নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মুশশাররাফ হোসেন সৈকত

মুশশাররাফ হোসেন সৈকত › বিস্তারিত পোস্টঃ

কুসংস্কার সমাচার: সাবজেক্ট: জন্ডিস

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:১৯

বাঙালি সমাজে যেসব রোগ নিয়ে বিভিন্ন কুসংস্কার বেশি মাত্রায় প্রচলিত, তার একটি হলো জন্ডিস। জিনিসটা কি, কিজন্য হয় ইত্যাদি অর্থাৎ কার্যকারণ জানলে বুঝা যাবে কোনটি সত্য কোনটি কুসংস্কার।
জন্ডিস হলো মানুষের শরীরে বিলিরুবিনের পরিমান বৃদ্ধির ফলে সৃষ্ট লক্ষনসমাহার, তা নিজে কোনো রোগ নয়, তা হলো রোগের লক্ষন। মানুষের শরীরের রক্তের লাল কনাগুলো যখন মারা যায়, তখন তার ভেতরের মধ্যকার বিভিন্ন পদার্থগুলো বের হয়ে যায়, যা লিভার ও কিডনীর মাধ্যমে ফিল্টার হয়ে বের হয়ে আসে শরীর থেকে। এরকম একটি পদার্থ হলো বিলিরুবিন। যদি লিভার কোনোকারনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তবে তা বিলিরুবিন ফিল্টার করতে অক্ষম হয়ে পড়ে, ফলে তা শরীরে জমতে থাকে। উল্লেখযোগ্য ব্যাপার হচ্ছে, লিভার একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক বার ক্ষত পুরো সারাতে সক্ষম। হেপাটাইটিস হচ্ছে লিভারকে ক্ষতিকারী রোগ, যা এ বি সি ডি ই এই পাচটি ভাইরাসের যেকোনোটির ফলে হয়ে থাকে। বাংলাদেশে এ ভাইরাসটি বেশি কমন যা খাবার ও পানির মাধ্যমে ছড়ায়। ভাইরাসগুলো লিভারের মাংস উপাদান ভক্ষনের মাধ্যমে লিভারের ক্ষতি করে। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হবার চিকিৎসা হচ্ছে সকল ধরনের পরিশ্রম, এমনকি বসা ও হাটা বন্ধ করে যতটা সম্ভব স্থির থেকে ঘুমানোর চেষ্টা করা কারন মানুষ যত নড়াচড়া করে, লিভার সুস্থ অবস্থাতেই তত ব্যবহৃত হয়, আর এখানে অসুস্থ অবস্থা। স্থির ঘুম এবং কোমা, এই দুইটা অবস্থায় মানুষের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা সবচেয়ে শক্তিশালী থাকে, যা হেপাটাইটিস এ এর ভাইরাসকে ধ্বংস করতে সহায়ক হয়। আমাদের দেশে হেপাটাইটিস এ বা জন্ডিসে আক্রান্ত ব্যক্তিকে পানিপড়া, চালপড়া, তেলপড়া দেওয়া হয় যা সম্পূর্ণ কুসংস্কার। এছাড়াও ডাবের পানি, আখের রস, গুড়ের শরবত বেশি করে খাওয়ানো হয় যা আদৌ রোগ চিকিৎসায় সহায়ক নয় বরঙ রোগির শরীরে প্রস্রাবের পরিমান বাড়িয়ে দেয় ফলে রোগিকে বারবার বাথরুমে যেতে হয় ফলে তার চিকিৎসা ধীর হয়ে যায় ও ভাইরাসের হাতে বারবার লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। লম্বা কাহিনি ছোট করে বললে, চিকিৎসা হলো NOBODY MOVE!

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৬:৫০

চাঁদগাজী বলেছেন:



জন্ডিস ভয়ংকর রোগ; ইহার ফলে, কোন এক সময়ে লিভার নস্ট হয়ে যেতে পারে।

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১০:৪৭

মুশশাররাফ হোসেন সৈকত বলেছেন: জন্ডিস রোগের নাম নয়, তা লক্ষনের নাম, রোগের নাম হলো হেপাটাইটিস। হেপাটাইটিসের মধ্যে বি ও সি এর জন্য লিভার চিরস্থায়ী নষ্ট (cirrhosis) হয়, ওই দুইটা খাবার ও পানি দিয়ে ছড়ায় না। খাবার ও পানি দিয়ে ছড়ায় এ ভাইরাসটা, যেটা মারাত্মক না।

২| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৬:৫২

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি সোস্যালিজমের ডেফিনেশন, এবং সোষয়ালিজ ও কম্যুনিজমের মাঝে যে পার্থক্য আছে, তা বলতে চেয়েছিলেন; বলেন, স্বল্প কথায়।

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১০:৪৯

মুশশাররাফ হোসেন সৈকত বলেছেন: আপনি যেটা শিখেছেন, ওটা দেখার অপেক্ষায় আছি।

৩| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ২:০৪

শেখ মিজান বলেছেন: হা হা ..। জন্ডিসের আমার বড়মাপের একটা অভিজ্ঞতা আছে, তখন ক্লাস ৯এ পড়ি, মা একটা গাছের মালা ৩/৪ইঞ্চি ব্যাস, মাথায় রাখতে বললে, আমি বল্লাম, এমনিতে পরে যাবে, টুপি দিয়ে রাশি আম্মা, তিনি বল্লেন রাখ,

গোপনে ঘরে ঢুকে খাটের কোনায় ঝুলিয়ে দিব্বি টুপিপড়ে হাটছি.,..দুদিন পর মাকে বল্লাম, মা আমার জন্সিতো ভালো হলো না, মা বল্লো মালা কি করছি... ? আমি বল্লাম ঐ দেখ খাটের কোনায়?

মা বল্লো, তাহলে তো মালা অনেক বড় হইছে, ভালো হওয়ারতো কথা, আমি হেসে বল্লাম, মা জন্সিস আমার, আমি কিন্তু খাটের মাথাই এইটা তিনদিন যাবত রাখছি, সুতরাং খাটের মনে হয় জন্ডিস ছিল..

মা রেগে গিয়ে বল্লেন. . যা তুই মর, খাটের জন্সিস ভালো করসিস্ তরটার খরব নাই...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.