বাসে চলার পথেঃ

২৬ শে জুন, ২০১৩ রাত ৮:৩৮

কাটাবন থেকে বাস এ উঠলাম, উদ্দেশ্য কমলাপুর রেলস্টেশন যাবো। বাসের সীট পাওয়ার ব্যাপারে আবার ভাগ্যটা ই খারাপ কখন ও ই সীট পাই না লোকাল বাস এ । আজ ও পেলাম না।

উঠা মাত্র ও কন্টেক্টার বাস ভাড়া চাইলো হাফ ভাড়া দিলাম, যথারীতি ক্যাচাল শুরু করছে আর আমি ও যথারীতি হাফভাড়া দেয়ার ব্যাপারে বদ্ধপরিকর।

শাহাবাগ থেকে উঠলো এক ৬৫ বছর কিংবা তার থেকে বেশী বয়স্কা এক মহিলা। চোখে কালো চশমা ,বুঝা যাচ্ছে চোখে ছানি পড়া কিংবা চোখের কোন সমস্যার কারনে কালো চশমার ব্যবহার।

বাসে সীট নাই দাঁড়িয়ে আছে বেচারি, আমার সামনে বসা ছেলেটা কে বললাম ভাইয়া ওনাকে একটু বসতে দিন কিন্তু তার কোনো খবর নাই। হটাৎ দেখি ৫০ কিংবা তার থেকে বেশী বয়সের এক মহিলা সেই বৃদ্ধাকে সীট টা ছেড়ে দিয়ে নিজে দাঁড়িয়ে গেলেন, তার পিছনের সীটে এক হ্যান্ডসাম যুবক। টপ করে সে সীট ছেড়ে দিলো সেই মহিলাটির জন্য যে কিনা একটু আগে বৃদ্ধার জন্য সীট ছেড়ে দিলো । দেখতে খুব ভালো ই লাগতেছিলো। মানুষ গুলো কে খুব আপন লাগতেছিলো তখন। বাসের হেল্পার আসলো ১০-১১ বছর এর বয়সের একটা ছেলের থেকে ভাড়া নিতেছিলো তখন সেই হ্যান্ডসাম ভাইয়া টা আর ভাড়া টা নিতে দিলো না। বলল বাচ্চাদের থেকে কিসের ভাড়া নিস।

সেই হ্যান্ডসাম যুবকটির প্রতি শ্রদ্ধা বেড়ে গেলো আর ও।



এই ছিলো আজকের দিনের ঘটনা ।

আজ কাল অনেকে মহিলা সীট এ বসে থাকে এদের সাথে মাঝে মাঝে আমি ঝগড়া ও করি। তারা নিলজ্বের মত যখন বলে সমান অধিকার তাই তারা ও মহিলা সীট এ বসতে পারবে। সেই গাধা গুলাকে কেমনে বুঝাই সমান অধিকার পরে আগে আয় বুঝা লও এই সীট সংরক্ষীত সীট। বাকি সীট এর ব্যাপারে সমান অধিকার ।

কিন্তু লাভ নাই। এরা মহিলা সীট এ বসে থেকে নিজেকে অন্য কোনো পদার্থে পরিনত করে। আর নিলজ্বের মত দাঁত কেলিয়ে হাসে।



অনেক সময় বাসের গেইটে ঝুলি যখন তখন হেল্পাররা মহিলা তুলতে চায় না। তখন হেল্পার রে ঝাড়ি মারি এই বলে যে তারা কি যাবে না তাইলে ঝাড়ি খাইয়া তখন তুলতে নেয় ।

তবে এই কথা ও সত্যি যে কিছু কিছু বেয়াদব মেয়ের কারনে অনেকে অনেক সময় রাস্তায় মেয়েদের কে হেল্প করতে চায় না।

গুটি কয়েক জন এর জন্য সাফার করতে হয় অনেককে ই।

২ টি +০/-০