নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আহলুস সুন্নাহ্ ওয়াল জামায়হ্

আহলুস সুন্নাহ্ ওয়াল জামায়হ্ এর। অন্যসারী

নাদিম মাহদী

একজন মুসলিম হওয়ার চেষ্টা করছি

নাদিম মাহদী › বিস্তারিত পোস্টঃ

লা-মাঝহাবির পোষ্টমর্টেম

১৩ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ২:৪৪

কোথাকার কোন লা-মাযহাবী, আল্লামা নুরুল ইসলাম ওলিপুরী দা: বা: এর এক বয়ানের পোষ্টমর্টেম করতে গিয়ে অজ্ঞতার কারনে নিজের পোষ্টেরই পোষ্টমর্টেম হয়ে গেছে

একেই বলে ফান্দে পড়িয়া বক কান্দেরে --

হুজুর এক বয়ানে নারীদের মসজিদে নামাজ পড়া ও নিজ ঘরে নামাজ পড়া নিয়ে কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে এক চুলচেরা জ্ঞান গর্ব বিশ্লেষণ ও ফজিলতের আলোচনা করে ছিলেন,এই আলোচনাতে লা-মাযহাবীদের ভাওতাবাজি ও সত্য প্রকাশ পাওয়ায়, ওরা খেপে যায়, তাই হুজুরের এই ঐতিহাসিক বয়ানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার শুরু করে, কিন্তু চামচিকার বেলকিতে সূর্যের কি আসে যায়-----

সে নাকি এই বয়ানের পোষ্টমর্টেম করেছে, এক বস্তা দলীল নিয়ে এসেছে, অথচ মজার বিষয় হল ,তার উল্লেখিত একটি দলীলও হুজুরের বয়ানের বিরোধী না, হুজুর কি বললেন আর লা-মাযহাবীটা কি বুঝলো আর কি বুঝালো আর হাদীস গুলিই বা কি বলে? আরে মিয়া আপনিতো আওলা-যাওলা হয়ে গেছেন-----

আরো কিছু জগন্য মিথ্যাচারও সে করেছে, সে বুঝাতে চেয়েছে হুজুর নাকি নারীদের মসজিদে নামাজ পড়া হারাম বলেছেন (নাউযুবিল্লাহ) যারা বয়ানটি full শুনেছেন তারা বুঝতে পারবেন লা-মাযহাবীটা কত বড় মিথ্যাবাদি----

সে আর বলেছে এই বয়ান নাকি অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ (লা হাওলা ওয়ালা কু’ওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ) কুরআন সুন্নাহর বয়ানকে যে অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ বলে,সে কি ? তার বিচারের বার আপনাদের হাতে দেয়া হল, তার এই কথা কি আল্লাহ ও রাসুল সা. এর উপরে পরে না? এই জগন্য কথা বলার পিচনে তার দলিল হল বয়ানের একটি অংশে হুজুর বলেছেন ’দুষ্ট মৌলভীরা মসজিদে নারীদেরকে উপভোগ করতে চায়’’ , এখন আমি বলতে চাই এই কথার জন্য কুরআন ও সুন্নাহ ভিত্তিক বয়ানটি অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ হয়ে গেল???? (নাউযুবিল্লাহ,) দুষ্ট মৌলভীদের জন্য আপনার এতো দরদ কেন? দুষ্ট মৌলভী তো দুষ্টই, দুষ্ট মৌলভীদের উদ্দেশ্য খারাপ হবে এটাই সাভাবিক----

আর হুজুরতো ঐ সমস্ত দুষ্ট মৌলভীদের কথাই বলেছেন, যারা নারীদের মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ানোর জন্য উঠে পড়ে লেগেছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ,সাহাবায়ে কেরাম ,তাবেঈন,তাবে তাবেঈন,মুজতাহিদ ইমামগন কি এমনটা করেছিলেন? হুজুরতো ঐ সমস্ত দুষ্ট মৌলভীদের কথাই বলেছেন, যারা নারীদের মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ানোর উতসাহ ও তাগিদ দিয়ে আসছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, সাহাবায়ে কেরাম, তাবেঈন, তাবে তাবেঈন, মুজতাহিদ ইমামগন কি এমনটা করেছিলেন? হুজুরতো ঐ সমস্ত দুষ্ট মৌলভীদের কথাই বলেছেন, যারা নারীদের মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ানোর জন্য প্রচার প্রসার ও দাওয়াত দিয়ে যাচ্ছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, সাহাবায়ে কেরাম, তাবেঈন, তাবে তাবেঈন,মুজতাহিদ ইমামগন কি এমনটা করেছিলেন?

