![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ধর্মব্যবসায়ী জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কসাই কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।
অপরদিকে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত তথা সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে কসাই কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে ফাঁসির রায় ঘোষণা করেন।
এখন জনগনের কাছে প্রশ্ন: আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর শাস্তি বেশি, না সুপ্রিম কোর্টের দেয়া শাস্তি বেশি?
জামাত-বিএনপি চক্র শুরু থেকেই বাংলাদেশের একটি স্বচ্ছ,স্বাধীন, মান -সম্মত ও সর্বত্র গ্রহনযোগ্য এমন আদালত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে অস্বীকার করে এসেছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এর বিরুদ্বে মিথ্যা তোহমত দিয়ে এসেছে। বিশ্বব্যাপি জামাত-বিএনপি গং অপপ্রচার চালিয়েছে। সুদের অঢেল টাকা ঢেলে বিশ্বের কথিত নামিদামি মানবাধিকার সংস্থাকে হাতে করার পায়তারা করেছে। মাঝে মাঝে সেই মুনাফিক্বী বুলিও আদায় করেছে। যেন বাংলাদেশের ভাবগাম্ভীর্য ধুলোয় ধুসরিত হয়।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল নাকি স্বচ্ছ ও গ্রহনযোগ্য নয়। কিন্তু কেমন হলে স্বচ্ছ ও গ্রহনযোগ্য হতো তার কোনও রুপরেখা জামাত-বিএনপি গং আজ পর্যন্ত দেখানোর সাহস করতে পারেনি। শুধু মুনাফিক্বী বুলি ও বাংলার আম জনতাকে ভূল বুঝিয়ে ফিৎনা সৃষ্টি করতে পেরেছে। অসহায় আম জনতাকে বুকের রক্ত ঢেলে দিতে উৎসাহিত করেছে। অথচ স্বচ্ছ ও গ্রহসযোগ্য রুপরেখা যতদিন জামাত-বিএনপি দিতে পারেনি ততোদিন ঢালাওভাবে জামাত-বিএনপি গংদের মিথ্যা দাবির বিরুদ্বে মিডিয়াকে সোচ্চার থাকা উচিত ছিল। কিন্তু সব অপকর্মের মূল মিডিয়া কখনই তা করবে না। তারাও টাকা পয়সা পেলে বা বিদেশীদের পা চেটে দিতে পারলে, জাতির কি হলো বা হলোনা -তা তাদের দেখবার সুযোগ রাখে না।
আজকে সুপ্রিম কোর্টে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের থেকেও বেশি শাস্তির রায় দিয়েছে। যা জাতি হক্বদারও বটে। কিন্তু আমার কথা হলো আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল স্বচ্ছ ও গ্রহনযোগ্য না হলে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট কিভাবে স্বচ্ছ ও গ্রহনযোগ্য হতে পারে?
আজকে জামাত-বিএনপি গং বলছে না কেন যে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট আরও অস্বচ্ছ ও অগ্রহনযোগ্য? বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট ভেঙ্গে দেয়ার স্লোগান কেন দেয়া হচ্ছে না? বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট থাকতে পারে না এই ঘোষনা কেন জামাত-বিএনপি গং দিচ্ছে না?
আর বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট যদি স্বচ্ছ ও গ্রহনযোগ্য না হয় তাহলে বাংলাদেশের সমস্ত আদালত কি করে স্বচ্ছ ও গ্রহনযোগ্য হয়? এতোদিন জামাত-বিএনপি গং কেন সমস্ত আদালত ভেঙ্গে দেয়ার বুলি আওড়ায় নি?
কি উত্তর দিবে বাংলার জনগন ও খোদ জামাত-বিএনপি গং সেটাই আমার দেখার বিষয়। তাদের যুক্তিতে আজ পরিষ্কার হয়ে গেছে যে বাংলাদেশের সব আদালত ভূয়া, বানোয়াট, স্বার্থন্বেষী। আর ভূয়া, বানোয়াট, স্বার্থন্বেষী আদালত বন্ধের কাজ জামাত-বিএনপিকে করতে হবে। পারবে কি জামাত-বিএনপি বন্ধ করতে?
২| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১৬
প্রবাসী১২ বলেছেন: মিরপুরের কসাই স্বাধিনতার পর কিভাবে পল্টনে ইসলামিক ফাউন্ডেশনে সরকারি চাকুরি পায়, উদয়নে মাস্টারি করে, প্রেসক্লাবে নির্বাচিত হয় বুঝে আসেনা।
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৪৯
rafiq buet বলেছেন: বাংলাদেশের রাজনৈতিক একটি কালচার হচ্ছে, রায় যার বিপক্ষে যাবে তার কাছেই আদালত ভূয়া ...