নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তিতুমীর

”সব রাজাকারদের বিচার চাই”

কিলার অফ রাজাকার

আমি একা

কিলার অফ রাজাকার › বিস্তারিত পোস্টঃ

হে নামধারী মুসলমান তোমাদেরকে কে এই অধিকার দিল যে “ বেশ্যার বাড়ির মাটি দিয়ে বানানো পূজা সার্বজনীন?

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:১৩

হিন্দু শাস্ত্র মতে যৌনকর্মীদের বাড়ির মাটি ছাড়া দেবী দুর্গার প্রতিমা গড়া চলে না——-।

যদি এই হয় অবস্থা তাহলে কোন সাহসে মুসলমান নামধারীরা এই বেশ্যার পূজাকে সার্বজনীন বলতে চাই? এটা হিন্দুদের ব্যাক্তিগত ব্যাপার কিন্তু নামধারী মুসলমান তোমাদেরকে কে এই অধিকার দিল যে “ বেশ্যার বাড়ির মাটি দিয়ে বানানো পূজা সার্বজনীন? তোমাদের রুচি এতো নিকৃষ্ট হতে পারে, তা আমি একজন মুসলমান হিসেবে অবাক হচ্ছি। তোমাদেরকে কাফিররা যদি মল-মূত্র দেয়, তাহলেও বুঝি তোমরা ভক্তিভরে খেয়ে নিতে দ্বিধা করবে না। ছি!ধিক, শত ধিক! তোমাদের প্রতি।

ইসলাম ধর্ম কত না পবিত্র। সামান্য খারাপীর নাম-গন্ধ এর মধ্যে সংশ্লিষ্ট নেই। এমনকি সামান্য সুদের টাকা মসজিদ বানানোতে শরিক থাকলেও আমাদের কোনও ইবাদত হবে না। এতো পবিত্রতা দেয়া হয়েছে ইসলামে।আর তাই পরিস্কার-পরিছন্ন থাকা আমাদের ঈমানের অঙ্গ।

অথচ ইসলামে নিষিদ্ব সর্বনিকৃষ্ট এবং অপবিত্রতামূলক নিকৃষ্ট কাজ পতিতাকে সংশ্লিষ্ট করে যে পূজা তাকে কি করে তোমরা মুসলমান হয়ে সার্বজনীন বলছো বা মেনে নিচ্ছ? তোমরা এতো হীন এবং নীচ হবে তা ভাবতেও অবাক লাগছে।

যেই প্রতিমাকে ধ্বংস করার জন্য হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আগমন সেই প্রতিমার উৎসবকে তোমরা আল্লাহ পাক, নবীজী এবং ধর্মকে বিসর্জন দিয়ে তোমাদেরও উৎসব তথা সার্বজনীন বানাচ্ছ। তোমাদের কি এতটুকু দরদ নেই ইসলামের প্রতি, আল্লাহ পাক এবং হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের প্রতি। উনাদের বিরোধীতা করতে এবং কুরআন শরীফ হাদীছ শরীফকে অস্বীকার করতে তোমাদের কি একটু ভয় লাগে না, তোমাদের হৃদয়টা কি একটুকু কেঁপে উঠে না।



সুতরাং মুসলমান নামধারী যারা পূজাকে সার্বজনীন বলছো তোমরা তওবা করে ফিরে আসো, নইলে তোমরা হিন্দু হয়েই মারা যাবে ।

মন্তব্য ৩৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৪

ইলুসন বলেছেন: হিন্দু শাস্ত্র মতে যৌনকর্মীদের বাড়ির মাটি ছাড়া দেবী দুর্গার প্রতিমা গড়া চলে না

আপনি এই তথ্য কোথায় পেয়েছেন?

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৪

কিলার অফ রাজাকার বলেছেন: Click This Link
মাত্র একটা দিলাম

২| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:০০

হুমায়ুন তোরাব বলেছেন: you need to change your head line of this post.

your concept is good.

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫১

কিলার অফ রাজাকার বলেছেন: কেন পরিবর্তন করবো? ইসলাম ধর্মকে অবমাননা করে কথা বলবেন মুসললিম হয়ে , আর এতোটৃকু সহ্য করতে পারবেন না?

৩| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:০২

কল্পলোকের রাজপুত্র বলেছেন: আমারও একই প্রশ্ন আপনি এই তথ্য কোথায় পেয়েছেন?

