যবাদ।
১০| ০৭ ই জুলাই, ২০০৮ সকাল ১০:৩৩
পথ হারা পথিক বলেছেন: সুন্দর
১১| ৩১ শে আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৫:২৬
আমিনুল ইসলাম বলেছেন: গল্পটা ভাল হয়েছে। ধন্যবাদ। একটা প্রশ্ন ছিল, যায়যায়দিন কি আপনাকে এরজন্য কোন সম্মানী দিয়েছে? প্লীজ জানাবেন।
আর হ্যাঁ, মিথ্যা বইলেন না আপনি যে টিভি চ্যানেলে কাজ করেন সেটা আমি জানি
১২| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সকাল ১১:৫১
আমিনুল ইসলাম বলেছেন: যায়যায়দিন থেকে কি কোন সম্মানী পেয়েছেন?
১৩| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৩:৪৮
আজমান আন্দালিব বলেছেন: যায়যায়দিন থেকে কি কোন সম্মানী পেয়েছেন?
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা জুলাই, ২০০৮ রাত ৮:১০
সাইফুর বলেছেন: হ