নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিরপেক্ষ নয়; সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে...

নিউরণের মুক্ত ক্যানভাসে স্বপ্ন আঁকতে ভালোবাসি...

নাহিদ শামস্‌ ইমু

ভীষণ কল্পনাপ্রবণ একজন মানুষ আমি। কল্পলোকের ক্যানভাসে ছবি এঁকে, মনোজগতের সুবিশাল হাইপার স্পেসে নিজের এক মহাবিশ্ব সৃষ্টি করে আমি হয়েছি ঈশ্বর। যখন প্রচন্ড কষ্টে কাঁদতে ইচ্ছে করে, তখন নিজের সৃজিত মহাবিশ্বের অসীম গ্যালাক্সিপুঞ্জ দেখে গর্বিত অনুভব করি। অতঃপর স্বপ্নীল জগতের দিকে তাকিয়ে উচ্চারণ করি দৈব বাণী- "নিশ্চই তোমাদের সৃষ্টিকর্তা মহান। দুঃখ কিংবা কষ্ট তাকে স্পর্শ করে না।"

নাহিদ শামস্‌ ইমু › বিস্তারিত পোস্টঃ

নারী তুমি বিয়ের পাত্রী, যৌনসঙ্গী, প্রজননযন্ত্র- মানুষ নও!

২৫ শে মে, ২০১৪ রাত ৯:৩৪



বাল্যবিবাহ টিকে আছে আজ অবধিঃ আমার একসময় ধারণা ছিলো বাল্যবিবাহ ব্যাপারটি আমাদের দেশ থেকে মোটামুটি বিলুপ্ত হয়ে গেছে, ধারণা ছিলো প্রশাসন এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বাল্যবিবাহ রোধে খুব সজাগ, দেশের মানুষ পূর্বের তুলনায় অনেক বেশি সচেতন এবং অনেক বেশি শিক্ষিত।

ধারণাটা আসলে পুরোপুরি ভুল। বাল্যবিবাহ যে শুধু টিকেই আছে, তা নয়- বেশ ভালোভাবেই টিকে আছে। না, এই শহরের বহুতল ভবনে থেকে প্রযুক্তিপণ্য নিয়ে পড়ে থাকলেই বাল্যবিবাহের প্রমাণ পাওয়া যাবে না। প্রমাণ পেতে হলে যেতে হবে প্রত্যন্ত অঞ্চলে!সেসব স্থানে 'স্বাক্ষরতা'র হার বেড়েছে বটে, তবে 'শিক্ষা' কিংবা 'সুশিক্ষার হার' বাড়ে নি! বাড়ার কথা নয়!

গ্রামাঞ্চলে এখনও অল্পবয়সী মেয়েদের বিয়ে হয়ে যায়। এ ব্যাপারে প্রশাসন কখনো কোন ব্যবস্থা নেয় না। কিছুদিন আগে একজন ফেসবুক বন্ধু আমাকে একজনের প্রোফাইলের লিংক দিয়েছিলেন। আমি সেই লিংকটি ভিজিট করে একটি ছবি দেখতে পেলাম। ছবিটি ছিলো ছবি আপলোডকারীর এক আত্মীয়ের বিয়ের ছবি যেখানে পাত্রের বয়স ত্রিশের ওপরে, অন্যদিকে পাত্রীর বয়স ১৩-১৪ বছর! আপলোডকারী খুব সুন্দর করে বর্ণনা দিয়েছেন- "Harun mama and his wife." আমি ছবিটি দেখে বিস্মিত হয়েছি! খুব দ্রুত ওই আপলোডকারীর টাইমলাইন ঘেঁটে জানতে পারলাম, তিনি নোয়াখালির বাসিন্দা। যার অর্থ হচ্ছে- এই বাল্যবিবাহটি সংঘটিত হয়েছে নোয়াখালীর কোন একটি অঞ্চলে। আমি সংযুক্তি হিসেবে সেই ছবিটি এখানে দিতে চেয়েছিলাম, কিন্তু অনেক দেরি হয়ে গেছে। ছবিটি রিট্রিভ করতে গিয়ে দেখি সেটা মুছে ফেলা হয়েছে।