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৮

কিলার অফ রাজাকার বলেছেন: Click This Link

৪| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:০৫

ডাক্তার আমি বলেছেন: হিন্দু শাস্ত্র মতে যৌনকর্মীদের বাড়ির মাটি ছাড়া দেবী দুর্গার প্রতিমা গড়া চলে না ....





রেফারেন্স দিন প্লিজ।

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৮

কিলার অফ রাজাকার বলেছেন: Click This Link

৫| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:০৯

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: পান কোথায় এই সব ফালতু কথা। ছারেন এগুলা। ভাল কিছু লিখেন। এমনিতে সবাই কমেন্টস করবে।

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৭

কিলার অফ রাজাকার বলেছেন: আমি কমেন্ট পাবার জন্য লিখিনা। বাস্তব এবং সত্যকে তুলে ধরাই আমার উদ্দেশ্য। আর আপনারা সমাজে ফিৎনা লাগানোর জন্য হিন্দুদের বিষয়কে মুসলমানদের বলে প্রচার করছেন।
আপনারাই মানবতাব্যবসায়ী এবং যারা কিনা জামাত-হেফাজতের মত ধর্মব্যবসায়ী এই দৃই ব্যবসায়ী সব জায়গায় মিথ্যার সাথে সত্যকে মিশ্রিত করে ফিৎনা লাগাচ্ছে।

৬| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৮

আমি সাজিদ বলেছেন: লোয়ার ক্লাস ছাগুদের আখড়া।মনগড়া কথা বলে।

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৩

কিলার অফ রাজাকার বলেছেন: যাদের মনটাই নোংরা তারা ভাল কথা বিশ্বাস করে না। আমি যেটা বলেছি তা ১০০% সত্য। আপনারাই হিন্দু মুসলিম ঝামেলা লাগানোর জন্য সার্বজনীন ব্যবহার করছেন। কিন্তু ছি! আপনাদের লজ্জা হওয়া দরকার। কেন বলতে পারেন না এটা শুধু হিন্দুদের, মুসলমানদের নয়। আপনার এতো হীনমন্যতা কেন?

৭| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:২৮

গেন্দু মিয়া বলেছেন: আপনার কথা মতো কি যে দেশে বেশ্যা নাই সে যে পূজা হবে না!!

অন্যের ধর্মকে হেয় করার এই নীচ মানসিকতা ছেড়ে যৌক্তিক কথা বলুন।

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৯

কিলার অফ রাজাকার বলেছেন: আমি বাস্তব এবং যোক্তিক কথায় লিখেছি। কিন্তু আপনারা অন্ধ পূজারী। তাই জানেন না। আর আপনাদের মূর্খতায় সমাজে ফিৎনা

৮| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৯

আমি অপটিমিস্ট বলেছেন: Click This Link


"“পুজোয় যা যা লাগে তার একটা অন্যতম উপাদান যৌনপল্লীর মাটি। যতটা চন্ডী পড়েছি, তাতে আমার এটাই মনে হয়েছে যে ওই মাটি ব্যবহারের কারণ হল, সেখানে গিয়ে পুরুষেরা বীর্য ফেলে আসেন। তাই ওই মাটিতে পুরুষের সব গুণ রয়েছে। অর্থাৎ দূর্গার মধ্যে পুরুষের সেই সব গুণ আরোপ করার জন্য যৌনপল্লীর মাটির প্রয়োজন। যদিও অসুরদের কাছ থেকে রাজ্যপাট ফিরিয়ে নিতে যে দূর্গা তৈরি হল, নারীর রূপ দেওয়া হলেও সেটা কিন্তু তাঁর মধ্যে যুদ্ধাস্ত্রের সঙ্গেই পুরুষের যাবতীয় গুণ আরোপ করার জন্যই যৌনপল্লীর মাটির ব্যবহার।”



“এটাকে আমরা দুদিক থেকে ব্যাখ্যা করতে পারি। প্রথমটা ধর্মীয় দিক। যখন কোনও পুরুষ যৌনপল্লীতে যান, তখন তিনি বারবণিতার বাড়ির সামনে দরজায় ধর্মকে রেখে যান। অর্থাৎ তিনি যে মহিলাকে উপভোগ করতে গেলেন, সেটাকে ধর্ম স্বীকৃতি দিল না – অনৈতিক বলে আখ্যা দিল। আর যেহেতু ধর্মের অবস্থান বারবণিতার দরজায়, তাই সেই জায়গাটা পবিত্র বলে মনে করা হয়। অথচ, ব্রাহ্মণের বাড়ির মাটি কিন্তু ব্যবহার করা হয় না – যে ব্রাহ্মণরা হিন্দু ধর্মের নিয়ন্ত্রক।”


