![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জীবনটা বড়ই অল্প
অসীম আলোক গল্প
সীমানা নেই কোন
ভালবাসার স্বপ্ন
আঁধার ঘন জীবন স্বল্প
প্রেমের অন্ত নেই গো কোন
হালকা প্রদীপের আলো
নিষ্ঠুর জীবন গল্প
প্রহর গোনা আর বিভীষিকা কল্পনায়
মৃত্যুর সুবাস, প্রাণের বাতাস
মত্ত ইচ্ছা, চাওয়ার শুরু
হঠাৎ থমকে যাওয়া জীবনের শেষ হওয়া।
- লিখেছিলাম ২০১৪-তে। বড় আম্মা তখন খুব অসুস্থ। আব্বা বেশ সেবাযত্ন করার সুযোগ পেয়েছিল। আমার মা মানে ছোট আম্মা ঠিক ১০ বছর আগে ২০০৪-এ মারা যায়। তখনো আব্বা বেশ সেবাযত্ন করেছিল। সেপ্টেম্বরের শেষ রাত, Birdem-এর ICU-তে বড় আম্মা। ডাক্তার আমাকে ডেকে বলেছিল কিছু শক্তিশালী ওষুধ দিবে আম্মাকে। তারপর বাঁচতে পারে নাও বাঁচতে পারে। তার আগে জিজ্ঞাসা করেছিল কে আমি, বলেছিলাম stepson। একটা ফরমে সাক্ষর করতে দিল। করলাম। কিছু সময় পর আমার কাছে এসে বলল যা শোনার জন্য প্রস্তুত ছিলাম না আবার ছিলামও। রক্তের না হয়েও রক্তের চেয়ে যেন বেশি ভালোবাসা পেয়েছিলাম। কষ্টটাও তাই হয়তো বেশি পেয়েছিলাম।
এখন লিখছি ২০২৪-এ। অদ্ভুত লাগে জীবনটা। দুটোই ছিল আমার আব্বার প্রেমের বিয়ে। বড় আম্মা নিঃসন্তান ছিল, আমার মায়ের থেকে ৪ ছেলে মেয়ে পায় আব্বা। একখান বাড়ি বানিয়েছিল ভীষণ শখ করে। এখন কেউই থাকেনা ঘরগুলোই। বেশ নড়বড়ে অবস্থায় রক্তের সম্পর্ক গুলো। ধুলো মুছে স্মৃতি উজ্জীবিত করতেও যাওয়া হয়না এখন আর।
তবুও জীবন বহিয়া চলে...
ছবি - ২০২০ সালের অক্টোবর, বরিশালের আটঘর কুরিয়ানায় গিয়ে এই দৃশ্যের সাক্ষী। এটা কি আমাদের ক্লাসিক বাংলা উপকথা থেকে কিছু মনে হচ্ছে না? লকডাউনের জীবন তাদের কাছে অতীতের মতোই ছিল কিন্তু আমাদের জন্য ছিল তা বড়ই নতুন।
০২ রা জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯
নাইমুল ইসলাম বলেছেন: ঠিক করে দিয়েছি। অসংখ্য ধন্যবাদ।
২| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪
আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: চমৎকার লেখেছেন কবি দা
০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৫৬
নাইমুল ইসলাম বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ।
৩| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:০০
নয়ন বড়ুয়া বলেছেন: চমৎকার দাদা...
০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৫৬
নাইমুল ইসলাম বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ।
৪| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:২২
প্রামানিক বলেছেন: নিচের কাহিনীটি কি বাস্তব জীবনের কাহিনী থেকে লিখেছেন। যদি তাই হয় তবে আপনার দুই আম্মার জন্যই ইহকাল পরকালের শান্তি কামনা করি।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:০৩
নাইমুল ইসলাম বলেছেন: জী, নিজের জীবনের থেকেই লিখেছি। প্রত্যেকটা মানুষের জীবনেই কিছু এমন ঘটনা থাকে। কেউ বলে কেউ বলে না। আমি লিখে ফেললাম সামুতে। ক্ষণিকের জীবন। কিছু স্মৃতি যদি থেকে যাই লেখাই তাই লিখে ফেললাম সামুতে।
আপনার জন্য দোয়া রইল। অসংখ্য ধন্যবাদ।
৫| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:২৮
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আল্লাহ আপনার আম্মাদ্বয়কে জান্নাতে ঠাঁই দিন
০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:০৬
নাইমুল ইসলাম বলেছেন: আমিন। নিরন্তর ধন্যবাদ।
৬| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫২
শায়মা বলেছেন: আম্মাদের জন্য দোয়া রইলো। ভালো থাকুক উনারা ওপারের দেশে।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:১০
নাইমুল ইসলাম বলেছেন: আমিন। নিরন্তর ধন্যবাদ।
