নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আহলুস সুন্নাহ্ ওয়াল জামায়হ্

আহলুস সুন্নাহ্ ওয়াল জামায়হ্ এর। অন্যসারী

নাদিম মাহদী

একজন মুসলিম হওয়ার চেষ্টা করছি

নাদিম মাহদী › বিস্তারিত পোস্টঃ

শরীয়তের মানদণ্ডে মাযহাব। তাক্বলীদের মুলকথা।। পর্বঃ (২)

১৩ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩০

কুরানের অস্পষ্ট ও দুর্বোধ্য শব্দ ও পরস্পর বিরোধী দুটি হাদিসের কোনটির উপর আমল করব? গতপর্বে বলা হয়েছে যে, এখানে আমাদের সামনে দুটি পথ খোলা আছে।

[১] নিজ থেকে গবেষনা করা [২] আমরা দেখব যে, আমাদের পুর্বপুরুষগন এখান থেকে কী বুজেছেন?

প্রথমটি নিতান্ত-ই বিপদসংকুল আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে উত্তম সতর্কতামুলক ব্যাবস্থা। এটা শুধু বিনয় ও নম্রতাই নয়; বরং একটি অনস্বীকার্য বাস্তবতা।

বলাই বাহুল্য যে জ্ঞান-বুদ্ধি, মেধা-শক্তি, সততা, সাধুতা, দ্বীনদারী ও আল্লাহভীরুতার প্রতিটি ক্ষেত্রে আমরা এত-ই রিক্তহস্ত এবং পশ্চাদপদ যে, "কুরুনে উলার" সাথে আমাদের কোন তুলনাই চলেনা। কুরান সুন্নাহর গভীর জ্ঞান ও আসল অর্থ কুরুনে উলার আলেমদের জন্য সহজতর ছিল। পক্ষান্তনে আমরা নবী (স) এর যুগ থেকে এতো দীর্ঘকাল পরে জন্মেছি যে কুরান হাদিসের পূর্ণাঙ্গ প্রেক্ষাপট সমাজ ব্যাবস্থা, তাদের পারস্পরিক আলাপ-আলোচনা, বক্ত্রিতার ধরণ এবং এর হুবহু চিত্র অর্জন করা আমাদের জন্য বড়-ই কঠিন। অথচ কারো কথার আসল অর্থ বুজতে হলে এসব বিষয়ের জ্ঞান থাকা একান্ত জরুরী। আলোচিত বক্তব্যের প্রতি লক্ষয় রেখে এবারে আমরা যদি জ্ঞান বুদ্ধির ওপর নির্ভর না হয়ে কুরান হাদিসের ভিন্নার্থক জটিল বিষয়াদিতে ঐ অর্থ গ্রহন করি, যা আমাদের পূণ্যাত্মা পূর্বপুরুষদের কোন আলিম গ্রহন করেছেন, তখন বলা হবে যে, আমরা অমুক আলিমের তাক্বলীদ বা অনুসরন করেছি। এটাই হচ্ছে তাক্বলীদ বা মাযহাব অনুসরনের মুলকথা।

ইমাম বা মুজতাহিদের তাক্বলীদ কেবল ঐসব ক্ষেত্রে হয়ে থাকে, যেখানে কুরান সুন্নাহর হুকুম বুজতে গিয়ে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। হয়তো বা এভাবে যে কুরান সুন্নাহর বক্তব্যের একাধিক অর্থ হবে বা তাতে অস্পষ্টতা রয়েছে। অথবা দলীলাদি পরস্পর বিরোধী হবে। অন্যদিকে কুরান সুন্নাহর যে সব বিষয় সুস্পষ্ট, অকাট্য কিংবা যাতে কোন জটিলতা নেই, ব্যাখ্যা প্রয়োজন নেই,আর পরস্পর বিরোধী ও নয়। আর এমন বিরোধ জটিলতা যেখানে নেই, সেখানে কোন ইমামের অনুসরন অনাবশ্যক।

খ্যাতিমান হানাফী আলেম আল্লামা আব্দুল গণী নাবলুসী (রাহ) লিখেছেনঃ

فالامر المتفق عليه المعلوم من الدين بالضرورة لايحتاج الى التقليد فيه لاحد الاربع كفرضية الصلوة والصوم والزكة والحج ونوحها وحرمة الزنا واللواطة وشرب الخمر والقتل والسرقة والغصب وما اشبه ذالك والامر المختلف فيه هو الذى يحتاج الى التقليد فيه -

" ঐসব মাসাইল যাতে উম্মাহর ঐক্যমত্য প্রতিষ্টিত এবং যে সব বিষয়ে শরীয়তের বিধান সুষ্পষ্ট সেখানে চার ইমামের কারো অনুসরণ আবশ্যক নয়। যেমন, নামায,রোযা,যাকাত ও হজ্জ ফরজ হওয়া এবং যিনা, সমকামিতা, মদ্যপান, হত্যা,চুরী, ডাকাতী ইত্যাদি হারাম হওয়া। প্রক্রিত অর্থে তাক্বলীদের প্রয়োজন হয় ঐসব বিষয়ে যাতে ইমামগনের মতভেদ থাকে।

( خلاصة التحقيق في حكم التقليد والتلفيق )

আল্লামা খতীব বাগদাদী (রাহ) লিখেছেনঃ

واما الاحكام الشرعية فضربان ঃ

احدهما يعلم ضرورة من دين الرسول صلى الله عليه وسلم كالصلوات الخمس والزكاة وصوم شهر رمضان والحج وتحريم الزنا وشرب الخمر وما اشبه ذلك - فهذا لايجوز التقليد فيه لان الناس كلهم يشتركون في ادراكه والعلم به - فلا معنى للتقليد فيه - وضرب آخر لايعلم الا بالنظر والاستدلال كفروع العبادات والمعاملات والفروج والمناكحات وغير ذالك من الاحكام فهذا يسوغ فيه التقليد بدليل قول الله تعالى فاسئلوا اهل الذكر ان كنتم لاتعلمون - ولانا لومنعنا التقليد في هذه المسائل التى هى من فروع الدين لاحتاج كل احد ان يتعلم ذلك - وفي ايجاب ذلك قطع عن المعايش وهلاك الحرث والماشية فوجب ان يسقط .

" শরয়ী বিধান ২ প্রকার। ১ঃ ঐসব বিধি-বিধান যেগুলুতে শরীয়তের বক্তব্য অকাট্য ও সষ্পষ্ট। যেমন নামায ফরয হওয়া............ইত্যাদি বিষয়ে তাক্বলীদ বৈধনা। কারণ এগুলু সকলের বোধগম্য।

২ঃ ঐ সব বিষয় যা চিন্তা গবেষনা ও যুক্তি প্রমাণ পেশ করা ছাড়স জানা সম্ভব হয় না। যেমন, ইবাদাত বন্দেগী, সামাজিক আচার আচরণ, বিয়ে সাদির প্রাসঙ্গিক মাসালা সমুহ। এক্ষেত্রে তাক্বলিদ বৈধ। আল্লাহ পাক কুরানে বলেনঃ

فاسئلوا اهل الذكر ان كنتم لاتعلمون

"তোমরা যদি না জান, তাহলে শরীয়ত বিজ্ঞানীদের কাছ থেকে জেনে নাও".

.

চলবে,ইনশা আল্লাহ।



জাযাকাল্লাহ, বাশার আহমদ।।।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.