৯| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪০

তাসনুভা সাখাওয়াত বীথি বলেছেন: ইসলাম অন্যধর্ম ও ধর্মের লোককে সম্মান করতে বলেছে । আপনি ইসলাম সম্পর্কে ভুল তথ্য দিচ্ছেন আমার মতে। অন্যের ধর্মকে হেয় না করে তাদের ঘৃনা না করে তাদের সাথে মানুষের মত আচরন করাই তো সার্বজনিনতা।

কেউ একজন হিন্দু বলে কি তার সাথে আমি বন্ধুত্ব করতে পারবনা ? তার প্রতি মানবিক হতে পারবনা ? এইডা কিছু হইল !!

আপনার পোষ্ট ভালো লাগেনি ।

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৭

কিলার অফ রাজাকার বলেছেন: Click This Link
আমি কোনও ভূল তথ্য দিইনি। আর হিন্দুদের বিরুদদ্বেও লিখিনিা। আপনি হিন্দুপ্রীতি কমান যদি মুসলমান হোন বা থাকতে চান

১০| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৮

ভাবসাধক বলেছেন: দেবদাস ছিনেমা দেখুন , দেখবেন পতিতার বাসার মাটি দিয়েই পুজা..............

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৫

কিলার অফ রাজাকার বলেছেন: ধন্যবাদ। মূর্খরাই সমাজে ফিৎনা লাগায়। এটা হিন্দুদের পূজা কিন্তু সার্বজনীন বলার কি দরকার ছিল? খোদ ভারতে সার্বজনীন বলে না। তাহলে বাংলাদেশে দাঙ্গা লাগানোর কৌশল হিসেবেই এই সার্বজনীন শব্দ ব্যবরহার করছে কিনা তা বলা মুশকিল।

১১| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:০৯

মনসুর-উল-হাকিম বলেছেন: দেশের অধিকাংশ মুসলমানদের ঈমান অনেক দুর্বল হয়ে গেছে, আছে কি নাই বোঝা মুশকিল। বেশিরভাগ মুসলমানই হয় মোনাফেক না হয় কাফের-প্রেমিক।

মহান আল্লাহ আমাদেরকে হেদায়েতসহ নেক কামিয়াবী দান করুন, আমীন।

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:২৭

কিলার অফ রাজাকার বলেছেন: সহমত

১২| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:২৮

রাজীব দে সরকার বলেছেন: মা দূর্গার প্রতিমা বানানোর সময়, গণিকার দুয়ারের মাটি লাগে
এর উত্তর মূলতঃ হিন্দু ধর্ম দর্শন এ লুকায়িত আছে

মা দূর্গা বিপদনাশিনী হওয়ার সাথে সাথে নারীর মূর্ত প্রকাশ

সময়ে অসময়ে নারীশক্তি অনেক দুরূহ কাজ সম্পাদন করতে পারে তার প্রমাণ মহিষাসুর বধের মাধ্যমে আমরা দেখেছি

কিন্তু সমাজে মা-বোন-জায়া ছাড়াও একটি অন্য চরিত্রেও নারীকে দেখা যায়
গণিকা কিন্তু সমাজেরই সৃষ্টি - আর এই প্রথায় নারীকে ঘৃণা আর অপমান ছাড়া আর কিছুই দেওয়া হয়না

আর মা যেহেতু সকলেরই মা, তাই পূজার এই আয়োজনে যেন সমাজের কোন অংশ বাদ না থাকে, বিশেষ করে ঐ পরিবেশে বেড়ে ওঠা শিশুরা,
এই ব্যাপারটাও কিন্তু অমূলক না

মা দূর্গার মঙ্গলাচারণের সাথে তাই এই নারীদেরকেও সম্পৃক্ত করা হয়েছে - সমাজ যাদের সুনজরে দেখে না,
অথচ সমাজেরই প্রয়োজনে যে গণিকাবৃত্তির জন্ম তাকে একটি মহৎ আয়োজনের প্রারম্ভে রেখে পূজার মাঙ্গলিক কর্ম পেয়েছে আরো সুগভীর মাত্রা

