নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিরপেক্ষ নয়; সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে...

নিউরণের মুক্ত ক্যানভাসে স্বপ্ন আঁকতে ভালোবাসি...

নাহিদ শামস্‌ ইমু

ভীষণ কল্পনাপ্রবণ একজন মানুষ আমি। কল্পলোকের ক্যানভাসে ছবি এঁকে, মনোজগতের সুবিশাল হাইপার স্পেসে নিজের এক মহাবিশ্ব সৃষ্টি করে আমি হয়েছি ঈশ্বর। যখন প্রচন্ড কষ্টে কাঁদতে ইচ্ছে করে, তখন নিজের সৃজিত মহাবিশ্বের অসীম গ্যালাক্সিপুঞ্জ দেখে গর্বিত অনুভব করি। অতঃপর স্বপ্নীল জগতের দিকে তাকিয়ে উচ্চারণ করি দৈব বাণী- "নিশ্চই তোমাদের সৃষ্টিকর্তা মহান। দুঃখ কিংবা কষ্ট তাকে স্পর্শ করে না।"

নাহিদ শামস্‌ ইমু › বিস্তারিত পোস্টঃ

বঙ্গবন্ধুর শাসনকাল এবং 'বাকশাল' বিতর্ক

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:১৬

হুমায়ূন আহমেদের 'দেয়াল' একটি বিতর্কিত উপন্যাস, কোন সন্দেহ নেই। 'তিনি ইতিহাস নিয়ে রসিকতা করেছেন' এরকম সমালোচনাও আছে। তবে এতকিছু ছাপিয়ে বইটিতে তিনি ইতিহাসকে তুলে এনেছিলেন গল্পাকারে, বাংলাদেশের অধিকাংশ লেখক যেটি করার সাহস রাখেন না। বইটিতে খুব ছোট্ট একটি ঘটনা আছে যেটি দিয়ে তিনি অনেক কিছু বুঝিয়ে দিয়েছেন। ঘটনাটির সবগুলো চরিত্রের নাম আমি মনে করতে পারছি না বলে দুঃখিত।



বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে প্রায় প্রতিদিনই নেতা-কর্মী থেকে শুরু করে সমাজের সর্বোস্তরের মানুষ আসতেন নিজেদের আর্জি নিয়ে, বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে। তেমনি একদিন এক নেতা আসলেন। আবেগঘন কন্ঠে তিনি তাঁর এলাকার এক প্রভাবশালী আওয়ামী নেতার দুর্দশার কথা শোনালেন শেখ মুজবকে। তিনি জানালেন, সৎ এবং নিষ্ঠাবান ওই নেতাকে মিথ্যে অভিযোগে আটক করেছেন একই এলাকার এক সেনা কর্মকর্তা। শেখ মুজিব তাঁর কথা বিশ্বাস করলেন, এবং ওই আওয়ামি নেতাকে মুক্তি দেবার নির্দেশ দিলেন। গল্পটির ঠিক শেষ লাইনেই পেছনের আসল ব্যাপারটি তুলে ধরা হল, যেখান থেকে পাঠক জানতে পারে- গ্রেফতারকৃত আওয়ামি নেতা মূলত একজন খুনি এবং দুশ্চরিত্র ছিলো। কোন একটি হত্যাকান্ড শেষ করে ওই নেতা যখন ফিরছিলেন, তখন ন্যায্য কারনেই তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যান সেনা কর্মকর্তা।



এবার পুরো ব্যাপারটি নিয়ে একবার ভাবুন তো? এই ঘটনার পর কি ছড়ানো হতে পারে? "বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে মুক্তি পেয়ে গেলো খুনি আওয়ামিলীগ নেতা"- তাই না? হ্যা, এটিই কিন্তু ঘটেছিলো। পুরো ঘটনায় বঙ্গবন্ধুর কোন দোষ না থাকলেও শেষ পর্যন্ত তিনিই দোষী।

তাকে বোকা বানিয়েছিল কে? আরেক আওয়ামি নেতা...



এবং এটিই ছিলো বঙ্গবন্ধুর শাসনামলের চিত্র। আওয়ামিলীগের কতিপয় মুখোশধারী স্বার্থপর নেতা-কর্মী শেখ মুজিবের সামনে বিশ্বাসভাজন গোলামের অভিনয় করতেন। বিভিন্নভাবে ফায়দা লুটে নিতেন। তখন তথ্যপ্রযুক্তি বলতে আসলে কিছু ছিলো না! কোন তথ্য সত্য নাকি মিথ্যা সেটি বের করা ছিলো দুঃসাধ্য। অগত্যা বঙ্গবন্ধু তাঁর নেতা-কর্মীদের বিশ্বাস করেছিলেন... বাংলার আনাচে কানাচে কি হচ্ছে, সেই খবর তাঁর কাছে কখনো পৌছত না। তিনি ভুলে গিয়েছিলেন তাঁরই দলের নেতাকর্মীরা দেশের কথা ভাবে না, তারা যে যার আখের গোছাতে ব্যস্ত।



অতঃপর শেখ মুজিবকে নিয়ে নানারকম মিথ জন্ম নিতে থাকে। 'রিলিফের কম্বল' তেমনি একটি Myth. এখনো বাংলার অসংখ্য মানুষ কথায় কথায় ৭১ পরবর্তী দুঃশাসনের প্রসঙ্গ তোলে। পরাজিত শক্তি এখনো শেখ মুজিবের মত একজন নেতার বিদ্রুপ করে বেড়ায়। কিন্তু তারা ভুলে যায়, এই মানুষটি না থাকলে আমরা আসলে স্বাধীনতা কখনো পেতাম না। তারা ভুলে যায়, শেখ মুজিবের ব্যক্তিত্বের উচ্চতার কাছে আমরা দাড়ানোর সামর্থ্য রাখি না, যোগ্যতা রাখি না।



আমি জানি, এই পোস্ট পড়ার পর অনেকেই আমাকে আওয়ামি ট্যাগ দেবেন। কারণ আমরা ভুলে গেছি, শেখ মুজিব কোন দলের একার সম্পত্তি নন। তিনি সমগ্র বাঙালীর গর্ব ছিলেন। বাংলাদেশী বাঙালী জাতির পিতা ছিলেন। আপনারা সেটি অস্বীকার করবেন?

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.