"একটু বড় হলেই (কিশোর বয়সে উপনীত হলেই) মেয়েদের বিয়ে দিয়ে দিতে হয়" গ্রামাঞ্চলে এখনো খুব শক্তিশালীভাবেই এই ধারণাটি রয়ে গেছে। তাদের কাছে এটাই পুন্য, এটাই ন্যায়, এটাই সমীচীন। এবং এসবের জন্য তারা কখনো দেশের আইন-কানুনের তোয়াক্কা করে না! একটি গ্রামে বাল্যবিবাহ হচ্ছে, এ কথাটি হয়তো প্রশাসনের কান পর্যন্তই যায় না! যাবে কি করে? গ্রামের সব মানুষই যেখানে বিয়ের পক্ষে, সেখানে কেউ পুলিশকে অবহিত করতে যাবেই বা কেন! বিয়ের দাওয়াত খাবার সুযোগ কি আর হাতছাড়া করা যায়? যেই কাজী বিয়েটি পড়িয়ে থাকেন, তিনিও হয়তো রেজিস্ট্রি বইতে পাত্রীর একটা ভুয়া বয়স (১৮) উল্লেখ করে থাকেন, সত্যিকারের বয়সটা কখনো লেখেন না। সেই কাজীও ওই গ্রামেরই মানুষ, গ্রামের আচার-প্রথায় বিশ্বাসী একজন মানুষ। তাই তিনি নীরবে সেই বিয়েটি পড়িয়ে যান। অল্পবয়সী একটি মেয়ের মুক্ত জীবনটি মুহূর্তের মধ্যে শেষ হয়ে যায়, কিছু বুঝে ওঠার আগেই সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি পরিবারের দায়-দায়িত্ব তাকে কাঁধে নিতে হয়।



নারীদের বিয়ের নূন্যতম বয়স এবং বিচিত্র কিছু যুক্তিঃ আইন অনুসারে একজন নারীর বিয়ের নূন্যতম বয়স হচ্ছে ১৮ বছর। প্রথমতঃ এই বয়সটা আসলে নির্ধারিত হয়েছে 'বায়োলজিক্যাল' ব্যাপার মাথায় রেখে! একজন নারীর সন্তান ধারণের সক্ষমতা আসে ১৮ বছর বয়সে! এখানে আমার একটা প্রশ্ন আছে।

একজন মানুষ কি শুধুই বাচ্চা পয়দা করার যন্ত্র?

একজন মানুষ কি শুধুই ভোগ করতে পারার বস্তু?

তাকে কি সেই বয়সেই বিয়ে দিতে হবে যে বয়সে তার সঙ্গে ঝুঁকিবিহীন উপায়ে দৈহিক মিলন ঘটানো যাবে এবং বাচ্চা উৎপাদন করানো যাবে?

অবশ্যই নয়! একজন পুরুষের জন্য তো বিয়ের বয়সের সীমা আরো ওপরে। কারণটি খুব স্পষ্ট! একজন পুরুষের উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হবার অধিকার সমাজ স্বীকৃত, পেশা অর্জনের এবং আত্মনির্ভরশীল হবার অধিকার সমাজবিদীত। তাহলে নারীর বেলায় কেন ব্যতীক্রম? নারীর কি উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হবার অধিকার সমাজ দ্বারা স্বীকৃত নয়? পেশা অর্জন কিংবা নিজের পায়ে দাঁড়ানোর অধিকার কি তার নেই? যদি উত্তরটি 'হ্যা' হয়ে থাকে- তাহলে কেন তার জন্য ভদ্র এবং শিক্ষিত সমাজে ঠিক ১৮ পেরুনোর পরপরই বিয়ের জন্য তোড়জোড় শুরু করে দিতে হবে? এসব প্রশ্ন করলে খুব বিচিত্র কিছু উত্তর পাওয়া যায়!

"মেয়েদের তাড়াতাড়ি বিয়ে না দিলে যেনা-ব্যাভিচার বেড়ে যাবে। অসামাজিক কর্মকাণ্ড বেড়ে যাবে!"



বিশ্বাস করুন, তারা আপনাকে এরকম একটি উত্তর নিশ্চই দেবে। সেক্ষেত্রে আমার যুক্তিটি হলো- তাহলে তো ছেলেদেরও তাড়াতাড়ি বিয়ে দেয়া উচিত। ছেলেদেরও ১৮ বছর বয়সে বিয়ে হয়ে যাওয়া উচিত! তাহলেই তো দেশের যেনা-ব্যাভিচার শূন্যের কোঠায় চলে আসবে। না না, তারা কিন্তু এটা মানবেন না। কেন মানবেন না?