এবং আমার জানামতে পৃথিবীর কোন ধর্মগ্রন্থ এই সব নারীদের কথা ভেবে কোন মাঙ্গলিক আচরণ করা হয় নি


আর দ্বিতীয়ত
মা দূর্গার পূজাকে এজন্য সার্বজনীন বলা হয় না
যে মুসলমানদেরও গিয়ে এই পূজা করতে হবে
জেনে রাখুন দূর্গা পূজা হিন্দু ধর্ম বিধানে থাকলেও
স্থান বিশেষে এর আচার পদ্ধতি পরিবর্তিত হয়েছে
যেমন ভারতে অনেক বড় করে কুম্ভ মেলা হয়
আমাদের দেশে হয় না
আবার দীপাবলী উতসব (মা কালীর পূজা) সব খানেই হয়

যাই লেখকের উদ্বেগের কারন 'সার্ব্জনীন' এ ফিরে আসি
মূলতঃ এক সময় প্রতাপ্সহালী হিন্দু জমিদার ছাড়া আর কারো
মা দূর্গার পূজা করার সামর্থ্য ছিলো না
কারন মায়ের পূজার উপাচার অনেক, বিধি-বিধানও অনেক
আবার নিজের ইচ্ছে মতো এ বছর করলাম
পরের বছর অফ দিলাম এটাও করা যায় না

এরপরে হিন্দু সমাজে জনপ্রিয় হলো সকলে মিলে একসাথে পূজা করার রীতি, এতে করে হিন্দুদের মিথস্ক্রিয়া বাড়ে, ভার্তৃত্ব বাড়ে
একেই নাম দেওয়া হলো সার্বজনীন
অর্থাৎ এটা কারো একার পূজা না

যারা জানেন না, তারা এটা নিয়ে অযথাই বিতর্ক করেন
অথচ এই জিনিসটা নিয়ে লেখার আগে
চাইলেই লেখক কিন্তু কোন হিন্দু পুরোহিতের কাছ থেকে এটা জেনে নিতে পারতেন

আশা করি লেখকের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাবে

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৬

কিলার অফ রাজাকার বলেছেন: আপনি এখানে সার্বজনীন শব্দের যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন তা মানুষকে অন্ধ বানানোর জন্য।
ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের মত অবস্থা। ভারতে যারা পতিতা তারা এই পূজা হিন্দু হয়েও এবং তাদের বাড়ির মাটি নিয়ে করলেও করতে পারে না। আদালতে মামলা পর্যন্ত হয়েছে। এবার ভারতের একটা এলাকায় তাদের আদালত অনুমতি দিয়েছে।
কিন্তু খোদ ভারতের হিন্দু সমাজ এটাকে ভাল চোখে দেখছে না। তাহলে আপনাদের সার্বজনীন শব্দের অর্থ কোথায় গেল?
ধর্ম যার যার উৎসব সবার এগুলো পুজা আসলেই তো ভালই দেখা যায় বাংলাদেশে। এর হাক্বিকত কি?
খোদ ভারতে এই পূজাকে সার্বজনীন বলে না তাহলে বাংলাদেশে বলার কারণ মুসলমান হিন্দুতে ফিৎনা লাগানো।
তাই এখানে বললে বলবেন পূজা বা হিন্দুদের সার্বজনীন পূজা।
সার্বজনীন ধর্মীয় উৎসব বলবেন না। বুঝলেন?

