নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি অন্তর ভাঙা এক যুবক! সহজেই বুঝে যাই কান্নার সুরে-দুঃখটা কত গভীর,অনুভবে শিহরিত হই বাস্তব কত কঠিন, কতটা নির্মম হতে পারে মানুষ! shapnaneer.com \'স্বপ্ননীড়\'।।

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন

সু-স্বাগতম। আপনার আগমনে ধন্য আমি। মানুষ আমি, আমাকে মানুষই ভাববেন, আমি তাই হতে চাই njnoyon.com

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

দুঃসময়ে শামসুল হক

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১১



শামসুল হক মধ্যপাড়ার শহিদুল হকের একমাত্র ছেলে। শহিদুল হক মরার আগে অনেক সহায় সম্পত্তি রেখে গিয়েছিলেন একমাত্র ছেলে শামসুল হকের জন্য। বড় কষ্ট করে খেয়ে না খেয়ে শহিদুল হক নিজের সম্পত্তি জড়ো করেছিলেন একমাত্র ছেলের ভবিষ্যত চিন্তাভাবনা করে। কিন্তু ছেলেটা কলেজ পর্যন্ত লেখা পড়া করলেও আসল মানুষ হতে পারেননি, নানা ধরনের নেশার মোহে পড়ে ছন্নছাড়া হয়ে গিয়েছিল। তাই বাবা চিন্তায় থাকতেন সবসময় ছেলের ভবিষ্যত চিন্তা করে। জেলা শহরে বড় বড় লোকের সাথে ছিল শহিদুল হকের উঠাবসা। সেই সুবাদে নিজের একমাত্র ছেলেটার একটা ব্যবস্থাও করেছিলেন। ছোট হলেও একটা সরকারি চাকরি জোগাড় করে দিতে পেরেছিলেন ছেলের জন্য। কিন্তু চোরে না শুনে ধর্মের কাহিনী, ছন্নছাড়া শামসুল হক সেই চাকরিটাও ছেড়েছে বাবা বেঁচে থাকতেই।

বাপের কষ্ট করে বাড়ানো সম্পত্তি বিক্রি করে করে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকমের ব্যবসা শুরু করে কিছুদিন যেতে না যেতেই ব্যবসার মূল ধন সহ হাওয়া করতে করতে এখন একেবারেই নিঃস্ব বলা চলে শামসুল হক। একে তো বাড়তি কোন আয় নেই, তারউপর জমিজমা যেটুকু অবশিষ্ট আছে সবই হাওড়ের মাঝে। বছরে একবার ধানের চাষ করতে পারে, তাতে যে ধান পায় তাতে বেঁচে খেয়ে কোনরকম বছর পার করতে পারে শামসুল হক।

চার সদস্যের পরিবার তার, তাতেই হিমশিম খেতে হয় তাকে। এবছর ধানের ফলন খুব ভালো হয়েছে, তাতেও শামসুল হকের কপালের বাজ দূর হয়নি। হবেই বা কেমনে, গতবছর ধারদেনা করে ধানের চাষ করে ভালো ফলন হওয়ার পরও একমন ধানও ঘরে তুলতে পারেনি। আধাপাকা ধানের জমি ভেসে গিয়েছিল হঠাৎ বন্যার পানিতে। সেই ধারদেনা তারপর দুই ছেলের লেখা পড়ার খরচসহ সারাবছর নিজের সংসার চালিয়ে আরও অনেক দেনার মুখে পড়েছে শামসুল হক।

এবার প্রচুর ধানের ফলন হয়েছে, প্রচুর ধান পেয়েছে শামসুল হক, কিন্তু গতবছরের দেনা মিটিয়ে ঘরে আর কিছুই অবশিষ্ট নেই। বছর কেমনে চলবে সেই চিন্তায় তার ঘুম হারাম। পুরনো বদ অভ্যাস ছাড়তে পারলেও অভাবটাকে কোনভাবেই দূর করতে পারছেনা শামসুল হক। চক্ষুলজ্জায় মানুষের বাড়িতে কাজও করতে পারেনা। শহরে গিয়ে অটো চালিয়ে কোনরকম পার করছে বর্তমান সময়। বেশকিছুদিন যাবৎ অটোও পাচ্ছে না, সপ্তাহে তিন থেকে চারদিন বড়জোর অটো ভাগে পায়। তাতে যে টাকা আয় হয় তাতেই চলছে শামসুল হকের সংসার জীবন।