এ প্রশ্ন করলে আরো বিচিত্র কিছু উত্তর আপনি পাবেন। আমি পেয়েছি বলেই বলছি। এ ব্যাপারে তাদের বক্তব্য হলো- "মেয়েদের যৌনক্ষুধা বেশি (ছেলেদের চাইতেও বেশি)। নারীত্বের আবির্ভাব ঘটার পরপরই তারা প্রচণ্ড তৃষ্ণা অনুভব করে এবং যেনা-ব্যাভীচারে লিপ্ত হবার আশংকা থাকে।"

আসুন, এই বিচিত্র যুক্তিটি একটু খণ্ডন করি।

ধর্ষন কে করে?

- পুরুষ

রাস্তায় মেয়েদের দেখলে অশ্লীল শব্দ ছুঁড়ে দেয় কে? ইভটিজিং করে কে? সিটি বাজায় কে?

-পুরুষ

পর্নো মুভ্যি এবং চটি বইয়ের সবচেয়ে বড় গ্রাহক কারা? পুরুষ নাকি নারী?

-পুরুষ



উপরের ব্যাপারগুলো যদি সত্যি হয়ে থাকে তাহলে প্রতিটি পুরুষেরই ১৮ কেন, ১৪-১৫তেই বিয়ে হয়ে যাওয়া উচিত! তাহলেই তো নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবে, পর্নো মুভ্যির ব্যবসা কমে যাবে, রাস্তাঘাটে ইভটিজিং বন্ধ হয়ে যাবে, ধর্ষন কমে যাবে। জানি জানি, উত্তরটি এখন 'না' আসবে।

একজন নারী কখনোই মুখ ফুটে নিজের গুপ্ত বাসনার কথা পুরুষকে বলে না, সেটা তার লজ্জা, সেটা তার প্রকৃতি। একজন পুরুষই প্রথম নারীকে গুপ্ত বাসনার কথা বলে ফেলে, এবং এটাই সত্যি, এটাই প্রকৃতিগত। তাহলে ব্যাভিচারের জন্য বারবার নারীর দিকে আঙ্গুল কেন? কেন নারীকেই বারবার কাঠগড়ায় তুলছেন?

উত্তরটি খুব সহজ। নারীর প্রতি এই প্রজাতির মানুষগুলোর দৃষ্টিভঙ্গি ভালো নয়। এবং এটাই সত্যি।

বিয়ের পর পড়াশোনায় বাধা প্রধান কেনঃ অধিকাংশ পাত্রপক্ষই বিয়ের পর মেয়েটির পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়াতে বাধা প্রদান করে! কেন করবে? পাত্রপক্ষের কি সেই অধিকার আদৌ আছে! পাত্র, কিংবা শ্বশুর-শ্বাশুড়ি কি আদৌ একজন নারীর ওপর খবরদারি করবার অধিকার রাখেন? একজন মানুষ বিয়ের পর পড়াশোনা করবে, এটা তার অধিকার! আইনস্বীকৃত অধিকার। এবং সেই অধিকার খর্ব করার অধিকার পাত্রপক্ষের নেই!



একসময় ভাবতাম, আমরা একবিংশ শতাব্দীতে এবং খুব আধুনিক একটা সমাজে বাস করছি, এ সমাজে পুরনো এবং মিথ্যে ধ্যান-ধারণাগুলো আর অবশিষ্ট নেই। এর পুরোটাই আসলে ভুল। সমাজে নারীর অবস্থান এখনো বিয়ের পাত্রী, ভোগ্যপণ্য, প্রজনন যন্ত্র এবং বংশরক্ষার চাবি-কাঠি। মিথ্যা এবং কুসংস্কার সবসময়ই ভাইরাসের মত নিজেকে ছড়িয়ে দেয়। আমাদের অশিক্ষিত পূর্বসূরিদের মধ্যে যেমন সেই কুসংস্কার বিরাজমান ছিলো, হাল আমলের শিক্ষিত-তরুণ-ব্লগার-ফেসবুকারদের ভেতরেও সেই কুসংস্কার খুব ভালোভাবেই টিকে আছে। আমি জানি- বিশ্ব আরো এক হাজার বছর এগিয়ে গেলেও কুসংস্কার টিকে থাকবে, মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকবে!

