![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভীষণ কল্পনাপ্রবণ একজন মানুষ আমি। কল্পলোকের ক্যানভাসে ছবি এঁকে, মনোজগতের সুবিশাল হাইপার স্পেসে নিজের এক মহাবিশ্ব সৃষ্টি করে আমি হয়েছি ঈশ্বর। যখন প্রচন্ড কষ্টে কাঁদতে ইচ্ছে করে, তখন নিজের সৃজিত মহাবিশ্বের অসীম গ্যালাক্সিপুঞ্জ দেখে গর্বিত অনুভব করি। অতঃপর স্বপ্নীল জগতের দিকে তাকিয়ে উচ্চারণ করি দৈব বাণী- "নিশ্চই তোমাদের সৃষ্টিকর্তা মহান। দুঃখ কিংবা কষ্ট তাকে স্পর্শ করে না।"
মায়াবতীর দু'চোখ জুড়ে সেদিন আর্থার কোনান ডয়েলের রুদ্ধশ্বাস ডিটেকটিভ উপন্যাসের মত জট-পাকানো রহস্য ছিলো,
ছিলো ড্যান ব্রাউনের ধোঁয়াটে-ধাঁধালো সুপ্ত প্রতীকের গুপ্ত অভিব্যক্তি!
সে ধাঁধার তীব্রতর আকর্ষণে আমি ফেলু মিত্তিরের মত ছুটে গিয়েছিলাম...
ভেবেছি সে রহস্যের জট ছাড়াতে বুঝি কেটে যাবে অনন্তকাল-.
কিন্তু নিজেকে নিজে হতবাক করে দিয়ে রহস্যের সমাধান আমি করে ফেলেছি মাত্র তিনদিনে,
রবার্ট ল্যাংডনের চাইতেও দ্বিগুণ দ্রুততায় ও চোখের চাহনীর মর্মোদ্ধার আমি করে ফেলেছি কেবল তিনরাতে।
মায়াবতীর দু'চোখে এখন আর কোন রহস্য নেই!
মায়াবতীর শরীরে সদ্যফোটা নিশিথজাগা হাসনাহেনার পাগল করা গন্ধ ছিলো।
সে গন্ধের প্রত্যয় জাগানো আহ্বানে আমি গঞ্জিকা-সেবক নেশাগ্রস্থের মত দৌড়ে গেছি
অপ্রকৃতস্থ মাতালচিত্তে ভেবেছি, সে হাসনাহেনার গন্ধ রয়ে যাবে সহস্রবছর অব্দি,
টিকে যাবে জন্ম থেকে জন্মান্তরে-
কিন্তু শুধু একরাত্রে, হ্যা শুধু একটি পরিপূর্ণ রজনীতে আমি ওর মাদক-সম শারীরিক গন্ধ শুঁকে ফেলেছি।
কি আশ্চর্য্য! ওই শরীরে এখন আর কোন গন্ধ নেই!
মায়াবতীর স্পর্শে হৃদযন্ত্র স্তব্দ করে দেবার মত নৃশংস শিহরণ ছিলো,
সেই শিহরণে বিদ্যুতায়িত হবার তাড়নায় আমি ওর হাত দু’টো আমার গালে-ঠোঁটে-রোমশ বুকে ছুঁয়েছি বার বার।
প্রতিটি স্পর্শে আমি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছি, হারিয়েছি বুকের ভেতরের একেকটি মূল্যবান প্রাণস্পন্দন!
একসময় ওর সে মায়াবী স্পর্শে পুনঃপুন স্পর্শিত হতে গিয়ে আমি শিহরিত হবার ক্ষমতা হারালাম!
হায়! মায়াবতীর স্পর্শে এখন আর কোন শিহরণ নেই!
শ্যামলাবতীর প্রেমাবেগে মহাজাগতিক মহাকাশ ছিলো-
সেই ভালোবাসার আকাশ পাড়ি দেবার প্রত্যাশায়, আলোকবর্ষ হতে আলোকবর্ষ ছুটে যাবার উচ্চাশায়-
আমি নিউরণের কল্পনারাজ্য থেকে উড্ডয়িত হয়েছি অত্যাধুনিক আকাশযানে!