গতবছর থেকে হাওড় অঞ্চলের জন্য প্রচুর রিলিফ দিচ্ছে সরকার। কিন্তু চক্ষুলজ্জার কারণে চেয়ারম্যানের কাছে একটা রিলিফের কার্ডের জন্যও যাইতে পারেনা। পাশের বাড়ির কুদ্দুস প্রতিমাসে রিলিফ পাচ্ছে। ভালোই দিচ্ছে সরকার হাওড় অঞ্চলের গরীব দুঃখী মানুষদের। সয়াবিন তৈল পর্যন্তও রিলিফ কার্ডের মাধ্যমে পাচ্ছে তারা। কুদ্দুসের ছেলেমেয়ে নাই, তাই তার কাছ থেকে দশ কেজি চাউল কিনতে পারে অল্প দামে, বাকি চাউল তার নিজের জন্য রাখে কুদ্দুস। চাউল ডাল তৈলসহ নগদ পাঁচশত টাকা দেয় প্রতিবার। আবার নিজেও কাজবাজ করে কাজের সময় মানুষের বাড়ি, তাতে ভালই চলে কুদ্দুসের সংসার। ঘরে চাউল থাকলে হাওড় নদীর মাছ ধরেও বাজার খরচ চলে যায় তার। কিন্তু শামসুল হকের তো তাও চলছে না।

গতবছর সরকার দশ টাকা কেজি চাউল খোলা বাজারে বিক্রি করেছে পরিবার প্রতি ত্রিশ কেজি মাসিক হারে। সেই চাউল কিনে ভালোই চলছিল শামসুল হক। ঘরে চাউল থাকলে তরকারি কোনরকম জোগাড় হয়েই যায়। সেটাও বন্ধ হয়েছে অনেকদিন, বড়ই দুঃসময়ে শামসুল হক। দশটাকা কেজি চাউল বন্ধ হওয়ায় বড়ই বিপদের মধ্যে আছে শামসুল হকের মতো আরো অনেকেই।

বিকেল বেলা বাড়ির পাশের বাজারে যাওয়ার জন্য পা চালাচ্ছে শামসুল হক। সংসার চিন্তায় পা যেন তার চলতেই চাচ্ছে না সামনের দিকে। পকেটে মাত্র দেড়শ টাকা নিয়ে শামসুল হক বাজারে রওয়ানা দিয়েছে। দুই কেজি চাউল কিনলেই একশো টাকা গায়েব, বাকি টাকায় লবন মরিচ তেল পেঁয়াজ কিনবে কি করে সেই চিন্তায় মাটির সাথে মিশে যাচ্ছে যেন সে।