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে মে, ২০১৪ রাত ৯:৪৭

সোহানী বলেছেন: এতো চমৎকার ভাবে এতো বড় একটি সমস্যাকে তুলে ধরেছেন...... অনেক অনেক ধন্যবাদ।

তারপরও জানি কিছুই হবে না.... সরকার বা সুশীল সমাজের এ দিকে তাকানোর সময় কোথায়? নারীর এ সমস্যা এখনতো টক শো বা বইয়ের বিষয় ... এটি কোন সমাধানের বিষয় নয়। তাই এটি যেন চলতে থাকবে অনন্তকাল !!!!

২৫ শে মে, ২০১৪ রাত ১০:১৩

নাহিদ শামস্‌ ইমু বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
কিছু হবে না বলে বসে থাকলেও চলবে না। কিছু একটা যে করতেই হবে। আমি একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমার গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুর, এবং বছরে প্রায় দু'বার আমার সেখানে যাওয়া পড়ে। আমি নিশ্চিতভাবে জানি, সেখানে বাল্যবিবাহের মত ঘটনা এখনো অহরহ ঘটে। আমি যখন গ্রামে যেতাম, খুব শুনতাম সেসব কথা। শুধু শুনেই থাকতাম, মনে মনে ব্যথিত হতাম এবং চুপ করে থাকতাম। কিন্তু না। চুপ করে থাকার দিন ফুরিয়েছে। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এরপর থেকে গ্রামে গেলে বাল্যবিবাহের ব্যাপারে খোঁজ-খবর নেবো। স্থানীয় প্রশাসনের সাথে সখ্যতা বাড়াবো। কোথাও কোন বাল্যবিবাহের খবর পেলেই পুলিশে খবর দেবো। এমনকি আমার আত্মীয়দের মধ্যেও যদি কেউ সেটি করে থাকে- তাকে পুলিশে ধরিয়ে দেবো!
নারীসংক্রান্ত ভ্রান্ত ধারণাগুলো নিয়ে খোলামেলা আলোচনা জরুরি। যারা এখনো অন্ধকারে আছে, তাদেরকে আলোতে আনতে হবে। তাদেরকে বোঝাতে হবে। অনেকেই আসলে তাদের মা-বাবা-দাদা-দাদীর কাছ থেকে যেসব জেনে এসেছে, সেগুলোই সত্য বলে বিশ্বাস করে। নারীদের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গিগুলো তরুণদের ভেতরে সংক্রমিত হয়েছে পূর্বসূরিদের কাছ থেকেই। তাদেরকে বোঝাতে হবে যে, সংস্কারগুলো আসলে ভুল! ধারণাগুলো পুরোপুরি মিথ্যে।
শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।

২| ২৫ শে মে, ২০১৪ রাত ১০:১৭

হাবিব০৪২০০২ বলেছেন: এ ব্যাপারে তাদের বক্তব্য হলো- "মেয়েদের যৌনক্ষুধা বেশি (ছেলেদের চাইতেও বেশি)। নারীত্বের আবির্ভাব ঘটার পরপরই তারা প্রচণ্ড তৃষ্ণা অনুভব করে এবং যেনা-ব্যাভীচারে লিপ্ত হবার আশংকা থাকে।

একমত হতে পারলাম না, এরকম যুক্তি দেওয়ার মত লোক খুব বেশি আছে বলে মনে হয় না। বরং আমাদের ছেলেদের মাঝে যেটা বেশি কাজ করে-- সেটা হল "কচি মাল" লাগবে, এটা যতদিন না আমাদের মাথা থেকে দূর হবে ততদিন এই সমসযা টিকে থাকবেই; আরও একটা কারন হল-
পারিবারিক ভাবে বিয়ে হলে আমাদের সমাজের অধিকাংশ ছেলেদের মধযে যেটা কাজ করে: মেয়ের বয়স ছেলের তুলনায় ৪/৫ বছর কম হতে হবে, এজনয গ্রামে দেখা যায় ১৮ বছরের ছেলেরা খুঁজে ১৩ বছরের মেয়ে

