নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিরপেক্ষ নয়; সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে...

নিউরণের মুক্ত ক্যানভাসে স্বপ্ন আঁকতে ভালোবাসি...

নাহিদ শামস্‌ ইমু

ভীষণ কল্পনাপ্রবণ একজন মানুষ আমি। কল্পলোকের ক্যানভাসে ছবি এঁকে, মনোজগতের সুবিশাল হাইপার স্পেসে নিজের এক মহাবিশ্ব সৃষ্টি করে আমি হয়েছি ঈশ্বর। যখন প্রচন্ড কষ্টে কাঁদতে ইচ্ছে করে, তখন নিজের সৃজিত মহাবিশ্বের অসীম গ্যালাক্সিপুঞ্জ দেখে গর্বিত অনুভব করি। অতঃপর স্বপ্নীল জগতের দিকে তাকিয়ে উচ্চারণ করি দৈব বাণী- "নিশ্চই তোমাদের সৃষ্টিকর্তা মহান। দুঃখ কিংবা কষ্ট তাকে স্পর্শ করে না।"

নাহিদ শামস্‌ ইমু › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রসঙ্গঃ বিজ্ঞান ও ঈশ্বর

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৪৯

অনলাইনে একপ্রকার অতিবুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন প্রজাতি বাস করে। তাদের প্রশ্ন- "স্রষ্টা যদি থেকেই থাকেন, তাহলে বিজ্ঞান এখনো তাঁর অস্তিত্ব আবিষ্কার করতে পারে নি কেন?"



বিজ্ঞানীরা যখন কোন তত্ত্ব দেন, তখন সেই তত্ত্বের খুঁটিনাটি বিষয় তাদেরকে ব্যাখ্যা করতে হয়। ধরা যাক, আপনি একটা থিওরি দিলেন। এখন এই থিওরির চলক (variable) গুলো অন্য বিজ্ঞানীদের বুঝিয়ে দিতে হবে, বিভিন্ন বিষয়ের পূর্নাঙ্গ ব্যাখ্যা প্রদান করতে হবে। আপনি নিজেই যদি আপনার থিওরি বুঝিয়ে বলতে না পারেন, তাহলে সেটি কখনো স্বীকৃতি পাবে না। এখন ধরুন, কোন একজন বিজ্ঞানী বলে বসলেন- ঈশ্বরের অস্তিত্ব আছে! এই মহাবিশ্ব সৃষ্টি করেছেন একজন অতিপ্রাকৃত সত্ত্বা।

তখন আপনাকে প্রশ্ন করা হবে- "Define the God! ঈশ্বরকে সংজ্ঞায়িত করুন। স্রষ্টার বৈশিষ্ট্যগুলো (properties) গুলো কি? তাঁর স্বরূপ বিশ্লেষণ করুন। ঈশ্বরকে গাণিতিকভাবে প্রমাণ করুন। তিনি কোত্থেকে এসেছেন, কেন তিনি অমর বা অবিনশ্বর সেটি গাণিতিকভাবে বুঝিয়ে দিন।"

আপনি এই প্রশ্নগুলোর উত্তর করতে পারবেন?



বিজ্ঞানীরা চাইলেই ঈশ্বরকে মেনে নিতে পারবেন না। সেই সময় এখনো আসে নি। ঈশ্বরকে সংজ্ঞায়িত করার জন্য বিজ্ঞান এখনো প্রস্তুত নয়। Science is too young to understand the God. আর একটা ব্যাপার বোঝার চেষ্টা করুন, সবক্ষেত্রে সবসময় ঈশ্বরকে মেনে নিলে পৃথিবীতে কোন গবেষণা হত না। বৃষ্টি কিভাবে হয়? আল্লাহর কুদরতে! ব্যস! গবেষণা তাহলে ওখানেই শেষ। বিজ্ঞান এই 'কুদরতি' প্রক্রিয়াটাই স্বাধীনভাবে ব্যাখ্যা করে। সবকিছুই কুদরতের ওপর ন্যস্ত করে দিলে আজকে আমরা ফেসবুকে ব্যবহার করতে পারতাম না, টিভি দেখতে পারতাম না। মোবাইলে ইটিশ পিটিশ করতে পারতাম না!



সুতরাং, ঈশ্বরকে প্রশ্নবিদ্ধ করা বন্ধ করুন। বিজ্ঞানকে প্রশ্নবিদ্ধ করা বন্ধ করুন। আপনি কখনোই একটা পিঁপড়াকে কিংবা তেলাপোকাকে বোঝাতে পারবেন না যে, ফেসবুক কিভাবে ব্যবহার করতে হয়... প্রোফাইল পিক কিভাবে চেঞ্জ করতে হয়। পিঁপড়া কিংবা তেলাপোকা কখনোই মানুষকে, মানুষের কর্মকাণ্ডকে, মানুষের অনুভূতিকে বুঝতে পারবে না। তাহলে আমরা স্রষ্টাকে কিভাবে বুঝবো?

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.