কিরে শামসুল এত কি চিন্তা করছিস? গায়ে ঝাকুনি দিয়ে করিম শেখের বলা কথায় চমকে উঠে শামসুল। কিরে কি হয়েছে তোর? আমার উপরেই তো উঠে পড়েছিস তুই।
ও ও চাচা আপনাকে দেখতে পাইনি, দুঃখিত চাচা কিছু মনে করবেননা প্লিজ।
আরে না না আমি কিছু মনে করবো না, তার আগে বল কিসের এত চিন্তা তোর মাথায়? এই চিন্তা যদি বাবা বেঁচে থাকতে করতে পারতিস তবে তোর আর এমন করুন দশা হইতো না, দুঃসময় গ্রাস করতে পারতোনা তোকে। যাক সেসব কথা, এখন বল কোথায় যাচ্ছিস?
বাজারে যাচ্ছি চাচা।
তবে কি এতসব ভাবছিস তুই?
কই না তো চাচা। করিম শেখের কাছে নিজের চিন্তা লুকানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হল শামসুল হক। করিম চাচা অনেক সহযোগিতা করে শামসুল'কে, কখনো টাকা দিয়ে কখনওবা পরামর্শ দিয়ে। শামসুল যে শহরে গিয়ে অটো চালায় সেই ব্যবস্থাও করিম চাচাই করে দিয়েছিল, তাই বর্তমান দুঃসময়ের কথা চাচার কাছে লুকাতে চেয়েছিল শামসুল। কিন্তু, শেষমেশ বলতেই হলো তার চিন্তার বিষয় খোলে।
সবকিছু শুনে করিম চাচা বললো আরে বেটা এটা নিয়ে আর এত চিন্তার কি আছে, এভাবে চিন্তা করলে তো তুই অসুস্থ হয়ে পড়বি! আর তুই অসুস্থ হলে তোর সংসার কেমনে চলবে একবার ভেবে দেখেছিস? কথাগুলো শুনতে শুনতে শামসুল হকের চোখের কোণায় জল এসে গেল অতীতে তার ভুলগুলো ভেবে।
করিম চাচা এবারে একটু ধমকের সুরেই বললো, শুন, যে সময় হারিয়েছিস হেয়ালী করে তা আর ফিরে আসবে না শত চেষ্টা করলেও। তবে নিজের ভুলগুলোকে স্মরণে রেখে নিজেকে বদলে নিতে পারবি। এবার আমি কি বলি তা মনোযোগ দিয়ে শুন।
পকেটে কত টাকা আছে?
দেড়শ।
জহরুলের দোকানে যাবি, গিয়ে বলবি আমি পাঠিয়েছি তোকে। সরকার দশটাকা কেজি চাউলের কর্মসূচী আবারো চালু করেছে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে হাওড় অঞ্চলের জন্য। এই কর্মসূচী যতোদিন এইসব অঞ্চলে কাজ করার সময় না আসবে ততদিন পর্যন্ত চলবে।
করিম চাচার কথা শুনে শামসুল হকের চোখ মুখে খুশির রেশ ফুটে উঠলো, মুহূর্তে চকচকে হয়ে উঠলো শামসুলের মুখচ্ছবি।
জ্বি চাচা বলে শামসুল হক বাজারের দিকে হাটতে লাগলো। মনে মনে ভাবছে যাক বাঁচা গেলো তবে। চাউল গুলো দশটাকা কেজি হলেও তেমন খারাপ না, ভালোই লাগে ভাত খেতে। ভাবছে আটচল্লিশ টাকায় চার কেজি চাল কিনে বাকি টাকায় কিছু কাঁচা বাজার করা যাবে আজ। শামসুল হক একটু দ্রুতই হেটে যেতে লাগলো বাজারের দিকে আর আকাশের দিকে তাকিয়ে মনে মনে বলছে- হে আল্লাহ তুমি রহম করেছো আমাদের মতো গরীব মানুষদের প্রতি....।

[গল্পটি আমার মনগড়া কল্পনায় সাজানো সকল চরিত্র নামকরণ, যদি কোথাও কারো সাথে মিলে যায় তা হবে কাকতালীয় ব্যাপার, কারো মনে কষ্ট দেয়ার কোন উদ্দেশ্য আমার নেই, তবুও অজান্তেই কারো কষ্টের কারণ হয়ে থাকলে ক্ষমা করবেন নিজগুণে।]

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২২

চাঁদগাজী বলেছেন:


৪৭ বছর কেটে গেলো মানুষের, কোন সঠিক পথ বের হলো না, সবই সাময়িক পদক্ষেপ

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৫

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: হ্যা এই দশটাকা কেজি চাউলও সাময়িক কর্মসূচী, তবে এই চাউল অনেক গরীব মানুষের কাজে আসতেছে, অনেক মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্যও বলতে পারেন, হাওড় অঞ্চলের মধ্যবিত্ত নয় শুধু, গতবছর ধান তলিয়ে যাওয়ার জন্য অনেক ভালো গৃহস্থও বিপাকে পড়েছিলেন। সবাই তো আর রিলিফ কার্ড নিতে পারেনা, অনেকেই লজ্জায় পড়ে চেয়ারম্যানের দ্বারস্থ হতে চায়না, কিন্তু দশটাকা চাউল কিনতে পারে, আমি দেখেছি এরকম অনেক মধ্যবিত্ত পরিবারের লোককে দশটাকা কেজি চাউল কিনতে।
যা হোক, সাময়িক হলেও অনেকটা উপকারে আসছে এই দশটাকার চাল কর্মসূচী। পঞ্চাশ লক্ষ মানুষের এই রিলিফ ও দশটাকা কেজি চাউলের সুবিধা দিচ্ছে সরকার। সামনে আরও বাড়ানোরও নাকি চিন্তাভাবনা সরকারের।

২| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



পৃথিবীর সভ্য আর উন্নত দেগুলোতে সরকার অসহায় দরিদ্র মানুষদের জন্য অনেক কর্মসূচি নিয়ে থাকে; বিশেষ করে সর্ব প্রথম মানুষের পাঁচটি মৌলিক চাহিদা পূরণ করার চেষ্টা কররে৷পাশাপাশি এসব দরিদ্র পরিবারগুলোকে মটিভেট করে এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সমাজে ঠিকে থাকার জন্য সুযোগ সৃষ্টি করে৷বাংলাদেশে অতি দরিদ্র মানুষের সংখ্যা এখনো কোটির উপরে; কিন্তু সরকারে সামর্থ্য সীমিত হওয়ায় তাদের সব রকম সহায়তা করা সম্ভব নয়৷তবুও সরকার চেষ্টা করছে৷দশ টাকা কেজিতে দরিদ্র মানুষের মধ্যে চাল বিতরণকে এজন্য সাধুবাদ জানাই৷এদেশে অগনিত শামচুল হক আছেন যাদের আত্মমর্যাদাবোধ খুব প্রখর কিন্তু সামর্থ্য খুবই সীমিত৷আশা করবো, সরকারে এসব উদ্যোগে প্রকৃত অভাবগ্রস্থ মানুষ উপকৃত হবে ৷

গল্পটি ভাল লেগেছে নয়ন ভাই ৷

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৩৫

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: হ্যা শ্রদ্ধেয় চৌধুরী ভাই, হতদরিদ্র্যের এই কর্মসূচী যাদের জন্য, যারা এই প্রাপ্য তাদের কাছেই যেন পৌঁছে, এতে যেন কোনপ্রকার স্বজনপ্রীতি না ঘটে সেদিকে সকল সচেতন নাগরিকের খেয়াল রাখা উচিৎ বলে মনে হয় আমার কাছে। সরকার সামর্থ্যের মধ্যে যেটুকু সহযোগিতা করার চেষ্টা করছে সেটুকু যেন যারা প্রাপ্য তারাই ভোগ করতে পারে এটা নিশ্চিত করা সবারই দায়িত্ব নিতে হবে।
এই কর্মসূচী সঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারলে অনেক মানুষের উপকার হবে। কিন্তু কিছু অসাধুভাবে অন্যত্র বিক্রি করে দেয় বেশি টাকা পেয়ে সেটাই চিন্তার বিষয়, যদিও সরকার কড়া হুসিয়ারী দিয়েছেন এ ব্যাপারে।

আপনার সুন্দর গুরত্বপূর্ণ মন্তব্যে অনেক অনেক শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা রাখছি।
গল্পের প্রশংসা আমাকে অনুপ্রাণিত করবে শ্রদ্ধেয়।
দোয়া রাখবেন।

শুভকামনা আপনার জন্য সবসময়।

৩| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: গল্প ভালো হয়েছে।
আমি নাট্যকার হলে অবশ্যই নাটক বানাতাম।

নাম, ঘটনা সব কাল্পনিক হলে- এরকম ঘটনা প্রতিটা জেলায় জেলায় গ্রামে গ্রামে ঘটছে।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৪২

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন:
গল্প আমি অনেকদিন পরই লিখলাম, মনে মনে একটা সংশয় ছিল সেটুকু কেটে সাহসী হলাম ভাই আপনার প্রশংসা পেয়ে। অনেক প্রেরণাদায়ক উৎসাহ রেখে গেছেন ভাই, সেজন্য কৃতজ্ঞতা জানাই।
দোয়া রাখবেন ভাই।

হ্যা ভাই, এরকম ব্যক্তিত্বসম্পন্ন অনেকেই লজ্জায় পড়ে কষ্ট ভোগ করেন, না পারেন সইতে না পারেন কইতে তাদের জন্য সরকারের এমন পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে অনেক গুরুত্ববহন করবে, উপকৃত হবেন অনেক পরিবার।

শুভকামনা আপনার জন্য সবসময় রাখি ভাই

৪| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:২৪

সনেট কবি বলেছেন: গল্প ভালো হয়েছে।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৪৩

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: সুপ্রিয় শ্রদ্ধেয় কবিবরের কাছে প্রশংসা পেয়ে সত্যি অনেক আনন্দিত হয়েছি, প্রেরণা হয়ে থাকবেন শ্রদ্ধেয়।
দোয়া রাখবেন।

শুভকামনা আপনার জন্য সবসময়

৫| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৩৬

নীলপরি বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেছেন । মানুষের জীবনকে দেখে লেখাটা লেখকের একটা গুণ । আপনি এটা খুব ভালো পারেন । এর আগেও এরকম গল্প লিখেছেন ।

শুভকামনা

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৫০

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: অনেক সুন্দর প্রেরণা রেখে গেছেন সুপ্রিয় আপু, অনেক আনন্দিত হয়েছি আপনার এমন উদার প্রশংসা পেয়ে, অনেক সাহসী করলেন আপু গল্প লেখার ব্যাপারে। অনুপ্রাণিত হবো আপু সামনের দিনে। দোয়া রাখবেন।

শুভকামনা আপনার জন্য সবসময় রাখি আপু, সুখসমৃদ্ধি লেগে থাকুক আপনার প্রতিক্ষণে

৬| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৫৩

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আসলেই দুঃসময় শামসুল হকদের...