১৩| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৭

কিলার অফ রাজাকার বলেছেন: দুর্গাপূজার কথা বেদে নেই। তাই ভারতেও দুর্গাপূজা বাংলাদেশের মতো এতো আড়ম্বরের সাথে পালিত হয় না।
প্রকৃতপক্ষে হিন্দুরা দুর্গাপূজার নামে চরম অশ্লীলতা ছড়াচ্ছে ও এটাকে সার্বজনীন করতে মুসলমান তোষণ চালাচ্ছে।
স্মরণীয়, দুর্গাপূজা ভারতেই জাতীয় ও সার্বজনীন পূজা বা উৎসব নয়। তাহলে কি করে ৯৭ ভাগ মুসলমান উনাদের দেশে জাতীয় ও সার্বজনীন উৎসব হতে পারে? এবং এজন্য জাতীয় ছুটি ঘোষিত হতে পারে?
মূলত, দুর্গাপূজা হচ্ছে সংখ্যালঘুদের একটা বিতর্কিত ও অংশত শ্রেণীর পূজা উৎসব মাত্র।
বিশেষভাবে স্মরণীয় যে, দুর্গাপূজা সম্পর্কে সঠিক ইতিহাস হলো- বাঙালি হিন্দুর দুর্গাপূজা শুরু হয়েছে ষোড়শ শতাব্দী থেকে।
দুর্গাপূজা বেদসম্মত নয়। বৈদিক পূজার ছাপ দেয়ার জন্য বেদের দেবী সূক্তটির ব্যবহার করা হয় কিন্তু বেদের দেবীসূক্তে যে হৈমবতী উমার উল্লেখ আছে তার সঙ্গে দুর্গার কোনো সম্পর্ক নেই। বাল্মীকির রামায়ন যে সময়কার রচনা মার্কণ্ডেয় পুরাণ সে সময় জন্মায়নি, কথিত দেবী দুর্গার আখ্যায়িকাও তখনও আসেনি। মার্কণ্ডেয় পুরাণ যুগের ভিত্তিতে ‘শ্রীশ্রীচণ্ডী’ লিখিত হয়েছে। পৌরাণিক শাক্তাচারের শক্তির আদিমতম অবস্থাকে সংস্কৃতিতে বলা হয় আদ্যাশক্তি। এই আদ্যাশক্তির চণ্ডরূপই চণ্ড শক্তি বা চণ্ডী। তেরশ বছর আগের মার্কণ্ডেয় পুরাণ যার সংক্ষিপ্ত নাম চণ্ডী যাতে দুর্গার কথা রয়েছে, সুরথ রাজার গল্প রয়েছে, তাতেও রামের কথা লেখা নেই, আর রাম যে দুর্গার পূজা করেছিলো সে গল্পও নেই। মোঘল যুগের কবি তুলসী দাসের ‘রামচিতমানস’ সেখানেও রাম কর্তৃক দুর্গাপূজার কোনো উল্লেখ নেই। তাহলে বাঙ্গালী হিন্দুদের মাঝে দুর্গাপূজার প্রচলন হলো কিভাবে?

বাঙালি হিন্দুর দুর্গাপূজা শুরু হয়েছে ষোড়শ শতাব্দী থেকে। এ পূজা একান্তভাবেই বাঙালি হিন্দুর। উপমহাদেশের অন্য অঞ্চলের হিন্দুদের মধ্যে শারদীয় দুর্গাপূজার প্রচলন নেই।

এরপর ঊনবিংশ শতাব্দীতে কলকাতা শহরকে কেন্দ্র করে যে নব্যধনীদের উদ্ভব ঘটে, তারা দুর্গাপূজার নামে অশ্লীলতাকে আরো বিস্তার করে। অশ্লীল কদর্য নৃত্যগীত, মদ্যপান ও পতিতাগমনকে তাদের দুর্গাপূজার অপরিহার্য অনুষঙ্গ করে নেয়।

দুর্গাপূজা প্রবল উৎসবে পরিণত হয়েছিলো প্রথমে কলকাতায়। শুধু নিছক উৎসবের জন্য নয়, প্রভু ইংরেজদের মনোরঞ্জন ও যোগাযোগের জন্যও উচ্চবর্গ ও মধ্যবিত্ত ব্যবহার করতো দুর্গাপূজা। এর প্রচুর বিবরণ ছড়িয়ে আছে সমসাময়িক বিভিন্ন পত্রপত্রিকায়, নকশা, উপন্যাসে। এখানে একটি পুস্তিকার সামান্য উদ্ধৃতি দেয়া হলো, ‘…মহামায়ার শুভ আগমনে যে কেবল হিন্দুরা আহ্লাদে ফুটিফাটা হলো তা নয়, ইংরেজ ফিরিঙ্গিরাও এ সময়ে আমোদ করতে ছাড়ে না। সম্বতসরের মধ্যে বঙ্গদেশে এই একটি বিশেষ সময়।…