ভাবতাম, এ দূরন্ত অভিযাত্রায় কেটে যাবে বাহাত্তর বিলিয়ন বছর...
কিন্তু হায়! আমার সে 'মহাপরিভ্রমণ' শেষ হয়ে গেছে কেবল বাহাত্তর ঘন্টায়!
মায়াবতীর বাহুবন্ধনে আর কোন আকাশ নেই!
নেই কোন উত্তেজক, কৌতুহলউদ্দীপক, মশলাদার থ্রিলার,
অতিপ্রাকৃত সুতীক্ষ্ণ স্বর্গীয় সুবাস,
কিংবা বুক প্রকোষ্ঠের সেই ধক্ ধক্ কম্পমান অনুভূতি।
নেই কোন মহাযাত্রার হাতছানিও!
তাই আমিও আজ বেরিয়ে পড়েছি নতুন শিহরণের খোঁজে-
পরমতর-চরমতর রহস্য ও গন্ধের সন্ধানে....
আমায় তুমি ক্ষমা করে দিও মায়াবতী!
আমায় তুমি ক্ষমা করে দিও......
২৯ শে মে, ২০১৪ রাত ৯:২৩
নাহিদ শামস্ ইমু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে...
শুভকামনা রইলো।
২| ২৯ শে মে, ২০১৪ রাত ১০:২১
আদনান শাহ্িরয়ার বলেছেন: বাস্তবতা গন্ধ লাগা কবিতা । মাঝে মাঝে একটু জটিল লেগেছে । তবে উপমাগুলো অনেক ইন্টারেস্টিং !
২৯ শে মে, ২০১৪ রাত ১০:৩৩
নাহিদ শামস্ ইমু বলেছেন: ধন্যবাদ তপু ভাই।
৩| ৩০ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:৫৮
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
চমৎকার +++
[নেই কোন উত্তেজক, কৌতুহলউদ্দীপক, মশলাদার থ্রিলার,
অতিপ্রাকৃত সুতীক্ষ্ণ স্বর্গীয় সুবাস,
কিংবা বুক প্রকোষ্ঠের সেই ধক্ ধক্ কম্পমান অনুভূতি।
নেই কোন মহাযাত্রার হাতছানি!
তাই আমিও আজ বেরিয়ে পড়েছি নতুন শিহরণের খোঁজে-
পরমতর-চরমতর রহস্য ও গন্ধের সন্ধানে.... ]
এইটুকু উপসংহারের খুব প্রয়োজন ছিল কি ? থাক না কিছু কথা পাঠকের ভাবার জন্য অথবা কিছু ভাবনা নিয়ে বেঁচে থাকুক মায়াবতী।
৩০ শে মে, ২০১৪ রাত ১:৩৪
নাহিদ শামস্ ইমু বলেছেন: ধন্যবাদ।
আপনার ভাবনাটা ভালো লেগেছে। উপসংহার এভাবে না টেনে অপূর্ণতা রেখে দেবার কথা আমিও ভেবেছিলাম। তারপর মনে হলো, উপসংহার টেনেই ফেলি!
দশুভকামনা রইলো আপনার জন্য!
৪| ৩০ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৩:২৭
মিনুল বলেছেন: মায়াবতী পাঠক হৃদয়ে বেচে থাক অনন্তকাল ধরে।ভালো লাগল।
৩০ শে মে, ২০১৪ রাত ৮:৪৭
নাহিদ শামস্ ইমু বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ মিনুল।
শুভেচ্ছা নেবেন।
৫| ৩০ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৩
লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: চমৎকার । ভাল লাগা জানিয়ে গেলাম
৩০ শে মে, ২০১৪ রাত ৮:৪৮
নাহিদ শামস্ ইমু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে লাইলী আরজুমান।
আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে মে, ২০১৪ রাত ৯:১৯
নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: শুরুটা অনেক ভাল লাগছে । শুভেচ্ছা ।