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:২৫

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: হ্যা ভাই মধ্যবিত্ত শামসুল হকরা না পারে সইতে না পারে কইতে।
দশটাকা কেজি চাল পেয়ে এই শ্রেণীর শামসুলরা নীরবে উপকৃত হয়েছে।

মন্তব্যে আসায় শুভেচ্ছা ও শুভকামনা জানবেন ভাই।

৭| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:০১

আহমেদ জী এস বলেছেন: নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন ,





হাওড় অঞ্চলের এ হরবছরের ছবি । এগুলো হাওড় অঞ্চলের নির্মম বাস্তবতা ।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৩৬

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: হ্যা ভাই, আসল কথাই বলে গেছেন।
হাওড় অঞ্চলে মাত্র এক ফসলের জমি, ধান যদিও ফলে প্রচুর তবে যদি একবার মাইর যায় পানির নিচে যায় তবে তাদের দুঃখের যেন আর শেষ থাকেনা। পাঁচশো টাকা কামলা নিয়ে ফসলের চাষ করে, ফসলের শেষ অবধি অনেক টাকার ব্যয়ভার বহন করতে হয় তাদের, সেই ফসল যদি বানের পানিতে ভেসে যায় তবে আগামী কয়েকবছর সেই তাপ সহ্য করতে হয় তাদের। উ্চচবিত্তরা সেই দকল সারিয়ে উঠতে পারলেও নিম্ন আর মধ্যবিত্তদের সেই দকল বয়ে বেড়াতে হয় কয়েক বছর। তারমধ্যে সরকারি রিলিফ ও এই দশটাকার কর্মসূচীতেও দেখা যায় অনেক গড়মিল। সবমিলিয়ে হাওড় অঞ্চলের জীবনযাপন প্রতিকূলতা সহ্য করেই।

মন্তব্যে পেয়ে অনেক আনন্দিত ও উতসাহিত হয়েছি। সেজন্য কৃতজ্ঞতা জানাই।

শুভকামনা আপনার জন্য সবসময় রাখি মনে।

৮| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: যত ব্যস্তই থাকেন, যত ঝামেলায় থাকেন। মাথায় রাখবেন- কমপক্ষে প্রতি সপ্তাহে একটা কবিতা আর একটা ছোট গল্প লিখতেই হবে।

আর সবচেয়ে জরুরী। পড়তে হবে। সব রকম বই। সময় বের করে পড়তেই হবে।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৪

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: হ্যা ভাই, আপনার এই আন্তরিক পরামর্শ আমি অত্যন্ত শ্রদ্ধা ভরে মনে রাখবো, চেষ্টা করবো।
দোয়া রাখবেন ভাই।

শুভকামনা আপনার জন্য ভাই সবসময়

৯| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:০৯

নষ্টজীবন® বলেছেন: হাওড় অঞ্চলের মানুষদের সত্যি অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়, বিশেষ করে গরীব যারা
ভালো গল্প হয়েছে, ভালো লাগলো

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:২৮

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: অভিনন্দন আমার ব্লগে, আপনার মন্তব্য আমাকে অনেক অনুপ্রাণিত করবে সামনের দিনে।
দোয়া করবেন ভাই।

শুভেচ্ছা ও শুভকামনা জানবেন সবসময়

১০| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৬

নষ্টজীবন® বলেছেন: আমার মতো নতুন আনাড়ি একজনকে অনুসরণ করে কৃতজ্ঞ করলেন ভাই।
আপনার সুন্দর সমৃদ্ধি কামনায়

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৩৯

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: আপনার কামনায় আনন্দিত হয়েছি, আপনি নতুন হতে পারেন তবে সামান্য কেউ তো মনে করছি না আমি। আপনার প্রথম পোস্ট আমার কাছে দারুণ লেগেছে, তাছাড়া আপনিও তো আমাকে অনুসরণ করছেন আমি কেন করবোনা আপনাকে!

শুভকামনা আপনার জন্যও সবসময়

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.