দুর্গাপূজা নিয়ে বর্তমানে যে মচ্ছব হচ্ছে তা অতীতে যখন কম ছিলো তখন থেকেই খোদ হিন্দুদের মধ্যেই অনেকে সমালোচনা করে আসছে। উদাহরণত, ‘…পূর্বের দুর্গোৎসবে আর এখনকার দুর্গোৎসবে অনেক প্রভেদ হইয়া দাঁড়াইয়াছে। পূর্বের পূজা মানসিক ছিলো, আর এখনকার পূজা তামসিক হইয়া দাঁড়াইয়াছে। নাচ, তামাসা লইয়া এখন লোকের পূজা …।’

ষোড়শ শতক থেকে ঊনিশ শতক পর্যন্ত ধনিকরা দুর্গাপূজাকে তাদের মতো করে দুর্গোৎসবে রূপান্তরিত করতে চেয়েছে। তাতে তাদের উৎসবের ক্রমাগত অশ্লীলতার বিস্তার ঘটেছে। পূজার সময় ‘ধনীর দুয়ারে কাঙালিনী মেয়েরা চোখের পানি ফেলেছে, আর মুষ্টিমেয় ধনীর দুলাল-দুলালীরা নানা ধরনের পৈশাচিক আনন্দে মেতেছে। ধনিকদের পারিবারিক দুর্গাপূজা অনুষ্ঠান উপলক্ষে ঊনিশ শতকের কলকাতায় যেমনটি ঘটতো, এখন তার চেয়ে হাজারগুণ বেশি দুর্গাপূজার নামে অশ্লীল ও বিকৃত দুর্গোৎসবে পরিণত হতে দেখে অনেক হিন্দু ধর্মবিশ্বাসী মানুষও বেদনায় ভারাক্রান্ত হয়ে উঠে।

অতীতে ইংরেজদের আকৃষ্ট করতে হিন্দু জমিদাররা যেমন দুর্গাপূজায় অবাধ অশ্লীলতার ব্যবস্থা করতো বর্তমানে মুসলমানদেরকে দুর্গাপূজায় আকৃষ্ট করতে অতীতের চেয়ে বহুগুণ বেশি অশ্লীলতার অবাধ সুযোগ করে দিচ্ছে।

১৪| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৪

রাজীব দে সরকার বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনি এখানে সার্বজনীন শব্দের যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন তা মানুষকে অন্ধ বানানোর জন্য

আপনি অন্ধ হয়েছেন নাকি বুঝলাম না তো

আরে ভাই আপনি সার্ব্জনীন বলতে যা বোঝাচ্ছেন আমি তো ঐ ব্যাখ্যা দেই নাই, তাহলে কেন এতো কথা?
সার্ব্জনীন এর মানে কি আপনি যা বলবেন তাই
নাকি আমরা যেটা বিশ্বাস করি সেটা??????????

দুর্গাপূজা বেদসম্মত নয়
এইটা তো রামছাগলের মতো কথা বললেন
বৈদিক যূগে তো দূর্গা পূজা ছিলো না
তাহলে কেন বেদে এর উল্লেখ থাকবে???

আপনি যে কপি-পেস্ট টা করেছেন এটা
ঐ লেখকের ব্যাক্তিগত অভিমত

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:২৬

কিলার অফ রাজাকার বলেছেন: অন্ধ আপনি হয়েছেন। সার্বজনীন উৎসবের ভাল করে ব্যাখ্যাটা আগে শিখে আসেন। গোজামিল দিলেই পার পেয়ে যাবেন না।

১৫| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৬

আমি শঙ্খনীল কারাগার বলেছেন: সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোই এর উদ্যেশ্য।

১৬| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:১২

রাজীব বলেছেন: বুঝলাম, পতিতালয়ের মাটি দিয়ে দুর্গা তৈরী হয় তাই দুর্গার প্রতি আপনার অনেক ক্ষোভ, কিন্তু আপনি যে মুসলিম দেশে থাকেন সেখানে কয় হাজার কত লাখ পতিতালয় আছে জানেন কি? সেসব পতিতালয় গুলো বন্ধ করার জন্য কি কখনো কিছু করেছেন??
সেসব পতিতালে কিন্তু হিন্দুদের চেয়ে মুসলমানরাই বেশী যায়, সেটি জানেন কি??