৭| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: তবুও জীবন বয়ে চলে আপন খেয়ালে
০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:১৪
নাইমুল ইসলাম বলেছেন: সত্য। এটাই জীবনের বৈশিষ্ট্য কিংবা বলা যায় বিশেষত্ব।
৮| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩৫
রাজীব নুর বলেছেন: ছবিটা ভালোই হয়েছে।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:১৪
নাইমুল ইসলাম বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ।
৯| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৭:১৮
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
খুবই মনোগ্রাহী লেখা
হ্যাঁ জীবন এমনি ।
আপনার আম্মাদের জন্য দোয়া রইল ।
আমারো মায়ের কথা মনে পড়ে। পিতাজী বানিয়েছিললেন
সুন্দর বাড়ী । ভাই বোন সকলেই এখন কর্মসুত্রে সেই বাড়ী ছাড়া।
শুন্য বাড়ী ঘর খা খা করে , নির্ভর কেয়ার টেকারের উপর ।
তারা তাদের ইচ্ছে মত যেমন তেমন করে রাখে ।
হলিডেতে গিয়ে তেমনটি দেখে মন বিষিয়ে উঠলেও
সেই বাড়ীঘরে গিয়ে চিত্ত আনন্দিত হয় ।
বরিশালে কাটিয়েছি জীবনের বেশ কটি বছর ।
আটঘরিয়া পেয়ারা বাগানে গিয়েছি অনেক বার ।
এশিয়া মহাদেশের বৃহত্তম পেয়ারা বাজার গড়ে উঠেছে ঝালকাঠি,
বরিশাল এবং পিরোজপুরের সিমান্তবর্তী এলাকায়। জেলা সমূহের
২৬ টি গ্রামের প্রায় ৩১০০০ একর জমির উপর গড়ে উঠেছে এই
পেয়ারা বাগান।
খাল বিল নদী নালা প্রকৃতির সাথে সেজে পেয়ারা বাগান
মন ছুয়ে যাওয়ার মতো জায়গা ।
পেয়ারা বাগান আর সারি সারি নৌকায় ভরা পেয়ারা
দেখলে চক্ষু যেতো জুরায়ে ।
এখন যেথায় আছি সেথায় পেয়ারা বড় দুস্প্রাপ্য ।
এশিয়ান গ্রসারি হতে আজ দুটো পেয়ারা কিনেছি
ওজনে ১০০ গ্রামের মত হবে ,মাসখানেক আগের
মজুদ করা পিয়ারা , তারপরেও দাম নিয়েছে
বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১৫০ টাকা , খেয়ে মনে
হল দুধের স্বাদ ঘুলে মিটিয়েছি ।
এই পোষ্ট পাঠের পর মনে হল সেই
কবেকার দেখা পিয়ারা বাগানের
মঝাদার ডাসা ডাসা পাকা পেয়ারার
কথা।
ইংরেজী নব বর্ষের শুভেচ্ছা রইল
০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:১৯
নাইমুল ইসলাম বলেছেন: ঠিক বলেছেন। আসলেই জীবনটা এমনি। অতীত আর বর্তমান নিয়েই ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাওয়ায় যেন জীবন।
বরিশাল আমার খুব প্রিয় জায়গা। চাকরির পোস্টিং ছিল বরিশাল শহরের বটতলার পাশের শ্যাম বাবু লেনে, ছিলাম প্রায় বছর খানেক সেখানে। গৌরনদী থেকে চর কুঁকড়িমুকড়ি পর্যন্ত প্রায় সব জায়গাতেই গিয়েছি। প্রকৃতির এমন সৌন্দর্য আর বিচিত্র আর কথাও দেখিনি।
নিরন্তর ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছা এবং দোয়া রইল।
১০| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:২৬
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
গৌরনদীর দই খুব ভাল , সেখানকার নদীর হলুদ ডিমোয়ালা মাঝারী সাইজের
চিংড়ীও খুবই সুস্বাদু । দুনিয়া জুরে অনেক দেশেই গিয়েছি কিন্তু গৌরনদীর মত
এমন দই আর চিংড়ি এখনো কোথাও পাইনি ।
১০ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:২২
নাইমুল ইসলাম বলেছেন: গৌরনদীর দই আমার খাওয়া হয়নি কিন্তু ভোলার মহিষের দুধের কাঁচা দই খেয়েছিলাম ছিনি দিয়ে! বেশ লেগেছিল! আর সাথে ছিল চমচমের মতো গুঁড়ের একটা মিষ্টি যেইটা ছিল দারুণ। তবে মালাই চিংড়ি খেয়েছিলাম যার স্বাদ এখনো মনে আছে!
ঝালকাঠির পাতি চা, গুটিয়ার সন্দেশ, চরফ্যাশনের বুলেট চালের ভাত! খাবারের বিভিন্নতা আসলেই ব্যাপক বরিশাল অঞ্চলের।
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৬
বিজন রয় বলেছেন: জীবনটা বরই অল্প হবে না.... বড়ই অল্প হবে।
ভাল লিখেছেন।