২৫ শে মে, ২০১৪ রাত ১০:৩১

নাহিদ শামস্‌ ইমু বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
হ্যা, আপনি ওই প্রজাতি ব্যাক্তিদের ব্যবহৃত যেই দু'টো যুক্তিট সম্পর্কে জানিয়েছেন- সে দু'টো নিঃসন্দেহে সঠিক। তবে আমি যেই যুক্তিটির কথা বলেছি, সেটা আমি নিজেই অনেকের কাছে শুনেছি। এজন্যই ব্যবহার করেছি। যে ক'জনের সাথে এই বিষয়ে তর্ক হয়েছে, তারা প্রায় প্রত্যেকেই 'নারীদের যৌনক্ষুধা বেশি' বলে মন্তব্য করেছে। এজন্য আমার লেখায় এই ব্যাপারটি খণ্ডন করেছি। এখন মনে হচ্ছে, আপনি যে দু'টো বিষয়ে আলোকপাত করেছেন- তা নিয়েও লেখা যেতো।
তবে যথারীতি 'কচি মাল' জাতীয় ধারণাটিও আসলে নারীদের ভোগ্য পদার্থ হিসেবেই তুলে ধরে, মেয়ের বয়স ৪-৫ বছর কম হতে হবে- এই ধারণাটি যথারীতি 'প্রভুত্ব' করবার বাসনাকেই চরিতার্থ করে!
ধন্যবাদ আপনাকে।

৩| ২৫ শে মে, ২০১৪ রাত ১০:২২

সত্য৭৮৬ বলেছেন: আপনার চিন্তাশীলতাকে বাহবা জানাই- আমার ব্লগে আমন্ত্রণ।

আপনার বিষয়ের উপরে একটি পোষ্ট- দেখুন তো এখানে কিছু পান কিনা।

২৫ শে মে, ২০১৪ রাত ১০:৩৩

নাহিদ শামস্‌ ইমু বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

৪| ২৫ শে মে, ২০১৪ রাত ১০:৩৩

সোহানী বলেছেন: আমি আপনি একজন বা দুজন নিয়ে জাতীয় সমস্যা সমাধান করা যায় না..... দরকার রাস্ট্রের পৃষ্ঠপোসকতা। হাঁ আমাদের লিখা একটু হয়তো এগিয়ে নিয়ে যাবে কিন্তু এটা কিন্তু সমাধান নয়। দরকার ব্যাপক প্রচার প্রচারনা..... স্কুল/কলেজ/মাদ্রাসা বা মাঠ পর্যায়ে খোলামেলা আলোচনা।

২৫ শে মে, ২০১৪ রাত ১০:৪৭

নাহিদ শামস্‌ ইমু বলেছেন: সহমত।
রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকা ভীষণ জরুরি। ব্যাপক প্রচারনার কোন বিকল্প নেই। স্কুল/কলেজ/মাদ্রাসা বা মাঠ পর্যায়ে খোলামেলা আলোচনা করাটা ভীষণ দরকারি।
আমি বা আপনি, নিজেদের জায়গা থেকে যদি প্রচেষ্টা চালিয়ে যাই- যদি আমি, আপনি বা সমমনারা আরো বেশ কিছু মানুষকে বোঝাতে পারি, তাহলে তারা এই ধারণাগুলো ছড়িয়ে দেবে অন্যদের মাঝে, তারা ছড়িয়ে দিতে পারবে আরো কিছু মানুষের মাঝে- এভাবে হয়তো সমস্যা থেকে কিছুটা হলেও উন্নতি সম্ভব।
অপরাধ দেখে আমরা চুপ করে বসে থাকতেও পারবো না।
সমাধানের জন্য করতে হবে কঠোর পরিশ্রম। সামাজিক কিছু ক্যাম্পেইন হাতে নিতে হবে। মানুষের মূল্যবোধটা পালটে দিতে হবে। এজন্য খুব সুদূরপ্রসারি পদক্ষেপ নিতে হবে। গ্রামের শিক্ষক-শিক্ষিকা, ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব, গন্যমান্য ব্যক্তিদেরকে প্রথমে বোঝাতে হবে।
ধন্যবাদ আপনাকে।

৫| ২৫ শে মে, ২০১৪ রাত ১১:০৬

হাবিব০৪২০০২ বলেছেন: আমি দেখেছি গ্রামেও কিছু বাবা-মা আছেন যারা চান তাদের আদরের মেয়েটি এসএসসি বা এইচএসসি পাশ করার পরেই বিয়ে করুক ... কিনতু সমসযা হয়ে দাঁড়ায় ধর্ষনের ঘটনা

গ্রামের বাবা-মারা ভাবেন তাদের আদরের মেয়েটি যদি ধর্ষনের শিকার হন তাহলে তাকে কে বিয়ে করবে? অনেক সময় কোন ছেলে বিয়ে করতে রাজি হয় তয় যৌতুকের পরিমাণ বেড়ে যায় এবং ছেলের পারিবারিক শান-শওকত হয় মেয়ের তুলনায় নিচু লেভেলের

