জীবন যুদ্ধ, আদর্শিক একক।

২৯ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:১৬

জীবন যাপন আর যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা। হরেক রকমের জীবন আর নানান ধরনের যুদ্ধ। ক্ষুধা নিবারনের যুদ্ধ, রোগীর সুস্থ হবার প্রয়াস। কোথাও ট্যাংকের বিরুদ্ধে ঢিল ছোড়ার অসম যুদ্ধ। মান অভিমানের মজার খেলাও এক ধরনের যুদ্ধ। নিজের অনির্বাণ ইচ্ছাকে দমানোর প্রানান্তকর প্রচেষ্টা। মনের মতো জীবন সঙ্গী খুঁজে পাওয়া। বেকারত্ব ঘুচানোর দৃঢ়তায় দিন যাপন। সবই যুদ্ধ। আরও আছে, বাকযুদ্ধ। কাছে থাকার আকুতি। ঈদে নারী আর নাড়ির টানে বাড়ি ফেরার যুদ্ধ। সকাল বিকাল বাসে ওঠার লড়াই। ব্যাচেলরদের খালাকে দিয়ে বাড়তি একপদ ভাজি করানোর প্রতিদিনকার স্ট্র্যাটেজি তৈরিতে মস্তিষ্কের সর্বোচ্চ ব্যাবহারের চ্যালেন্জ। হাউজ টিউটরদের আনাড়ী শিক্ষার্থীদের থেকে পড়া আদায়ের যুদ্ধ। ব্যাংকের জুনিয়র অফিসারের দিনশেষে পুংখানুপুংখ হিসেব মেলানোর যুদ্ধ। ছড়াকারদের ছন্দ মেলানোর চ্যালেঞ্জ। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের চ্যালেঞ্জ- ইহুদি লবি এবং জনসাধারণের আকাংক্ষার সামঞ্জস্য বিধান, আরব রাষ্ট্রসমূহকে সর্বোচ্চ পদলেহনে বাধ্য করার নিশ্চয়তা, অস্র ব্যাবসায়ীদের নতুন যুদ্ধে লাগানোর নিশ্চয়তা....
সাড়েসাত হাজার টাকার বিড়ি বেচার প্রতিদিনকার টার্গেট পুরনের চাকুরী। অবৈধ পদ্ধতিতে নতুন টার্মে ক্ষমতায় টিকে থাকার যুদ্ধ। সবাই যুদ্ধ করছি নিজ অবস্থান হতে। মৃত্যু থামিয়ে দেবে ব্যাক্তি পর্যায়ের যুদ্ধ আর মহাধ্ধংস থামাবে সার্বিক গতিশীলতা।
নতুন এক বন্ধুর ভালো- মন্দের স্টান্ডার্ড খুঁজে না পাওয়াতে খুব অবাক হইনি সেদিন। আরও অনেককেই ইদানীং দেখছি ভালো মন্দের স্টান্ডার্ড খুঁজে না পেতে। এই দলের প্রায় সবাই সবকিছুতেই আপেক্ষিকতা খুঁজে পান। আসলেই কি তাই? ভালো- মন্দের স্টান্ডার্ড নাই!

০ টি +০/-০