![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একজন মুসলিম হওয়ার চেষ্টা করছি
হিন্দুদের সাথে আহমদ রেজার সম্পর্ক
রেজাউল হাসান কাদেরী সাহেব লিখেন যে, আলা হযরত বানারাস তাশরীফ নিয়ে গেলেন। একদিন দুপরের সময় এক স্থানে দাওয়াত ছিল। আমিও সঙ্গী ছিলাম। ফিরার সময় গাড়ি চালককে বললেনঃ ঐদিক দিয়ে মন্দিরের সামনে দিয়ে চল। আমি হয়রান হয়ে গেলাম, আলা হযরত বানারাস কবে এসেছেন? আর এখানকার গলির ব্যাপারেও জানেন। আর এ মন্দিরের নাম কবেই বা শুনেছেন? এরকম হয়রান অবস্থায় ছিলাম। গাড়িটি মন্দিরের সামনে এল। দেখলাম এক সাধু মন্দির থেকে বেরোল। মন্দিরের দিকে ছুটে এল। হযরত গাড়ি থামতে বললেন। লোকটি আলা হযরতকে সম্মানের সাথে সালাম করল। আর কানাকানি করে কিছু কথা বলল, যা আমি শুনতে পাইনি। তারপর সাধু মন্দিরে চলে গেল। এদিকে গাড়িও চলতে শুরু করে। তখন আমি জিজ্ঞেস করলামঃ এ লোক কে? তিনি বললেনঃ এ জমানার আব্দাল! আমি বললাম! মন্দিরে? তিনি বললেনঃ আম খাও! পাতা গুনিওনা। {আলা হযরত আলা সীরাত-১৩৪}
ইংরেজদের রাজত্ব ও আহমদ রেজা
حکومت برطانیہ مسلمانان ہندوستان کے واسطے رحمت خداوندی کی حیثیت رکہتی ہے، اس حکومت نے یہاں کے تمام فرقوں میں امن پیدا کرکے ان پر احسان عظیم کیا ہے، لہذا اس کے خلاف جہاد و قتال کس طرح جائز هو سكتا هے؟ (تلخيص رسالة الأمارة والجهاد مصنفة احمد رضاخا)
অনুবাদ- ইংরেজ শাসন হিন্দুস্তানের মুসলমানদের জন্য আল্লাহর রহমাত। এ শাসন এখানের সকল দলের মাঝে নিরাপত্বা বিধান করে বড় এহসান করেছে। তাই তাদর বিরুদ্ধে জিহাদ ও সংগ্রাম করা কিছুতেই জায়েজ নয়। {আহমাদ রেজা খাঁ রচিত তালখীসু রিসালাতুল আমারাতুল জিহাদ}
ইংরেজদের আমলে যখন শাহ আব্দুল আজীজ রহঃ ইংরেজদের আধিপত্বের কারণে সর্বাত্মক জিহাদের জন্য ভারতবর্ষকে দারুল হরব তথা যুদ্ধ কবলিত দেশ আখ্যা দিয়ে সবাইকে ইংরেজদের বিরুদ্ধে জিহাদে অংশগ্রহণ করতে উদ্ভুদ্ধ করছিলেন। [উল্লেখ্য ইসলামের পরিভাষায় দারুল হরবে জুমআর নামায পড়া সহীহ নয়। বরং শত্র“ বিতাড়িত করে স্বাধীন করার পর জুমআর পড়বে।] তখন বেদআতিদের প্রতিষ্ঠাতা আহমাদ রেজা খাঁ বেরেলবী কি ফাতওয়া দেয় দেখুন-
ہندستان بفضلہ تعالی دار الاسلام ہے یہاں کے شہروں میں جمعہ صحیح ہے (احكام شريعت- 151)
অনুবাদ- হিন্দুস্তান আল্লাহর রহমাতে দারুল ইসলাম তথা ইসলামী রাষ্ট্র। এখানকার শহরে জুমআর নামায পড়া সহীহ আছে। {আহকামে শরীয়ত-২/১৫১, আহমদ রেজা}
বস্তুত, বেরেলভী বলুন, দেওয়ান বাগী বলুন, রাজারবাগী কিংবা বগলতলী বলুন, সব কয়টার মোহনা আলা হযরতের দরবারে এক হয়ে গড়াগড়ি খাচ্ছে। এরা মুখে যতই অস্বীকার করুক না কেন, মূল তারা সকলেই আলা হযরতের খাস চামচা এবং দোষর। যেমন চোরে চোরে হালি, তিন চোরে বিয়া করে এক চোরের শালি!! এদের অবস্থা ঠিক এই রকমই।
©somewhere in net ltd.