এজনযই আপনি বললেও গ্রামের বাবা-মারা আপনার কথা শুনবে না; কম বয়সী মেয়েদের ধর্ষনের ঘটনা যতদিন চলতে থাকবে কিংবা আমরা ছেলেরা ধর্ষিতা মেয়েদের বযাপারে আমাদের মনোভাবে চেন্জ না আসবে ততদিন বাল্যবিবাহ চলতেই থাকবে

বিদ্র: ইউরোপ আমেরিকাতে কোন ধর্ষিতা মেয়েকে সুইসাইড করতে হয় না, এর কারন কি? সামাজিক দৃষটিভঙগি

সোহানী বলেছেন: এতো চমৎকার ভাবে এতো বড় একটি সমস্যাকে তুলে ধরেছেন...... অনেক অনেক ধন্যবাদ।

২৬ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:২৩

নাহিদ শামস্‌ ইমু বলেছেন: ধন্যবাদ হাবিব ভাই।
আপনি আরো একটি বিষয় তুলে ধরেছেন তা হলো ধর্ষণভীতি। যদি আদরের মেয়েটার কিছু হয়ে যায়?
সত্যি কথা। আমরা সমাজটাকে নারীদের জন্য অনেকগুলো দিক থেকেই নিরাপদ করে তুলতে ব্যর্থ হয়েছি। তার মধ্যে ধর্ষন একটি। ধর্ষিতার প্রতি মনোভাবটাও এক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছে। ধর্ষনের পর ধর্ষিতাকে কাঠগড়ায় তোলা হচ্ছে, তাকে 'কলংকিত' ভাবা হচ্ছে। অথচ, ধর্ষিত হবার জন্য সে দায়ী নয়, অপরাধী নয়! পবিত্র কোনকিছুকে অপবিত্র হাতে অবৈধভাবে স্পর্শ করলে অপরাধী কে হয়? অবশ্যই যে অবৈধভাবে বা অপবিত্রহাতে স্পর্শ করে- সেই তো অপরাধী! এতে করে তো পবিত্র বিষয়টি অপবিত্র হয়ে ওঠে না। কিন্তু অপরাধের শিকার এবং নিষ্পাপ নারীকেই ধর্ষণের পর আমরা 'অপবিত্র' আখ্যা দিয়ে ফেলছি, তাকে খারাপ চোখে দেখছি। এই বিষয়ে সামাজিক সচেতনতা গড়ে তোলাটা অত্যাবশ্যকীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অপরদিকে, ধর্ষকদের ঠিকঠাকভাবে আইনের আওতায় আনতে পারাটা জরুরি। আপনি যৌতুকের কথা বলেছে। হ্যা, যৌতুকও সামাজিক প্রথা হিসেবে টিকে আছে। আইন দিয়ে একে দমন করা যায় নি! বলা যায়, সমস্যাটিতে অনেকগুলো লেয়ার আছে। সার্বিকভাবে আমাদেরকে নারীদের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গিটা পাল্টাতে হবে।

৬| ২৬ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:১৩

বিকারগ্রস্থ মস্তিস্ক বলেছেন:
এইগুলো বলে লাভ নাই -

জাতিকে শিক্ষিত করে তুলুন - সমস্যার সমাধান ৮০% কমে যাবে

২৬ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:২৬

নাহিদ শামস্‌ ইমু বলেছেন: সহমত।
শিক্ষার গুরুত্ব অস্বীকার করার উপায় নেই। সবার আগে শিক্ষাটাই প্রয়োজন। গ্রামাঞ্চলে যা কিছু সংঘটিত হচ্ছে, তা অশিক্ষার ফলেই হচ্ছে। এটা লেখাটিতে উল্লেখ করেছি।
তবে শুধু শিক্ষা হলেই হবে না। সেটা 'সুশিক্ষা' হতে হবে। অনেক শিক্ষিতদেরকে নারীদের সম্পর্কে আজে-বাজে মন্তব্য করতে দেখা যায়। এর কারণ, তারা 'সুশিক্ষিত' নয়, 'স্বশিক্ষিত'।
ধন্যবাদ আপনাকে। শুভকামনা রইলো।

৭| ২৬ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:৩২

আদনান শাহ্‌িরয়ার বলেছেন: ভালো লিখেছ !

২৬ শে মে, ২০১৪ রাত ১:১৬

নাহিদ শামস্‌ ইমু বলেছেন: ধন্যবাদ তপু ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.