![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশ স্বাধীনতা থেকেই বাংলাদেশের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে যাচ্ছে ধর্মব্যবসায়ীরা। ১৯৭১ সালেই ধর্মপ্রান আম জনতা দলে দলে স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাপিয়ে পড়েছিল। লাল সবুজের পতাকা অলী আল্লাহ উনাদের বংশের উত্তরসূরী শেখ সাহেবের আহবানে এই ধর্মপ্রান মুসলমানরা এনে দিয়েছিল। সেই বাংলার ধর্মপ্রান মুসলমানকে ১৯৭১ সালে ইহুদীদের দালাল ধর্মব্যবসায়ীরা যখন ধোকায় ফেলতে পারেনি তখন তারা দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহন করে। আজ তারা অনেকটা সাকসেস বলা চলে।
কিন্তু কথা হচ্ছে, ৭১ সালে যাদেরকে পারলো না ধোকায় ফেলতে তারা আজ আবার তাদের ছলনায় পড়ার কারন কি? কারণ খুব সহজ। ১৯৭১ সালেই বিদেশীরা লক্ষ্য করেছিল যে বাংলার জনগনের মধ্যে এতো ইসলাম ভক্ত আছে বলেই তারা বাংলাদেশকে স্বাধীন করতে পেরেছে। মুসলমান জাতির অতীত ইতিহাস দেখলেই বলা চলে বাংলার জনগনের নিকট এটা স্বাভাবিকই বটে।অনেকে বলতে চাইবে যে পাকিস্তানের মুসলমানরা তাহলে পারলো না কেন?
মূলত একদিকে পাকিস্তান বাংলার উপর ইনসাফ করেনি ফলেই তাদের পরাজয় ঘটেছে। আর অন্যদিকে সোনার বাংলায় সবচেয়ে বড় বড় অলী আল্লাহ উনারা অবস্থান করছিলেন, যেটা পাকিস্তানের ছিল না। ফলে অলী আল্লাহ উনাদের বংশের উত্তরসূরী শেখ সাহেবের আহবানে বাংলার ধর্মপ্রান আম জনতা স্বাধীনতা এনে দিয়েছিল।
আর স্বাধীনতা যুদ্বের সময় গোটা বিশ্ব সেই দৃশ্য দেখে অবাক হয়েছিল। অলী আল্লাহ উনাদের থেকে মানুষকে দূরে সরাতে বাংলাদেশের দিকে তখন বিশেষভাবে নজর দেয় কাফির বিশ্ব।
৭২ সালে বাংলাদেশ একটি যুদ্ববিধ্বস্ত দেশ। এই সুযোগটা গ্রহন করে কাফিরবিশ্ব। গজিয়ে উঠে বাংলাদেশে মানবতাব্যবসায়ী নামক ভয়ংকর একদল। যাদের পিছনে ছিল কাফির বিশ্বের টাকা ও নারী। মানবতার বুলি আওড়াতে শুরু করে এই মানবতাব্যবসায়ীরা। অবাক হলেও সত্যি যে এরা মানবতার কথা বললেও মানুষের সেবা তেমন করতো না। কিন্তু কথার মারপ্যাচে যুদ্ববিধ্বস্ত বাংলার আম জনতাকে ঠিকই ধোকা দিতে পেরেছে। ধর্মব্যবসায়ীদেরকে যেমন সহজে চিন্তে পেরেছিল তেমন এই মানবতা ব্যবসায়ীদের অর্থের অভাবে চিন্তে বিলম্ব হয়। আর এই সুযোগে বাংলাদেশে মানবতাব্যবসায়ীরা নিজেদের জায়গা করে নেয়।
ফলে বাংলাদেশে কাফির বিশ্বের দ্বারা দুই ব্যবসায়ীর খপ্পরে ধীরে ধীরে মানুষ পড়তে থাকে। হারাতে থাকে বাংলার জনগন তাদের মূল্যবান ঈমান। পরবর্তীতে মানবতাব্যবসায়ীরা যুদ্বপারাধীদের কথিত বিচারের ও মানবতা কথা বলে আম জনতাকে নষ্ট করে দেয়ার পরিকল্পনা গ্রহন করে। অপরদিকে ধর্মব্যবসায়ীরা মানবতাব্যবসায়ীদের বিরুদ্বে মানুষকে ভিতর ভিতর ক্ষেপিয়ে তোলে। কিন্তু আম জনতা বুঝলো না যে এরা দুই ব্যবসায়ী কাফিরদের তৈরি। তাদের এজন্ডাগুলো বাস্তবায়ন করছে শুধু। ধর্মব্যবসায়ীরা যেমন ইসলামের কথা বলেই আম জনতাকে ইসলাম ছাড়া করেছে, ঠিক অপরদিকে মানবতাব্যবসায়ীরা মানবতার কথায় মানুষকে আরও নি:স্ব করে দিয়েছে। আর রাজাকারদের বিচার এই মানবতাব্যবসায়ীদের কারণেই শেখ সাহেব করতে পারেনি। এখনও করতে সরকার এগাতে পারতো না কিন্তু বাংলার জনগন বিচার চাই। এই সরকারকে এ কারণেই ক্ষমতায় এনেছে ধর্মপ্রান আম জনতা। হাতে গোনা কয়টা মানবতাব্যবসায়ী আনতে পারেনি।
কিন্তু মানবতাব্যবসায়ীরা আবারও বিদেশী মদদে বিচারের শেষপ্রান্তে গজিয়ে ওঠে পুরো বিচারের দাবি তারা নিজেদের কৃতিত্বে নিতে চাই। অপরদিকে ধর্মব্যবসায়ীদেরকে এই মানবতাব্যবসায়ীদের বিরুদ্বে ক্ষেপিয়ে তুলতে বিদেশীগোষ্ঠী লাপিয়ে উঠে। আর এই দুই গোষ্ঠীর মাধ্যমে বিদেশীদের মূল টার্গেট ছিল সোনার বাংলাদেশে গৃহযুদ্ব লাগানো। এখনও সেই লক্ষ্যেই এগুচ্ছে তারা।
কিন্তু কাফিরবিশ্ব যদি বাংলাদেশকে ইরাক, আফগানিস্তান, লিবিয়া, সিরিয়ার মত মনে করে তাহলে চরম ভূল করবে। পরিনতি হবে বিশ্ব থেকে কাফিরদের নাম গন্ধ মুছে যাওয়ার মত।শুধু নামেমাত্র থাকবে কাফিরবিশ্ব।।
সুতরাং বাংলার ধর্মপ্রান আম জনতাকে এই মানবতাব্যবসায়ী ও ধর্মব্যবসায়ী উভয় নিকৃষ্ট ব্যবসায়ীদের থেকে সচেতন হতে হবে। রক্ষা করতে হবে সোনার বাংলাকে। যেন ফাঁস হয়ে যায় এই দুই ব্যবসায়ীর কুৎসিত ও নিকৃষ্ট চেহেরা।
২| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫২
rafiq buet বলেছেন: হুম ......
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৪৬
তারেক রহমান বলেছেন: কথা সত্য