উত্তর একটাই না না না না, তাহলে এই দুষ্ট মৌলভীদের মতলবটা কি? তাই এটাতো সাভাবিক ভাবেই বলা যায় দুষ্ট মৌলভীরা আসলে নারীদের চোখের উপভোগ করতে চায়, তাই বলি,দুষ্ট মৌলভীদের পক্ষে উকালতী করে নিজেকে কলঙ্কিত করবেন না-- কারন আপনার পোষ্টটি সম্পুর্ন দুষ্ট মৌলভীদের উকালতী ও দালালির জগাখিচুড়ি -------

আর ঈদের নামাজ পুরুষদের জন্য ওয়াজীব, এবার বলেন নারীদের জন্য কি???

আর আপনার উল্লেখিত হাদীসের ব্যাখ্যায় মোহাদ্দিসগন কি কি সিদ্ধান্ত দিয়েছেন??? এবং আয়শা রা. ঐ (বাধা দিয় না) হাদীসের ব্যাখ্যায় কি বলেছেন, কিতাবের নাম ও মোহাদ্দিসগনের নাম সহ বলবেন ---

রাসুল সা. যে বললেন নারীদের উত্তম মসজিদ তাদের ঘরের কুনো, এই হাদীস নারীদের আমলের উপর ছাবিত হয়, বাধা দিওনা হাদীসটি নয়, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নারীদের মসজিদে যেতে বলেন নি, উতসাহ দেন নি, ফজিলত বর্ননা করেন নি, জায়েয বোঝানুর জন্য শুধু অনুমতি দিয়েছেন, কিন্তু ঘরে পড়ার উতসাহ দিয়েছেন ফজিলত বর্ননা করেছেন, যারা নারীদের মসজিদে যাওয়ার উতসাহ দেয়, তারা কোন দলিলে দেয়? সুতরাং এদের কথায় অথবা নিজে উতসাহীত হয়ে মসজিদে গিয়ে নামাজ যারা পড়ে,তাদের উদ্যেশ্যে হুজুর এটাকে নিউ ফ্যাশন বলেছেন, কারন এমনটা সাহাবায়ে যোগ থেকে অনুসরণীয় যুগের কেউই করেননি, কেউই নারীদের মসজিদে নামাজ পড়তে উতসাহ জাগাননি, এবং উতসাহিত হয়ে মসজিদে সোনালী যুগের কোন নারী নামাজ পড়েননি, তাদের অনেকেই কেন পড়তেন তা হাদীসের ব্যাখ্যা বিশ্লেষণে পাওয়া যায়, তারা ফজিলত মনে করে অথবা উতসাহিত হয়ে মসজিদে নামাজ পড়তেন না, বিশেষ ঠেকা বশত পড়তেন, সুতরাং যারা উতসাহিত হয়ে মসজিদে নামাজ পড়েন ও পড়ানোর ব্যাবস্থা করেন এটা নিউ ফ্যাশন ছারা আর কিছু নয়, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হাদীসের অপব্যাখ্যা করে লা-মাযহাবীরা রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে বেয়াদবী করেছে, হাদীসের ভাষায় এরা দাজ্জাল হিসেবে পরিচিতি পাবে-----

রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নারীদের মসজিদে যাবার অনুমতি দিয়েছেন শুধু জায়েজ বুঝানোর জন্য,তিনি কখনো বলেননি হে নারীরা তুমরা পুরুষদের মত মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় কর, বরং তিনি বলেছেন তুমাদের ঘরের কোনা হল উত্তম মসজিদ, জায়েযের হাদীস আর ফজিলতের হাদীস কি এক? তালাক দেয়া তো রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অনুমতি দিয়েছেন, জায়েয বলেছেন, তাই বলে কি আপনারা বলবেন হে পুরুষেরা হাদিসে তালাক দেয়ার অনুমতি আছে সুতরাং হাদিসের উপর আমল কর, তোমরা নারীদের তালাক দেয়া শুরু কর, হাদিসে যেহেতু আছে দেখি কোন বাপের বেটা আটকায়! তাহলে কি লা-মাযহাবীরা তালাকের উতসাহ দেবেন ??

নিজের পোষ্ট পোষ্টমর্টেম হওয়া লা-মাজহাবী #Anisur_Rahman টির পোষ্ট পড়ুন আর হুজুরের বয়ান মনোযোগের সহিত শুনুন, (আল্লামা নুরুল ইসলাম ওলিপুরী দা: বা: এর

এই মহা মূল্যবান বয়ানটি নিরপেক্ষ মন নিয়ে নিজে শুনুন এবং অপর ভাইকে শুনার দাওয়াত দিন। https://www.youtube.com/watch?v=avw13FEJjr0)

( বয়ানটি যারা কম Mb সহ mp3 ডাউনলোড করতে চান, তাদের জন্য সহজ লিংক দেয়া হল ---- Click This Link Narider Namazer bisleson,Allama olipuri.mp3)

শুনলেই বোঝতে পারবেন, সে হুজুরের বয়ানের পোষ্টমর্টেম করেছে! নাকি নিজের পোষ্টেরই পোষ্টমর্টেম হয়ে গেছে, আল্লামা ওলিপুরী দা. 100% ঠিক বলেছেন, লা-মাযহাবীটা জগাখিচুড়ি পাকিয়েছে-

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.