বরং সেগুলো এখন সার্বজনীন পতিতালয়ে পরিনত হয়েছে।

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:২৮

কিলার অফ রাজাকার বলেছেন: মি, দূর্গার প্রতি আমি ক্ষোভ দেখাইনি। আপনি ভাল করে পড়েন। আমি নামধারী মুসলমানদেরকে উদ্দেশ্য করেই কেবল কথা গুলো বলেছি।
আশাকরি আপনি খেয়াল করবেন?
আর আমি নামধারী মুসলমানদের বিরুদ্বেই বলি যারা কিনা মুসলমান হয়ে অধর্ম কাজ করে।

১৭| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:১৪

রাজীব দে সরকার বলেছেন: লেখক বলেছেন: অন্ধ আপনি হয়েছেন। সার্বজনীন উৎসবের ভাল করে ব্যাখ্যাটা আগে শিখে আসেন। গোজামিল দিলেই পার পেয়ে যাবেন না।

ভাই গোজামিল কোথায় দিলাম?
আমি তো স্পষ্ট করে 'সার্বজনীন' কথার অর্থ তুলে ধরলাম
এখন আপনার পছন্দ না হলে আমি কি করবো

আপনার প্রত্যেকটা প্রশ্নের উত্তর দিতে চেষ্টা করেছি
(আমার সামান্য জ্ঞনা দিয়ে)
এগুলো আপনার পছন্দ না হলে অবশ্যই আপনার উচিত হবে সনাতন ধর্মের কোন পুরোহিত/ধর্মগুরুর শরণাপন্ন হওয়া

আমি আসলে আপনার উদ্দেশ্য ধরতে পারছি না ভাই

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:২৫

কিলার অফ রাজাকার বলেছেন: সবার জন্য যেটা প্রযোজ্য সেটাই সার্বজনীন। তাই উৎসব সার্বজনীন বলা যাবে না। কেননা আমাদের জন্য প্রযোজ্য নয়।
আর আমি এগুলো কথা মুসলমানদেরকে উদ্দেশ্য করে বলেছি। সেখানে আপনাদের মাথা ঘামানোর কিছু নেই। আমি হিন্দু ধর্মকে আঘাত করে কিছু লিখিনি। যেটা সত্য বিষয় সেটা বলেছি মাত্র।

১৮| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৩৪

রাজীব দে সরকার বলেছেন:
@লেখক
আপনি বললেই সার্বজনীন এর অর্থ পালটে দেওয়া সম্ভব না
আপনার বাপ-দাদার জন্মের বহু আগে থেকে
বাঙ্গালীর সর্ববৃহত এ পূজাটি চলে আসছে
সার্বজনীন দূর্গা পূজা আবহমান কাল ধরে যেভাবে চলছে
ওভাবেই চলবে

আমিও আপনার পোস্টে নাক গলাতে আসতাম না
যদি আপনি জেনে শুনে ব্লগিং করতেন

"বেশ্যার বাড়ির মাটি দিয়ে বানানো পূজা সার্বজনীন?"
এটাতেও যদি বলেন অপমান করেন নি, তাহলে আর কি?
আপনার প্রিয় কাউকে ঐ শব্দ দিয়ে সম্বোধন করলেও হয়তো আপনি মাইন্ড করবেন না! হয়তো আপনি এমনই

ভালো থাকবেন

১৯| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৫৪

পুকুরপাড় বলেছেন: ধর্ম যার যার কিন্তু ধর্মীয় অনুষ্ঠান কখনো সার্বজনীন হইতে পারেনা।

২০| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:২৫

কাকপাখি ২ বলেছেন: আমি রাজারবাগির গন্ধ পাচ্ছি।

প্রমান চান?

যেই প্রতিমাকে ধ্বংস করার জন্য হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আগমন সেই প্রতিমার উৎসবকে তোমরা আল্লাহ পাক, নবীজী এবং ধর্মকে বিসর্জন দিয়ে তোমাদেরও উৎসব তথা সার্বজনীন বানাচ্ছ।

২১| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৪৪

দুঃস্বপ্০০৭ বলেছেন: মাজার ব্যাবসা ও মাজারে নারী পুরুষের উলঙ্গ নৃত্য , গাঁজা সেবন ইত্যাদি সম্পর্কে আপনার বক্তব্য কী ?

২২| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:৪৯

গেন্দু মিয়া বলেছেন: তাহলে আপনার রেফারেন্স কেবলই একটি ট্যাবলয়েডের একটি রগরগে খবর??

মাশা আল্লাহ!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.